সে সব সময়ের কথা আজ থাকতোমার সঙ্গে থাকা তোমার তনয়ার সাথে স্বাভাবিক বাকস্ফূর্তি খেই হারাবে তাই পরিচয় শেষে বা শুরুতেই সলজ্জ মেনারিজেমের সালাম-আদাব আর কুশল বিনিময়য়ের পর আমি সমাচ্ছন্ন দৃষ্টি সরিয়ে নিয়েছিলামঝাঁঝাঁ রোদের জরৎ জগতের দিকে আর আমার মনোযোগও অচেতনে সরে গিয়েছিলো বহুদূর অতীত এ্যালবামেতুমি তাঁকিয়ে দেখছিলে নিয়ন সাইনের পোড় খাওয়া সেঁকা মাংস আর রুটির দোকানটাকে। সময়ের ঢাল বেয়ে নাবতে গিয়ে আবেগের স্পন্দন শুনবো বলেআমরা আটকে গেছিলাম হৃদপোড়ন আর চেতনার দ্বিচারি অন্যমনস্কতায়আমাদের কত বছর পর ফের দেখা হলকিংবা ‘ওর বয়স কত’? – এখন সেটা তো আর ওভাবে জিজ্ঞেস করা যায় না,তাই শুরুতেই জানতে চাইলাম ‘‘তুমি কোন ক্লাসে পড়, মামনি’’?সময়ে কে আমি ধরতে পারিনি বিধাতাকেও খুজিনি কখনও,মৃত্যুকেও দেখা হয়নি খুব কাছ থেকে মানুষের সান্নিধ্যে এলে কুঁকড়ে যাই তবে আজ ... ...
গূঢ় হাত ধরেছিল যেই জরায়ু সৃষ্টির কারওয়াই- এ সে নিপুনাকর্মের যোগ হয়ে গেছিলোদু’ধারের পথ সেই যাত্রায়। সময়কে দোষ দিয়ে লাভ কি ?কালের ঐ মহাবিরেচনে অজানিত কাল থেকে এমনই বহু কিছু আচানক লোপ পায়। এ এমন নিগূঢ় এষণা কারক আর কারণিক, কর্ম মিলে গিয়ে তিনি যিনি সেখানে দু'ধারের পথগুলো বাৎলায় ... ...
অচেতন ভাব বলয়ে উদ্দেশহীন ঘূর্ণন(কবি কবীর সুমন শ্রদ্ধাভাজণেষু ) একটা প্রশান্ত বিকেলের কথা ভাবুনঝুল বারান্দায় টি কোজিচা এর পর্ব আর মুক্ত হাসি ‘ভাবুন এজন্যে বলছি (যে)আপনারা অচেতনে সচেতনভাব বলয় থেকে সেগুলোকেআপনি হারিয়ে ফেলেছেন । দ্বিতীয়টি খোয়া যাবার আগেএবার পূর্বেকার প্রসঙ্গটা আরেকবার ভাবুন ।পূর্বাপর শুকনো ঝরা পাতার উদ্দেশহীন ঘূর্ণননির্জন দুপুরে কিংবা 'মন খারপ করা বিকেল'পুরনো প্রেমিকার নাম্বারে অযথাডায়াল করে নিঃশব্দে কেটে দিয়েও , জীবনের গুরুত্ববহ ভুল চালগুলোআর ফিরিয়ে নেয়া যায় নি । এমন বহু রচনা সম্ভারআপাত নিরীহ আর কল্যাণকরবহু আয়োজন দুষ্কৃতিআর দুরভিসন্ধির বহুতর অভিযোগে সেই কুটনি মেয়েটার উপমা নিয়ে সর্বত্র আজ বিতাড়িত । তাই বলছি বহুদর্শী কবিতাকে বাদ দিয়ে বলতে গেলে বহুজ্ঞবহু কিছুই আজকে কেবলই দুরাচার আর নিকৃষ্ট প্রবণ মিথ্যা হয়ে রয়ে গেছে ... ...
অনুক্ষণ ঘিরে থাকে ভাবনার অন্তরাল অনেকটা গুছিয়ে প্রয়োজনের কথাটা ঠিক করে বলবার পর নিজের ভেতর অবমুক্তির সুখানুভূতিতে মনটায় ছেয়ে আসে - আমার কপালে সব কিছুর মত তাও যেন নাই যেন বন্ধুবর কোন চিত্রি ছোঁ মেরে তুলে নিয়ে ফ্রেমে বসিয়ে বেশ বাহবা কিনছেন।অতীতচারী মন যা কেবলই কিনা জানি না ,বিমর্ষতার আভরণ গায়ে জড়িয়েহারানো এক বিলল সময়ের ভীষণ পরিচিত সকলকে অপ্রয়োজনীয় ... ...
