এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • প্রিয় কবিতা

    Riju
    অন্যান্য | ১৮ জুলাই ২০০৬ | ৩৯৮০৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Samik | 122.162.75.167 | ২৮ নভেম্বর ২০০৯ ১৫:২৫633219
  • ফাটাফাটি! অসা! একঘর উইথ অ্যাটাচ্‌ড বাথ। বহুদিন বাদে টুকে রাখার মত একটা কবিতা পেলাম।

    দুখে, কবিতাটা কোথা থেকে তুলেছেন, সোর্সটা একটু যদি জানিয়ে দেন ...
  • dukhe | 117.194.224.23 | ২৮ নভেম্বর ২০০৯ ১৭:৩৬633220
  • প্রতিদিন এর 'রোববার' সাপ্লিমেণ্টে জয় গোস্বামী 'গোঁসাইবাগান' বলে একটা কলামে বিভিন্ন কবির কবিতা নিয়ে আলোচনা করছেন । সেপ্টেম্বর ৬ এর ইস্যুতে এটা (এবং এই কবির আরো লেখা) নিয়ে বলেছেন ।
  • saikat | 59.93.193.81 | ২৮ নভেম্বর ২০০৯ ১৮:৫১633221
  • রাধারমণ এসেছে। বিছানা পেতে দাও
    কোলে মাথায় দেবার বালিশ রাখো বিছানাতে,
    তাকে জল দাও, বাতাসা দাও, সর্বস্ব দাও।
    সব উজাড় করে দিলেও দেহ তো থাকবে;
    ওটুকুর জন্যে এতকাল পড়ে আছি,
    রাধারমণকে বলো না: সে যদি এটাও নেয়।
    দু:খ থাকে না, সুখের আশায় বসে থাকতে হয় না,
    দিন চলে গেলে রাত চলে গেলে
    কিছু আসবে না যাবেও না
    কখন ভাঁড় ফেলে বেরিয়ে পড়েছি।

    (মিনতি, সেলিম মল্লিক)
  • saikat | 59.93.193.81 | ২৮ নভেম্বর ২০০৯ ১৯:০৩633222
  • পরিণামহারা ভালোবাসা, ঐ দেখো অনাথের মতও ঘুরে বেড়াচ্ছে পথে পথে,
    প্রজাপতির দল উড়ে যায় ফুল থেকে ফুলে,
    বেজে ওঠে গান,
    ঘুরতে থাকে, ঘুরতে থাকে নি:সঙ্গ নাগরদোলা।
    পরিণামহারা ভালোবাসা ভাবে যে-দিকে দু-চোখ চলে যাবে
    আবার থমকে দাঁড়ায় আর এক দীর্ঘ আলিঙ্গনের স্বপ্ন দেখে।

    শূন্যতার ভিতর থেকে জাদুকর বার করে আনে
    রঙিন কাগজের ফুল

    (কাগজের ফুল, অরণি বসু)
  • saikat | 59.93.193.81 | ২৮ নভেম্বর ২০০৯ ১৯:১৮633223
  • জলে পূর্ণ হয় সাদাপাত্র।
    জল টলমল করে
    শান্তি বারি। শান্তি
    দুপার উছলে পড়ছে।

    জলের দিকে তাকিয়ে থাকি
    জল একটু নীল রঙ পাচ্ছে না !
    দূরের আগমনী বলছে না?
    সবে ভোর হয়েছে !

    ভোরবেলা কতরকমের ভালো দেখায়
    একটুও ধূলো-না-লাগা ভালো।
    জলে নানা ধরনের কাঁপন লেগেছে
    একটুও ধূলো-না-লাগা কাঁপন।
    কাঁপন
    শান্তির রুপোলি রঙ পেয়েছে।

    দু হাতের ওপর জলপাত্র রেখে
    বাইরে এসে দাঁড়াই।
    জলের মধ্যে বড় আকাশ এসে নামে
    আকাশে একটাও মেঘ নেই।

    জলের মধ্যে পাখি ধীরে সুস্থে
    উড়ে যাচ্ছে। সেখানে
    ভিজে-ভিজে শান্তির রঙ,
    অস্পর্শ শান্তি।
    সবে ভোর হয়েছে।

