সায়নকুমার দে লিখেছেন নিরুদ্দিষ্টের উপাখ্যান উপন্যাস নিয়ে। কদিন আগে উনি র্যাডক্লিফ লাইন নিয়ে লিখেছিলেন। অমর মিত্রর ‘নিরুদ্দিষ্টের উপাখ্যান ও অন্যান্য কাহিনি’ বইটি হাতে পেয়েছিলাম কোনো এক বইমেলায়, গুরুচণ্ডা৯ প্রকাশনার স্টলে। একটি উপন্যাস ও চারটি ছোটগল্প নিয়ে গড়ে উঠেছে এই বইটি। উপন্যাস বলছি বটে, যদিও তা আয়তনে নাতিদীর্ঘ, কিন্তু চরিত্রনির্মাণে ও অভিঘাতে তা উপন্যাসই! কোনো কোনো উপন্যাস থাকে যার আয়নায় অনতিদূরে অতীতের আখ্যান ... ...
বাঙালিরা গঙ্গা যামুনি তেহজিব ব্যাপারটা ঠিক বুঝি না। এর দারুণ একটা নৈতিক আধিপত্য আছে। এটা ঠিক আধুনিক কমিউনাল পোলারাইজেসন তেহজিব তেহজিব করে চেঁচালে আটকানো যাবে না। সেটার জন্য কৃষক আন্দোলনের মতো আধুনিক কাউন্টার মোবিলাইজেসন দরকার । কিন্তু সাফল্য ধরে রাখার ওয়ার অফ পজিসনিংয়ে গঙ্গা যামুনি তেহজিব ঘুরে ফিরে আসে। যার বাদশাহ হলেন আমির খুসরু। গালিব ওই তেহজিবেরই মাইলস্টোন। এর বাইরে মোঘল বাদশাহরাও ছিলেন না। প্রত্যেকে ব্রজভাষা ... ...
হৃদপিন্ড (অণু কবিতা) ———- সুপ্রিয়া চৌধুরী ——————- লাভ্ ডাব্ :: লাভ্ ডাব্ :: চলছে তো ঠিকঠাক্ ?এত ক্লেদে দুখে ভ্রমেস্পন্দন ম্রিয়মাণ! যেন বলছে অন্য কিছু !! নয় আর বেশীক্ষণ — তবু, - কি বলছে ? - শোনো তো, — -শান্তি চাই :: একটুকু !! (হৃদপিন্ডের স্পন্দনের আওয়াজ- লাভ্ :: ডাব্ )
ছায়া-প্রচ্ছায়ায় ঘিরে রেখেছো আমায়এত ঘ্রাণ কোথা থেকে আসে তোমার শরীরে!এত যে রঙ, কি খেলায় মত্ত আছে নীল ক্যানভাসে!তবুও তো ডলফিন কি জানি কি বিপন্ন বিষাদে!এই পতাকা কি শুধু তোমারই একার?নাকি কীট, পতঙ্গ, পিঁপড়ে, পাখি আর অগনন ভাইরাসের দল ও সারি দিয়ে দাঁড়াবে তার তলে? এক পশলা ঝোড়ো হাওয়া এসে দেখাবে সব রঙের দিশা...তোমার প্রাচীরে নক্ষত্রের আলো মাথায় করে তারা বসে,কোলাহল করে। -আর তুমি ঋষির মতো সমস্ত অনুপম বিলিয়ে দাও, যাবতীয় প্রার্থনার আগেই। সেই তুমি, শরণার্থী হয়ে কোথায় যাবে! কোথায় পাঠাবে তোমায় ! কোন জাহান্নামে?যারা আকাশে কুড়ুল চালিয়ে চাঁদ পেড়ে আনতে যায়, তারাই জ্যোৎস্না-আলোয় তাজমহল ভাঙতে চায়। হিরোশিমা সীমা ছাড়িয়ে যাবে অন্য হিরোশিমায় -তোমার ... ...
বাবা বললেন, ‘খাবি কি?’কথাটা উঠেছিল হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষার পরে। হায়ার সেকেন্ডারি পাশ করে স্কুল ছেড়ে কলেজে ঢোকার সময়ে। বহুদিন আগের কথা। সেটা উনিশশো তিয়াত্তর সাল।পরিস্থিতি ভাবলে মনে পড়ে যায় মনীশ ঘটকের কবিতা - ‘এর চেয়ে মর্মান্তিক গুরুদণ্ড ভার, সেদিন অতীত ছিল ধ্যান ধারণার’। কবির কল্পনার সেই 'দু-চোখ ডাগর' মেয়ে, 'কুড়ানি' যার নাম, তার দেওয়া শাস্তি ছিল - 'তরে করুম না বিয়া'! কিন্তু এই দন্ডে দন্ডিত আমি যাই কোথায়?ছোটবেলা থেকেই জানি যে বড় হয়ে আর্টিস্ট হব, ছবি আঁকবো। স্কুল পাশ করে কলকাতায় আর্ট কলেজ-এ পড়তে যাব এতে কোনো প্রশ্নের সুযোগ নেই. কখনো ভাবি নি বাবা তাতে বাদ সাধবেন; ভাবি নি শিল্পী ... ...
