(অফিস সিরিজ - ৩) রিপ্পা রিপ্পা রি রাপা রিপ্পা রি../বত্রিশ ইঞ্চি চানাচুর বিজ্ঞাপনের নীচে গড়গড়িয়ে যাচ্ছিলো দুর্নীতির গাড়ি।আমি খুব সম্ভবত.. ছানি কাটা চশমার ভেতরে দুটো চোখ, জমা রেখে চলে যাবো, বেঁচে থাকবে এল সি ডি।ওতে ভরা থাকবে দুর্নীতির ক্ষতিয়ান, আটটার বিতর্ক আর সুগন্ধি সাবান। হাত ধুয়ে ফিরে এলে ফের নতুন করে আবর্জনা স্নান। ওঠো ওঠো টোটোওয়ালা ওঠো, সাধ্যসওয়াল নিয়ে মাতাবো ... ...
বিদ্যুৎ বেগে নেমে এসেছে গুনমান দশক আগেও তো দশের কাছাকাছি আজকে প্রায় শতকের অপমান সাইকোফ্যান্ট খেলছে কানামাছি। তিলোত্তমায় বদ্ধজীবিরা নিদ্রামগ্ন ফকিরের নেই নোবেল, চাই প্রতীচী প্রতিহিংসার আগুন হিংস্র নগ্ন অশীতিপর বৃদ্ধই হোক দধীচি!!
ধুনো পড়া কি? ধুনো শব্দের বাংলা অর্থ গন্ধদ্রব্যবিশেষ যা শালগাছের নির্যাস। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সমকালীন, জনপ্রিয় বনেদি বাড়ির পুজো জলেশ্বরীর পুজো প্রসঙ্গ এলেই ‘ধুনো পোড়া’-র কথা আসে যায়। এই পুজোর ঐতিহ্যে এক বিশেষ আকর্ষণ ‘ধুনো পোড়া’। ভক্তরা দেবীর কাছে মানত করেন ধুনো দেওয়ার, আর মানত পূরণ হলে দেবীকে ধুনো অর্পণ করেন। কৃষ্ণনগরের মালোপাড়ার মা জলেশ্বরীর পূজাতে এই বিশেষ রীতি ... ...
"Historical understanding is what I am after, not agreement, approval, or sympathy." — Eric Hobsbawm (1917-2012), Historian Extraordinaire ২০২২ সালের মে ৫ থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল ২২ পর্যন্ত আমার সময়রেখা ব্লগটি পরিদর্শন করেছেন ২২৯৯ জন। পোস্ট সংখ্যা ৭৪, ভিউ হয়েছে ৭০৪৬ বার। এসময় ব্লগের গ্রাহক হয়েছেন মোট ২৪ জন। ব্লগ পোস্টগুলো শুরু থেকেই দেশ অনুযায়ী ছিল। পোস্টগুলোকে পরবর্তীকালে আমি মহাদেশ অনুযায়ী ক্যাটেগরাইজ করেছি। অ্যান্টার্কটিকায় স্থায়ী মানববসতি নেই, ওটা বাদে ছয়টা। তো, দেখলাম যে, অধিকাংশই এশিয়া আর ইওরোপের। আফ্রিকা, ওশেনিয়া, দুই আমেরিকা সামান্যই গুরুত্ব পেয়েছে। এটা একটা খামতি। সামনে এটা পূরণ করার চেষ্টা করা হবে। সময়রেখার পেছনের মানুষটি তরুণ জৈবপ্রযুক্তিবিদ খোরোশকোভা লিলিয়া, যিনি ২০২০ সালের ৩ জুন মাত্র ... ...
তীব্র দহনে গা, হাত, পা যখন চিরবির করছে সূর্যের প্রখর তাপ মাথায় নিয়ে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার উদ্দেশ্যে অটোয় উঠে বসলাম। কতক্ষনে তা ভরবে জানি না। ছ জনের গুনতি শেষ হলে তবে ড্রাইভার অটোর চাবি ঘোরাবে। একজন দুজন সবে এসেছে। সকলেরই গলদঘর্ম
মুহুর্তরাই আসল। এক একটা মুহুর্ত প্রজাপতির জাল দিয়ে ধরতে পারলেই রঙিন হয়ে উঠবে তারা। সেগুলোই জুড়ে জুড়ে একদিন স্মৃতিরাই হয়ে যাবে জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম। এই ছিল সত্যি, ভেলকিবাজিতে তাই হয়ে গেল চরম মিথ্যা, ডাহা ছেলেখেলা। সত্যর চাদর গায়ে দিয়ে মিথ্যে কখন সব কিছুর ওপর থেকে বিশ্বাসকে শুষে নিয়ে চলে যাবে ধরা যাবে না। তাই একটা ঘটনা, সুন্দর ঘটনা ... ...