    (সবে ভোর হয়েছে, আলোক সরকার)
  • pharida | 122.163.99.154 | ২৮ নভেম্বর ২০০৯ ২১:৩৫633224
  • নিজেকে চার টুকরো করে একটাকে যাই রেখে
    ঘরের মধ্যে চারদেওয়ালের যত্ন দিয়ে ঢেকে
    তিনটে নিয়ে শহর ঘুরি, একটা হঠাৎ হারায়
    নাম না জানা শহর-বাজার গেরস্থালি পাড়ায়
    একটা ফুটো, আধেক ঝুটো – তার জীবনে ভরি
    আস্থিরতার তিক্ত আগুন এবং অর্থকরী
    পুড়ন্ত চাল, পাখির পালক, দেহের শীতল ছায়া
    একটি ছোটো কুঠার কাঁধে পাগল রাতের হাওয়ায়।

    - শক্তি চট্টোপাধ্যায়
  • Arpan | 122.252.231.12 | ২৮ নভেম্বর ২০০৯ ২২:৫৭633225
  • * একটি পরিবর্তনকামী কবিতা

    ভালো আছো?
    মন্দ কী?
    দুটোই একবগ্‌গা প্রশ্ন
    উত্তরের বদলে দক্ষিণ
    নাকের বদলে নরুন
    ঐ 'বদল' কথাটাকেই সমর্থন করুন

    - শক্তি চট্টোপাধ্যায়
  • tkn | 122.163.3.13 | ২৮ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:০১633226
  • কি যে ভালো লাগছে পড়তে...........
  • Arpan | 122.252.231.12 | ২৮ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:১২633227
  • ইস্কুল পায়রার দল ওড়ে ঘুরে ঘুরে
    শিরীষের মাথা ছিল বিস্তৃত রোদ্দুরে
    ছায়া বহু নিচে
    তখনই অস্পষ্টভাবে আসো পিছে পিছে
    দেবদারুদল
    আমার ভিতরে তোলে আজানু সরল
    হাইবেঞ্চগুলি
    মনে পড়ে অশ্রুভেজা বাল্যের অঙ্গুলি

    - শক্তি চট্টোপাধ্যায়
  • Arpan | 122.252.231.12 | ২৮ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:২০633229
  • ভয়? কাকে বলে ভয়? আমি খুব
    শান্ত হয়ে চলে যেতে পারি।
    তুমি বলো ভয়। দেখো চেয়ে
    অতিকায় আমার না-এর
    চৌকাঠে ছড়িয়ে আছে হাত
    যে-হাতে সমুদ্র, ঘন বন,
    জ্যোতির্বলয়ের ঘেরাটোপে
    শ্বাপদ সুন্দর শ্যামলতা
    রক্তপাত, জীবনযাপন।

    - শঙ্খ ঘোষ
  • i | 124.168.175.89 | ২৯ নভেম্বর ২০০৯ ১৪:০৬633230
  • অর্পণ ,বাকিটা? আমি লিখে দিলাম...

    ভয়? কেন ভয়? আমি খুব
    শান্ত হয়ে চলে যেতে পারি।
    তুমি বলো ভয়। দেখো চেয়ে
    অতিকায় আমার না-এর
    চৌকাঠে ছড়িয়ে আছে হাত-
    যে হাতে সমুদ্র, ঘন বন,
    জ্যোতির্বলয়ের ঘেরাটোপে
    শ্বাপদসুন্দর শ্যামলতা
    রক্তপাত, জীবনযাপন।
    প্রাগৈতিহাসিক ডাইনোসর
    স্মৃতি শুধু, ইতিহাস আছে-
    তুমি আর আমি শান্ত তার
    প্রবাহদুয়ার রাখি খুলে।
    তার মাঝখানে যদি পেশি
    একবারও কেঁপে ওঠে, সে কি
    ভয়? ভয় নয়। ভয় শুধু
    শূন্যতাও যদি মুছে যায়-
    শুধু এই প্রতিধ্বনিহীন
    অস্তীতির ঘট ভেঙে গিয়ে
    কোথাও না থাকে যদি না
    তার পায়ে উঠে আসে ভয়
    শূন্যতাবিহীন শূন্যতায়।
  • Arpan | 216.52.215.232 | ২৯ নভেম্বর ২০০৯ ১৪:০৮633231
  • ইন্দ্রাণীদি, থ্যাংকু! আমার কাছে পুরোটা ছিল না।
  • i | 124.168.175.89 | ২৯ নভেম্বর ২০০৯ ১৪:১০633232
  • সেদিন কোথায় গিয়েছিলাম জানতে চেয়েছিলে
    সহজ করে বলেছি বন্ধুকে-
    গাঁয়ের নাম উজালডাঙা, সইয়ের নাম জবা
    পথ গিয়েছে বৈরাগীদের বুকে।

    শরীর থেকে শীতের বাকল শহর গেছে খুলে
    মাথার উপর ছড়িয়ে গেছে হাঁস-
    ঠিক তখনই সৌরধুলোয় অন্ধ, বলেছিলাম
    এই গোধূলি অনন্তসন্ন্যাস!

