১।তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষের এই যুগে সাইবার অপরাধ ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাসের মতো। সাম্প্রতিককালে সমগ্র বিশ্ববাসী সাইবার অপরাধের বৰ্ধিত দুঃশ্চিন্তায় আক্রান্ত। প্রতিনিয়ত বড় বড় সাইবার অপরাধের পরও দেশের কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কাছে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া কঠিন। প্রযুক্তির আধুনিকায়ন, প্রশিক্ষিত-দক্ষ জনবল ও সচেতনতার অভাবেই সাইবার অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। কম্পিউটার এবং ইণ্টারনেটের উপরে মানুষের নিৰ্ভরশীলতা যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, একইভাবে তৎপর হয়ে উঠছে সাইবার অপরাধীর চক্রসমূহ। সাইবার সংক্রান্ত সরকারের বিরুদ্ধে অপরাধ কে বলা হয় সাইবার টেররিজম (Cyberterrorism)বলে। সাইবার পর্নোগ্রাফি, সাইবার স্টকিং, সাইবার ডিফেমেশনের মতো ইত্যাদি ঘটনা ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঘটা অপরাধের তালিকায় পরে। অনলাইনে জুয়া, ফিশিং, কপিরাইট উল্লঙ্ঘণ, ক্রেডিট কার্ড ফ্রডের মতো ঘটনা ... ...
আমাদের পৃথিবী নামক গ্রহটি সূর্য নামক যে নক্ষত্রটির চারিপাশে ঘুরে চলেছে নিত্য, সেই ঘুরে চলার একটি বৃত্ত (উপবৃত্ত বলা ভালো) সম্পূর্ণ হতে যে সময় লাগে, তাকেই আমরা এক বছর বলে ধরে থাকি। ঘূর্ণনের সেই সময়টাকেই আমরা নিজেদের সুবিধার জন্য মাস, দিন, ঘন্টা, মিনিট, সেকেন্ডে ভাগ করে নিয়েছি নিজেদের মতো করে (এই ভাগটা অন্য ভাবেও হতে পারতো) এবং সেই হিসেবমতো বিশ্বের বিভিন্ন অংশে বিভিন্নভাবে আমরা ক্যালেন্ডারের প্রচলন করেছি। আবার দিন বলতে পৃথিবীর নিজের অক্ষ বরাবর একবার ঘূর্ণনের সময়টাকে ধরা হয়। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, পৃথিবী যেমন নক্ষত্রের চারিদিকে ঘুরছে, তেমনি নক্ষত্রও নিজের অক্ষ বরাবর ঘুরছে এবং ছায়াপথের কেন্দ্রের চতুর্দিকে উপবৃত্তাকারে ঘুরছে। আবার ... ...
পুরোনো কিছু ছাড়তে বড্ড মায়া হয় আমার ,পুরোনো জামা , সাইকেল , ব্যাগ ,পেন , ক্যালেন্ডার , এমনকি পুরানো পাড়ার গাবলু গাবলু নেড়ি কুকুরটাও যখন হাড়গিলে পুরানো হয়ে সবার বিরক্তির হয় ,তখনও পুরানো ছাড়তে কষ্ট হয় আমার …নতুনেসকালের ধোঁয়ায় , অমলের চায়ের দোকানে , নতুন কেনা সাদা কাঠির জ্বলন্ত নিকোটিনের সুবাসে , এমনকি একান্ত গোপন বাথরুমেও নিরাভরণ শরীরের গন্ধ নিয়ে বুঝতে চাই ' নতুন ' কিছু এলো কিনা নতুনে…ভাগ্যিস আসেনা….নতুনেঘরময় ফর্সা পর্দা দেয় সঙ্গিনী , উজ্জ্বল হয় আরো সংসার , চোখ বুজে থাকি , আলোয় বড্ড একলা লাগে নিজের , আলো আশা আনে অনেক নতুন , ঘরের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ... ...
