- আচ্ছা, এই যে উনি একটা লাঠি হাতে নিলেন, এর মানে কী? মুখপাত্র তথা গোদী মিডিয়ার সঞ্চালকঃ রবীন্দ্রনাথ কী বলেছেন? বণিকের মানদণ্ড দেখা দিল পোহালে শর্বরী, রাজদণ্ডরূপে। মানে, এর আগে উনি বেওসায়ি ছিলেন, এবার রাজা হলেন। এখানে অবশ্য একটা স্লাইট বানানভুল আছে, ওটা শর্বরী না, শবরী হবে।- বলেন কি? কবিগুরুর বানানভুল? সঞ্চালকঃ এতে আশ্চর্যের কী আছে? উনি হরবখৎ বানানভুল ... ...
নতুন মহলে পুরনো দৈত্য বোতল-বন্দীমধ্যযুগের ধর্মদন্ড অপ্রতিদ্বন্দী;রোম রোমযজ্ঞ হোম পোপের শহরে পাপ বেশি।
বাদাই গান শুনেছেন কখনো? বাদাই গান সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রথমেই বলতে হয় 'বাদাই‘ শব্দটি এসেছে বিবরণ বা বাদ–বিতণ্ডা থেকে, ব্যুৎপত্তিগত অর্থ [বি+ষ(সৎ)। আসলে বাদাই গানের চরিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে শ্রীকৃষ্ণের জন্মকাহিনী এবং মহাভারত থেকে বিভিন্ন কটূ প্রশ্ন এক পক্ষ গানের মাধ্যমে অন্যপক্ষকে পেশ করে
জামাইষষ্ঠী কতরকম? এক ধরুন, বিলেতের এমপিষষ্ঠী। বিলেত হল পোড়ো জমিদারবাড়ি, আগে জগৎজোড়া রাজত্ব ছিল, এখন ঘটি ডোবেনা। ওদের পার্লামেন্ট যদি দেখেন, সে এক মান্ধাতার আমলের হলঘর। জামাই এবং বৌমারা সব ঠাসাঠাসি করে বসে আছে। যেন পাতা পেড়ে কাঙালিভোজনের আসর। দেখলেই বুঝবেন, এ হল ছবি বিশ্বাসের জলসাঘরের জামাইষষ্ঠী। খুব নাকি অভিজাত, কিন্তু নতুন ... ...
শোন শোন নীতিকথায় গল্প বলি আজ, শ্রীমদ্ভাগবত গীতার পাতায় অমৃতের সাজ॥ বছর বার বয়সের একটি ছোট ছেলে - রাগের সময় তার বুঝি নয়ন দুটি জ্বলে, প্রচণ্ডই রাগ ছিল তার, জেদ কিছু কম নয়
(পছন্দের কোনো বিষয়কে ছাড়ার কষ্টে রচিত) তোমায় জানালাম বিদায় বন্ধু, সুখে থেকো ভালো থেকো। চাইছে না প্রাণ ছাড়তে তোমারে-হৃদয়ে থাকবে জেনো। সময় বড় শত্রু বন্ধু-ও যে কাউকে মানেনা
একটা দিনও যায়নি মোটে মায়ের জন্য কাঁদি, কারণ আমার মা ছিলেন ঘোর মিথ্যাবাদী। সচরাচর মায়েরা হন মিথ্যাচারী বটে, সব কষ্ট বুকে নিয়েও হাসেন অকপটে॥বাবা যেদিন চলে গেলেন এই পৃথিবী থেকে, সেদিন প্রথম মিথ্যা কথা শুনি মায়ের মুখে। মা বলতো - “বাবা আছেন দূর আকাশের মাঝে,লেখাপড়া করলে তাঁকে দেখবি সকাল সাঁঝে॥
চাকুরীর শেষে ভেবেছিনু হেসে আরামে কাটবে জীবন, এদেশ ওদেশ ঘুরবোই বেশ একাকী তীর্থভ্রমণ। কিন্তু কি রোষে ভাগ্যের দোষে হল ঠিক বিপরীত ! কপাল মন্দ নাইকো সন্দ কদলী বাকলে চিৎ
এক দঙ্গল ভারতীয় সেনা, সবাকার মুখ তোমাদের চেনা, দেশমাতৃকা ভক্ত - লক্ষ্য তাদের এক অভিন্ন, শত্রুব্যুহ করবে ছিন্ন, ঝরুক আপন রক্ত
