এই মঞ্চের যে সব মেয়ে,মহিলারা ফেসবুকে আছেন তাঁদের যে কি পরিমান ভার্চুয়াল হেনস্তা হতে হয় সেটা লিখলে মহাভারত হবে। সঞ্চারী বলে আমার এক বান্ধবী আছে। আমায় ফোন করে বল্ল ইনবক্স চেক কর।আমি ইনবক্স খুলে দেখে অবাক হয়ে গেলাম।পুরুষ মানুষ স্বভাবজাত ভাবে লম্লট প্রকৃতির হয়, বক্তা নিজেও যে আসলে ভাল তার কোনপ্রমাণ নেই। সুযোগ আর সাহসের অভাবে ভদ্র। কোন মেয়েকে ভালো লাগতেই পারে, তার সাথে প্রেম করতে ইচ্ছা হতে পারে,এই ইচ্ছাগুলিতে কোন দোষ নেই দোষ হচ্ছে এমন কিছু করা যাতে মেয়েটি ভাবে সে নিরাপদ নয়। অনলাইনে সুনামের জন্য ভদ্র আর অফ লাইনে; কিয়া মাল হ্যায়, ইচ্ছা করছে তুলে নিতে জাতীয় মন্তব্য যারা করে ... ...
আমি ভীষণ ক্ষমতা লোভী। সব সময়েই নিয়ন্ত্রনে রাখতে চাই সব কিছু। সব সময়ে চাই বশে থাকুক সব। বহুদিন ধরে অভ্যাস, অনুশীলনের পরে কিছুটা হলেও সামলাতে পেরেছি কিছু কিছু। আমাদের সব্বাকেই হতে হবে দমনপ্রিয়,নিয়ন্ত্রনকারী। তবেই আসল মোক্ষ প্রাপ্তি! জীবনে আমাদের প্রথমেই নিয়ন্ত্রন করতে হবে এই 'আমি'টাকে। জানতে হবে তার পছন্দ, অপছন্দ, ভালোলাগা, মন্দলাগাগুলোকে। জানতে হবে, আসলে সে কী চায়? তার কিসে শান্তি, কিসে তৃপ্তি। আত্মজ্ঞান, অহম্ কে না জানলে কোনো কিছু জানারই আসলে কোনো মূল্য নেই! কিন্তু আমরা জানতে চাই সবকিছুই, আগাপাশতলা জরিপ করি দুনিয়ার সবটাই, কিন্তু কখনো নিজেকে জানতে চাই না, নিজের ভেতরকার আমি কী চায় , তাই জানতে পারি ... ...
হেডস্যার কামড়ে দিলেন (২য় ও শেষ পর্ব ) আগের কথাঃ টেলিভিশন চ্যানেলে খবর প্রচারিত হয় একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেই স্কুলেরই এক ছাত্রকে কামড়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সাংবাদিকরা স্কুলে ও হাসপাতালে পৌঁছে সেখানকার খবর জানাতে থাকেন, পাশাপাশি চ্যানেলের স্টুডিওতে বিজ্ঞাপনের ফাঁকে ফাঁকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কামড়ানোর ওপর আলোচনা চলতে থাকে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা এই ঘটনার প্রেক্ষিতে টেলিভিশন চ্যানেলে বক্তব্য ... ...
হেএএএ....ই মাতব্বরদেখো, ফর্টিফায়েড জঞ্জালের সাথেমাল জমেছে ভালো।চাঁদের গ্রাস, পরিত্যক্ত সন্ত্রাস,নিদেন আশ্রয়ে ছিলোএখানে জাত-ঈশ্বর।আহা আদিখ্যেতা,পোড়া হাওয়া ঝাপটা মারে,যেখানে বিষাদসিন্ধু,টেকনিকালার পার্বত্যমালা।প্ৰিয় পেটের চৌরাস্তায়বস্তুবাদের অনুদেয় বিন্দু।নরম ত্যাজ্য স্টেশনে,হারামজাদা ধরে হাঁফ।ঝিল্লি বুকের ভেতর,ঝিল্লি জমে বুকের বাইরে,বুর্জোয়া ক্ষত-চাপ।হেএএএ....ই উর্দ্ধমুখী মনোহর,এখানে দৃষ্টি ফেলো, নাও জ্যান্ত সবক।এতেও না শিখলে, ব্রম্ভান্ডগুঁড়োরনিয়তে হও রিসাইকেল।
আম-আদাতে খাচ্ছে বীমা, সঞ্চয় কিনারেলাভ কি বলো প্রতি বছর রাবণকে মেরে?
