পরজীবী সাম্রাজ্যবাদ যত'ই তার মৃত্যুর দিকে এগিয়েছে তত তার নোংরা রুপগুলি ফুটে ফুটে বেরিয়ে এসেছে। এমন'ই এক তার ভয়ংকর নোংরা রূপ আজকের দিনে ভোগবাদ; যা আমাদের আত্মকেন্দ্রিক থেকে আর আত্মকেন্দ্রিকতর করে তুলছে। আজ আমাদের দেশে সাম্রাজ্যবাদীদের নয়াউদারবাদী অর্থনীতি -“গ্যাট” চুক্তি ও বিশ্বব্যাংক আইএমএফ সহ আরো বিভিন্ন সাম্রাজ্যবাদী সংস্থার ঋণের জাল, যেমন ভাবে পুরোপুরি স্তব্ধ করেছে দেশীয় পুঁজির বিকাশ। তেমনি বাড়িয়েছে সাম্রাজ্যবাদী শোষণ। আমাদের মন থেকে শরীরের সারা জায়গা জুড়ে সাম্রাজ্যবাদ তার জাল বিস্তার করেছে। আর আমাদের কে একই চক্করে ক্রমাগত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নাজেহাল করে দিচ্ছে। মস্তিস্ক থেকে শারীরিক শ্রম সব শুষে নিয়ে বারেবারে ফুলেফেঁপে উঠছে। আমরা সাম্রাজ্যবাদের খপ্পরে তিনটি লোহার শক্ত ... ...
শিরদাঁড়া একটি বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী অথচ পৃথিবীর কোনো চিড়িয়াখানাতেই তাকে সংরক্ষণ করা হয় না
আমি নিজের জন্য তোকে চাই আমারি জন্য তোকে ভালোবাসি ভালোবাসতে চাই নিজেকে চিনবো বলে এ পৃথিবী চাই নিজেকে দেখবো বলে সুখ চাই দুঃখ চাই ভালো চাই খারাপ ও চাই উড়তে চাই পড়তে চাই ভেঙে আবার গড়তে চাই আমার সব আবেশ আমি আকণ্ঠ পান করতে চাই তুচ্ছ জীবনের অতুচ্ছ গল্প স্বর্ণাক্ষরে লিখতে চাই আমি আমারই জন্য তোর সাথে চলি এই আমার সাধ 'আমি সবার মাঝে বাঁচি' || ... ...
তখন সবে স্কুলের বন্দী দশা কাটিয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছি। আর তাঁরও আবির্ভাব হলো তখনই। হ্যাঁ, এক জোড়া নীল হাওয়াই চপ্পলের সেই মানুষটাতেই চলছিল একতরফা মন কেমনের গল্প।এই লম্বা সে চেহারায়, জুতোর সাইজ পাক্কা নয়। ওপর তলার জানালা দিয়ে এমনটাই ভাবতাম। আমাদের চোখাচোখি হত খুব কম, শুধু পাশ কাটিয়ে সরে যাওয়া টের পেতাম। টের পেতাম, জানালার কাছ ঘেষে তাঁর নিশ্চুপে এগিয়ে যাওয়া।একটা মস্ত সুবিধা ছিল। সে বাড়িতে ঢুকতে তাকে পেরোতেই হত আমার জানালা। বুকের মধ্যে চলত তখন ভীতু চড়াইয়ের ছটফটানি। ও বাড়ির ছোট বড় অনুষ্ঠানে এ বাড়ির নিমন্ত্রণ থাকত। প্লেট হাতে আমি ও সে অনেকবার একসাথে হয়েছি। তবে কথা হয়নি...তারপর হুড়মুড়িয়ে ... ...
১আজো স্বপ্নে গো মাতারে করি পগাড় পারঅন্ডকোষে তো এখনো খেলে জোয়ার ভাটা;কেসটা গেলেও,গন্ধটা যেন সমঝোতারকয়লা ধুয়ে সফেদ করার করুণ প্রচেষ্টা।২পাড়ার সরকার বৌদি কিছুই খান নাসবই উনার ক্ষণজন্মা সন্তানেরা খায়;বলেন, -সন্তান না খেলেই মায়ের যন্ত্রনামায়ের তো হামি খেলেই পেট ভরে যায়!