টুকরো ১। কাজের বাড়ির বাইরে পা দিয়ে শ্যামা এক সম্পূর্ণ অন্য মানুষ হয়ে যায় । বন্দির দশা কাটলে যেমন হয়। ও জানে বৌদিরা ঠিক কী চায়। তাই কাজের বাড়িতে প্রবেশের আগে শ্যামা গায়ে আঁচল দিয়ে নেয়। সেই সঙ্গে খুলে রাখে পায়জোড়। ছমছম শব্দ করে বাড়ির মধ্যে চলাফেরা করা কোনো বৌদিই পছন্দ করে না। এবং পায়জোড়ের সঙ্গে সঙ্গে ও খুলে রাখে ওর যাবতীয় ছমকছল্লোপন, ছয়ল ছবিলি চলন, ভ্রূভঙ্গিমা, নখরাবাজি। বাসন মাজতে মাজতে ছেলের স্কুলের কথা বলে । ছেলের মাস্টারের কথা বলে। সবজি ধুতে ধুতে শাশুড়ির পিন্ডি চটকায়। ঘর মুছতে মুছতে পাশের বাড়ির বৌদি বা কাকিমার কিপটেমি বা বেহুদা হরকত আলোচিত হয়। ও ... ...
ছবির ব্যবসার ক্ষেত্রে মুক্তি পাবার পর প্রথম তিন দিন খুব গুরুত্ত্বপূর্ণ। অর্থাৎ প্রথম শুক্রবার , শনিবার এবং রবিবার। আশি বছর আগে একটা হল থাকলে প্রতি শুক্রবার সন্ধেবেলা আগে থেকে কিছুই না জেনে দর্শকরা ঘুরতে ঘুরতে সেখানে গিয়ে দেখতেন কি ছবি চলছে , তারপর টিকিট কাটতেন । এই সন্ধ্যেবেলার শো কেই বলা হত ম্যাটিনি শো এবং হলে যে তারকার ছবি হুলিয়ে চলত তিনিই হতেন ম্যাটিনি আইডল। কিন্তু একসময় এক্স এবং ওয়াইরা বুঝতে পারলেন যে কোন ছবি এর পরের শুক্রবার মুক্তি পাবে সেটা আগে থেকেই দর্শকদের জানা জরুরি। সবার পাড়ায় বা যাতায়াতের পথে তো আর হল পড়ে না যে তিনি বুঝতে পারবেন কোন ছবি এর পর সেই হলে আসছে। এটা সামলাতে প্রথমে হাতে আঁকা পোস্টার এল যাতে আসন্ন ছবি মুক্তির ... ...
আমদের এই কাহিনীর নায়িকা এক জারিয়া। নবাবের হারেমের শত শত অভাগিনী দের মতো সে ও এক্জন । কিন্তুঅসাধারণ তার সৌন্দর্য্য । অসমান্য বুদ্ধিমতী। কিন্তু শুধু ত হলেই তো হবে না। ভাগ্যদেবীও সুপ্রসন্না। সব মিলিয়ে জারিয়া থেকে ধীরে ধীরে তিনি হয়ে উঠেন লুৎফা। স্বয়ং সিরাজের দেওয়া নাম। যার মানে হল ভালো বাসা।এই মেয়ে টির মনেপ্রাণে শুধুই সিরাজ। কী করে সিরাজ কে একটু আনন্দে রাখা যায় সেটাই তার একমাত্র চিন্তা।বাংলার মসনদে তখন আলিবর্দী খাঁ। সুশাসক আর প্রজাদরদী আলিবর্দী প্রজাদের চোখেরমণি।রক্তাক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে দুর্দান্ত বর্গী নেতা ভাস্কর পন্ডিত কে দমন করে বাংলার মানুষ কে স্বস্তি দেন তিনি।ঘষেটি বেগম। আলিবর্দীর র দুহিতা। দৌদ্রন্ডপ্রতাপ। সেই ... ...