বেফাঁস কাজকর্ম করাই কাশীপুরের ওসির উন্নতির মূল কারণ। ঝুটঝামেলা তেমন নেই, আর ওসি সায়েব একটু সমাজসেবা করতে ভালোবাসেন, তাই মাঝেমধ্যে থানায় ছেলেপুলেদের ডেকে সাহিত্য পড়ান। সেই থেকেই কেলোর সূত্রপাত। একদিন গফুর বলে এক ছেলেকে পড়াচ্ছেন। নাম দেখেই প্রশ্নটা মাথায় এসে গেছে, বল তো মহেশের মৃত্যুর জন্য কে দায়ী? ছেলেটা প্রশ্ন শুনে আমতা-আমতা করছে, ইশকুলের আজকাল এই হাল হয়েছে, শরৎচন্দ্রের গল্প পড়ে-টড়েনি নির্ঘাত, কিন্তু সেই নিয়ে বকাঝকা করার আগেই ... ...
দ্য কনসেপ্ট অফ ট্রুথ --------------------------------- একজন নাট্যকার সমাজে ঘটে যাওয়া দুর্নীতি র কীভাবে প্রতিবাদ জানাবেন? সমাজে সেই সব ঘটে যাওয়া দুর্নীতি র বিরুদ্ধে আন্দোলন কে " as is"দেখিয়ে নাকি তার থেকে কিছুটা বিচ্যুত হয়ে যেখানে সেই নাটকটি আপামর জনসাধারণের মনে বিপ্লব প্রজ্জ্বলিত করতে পারে এমন কিছু
রাজা আর রাজা হতে পারত এমন একজন, দুয়ের যুদ্ধ হয়। একজন রাজা ও একজন রাজা হতে পারত এমন একজন। রাজা জেতেন ও রাজা হন। রাজা কে হবে এটা আগে থেকেই ঠিক থাকত। রাজাদের সময় কোন টাই ব্রেকার হতো না। এ ক্ষেত্রেও তাই হল। রাজা হতে পারত এমন একজন বেধড়ক হেরে ধড়ে শুধু মাথা নিয়ে পালান। সেই মাথাটাও কিছু দিনের মধ্যে কাটা ... ...
স্রোতের বিপরীতে হাঁটা প্রবাদটি সাধারণত ব্যাঙ্গার্থক অর্থেই ব্যাবহৃত হয়ে থাকে। এই যেমন মেয়েরা ঢাকা পোশাক লম্বা চুলে সুন্দরী, ছেলেদের কাঁদতে মানার মতো প্রচলিত ভাবধারার উল্টো হলেই করা হয় স্রোতের বিপরীতে হাঁটার মতো কটুক্তি। ছোটো অপরাধের নির্মম শাস্তি দাবির সঙ্গে বড় অপরাধের ক্ষেত্রে নিরবতা অবলম্বন করে প্রত্যক্ষ সমর্থন, আদপে নিজেদের পরনির্ভরশীল মানসিকতার প্রমাণ আর এছাড়াও আছে আরো বিভিন্ন উদাহরণ যেমন প্রচলিত রীতিনীতি, সংস্কার ... ...
ছ প্রজন্মের মোঘল শাহী খানদানের লোকজন প্রকৃত অর্থে গঙ্গা যামুনি তেহজিব - সংস্কৃতির মিশ্র ভারতীয় ঐতিহ্য বহন করত। সেসময় পারিবারিক স্তরে হিন্দুস্থানিতে কথা বলতো তারা। হিন্দিও ভালোই জানতেন ঔরঙ্গজেব, বলতে তো পারতেনই, প্রবাদের ছড়া কাটতেও দেখা গেছে। সে অর্থে সেসময়ের দেবনাগরী লিপিতে সাহিত্যিক ভাষা ব্রজভাষাও ঔরঙ্গজেবের অনায়াত্ত থাকার কথা
“রাত কত হল?উত্তর মেলে না।কেননা, অন্ধ কাল যুগ-যুগান্তরের গোলকধাঁধায় ঘোরে, পথ অজানা,পথের শেষ কোথায় খেয়াল নেই।”অনেক রাতে আমার ঘুম ভেঙে যায়। আমার চারপাশ রহস্যময়ী তামসী তপস্বিনী রাত্রি ঘিরে রেখেছে। নিশীথিনীর রঙ কালো। এই কালরাত্রির কোন রূপ নেই। রাত্রিনাম্নী এই কালভৈরবিনী নীরব, নিস্তব্ধ। আস্তে আস্তে আমার চেতনায় দ্যুতি
অশোকের সময়কালে অখণ্ড ভারত কেন ভারতবর্ষেরই কোন উল্লেখ নেই। ইরফান হাবিবের সাম্প্রতিক একটি বক্তৃতা ইনটারপ্রেটিং ইন্ডিয়ান হিস্ট্রিতে (Aligarh Society for History &Archeology -YouTube) শুনলাম উনি খারবেলের সময়কাল খৃষ্টপূর্ব প্রথম থেকে দ্বিতীয় শতকের এক শিলালিপিতে ভারতবর্ষ কথাটার প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় জানালেন। সেটাও নেহাতই সাহিত্যিক উল্লেখ কোন জাতি রাষ্ট্রের ধারণা থেকে নয়। জাতীয়তাবাদের উন্মেষকালে ... ...
