লেখার কিছু ছিলনা, লরেটো কলেজ , ইংলিস-মিডিয়াম ছাড়া ভর্তি নেবেনা বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, সে তো সক্কলেই জানেন। কিন্তু বিজ্ঞপ্তিটা পড়ে গা জ্বলে গেল 'ভার্নাকুলার' শব্দটার প্রয়োগে। শব্দটা ইংরিজি, বলাবাহুল্য ব্রিটিশরা চালু করেছিল। তারা আরেকটা শব্দও চালু করেছিল, নেটিভ। ইংরিজিতে নেটিভ মানে যাই হোক, ভারতে 'নেটিভ' মানে হল 'দেশীয় অসভ্য'। আর ভার্নাকুলার মানে হল নেটিভদের ভাষা, অর্থাৎ কিনা 'দেশীয় অসভ্যদের ভাষা'। আধুনিকতা-প্রগতির মোড়কে এই জাতপাত ... ...
গুরু পূর্ণিমা ————— সুপ্রিয়া চৌধুরী ————— গুরু পূর্ণিমার এই শুভ লগ্নে গুরু ! তোমায় প্রণাম- জন্ম লগ্নে পিতা মাতা রূপে তুমিই দিয়েছো নাম । কত রূপে তুমি যুগে যুগে গুরু ! এসেছো এ জীবন
একই সঙ্গে তিন শিয়ালের হুক্বা হুয়া পার্শিয়াল, বেসশিয়াল আর মার্শিয়াল - একই দেশ, ন-সাল বাদ ইয়াদ আয়াবিধির বিধান কাটবে চা চা চব্বিশ সাল।।
১. দীর্ঘ দিন পুকুরে নামি না তবু পুকুরের ঘোলা জল ঢুকে পড়ে চোখে আপ্ত বাক্যের সুর ঢেকে দেয় গলা ৷ মিথ্যা দিয়ে সত্যি দিয়ে, সব কিছুর বিনিময়ে, কিনেছিলাম
যেমনই হোক না, নারী সততই একাসুদূরে-নিকটে যথাযথ শুধু জননী; সান্নিধ্যের মোহতে গোধূলি আঁকা কফিনে প্রেম টানছে কোনো খুনী। সময় আজ শব-শকটের বাহক তবুও সীমা কৌঁসুলি এ অরণ্যে; নির্যাতিতার অপেক্ষাতে ঘাতক সব শেষ হলে জাস্টিস কার জন্যে?
হৃদপিন্ডের অস্ত্রোপচার —————————— সুপ্রিয়া চৌধুরী —————————— কান্নায় ককিয়ে উঠছে হৃদপিন্ড বলছে :- “আমায় বের করো ! মুক্তি দাও আমায় ! আমি আর পারছি না”। —সকাল থেকেই চলছে চীৎকার। কি করে বেরোবে সে ? পথ নেই বেরোবার। তাই হবে অস্ত্রোপচার
ষোলোশো একতিরিশের সতেরোই জুন চোদ্দতম সন্তান প্রসবের সময় মুমতাজের শরীর মারাত্মক বিগড়য়। মেয়ের জন্ম দিলেন তিনি - সে বেঁচে যায়, নাম রাখা হচ্ছে গৌহারা বা হীরে জড়ানো মেয়ে। কিন্তু মুমতাজের রক্তপাত হতেই থাকে। বড় বড় হেকিমরা ইউনানির দাওয়াই নিয়ে উপস্থিত। তাতে কাজ হচ্ছে না। চিকিৎসায় কাজ না হলে গ্যালেনের মতাবলম্বী হেকিমরা শরীরের চার মূল উপাদানের বা হিউমরের ঘনঘোর ভারসাম্যহীনতা লক্ষ্য করলেন, মোদ্দা কথা সবকিছুই বিগড়েছে। আধুনিক বিজ্ঞানের ... ...
এই বসবাস ধীরে ধীরে সত্য হয়। গেঁথে বসে খুঁটির মতন জমাট দিনলিপি হাত ধরে ফাঁকফোকর বেয়ে শিকড় নামে গভীরে, আরো গভীরে ভারসাম্য অথবা জীবনের সুলুক সন্ধানে। তথাপি যে সব মায়াবী কোটর লুকিয়ে ছিল পাতার ফাঁকে, সেগুলোয় বেমক্কা ইচ্ছের
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি:বেকারত্ব দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি আর্থিক দুর্নীতি বিদেশে টাকা পাচার আটকাতে চরম ব্যর্থতা। তাই নিত্যনতুন সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ প্রসঙ্গ। মুসলিমদের জব্দ করার নাম করে আদি বাসিন্দা তপশিলি জাতি জনজাতির সংরক্ষণ এবং জল জঙ্গল পাহাড়ের অধিকার কাড়বে।সমানাধিকার মোটেও দেবে না। চোরপোরেট ও মনুবাদীদের পোয়া বারো হবে।উত্তর পূর্বাঞ্চলের নারী স্বাধীনতার দফা রফা করবে ১। মানে সবাই সমান হয়ে যাবেন? তাই তো? ২। গোয়ার হিন্দুদের একাধিক বিয়ের অধিকার আছে মুসলিমদের মতো। তার কি হবে ... ...