"চারিদিকে মরচে ধরা লোহালক্কড় আর সিমেন্টের ফাঁকা পিপে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত। তারের তালগোল পাকানো কুন্ডলী, ভাঙা কলকব্জা, তার মধ্যে আবর্জনার স্তুপের ওপর ঘাসের রুগ্ন শীষ গজিয়েছে।" লাইনদুটোর মধ্যে কাব্যের ছোঁয়া পেতেই আমি নড়েচড়ে বসলাম। যারা 'গারিনের মারনরশ্মি' পড়েছেন, তারা জানেন আলেক্সেই নিকোলিওভিচ তলস্তয়ের মধ্যে যতটা মার্ক্সিজম আছে, কাব্যিক ব্যাপার স্যাপার তার ছিঁটেফোঁটাও নেই। যদিও একটা উপন্যাস দিয়ে একজন লেখককে যাচাই করা উচিৎ নয়, তবুও, একটা ধারণা তো করা যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে হঠাৎ করে এমন একটা কাব্যিক বাক্যের জন্যে সত্যিই আমি প্রস্তুত ছিলাম না। 'বিনিদ্র রাত্রি' নামক পর্বে এসে আবার চমকালাম। কি লাইন বেরিয়ে এসেছে ওনার হাত ধরে! তলস্তয় লিখছেন, "প্রেমের বিষ ... ...
কেগেল ব্যায়াম হল এক ধরনের পেলভিক ফ্লোর ব্যায়াম ও সেক্সে বৃদ্ধির ব্যায়াম। যা সাধারণত পেলভিক এলাকায় পেশী শক্তিশালী করতে ব্যবহৃত হয়। মহিলাদের প্রসবে সাহায্য করার উপায় হিসাবে কেগেল ব্যায়াম করা হয়েছিল। যাইহোক, কেগেল ব্যায়াম শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য নয়, এবং পুরুষরাও কেগেল ব্যায়াম করে উপকৃত হতে পারে।
এই শাশ্বত দিন /এই ডিজেলের সাথে মিশেযতদূর পুড়ে যেতে চায় যাক।রাজকীয় মেঘমাসে/ আদিম শৈশব ভেসে/মৃদুমোহনা ও বার্ষিক এঁটোকাঁটা ছড়াক;এই ক্ষুধাক্রান্ত দীর্ঘ চড়ুইভাতি/অনুবাদ করেছো গ্রীষ্ম?উৎসবকল্পে যেন ভেট দিতে পারিউল্লাসক্রোধলেখা।আমি হাত পাতি, মাথা পাতি/লিঙ্গধর্মকলারবোন পেতে থাকি শুয়ে,দেখি..ওঃ, এই তবে সেই সুপরিকল্পিতজমজমাটকারাগার!
মহাবিজ্ঞানীর জন্ম দিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি: তোমার সাথে বসবো ইসাবেলামুহুর্তে ই কাটবে আমার বেলা; প্রতি মুহুর্তে জীবন মরণ খেলাশরীরে যদি কর্কট রোগ জ্বালা!
উলোটপূরাণ মৌসুমী ঘোষ দাস ডাইনিংএ পা রেখেই নাকটা কুঁচকে গেল কাকলির! আজও কিছু পুড়ছে রান্নাঘরে! ছুটে গিয়ে গ্যাসটা অফ করে। ততক্ষণে বাটির সব জল শুকিয়ে ডিমদুটোর তলা ধরে গেছে। বহুবার অনন্যাকে বলেছে, ‘আমাকে বলো, আমি না হয় কিছু রেঁধে দেবো’। ওর তর সয় না! নাকি অবজ্ঞা করে- বোঝে না কাকলি। তা নিজেই যখন করবে, তো সেই সময়টুকু নাহয় রান্নাঘরেই থাকো। খাবার গ্যাসে বসিয়ে দোতলায় নিজের ঘরে গিয়ে বসে থাকা- এ আবার কি স্বভাব? খাবার এবং গ্যাস- দুটোই তো নষ্ট হয়! গায়ে লাগেনা? সিঁড়ি ভেঙ্গে গেল অনন্যার ঘরে। মগ্ন হয়ে ফোনে কার সাথে যেন কথা বলছে। ফোনে এত আস্তে কথা বলে, যে পাশে ... ...
