এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • কি মনে হয়, বাংলাদেশের আন্দোলনে বামেদের নেতৃত্ব থাকবে?

    upal mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৪ আগস্ট ২০২৪ | ৬৮০ বার পঠিত
  • স্বতঃস্ফূর্ত গণবিক্ষোভে নেতৃত্ব গণতান্ত্রিক শক্তির হাতেই আছে এটা অর্কর মতো বাংলাদেশের বাস্তবতা জানা বোঝা সর্বোচ্চ মানের সাংবাদিকরা মনে করেন।তাই ওর লেখা দিলাম এখানে। প্রথাগত বামেরা এখানকার সিপিএমের মতোই বাংলাদেশের আন্দোলন সম্পর্কে সন্দিহান। আমার নিজের মতে নতুন বাম এই গণমন্থনের প্রক্রিয়ায় উঠে আসছে। যেটা লোকসভা ভোটে এখানে দেখা গেছে। বাম দিক থেকে দেখতে না পারলে অভ্যুত্থান সফল হবে না। উল্টো ভাবে অভ্যুত্থানের মধ্যেই বামপন্থার রক্তবীজ আছে। প্রকৃত ও ব্যাপক আন্দোলনই বামপন্থার সমার্থক।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • দীপ | 2401:4900:3fab:9279:90e9:9026:82d8:ad9b | ০৪ আগস্ট ২০২৪ ১০:২২535696
  • বাংলাদেশ নিয়ে তসলিমার মন্তব্য
     
    'আমাতি vs জামাতি+বামাতি"
     
    তাই দেখে পশ্চিমবঙ্গের ছাগু ও তাদের সমর্থকরা নাচছে!
  • দীপ | 2401:4900:3fab:9279:90e9:9026:82d8:ad9b | ০৪ আগস্ট ২০২৪ ১০:৩৬535699
  • মাও সেতুং আর চিয়াং কাইসেকের একটা এলায়েন্স হয়েছিল- কমিউনিস্ট ও জাতীয়তাবাদী ঐক্য, সেটা ছিল জাপানী আগ্রাসন ঠেকানোর জন্য। ১৯৭৯ সনে ইরানের শাহ্‌ বিরোধী সংগ্রামে ইসলামপন্থীদের সাথে একসাথে হয়ে লড়েছিল তুদেহ পার্টি। ঐতিহাসিক এই দুইটা ঘটনা থেকে আমরা কি শিখেছি? 
     
    লিখলেন ইমতিয়াজ আহমেদ।
  • upal mukhopadhyay | ০৪ আগস্ট ২০২৪ ১১:২৬535700
  • ভাই  দীপ  তুমি  ভালো  থাকো ।
  • দীপ | 2401:4900:3fab:9279:9db5:8e53:8e11:7340 | ০৪ আগস্ট ২০২৪ ১৫:৫৩535715
  • তসলিমার লেখা। বেশ যথাযথ বিশ্লেষণ।
     
     
    হাসিনা মান সম্মান নিয়ে গদি থেকে নামতে পারতেন। কিন্তু ক্ষমতার প্রতি তাঁর অতি লোভ তাঁকে তা করতে দিল না। তিনি দেশকে তাঁর বাপের সম্পত্তি মনে করেছিলেন, নিজে অনন্তকাল মক্ষীরানী হয়ে থাকতে চেয়েছিলেন। তাঁর স্তাবকেরা, তাঁর দলদাসেরা, চাটুকারেরা তাঁকে এমনই মাথায় উঠিয়েছিল যে তিনি ধরাকে সরা জ্ঞান করতেন। বিরোধী দলগুলোর অস্তিত্ব ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। একাই লুটপাট করে খেতে দিয়েছিলেন দলের লোকদের, তাঁর কর্মকর্তাদের। নির্বাচনের নামে প্রহসন চালাতেন। গণতন্ত্রহীন রাজনীতির পরিণতি এমনই করুণ হয়। 
     