আমার নাম মৃত্যু। এ জগৎ চেনে আমায় নানান নামে- ধ্বংস, বিনাশ। আমি সত্য ধ্রুব সত্য। সূর্য যেমন সত্য চাঁদ যেমন সত্য, কোটি কোটি নক্ষত্র যেমন সত্য
পঞ্চম শতকের ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী আর্যভট্টের সূত্রাবলী বা সপ্তম শতকের ব্রহ্ম গুপ্তের ব্রহ্মস্ফুট সিদ্ধান্ত এসবের প্রভাব ইসলামি আরব জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ওপর ভালোই ছিল। আর ছিল গ্ৰীক-রোমান বা হেলেনীয় ও পারসিক প্রভাব। সমস্ত বইই আরবীয় ভাষায় অনুবাদ হয়। এছাড়াও মরুচারী বেদুইনদের পর্যবেক্ষণ আরব্ধ জ্যোতির্জ্ঞানমালাও তাঁরা নথিভুক্ত করেন। ইসলামে নামাজ পাঠের সময় মক্কার দিক নির্ধারণের জন্য জ্যোতির্বিজ্ঞানের ব্যবহারিক প্রয়োগ হতো। চাঁদের গতির সাপেক্ষে রমজানের সময় গোনা তো এখনো সুবিদিত। এসবের জন্য জ্যোতির্নিরীক্ষার যন্ত্রপাতির উন্নতি, নিরীক্ষা পদ্ধতির উন্নতি, ক্যালেন্ডার বানানোর কাজ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। একই সঙ্গে মহাজাগতিক চাঁদ-তারা-সূর্যের প্রভাব পৃথিবীর জীবজগত আর নানা ঘটনাকে কীভাবে ভড়কাচ্ছে এসব জানা রাজা-বাদশাহ বা প্রজার কাছেও জরুরি হয়ে পড়ছে মধ্যযুগে, চর্চা চলছে জ্যোতিষের। কিছু ... ...
চড়া রোদে তরতর করে ঘামছিল বুড়ো লোকটা। মে মাসের শেষ হলেও এখনো রোদের বড্ড তেজ। লাইনটাও বড়। সবাই ব্যস্ত। একটা ডাউস মার্কা ব্যাগ ভর্তি রোগা রোগা কিছু সবজি আর হলুদ কালো মেশান কয়েকটা আম আর লিচুর ডাল দেখলাম হাতে। কিলো খানেক হবে। ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বলছিল লোকটা সুস্থ নয়। ভাবতে ভাবতেই গেল গেল রব। লোকটা পড়ল, আমার পায়ের কাছেই, অজ্ঞান ... ...
১. জামাইয়ের নামে রন্ধন, গোরো গুষ্টি ভক্ষণ। ২. চতুরালি করে কয় জামায়ের ভূতে, চল সোয়ামী ঘরে যাই কাঁথার ভিতর শুতে। ৩. জামাইয়ের জন্য মারে হাঁস
ঘাই হরিণী ............... যত আলো অন্ধকার ততমেঘ জমে নীল আকাশও ভাসে পথের এপাশে ফোটে ফুল অন্যদিকে ঝরাপাতা হাসে। এভাবেই হামাগুড়ি দিন রাতগুলো এভাবেই নামে ভালোবাসা সে ঘাই হরিণী চুপি চুপি তোর বুকে
|| ৫. প্রসঙ্গ: মুসলিম শাসনকাল || মুসলমান শাসকমাত্রই এই দেশকে লুঠ করেছে। মুসলিম শাসনে ব্যাপক সংখ্যায় হিন্দুদের জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়; মুসলমান শাসকরা অসংখ্য হিন্দু মন্দির ধ্বংস করেছে; মুসলমান শাসনে হিন্দু ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিপন্ন ছিল; মুসলমান শাসনামলে লাগাতার এক হিন্দু মুসলিম যুদ্ধ চলেছিল; ইত্যাদি। সঙ্ঘপরিবার খুব সযত্নে দৃঢ়ভাবে এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মনে ... ...