জঁ-র ব্যাপারটা আমার কোনকালেই পছন্দের ছিল না। এইভাবে সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্মে ভেঙেচুরে ‘ট্যাগ’ করাটা শপিং মলে কিম্বা ওষুধের দোকানেই শোভা পায়। সেখানকার যারা কর্মচারী তাদের সহজ হয় বিক্রীবাট্টার ক্ষেত্রে। তেমনই জঁ-র ব্যাপারটা স্কলার বা রিসার্চারদের ক্ষেত্রে ঠিকঠাক মনে হলেও পাঠক মহলে এটা বর্জনীয় হলে আত্মিক দৃষ্টি সুদূরপ্রসারিত হয়। নাহলে যে সমস্ত পাঠক শুধু ‘গোয়েন্দা’ কিম্বা ‘তন্ত্র’ ইত্যাদি (উদাহরণস্বরূপ) নিয়েই শুধু থাকতে চাইছেন, তাদের অবস্থা খানিকটা একদৃষ্টি হরিণের মতো হয়ে যায়। লাভের লাভ খুব একটা কিছু হয় না। যারা নিজেদেরকে জঁ-র-এর জটাজালের থেকে বাইরে নিয়ে আসতে চান তাদের লাভ বেশি। এর একটা বড়ো উদাহরণ ‘গারিনের মারনরশ্মি’ নামক উপন্যাসটি। ... ...
ছোটবেলা থেকেই আমাদের মনে স্বর্গ - নরক, পাপ - পূণ্য ইত্যাদির সম্পর্কে ধারণা তৈরী করে দেওয়া হয়। বাড়ীই হোক বা সমাজ কিংবা স্কুল, সর্বত্রই সরাসরি অথবা ঘুরপথে শিশুমনে গেঁথে দেওয়া হয় এই ধারণাগুলো। শিক্ষিত - অশিক্ষিত, ধনী - দরিদ্র সকলের মনেই ছোটবেলা থেকে এই অলৌকিক এবং বিমূর্ত ধারণাগুলো তৈরী হয়ে যায় সমাজের কারণেই। পরবর্তীতে খুব কম মানুষ এই ধারণাগুলো থেকে বেড়িয়ে আসতে পারে। কিন্তু যে অসংখ্য মানুষ লৌকিক জগতে ফিরতে পারে না বা বিচরণ করতে পারে না, রক্তের তেজ কমতে শুরু করলে এই বিমূর্ত ধারণাগুলো আরও শাখা প্রশাখা বিস্তার করতে শুরু করে তাদের মানসিক স্তরে। শিশুমনে যে বীজ পুঁতে দেওয়া ... ...
আমার ৪৫ বছর বয়স লেগেছে, রামশরণ শর্মা পড়ে জানতে, 'ভারত' নামটা এসেছে ভরত নামে এক জনজাতির নাম থেকে। ভরত নামে কোনো রাজার নাম থেকে নয়।এটা এখন ষষ্ঠ শ্রেণির বইই শেখায়।অঙ্ক শেখানোর পদ্ধতি বেশ আধুনিক।বর্তমান বাংলা বোর্ডের পাঠক্রম যথেষ্ট আধুনিক।যদিও ইতিহাসকে আরেকটু আকর্ষণীয় করা দরকার। বড্ড বেশি গুঁজে দেওয়া তথ্য।অতিথি শব্দের সংস্কৃত 'গোঘ্ন' এটা জেনেছি ৩০ বছর বয়সে কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রদীপ মজুমদারের সঙ্গে আলোচনায়। 'গোঘ্ন' মানে গো হনন করা হয় যার জন্য। অর্থাৎ তথাকথিত আর্য সমাজে গোরু খাওয়া ছিল।এইগুলো ইতিহাস বইয়ে লিখলে তো গোসন্ত্রাসীদের কাজ কঠিন হয়ে যেত।শিবাজির মন্ত্রী গোলন্দাজ বাহিনীর প্রধান যে 'মুসলিম' তাঁদের নামাজ পড়ার জন্য মসজিদ নির্মাণ ... ...
