ডাব্লুবিসিএস পরীক্ষায় বাংলা বাধ্যতামূলক হবার পরই চারদিকে শোনা যাচ্ছে, এতে নাকি প্রচুর অসুবিধে। কথাটা ঠিকই, যাঁরা বাংলা বলতে, লিখতে, পড়তে পারেননা, এতে তাঁদের চাকরি পেতে খুবই অসুবিধে হবে। কিন্তু সমস্যা হল, তাঁরা বাংলা না জানলে আবার জনতার অসুবিধে। এ তো ইংরেজ আমল না, যে, বিলেত গিয়ে খ্যাটখ্যাটে ইংরিজিতে পরীক্ষা দিলেই কেল্লা ফতে ... ...
একদিন মাটির ভিতর বাস হবে, এ মানব সংসার ত্যাগ করে মাটির জগতে যেতে হবে। ও মন থাকবে পড়ে নিজের বাড়িথাকতে হবে মাটির ভিতর রে- যাবে না অর্থ খ্যাতি যশ মান এ দেহের সাথে। ও মনধরবে যখন দেহে
যখন আমি আর থাকব না তোমাদের মাঝে,তখন আমার নাম কি আর মনে রাখবে? আর কি আমায় নিয়ে করবে আলোচনা তোমাদের ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে? বিদায় নিলেও চাঁদ- লোকে ভোলে না তবু তার জোছনা। বাসি হলেও নিজ সৌরভ ধরে রাখে ফুল, হোক না তা হালকা
গত কয়েক দশক ধরে কেন্দ্রীয় ভাবে এবং একাধিক রাজ্য স্তরে গেরুয়া প্রভাব ও শাসনের বিস্তারের ফলে হিন্দুত্ববাদ তথা হিন্দু ধর্মের ক্রমশ প্রকট আগ্রাসী রূপ সম্পর্কে বিচার বিশ্লেষণ করা সমাজ কর্মী ও ভাবুকদের তরফে এই মুহূর্তের এক আদর্শগত দায় হয়ে পড়েছে। সাধারণভাবে আমরা হিন্দুধর্ম বলতে যা বুঝি এবং দেখি—ধর্ম সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক যুক্তিবাদী তর্ক আপাতত পাশে সরিয়ে রেখে বলছি—তার মধ্যে ... ...
আজি দক্ষিণ দুয়ারে তালামুদ্রা শো, পেশি শো, রোড শোতবু 'হুল ফোটানোর জ্বালা -ভোলার,দাবাই বলে দিল 'জো'।
এরপর আশুরা অন্য শহরে চলে এল, যেটা কিনা কলকাতার বেশ কাছাকাছি। এই সময় হটাৎই তাঁর বাবা মেয়ে ও ছেলের ভবিষ্যত নিয়ে বিশেষ ভাবে চিন্তিত হয়ে পড়েন। ঠিক করেন দুজনকেই হোস্টেলে রেখে পড়াশুনা করাবেন সেই মতো দুজনেই চলে গেল দুটি হোস্টেলে। সেখানে আশু শুরুটা খারাপ করলেও,ধীরে ধীরে পড়াশুনায় মনোযোগী
আকাশে মেঘেরাই প্রকৃত সুখী। আসলে ওরা অলস কোনো কাজ করে না। সারা দিন রাত ধরে শুধু ভেসে বেড়ায়ওদের কোনো ভাবনা নেই চিন্তা নেই। পৃথিবীর লক্ষ কোটি জীবের কোনো খোঁজখবর রাখে না,কে মরল কে বাঁচল এসবও না। নিজের খেয়ালেই এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে
তোমার মধ্যে আমি আটকে গেছিএকেবারেই আটকে গেছি।কিছুতেই বেরোতে পারছি নাশতচেষ্টা করেও নয়।আসলে আজ তোমার ফটোটার সামনে দাঁড়িয়েশুধু ভাবছি পুরনো দিনের কথা।সেই ফেলে আসা দিনের স্মৃতিগুলোমনকে নাড়িয়ে দিচ্ছে।তোমার আর আমার কত কথা,কত ভালোবাসার ছবি দেখতে পাচ্ছি।কিন্তু এ দেখার পিছনে আরও যেন কিছু দেখতে পাচ্ছিঠিক বুঝতে পারছি নাখুব আবছা লাগছে।তুমি কী জাদু জানো বলো তো?আমায় ছাড়ো এবার।আর আটকে রাখলে হবে?না: তুমি দেখছি ছাড়বেই না-একেবারে সঙ্গে করেই রেখে দেবে।এই যে কী করছ কী?তোমার হাতে ছুড়ি!কেন কী করবে এটা দিয়ে?পাগল নাকি তুমি?মাথা খারাপ হয়ে গেল তোমার?আরে.... আমার গলায় বসাচ্ছ কেন ওটা?আ......আ......।হঠাৎ ঘুমটা ভেঙে গেল।শুনলাম বড়ো দেওয়াল ঘড়িটায় দুটো বাজল।ধড়মড়িয়ে উঠে বসলাম বিছানায়।সারা শরীর ঘেমে একাকার,যদিও মাথার ... ...
