সারা গা চেটে দিচ্ছে কেউ এরকম একটা কিছু দেখতে দেখতে অনিমেষ শুনতে পায় রুপা জোরে জোরে ধাক্কা দিচ্ছে, ‘অনি ওকে পাওয়া যাচ্ছে না, অনি’। ঘুম ভাঙার সময় ধাতস্থ হতে একটু সময় লাগে, অনি একটু উঠে রুপার দিকে ধীরে ধীরে তাকানোর চেষ্টা করে, রুপার মুখে মাস্ক পরা, ‘কি ব্যাপার?’। ‘আরে পনেরো মিনিট ধরে তোমায় ডাকছি, বাড়ির চারপাশটাও ঘোরা হয়ে গেছে কোথাও নেই’, রুপা বলে। অনি এতক্ষণে পুরো তাকিয়ে হাত দিয়ে চোখের পিচুটি যথাসাধ্য মুছে আধখোলা সদর দরজাটার দিকে তাকায়। খবরের কাগজটা পর্দার তলা দিয়ে দেখা যাচ্ছে, কাগজ দিতে তো না করা হয়েছে, কি আশ্চর্য! রুপা গজগজ করতে করতে পাশের ঘরে চলে ... ...
পাদশানামায় শুধু প্রদর্শন, বাদশাহ শাজাহানের প্রদর্শন, মোঘল বীরত্বের প্রদর্শন। রঙের ঝলকানি, অপূর্ব নীল আকাশের তলায় মত্ত হাতি সুধাকরের মুখোমুখি, চোখাচোখি সজোরে শুঁড়ে বর্শা বেঁধানো অকুতোভয় বীর শাহাজাদা ঔরঙ্গজেবের ল্যান্ডস্কেপের বিখ্যাত ছবি আঁকছেন শিল্পী গোবর্ধন। ছবিতে ধোঁয়ার প্রাবল্য, কিশোর ঔরঙ্গজেবের বীরত্বে শাজাহানের সেক্রেড সভরিনিটির মহিমার প্রাবল্য, সুজার বেরাদারির প্রাবল্য, জয় সিংহের রাজপুত বীরত্বর জান কসম করা প্রাবল্য কিন্তু কোথাও ঘোড়াটা নেই। কী দশা হয়েছিল তার?রাজা বাদশাহদের ইতিহাসে ঘোড়ার খোঁজ কি কেউ করবে না? এ জানতে বীরগাথার দেশ রাজস্থানে গেলে জানা যাবে ঘোড়া খুঁজে পাওয়ার ইতিহাস। চেতকের ধারণার নির্মাণ যে এক কল্পনার নির্মাণ এমনটাই বলছেন ইতিহাসকার সিনথিয়া টেলবট। আফগান সেপাইসালার হাকিম খান ... ...
Since you are God’s dear children.You must try to be like Him.Your life must be controlled by love.Just as Christ loved us and gave His life for us.As a sweet-smelling offering and sacrifice.That pleases God. ‘মানুষ’ কেমন হওয়া উচিৎ --- বজ্রাদপি কঠোরানি মৃদুনি কুসুমাদপি --- বজ্রের চেয়েও কঠোর, কুসুমের চেয়েও কোমল। কুসুমের মতো কোমল মন নিয়েই তো সে জন্মায়। সে যা দেখে তার মধ্যেই বিস্ময় লুকিয়ে থাকে। প্রতি মুহূর্তের প্রাকৃতিক বিস্ময়তার সাথে সাথে মিলিয়ে নেয় অন্তরের কল্পনার বিস্ময়তাকে। আর সে চায়, তার কাছের মানুষজনও এই কোমলতাকে মায়ময় স্নেহময়তা দিয়ে ঘিরে রাখে, আগলে রাখে। যেমনটা এক কিশোর চায়, ঠিক ... ...
