নিতান্তই আবিষ্কারের সময়ানুগ সারিবদ্ধ ক্যাটালগ নয় বলেই বোধ হয় আমরা দেখি, বিজ্ঞানের ইতিহাস কখনও কখনও ভারি রসিক হয়ে ওঠে। ঊনবিংশ শতাব্দের একেবারে শেষ দশকে এমন একটা সময় ঘনিয়ে এল যখন পর্যায় সারণির জ্ঞানোৎপাদক মূল্য আরও সুন্দরভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে, অথচ যিনি এর থেকে সবচাইতে বেশি সুনাম অর্জন করতে যাবেন, তিনিই পরবর্তী বিকাশের প্রশ্নে কেমন যেন সন্দিগ্ধ হয়ে উঠলেন। এবার সেই সব গল্প। প্রথমে ইংল্যান্ডের দুই উইলিয়ামের কীর্তিকলাপ! একে একে। ১৮৯৪ সাল। পদার্থবিজ্ঞানে যিনি লর্ড র্যালে নামে পরিচিত, আদিতে তিনি ছিলেন জন উইলিয়াম স্ট্রাট, সেকালের একজন বিরাট মাপের বিজ্ঞানী। প্রথম দিকে গণিত নিয়ে গবেষণা চালালেও পরে পদার্থবিজ্ঞানের প্রায় সমস্ত শাখাতেই তিনি স্বচ্ছন্দে বিচরণ করেছেন এবং ... ...
পাঁচ ছবার রিং হবার পর চিরশ্রী ফোন তুলেই বলল, ' বল তিতির ... আমি তোকে আজকেই ফোন করতাম ... 'বোঝা গেল চিরশ্রী নাম্বারটা সেভ করে রেখেছে ।----- ' না সেদিন তেমন কথাবার্তা হল না তাই ভাবলাম ... ' তিতির ভাসিয়ে দিল ।----' ওঃ ... আর বলিসনা যা কেওসের মধ্যে পড়েছিলাম সেদিন .... ওই সিচুয়েশানে আর কথাবলার মুড থাকে ... তারপর বল কি করছিলি এখন ?'----- ' ভ্যারেন্ডা ভাজছিলাম .... হাঃ হাঃ হাঃ ... '----- ' হাঃ হাঃ হাঃ . আমিও তাই ... আর কি করার আছে? '------ ' চিরু তুই এখন থাকিস কোথায় ? '----- ' লেকটাউনে । একটা অ্যাপার্টমেন্টে। ... ...
বসন্ত জাগ্রত দ্বারে। হাল্কা শীত মাখা নরম রোদে চোবানো বাতাস বইছে সকাল থেকে। হাওয়ায় কেমন যেন ছুটির মেজাজ। প্রেরকের আজ কিছুতেই অফিসে যেতে ইচ্ছে করছে না। তিতিরকে বলল, ‘চল কোথাও বেরিয়ে পড়ি ... কি সুন্দর ওয়েদার.... আজ আর অফিস যেতে ইচ্ছে করছে না
ন্যাংটো মেয়েটা নগরের পথে বিচার আর্তিতে ছুটছে,খবরটা দেখেই যত ভণ্ডের দল আহা তু তু করে উঠলো, তিয়াত্তর দিন পরে ছবি ফাঁস হতে খবরে, সরকারী ঘুম আড়মোড়া ভেঙে শিথিল চক্ষু খুললো। এ অন্যায়, এ অন্যায় মেকি চিৎকারে হুজুগে মানুষ চায়ের কাপে আবেগে, সবেগে কচলে উথলে উঠলো। অথচ তোমরা সেই পুরাকাল হতেই
শুনেছি তোমরা নাকি কাঠকুটো জ্বালিয়ে বসে আছ উচ্ছ্বল আশানদীর পাড়ে। চাল ডাল জোগাড় করে এনেছ চড়ুইভাতিররান্না চড়াবে বলে । সবুজ কলাপাতায় ঢালা তোমাদের উষ্ণ খিচুড়ির মন মাতানো আবেশের আমন্ত্রণ হাতছানি দিচ্ছে
কোমরের কসি বেঁধে লুঙ্গি বা কাপড়ের, মালিকের আটচালায় বসে বারুদের মন্ডা বানায় কেনারাম, আরমান শেখ আর পাঁচ মাসের গর্ভ পেটে নিয়ে সাবিত্রী দাস । কারো দেড়শো , কারো দুশো টাকা রোজ । পেটের ক্ষিধের আগুন নেভাতে নিদেন নেয়াপাতি রুজি লাগে । মালিকও তাদের মতোই মাঠের ওপারের এলোমেলো কোনমতে খাড়িয়ে
গোমুত্র পান করে তার মধ্য প্রদেশ ভারদাঁড়াও মিত্র পেয়ে যাবে সুলভ শৌচাগার; দলিত-মথিত,শুয়ে আছে রাস্তার একধারে ধূমপান রত পশুটা তার মুখেতে হিসি করে!!