    ছেলেমেয়েরা কপালে ফ্ল্যাগ বেঁধেছে, লাখো মানুষের জমায়েতে দেশাত্মবোধক গান গাইছে, চমৎকার লাগছে। কিন্তু যখন এম্বুলেন্স ভাঙছে, মানুষের যান বাহন পোড়াচ্ছে, দেশের সম্পদ নষ্ট করছে, তখন দেখতে কিন্তু একটুও ভাল লাগছে না। অল্প বয়সী ছেলেরা ভেবেছে এখন তাদের যা ইচ্ছে তাই করার সময়। কেউ কেউ তো বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে পুলিশ বা সেনাদের বলছে গুলি করো। সবাই আবু সঈদ হতে চাইছে। হিরো হতে চাইছে। এরা আবেগে চলে। আবেগে ভাল, আবেগ না থাকলে এত বড় আন্দোলন হতো না। কিন্তু যথাসময়ে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতেও জানতে হয়। 
     
    অনেকে বলছে, দেশ তো শিক্ষার্থীরা চালাবে না, দেশ চালাবে জামাত শিবির। বাংলাদেশের এটাই হয়তো নিয়তি। দেশে ইসলামিকরণ চলেছে কয়েক যুগ ধরে। সবাই জামাতের রাজনীতি না করলেও জামাতি মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠেছে, তারাই আজ দেশের সংখ্যাগুরু। নাস্তিক, মুক্তচিন্তক, যুক্তিবুদ্ধি সম্পন্ন বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা হাতে গোনা। হাসিনার দলের ভেতরেও আছে জামাতি মানসিকতা, দলের বাইরেও আছে জামাতি মানসিকতা। তাহলে দেশ চালাবে জামাত, চালু করবে শরিয়া আইন, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। একটা বাচ্চা ছেলে ক্যামেরার সামনেই বলেছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সে আজহারিকে দেখতে চায়। এই দেশে, আমি মনে করি না, ধর্মনিরপেক্ষতা সহজে আসবে। তবে জামাত শিবির মনোভাবের লোকের অত্যাচারে মানুষ যখন একদিন অতিষ্ট হবে, মানুষের পিঠ যখন দেয়ালে ঠেকবে, দেয়ালে ঠেকিয়ে রাখতে রাখতে পিঠে ঘা হয়ে যাবে, সেই ঘা থেকে রক্ত আর পুঁজ গড়িয়ে পড়তে থাকবে, সে কারণে যে যন্ত্রণা হবে, ভয়ংকর যন্ত্রণা হবে, সেই যন্ত্রণা থেকে জন্ম হতে পারে ধর্মনিরপেক্ষতার, সেক্যুলারিজমের, সেই যন্ত্রণা থেকে জন্ম হতে পারে শুভবুদ্ধির, মুক্তচিন্তার, সমতার, সমানাধিকারের, মানবাধিকারের। সেই দিন দেরিতে হলেও কোনও একদিন আসবে, এই বিশ্বাস আমার।
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:9271:4de9:7931:2481 | ০৪ আগস্ট ২০২৪ ১৯:৪১535724
  • অর্কবাবুকে আমি চিনিনা। ওনার লেখাও পড়িনি। কিন্তু বাংলাদেশে ছাত্রদের ঢাল করে অন্য শক্তিগুলো প্রক্সি লড়াই করছে সেটা ক্রমেই পরিষ্কার হচ্ছে। তাদের হয়ে কাজ করছে বিএনপি জামাত। প্রথাগত বামের সন্দেহ সঠিক বলেই মনে হচ্ছে।
     
    নতুন বাম মনে হচ্ছে না।
  • দীপ | 2402:3a80:4314:8ce8:678:5634:1232:5476 | ০৪ আগস্ট ২০২৪ ২২:০০535735
  • ওরা যখন লালনের মূর্তি ভেঙ্গেছিল, আপনি চুপ ছিলেন, 
    ওরা যখন হিন্দু মন্দিরের দুর্গা, কালী সরস্বতী মূর্তিগুলো ভেঙ্গে ফেলত, আপনি কিছু বলতেন না, 
    ওরা যখন কুষ্টিয়ায় বাঘা যতীনের মূর্তি ভেঙ্গেছিল, আপনি কিছু বলেননি, 
    ওরা যখন লেডি জাস্টিসের মূর্তি সুপ্রীম কোর্টের সামনে থেকে সরাতে বলেছিল, আপনি মাথা নত করে ওদের আদেশ মেনেছিলেন, 
    ওরা এখন আপনার বাবার মূর্তি ভেঙ্গে ফেলেছে, আপনার মতোই কেউ কিছু বলবে না।
     