হেডস্যার কামড়ে দিলেন (১)এক বাচালের অলসমস্তিষ্ক প্রসূত অতিকষ্টকল্পিত গঞ্জিকাসেবী ঘরানার শব্দজঞ্জালবিধিসম্মত সতর্কিকরন:তিতকুটে চিড়বিড়ে ঝালগিললেই জ্বালা শুরুহজম নাহলে কালসকালেও জ্বলবে গুরুটিভি চ্যানেল: অনাবিল নিরানন্দ- আতঙ্কে থাকে আতঙ্কে রাখেনমস্কার আজকের বিশেষ বিশেষ খবর হল গরলপুরে পারিবারিক কলহের কারণে এক মহিলা আত্মহত্যা করার জন্য স্থানীয় দোকান থেকে বিষ কিনে খান। অনেকক্ষণ কেটে যাবার পরও তিনি জীবিত থাকেন ও কোনরকম শারীরিক অসুস্থতা না দেখা দেওয়ায়, ঐ বিষ প্রথমে বাড়ির বেড়াল, তারপরে তাঁর শাশুড়ি ও স্বামীকে খাওয়ান। কিন্তু তাঁরাও সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকায় বিষয়টি স্থানীয় ক্লাবে তাঁর পাড়াতুতো দুপুর ঠাকুরপোদের জানান। ক্লাবের সদস্যরা দোকানে চড়াও হয়ে নকল বিষ বিক্রির অপরাধে দোকানদারকে প্রথমে নিগ্রহ করেন ও ... ...
তুই বলেছিস গান শোনাবি অর্ধবেলা জুড়ে,আমার মনের অন্ধকার টা যাবে নাকি সরে । শীতের পোষাক কাঁপবে যখন পৌষ সূয্যি ঘিরে,রবির কথা তোর মুখেতে ই শুনবো মন ভরে । শেষ মিছিলে হাঁটব যখন ধরবে ওরা ঘিরে,ঔই স্টেশনের শেষ ট্রেনটাও যাবে তখন চলে । একলা হেঁটে কোন মতে হয়েছি পার যখন , শেষ ট্রেন টাও করে তখন মুচকি সম্মোহন । একগুচ্ছো চিঠি যেমন সাজিয়ে রাখিস মনে,দিন শেষে আজ একলা সবাই প্রেরক এর অভাবে । সুরগুলো আজ বড্ডো জেদী চেপেছে চোখের কোনে,ভৈরবী তে মিশছে ওরা তোর ভোরের আভাস নিতে । তালছাওয়া তে বাঁধিস শুধু একচিলতে ঘর । আত্ম হারা মন পাগল বাঁধিস নে আর ।। ... ...
সারাজীবন মানুষ যাকে শোষণ করতে চায় তাকে তোল্লা দিয়ে এসেছে। এবং তোল্লা খেয়ে সে যখন খেজুর গাছে উঠে বসে আছে, বেচারা না পারছে নামতে, না পারছে পালাতে, তাকে নিচ থেকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আদায় করা হয়েছে সবকিছু। সেই প্রথা আজও চলছে।মেয়েদের মা বানিয়ে, দেবী বানিয়ে, সতীত্বের খুড়োর কল তার সামনে ঝুলিয়ে, তাকে নিজের দখলে রেখেছে পুরুষ আজীবন। না, ঠিক আজীবন বললে ভুল হবে, যবে থেকে পরিবার কনসেপ্ট এসেছে। তার আগে নারী ছিল স্বাধীন। যেহেতু সে উর্বরা,সন্তান উৎপাদনকারী, তাই প্রতি দল বা গোষ্ঠীতে তার গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। সব গোষ্ঠী চাইতো সবচেয়ে উর্বরা নারী তাদের গোষ্ঠীতেই থাক। তাই তাদের খুশি রাখার জন্য গোষ্ঠীপতিদের ... ...
'সখা হে, বিশ্বরূপ তো করিয়েছো দর্শন অতঃপর কোটি কোটি করেছি নিধন! তবু কেন কারাগারে শুধাবো কি শকুনিরে? -ছাড়া কেন আছে দুঃশাসন!?'
সাবান শ্যাম্পু বৈদ্যুতিক গাড়িদের মত যেকোনো ভোগ্যপণ্য বাজারে ছাড়ার আগে মার্কেট রিসার্চ বলে একটা জিনিস করা প্রায় আবশ্যিক। এটা করলে জানা যায় ক্রেতারা ঠিক কিরকম জিনিস কিনতে চাইছেন , বাজারে সেই জিনিসটার অভাব আছে কিনা অভাব না থাকলে যে সব ব্র্যান্ডের জিনিস ইতিমধ্যেই বাজারে পাওয়া যায় তাদের সঙ্গে কিরকম প্রতিযোগিতা হতে পারে , তাদের থেকে আপনার পণ্য কতখানি আলাদা ইত্যাদি। ছবি পণ্য হলেও এরকম কোনো মার্কেট রিসার্চ বাংলা ছবিতে আজ পর্যন্ত করা হয়েছে বলে জানা যায়নি। নির্মাতারা কি আদৌ জানেন যে সাধারণ বাঙালি দর্শক কিরকম ছবি দেখতে চায় ? নিজেদের স্বচ্ছন্দ বৃত্ত থেকে বেরিয়ে কি বাংলা ছবির নির্মাতাদের এখন সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলার ... ...