তেত্রিশ বছর কাটলো,একই ছাদের নীচে কেউ কথা রাখিনি কোকিল সেদিনও ডেকেছিল, আজও ডাকেআমরা কেউ কাউকে ডাকি নি। গুনে গুনে তেত্রিশ বার ফাগুন বাসায় এসেছেআর প্রত্যেক বার সেই একই সুরে গুন গুন করেছে-"একটুকু ছোঁয়া লাগে, একটুকু কথা শুনি... কেউ কাউকে একটুও শুনিনি। ঋতুরাজ তাই গাইছে দীপক রাগে;কন্ঠে যেন তানসেনবাবুই পাখির ভালো-বাসা তো আনত -মেঘমল্লারে ভেজেন আর দীপক রাগে জ্বলেনতেত্রিশ বছর কেটে গেলো, জানো তো!? ... ...
ভেনেজুয়েলার বামপন্থী হুগো সাভেজ সরকার যখন সুবিধাবঞ্চিতদের পক্ষ নিয়ে একটার একটা প্রকল্প নিচ্ছিল তখন টিভি বয়কট করে সেসব খবর। হুগো সাভেজ সরকারি সভার বক্তব্য প্রচার বাধ্যতামূলক করলে পশ্চিমি বিনিয়োগের ঠাকুর্দার পরামর্শে, সরকারি সভার আগেই রান্নার অনুষ্ঠান দিয়ে দেয়। তারপর সভা দেখাতো আর একটু ব্রেকে আবার রান্নাঘর। মেয়েরা বিরক্ত হয়ে উঠতেন। বিদেশি রান্নার মতো মুচমুচে কুড়মুড়ে বিষয় থাকতে গরিবদের নিয়ে প্যানপ্যানানি!ম্যাগো।মধ্যবিত্ত উচ্চ মধ্যবিত্ত হতে চায়।উচ্চমধ্যবিত্ত ধনী।ধনী অতি ধনী।করে ফাঁকি দেয়।তাই নেতা মন্ত্রীদের ঘুষ দেয়।আর অতি অতি অতি অতি ধনীরা সরকারকেই কিনে নেয়।কিনে নেয় টিভি চ্যানেল, খবরের কাগজ, সাংবাদিক, অনলাইন মাধ্যম।আমরা নিজেদের মধ্যে লড়ে যাই আর একটু একটু চোরপোরেট এজেন্ট হয়ে যাই ... ...
আহমেদাবাদ টেস্ট ক্রিকেটে খেলছেন মহম্মদ শামি। এখানেই খেলা দেখতে গিয়েছিলেন দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। তারপর? মহম্মদ শামি বল করতে গেলেই কিছু লোক চিৎকার করছে -- জয় শ্রীরাম জয় শ্রীরাম। 'রাম রাম' বাবু বা 'জয় সিয়ারাম' ছিল ধর্মীয় সম্ভাষণ।জয় শ্রীরাম একটি যুদ্ধোন্মাদী বিদ্বেষমূলক সামরিক হুঙ্কার। আমরা শিখেছি, যিনি রাম তিনিই রহিম। এটাই হচ্ছে ভারতীয়ত্ব। এটাই হচ্ছে, প্রাণবিকতা। এটাই সহিষ্ণুতা। জয় শ্রীরাম -- সহিষ্ণুতা নয় সহিংসতা। জয় শ্রীরাম-- ধর্ম নয় অপধর্মীয় রাজনৈতিক সামরিক হুঙ্কার। এ সামরিক বুট পরা রণধ্বনি।ক্রিকেট খেলার মাঠকেও ছাড়ছে না। ... ...