হিন্দুবীর ও বীরাঙ্গনাদের জন্য চিন্তায় আমার ঘুম হয়না। কাল থেকে ভাবছি, এবার আস্ত একটা ইদ চলে গেল, কিন্তু ঢাকার রাস্তা গরুর রক্তে লাল, প্রতি বছরের ন্যায়, এবার এরকম কোনো ছবি দেখছিনা কেন। ঢাকার রাস্তা লাল না হলে পশ্চিমবাংলায় হিন্দুত্ব টিকবে কীকরে। ভেবে ঘুম হচ্ছিলনা, এমন সময় শান্তি। ফিডে চলে ছবি। কুরবানির রক্তে ঢাকার সেই লাল হয়ে যাওয়া রাস্তা, এত লাল, যে, একটা কাস্তে-হাতুড়ি মেরে দিলেই চিনের পতাকা হয়ে যেত। ধন্যবাদটা ঢাকার নিকাশী ব্যবস্থা, নাকি ফোটোশপ ... ...
একটা গন্ধ আমাকে ঘিরে থাকে, মায়ের গায়ের গন্ধ। সে গন্ধ আমি চোখ বুজলেও টের পাই। যেখানেই থাকি না কেন, যে অবস্থাতেই থাকি না কেন, একবার মনে করলেই গন্ধটা তার অস্তিত্ব নিয়ে আমাকে ঘিরে ধরে। আমাকে আদরে আদরে ভরিয়ে দেয়। কিছুকাল আগের ঘটনা। আমার তখন ধুম জ্বর। গা পুড়ে যাচ্ছে। মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা। বড়ো অস্থিরতা। ঘুমহীন রাত। সকালে মা আমার মাথার কাছে ... ...
খেলা আর যুদ্ধের মধ্যে ফারাক ক্রমশ কমে আসছে। খেলা আর যুদ্ধ, দুইই সরাসরি সম্প্রচার হয় অনেকদিনই হল। সমর্থকরা টিভিতে বসে খেলা দেখেন, অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ হয়, টিভির ব্যবসা আর পপকর্নের বিক্রি বাড়ে। এরকম হাতে-গরম 'ডেভেলাপিং স্টোরি' আর রিয়েলিটি-শোর যুগলবন্দী খুঁজে পাওয়া কঠিন। এছাড়াও, 'খেলা এখন যুদ্ধ' স্লোগান তো দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। 'আগ্রাসী মনোভাব' এবং ভারি চমৎকার একটা শব্দবন্ধ, 'খুনে মানসিকতা' হরবখৎ খেলার উপর প্রয়োগ হচ্ছে। আগ্রাসী পৌরুষের পুজো সর্বত্র। ফেমিনিস্টদের মধ্যেও। এই নিয়ে ... ...
আগে জানতাম এক হাঁটু জল, এখন জানলাম হাঁটুতে জল, মঙ্গল গ্রহেও জল, তাই বেশি চালাকি নয়, তাই মঙ্গল গ্রহে কে সরকার গড়বে সেটা কি বলে দিতে হবে? রাজ্যে, কেন্দ্রে, আম্রীকায় সব জায়গায় একজনই পার্থী, তিনিই আসল, তিনিই গোঁজ
এই দুর্ভিক্ষের দুটো লিখিত বয়ান পাওয়া যাচ্ছে। ১) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারী বিখ্যাত ভ্রমণ কাহিনীকার পিটার মুনডির বয়ান গুজরাট দুর্ভিক্ষ ষোলোশো তিরিশের খরার বছরে আরম্ভ হল। পরের বছরও ফসলে ইঁদুরের আক্রমণ আর পঙ্গপালের উৎপাতের সঙ্গে বন্যাও হয়। দুর্ভিক্ষ আর জলবাহিত রোগের মহামারীতে তিরিশ লক্ষ লোক মারা যায়। কম ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পালাতে গিয়ে অনেকে রাস্তাতেই মরে পড়ে রইল আর মৃতদেহের পাহাড় ... ...