(এই প্রতিবেদনটি আমি লিখেছিলাম ২০১৮ সালে ‘কালিমাটি অনলাইন’ ব্লগজিনের ৫২তম সংখ্যার সম্পাদকীয়তে। আজ অনেকদিন পরে লেখাটি পড়ে মনে হলো, এই সংক্ষিপ্ত আলোচনাটি আজও সমান প্রাসঙ্গিক। আর তাই আমার ‘গুরুচন্ডা৯’র বন্ধুদের পড়ার জন্য পুনঃপ্রকাশ করলাম।)সদ্য প্রয়াত কবি বিকাশকুমার সরকারের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ পরিচয়ের কোনো সুযোগ অতীতে হয়নি। আর তাঁর অকাল প্রয়াণের দরুণ ভবিষ্যতেও সেই সম্ভাবনা থাকল না। তবে তিনি আমার বন্ধু ছিলেন, কেননা তিনি কবিতা লিখতেন ... ...
কেটে গাছ পাগলা নাচ! লাগছে গরম? নেই তো শরম! মরছি, মরি উন্নয়ন করি! ব্রিজ বানাই পুকুর বোঁজাই! তাপ বাড়ছে বরফ গলছে! বোমা ফাটাই
*হড়পা খরা* হড়পা বানের কথা কমবেশি আমরা সকলেই শুনেছি, পড়েছি এবং খবরে দেখেছি। তবে হড়পা খরা? একটু অন্যরকম ঠেকছে শব্দদুটো তাইতো! ন্যশনাল ওসেনিক এন্ড আ্যটমোস্ফেরিক আ্যডমিনিস্ট্রেশনের গবেষনা জানাচ্ছে যে বিগত ২০ বছরে ভারতীয় উপমহাদেশ, সাব- সাহারা এবং দক্ষিণ পুর্ব এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে
*জুস মিশন* অতি সম্প্রতি ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি "জুস মিশন" লঞ্চ করেছে! জুস শব্দটির পুর্নাঙ্গ অর্থ হলো জুপিটার আইসি মুন্স এক্সপ্লোলার মিশন! ২০৩১ সালে এই স্পেসশিপ-টি জুপিটার অর্থাৎ বৃহস্পতি গ্রহের কাছে পৌঁছে যাবে এবং সেখানে বৃহস্পতির পাশাপাশি সম্ভাব্য প্রাণের খোঁজে গ্যনিমিড, ক্যলিস্টো এবং ইউরোপা
- মরিয়া প্রমাণ করিল সে মরে নাই... মুঠোফোন মর্গেতে কাটাছেঁড়া হচ্ছে;একে একে নিভিছে দেউটি; চাঁদা চাই-পালাবার পথ নাই, যম আছে পিছে।হায়রে জীবন; কৃষ্ণের বাঁশি কাঁদেচাঁদা না পাঠালে মুকুট হারাবে কালী'সই ভাল করে বিনোদ বেণী বাঁধিয়া দে... ওরে,কিচ্ছুটি জানেনা যে ওয়াজেদ আলি!!
স্কুলের ঘটনা। আমাদের ক্লাশে একটি ছেলে ছিল।হাবেভাবে অবিকল টেনিদা। এর ওর ঝেড়ে তেমন না খেলেও ব্রহ্মতালু লক্ষ্য করে যখন তখন চাঁটি মারা তার কাছে জলভাত। খুব কমই তাকে লক্ষ্যভ্রষ্ট হতে দেখেছি। তার আরেক স্বভাব হল ছেলে পিলের স্বভাব চরিত্রের সাথে মানানসই একটা নাম দেওয়া। তো এমনি ভাবেই একটি ছেলে র নাম সে দিল "ডিম"। তার অপরাধ প্রতিদিন টিফিনে সে অবধারিতভাবে ডিম নিয়ে আসবেই। তো সেই নিক নামে কেউ কেউ ছেলে টিকে ডাকতো। বলাবাহুল্য ছেলেটি যারপরনাই খচে বেগুনি হয়ে যেত। তো একদিন ক্লাসে কিছু ছেলে ডিম ডিম করে ছেলেটিকে রাগাচ্ছে, এমন সময় স্যারের প্রবেশ। ছেলেটির প্রতি মমতাবশত: স্যার ছেলে দের বললেন.." ... ...
“কালি, কলম, মন / লেখে তিনজন” …….. এই তিনজনের মধ্যে প্রথম দুজনের প্রভাব প্রতিপত্তি ক্রমশঃ পড়তির দিকে। মন এখন অনেকটাই কী বোর্ড নির্ভর, বিশেষ করে লেখালেখির জগতের সাথে যুক্ত মানুষজনদের, যাদের কাছে এখন পেনের থেকে অনেক কাছের মানুষ তাদের ল্যাপটপখানি। আমরা কেউই এর ব্যতিক্রম নই। ছাত্র ছাত্রীদের হাতে হাতে, লেখো এবং ফেলে দাও পেনের ছড়াছড়ি, রিফিল করা বা কালি ভরার ঝামেলা ... ...