    অম্‌নি সবাই প্রান্তে মিলায়, ঝাপসা রেখে আমায়
    সঙ্গিনী যায় বৈরাগীগৌরবে-
    দুহাত দিয়েই ধরেছিলাম, রইল না তো তবু
    হাতেই কোনো ভুল ছিল কি তবে?

    - শঙ্খ ঘোষ।
  • ranjan roy | 115.184.68.155 | ২৯ নভেম্বর ২০০৯ ২০:২৩633233
  • আহা! ইন্দ্রাণী, অনেক ধন্যবাদ। এই বিষণ্ন গোধূলিবেলায় পাঁচবার পড়লাম। মন ছেয়ে গেছে অনন্তবিষাদের আনন্দে।
    আবার ধন্যবাদ।
  • dukhe | 117.194.229.140 | ২৯ নভেম্বর ২০০৯ ২২:২৮633234
  • থ্যাঙ্কু, সৈকত । সেলিম মল্লিকের কি বই আছে ?
  • dukhe | 117.194.229.140 | ২৯ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:২৬633235
  • ২০০১ খ্রিস্টাব্দের ২৫ জুন ।
    মঙ্গলগ্রহ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে এসেছে ।
    সন্ধেবেলা বার বার ঘরবার করি, পুব আকাশে তাকাই -
    মঙ্গল কি উঠল ?
    একসময় সাতটা সাড়ে সাতটায় দেখি, রাস্তার পাশের
    দেবদারুর মগডাল ছাড়িয়ে সে কখন উঠে বসে আছে ।
    মেঘ করেছে ।
    মাছির চোখের মতো তুচ্ছ আলো জ্বালিয়ে একটা প্লেন
    গোঁ গোঁ করে মেঘের ফাঁকে
    দমদমের দিকে উড়ে গেল ।
    মঙ্গল প্রেমের গানের রাঙামুকুলের মতো দিনশেষে ফুটেছে, একলা,
    পাতলা মেঘ জলকণা দিয়ে তার রাগ আর নি:সঙ্গতা মুছিয়ে দেয় ।
    আমি অনেকক্ষণ তাকিয়ে আছি
    সেই নি:সঙ্গ যোদ্ধা ধীরে ধীরে ওপরে উঠে পাঁচতলার কার্নিসের ওপারে
    চলে গেল ।
    আর কয়েকদিন তাকে ঐ রকম উঙ্কÄল দেখব,
    তারপর ক্ষীণ দেখব,
    তারপর আর দেখব না ।
    সে অথবা আমি, যে-কেউ একজন
    অনন্ত দূরে চলে গিয়েছি ।

    -মণীন্দ্র গুপ্ত
  • tkn | 122.162.42.97 | ৩০ নভেম্বর ২০০৯ ০৯:৫৮633236
  • i, শঙ্খ ঘোষের কবিতাটা লিখে রাখলাম। আরো পড়ুন, পড়ান, ভালো লাগবে খুব
  • I | 59.93.219.77 | ৩০ নভেম্বর ২০০৯ ১১:৪৮633237
  • দুখে, ধন্যবাদ। মণীন্দ্র গুপ্ত'র জন্য।

    আরো একটু শঙ্খ ঘোষ হোক :

    এজলাশ

    মাতঙ্গিনী হাজরাকে আমরা গুলি করে মেরেছি ধর্মাবতার
    সত্যি যে, মেরেছি আসামের স্কুলছাত্রী কনকলতা বরুয়াকে
    ঘরের বউ ভোগেশ্বরী ফুচননি-কে-
    সত্যি যে, দৈবাৎ আমরা নারীঘাতী, অসহায়ভাবে নারীঘাতী আমরা দৈবাৎ।
    কিন্তু ভাবুন ধর্মাবতার, ভাবুন ঐ আন্দোলনওলাদের ধাষ্টামো
    "ভারত ছাড়ো' হাঁক দিয়ে কাপুরুষেরা সামনে এগিয়ে দিয়েছিল মেয়েদের
    আমাদের হাত কলঙ্কিত করে দেবার জন্য
    ভাবুন কী ঘৃণ্য সেই চক্রান্ত, ধর্মাবতার।