উন্নয়নের পথে কাঁচালঙ্কা ( লিমেরিক্)——————————- সুপ্রিয়া চৌধুরী ——————লঙ্কা কিনে ফিরলো ভজা দুঃখে খালি পকেটে !বাজারের থলে ছেড়ে এবার লঙ্কা চড়েছে রকেটে,আলু বেগুনের বাজারে,লঙ্কা নাকি হাজারে !কিনলো ভজা একটা লঙ্কা সাজাবে হারের লকেটে। ঠাঁই পেলো লঙ্কা ফ্রিজ থেকে ব্যাঙ্কের লকারে !উন্নতির মাপকাঠি কোথা থেকে কোথারে !!আমরা মাথায় হাত !চুলছিড়ি দিন রাত !এই কথা ভেবে মরি কবে সব ঠিক হবে, আহারে !অগত্যা লঙ্কা ডিলিট হলো খাবারের তালিকায় !কেন এত কার গুস্সা, —সে বোঝাই তো দায় !চড়েছে উন্নয়নের রথে -বাধা হবো না তার পথে !উন্নয়নের এমন নেশা কখন যে কার পায় !অভিনন্দন ভাই কাঁচালঙ্কা ! তোমায় কে আর পায় !আমরা আছি তোমায় ছাড়া,--দুঃখেই দিন যায় !একটু যদি বলো,কি করে কি হলো অনুসরণ করবো তোমায়,- মনটা যে উন্নয়ন ই চায় !—————————————————————------------
১.অনবরত জলের শব্দ কথা নেই, কথা তৈরি হওয়ার সময় নেই জমাট বাঁধার আগেই ভাবনা বয়ে চলে যায় আমিও বয়ে যাই নির্দিষ্ট নরকে ৷ ২.পড়াশোনা করি না কতকাল নতুন শেখার আনন্দ পাইনি বহুদিন, শুধু নতুন নতুন দিন চলে যায় ৷ গাছে গাছে নতুন পাখীরা শাবকের জন্ম দেয় নুতনতর নীড়ে ৷ ৩.মানুষের মধ্যে প্রচন্ড বয়ে যাওয়ার প্রবনতা শক্ত আটকে থাকি যে দেওয়ালে টিকে তাকে ভগবান বলি, কিংবা কখনও প্রিয়তমা ৷ বস্তুত ভালবাসা কিছু নয়, শুধু বখে যাওয়ার ভয় । ... ...
অত কথা ভাব কেন ? অত কথা, অত শত বিষন্নতা ৷ তোমাকে ছেড়ে চলে গেছে যারা দেওয়ালে দেওয়ালে যাদের থুতু সর্বত্র, রক্তাক্ত, চোখ চাইলেই আকাশ জুড়ে যাদের অবজ্ঞা, না হয় বয়ে যেতে দিলে তাদের ধুয়ে যেতে দিলে মনে মনে ৷ তোমার দেহজুড়ে অস্তিত্বের আলো অবলোহিত, চোখে লেগে আছে এই ব্রহ্মান্ডের উৎসমুখ চেতনা, স্বপ্নিল হয়ে আছে তোমারও হৃৎপিন্ডের উচ্ছ্বাস ; নাইবা জানালে তাদের, যারা সন্দেহ-সম্বল শুধু, বিদ্রুপ আর বিসম্বাদ ছাড়া তোমাকে যাদের দেয় কিছু নেই আর । ... ...
এমন হয় না, গ্রামের নাম অচিনপুর .. শাল পিয়ালের জঙ্গল ঢাকা । কালো মেয়েগুলো চকচকে শরীর নিয়ে জংলী ফুল কুড়িয়েছে পাতা সমেত । ভোট বাবুকে দিবে বলে ভোট পরবে...কিম্বাহতে পারতো,একদল সৌম্যকান্তি যুবক ,একহাজার আঁকিবুকি আঁকা জীর্ণ অতীতের হাতে হাত রেখে নজরুল নামে শপথ নিত ,স্লোগানের আওয়াজে নয় , রবি মাধুর্যে গনতন্ত্র নামতো কোন এক ধূসর বিকেলে...একদল ক্ষেপাটে বাউল , লালন আওড়াত , আরধর্ম দোকানিদের দোকান থেকে একগোছা জুঁইফুল নিত রজনীগন্ধার বদলে । খোঁপায় গুঁজে...যদি আসরের আজানে শান্তি নামতো আরো দু রাকাতে, পরব শেষের ...বদলে মৃত্যু, কান্না , ভয় আর ভেকদের দোয়ামন্ত্র খালি ,#রক্ত পরব শেষ হোক এবার , ... ...