    -তসলিমা
  • দীপ | 2402:3a80:42f4:5bb3:678:5634:1232:5476 | ০৫ আগস্ট ২০২৪ ০৯:৩২535760
  • নোয়াখালি, সিরাজগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালি, রংপুরের হিন্দু বাড়িতে হামলা হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে নিশ্চিতই বৈষম্য করা হচ্ছে। এই আন্দোলনের ভেতর প্রকটভাবে উপস্থিত হিন্দুবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি। এদের নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব কাউকে না কাউকে নিতে হবে।
    -তসলিমা।
  • upal mukhopadhyay | ০৫ আগস্ট ২০২৪ ১১:৫৮535768
  • দীপ মিছে রাগ করো না  করো না ।
  • দীপ | 2402:3a80:196c:cbf3:778:5634:1232:5476 | ০৫ আগস্ট ২০২৪ ১৩:১১535769
  • বাংলাদেশ যা বুঝলাম। ....

    সিরাজগঞ্জ, এনায়েতপুর থানা আক্রমণ করা হয়েছিল চারদিক থেকে। ঘিরে ফেলে দরজা জানলা বন্ধ করেদ দেওয়া হয়। জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে ১৩ জন পুলিশ কর্মীকে। মৃতদের মধ্যে ছিলেন একজন গর্ভবতী নারী পুলিশকর্মী ।

    বাংলাদেশের জেলায় জেলায় আক্রমণ চলেছে। থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, সেনা কনভয়।বাংলাদেশের পত্রপত্রিকা পড়ে যদ্দুর বোঝা যাচ্ছে এগুলো গেরিলা টেকনিক। ফিলিপিনো মডেল।

    চীন, ভিয়েতনাম, কোরিয়ার যুদ্ধে গেরিলা বাহিনী এই ট্যাকটিকস ব্যবহার করতো। আপাত শান্ত মিছিল। স্লোগান দেওয়া নিরীহ মুখ। কিন্তু এন্ট্রিপয়েন্ট ব্লক করে দাঁড়িয়ে সশস্ত্র স্কোয়াড।
    জঙ্গলমহলে কিন্তু সুচিত্রা মাহাতো, জেনেগেনের নেতা কিষেণজির স্কোয়াড এই ভাবে শিলদা ক্যাম্প আক্রমণ করেছে। গণভবনের সামনে যে মিছিল সেনাবাহিনী রুখেছিল সেটা বাংলাদেশ পুলিশের কাজ ছিল না।

    বাংলাদেশ সেনা খুব দক্ষতার সঙ্গে বিক্ষোভ আটকেছে। আমার দৃঢ় ধারণা, এর পেছনে পাকা মাথারা কাজ করছে। দেশের ভেতরে, বাইরে হাসিনা বিরোধীরা এককাট্টা।

    হাসিনা চীন সফর কাটছাঁট করে ফিরে এসেছিলেন। কারণ হাসিনার কাছে খুব সম্ভবত ক্যু কিংবা জনবিক্ষোভের খবর ছিল। প্রতিরক্ষা চুক্তি, বাণিজ্যচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না করেই ফিরতে হয়।
    বিএনপি, জামাত শুধু নয়, এর পেছনে আন্তর্জাতিক তেল/ভূমিমাফিয়া চক্র কাজ করছে।
    ২০০৯ সালে পিলখানা ক্যুয়ের সময় ঠিক এই ভাবেই হাসিনাকে খতম করে ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিল আন্তর্জাতিক ভূমি মাফিয়ারা। ইরাক, ইরান, লিবিয়া কিংবা সিরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ফারাক আছে।
    বাংলাদেশ ভারত বেষ্টিত। চীনের নিকটতম প্রতিবেশী ভূরাজনৈতিক ভাবে স্পর্শকাতর।

