১.রাম ছাগল২. রাম পাঁঠা ৩.রাম হারামি ৪. রাম দা৫.রামগড়ুরের ছানা৬. রাম চিমটি৭.রামবোকা৮. রামদাওয়াই৯. রাম ধোলাই১০. হাঁদারাম১১. বোকারাম১২. রামগরু১৩. রামপাখি১৪. রাম খচ্চর১৫. ছিছিছি,রাম রাম১৬. রাম প্যাঁদানি১৭. রাম চোষা১৮. রাম চোর১৯. চো. রাম২০. রাম চো.২১.রাম কুঁড়ে, ২২. রামসীতা, ২৩. রামখিলিকা, ২৪. রামগিরি, ২৫. রামধনু, ২৬.রামধনুক,২৭. রামধূন, ২৮. রামরাজ্যঘাড়বেঁকা এক গড় নাস্তিক জাতি।তাঁরা বলত, বলে, হাজি / পাজিমৌলভী না মেয়ে লোভী।মৌলভীর ঠেলাতে পাঁচ শালার জ্বালাতে/ দিনের মধ্যে ... উল্টে একবার/ আল্লাহো আকবর।এই জাতি সাম্প্রদায়িক হয়ে যাবে!!!বন্ধুরা আরো থাকলেও ... ...
আজ নাকি নারী দিবস ...আমাদের সময় ছিল না,আমাদের...সুবল কাকার বাড়ি ছিল , সাথে কাকিমার সাথে হেব্বি ঝগড়া ছিল । কাকিমার বাপের বাড়ি ছিল সেই বাঁকুড়ায় । পুরো তিনদিন …মাঝের দিন গুলো কাকার ঝুলে থাকা মুখ ছিল , তারপর সোজা বাসে বাঁকুড়ার লাল মাটি ।ফিরে আসার সময় কাকিমার মুখে খয়ের পানে লাল রঙ ছিল ,আর সুবল কাকার কালো গালে ,লজ্জায় বুঝি ।আমাদের নারী দিবস ছিল না ,আমাদেরইলিয়াসের নতুন বউ ছিল , আমাদের ভাবি ছিল , ইলিয়াসের গর্ব ছিল সুন্দরীর জন্য । আরআমাদের স্নেহ , লাচ্ছা , পায়েস , আর অপার বিস্ময় মাখান চিনচিনে বুক টনটন...জুম্মা নামাজের পর দুগালে টোল তোলা অন্য দিকের চোখে ... ...
মহাভারতের রচয়িতা বলে পরিচিত বেদব্যাস ওরফে শ্রীকৃষ্ণ দ্বৈপায়ন এর মা সত্যবতী জীবিকা অর্জনের জন্য পালক পিতার নির্দেশে জেলেনি ও নৌকায় মানুষ পারপার করতেন। এই সত্যবতীই রাজা শান্তনুকে বিয়ের আগেই শর্ত দিয়েছিলেন, আমার ছেলেই রাজা হবে।সত্যবতী কিন্তু তথাকথিত 'আর্য' কন্যা নন।শ্যামাঙ্গী। জেলেনি। স্বাধীনা নারী। একাই নৌকা পারাপার করতেন।এই নৌকা পারাপার করতে গিয়েই তার সঙ্গে ঋষির সাক্ষাৎ ও মিলন।এবং যোজনগন্ধা উপাধি লাভ।তাঁর মৃগনাভিন্ধেই মাতাল রাজা শান্তনুর তাঁকে বিয়ে করতে চাওয়া।'মহাভারতে' রাধা নাই।রাধা এসেছে আবেস্তা থেকে।রাধা মানে প্রেমিক।তার থেকে রাধা। 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে' আছে মেয়েরাও রোজগার করতেন। রাধারা সদলে নৌকা করে দূরে দুধ দই বেচতে যেতেন। ইউরোপ আমাদের মেয়েদের উপার্জন করা শেখায়নি। বাংলার মেয়েদের তৈরি ... ...