মহাকাশে মেঘেরাই প্রকৃত সুখী। আসলে ওরা অলস কোনো কাজ করে না। সারা দিন রাত ধরে শুধু ভেসে বেড়ায়ওদের কোনো ভাবনা নেই চিন্তা নেই। পৃথিবীর লক্ষ কোটি জীবের কোনো খোঁজখবর রাখে না, কে মরল কে বাঁচল এসবও না। নিজের খেয়ালেই এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পাড়ি জমায়-বারণ করার কেউ
দুঃখ আছে বলেই তো সুখের আশায় থাকি, কৃষ্ণকে পাবো না জেনেও তো কৃষ্ণের নাম জপি। মাঝ সাগরে হারিয়ে গিয়েই তো কূলের আশায় থাকি, পাবোনা কোনো উত্তর জেনেও তো আকাশকে চিঠি লিখি
রাশিচক্রে কার কখন রাহু হয়, কার কখন কেতু, বলা মুশকিল। কিছুদিন আগে পাঁচ সংখ্যাটার শনির দশা যাচ্ছিল। তখন পাঁচশ(নি) টাকার সব নোটের রঙ কালো হয়ে যাওয়ায় বাতিল করতে হয়েছিল। সেই সময় তুঙ্গে বৃহস্পতি ছিল দুই এর। পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দু-হাজারের নোটে বসছিল হাইফাই মাইক্রোচিপ। এমনকি কোনো কোনো নোট তো স্যাটেলাইটের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারত। শ্রীফেকুর পরামর্শে সেই সময় পাঁচকে পলা ধারণ করানো ... ...
শাহরিয়ার চলে যাবার পর লাহোরের কেল্লায় নিজেও ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন জাহাঙ্গীর। পথে চলমান তাঁবু থামল বাহরামগল্লা বলে এক অপূর্ব জায়গায়। কাছেই এক জলপ্রপাত যার সফেন জল ধোঁয়ার মতো ওড়ে আর সকালে, দিনে, রাতে নানান রূপ বদলায়। রামধনুও দেখা যেতে পারে। সে নানান রঙ আর তার কল্পনা কি চাঙ্গা করছে শাহেনশাহের দিল? না হলে তিনি কেন সুস্থ বোধ করবেন যাবেন ... ...
আমি তোমাকে সর্বত্র খুঁজেছি।গোটা বিশ্ব স্বর্গ পাতাল মহাকাশ সূর্য চন্দ্র এমনকি লক্ষ কোটি তারাতেও-কিন্তু কোথাও পাইনি।কোথাও তুমি নেই।তোমার কি মৃত্যু হয়েছে নাকি তুমি নতুন করে জন্মগ্ৰহণ করবে?এসবের কোনো খবর নেই আমার কাছে।আসলে আমার নাম 'সময়'।এই বিশ্ব ব্রম্ভান্ড যখন সৃষ্টি হল তখন আমারও যাত্রা শুরু হল
ভরসা একজোড়া বুলবুলি পাখি 'বেসিকের' লিচু গাছে বাসা বেঁধেছে। কখনও কখনও, খুুব ভালো করে সুবিশাল পৃথিবীতে ;তাদের সামান্য সংসার প্রত্যক্ষ করি। বিকেলের ঝর দেখতে দেখতে মনে হতে থাকে- পাখিরা সব ডালে বাসা বাঁধে না। যে ডাল ভরসার যোগ্য, তাতেই তাদের সংসারের আশ্রয়। ~। শুভঙ্কর বৃক্ষ
আমার পরিবেশন করা:-আগে তো কথায় কথায় কেটারার ডাকার ব্যবস্থা ছিল না।অভিজ্ঞ আত্মীয় স্বজন আর পাড়ার ছেলেপিলে রাই সব কাজকর্ম তুলে দিত।আমরা ছোটরা দায়িত্ব পেতাম। কলাপাতা বিছানোর। জল, তখন মাটির খুড়িতে। লেবু আর নুন। মাটির খুড়ি গুলোর রান টাইম টেস্টিং হত, একেবারে জল দেবার সময়। অবধারিতভাবে দু তিনটে ফুটো হতো আর পাতা তার নীচে পাতা সাদা কাগজের সীট ভিজিয়ে টিজিয়ে দিয়ে কেলেংকারী ... ...