    গণবিক্ষোভে আদর্শবাদী তরুণ তরুণীরা আছেন। ভীষণ ভাবে আছেন। খুব ছোট গোষ্ঠী হলেও কিন্তু সেক্যুলার ছাত্রছাত্রীরাও আছেন। কিন্তু আমার ধারণা খুব দ্রুত পট পরিবর্তন হচ্ছে। প্রগতিশীল এই অংশটা দ্রুত লাইনের বাইরে চলে যাবে। একটা বড়ো মিছিলে স্লোগান উঠেছে। "হরেকৃষ্ণ হরে রাম, শেখ হাসিনার বাপের নাম"। বোঝা গেল? এক জামাতি কুত্তা একবার তাজউদ্দীন আহমেদকে শ্রী সম্বোধন করে চিঠি লিখেছিল।

    যাগ্গে, এখন আপাতত, তিনটে সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।
    এক) নির্মম ভাবে বিদ্রোহ দমন করে হাসিনা ক্ষমতায় রয়ে গেলেন। এই বিদ্রোহ দমনে সেনাকর্তাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে।
    হাসিনা বেছেবেছে যে আওয়ামী পরিবারের সেনাকর্তাদের নির্বাচন করেছেন তাঁরা হাসিনার সমান্তরাল হয়ে উঠলেন। হাসিনা, বাংলাদেশ কারো পক্ষে সেটা শুভ নয়। সেনাকর্তাদের ম্যানেজ করে একটা দেশকে গাড্ডায় কিভাবে ফেলতে হয় তার উদাহরণ দক্ষিণ এশিয়াতেই আছে।
    দুই) হাসিনা পদত্যাগ করলেন, কিবা দেশ ছাড়লেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় এলো।
    প্রশ্ন হলো দেশ চালাবে কারা? অন্তর্বর্তীকালীন গঠন করবেন কারা ছাত্ররা - ছাত্ররা মন্ত্রক, নীতিগত সিদ্ধান্ত নেবে? এই পরিস্থিতি সত্যি বিপজ্জনক। আজকের চেয়েও বিপজ্জনক হবে।
    আমার ধারণা আন্তর্জাতিক ভূমি মাফিয়ারা তখন দেশের সব থেকে বড় কওমি নেতাদের স্মরণাপন্ন হবেন। ছত্রভঙ্গ জামাত কিংবা সরকারি হেফাজতে ইসলাম দুটোই প্রথম চয়েজ। 
    বাংলাদেশের সব চেয়ে বৃহৎ সিমেন্টিং ফ্যাক্টর এখনও ইসলাম। গরিষ্ঠের ধর্ম। বিপদ বাড়বে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের। আন্দোলনে মতাদর্শগত ফাটল ধরবে।
    সরাসরি প্রভাব পর্বে পশ্চিমবঙ্গে, আসামে, ত্রিপুরায়।
    এরফলে ভারতের রুশঘেঁষা নীতি, চীনের এশিয়াপ্যাসিফিক পলিসি, ভারতমহাসাগরে বিস্তার নীতি প্রভাবিত হবেই।
    তিন) হাসিনা পদত্যাগ করে পুনর্নির্বাচন করলেন।
    অন্তর্বর্তীকালীন অস্থায়ী সরকারের তত্বাবধানে আবার জেনারেল ইলেকশান। হাসিনা হারবেন। বিকল্প সরকার দায়িত্ব নেবে।
    কিন্তু তিনটে ক্ষেত্রে ফ্যাক্টর একটাই।
    যাঁরাই সরকার গড়ুন, হাসিনা ক্ষমতায় আসবেন না। যাঁরাই ক্ষমতাসীন হোন হাসিনার শাস্তি চাইবে।
    আমার সীমিত জ্ঞানে ভারতীয় বিদেশ নীতির হট বেড এখন একমাত্র বাংলাদেশ। দিকেদিকে জেহাদী, জামাতিরা এই সময়টার জন্য অপেক্ষা করছিল।
    কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গেও লুক্কায়িত জামাতি হায়নাদের জিভ লকলক করছে। হাসিনা নেই মানে আওয়ামী লীগ হীন বাংলাদেশ।
    হাসিনা অনেক জামাতি হায়নাদের ঝুলিয়েছেন। এবার ওঁকে বাগে পেয়েছে। ভারত হাসিনাকে ঝেড়ে ফেলতে পারবে না। হাসিনার আশ্রয়দাত্রী ভারতের প্রতি বিদ্বেষ বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর বর্ষিত হবে।
    বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা থামাতে পারবেন সংখ্যালঘু নির্যাতন? অসম্ভব রক্ত ঝরবে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জন্য সাক্ষাৎ নব্বইয়ের রিপিট টেলিকাস্ট। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের জন্য অ্যাসিড টেষ্ট মোমেন্ট। ভারতের সুশীলদের জন্য শীতঘুম পর্ব আগত ।