রঙ আমার যে রঙ ভালোলাগে, সেই রঙে কি তোমার খুব মন কেমন হয়? অথবা যে রঙ আমি ফেলে এসছি, সে রঙেই তোমার বিষন্নতা লুকানো আছে? পথ আমার এসব কথাই পথ জানে..বালক বয়েসে যে তিন আঙ্গুলের রঙ লাগিয়েছিল বসন্তের, সে এখন যুবা। ফেলে আসা রঙ এখন মুছে গেছে বালিকা যুবতীর গাল থেকে, বসন্ত সমীরণ তাই দৃশ্যমান এখন। লেডি বার্ড সাইকেল কোচিং এর শেষে মিশে যায়, মফস্বলে সন্ধ্যে হয় হয় যেন.. এসবই বয়স বেধে দেয়। নড়া হয়না, মন স্থির হয়ে থাকে কৈশোরে পড়া উপন্যাসে। কি নাম ছিল সেই বইয়ের ? ডিমাই সাইজে রাঙানো প্রচ্ছদ, রঙিন নরনারী মুখ। প্রথম যখন সে সব লেখা পড়ি, ... ...
দোল বনাম হোলি লড়াই চলছে।দেখি বাংলা সাহিত্যে কী সাক্ষ্য আছে দোলযাত্রা আদি প্রভুর সঙ্গেতে দেখিল।। কৃষ্ণদাস কবিরাজ, ১৫৮০।।নিরমিল দোলপিণ্ডি।। মুকুন্দ ১৬০০ ।। এখানে পিণ্ডি মানে পিঁড়ি বা মঞ্চ।। কত বা আমোদ হয় পূর্ণিমার দোলে।। ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ১৮৫৮।। বাদল-দিনে কত মেঘের গান, হোলির দিনে কত কাফি।। রবীন্দ্রনাথ ১৮৯৯। দোলন চাঁপার শাঁখে দোয়েলা শ্যামা ডাকে / আজি দোলপূর্ণিমা স্মরি।। নজরুল, ১৯৩৩ ... ...
টাকাপয়সা নিয়ে কথা বলা বড় আন - সেক্সী ব্যাপার। রেস্টুরেন্টের বিল মেটানোর সময় কার্ল আর ইয়ায়ার কথা কাটাকাটি, তখনই মেয়েটি তার প্রেমিককে এই কথা বলে। সে মডেলিং করে, কার্ল ও তাই কিন্তু ইয়ায়া তার তিন গুণ বেশি রোজগার করে। ইয়াইয়া তার ট্রফি ওয়াইফ হতে চায়, কার্ল তাকে ভালোবাসতে চায়। তাদের কথাবার্তায় অনিশ্চয়তা, পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাস হালকা ভাবে ঘাপটি মেরে থাকে। দ্বিতীয় পর্বে একটি প্রমোদতরী যাতে আছে বিশ্বের কিছু ধনকুবের, ফিলদি রিচ! রুশ ধনপতি যে বিষ্ঠার ব্যবসা করে, অর্থাৎ সার যা কৃষিতে লাগে। আর একজন গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্য ল্যান্ড মাইন তৈরি করে। আরেকজন টেক ব্যবসায়ী। রুশ বলে কম্যুনিস্ট হচ্ছে যে মার্কস ... ...
বিগত বেশকিছু বছর ধরে উন্নত প্রযুক্তিতে সেজে উঠছে ডাক বিভাগ। এই শতকের প্রথম দিক থেকে ডাক বিভাগে কম্পিউটার প্রবেশ করলেও বিভাগের সমস্ত ধরনের কাজকে যান্ত্রিক কাজে রূপান্তরিত করা ছিল ডাক বিভাগের কাছে এক প্রাচীরপ্রমাণ বাধা। বিভাগে উপলব্ধ মানব সম্পদ, কাজের ধরন এই অন্তরায়ের মূল কারণ। ভারতবর্ষের মধ্যে ডাক বিভাগই হলো একমাত্র বিভাগ যেখানে একদিকে রেজিস্ট্রি, পার্সেল, স্পিড পোস্ট, মনি অর্ডার ইত্যাদি বুক হয় এবং বিলি হয়, পাশাপাশি ব্যাঙ্কিং পরিষেবা ও বীমা পরিষেবার কাজ হয়। চিঠিপত্রের বুক হওয়া থেকে বিলি অব্দি প্রতিটি স্তরে হিসেব রাখা আবার টাকা জমা নেওয়া, গ্রাহকের একাউন্ট থেকে টাকা তোলা, নতুন কোনো ফিক্সড ডিপোজিট চালু করা থেকে ... ...