এসি পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকর, গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর মূল কারণ ব্লা ব্লা ব্লা নিয়ে ফেবু পাড়া সরগরম। যারা এসি ব্যবহার করে বা কেনার প্ল্যানিং করছে তাদের বলদা পাঁঠা বলেও অভিহিত করে ফেলছে কেউ কেউ৷ এসির বিরুদ্ধে মূলত দুটো অভিযোগ: ১) CFC ব্যবহার করা৷ যা পরিবেশের এবং ওজোন স্তরের পক্ষে ক্ষতিকর ... ...
এই জোটের শুরু বিহারে। সেখানে বিজেপি বিরোধিতাকে কেন্দ্রীয় বিষয় করে লোহিয়াপন্থী-নকশাল আলাদা ভাবে।পরে কংগ্রেস-লোহিয়াপন্থী-নকশাল-বামপন্থী নানান প্রক্রিয়া চলছে উনিশের একটু আগে থেকে। উত্তরপ্রদেশেও তার ধারা মোটামুটি একই। ওখানকার যে তেহজিব-সংস্কৃতি তা মিশ্র হিন্দুস্থানী গঙ্গা যামুনি তেহজিব তার সঙ্গে এখানকার বেশ ফারাক। ওখানের নানা ধারার যে জোট হয়েছে তার অনেকটাই এই তেহজিবের প্রশ্নটাকে ধরে। হিন্দুত্বের আগ্রাসী প্রভাবে ... ...
কাঁকিনাড়াতে ১৯২৩ সালে যে কংগ্রেস অধিবেশন হয় তাতে মহম্মদ আলি জিন্না নিজের ভাষনে ভারতের দলিত সমাজকে হিন্দু আর মুসলিম মিশনারি সংস্থার মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার প্রস্তাব আনেন৷ এইভাবে দলিতদের বন্ধু সেজে সাহায্য করার নামে তাদের মধ্যে জাতিগত ভেদভাবনা তৈরি করার যে অপচেষ্টা শুরু হয় তার বিরুদ্ধে দেশব্যাপি শোরগোল পড়ে যায়৷ সেই সামাজিক অবস্থায় দাঁড়িয়ে ভগৎ সিং ১৯২৮ সালে কীর্তি পত্রিকায় অচ্ছুতের সমস্যা নামে একটা প্রবন্ধ লেখেন৷ বর্তমান সময়ে ভগৎ সিংকে ... ...
ভিন্ন স্বাদে নেতার ভাষণ ——————————— সুপ্রিয়া চৌধুরী ——————————— ট্রায়োলেট ******** আমজনতার কষ্ট কত সখের নেতা বুঝবে নাকি! যেই তিমিরে সেই তিমিরে কষ্টে থাকে হামেশাই। বলিহারি প্রতিশ্রুতি আসল কথা রয় যে
ফেবু থেকে নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সাধারণভাবে নতুন কোনো জোট ঘোষণা হলে সমর্থকদের মধ্যে উল্লাসের বাণ ডাকে, কিন্তু খুবই অদ্ভুত ব্যাপার, যে, I.N.D.I.A জোট ঘোষণা করার পর থেকেই ফেবু বিপ্লবীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে অভ্রংলিহ নীরবতা। তাঁরা এতদিন দাঁড়িপাল্লায় তুলে বিশ্বের সবাইকে ফ্যাসিস্ত বলে এসেছেন, এখন জোটের ব্যাপারটা ঠিক হজম করতে পারছেননা। বরং আমজনতার মধ্যেই এই নিয়ে উৎসাহের অন্ত নেই। মিমের বন্যায় ভেবে যাচ্ছে সমাজমাধ্যম। পশ্চিমবঙ্গের এক অধ্যাপক লিখেছেন, "নোভোট্টুর নতুন নাম হল ইন্ডিয়া"। ততটা বিখ্যাত নন এমন এক রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী বলেছেন, "আয় তবে সহচরী/ একসাথে চালচুরি / সাথে আছে ইয়েচুরি / নাহি ভয়"। বাংলার ডিলান বলে পরিচিত প্রবীণ এক প্রফেটের গান অনুসরণ ... ...
