অণুগল্প বিমান কুমার মৈত্র কোকিলের বায়স বাসহারমোনিয়ামের গলা শুনলেই ব্যারাকপুর স্টেশনের টু-এ প্লাটফর্মের আনন্দী ভিখারিণীর কথা মনে পড়ে। তার একান্ত হারমোনিয়ামটি যে বাদামি ফিতেটি পরেছিল, সময় তার ওপর এক ময়লা, পিচ্ছিল মসৃণতা তৈরি করেছিল। আনন্দীর পাশে থাকতো তার মরদ, আরও এক জন্মান্ধ। মুখে গুটি বসন্তের দাগ, সামনে একটি পোড়ামাটির উল্টানো হাঁড়ি। হাতের তালুর সোহাগে সোহাগে তার পিঠের এক জায়গায় গাঢ় কালচে লাল বর্ণ হয়ে যায়। সবাই তাকে খগেন হাঁড়ি বলেই চিনতো। হারমোনিয়াম গাইতো আর হাঁড়ি তাল দিত। স্টেশনের টু-এ প্ল্যাটফর্মটি ব্যারাকপুর লোকালের জন্যই বরাদ্দ ছিল। শিয়ালদা থেকে আসা লোকালটি যাত্রী খালাস করে প্রায় কুড়ি মিনিট বিরতি দিত। সকাল বিকেল মিলিয়ে এই দশ বারোটি ... ...
হ্যাপীইজিগো, এদের সাইট আর অ্যাপ দুইই আছে। অনেকসময়ই অন্য সাইটের তুলনায় ৫০০- ৬০০ টাকা কমে টিকিট পাওয়া যায়। ২০১৯ থেকে আমি মাঝে মাঝেই কাটতাম। ২০২২এও কেটেছি, কোনও সমস্যা হয় নি। এমনকি একবার সকাল বিকেল গুলিয়ে রাত দুটোর টিকিট কেটে বসেছিলাম, সেও ওদের ফোন করে দিব্বি বদলে বিকেলের নিয়েছিলাম। গোলমাল হল ১৫ই নভেম্বর। পুণে থেকে বাগডোগরার টিকিট বুক করতে গেলে বার তিনেক পেমেন্ট ফেল হল। তখনই থামা উচিৎ ছিল কিন্তু ভাবলাম আরেকবার চেষ্টা করি। চতুর্থবারে পেমেন্ট দিব্বি গেল, ট্যাংট্যাং করে ৮৭৬৪/- টাকা কাটার ঘন্টিও বাজল ফোনে। কিন্তু টিকিট হল না। কি একটা এরর দেখিয়ে ভ্যানিশ হয়ে গেল। এত দ্রুত হল যে ... ...
আজকের দিনে মুহূর্তের মধ্যে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বার্তা পৌঁছে যায় অতি সহজেই। অতি উন্নত প্রেরণ ব্যবস্থার কারণে কোনো খবর থেকে যে কোনো ছবি বা ডকুমেন্ট যাইহোক না কেনো মুহূর্তের মধ্যে যে কোনো দূরত্বে পাঠানো আজ আমাদের কাছে শুধুমাত্র একটা ক্লিক বা মোবাইল ফোনে একটা আলতো টোকা। এখন আমরা বার্তা বলতে অনেককিছু বুঝলেও শুরুর সময়ে বার্তা বলতে চিঠি বা খবর বোঝাত। কিন্তু এই বিবর্তন তো একদিনে আসেনি। আমাদের মাথায় বার্তা প্রেরণের প্রয়োজনীয়তার কথা প্রথম আসে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের আমলে, ৩২১ থেকে ২৯৭ খ্রীষ্ট পূর্ব্বাদে। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য তাঁর বিরাট সাম্রাজ্যকে শাসন ব্যবস্থার সুবিধার জন্য কয়েকটি প্রদেশে বিভক্ত করেছিলেন। তিনিই প্রথম ... ...