সেদিন লিখতে বসেছিলাম কবিতা,"যদি দেখো দেওয়ালে টাঙানো আমার ছবি"।সময়টা ছিল সকাল ৯টার কাছাকাছি।লিখতে লিখতে হঠাৎই বুকের বাঁদিকে তীব্র ব্যথা ওঠে সেই সাথে অসহ্য মাথার যন্ত্রনা।আমি চোখ বন্ধ করে মাথা নিচু করে টেবিলে পড়েছিলাম-আর মনে ছিলনা কিছু।আমি দেওয়ালে সুমিতার ফটোটা টাঙালাম,আর তাতে দিলাম একটা রজনীগন্ধার
১৯৮৬ সালে ১৩,১৪ ও ১৫ জানুয়ারি তে উৎপল দত্ত দিল্লিতে শ্রী রাম সেন্টার এ নাটক নিয়ে বক্তৃতা করেন। "What is to be done" পরে সেগুলো গ্রন্থাকারে প্রকাশ করেন ওই সংস্থা। তাতে একটা প্রশ্নোত্তর পর্ব ও ছিল। সেটাও এখানে দেওয়া হয়েছে।সুপণ্ডিত উৎপল দত্ত তার চাঁচাছোলা ভাষায় বক্তৃতা য় কাউকে রেয়াত করেন নি।ওনার বক্তৃতা র যে যে জায়গা গুলো ভালো লাগলো সেখানে কিছু কিছু জিনিস উল্লেখ ... ...
এসো এসো ভোট কাটুয়া জোট বেঁধে ভোট কাটিহচ্ছে হাপিস মানুষ,টাকা...ম্যাজিক ফাটাফাটি; বিরোধীদের উস্কানি মুল,আমরা দুয়ারে ফুলচাকরি চেয়ে,ভাতা চেয়ে লজ্জা দেয়া ভুল।পঞ্চায়েতের ভোট শিয়রে, ফাটাই কালী পটকা উন্নয়ন কে বাঁচাতে গিয়ে শত্রুকে এক ঝটকাএগরা থেকে বজবজ হয়ে ইংলিশ বাজারেশাক দিয়ে মাছ ঢাকতে 'ক্যানাল' সদাই বকে মরে!!
কী যে লিখি আসে না মাথায় ছাইপাশ কোন ছন্দভুলের ছন্দে ভরে ওঠে লেখা - শেষে দেখি হয় এক পদ্য। এমন জাতের একটি পদ্যের দু'লাইন তুলে দিই পড়ো তোমরা না দিয়ে গালমন্দ - "দেখি বৃষ্টির গন্ধ বড় নাকি আঁশটেআকাশে বজ্রের রঙ বড় নাকি ঘোলাটে।" এই ধরনের উদ্ভট চিন্তা কল্পনায় আসায় ভুলে যাই আমার নাম ... ...
ইতিহাস, এক্কেবারে টিভি চ্যানেলের মতোই বস্তু। কোনটা দেখাবেন, কতটা দেখাবেন, কীভাবে দেখাবেন, তার উপরেই পুরো গপ্পোটা দাঁড়িয়ে আছে। একটু আগে রামমোহন রায়কে নিয়ে একটা লেখা পড়ছিলাম, পড়তে পড়তে আরেকবার মনে হল। জিনিসটার একটা বিচ্ছিরিরকম মজা আছে। ধরুন, আমি যদি বলি সতীদাহ কী, তাহলে আপনি কী বলবেন? শুধু আপনি কেন, প্রসঙ্গটা এলেই আমি আপনি সবাই দুলে দুলে বলব, পুরাতন ভারতীয় সমাজে ... ...