আমি অন্ধকারে ভয় পাই, প্রতিদিন। একটা ছুরি শান দেওয়া হতে থাকে আলোয়, অথচ জানি সেটা অন্ধকারের অপেক্ষায় থাকে ব্যবহৃত হবে বলে।আমার অপার্থিব সব অনুভূতি হরমোন সঞ্জাত। চাদর গায়ে চড়িয়ে এক বৃদ্ধ আসেন, আর নিরাবরণা এক নারী। দুপুরের রোদ বাড়তে থাকে। পোস্ট বক্স নাম্বার নোট
"তুমি সনাতন, তুমি বিদ্রোহঝড় জলে তোলপাড় ।তোমার জন্য পৃথিবীর পথেমুঠো ছুঁড়ে সোচ্চার ।বিক্ষোভে আছো, বিশ্বাসে বাঁচোপ্রতিরোধে বাঁধো সুর ।পায়ে পায়ে চলো সূর্যের দেশেগায়ে মেখে রোদ্দুর ।পথের দাবী, পথেই রাখাপথেই দেখা হবে ।বন্ধু তোমার স্বপ্ন বাঁচুকআগামীর বিপ্লবে ।" কয়েকটি বিষয়কে সামনে আনতে চাই যা দেশ এবং সমাজকে ভাবাবে এবং রাষ্ট্রযন্ত্রকে কুপোকাত করে দেবে। রাষ্ট্রযন্ত্র ভাবো এবং জবাব দাও। রাষ্ট্রযন্ত্রের যারা চালিকাশক্তি তাদের বক্তব্য ক্লীব লিঙ্গ তথা তৃতীয় লিঙ্গ তথা বৃহন্নলা তথা শিখন্ডী ... ...
কেউ অন্তত বলুক না আজে বাজে :আজ তিলোত্তমা বৃষ্টি লেখায় আঁকা;বাসথেকে নেমে রুবি রায় যায় ভিজে রোদ্দুর থাক মেঘের আড়ালে ঢাকা।আমি তো দেখি রাজ হংসীর চলামুক্তো - ফোঁটার চুম্বন ঠোঁটে মুখে;আমার বুকে রাত - দুপুরের জ্বালামনের জানলা খুলি ঝাপসা চোখে।।
আমার নাম অরুণ কুমার চক্রবর্তী। বয়স পঞ্চাশর একটু বেশি। আমি বর্তমানে থাকি বালিগঞ্জে। আমি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।আজ আপনাদের যে ঘটনার কথা বলতে চলেছি তা আদৌ ভৌতিক না অলৌকিক তা আপনারা বলবেন। আমার কাছে তা আজও রহস্য হয়েই আছে।শুনুন তাহলে।আজ থেকে প্রায় চল্লিশ বছর আগেকার কথা।আমার জন্ম মাতলা নদীর তীরে এক অখ্যাত গ্রাম আসানপুরে। তখনকার সময়ে এই গ্রামের অবস্থা খুব ভালো ছিল না। গ্ৰামের বাড়িগুলো দূরে ... ...
রাজনীতি সচেতন ও নিরপেক্ষ মানুষেরা সবাই মানেন যে, এরাজ্যে ২০২১এর ভোটে বিজেপি এমন গোহারা না হারলে এসব ইডি/সিবিআই এর এত তদন্ত করার প্রয়োজনই হতোনা। বিজেপি দিব্যি সুখে রাজ্যপাট চালাতো। বিনা প্রয়োজনে কে আর এসব ঝামেলায় জড়াতে চায়? আর মমতা ক্ষমতাচ্যুত হলে সিপিএমেরও গায়ের জ্বালা জুড়তো এবং দিব্যি শান্তিতে শীতঘুমে যেতে পারতো। বাংলায় রামরাজত্ব চালু হতো যোগী রাজ্যের মডেলেই। রাজ্যজুড়ে সর্বত্র শোনা যেত জয় শ্রীরাম ... ...
সলমন রুশদী আমাকে টেনে এনে ফেললেন তুঙ্গভদ্রার তীরে। তুঙ্গার জল পান করে উঠে দেখলাম আমি শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। আর তার পেছনে মহারাজ দ্বিতীয় দেবরায়, অর্জুনবর্মা আর বলরাম। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সলমন রুশদী --- দুজনেই সোজামাটা গল্প বলেছেন। দুজনেই জানেন কীভাবে গল্প পরিবেশন করতে হয়। সেদিক থেকে দুটো লেখাই একদম ফ্ল্যাট লেখা, চড়াই উতরাই যতটুকু আছে তা রাস্তার বাম্পারের ... ...