এই নিয়ে ১০ বার 'মেফিস্টো' দেখলাম। তিনটি কারণে এতবার দেখি। এক তো অভিনয় ও পরিচালনা। দুই, বক্তব্য। তিন, সময়ের কথা সরাসরি না বলেও ১৯২৩-থেকে ১৯৩৫ এর জার্মানি আর আজকের ভারতে তফাৎ নেই-- এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।ইহুদির বদলে মুসলিম আর খ্রিস্টান। অবশ্য দলিত ও আদিবাসিন্দাদের কথাও আসা উচিত। কিন্তু জার্মানিতে ছিল এন এস এস। নাৎসি সোসালিস্ট। এখানে আর এস এস। আর এস এস ১০০ বছরে বেশি বুদ্ধিমান।আদিবাসিন্দা ও দলিতদের তারা ধ্বংস করছে আদিবাসী ও দলিতদের কাউকে কাউকে নামে বড় পদ দিয়ে। একটার পর একটা আদিবাসিন্দা ও দলিত বিরোধী আইন আনছে, আদি বাসিন্দা ও দলিতদের জমি বেদখল হচ্ছে।উপাসনালয় ও উপাস্য ও উপাসনা পদ্ধতি ... ...
বেশ ক বছর পর এলো শিউলি... শেষ সেবার স্পাইসজেটের লাল পাখায় দীপ্তর এই “আই লাভ ইউ” সহসা উড়ে গেল, পিছুও দেখলনা...দীপ্তর হলুদ ডায়রিতে তখন শুকনো গোলাপ...পেস্তা রঙা পাঞ্জাবিটা আরো ফিকে...বিগত কত বইমেলায় তাই সে একাই পা দুলিয়ে গেছে ডটকমের টেবিলে...এর মাঝে কত রিনি-ঝিনি ! অথচ আওয়াজ তুলল না কেউই...শিউলি একবার বলেছিল, যোগাযোগটা ভার্চূয়াল হলেও সম্পর্ক রিয়েল করে নেব... সে আশায় দীপ্তর তিরিশ - বত্রিশ হু হু করে চলে গেল... কিন্তু সব গল্পের শেষ তো আর এক হয় না...দীপ্তর এখন একগাল দাড়ি, ভাবে কবি হতে এটুকুই যথেষ্ট...! শিউলিরও এমনটাই মনে হত...তাই ওর গোটা রাত জেগে লেখা পঙ্তিগুলোতে কখনও হাত বোলায়নি সে... যদিও এখন সেগুলির ... ...
আমাকে যে কয়েকটা শব্দ সবথেকে বেশি ভাবিয়েছে, তার মধ্যে ‘ঈশ্বর’ একটা শব্দ। যখন টিন এজ বয়সে ছিলাম, আমার, আর চার-পাঁচজন সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীর মতোই মনে হত, ঈশ্বরের অস্তিত্ব কেবলমাত্র অন্ধবিশ্বাসে। তারপর যখন পড়াশোনা আরেকটু এগোলো, বিজ্ঞানের হাত ধরে, যত এগোতে লাগলাম, দেখলাম, বিজ্ঞানের চোখে ঈশ্বরের কনসেপ্টটা একটু অন্যরকম। বিজ্ঞান ঈশ্বরকে স্বীকার করে না, অস্বীকারও করে না। যে ঈশ্বর দশহাত, কিম্বা দুইহাত, কিম্বা একটা বিমূর্ত আবহ নিয়ে ধর্ম ও দর্শনে প্রতিভাত হয়, বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণটা তার থেকে একটু অন্যরকম। আমি মূলত যে বইটা পড়ে উঠলাম, The God Equation, সেই বইটার কথা বলতে হলে, মূলত পদার্থবিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গী নিয়েই কথা বলব। সে বিষয়ে আসার আগে ... ...