থাকবে তুমি আশিস বন্দোপাধ্যায় পাওয়া না পাওয়ার মাঝে তরণী তীরে, অন্তে lস্মৃতির ঝাঁকি সিক্ত করে নয়নসাথে নাই. তাঁদের আমার নমন l চলা না রবে যতিনূতন স্বপ্ন ,এক সাথেহবে আনতে l নূতন বছরে হরষে পরশে বন্ধু থাকবে তুমি ,সাথেএই 'মানতে' ll
আজব লোক মৌসুমী ঘোষ দাস “দেকেন দাদা, আমাকে আরও ছয় বাড়ি যেতি হবে, অত হিসাব করি জল মেপি আপনের কতা মতো লিটিরপিটির করি কাজ করলি তো চলবে নি! পচন্দ না হলি নোক দেকে নেবেন!”- মালা ঝমঝমিয়ে উঠল। না, হরিবাবু তেমন ভারি কথা কিছুই বলেন নি মালাকে। শুধু বলেছিলেন, “কলটা কয়েক প্যাঁচ কম খুললেও তো জল পাওয়া যায়, তাহলে জল এত নষ্ট হয় না, বা একটা গামলায় মগ দিয়ে জল নিয়েও তো ধুতে পারো”। আসলে মালা রান্নাঘরের বেসিনের খোলা কলের নিচে একটা করে মাছের পিস নিয়ে নিয়ে ধুচ্ছিল। বাড়ির কর্তা হরিবাবু রান্নাঘরের সামনে অস্থির পায়ে পায়চারি করছিলেন আর নিজের মনেই বিড়বিড় করছিলেন। কিন্তু সশব্দে ... ...
পুরো নামটা বলতে গেলে যে সময় লাগেবল ধরে তিনি গোল করতেন তার আগেআটান্ন,বাষট্টি ও সত্তরে একমাত্র শুধু পেলে-বিশ্বকাপ জয়ী দলে;গারিঞ্চা কি ডেকে নিলে!
মেরিন বীচে আজ একটুও খালি নেই…ছাতা সব নীচু হয়ে আছে। জয়ি ও দীপও এখানে এসেছে অনেক বছর পর...- চলো, ওইখানটায় বসি...সকাল থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি...এখন খুব জোর হয়ে এলো...- কি করে এলে? - কেন? রাস্তা তো সেই আছে। জায়গা চিনতে ভুল হয়না আমার। একটা ঝালমুড়িওয়ালা তখন চপচপ ভিজে এগোচ্ছিল। জয়ি ডাক দিল। তারপর তাকে দাঁড় করিয়ে,- ভাইয়া, দো বনাও...এক বহত তিখা অর এক বিনা প্যাঁয়াজ কা...- এখনও মনে আছে জয়ি?- থাকবেনা আবার! নাক চোখ লাল করে সেদিনটা ভুলি কি করে!পাশাপাশি বসতে গিয়ে একটা সাদা চুলে টান পড়ল দীপের...- যাহ্ ওটা বোধহয় ফস্কে গেছে জয়ি। বাকি পুরো মাথা কালো করা আছে... জয়ি হাসল। বৃষ্টি তখন ... ...
বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই পশ্চিমা মিডিয়ার একটি অংশ কাতারের পেছনে লেগেছিল। শ্রমিক সমস্যা, মানবাধিকার, বর্ণবাদ, অ্যালকোহল, ফেমিনিজম, এলজিবিটি ইত্যাদি নানান ইস্যুতে সব সময় কাতারকে ঘায়েল করার চেষ্টা করেছে।.সব বাধা পেরিয়ে সফলভাবে আয়োজন করার পর পশ্চিমা মিডিয়ার জ্বালা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি তাতে ঘি ঢেলেছেন ইংলিশ তারকা ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন যিনি নিজে কাতারে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন এবং কাতারের নিখুঁত আয়োজন দেখে মুগ্ধ হয়েছেন।.টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি লেখেন, বড় বড় খেলাধুলার আসর সব কাতারে আয়োজন হওয়া উচিত যাতে স্টেডিয়ামে বসে বাবা মা ছেলে মেয়ে এক সাথে খেলা উপভোগ করতে পারে। সেই সাথে তিনি কাতারে সশরীরে উপস্থিত ছিল না, ... ...
আস্তে আস্তে খুলছে শশী আলোর রেস্তোরাঁএসো,কপাল পুড়িয়ে আগুন পোহাই সখি;কুৎসিত শীতে ঋতু রাজ যেন দিচ্ছে সাড়াপোড়া কপালে কোকিল শুধু ডাকতে বাকি!