প্রতীক জিজ্ঞাসাঋতুর খবর অথবা সহজ করে বলে ফেললে –মৌসুমের সমাচার মৌসুমে নিয়ে নেয়াই সমুচিত । তবে, এ কথাট যা দাঁড়ায়তার ব্যতিক্রম হতে পায় –হয় আর হওয়াটা অব্যর্থতা নিয়ে নিয়মের গতানুগতিকতাকেপ্রমাণের জন্যই জেনোনিত্ত পরিবর্তনশীল জগত পাঠাগারেসপ্রমানিত উপমা হিসেবে সময় আর জীবন শিক্ষা পাঠশালায় সাজিয়ে রেখে দিয়েছেন কারনিক । তবে, এ গল্পগুলোও যে সকলেরচোখে পড়ে তেমনও কিন্তু না। পাঠোদ্ধারের ব্যাপারও আছে,আছে চোখ রাঙ্গানিআর রগড়ে দেবার আশঙ্কা তো ছিলই । কথাগুলো সোজাভাবে না বলবার আর না বুঝবারআর কি বা কারণ থাকতে পারে, বলুন ? আমি ভাবছি - আপনারাও ভাবুন অন্তত আজকে আর একবার ভাবতে চেষ্টা করুন !সজীব নজরুলঢাকা-১২১৯। জুলাই ' ১৭ ... ...
আশু লয়শীল অনিত্যতা দেয়াল ঘড়িটা আটকে আছে সময়ের চলমান স্থবিরতা কে বুকে নিয়ে মিনিট সেকেন্ড ঘণ্টার কাটা সহ আটকে গেছে – সময় থেকে বেরিয়ে এসে আমাকে বিদ্রুপ করবার জন্য বোধ হয় দেয়ালে, যেটা আমি ইন্টার হোস্টেল ডিবেটে শ্রেষ্ঠ তার্কিক হিসেবে জিতে পেয়েছিলাম, আমার স্ত্রী বাস্তব বুদ্ধি থেকে ওটাকে পাল্টাতে বলেন এবং আমি আর সে মুহূর্তে আবেগ- বিবেক প্রশ্রয় না দিয়ে তর্ক এড়িয়ে ... ...
।। নিঃসঙ্গ রাত্রির ত্রুবাডুর ।। বিষণ্ণ বিবিক্ত রাত্রির দীর্ঘশ্বাসেরমত গভীর বেদনার আর্তিআর ক্লান্তিবোধ আমাকে নতুন করেনতুন ভোরের প্রত্যাশী করে দেয়প্রতীক্ষায় বসে থাকা এসব রাত্রির অনুবাদশব্দ ও শব্দ অনুসঙ্গ আমার কাছে গভীরঅনুধ্যান দাবি করে, কেননা এগুলোজীর্ণ নয় -চিরকালীন এবং শাশ্বতএগুলির সাথে আছে দৃশ্য ও স্থানিকতারগুণগত ‘মেটাফোর’ যা আমার কাছেলিরিকাল কাব্যের মতই মনে হতো ।কালো পিচের আঠালো অন্ধকারগড়িয়ে যাওয়া গাঢ় নিস্তব্ধতাকখনো ভারবাহী দ্রুতযানআর তার দূরাগত গভীর নাদ – হঠাৎ ত্রস্ত ব্যস্তমান গন্তব্যেরতাড়া নিয়ে গলি দিয়ে একটা সাইকেল আরোহী আর? আর বিবাদমান দু'দল সারমেয়আমাকে প্রবৃত্তির অনুগমনে বাঁধ সাধে ।আমাকে প্রায় যেন অবজ্ঞা ভরে –দীপ্তিহীন এক কায়াবেপথু দ্রুতগামী যান্ত্রিক সেই বাহনসাইকেলের গভীর বিষণ্ণ নিঃসঙ্গ রাত্রিরদেয়ালে গাত্রে সেটে দেয়। দৃশ্যান্তর ঘটে না, এসব ... ...
আমাদের কোম্পানিটা যাই করে ….করে একেবারে একচেটিয়া । নৈতিকতা এইখানে একটাই “মন-পছন্দ” না হলে কিনবার ঝামেলায় যাবেন না এবং কিন্তুটা এখানেই। কিন্তু পছন্দ না হওয়ার কোনো কারণ নেই জানবেন । যে কোনো প্রোডাক্ট আর এ নিয়ে যারা ভাবছেন গবেষণা করছেন, এধরনের বিজ্ঞানকর্মী- এমনকি যে সব শিল্প-প্রতিষ্ঠান সমজাতীয় দ্রব্য উৎপাদন করছেন তাদেরকেও আমরা কায়দা করে ফেলি। এই যেমন বাজার থেকে ওদের সমস্ত প্রোডাক্ট কিনে মওজুদ করে ফেলি। মওজুদ করে আমাদের প্রোডাক্টেরও চালান বন্ধ করে একটি চালান সঙ্কট সৃষ্টি করি, যোগান চাহিদার নট্-খট্ বাঁধিয়ে উপযোগ দরের একটা খেল শুরু হয়... এরপর... আমাদের প্রোডাক্ট সীমিত মাত্রায় চঁড়া দামে এবং পরে বাজার সয়লাব হয়ে ... ...