ভেরুয়া রঙের জোকারের বুদ্ধির দোরে খিলচলচ্চিত্র সার্কাস নয় জীবনের দলিল; কুরোসাওয়ার বাণী, - মাণিক নাহি জানি! বিশ্বে থেকেও চন্দ্র সূর্য না দেখার সামিল।।
আমার সম্পাদিত ‘কালিমাটি’ পত্রিকার ১০৮তম সংখ্যাটি প্রকাশিত হয়েছিল বিগত ২০২২ সালে। এই সংখ্যার বিষয় ছিল ভন্ডামি । সঠিক জানা নেই, এর আগে এই বিষয়কে কেন্দ্র করে বাংলায় কোনো পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছিল কিনা! তবে বিষয়টি যে নিতান্তই প্রাচীন তাতে কোনো সন্দেহ নেই।অনুমান করা যেতে পারে, মানবসভ্যতার সূত্রপাতের সঙ্গে সঙ্গেই সভ্যতার পাশাপাশি অংকুরিত হয়েছিল ভন্ডামির ভাবনা। তারপর সভ্যতা বিকাশের ক্রমধারায় ভন্ডামিরও ক্রমবিকাশ ঘটেছে। এবং আজ এই একবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে পৌঁছে একথা বলা সম্ভবত অত্যুক্তি হবে না যে, বর্তমান মানবসভ্যতা এবং মানবজীবনে ভন্ডামি ছড়িয়ে ও জড়িয়ে আছে সংপৃক্তভাবে। ব্যতিক্রমী কিছু মানুষের কথা অবশ্যই শ্রদ্ধায় স্মরণে রাখা আমাদের কর্তব্য, নতুবা প্রায় প্রতিটি মানুষই এই ... ...
অণুগল্প বিমান কুমার মৈত্র কোকিলের বায়স বাসহারমোনিয়ামের গলা শুনলেই ব্যারাকপুর স্টেশনের টু-এ প্লাটফর্মের আনন্দী ভিখারিণীর কথা মনে পড়ে। তার একান্ত হারমোনিয়ামটি যে বাদামি ফিতেটি পরেছিল, সময় তার ওপর এক ময়লা, পিচ্ছিল মসৃণতা তৈরি করেছিল। আনন্দীর পাশে থাকতো তার মরদ, আরও এক জন্মান্ধ। মুখে গুটি বসন্তের দাগ, সামনে একটি পোড়ামাটির উল্টানো হাঁড়ি। হাতের তালুর সোহাগে সোহাগে তার পিঠের এক জায়গায় গাঢ় কালচে লাল বর্ণ হয়ে যায়। সবাই তাকে খগেন হাঁড়ি বলেই চিনতো। হারমোনিয়াম গাইতো আর হাঁড়ি তাল দিত। স্টেশনের টু-এ প্ল্যাটফর্মটি ব্যারাকপুর লোকালের জন্যই বরাদ্দ ছিল। শিয়ালদা থেকে আসা লোকালটি যাত্রী খালাস করে প্রায় কুড়ি মিনিট বিরতি দিত। সকাল বিকেল মিলিয়ে এই দশ বারোটি ... ...
হ্যাপীইজিগো, এদের সাইট আর অ্যাপ দুইই আছে। অনেকসময়ই অন্য সাইটের তুলনায় ৫০০- ৬০০ টাকা কমে টিকিট পাওয়া যায়। ২০১৯ থেকে আমি মাঝে মাঝেই কাটতাম। ২০২২এও কেটেছি, কোনও সমস্যা হয় নি। এমনকি একবার সকাল বিকেল গুলিয়ে রাত দুটোর টিকিট কেটে বসেছিলাম, সেও ওদের ফোন করে দিব্বি বদলে বিকেলের নিয়েছিলাম। গোলমাল হল ১৫ই নভেম্বর। পুণে থেকে বাগডোগরার টিকিট বুক করতে গেলে বার তিনেক পেমেন্ট ফেল হল। তখনই থামা উচিৎ ছিল কিন্তু ভাবলাম আরেকবার চেষ্টা করি। চতুর্থবারে পেমেন্ট দিব্বি গেল, ট্যাংট্যাং করে ৮৭৬৪/- টাকা কাটার ঘন্টিও বাজল ফোনে। কিন্তু টিকিট হল না। কি একটা এরর দেখিয়ে ভ্যানিশ হয়ে গেল। এত দ্রুত হল যে ... ...