বাসনা গাছের কাছে আমার এইটুকুই প্রার্থনা সে যেন ভেঙ্গে না পড়ে আমার মতো মানুষের আঘাতে।
এ নদীতে মরা ভাসে, ভেসে যায় মলআদার ব্যাপারী সব যাতায়াত করে; অগভীর পাঁকে ভরা কলুষিত জলমাছেরা উজানে গেলে জালে ধরা পড়ে।
সরলকান্তি বিশ্বাস একজন গোবেচারা মধ্যবিত্ত চাকুরিজীবী মাঝবয়সী বাঙালি ভদ্রলোক। কয়েক দিনের জন্য অফিসের এ্যাসোসিয়েশনের সমাবেশে যোগ দিতে কলকাতা থেকে মফস্বলে এসেছেন। জায়গাটা খুব জমজমাট। জ্যাম-জমাটও বটে। রিক্সা-সাইকেল ভ্যান, জলের বালতি-দুধের ক্যান, সবুজ সাথী-হলুদ স্কুটি, বোঝার ওপর শাকের আঁটি, নটেডাঁটা-বাঁধাকপি, তৃণমূল-বিজেপি, টাটা ম্যাজিক-ছোটহাতি, একেবারে যা তা। মফস্বলের রেলস্টেশন সংলগ্ন বাজার এলাকা যেরকম হয় আর কি। রাস্তার একধারে দাঁড়িয়ে ব্যাস্ত সকালের পরিবেশটা জরিপ করছিলেন। একটা উদ্দেশ্যও রয়েছে, ওষুধ কিনতে হবে। কিছুদিন আগে খুব পায়ের ব্যাথায় ভুগেছিলেন। কিছুতেই ব্যাথা না কমায় বাধ্য হয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হলেন। রক্ত পরীক্ষায় ধরা পড়ল ইউরিক এসিডের মাত্রা খুব বেশী। শুভানুধ্যায়ীদের পরামর্শে হোমিওপ্যাথিকে গেলেন, তাইতে নাকি রোগ নির্মূল হয়ে যাবে। হোমিওপ্যাথিক ওষুধে সরলবাবুর উপকার হচ্ছে বটে, কিন্তু ভুল করে ফেলেছেন ওষুধটা সঙ্গে ... ...
অনেকেরই হয়ত মনে আছে সেই আশির দশকে ড্রাগের নেশা ভারতের যুবসমাজকে প্রায় শেষ করে ফেলেছিল। নেশার বিরুদ্ধে সেসময়ে কেন্দ্র সরকার নানানভাবে বিভিন্ন সমাজ সচেতনতার প্রচারকে হাতিয়ার করেছিল। আশির দশকে যুবসমাজকে নেশার কবল থেকে মুক্ত করতে বলিউডি বেশ কিছু ফিল্মও তৈরি হয়েছিল। সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের যুবসমাজ সেই সময়ে নেশার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিতেছিল। এই কয়েকদিন আগেই বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় হয়ত অনেকেই দেখেছিলেন, বিভিন্ন স্কুলের সামনে ক্যান্ডি বিক্রেতার সাজে ড্রাগ লজেন্স বিক্রি করার চক্র জাল বিছিয়ে ছিল। পুলিশি তৎপরতায় সেই জাল বেশিদূর বিস্তার করার হয়ত সুযোগ পায়নি। ভাবা যায়? স্কুল পড়ুয়া বাচ্চাদের পর্য্যন্ত নেশার বেওসাদারদের হাত থেকে নিস্তার নেই! দুধের শিশুগুলোকে কিংবা ... ...
ইরানে জল বেশোয়ান বলে একটা পাহাড় আছে।মানে জল বেশি।খোররমাবাদ ইরানের একটা শহর।সেই শহরের গায়ে একটা পাহাড় জল বেশোয়ান।ইরানের একটা গ্রামের নাম জল।আরেকটি গ্রামের নাম--জল খোবর। এর্তুগ্রুল বলে একটা ছবিতে দেখলাম চরিত্রগুলো জল বলতে জ.. উচ্চারণ করছেন প্রাচীন রীতি অনুযায়ী। ইন্দো ইরানিয়রা জল শব্দ বহন করে এনেছিল বলেই মনে হয়।জল এবং পানীয় দুটোই প্রচলিত।জল প্রাচীন ফারসি। স্বপ্নময় চক্রবর্তী লিখেছেন, পারসিক বা পার্সিদের মধ্যে একটা প্রথা আছে, যাঁর নাম জলমিলা। বর কনে একসঙ্গে জলপূণ পাত্রে আঙ্গুল ডুবায়।পারসিক মানে পারস্য দেশীয়।পারসিকদের ভাষাই ফারসি।পারস্য দেশের বর্তমান নাম ইরান।ভাষাতত্ত্বে পড়েছেন বোধহয়, ইন্দো-ইরানিয় ভাষার কথা।ভাষা নিয়ে ভাসা ভাসা সাম্প্রদায়িক কথা নাই বা বললেন। 'হিন্দু' শব্দটা ফারসি।'সঙ্ঘ' শব্দটি পালি। 'বঙ্গ' অস্ট্রিক ভাষার ... ...