আশার ব্যাপার হল বিজেপি যে ফ্যাসিস্ট দল, বিজেপির ক্ষমতায় থাকা মানে ভারতীয় ঐতিহ্যের বিপর্যয় এটা সম্পর্কে সংখ্যাগুরু বিরোধীরা একমত হয়েছেন। তাঁদের বিভক্তির জন্যই ভারতীয় সমাজের পক্ষে বিপদজনক হিন্দুত্ববাদ ক্রমশ জাঁকিয়ে বসছে। এটা গঙ্গা যামুনি তেহজিবের মানুষরা আগেই উপলদ্ধি করেছেন। এখন এ বোধ অন্যান্য তেহজিবের মানুষরা উপলদ্ধি করছেন। যেমন পেরিয়ার পন্থী , ব্রাহ্মণ্যবাদ বিরোধী তেহজিবের মানুষেরা , কেরালার সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের মিশ্র তেহজিবের মানুষরা। এমনকি আঞ্চলিকতার সঙ্গে হিন্দুত্বের মিশেল আছে এমন মিশ্র তেহজিবের মহারাষ্ট্রের মানুষরা। তাঁরাও ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের আদর্শ নিম্নবর্গের কৃষক জনতার দখিন জাতীয়তাবাদের কাছে চলে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হচ্ছেন উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে। সে ক্ষেত্রে বরাবরের বেয়াড়া , কৃষক সত্ত্বার ... ...
বিমান উড়ে গেলেতার দুঃখী ছায়া পড়ে রানীকুঠিপুকুরেবিমান সূর্যের দিকে উড়ে যায় তৎসবিতুর্বরেণ্যম্দুঃখ পড়েন জলেদুঃখের রং কালোঅন্ধকার হয়ে আসে-রূপক চক্রবর্তী৪ঠা জানুয়ারী ২০২০, সন্ধ্যা আনুমানিক ছটা। রবীন্দ্রসদন-নন্দন চত্বরের জীবনানন্দ সভাঘরে আমার মত কয়েকজন সাধারণ মানুষের উপস্থিতি উপেক্ষা করলে পুরোটাই চাঁদের হাট। বাংলা সাহিত্যের অধিকাংশ তারকা ও কুশীলবরা উপস্থিত ছিলেন শূন্য দশকের লিটল ম্যাগাজিন "কাহ্ন" পত্রিকার সমগ্র সংকলন প্রকাশের উদ্বোধনে। প্রকাশ ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন পরম্পরা। আক্ষেপ হয়, দেরিতে চর্চা শুরু করার জন্য নব্বই দশকের কবিদের, যাঁরা আমারই প্রজন্মের, তাঁদের বেশিরভাগই আমার পরিচিত নন। সেদিন ঐ অনুষ্ঠানে কাহ্ন পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন যে সব কবিরা, তাঁদের অনেকেই উপস্থিত থেকে কবিতা পাঠ করেছিলেন, তখনই ... ...