    'দ্রোহকালে' বাঙালি জাতিসত্তা, প্যান গ্লোবাল ইসলামী ভাতৃত্বের আত্মপরিচয়ের সংঘাতের মৌষল পর্বের সূত্রপাত।
     
    লিখলেন সম্রাট চক্রবর্তী।
  • দীপ | 2402:3a80:196c:cbf3:778:5634:1232:5476 | ০৫ আগস্ট ২০২৪ ১৩:১৬535770
  • সম্রাট চক্রবর্তী বেশ ভালো লিখেছেন। পশ্চিমবঙ্গের মহাবিপ্লবীরা এখন শীতঘুমে যাবেন। কেউ রামমোহন, বিদ্যাসাগরের শ্রাদ্ধ করবে; কেউ মনুসংহিতা নিয়ে নাচবে। কেউ হুদুড়বাদুড়ের গপ্পিবাজি নিয়ে কীর্তন‌ করবে। তবে ভুলেও এসব নিয়ে আলোচনা করবে না!
  • দীপ | 42.110.164.30 | ০৫ আগস্ট ২০২৪ ১৫:১৪535776
  • https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=pfbid0U1Fvx1pg8Tdur5ABrmLKHvMekFfNS4dEpjvhdAAKT8yiephxDHuFsLw6e2kkTxKxl&id=100025819297666&mibextid=Nif5oz
     
     
    একটু কষ্ট করে দেখে নেবেন।
    অবশ্য এসব নিয়ে কোনো কথা বলবেন না। তার বদলে হিন্দুত্ববাদী, সাম্প্রদায়িক, ব্রিটিশদের দালাল রামমোহন, বিদ্যাসাগরের শ্রাদ্ধ করতে থাকবেন! 
    অনেকে তো আবার শতকরা হিসেব বুঝবেন না! 
  • দীপ | 2402:3a80:1cd6:92e6:778:5634:1232:5476 | ০৫ আগস্ট ২০২৪ ১৭:১০535787
  • পশ্চিমবঙ্গের ছাগুদের নৃত্য শুরু হয়েছে!
  • দীপ | 2402:3a80:1cd6:92e6:778:5634:1232:5476 | ০৫ আগস্ট ২০২৪ ১৭:৩৮535790
  • মা মারা যাওয়ার পর সর্বশেষ বাড়ি গিয়েছিলাম গত জানুয়ারি মাসে। রংপুর আমার গ্রামের বাড়ি। গিয়েছিলাম মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী তথা শ্রাদ্ধানুষ্ঠান উপলক্ষে। সে সময়ই হারাধনের সাথে আমার সর্বশেষ দেখা হয়। রংপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর হারাধন রায়, গতকাল যাকে হত্যা করা হয়েছে। 
     
    হিন্দু আইনে মেয়েদের সমঅধিকার আন্দোলন নিয়ে তার সাথে আলাপ আলোচনা করেছিলাম। 
     
    হারাধন বয়সে আমার চেয়ে ছোট, কিন্তু নেতৃত্ব যোগ্যতায় আমার চেয়ে উপরে ছিল। পরপর তিনবার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছিল; মৃত্যুর আগে সেই ছিল রংপুর সিটি করপোরেশনের একমাত্র হিন্দু কাউন্সিলর। মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ছিল; ছিল আওয়ামী লীগ নেতাও। 
     
    তাকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, সে বর্ণনা বিশ্ববাসীর জানা উচিত। তালেবানরা সফল হলে আমরা কয়জন বাঁচতে পারব জানি না। 
     