বিস্ময়! খুব ছোট্ট শব্দ। কিন্তু শব্দটি যে কতটা গভীর ও ব্যাপক, তা আমরা মাঝে মাঝেই বিস্মৃত হই। এবং ইদানীংকালে নতুন ও নতুনতর প্রজন্মের কাছে শব্দটির গরিমা যে ক্রমশই হ্রাস পাচ্ছে, তাতেও কোনো সন্দেহ নেই। কখনও কখনও মনে হয়, আর কিছুদিন পর শব্দটিকে হয়তো বাতিল কাগজের ঝুড়িতে পাচার করে দেওয়া হবে। কেননা, আজকের ছেলেমেয়েরা কোনো ব্যাপারেই আর তেমন ভাবে বিস্মিত হচ্ছে না। বিস্ময়ের ঘনত্ব ও আপেক্ষিক গুরুত্ব দ্রুত কমে যাচ্ছে তাদের কাছে। আমরা, মানে তথাকথিত প্রবীণরা, ইদানীং যখন কোনো ব্যাপারে বা বিষয়ে বিস্মিত হই বা অবাক হই, তখন নবীনরা প্রায় ধমক দিয়েই বলে – ‘এতে এ্যাতো অবাক হওয়ার কী আছে? যত ... ...
তুই এখানে থাক,আমি চলে গেলাম-- ডাক শুনবি তুই। বুদ্ধ শ্মশানে মাঝ রাতে ফিনিক্স পাখির মতো আমি তোর নাম ধরে ডাকবো। ভালো থাকিস্ তবে। আমার প্রস্থান মানে শুধু শারীরিক বিদায়, আমার অস্থিত্ব অর্পিত থাকবে তোর সর্বাঙ্গে, ঠাসা দেহে। এইটুকু বুঝে থাকলে তুই আমায় ফিরাবি। নতুবা তোর কাম ছিলো আমাতে, প্রেম নয়। এটাকে বিদায় বলিস নাহ, বল্- "তোর অজ্ঞতা, তোর অবহেলা। চলে যাই, যাবার কথা বলেছি যবে।" ভালো থাকিস্ তুই, তবে। ২৮ এপ্রিল ২০১৮ ইং ... ...
বিলুপ্তির পথে মাতৃভাষা মৌসুমী ঘোষ দাস কলকাতা থেকে ফিরছিলাম কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে, সেই ট্রেনে আমার এক পরিচিতের সঙ্গে দেখা। আমার মুখোমুখি আসনে তারাও সপরিবারে সেই ট্রেনেই ফিরছে। কথায় কথায় ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া নিয়ে প্রসঙ্গ ওঠে। তাতে বেশ গর্বের সাথে সেই পরিচিতা জানালো, “তার সন্তানেরা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে। সেখানে সব বিষয়ের সাথেই হিন্দি দ্বিতীয় আর বাংলা তৃতীয় ভাষা হিসেবে পড়ানো হয়। কিন্তু তাজ্জব ... ...
ধ্বংস লীলার বর্ষপূর্তি স্তরেপ্রতি ঘন্টাই বছর মনে হয়! সৈনিক যবে প্রিয়া-সঙ্গ করে-ঘন্টা গুলো মুহুর্তে শেষ হয় ! বিজ্ঞান তো 'রক্তকরবী'র রাজা বিশ্বজুড়ে মারণাস্ত্রের দোকান
বর্তমানে রাজ্যের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো দুটি, প্রথমটি চাকুরী সংক্রান্ত দুর্নীতি আর দ্বিতীয়টি চাকুরী সংক্রান্ত মাগ্গীভাতা। টিভির যে কোনো চ্যানেল খুললেই এই দুই বিষয়ে আলোচনা ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছেনা বেশ কয়েকমাস ধরে। অর্থাৎ যারা চাকুরী পায়নি আর যারা চাকুরী করছে এই দুদলই এইমুহুর্তে আলোচনার শিরোনামে। প্রত্যেকেই যতরকমভাবে রাজ্য সরকারের ওপরে চাপ সৃষ্টি করা যায় করছে। তাদের বক্তব্য ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার কাজটা বিভিন্ন মিডিয়াগুলো খুব ভালোভাবেই করে চলেছে এখনও অব্দি। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও সরকারের বিরুদ্ধে জনমানসে হিন্দোল তোলার কোনো চেষ্টাই বাকী রাখছে না। বিভিন্ন রকমের মিম, ট্রোল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে শত শত। কেউ মেয়ের জন্য শিক্ষক পাত্র দেখতে গিয়ে ... ...