ঠকতে চাইলে যে সবসময় মানুষকে বিশ্বাস করে টাকা ধার দিতেই হয়, তা নয়! কখনও, কখনও জোমেটো, সুইগি, ফুডপান্ডায় দামি দামি রেস্টুরেন্ট দেখে খাবার অর্ডার করলেও চলে। নাম-না-জানা দামি ফরেন আইটেম অর্ডার করেন যদি, তাহলে দেখবেন, হয়তো ৬০০ টাকা খরচ করে ৬ টাকার আলুসেদ্ধ
যারা আমাকে নিজেদের সঙ্গে স্বর্গে নেবার জন্য টানা-হেঁচড়া করেন, তাদের দেখি আর ভাবি, এইসব চিড়িয়ার সঙ্গে স্বর্গে থাকার চাইতে নরকে থাকাই তো স্বস্তির। আপনারা, ইয়ে মানে ক্রেডিট কার্ড, ইনসিওরেন্স কোম্পানির লোকেরা পথে-ঘাটে আমাকে হাঁটতে যে অমন টানাটানি করেন, তা দেখে আমি প্রায়ই ভাবি, ওই পথে হাঁটার মানেই তো স্বর্গে যাবার মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কোম্পানির এজেন্ট হওয়া। পরক্ষণেই আপনাদের কাছ ... ...
সত্তরের দশকে ভারতবর্ষে কেউ যদি চীনের চেয়ারম্যানকে নিজের চেয়ারম্যান বলত, তবে অবধারিতভাবে ধরে নেওয়া যেত যে সে অতিবামপন্থী কোন রাজনীতির সমর্থক। বর্তমান ভারতবর্ষে কেউ যদি চীনে নিজের স্বর্গস্থাপন করে, আপনি অবধারিতভাবে ধরে নিতে পারেন যে সে অতিদক্ষিণপন্থী কোন রাজনীতির সমর্থক। একইসঙ্গে আবার এই পরোক্ত গোষ্ঠী পূর্বোক্ত গোষ্ঠীকে সত্তরের দশকে চীনকে সমর্থন করার জন্য দেশদ্রোহী বলে আখ্যা দেয়। এখানেই ইতিহাস ভূগোল সব গুলিয়ে যায়। সেদিন চীনের চেয়ারম্যান ভারতের চেয়ারম্যান হলেই তো তাহলে চৈনিক স্বর্গরাজ্য আজ ভারতেও প্রতিষ্ঠিত হত। জেনে হোক না জেনে হোক, সেদিনের নক্সালরা তো তাহলে ভুল কিছু করেনি, বরং দেশের ভালোই চেয়েছিল। সব দেখেশুনে কবি তাই স্মিতহাস্যে কেবল ক'ন, ... ...
ও ভয়াল বিক্রি করো বিক্রি করে দাওনা প্রজার হাসি; যে তারে ধর্মাধর্ম, সেতারে আলাপ করো ধ্রুপদী খুন করেছে স্বয়ং স্বেচ্ছাচারী। ও ভয়াল যোগা
"অভিন্ন দেওয়ানি বিধি" কথাটাই খুব গোলমেলে খটোমটো। কোনগুলো দেওয়ানি বিধি? কীসের ভিত্তিতে তা নির্ধারিত? সেগুলো অভিন্ন হতে হবে কেন? বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন দেওয়ানি বিধি থাকলে অসুবিধা কোথায়? ব্যক্তিগত স্বাধীনতা,গোপনীয়তা, নিরাপত্তা ও সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘিত না হলে কেন কষ্ট করে স্টিমরোলার চালিয়ে গোষ্ঠী সম্প্রদায় নির্বিশেষে এক বিধি চালু করতে হবে? এ কি নিছকই আরএসএস-বিজেপির ঘোষিত স্লোগান "এক বিধান এক প্রধান এক নিশান" কার্যকর করার চেষ্টা? ... ...