#বাংলার_উপকথা ৩ সীতার জন্মকথা -------------- আগের পর্বে আমড়াগাছি অনেক হল। এইবারে সরাসরি গল্পে চলে আসি। আগেই বলে রেখেছি যে গল্পটা দুটো রামকথার গল্প মিলিয়ে বানানো। তো হয়েছে কী, কৌশিক নামে এক মুনি ছিল যার গানের গলা ছিল অসামান্য। সেই গলার প্রশংসা শুনে স্বয়ং হরি কৌশিককে
তখন ও বিকেল লোকটি উড়ে এলো । মাটিতে পা রেখেই দে ছুট হাতের ঝোলাটি দোরগোড়ায় নামিয়েই.. তুই এসেই আবার ছূটলি, ততক্ষণে লোকটি ট্যাক্সিতে বাইপাস হয়ে শহর। চিনা পল্লীর ঘ্রাণে লেনিন শেক্সপিয়ারের কলরবে কলকল অবাধ্য শহর। কোথায় সেই সারিসারি তালগাছ পান্থনিবাস? মরূদ্যানের সন্ধান মিলল । কম্পিত হস্তে দরজায় টোকা দিল। ঘুমে জড়ানো চোখ । সারা বিকেল অপেক্ষা করেছিল বুঝি! . ..এই, বাইরে অপেক্ষা করো। ট্যাক্সি। ভিক্টোরিয়া । দীর্ঘ বারান্দা । সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত । লন্ঠন হাতে কেউ হেঁটে গেল । ঘোড়ার গাড়ি । একাডেমী। কি পাগলামো কি পাগলামো । পার্ক স্ট্রিট গান হাসি আর ধোঁয়া আরো গানের ফরমাস শব্দের ঝঙ্কার লাল পাড় শাড়ি নেশায় ... ...
উনিজি ফরাসি শিখেছেন, সেই খবর দেখে, আমার একটা পুরোনো গপ্পো মনে পড়ল। উনিজি নিজমুখে তো বলবেননা, তাই আমিই বলি। শুনুন। সে অনেকদিন আগের কথা। উনিজির ভাষাশিক্ষা তখন সবে শুরু হয়েছে। ফরাসি শেখার আগে উনি তখন ইংরিজি শিখছেন। বেশিদূর এগোননি। পাপ্পু নামের এক পিছনপাকা ছোকরা তাঁকে খুবই জ্বালায়। সে একদিন জিজ্ঞাসা করল, "তোমরা তো খুবই রিগ্রেসিভ, বিদেশী ভাষা শিখলে ম্লেচ্ছ হয়ে যাবেনা?উনিজি তখন ছোটো, রিগ্রেসিভ একটা কঠিন শব্দ। মানে জানেননা। তাই হাঁ করে রইলেন। সেই পিছনপাকা ছোকরা তাই দেখে বলল, "আরে রিগ্রেসিভ মানে জানোনা? প্রোগ্রেসিভের উল্টো। অ্যান্টোনিম।"উনিজি তখনও অ্যান্টোনিম কাকে বলে জানেননা। ছোকরাকে তাই জবাব দেওয়া হলনা। কিন্তু মাথায় জেদ চেপে ... ...
#বাংলার_উপকথা ৪ আজকের লেখা বাংলায় রামায়ণের এক নির্দিষ্ট গল্প নিয়ে৷ তবে গল্পে আসার আগে বাংলায় রামায়ণ নিয়ে একটু আলোচনা হোক৷ আমি আগে একটা লেখায় বলেছিলাম যে রামায়ণ শুধুমাত্রই বাল্মীকির নয়৷ বিভিন্ন প্রখ্যাত গবেষকের লেখাতেও এই উক্তির সমর্থন মেলে৷ প্রখ্যাত আইরিশ গবেষক ফাদার কামিল বুল্কেও মনে করেন যে বাল্মীকির পূর্বেও রামকথার বিভিন্ন আখ্যান প্রচলিত ছিল৷ পরবর্তী কালে কালের স্রোতে সেই আখ্যান হারিয়ে যায় এবং বাল্মীকিই আদি কবি হিসাবে রয়ে যান৷ বাংলায় ডঃ অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ও ... ...
ভূমিকাসম্প্রতি নেদারল্যান্ডসের সরকারের পতন ঘটেছে বা সরকার দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছে, নভেম্বরের আগে নতুন সরকারের জন্য সাধারণ নির্বাচন হবেনা। অভিবাসন ও এসাইলাম সিকার বা এসাইলাম সিকারদের নিয়ে বিতর্কের মধ্যে ৮ জুলাই ডাচ সরকারের পতন ঘটে, ২০২১ সালে সরকার গঠনের মাত্র ১৮ মাস পর। এর তিন দিন পর ১০ জুলাই নেদারল্যান্ডসের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট ঘোষণা দেন যে, তিনি পুনরায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না এবং টানা ১৩ বছর দায়িত্ব পালনের পর রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করবেন। তো কী ঘটেছিল, কেন সরকার ভেঙে পড়ল এবং পরবর্তীতে কী ঘটতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। কিন্তু সেই সাথে ... ...