পাঠকদের জন্য রেখেছি সমস্ত উপাচারদল বেঁধে নেড়ি কুকুর, নিউজরুমের প্যান্ট্রিকার। এ তোমাদের ভ্যানিটি ভ্যান না,এ আমাদের বুড়ো শালিকের ঘুলঘুলি,বনবিবির তলিয়ে যাওয়া শাড়ির পা। আমাদের একতলায় জঙ্গল আছে, বেসমেন্টে সাজানো গ্রাম,আমরা থাকি সিঁড়িঘরে, শহরের রক্ত গায়ে অশরীরী পাতালাম। অশরীরী পাক খায়, গায়ে পড়ে আস্ফালনে যেন কবিতা শোনা যায়। হাড় জিরজিরে জনসভায় নগর পালক আশ্বাস দিয়ে যান, সমবেত কবিতা পড়া হবে, দিলখুশ মহলে এসো, শালপাতা মঞ্চে তোমাদের সাদর আমন্ত্রণ,অবশ্যই সঙ্গে নিয়ে এসো দাস্তানগার। কাহানীর বিলুপ্ত কিতাব থেকে বৃষ্টি নামবে,ভিখিরি হবে রাতের আকাশ,দোহারের ধুয়ো থেকে জন্ম নেবেন রফিক, জব্বার, শফিউর,তারপর ছাপাখানায় অক্ষর সাজাবে বাঙালি,অক্ষর ফুটবে হাঁড়ির ভেতর, হাঁড়ির বাস্পে বাস্পে গান। গানের পাতলা আবদার প্লাসেন্টায় জমে,বাউল পাড়া থেকে বাইজি বাড়ির আছোলা আখ্যান। মোদের ... ...
অধিক ফ্যাচফ্যাচ করে লাভ নেই। আমরা, বাঙালিরা মাতৃভাষার জন্য বিস্তর ঘাম, রক্ত ইত্যাদি ঝরিয়েছি ঠিকই। তার প্রমাণ, আসামের উনিশ, পূর্ববঙ্গের উনিশ, পশ্চিমবঙ্গের একষট্টি। কিন্তু এত যুদ্ধবিগ্রহের পরও আমরা বহুটুকরো, রাজনৈতিকভাবে, এবং তারচেয়েও বড় কথা মনোজগতে। বঙ্গভাষীরা কেউ বিশেষ কারো খোঁজ-টোজ রাখেনা। আসামে এনআরসি নিয়ে হুজ্জুতি হলে, সেটা যে বঙ্গভাষীদের সমস্যা, এটা আমরা প্রতিষ্ঠাই করতে পারিনি। তা, সে পুরোনো কেচ্ছা, এখন বিশ্বের বৃহত্তম ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি হয়ে গেছে আসামে, কঠোর বিকল্পের আর কোনো পরিশ্রম নেই, ফলে ওসব চুকে বুকে গেছে, আমরাও ভুলে মেরে দিয়েছি।পূর্ববঙ্গের ক্ষেত্রেও তথৈবচ। তিনদিন আগে যে রবীন্দ্রমূর্তি চুরি হয়ে গেছে ঢাকায়, পশ্চিমবঙ্গের লোকেদের মধ্যে দেড়জনও তার খবর রাখেন ... ...
১মেলায় গিয়েছিলাম, জানো? কতজনের সঙ্গে দেখা হ’ল। মনে আছে তোমার, ওই যে নিশীথ দা গো — যাকে তোমরা “নিষিদ্ধ” ব’লে ডাকতে কলেজে, আর সে বেচারি কী অপ্রস্তুত হয়ে তোতলাত — তার সঙ্গে প্রায় মুখোমুখি। খুব চেনাচেনা লাগছে অথচ মনে পড়ছে না, শেষে ওই থুতনির কাছের কাটা দাগে মনে পড়ল — আমাকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকতে দেখে সেও কিছুটা থমকে চেনার চেষ্টাতে ছিল মনে হ’ল - সেই চিনতে পারল, মুচকি হেসে বলল - "সুলগ্না না? অঙ্কের?" আমার তো এদিকে আসল নাম মনে পড়ে না শুধু মাথায় "নিষিদ্ধ" ঘুরছে, দাদা দাদা করেই কথা চালালাম। কী করব, যা সব নাম দিয়ে রেখেছ আমাকে ... ...
১আজকে তবে লিখছি সামনে সমুদ্রতট, সন্ধে শেষের অল্প আলোয় খেলতে আসা জলের ধারার হামাগুড়ি। একটু আগেও সবাই ছিল, অশোক-দা আর শম্পাবৌদি, ঝুমাপিসি পিসেমশাই। রঞ্জন তো অনেক আগেই চলে গেছে। কোত্থেকে সে মাছ ভাজাবে, সস্তা দরে। রিম্পিটাও তো "মাছভাজা কই" 'মাছভাজা কই" বলতে বলতে পাগলা করে। আগে থেকে বাচ্চাটাকে বলার কোনও কারণ ছিল? ওকে নিয়েই অশোক-দা রা দোকান-টোকান ঘুরছে হয়ত। আমার কোথাও যাওয়ারও নেই, আসারও নেই। ওই সমুদ্রের বেশ কিছুটা জল যে রকম পাড়ের থেকে দূরে যায় না। বারংবারই সেই একই জল ফিরে আসে বালির বুকে স্পর্শ দিয়ে — আবার ফেরে। সত্যি বলছি — জলের মধ্যে লক্ষ-কোটি জলজাতি, জলবংশ — কাছে থাকলে ... ...