এনএবিসি। গোটা উত্তর আমেরিকার বঙ্গ সম্মেলন। এনএবিসি ২০২৩র সাইটে যদি যান, দেখবেন, সবার উপরে নয় জন বঙ্গমনীষীর ছবি। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, থেকে সত্যজিৎ রায়, যাঁরা প্রাতঃস্মরণীয়, এবং সবাই মারা গেছেন। আর তার নিচে জ্যান্ত তিন মনীষীর ভিডিও। সেই তিন জীবিত মনীষী হলেন, সোনু নিগম, জাভেদ আলি এবং বৈশালী মাড়ে। হাস্যমুখে হিন্দি ও ইংরিজিতে বঙ্গসম্মেলনের বার্তা দিচ্ছেন। এঁরা কোথাকার বঙ্গসংস্কৃতির প্রতিভূ, আমাকে জিগাবেননা। উদ্যোক্তাদের জিগান। তাঁদের অগ্রাধিকার খুব স্পষ্ট। এবং শোনা যাচ্ছে এই বলিউডি ধামাকার ঠ্যালা এবং খরচা পোষাতে বাঙালি শিল্পীদের দুরছাই করা হয়েছে। সেটাও সত্য কিনা উদ্যোক্তাদের জিগান। অবশ্য অজয় চক্রবর্তীকে করা হয়েছে সেটা তো শিল্পী নিজেই লিখেছেন। বলিউডি সোনু-মোনুদের ওরকম ... ...
মাছি মুক্তি অভিযান ——————— সুপ্রিয়া চৌধুরী ——————— ভন্ ভন্ ভন্ ঘুরছে মাছি জ্বালাস কেন ওরে ! এখন অনেক রাত হয়েছে আসিস্ নাহয় ভোরে। কানের কাছে ঘুরিস শুধু মাথা ঘোরে
আর্ট এন্ড হিউমানিটিস রিসার্চ কাউন্সিল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অফ এক্সেটার আর আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির অসাধারণ এক প্রকল্প হল খাদ্য নিরাপত্তার সাপেক্ষে ভারত ও ব্রিটেনের পনেরোশো পঞ্চাশ থেকে আঠেরোশো অবধি দুর্ভিক্ষ ও আকালের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস রচনা। ওখানে পিটার মুনডির সুরাট থেকে আগ্রা পর্যন্ত সফরের ম্যাপে ষোলোশো তিরিশ থেকে বত্তিরিশের দুর্ভিক্ষের মাপও পাওয়া যায়। ওই মাপে দুর্ভিক্ষের কম বা বেশি তীব্রতা ... ...
ইতিহাস নাকি ফিসফিসিয়ে কথা কয় ! যদি অনুভূতির দরজা থাকে খোলা তবেই শোনা যায় সে অনুরণন। নতুবা সে ইট-কাঠ- কংক্রিটের পাথুরে প্রমাণ বৈ অধিক নয় ! সপ্তদশ শতকের মাঝামাঝি। গৌড়বঙ্গে তখন বৈষ্ণব সংস্কৃতির জোয়ার চলছে। পূর্ব বর্ধমানের এক ছোট্ট গাঁয়ে জনৈক বৈষ্ণব পদকর্তার গৃহমন্দিরের আগুন লেগে যায়। অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সঙ্গে ভষ্মীভূত হয়ে যায় বেশ কিছু মূল্যবান পুঁথি। অক্ষত রয়ে যায় বেদিমূলটি। আজও যেখানে ... ...
ষোলোশো কুড়ির শেষ থেকে তিরিশের শুরুর মধ্যে বুরহানপুর থাকাকালীন তৈরি শাহজাদা দারা শিকোহর একটা এলবাম -মুরাক্কা পাওয়া যায়। সেখানে বাদশাহের বড় ছেলে- শাহী সংগ্রহে থাকা অনেক বিখ্যাত ছবি আর ক্যালিগ্রাফি, নিজের - ছবি, রচনা, ক্যালিগ্রাফি সাঁটিয়ে রেখেছেন দেখা যাচ্ছে। মোঘল শাহী পরিবারে অবশ্য কেউ ছবি আঁকতে পারতেন এর কোন প্রমাণ নেই, তবে তাঁদের ক্যালিগ্রাফি প্রশিক্ষণের কথা আগেই জানা গেছে। এই মুরাক্কাটা দারার ক্যালিগ্রাফিতে দখলের ... ...
"আমি ভালবাসি মানুষকে, তুমি ভালবাস আমাকে ,আমাদের দুজনের সব ভালবাসা এস বিলিয়ে দিই এই দেশটাকে ..." ( ভূপেন হাজারিকার গান ) এসব কি বিচ্ছিরি ভাবনা মশাই? আমাকে কেউ ভালবাসে আর তাকে বাইপাস করে আমি ভালবাসি "মানুষ"কে ? ছ্যা ছ্যা ছ্যা ছ্যা ৷ ভালবাসা আমি যেমন বুঝি সেটা সম্পর্কে সুর করে