নয় নয় করে ন'বছর হলো পারআর নয় এই ধর্মের কারবার; শূন্য ভাঁড়ার দুটো খোঁয়ার পশুদের শুধু চিৎকার
আহা! আমার বুকের ভিতর সেই হীরেমন পাখি, আমি তাকে শেকলে, খাঁচায় বেঁধে রাখি, বলি, তুই বলিস না বোকার মতন অনর্গল, অবান্তর কথা, তুই ছুটে ছুটে যাস না মিছে, অকাজের অবাক
কল্পনা করুন এক গবেষকের কথা যিনি একটা ম্যাপ নিয়ে বসে আছেন। দেখছেন দক্ষিণ এশিয়ায় মুসলিম জনসংখ্যার বিন্যাসের প্যাটার্ন। তাঁর তথ্যভিত্তি হল ১৮৮১ সালের বৃটিশ ভারতের সেন্সাস। এই সেন্সাসটাকে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মনে করেন ইতিহাসকাররা। আশ্চর্যজনক ভাবে দেখা যাচ্ছে ইসলামের কেন্দ্র আরব বিশ্ব থেকে বহু দূরে এমনকি দিল্লীকেন্দ্রিক ইন্দোমুসলিম শাসকদের সাম্রাজ্যের প্রত্যন্ত পূর্বসীমায় ইসলামধর্মীয় মানুষের বিরাট সংখ্যাধিক্য রয়েছে। কেন এটা হয়? কী ভাবে সম্ভবপর ? দিল্লী সাম্রাজ্যের উত্তর, উত্তরপশ্চিম সীমান্তে না হয় মধ্য এশিয়া থেকে আসা বাণিজ্যপথ ধরে কখনও বাণিজ্য উদ্দেশ্যে কখনো যুদ্ধবাজ আক্রমণকারী-ভাগ্যান্বেষী গোষ্ঠীর কার্যকলাপে বিরাট মাইগ্রেসন হচ্ছে ইসলামধর্মীয় মানুষের। ইন্দোমুসলিম শাসনকেন্দ্রের নৈকট্য আর সুফি প্রভাবে জনগোষ্ঠীর ইসলামে ধর্মান্তরীকরণ সম্ভব হচ্ছে সেখানে। দক্ষিণ, ... ...
আমার আঁকাজোকা : বাঙালী র ছেলে।শুধু পড়াশুনা নিয়ে থাকলে হবে? তাই, দে গরুর গা ধুইয়ে। অর্থাৎ ভর্তি করে দেওয়া হল "দাদুর পাঠশালা" তে। রবিবার রবিবার আঁকতে যাই। কুমড়ো,আম,ন্যাসপাতি। কালের অমোঘ নিয়মে শেষ অবশ্যম্ভাবী পরিণতি "একটি গ্রামের দৃশ্য "। একটা কুঁড়ে ঘর। টালির বা খড়ের চাল।পেছনে কলা বা অন্য কোন গাছ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। পাতার মাঝখান দিয়ে চলে গেছে রাস্তা।মোরামের।উঠে গেছে সোজা পাহাড়ে। গ্রামের পেছন দিকেই পাহাড়। ঠিক দুটো চুড়ো। তার ফাঁক দিয়ে দেখা আছে সদ্য উদিত হওয়া সূর্য কে। নীল আকাশে চড়ে বেড়াচ্ছে কটা পাখি।গ্রামের আরেক পাশে পুকুর। কিছু কিছু জনতা পুকুরে মধ্যে মাছ ঘুরে বেড়াচ্ছে সেটাও এঁকে দিত। যাইহোক ... ...