পরিণতি———— - সুপ্রিয়া চৌধুরী——————কোথায় গেলো রূপকথার ওই ছোট্ট জগৎ, শুয়োরাণী, —দুয়োরাণীর ব্যথা? কোথায় গেলো শুকতারা আর ছবিতে, অমর চিত্র কথা ?সময় কেটেছে এই সব পড়েআমাদের ছোটবেলা, - পুতুল বিয়ের নানান সাজেচলতো তখন খেলা।এক ই বাড়ীতে কত লোকজন, মনে হতো যেন উৎসব ! বড়দের ছিল ফাই-ফরমাশ্— ছোটদের ছিল কলরব ! রকমারি খাওয়া, ঝকমারি
আমি ঔরঙ্গজেব আলমগীরকে নিয়ে একটা প্রকাণ্ড বই লিখতে শুরু করেছি অনেকটা আমার মেজজ্যাঠার মতো। উনি প্যারি কোম্পানি থেকে রিটায়ার করে একটা এনসাইক্লোপিডিয়া লিখে গেছেন। কিন্তু ওনার সঙ্গে আমার তফাৎ হল উনি কুস্তি করতেন আর আমি বেতো। ফলে কোমরের ব্যথা হয়ে রোজ ঘটক ডাক্তারের কাছে যেতে হচ্ছে। মাঝে কোথাও যদুনাথ সরকার ঔরঙ্গজেবকে নিয়ে গেছেন । উনি কিছুতেই আলমগীর বলবেন না। এর মধ্য ফ্লেক্সে ঔরঙ্গজেবের ছবি নাচান নিয়ে ফ্যাসাদ ... ...
(প্রথম পর্ব) ভ্রমণের আগের রাতে কখনো ভালো ঘুম হয়না। ভিসা পেতে কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় তিনটি ছুটির দিন হারিয়ে ফেলেছি। আমাদের সবার বাড়ি থেকে অনুমতি পাওয়ার কাজটা বরাবরই সহজ থাকে না। প্রতিবার যে কোন ট্যুরে যাওয়ার আগে ফাহিম দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে তার পরিবার কে আশেপাশের কোন পার্ক ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়ানোর পর নিজের অনুমতি টা হাসিল করার অন্তিম চেষ্টা ... ...
১) প্রেমিকা সুন্দরী হবার মতো যন্ত্রণা এই পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। ২) সুন্দরী মেয়েরা কারো ব্যক্তিগত হয়না। ৩) প্রেমিকা ছেড়ে চলে যাবার মতো এতো দুঃখ এ দুনিয়াতে কিছুই নেই। ৪) ভদ্র ছেলেরা কখনোই মেয়েদেরকে মুখ ফুটে বলতে পারবেন না আমি তোমাকে
হিন্দি সিরিজ পারতপক্ষে দেখিনা। কিন্তু স্কুপ দেখলাম নেটফ্লিক্সে। কারণ জিগিতা ভোরার 'মাই ডেজ ইন প্রিজন' বইটার নাম শুনলেও পড়া হয়নি। তো, সিরিজ দেখে বুঝলাম, পড়া উচিত ছিল। মহিলা একজন সাংবাদিক। অন্য একজন সাংবাদিক খুন হওয়া, এবং নিজের জেল খাটা, পুরোটাই ওঁর বর্ণনায় সত্যকথন। গপ্পের বর্ণনা দেবনা। কিন্তু সংবাদজগৎ, অপরাধজগৎ, তদন্তকারী সংস্থা এবং রাজনৈতিক ক্ষমতাধরদের আঁতাতকে একদম বে-আব্রু ... ...
একশ বছর হয়ে গেল তবু তোমায় বলতে পারলাম না কথাটা। কত সুযোগ এসেছিল পাশাপাশি বসেছিলে, চোখে চোখও লেগেছিল, কিন্তু পারলাম কই? এখন দুশোর পথে হাঁটছি
এই দ্বন্দ্ব হিংসার বাজারে নিজের চেনা মানুষগুলোকে আর চেনা যায়না। যে গলা আগে এক কথা বলতো এখন বলে অন্য কথা। আবার হয়ত সে একই কথা বলছে যার অর্থ আলাদা। স্বার্থ একটা বিষ, যা দুনিয়ার সকল মানুষের মধ্যে জন্মগতভাবে থাকে
যখন তুমি আমার কাছে এসে বল,"আমি তোমায় ভালবাসি" তখন মনে হয়, এ বিশ্ব যতদিন থাকবে ততদিন আমরা বাঁচব। আমরা হব বিশ্বের দীর্ঘ আয়ুসম্পন্ন মানুষ, আমাদের প্রেম হার মানাবে অতীতের লাইলি মজনু, রোমিও জুলিয়েটদের