    জননেতা হারাধনকে রায়কে কোটা আন্দোলনকারীরা পিটিয়ে মেরেছে। রবীবার দুপুর ১টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে। রংপুর মহানগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কালীবাড়ি মন্দিরের গেট থেকে আন্দোলনকারীরা তাঁকে ধরেছিল। এরপর পিটিয়ে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করার পর এবং তাঁর মরদেহের উপর নৃত্য করেছে। এরপর লাশের একটি পা তার দিয়ে বেঁধে নগরীর রাজপথ দিয়ে টেনে নিয়ে যায়। রংপুর সিটি করপোরেশন কার্যালয়ের সামনে নেওয়ার পর সেখানে রাজপথের উপর ওভারব্রীজে মরদেহটি পা ওপর দিকে করে ঝুলিয়ে দেয়। 
     
    প্রকাশ্য দিবালোকে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে ঘটনাগুলো ঘটছিল। 
     
    এক পর্যায়ে মৃতদেহটি বাঁধন ছিড়ে মাটিতে পড়ে যায়। তারপর আর উঠায়নি। প্রায় ৭ ঘন্টা মৃতদেহ সেখানেই রাজপথে পড়েছিল। 
     
    মরদেহ সৎকারের জন্য আত্মীয় স্বজন ও পূজা উদযাপন পরিষদের জেলা নেতৃবৃন্দ আকুতি জানাতে থাকলে রাত ৭টার দিকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে উদ্ধার করে লাশ মর্গে নিয়ে যায়। কাউন্সিলর হারাধনের মরদেহ এখনো মর্গেই পড়ে রয়েছে। শুধু হারাধনই না হারাধনের ভাগ্নেকেও একইসাথে উল্লাস করে পিটিয়ে মারা হয়েছে। 
     
    সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে সিপিবির সভাপতি সাংবাদিক প্রদীপ ভৌমিককেও গতকাল একইভাবে সেখানকার প্রেসক্লাব থেকে বের করে হত্যা করেছে বাংলার তালেবানি বিপ্লবীরা। সিপিবি এই তালেবানদের সঙ্গে বর্তমানে বিপ্লবী কর্মে শরীক আছে। 
     
    ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যেভাবে হিন্দুদের, আওয়ামী লীগের এবং কমিউনিস্ট নেতাদের টার্গেট করে হত্যা করা হয়েছিল সেভাবেই এরা হত্যাযোগ্য শুরু করেছে। 
     
    মুক্তিযুদ্ধের প্রথম রজনীতে যেভাবে পিলখানায় হত্যাযোগ্য চালানো হয়েছিল, আমাদের দেশি তালবানরা সেভাবেই গতকাল সিরাজগঞ্জের হেমায়েতপুর থানা জ্বালিয়ে দিয়ে ১৪ জন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। পুলিশের লাশ পুকুরে ভাসছিল। 
     
    আজ যেভাবেই হোক ওরা গণভবনের দখল নিতে চায়। অনিশ্চিত অন্ধকারের পথে এগিয়েছে এক বিশাল প্রজন্ম।
     
    -Journalist পুলক ঘটক
  • দীপ | 2402:3a80:42fc:bfd4:878:5634:1232:5476 | ০৫ আগস্ট ২০২৪ ২১:০১535796
  • হাসিনার পদত্যাগের পর, দেশ ছাড়ার পর দেশ জুড়ে জ্বালাও পোড়াও হচ্ছে কেন? ভাস্কর্য ভাঙ্গা হচ্ছে কেন? কেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বাচ্চারা ঘরে ফিরে যাচ্ছে না? 
    কারা হিন্দুদের বাড়িতে আগুন দিচ্ছে? 