ইন্দ্রাণীর গল্পে পোষা কুকুরের নাম কালীচরণ। ঠিক পোষা না, পোষ্যপ্রতিম। পড়ে আমার অলম্বুশের কথা মনে পড়ল। অলম্বুশ আমার খরগোশ ছিল। কদিন আগে মারা গেছে। কবে ঠিক জানিনা। শীত পড়ে গেছে, পিছনের বাগানে কে আর যায়। বাড়িতে কেউ ছিলওনা, একদিন দরজা খুলে দেখি, অলম্বুশ পাশ করে শুয়ে আছে। ঘুমিয়ে না। মৃত্যুর একটা ভঙ্গী আছে, যা দেখলেই বোঝা যায়, ঘুম নয়, নিয়ে গেছে বুড়িগঙ্গা, সেইভাবে। কবে থেকে কে জানে। সেদিনও হতে পারে, আগেরদিনও, বা এক সপ্তাহ। ঠান্ডায় শরীর পচেনা এখানে।অলম্বুশ অবশ্য পোষা না। এমনকি প্রিয় কেউও না। বরং জ্বালিয়েছে প্রচুর। পিছনের বাগানে গরমকালে সব্জি-টব্জি ফলানো হত। টমেটো, কুমড়ো, আর কী-কীসব। আমি ঠিক ... ...
স্থান মাহাত্মসুব্রতা ঘোষ রায়_____________স্থান মাহাত্ম? জানি না, দিনগুলো ভালো।এইটুকু লিখলাম, শব্দ চলে গেল!নেই কথা নেই লেখা, ভালো লাগা আছে,শব্দ খোঁজে, শব্দ খোঁজে, শব্দ ওঠে গাছে ।বৃক্ষতলে বসে মেয়ে বৃক্ষ পানে চায়…একটি দুটি শব্দ পড়ে যদি কোনো উপায়ে…শব্দ যদি পড়ে যায়, টুপ ধরবে মেয়ে-বৃক্ষতলে বসে মেয়ে ঊর্ধ্বপানে চেয়ে…শব্দগুলো আঁটোসাটো ঝুলে থাকে গাছে!নিষ্ফল লেখনি তবু মেয়ে বসে আছেওঠ মেয়ে শব্দ ভোল, সামনে আছে ঢেউদ্যাখ মেয়ে দ্যাখ মেয়ে নৌকো বায় কেউনৌকো আছে, তীর আছে, আর আছে মাঝিছোটো ঢেউ, কাচ জল ভেসে যেতে রাজী?উত্তাল তরঙ্গ তীর, পাশে ঝাউবন…ওঠ মেয়ে ওঠ মেয়ে ঢেউ ডাকে শোন…তবু মেয়ে ফিরে যায় অতীতের কাছে…যেখানে প্রথম প্রেম বাঁধা পড়ে আছে!এই ... ...
লকডাউন ও ঝালমুড়ি / আশিস বন্দোপাধ্যায় ঝালমুড়ি আপনারা সবাই খেয়েছন। পার্কে, রাস্তায়, চিড়িয়াখানা, খেলার মাঠে সকলেই বোধহয় ঝালমুড়ি খেয়ে থাকবেন। বিকেল বেলার জলখাবারে সুন্দর করে মাখানো এক বাটি ঝালমুড়ি অনেকেরই জিভে জল এনে দেয়। ঝালমুড়ির কথা মনে হলে, মনে পরে যায় স্কুল ও কলেজ জীবনের কথা। স্কুল ও কলেজ জীবনে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে ... ...
মেয়েটির নাম জ্যেনা। সে তার পরিবারের জন্যে রুটি সংগ্রহ করতে গেছে। মোট সাতটা রুটি কিনলো জেন্যা। কালো জিরা দেওয়াদুটো রুটি বাবার জন্যে। মায়ের জন্যে দুটো রুটি পোস্ত দেওয়া, তার নিজের দুটি রুটি মিষ্টি দেওয়া আর ছোট্ট ভাই পাভলকের জন্যে একটা। জেন্যা এদিক ওদিক যায় অবাক হয়ে দেখে। এই সুযোগে একটা কুকুর তার সাত সাত টা রুটি খেয়ে নেয়। জেন্যা তাকে তাড়া করে। কিন্তু কুকুরের নাগাল পায় না। হঠাৎ সে নিজেই হারিয়ে যায়। ভয় পেয়ে সে কাঁদতে লাগে। হঠাৎ এক বুড়ি আসে। বলে এই মেয়ে কাঁদছিস কেন। জেন্যা সব ঘটনা খুলে বলে বুড়ি কে। বুড়ি বলে রুটি আমি কোথায় পাবো?তবে এই ... ...