আব্বু কথা রেখেছেন। তিনবার ইন্টারমিডিয়েট ফেল করার পর আমার বোনের বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন রিকশাওয়ালার সাথে। সব বাবাই যদিও এরকম কথা রাগ করে বলেন কিন্তু আমার আব্বু এক কথার মানুষ। বলেছেন এবং দিয়েছেন।
আমার রিকশাওয়ালা দুলাভাইকে নিয়ে আমি খুবই বিরক্ত। যখন তখন আমার সাথে এসে শালী শালী বলে ঢং করেন লোকের মধ্যে আমার খুবই বিরক্ত লাগে।
ভয়ে ভয়ে আমি ভালোভাবে পড়াশোনা করছি। আমি ফেল করতে চাইনা। আমি রিকশাওয়ালা বিয়ে করতে আগ্রহী নই।
দুলাভাইয়ের ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড আমরা জানতাম ... ...
গত কয়দিন বাড়িতে কোন লোক নেই। সবাই মিলে আত্নীয়ের বিয়েতে গেছে। আমার এ বিষয়ে এলার্জি আছে বিধায় চোখমুখ উল্টে অসুস্থ হওয়ার অভিনয় করে বেঁচে গেছি। আমাকে রেখেই সবাই চলে গেছে। কাজের মেয়েটা শেষ ভরসা ছিল বাড়ি ফাঁকা দেখে প্রেমিকের সাথে দেখা করতে গিয়ে আর ফেরেনি। সম্ভবত বিয়ে করে সংসার পেতেছে। কাজের মেয়েকে ফোন দিলাম।বললাম,কোথায় তুমি কখন আসবা?
সে বলল,আপা আমার খুব পেটে বেদনা,পিঠ ফেটে যায়,ঘাড়ে ব্যাথা,বাতের ব্যাথা, হাঁটুর গিরায় গিরায় যন্ত্রণা ইত্যাদি ১২ আদার্স সমস্যার বিবরণ দিয়ে বলল,আপনি ... ...
সকালবেলা ঘুমিয়ে ছিলাম তখন আমার রুমে এসে আয়না খোঁজাখুঁজি করতে করতে একটা চিঠি হাতে পেয়েছে ছোটভাই ইমন। চিঠিটা পাশের বাসার ক্রাশকে উদ্দেশ্য করে লেখা,যদিও তাকে পাঠাবো এমন চিন্তাভাবনা কখনোই ছিল না। চিঠিটার ভেতরে ৯৯ লাইন "আমি আপনাকে ভালোবাসি" লিখে তার নাম উল্লেখ করা আছে।
ইমন আমাকে কিছুই জানাল না। আমারও চিঠির ব্যাপারে আর মনে নেই। দুই তিনদিন পরে একদিন আমি পড়তে বসেছি ও আমার সামনে এসে বসল।
-একটা পাঞ্জাবি দেখেছি অমুক দোকানে,কি যে সুন্দর বললে বিশ্বাস করবি না। লাল পাঞ্জাবী।পহেলা বৈশাখ ... ...
আমি প্রচুর মাথামোটা। কতটা মাথামোটা উদাহরণ না দিলে সেটা বুঝবেন না।
ছোটবেলায় একবার সাপ দেখেছিলাম। সাপটা আমাদের নিচতলার বাসার ভাড়াটিয়াদের বাড়িতে উঠে এসেছিল। ওদের একটা বিড়াল ছিল। আমি বিড়ালটাকে তাড়া করতেই সেটা সোফার নিচে ঢুকে যায়। আমি সোফার পাশে বসে উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করছি বিড়ালটা কোথায় গেল এইসময় দেখি আমার একদম একহাত পাশে একটা সাপ।
সাপ দেখলে যে চিৎকার চেঁচামেচি করে দৌড় দিতে হবে সেটা আমার তখনও মাথায় আসেনি। আমি ওখানেই বসে সাপটার দিকে তাকিয়ে ভাবছি,এটা কি? সাপ! এখা ... ...
সদ্য জাতীয় ক্রাশ নোমিনেশন পাওয়া গায়ক নোবেল। সব মেয়েদেরই যখন ক্রাশ আমার হবে না কেন? আমিও তো মেয়ে এবং আমি যে মেয়ে এই বিষয়ে নিশ্চয়ই কোনো সন্দেহ নেই। সুতরাং ট্রেন্ড হিসেবে নোবেলের ওপর আমিও ব্যাপক হারে ক্রাশ খেলাম। আগে কখনো সারেগামাপা দেখতাম না। এখন নিয়মিত দেখি। ঘুমিয়ে থাকলেও নোবেলের কথা মনে পড়তেই লাফ দিয়ে উঠে পড়ি।
শুধু তাই না, আমার সাথে সাথে আমার ভাবী,ভাতিজা এরাও নোবেলের ভক্ত।
নোবেল যদি আমাদের বাড়ির জামাই হয় ও বেড়াতে আসলে ভাবী কি কি রান্না করবে তার লিস্টও দিয়ে দি ... ...