আজকের দিনে মুহূর্তের মধ্যে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বার্তা পৌঁছে যায় অতি সহজেই। অতি উন্নত প্রেরণ ব্যবস্থার কারণে কোনো খবর থেকে যে কোনো ছবি বা ডকুমেন্ট যাইহোক না কেনো মুহূর্তের মধ্যে যে কোনো দূরত্বে পাঠানো আজ আমাদের কাছে শুধুমাত্র একটা ক্লিক বা মোবাইল ফোনে একটা আলতো টোকা। এখন আমরা বার্তা বলতে অনেককিছু বুঝলেও শুরুর সময়ে বার্তা বলতে চিঠি বা খবর বোঝাত। কিন্তু এই বিবর্তন তো একদিনে আসেনি। আমাদের মাথায় বার্তা প্রেরণের প্রয়োজনীয়তার কথা প্রথম আসে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের আমলে, ৩২১ থেকে ২৯৭ খ্রীষ্ট পূর্ব্বাদে। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য তাঁর বিরাট সাম্রাজ্যকে শাসন ব্যবস্থার সুবিধার জন্য কয়েকটি প্রদেশে বিভক্ত করেছিলেন। তিনিই প্রথম ... ...
বাসনা গাছের কাছে আমার এইটুকুই প্রার্থনা সে যেন ভেঙ্গে না পড়ে আমার মতো মানুষের আঘাতে।
এ নদীতে মরা ভাসে, ভেসে যায় মলআদার ব্যাপারী সব যাতায়াত করে; অগভীর পাঁকে ভরা কলুষিত জলমাছেরা উজানে গেলে জালে ধরা পড়ে।
সরলকান্তি বিশ্বাস একজন গোবেচারা মধ্যবিত্ত চাকুরিজীবী মাঝবয়সী বাঙালি ভদ্রলোক। কয়েক দিনের জন্য অফিসের এ্যাসোসিয়েশনের সমাবেশে যোগ দিতে কলকাতা থেকে মফস্বলে এসেছেন। জায়গাটা খুব জমজমাট। জ্যাম-জমাটও বটে। রিক্সা-সাইকেল ভ্যান, জলের বালতি-দুধের ক্যান, সবুজ সাথী-হলুদ স্কুটি, বোঝার ওপর শাকের আঁটি, নটেডাঁটা-বাঁধাকপি, তৃণমূল-বিজেপি, টাটা ম্যাজিক-ছোটহাতি, একেবারে যা তা। মফস্বলের রেলস্টেশন সংলগ্ন বাজার এলাকা যেরকম হয় আর কি। রাস্তার একধারে দাঁড়িয়ে ব্যাস্ত সকালের পরিবেশটা জরিপ করছিলেন। একটা উদ্দেশ্যও রয়েছে, ওষুধ কিনতে হবে। কিছুদিন আগে খুব পায়ের ব্যাথায় ভুগেছিলেন। কিছুতেই ব্যাথা না কমায় বাধ্য হয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হলেন। রক্ত পরীক্ষায় ধরা পড়ল ইউরিক এসিডের মাত্রা খুব বেশী। শুভানুধ্যায়ীদের পরামর্শে হোমিওপ্যাথিকে গেলেন, তাইতে নাকি রোগ নির্মূল হয়ে যাবে। হোমিওপ্যাথিক ওষুধে সরলবাবুর উপকার হচ্ছে বটে, কিন্তু ভুল করে ফেলেছেন ওষুধটা সঙ্গে ... ...
অনেকেরই হয়ত মনে আছে সেই আশির দশকে ড্রাগের নেশা ভারতের যুবসমাজকে প্রায় শেষ করে ফেলেছিল। নেশার বিরুদ্ধে সেসময়ে কেন্দ্র সরকার নানানভাবে বিভিন্ন সমাজ সচেতনতার প্রচারকে হাতিয়ার করেছিল। আশির দশকে যুবসমাজকে নেশার কবল থেকে মুক্ত করতে বলিউডি বেশ কিছু ফিল্মও তৈরি হয়েছিল। সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের যুবসমাজ সেই সময়ে নেশার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিতেছিল। এই কয়েকদিন আগেই বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় হয়ত অনেকেই দেখেছিলেন, বিভিন্ন স্কুলের সামনে ক্যান্ডি বিক্রেতার সাজে ড্রাগ লজেন্স বিক্রি করার চক্র জাল বিছিয়ে ছিল। পুলিশি তৎপরতায় সেই জাল বেশিদূর বিস্তার করার হয়ত সুযোগ পায়নি। ভাবা যায়? স্কুল পড়ুয়া বাচ্চাদের পর্য্যন্ত নেশার বেওসাদারদের হাত থেকে নিস্তার নেই! দুধের শিশুগুলোকে কিংবা ... ...