    কেন সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব নিতে হচ্ছে? রাজনীতিকরা কি একেকটা প্রতিবন্ধী? সেনাবাহিনী থাকবে ব্যারাকে। তারা প্রতিরক্ষার কাজের জন্য। সংসদে বা গণভবনে তো তাদের ঢোকার কথা নয়। কে কী করে দেশ চালাবে, এসব নিয়ে তাদের তো মাথা ঘামানোর দরকার নেই। প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা দেবেন রাষ্ট্রপতির কাছে। সেনাবাহিনীর প্রধানের কাছে দিয়েছেন কেন? রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা, এবং দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করে সরকার গঠন করা। 

    রাজনীতিকরাও সেনাবাহিনীর লোকদের আদেশ অনুযায়ী চলতে চেষ্টা করছেন, ইয়েস স্যার ইয়েস স্যার করছেন। আসলে তো রাজনীতিক যাঁরা সরকার গঠন করবেন, তাঁদের আদেশ পালন করার দায়িত্ব সেনাবাহিনীর। বাংলাদেশে  নিয়মের উলটো হয়। অতীত থেকে জানি সেনারা একবার ক্ষমতার স্বাদ পেলে ব্যারাকে ফিরতে চায় না্। উদাহরণ তো আছেই, মেজর জিয়া, জেনারেল এরশাদ। বাংলাদেশের মতো গরিব দেশের গদি এতই আরাম যে যে একবার বসে আর উঠতে চায় না। হাসিনা যদি সময় মতো উঠে যেতেন, এত হেনস্থা তাঁকে হতে হতো না। শুধু বসলেই হয় না, উঠতেও জানতে হয়। 

    তাহলে দুলে দুলে যারা দেশের গান গেয়ে আমাদের মুগ্ধ করেছে, তাদের পেছনে ছিল সন্ত্রাসীগুলো, ছিল ছাত্র ছাত্রীর মুখোশ পরে? যারা আজ হিন্দুর ঘর পোড়াচ্ছে, ভাস্কর্য ভাংছে, জাদুঘর ধ্বংস করছে?
     
    - তসলিমা
  • দীপ | 2402:3a80:42fc:bfd4:878:5634:1232:5476 | ০৫ আগস্ট ২০২৪ ২১:০৪535797
  • তসলিমার লেখা। গুরুর সর্ববিদ্যাবিশারদ (!!!) পণ্ডিতদের মতে তসলিমা আইটি সেলের হয়ে লিখেছেন।
    এইরকম আত্মকেন্দ্রিক স্বার্থপর মেরুদন্ডহীন জাতি লুপ্ত হলেই মঙ্গল!
  • দীপ | 2402:3a80:1cd5:aaf5:678:5634:1232:5476 | ০৬ আগস্ট ২০২৪ ১০:২৩535849
  • মনুষ্যেতর প্রাণীরা অবশ্য সবজায়গায় আইটি সেল দেখবে! আরেক উল্লুকেরা এখন শীতঘুমে যাবে! রামমোহন, বিদ্যাসাগরের শ্রাদ্ধ বাংলাদেশে বেচতে হবে তো! 
    কেউ আবার তো শতকরা হিসেব বুঝতে পারবে না! 
     
    দিনের পর দিন বাংলাদেশের মৌলবাদী শক্তিকে নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রত্যেক আলোচনার তথ্যসূত্র দিয়েছি। তখন আমাকে চাড্ডি, বিজেপির লোক বলে কুৎসিত গালাগালি দেওয়া হয়েছে! 
  • Nirob pathok | 164.100.206.108 | ০৬ আগস্ট ২০২৪ ১২:৪৫535860
  • বামেদের নেতৃত্ব ছিলো কবে? ছাত্রদের সামনে রেখে ছাগুরা যা করার করেছে। সংখ্যালঘু সমাজের সামনে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ।  আর্মিতে প্রো ছাগু এলিমেন্ট প্রচুর। 
  • অয়নেশ | 2402:3a80:1986:f092:478:5634:1232:5476 | ০৬ আগস্ট ২০২৪ ১৩:১৬535863
  • মুহাম্মদ ইউনুস বা অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খানকে সামনে রেখে সরকার গঠনের চেষ্টা হচ্ছে। এখনি জাজমেন্ট দেওয়ার জায়গা নেই। 
  • অয়নেশ | 2402:3a80:1986:f092:478:5634:1232:5476 | ০৬ আগস্ট ২০২৪ ১৩:৩৬535866
  • বাম ও সমন্বয়কারীদের এখন সবচেয়ে বড় কর্তব্য সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। একমাত্র ভরসা তাঁরাই। 
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন