টেবিলের ওপর রয়েছে গরম চায়ের পেয়ালা, তার ধোঁয়াতে দেখি-তোমার চোখ মুখ চুল ভাসছে।চুমুক দিতে যাব, দেখি-আগে থেকেই তোমার ঠোঁট রয়েছে আমায় চুম্বনের জন্য।পেয়ালাটা ধরতে গিয়েই-হাত থেকে পড়ে গেল,এতই ঠান্ডা!আমার কোল মনে হয় পুড়েই গেছে!দেখি শেষে, নেই কিছু ছিবড়ে বলেবদলে তোমার অস্থি গুঁড়ো রয়েছে।৮জুন, ২০২৩, ৯:০৩, বারুইপুর
তুমি বরংরূপবতী কন্যা হয়ো, আমি তোমার রূপে মুগ্ধ হয়ে কবিতা লিখব। তুমি বরং রাগী মেয়ে হয়ো, আমি তোমার রাগ ভাঙাতে হাজার অজুহাত সাজাতে পারব। তুমি বরং দুখী কন্যা হয়ো, আমি তোমার দুখে একটা 'দুঃখ নদী'র জন্ম দেবো
গায়ে ঠান্ডা হাওয়া লাগছে। মুষলধারায় বৃষ্টি হয়েছে, সেটা অন্য কোথাও নয়, আমার বুকে, কেননা আজ আমায় ছেড়ে চলে গেছে বাম দিকের জীবনটা। সে জায়গায় পড়েছিল লক্ষ লক্ষ গোলাপের পাঁপড়ি, সেগুলোকে সারাজীবন ধরেও হাত দিয়ে সাফ করা যেত না, তাই চোখের সব
ভাইব্র্যান্ট হল ডেমোক্রেসিটাক মাথাতে এলোকেশী;আর-হিস-হিস নাৎসি খাঁকিভিক্ষার চালে একাদশী !ফণীর মাথায় জ্বলছে মণিপ্রচার কিনে বেড়ায় খুনী;দুঃশাসনের রক্তে ভিজুকআদিবাসীনীর নগ্ন বেণী !!
ফেলে আসা দিনের কথা ভাবলে মন ব্যথার জালে জড়িয়ে পড়ে, নিজের অজান্তেই চোখের কোল জলে ভরে ওঠে। এক না প্রকাশ করা কষ্ট যেন ছুটে বেড়ায় সারা বুক জুড়ে, হাজার সান্ত্বনা, মনকে ভোলানোর কথা শুনলেও মন যেন মানেনা
কেন জানিনা তোমাকে দেখি আমার কবিতার খাতায়, স্বর্গের অপ্সরী হয়ে বসে থাক হেলান দিয়ে। লেখার সময় তোমার চুলগুলো আমার নখে লাগে। আমি দেখি শব্দগুলোকে
----- একজন রাজাকে দেখা যাবে, তিনি রায়তের রাজা।----- আর বাদশাহ ?----- তিনি দ্রুতগামী ঘোড়ার সওয়ার। তার ফৌজ লুকিয়েছে, এবার শুরু করবে….. ----- আর বাদশাহ ?----- বাদশাহের ফৌজ অনেক বড়, বাদশাহ পণ্ডিত ব্যক্তি, সারাটা জীবন ধরে আইনের ব্যাখ্যা আর তার পূর্বাপর প্রয়োগ তাঁর অভীষ্ট তবু তিনি রায়তকে দেখতে পান না। কিছুতেই পান না ... ...
আজ থেকে বছর পাঁচেক আগে, মহারাষ্ট্রের ভীমা-কোরেগাঁও নামক একটা ছোট্টো জায়গায় কিছু দলিত সংগঠন বনাম হিন্দুত্ববাদীদের একটা গোলমাল হয়। অভিযোগ, দলিতদের মিছিলে হিন্দুত্ববাদীরা আক্রমণ করেছিল। প্রতিবাদ ছড়ায় রাজ্য জুড়ে। হিন্দুত্ববাদী একজন নেতাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তারপর ধাপে-ধাপে আসরে নামে বিশেষ-তদন্তকারী-দল এবং এনআইএ, যে কেন্দ্রীয় সংস্থা ভারতবর্ষের নিরাপত্তারক্ষার মহান দায়িত্বে। না, হিন্দুত্ববাদীদের আর কিছু হয়নি। এক এক করে গ্রেপ্তার করা হয় ... ...
বাঁচাও এ পরিবেশ ———————— সুপ্রিয়া চৌধুরী ————— সবুজ পৃথিবী কালো কেন আজ তোমার অত্যাচারে? তুমি দেখোনি যুদ্ধ, প্রলয়, মহামারী তবু কেন আছো চুপ করে? আর কতটুকু পীড়া? কতটুকু আর? দেবে এ ধরিত্রীরে?
খেরোরখাতায় বেশ কিছু মাস আগের লেখা কিভাবে পাব? বিশেষ কিছু কারণে অনেকদিন লেখা দেওয়া হয় নিআজ চেষ্টা করলাম লেখা দেওয়ার।
গত দুদিন ধরে আছি সবুজ জঙ্গল ঘেরা পাহাড়ি গ্রামে। আছি বড় শান্ত, নিরালায় এক হোম স্টে র একমাত্র অতিথি হয়ে। ঘরের বাইরে ব্যালকনিতে এলেই পাহাড়, জঙ্গলের বড় সুন্দর ছবি – তারা সকলেই আমার একান্ত আপনার! বারান্দা ঘেঁষে এবড়োখেবড়ো রাস্তা গ্রামের দিকে চলে গিয়েছে। দিনেরবেলায় হাতেগোনা কয়েকজনের যাওয়া আসা ঐ রাস্তা ধরে। সন্ধ্যে নামলেই সবকিছু বড় শান্ত। উল্টোদিকের পাহাড়ের ... ...
"ওদের সাথে মেলাও..." মঞ্জিস রায় ইচ্ছেরা যদি আসে বুবুনের কাছে চলে যাবে এক্ষুনি ঘরবাড়ি ফেলে লাগবেনা গাড়িঘোড়া ডানা দেবে মেলে তাইতো সে ইচ্ছের পথ চেয়ে আছে.... (ইচ্ছে হলে / মঞ্জিস রায়- কিশোর ভারতী দীপাবলি সংখ্যা) ইচ্ছেগাঁও নামটা শুনেই ইচ্ছেরা ডাকে, ছন্দেরা নাচে, সুরগুলো ভাষা পায়। গত ২৭ মে হাওড়া বিজ্ঞান চেতনা সমন্বয়ের হাত ধরে চলে গিয়েছিলাম সেই দেশে - কালিম্পং থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে ... ...
শেষমেশ ব্যাপারটা এসে দাঁড়িয়েছে এখানে, যে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে এত লোক দক্ষিণে যায় কেন, আর আসেই বা কেন। কেন এত পরিযায়ী। ব্যাপারটা ঠিকই। এত লোকে যাতায়াত করে বলেই রেল। না করলেই রাখার দরকার পড়তনা। আর রেল না থাকলে দুর্ঘটনার প্রশ্নই নেই। মোদ্দা কথা হল, সমস্যাটা রেলের না। পশ্চিমবঙ্গেরই। যদি ভাবেন, যে পশ্চিমবঙ্গগামী আর বঙ্গনির্গত ট্রেনে তো বাংলার লোকই বেশি থাকবে, তাহলে ভুল ভাবছেন। পূর্ব দিকের এই রাজ্যটি গরীব, হাভাতে ... ...
১রক্ষা কবচ রইল পড়ে দুর্যোধনের ঘরেরথের চাকা পিছলে গিয়ে অজস্র প্রাণ মরে! দরকারি পদে নিয়োগ শূন্য, মরচে ধরে গেছে কর্মপ্রার্থী লক্ষ লক্ষ এ কোন্ আতান্তরে!? ২ঈশ্বর তো নিজেই মহান নাস্তিকচুপটি করে দেখেন মর্মান্তিক !হায়নার মত ধার্মিক ঘোরেফেরে-খুঁজে বেড়াচ্ছে বকরা টা হবে কে?
আমার কবিতা ————— সুপ্রিয়া চৌধুরী ————— বললে আমায় কবিতা লিখো কবিগুরুর নামে- প্রকাশিত হবে এবার পূজোর ম্যাগাজিনে। বসে গেলাম চেয়ার, টেবিল কাগজ, কলম নিয়ে- ভাবছি এবার ,-কি যে লিখি
কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি ব্লক। হলদিবাড়ি থেকে কিলোমিটার চারেক দূরের একটি উচ্চমাধম্যমিক বিদ্যালয় থেকে এ বছর উচ্চমাধ্যমিক দিয়েছে জানানারা খাতুন (নাম পরিবর্তিত)। বাকিদের মত ওর ব্যাঙ্ক একাউন্টে জমা হয়েছে তরুনের স্বপ্ন প্রকল্পের দশ হাজার টাকা। লেখাপড়ার সুবিধের জন্য মোবাইল বা ট্যাব কেনার জন্য এই অর্থ প্রদান করা হয় সরকারি বা সরকার সাহায্য প্রাপ্ত বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এটাই, জাহানারার সাধের মোবাইল কেনা হয়ে ওঠে নি। দীর্ঘ কয়েক মাস টিউশনের টাকা দেওয়া হয় নি তার। বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। বাবা ক্ষুদ্র কৃষক। এদিকে সব বন্ধুরাই টিউশন পড়ে। তাই মোবাইলের দোকান থেকে মোবাইল কেনার ভুয়ো রশিদ জোগাড় করে স্কুলে জমা ... ...
ভয়াবহ করমণ্ডল-দুর্ঘটনায় নিশ্চিতভাবেই কড়া শাস্তি হবে কোনও একজন বা একাধিক কর্মচারীর। এমনটাই আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মুহূর্তের ভুল; ফলস্বরূপ এত প্রাণহানি, এত বিপুল ক্ষতি মানুষের। কিন্তু ভুলটির পিছনে কারণ কী, তার intensive সন্ধান করলে দেখা যাবে – শেষ দীর্ঘ একটি সময় যাবৎ ভারতীয় রেলের নানা শাখায় recruitment বন্ধ। দেশের সদাব্যস্ত এই পরিষেবাটি আক্ষরিক অর্থেই understaffed অবস্থায় ... ...
কবিতা ———- সুপ্রিয়া চৌধুরী —————— গর্ভে তোমায় ধারণ করিনি, - এ কথা সত্য, তবু তুমি আমারই সৃষ্টি,—তোমার জন্ম মনের মাঝারে, মনের ভাবনায়, মনের গভীরে, প্রকাশিত হয়ে তুমি বারে বারে, এনেছো পরম তৃপ্তি