কয়দিন ধরে ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়া একটা ছেলে খুব বিরক্ত করছিলো। প্রথমদিন যখন তার সাথে আমার দেখা হয়েছিল আমি তখন কলেজের মাঠে বসে ফেসবুক চালাচ্ছি। সে এসে আমার পাশে বসে বলল,
কেমন আছো?
-ভালো!
: তোমাকে দেখে মনেই হয় না তুমি ইন্টারে উঠে গেছ। বরং মনে হয় স্কুলে নাইন টেনে পড়ো।
আমি লাজুক হেসে বললাম,ঠিকই ধরেছেন, আমার বাবা-মা অল্প বয়সে আমাকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলেন নাহলে এখন বেশী হলেও টেনে থাকতাম।
তোমার বয়স কিছুতেই সতেরোর বেশী না! আমারতো মনে হচ্ছে ষোল।
নতুন কলেজে ভর্তি হয়েছি। এরমধ্যে এক কান্ড হলো। কারা যেন ক্লাসের সবথেকে ভালো ছাত্র যে পড়ালেখা ছাড়া কিছুই বোঝে না তার সাথে আমার নাম লিখে দিলো দেয়ালে। আমি পরদিন কলেজে গিয়ে দেয়ালে দেখছি বড় বড় করে লেখা,
Labonno, I love you, Tanvir
একদল গবেষণা করে বলছে, তানভীর আমাকে ভালোবাসে তাই Labonno I love you লিখে নিজের নাম লিখেছে।
আরেকদল বলছে, আমি তানভীরকে ভালোবাসি তাই শুরুতে নিজের নাম লিখে, I love you Tanvir লিখেছি।
আমি সদ্য গার্লস স্কুল থেকে পড়ে বেরিয়েছি। এই জ ... ...
ছেলেটাকে আমি ছোটবেলা থেকে ভালোবাসতাম। কখনো তাকে মনের কথা বলিনি। কারণ জানতাম রাজি হবে না। কি করে যেন বুঝে গিয়েছিলাম সে রাজি হবে না। সুতরাং বলে অপমানিত হওয়ার কোন অর্থ নাই ভেবে বলিনি। দেখা হলে ভাইয়া ডেকে কথা বলি। কিন্তু রাতে তার স্বপ্নে বিভোর হয়ে ঘুমাতে পারি না,পড়তে বসে ডায়েরি জুড়ে তার নাম লিখি,তার ছবি দেখে চোখের পানি ফেলি। ... ...
ইদানিং বাসা থেকে বের হতে ভয় লাগে। ভয় লাগার কারণ আছে। সামনের বাসায় নতুন ভাড়াটিয়া এসেছে। তাদের মধ্যে একজন বয়স্ক মানুষ আছেন যিনি সারাদিন ঐ বাসার বারান্দায় বসে থাকেন আর যাকেই দেখতে পান ডেকে নিয়ে বলেন,"বলোতো দেশের কি হাল?" ওনার সামনে বসলে মিনিমাম দুই ঘন্টা দেশের হাল সম্পর্কে না চাইলেও শুনতে হবে। প্রতিটা মানুষকে দেশের সম্পর্কে জ্ঞান বিতরণের মাধ্যমে একজন পরিপূর্ণ আদর্শ নাগরিক বানানোর মিশনে নেমেছেন উনি। ইদানিং আমার আবার পরীক্ষাও চলছে। ও বলা হয়নি, আমি পলিটিক্সের ছাত্রী। আমার ... ...
সালটা ২০১৩। মিলন নামের মানুষটি পার্কের সামনে ঝালমুড়ি বিক্রি করত। সারাদিন ঝালমুড়ি বিক্রি শেষে
মোটামুটি চারশ/পাঁচশ টাকা লাভ থাকত তার। বড় ছেলেটার পায়ে সমস্যা। বছরখানেক আগে এক্সিডেন্টের পর থেকে এক পা সম্পূর্ণ অচল তার। তার চিকিৎসার জন্য টাকা জমাতে হয়। তাই যত পারা যায় কম খরচ করেন তিনি। সারাদিন ঝালমুড়ি বিক্রি শেষে একমুঠো চাল-ডাল,মসলাপাতি কিনে নিয়ে গিয়ে বাসায় গিয়ে খিচুড়ি রান্না করেন। দিনে এই একবেলায়ই তারা শান্তি করে ভাত খায়।
মিলনের স্ত্রী সুলতানা একটা নামকরা টিভি সিরিয়ালে ... ...