""বিমল মিত্রের শ্রেষ্ঠ গল্প /মিত্র ঘোষ/ 70 টাকা"কাল থেকে এক নি:শ্বাসে এই বইটাপড়ছি। এক সে বড়কর এক।যেমন ধরুন "লজ্জাহর" গল্প টি। রমাপতি কে ছেলেবেলায় একবার তার বন্ধু রা ধুতি খুলে দিয়েছিল । সেই থেকে সে যেকোন লোক দেখলেই এড়িয়ে চলে। এমনকী বাড়িতে ডালে নুন কম হলে বা জল দিতে ভুলে গেলে সে মুখ ফুটে চায় না। তার বাড়ির নাপিত যখন বলে দাবাবু এবার দাড়ি কাটতে শুরু করুন। আর কতদিন এইভাবে। উত্তরে রমাপতি বলে যা সে ভারী লজ্জার ব্যাপার হবে। লোকে কী ভাববে? তার থেকে নয় গরমের ছুটির সময় কেটে দিস। এহেন রমাপতির জন্যে একদিন পাত্রী দেখা শুরু হয় কিন্তু সব ... ...
গ্রাম বাংলায় শিবের ভক্তদেরা চৈত্র মাসের শেষ সপ্তাহ জুড়ে সন্ন্যাস নেন এবং চৈত্র সংক্রান্তিতে চড়ক পূজার সঙ্গে গাজন উৎসবের সমাপ্তি হয়। গাজনের ভক্তরা বা সন্ন্যাসীরা নিজেদের শরীরকে বিভিন্ন উপায়ে যন্ত্রণা দিয়ে কৃচ্ছসাধনের মধ্যে দিয়ে ইষ্টদেবতাকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেন। গাজনের সময় শোভাযাত্রা করে দেবতার মন্দিরে যান। বাংলায় তিনটি গাজন চালু আছে। শিবের গাজনে দু'জন প্রধান সন্ন্যাসী শিব ও পার্বতী সেজে আর অন্যান্যরা নন্দী, ভৃঙ্গী, ভূতপ্রেত, দৈত্যদানব প্রভৃতির সং সেজে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। এই শোভাযাত্রায় শিবের নানা লৌকিক ছড়া আবৃত্তি ও গান করা ... ...
বাৎসরিক সনেটে শালিক ঝড়,কলতলাতে ক্র্যাশ হয়েছে এরোপ্লেন।ভিনদেশি প্রেমিক নিয়ে সাথে,গাঁটছড়ায় হৃদস্পন্দন বিলোচ্ছেন,বৈশাখী বধূ ও তার গ্রেগোরিয়ান বর।বাঙালি বলে, অনাচার।একতিরিশের চৈত্র রাতে,প্রেম বয়েছে হালখাতাতে,সিঁদুর মেখে সকাল হলো পার,আজ পয়লাবার।ঝগড়া মেটাও স্বস্তিচিহ্নতোমরা ভিনজাত, মিডিয়ামটাও ভিন্নক্রেজে যদিও গ্রেগোরি ইনমাদার টাঙ্গে আদরবাসা, রবি ঠাকুরে পুন্য।
বাচ্চারা অল্প বড় হতেই যখন বুলি ফুটতে শুরু করে মা বাবারা একভাবে তাকিয়ে শুনতে চায় ওর প্রথম বলা শব্দটা...কোন কোন বাচ্চা শুরুতেই কাঁদতে কাঁদতে ‘মা’ বলে ফেলে...কেউ আম্মা...তবে কঙ্কাবতীর ছেলে চেঁচিয়ে উঠল ‘খানসামা’ বলে...!অল্প পড়াশুনা জানা কঙ্কাবতী প্রথমে ওটার মানে বোঝেনি, তবে কানে শব্দটা বার কয়েক গেলে জিজ্ঞেস করেই বসল হাবুলকে...ছেলে এসব কী বলে গো...খানসামা...?এ কোন ভাষা? হাবুলও ধমক দেয়। ও সব তোমার ধারা পাবে ... ...
জলপানি। আজো বৈশাখে ১লা ই চলে অভাগামেঘের পানি না মেঘের জল;অপ্রসন্ন এক তরজা। তাপদাহে পোড়ে সারা বাঙলার গা-তবুও লড়াই ; বন্ধ রয়েছে 'জলপানি' টার দরজা। চৈত্র-সেল। উ ৎস মুখ টা আজকাল বড় পূতিগন্ধময়ত মাজুর তো কবেই হারিয়েছে লাবণ্যত ড়িঘড়ি করে তমা কে দিবা বলার সাধ হলো-র জনীগন্ধার পাশে থাকলেই
..