নদীর বাঁক বদলে যাওয়া ফুলের স্নিগ্ধতায়- শিহরণে গোঙাতে থাকা নারীর মুখেস্বাধীনতার স্তবক শুনতে চাই- নিরোধিনী। করাঘাতে খুলে যাক নাভীর নিন্মচাপ,নির্ঝঁঝাট চিত্তগ্ৰাহী বসন্তে- ঘুরে দাঁড়াক নির্বিবাদী নায়কের মন।তুঙ্গে উঠুক রাষ্ট্রর সমস্ত আয়োজন।কথা হোক এই নিয়ে, পত্রপত্রিকার স্লোগানেভাতের বিনিময়ে চামড়া বিক্রি, আজো নির্বিকার সমাজ।আমারা কালোত্তীর্ণ সময়ে বড্ড বেমানান গতির ভিতর। ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ইংরেজি
"একটা কাঁধ দেবে সাঁই…একটু কাঁদবো…সব্বাই সব দেয় গো…অনেক অনেক দেয় । শুধু ,কেউই কাঁদতে দেয় না ।" কিচ্ছু গোছাতে পারি নি। সে স্কুলের বাক্স হোক আর জীবনের হিসেব । সব এলোমেলো হয়ে যাওয়াটাই মনে হয় স্বাভাবিক আমার কাছে । বউ বলে তোমার গ্রহে দোষ আছে , হতে পারে । ভূগোলে আমি বরাবরই দুর্বল, গ্রহ নক্ষত্র বরাবর আমার দুর্বোধ্য । তবে একটা জিনিস খেয়াল করেছি যাই হোক না কেন আমি উল্টো জিনিসকে ... ...
তখন কলেজ টলেজে পড়ি। সরস্বতী পুজোর দিন নিয়ম করে মেয়েদের স্কুলের সামনে ঘোরাঘুরি করছি, যেমন আগের কয়েক বছর ধরে করে আসছি। সঙ্গে এক বন্ধু আছে। সে অবশ্য এইসব "বিষয়ে" বেশ পারদর্শী। আমরা তার পরামর্শ নিই, এবং সেই পরামর্শ অনেকেরই কাজে এসেছে। সে আমাকে বলল - শোন সরস্বতী পুজোর দিন কোন অচেনা স্কুলের মেয়ের সঙ্গে ঘুরতে টুরতে যাবি না। জিজ্ঞেস করলাম কেন? সরস্বতী পুজোর দিনই তো ভালো, পবিত্র দিন, পড়াশোনার চাপ নেই, টিচাররা স্কুলের মধ্যেই ব্যাস্ত।বন্ধুটি বলল - তোর দ্বারা কিস্যু হবেনা ( ঠিকই বলেছিল, কিসুই হয়নি) বললাম অচেনা মেয়ের সঙ্গে।- আরে অচেনা তো চেনা হয়ে যাবে, আগে তো কেউ রাজি ... ...
ভেবেচিন্তেই লিখেছিলেন দু'টি প্রহসন হয়তো কাল ঘরে-বাইরে হবে অভিনয়!
কখনো কখনো বিশ্বাস ভেঙে গেলে, মন খারাপ হয় খুব। কিন্তু আবার উঠে দাঁড়াই এই ভেবে, এটা অভিজ্ঞতা! এর বড় দরকার ছিল।©® শম্পা সাহা
স্নেহের, অনুশাসনের, ভালোবাসার, প্রিয়জনদের জগৎটা ছোট হতে হতে প্রায় শূন্য হয়ে আসছে। সুজলাং, সুফলাং এই ধরিত্রীতে জন্ম নেওয়ার পর প্রিয়জনদের এক বিশাল জগৎ পরমানন্দ মাধবের কৃপায় স্নেহের, অনুশাসনের, ভালোবাসার, আশ্রয় - প্রশ্রয়ের বন্ধনে বেঁধেছিলো। মায়া - মমতায় আবদ্ধ হতে হতে মোহময় হয়ে উঠেছিল জগৎটা। স্কুল, কলেজের জীবনে সেই জগৎটা আরও ব্যাপ্ত হয়েছিল। শিশুকালের বা যৌবনের শিশুসুলভ মনটা তখনও পঙ্কিলতার গন্ধ পায়নি, ফলে জগৎটা পারিজাতময় ছিল একটা বিশাল সময় জুড়ে। কলেজ শিক্ষার শেষে চাকুরী জীবনে প্রবেশের পরে সেই পারিজাতের সুগন্ধ ক্রমে উবে যেতে থাকে, পৃথিবী ক্রমেই গদ্যময় হতে থাকে। শিশুমন পঙ্কিলতার গহ্বরে হাঁফিয়ে উঠতে থাকে। আবার বিবাহের পরে সংসারের পাকেচক্রে জীবনের ... ...