    অমৃতসরে আমাদের নিছকই এক বদলা নেবার দিনটায়
    পাঁচিলঘেরা বাগানে যেখানে একটাই মাত্র সরু প্রবেশপথ
    যৎকিঞ্চিত নারীশিশুকে আমরা খুন করে ফেলেছি ঠিকই
    ওদের বুকের দিকে ছিটকে ছিটকে গেছে গুলি মাত্র ষোলশো রাউণ্ড
    আর খামোখাই লালরঙে ভিজে গেছে মাটি।
    ঠিক, কিন্তু ভাবুন ধর্মাবতার
    কোন হীন মতলবে ওখানে ওদের টেনে এনেছিল পাঞ্জাবের বুরবকরা
    আমাদের-শুধু আমাদেরই জব্দ করবার জন্য !

    কিন্তু না
    কোনো এজলাশে একথা বলতে পারেনি কেউ
    আশ্চর্য যে
    সাফাই গাইবার জন্য এইটুকু বুদ্ধিও সেদিন হয়নি হাবা ইংরেজদের।
  • I | 59.93.219.77 | ৩০ নভেম্বর ২০০৯ ১২:০৫633238
  • স-বিনয় নিবেদন

    আমি তো আমার শপথ রেখেছি
    অক্ষরে অক্ষরে
    যারা প্রতিবাদী তাদের জীবন
    দিয়েছি নরক করে।

    দাপিয়ে বেড়াবে আমাদের দল
    অন্যে কবে না কথা
    বজ্রকঠিন রাজ্যশাসনে
    সেটাই স্বাভাবিকতা।

    গুলির জন্য সমস্ত রাত
    সমস্ত দিন খোলা-
    বজ্রকঠিন রাজ্যে এটাই
    শান্তি ও শৃঙ্খলা।

    যে মরে মরুক, অথবা জীবন
    কেটে যাক শোক করে-
    আমি আজ জয়ী, সবার জীবন
    দিয়েছি নরক করে।
  • I | 59.93.219.77 | ৩০ নভেম্বর ২০০৯ ১২:১১633241
  • থাকা

    একটি কথা কখনৈ বলব না ভেবেছি আদি থেকে
    বন্ধুরা তবুও বারেবারে
    টেনে নিতে চায় সেই অমোঘ বর্ণেরই দিকে, বলে :
    সময় কি হয়নি জানার?

    ব্যথায় ভরেছে মাটি-জলের আঘাত লেগে লেগে
    শুয়ে আছে ম্রিয়মাণ বুকে
    উড়ে-আসা বটপাতা স্থির হয়ে রয়েছে কপালে
    মধু তুলে এনেছি ঝিনুকে।

    মুখে দিয়ে বলি : এই ধুনো, এই আলোর সেতুতে
    মিলে যাওয়া জলের দুধার
    যা ছিল যা আছে আর থাকবে যা-সব এক হয়ে
    ভরে থাক মুহূর্ত তোমার।

    একটি কথা কখনৈ বলব না ভেবেছি সোজাসুজি
    হয়নি তা বলার সময়
    আছি, তবু ভাঙা এই দেশকাল নিয়ে আজও আছি-
    এরও চেয়ে বড়ো কিছু হয়?
  • saikat | 202.54.74.119 | ৩০ নভেম্বর ২০০৯ ১২:৪০633242
  • দুখে,

    সেলিম মল্লিকের বই বেরিয়েছে মনে হয়, সপ্তাহ খানেক/দুএক আগে আবাপে উল্লেখ দেখলাম। আমি পড়েছি একটা পত্রিকা থেকে।
  • aranya | 98.221.52.119 | ৩০ নভেম্বর ২০০৯ ১৩:০২633243
  • I-এর শেষ দুটো কবিতাও ধরে নিচ্ছি শঙ্খ ঘোষের। এই কবি যে এখনো আমাদের মধ্যে আছেন, এখনো সৃষ্টিশীল, "বিবেক' কথাটা জানিনা ইতিমধ্যে ক্লিশে হয়ে গেছে কিনা, কিন্তু জাতির বিবেকের মতই তার উপস্থিতি - এটা নি:সন্দেহে, এই দূর্দিনে একটা বড় পাওনা।
  • tkn | 122.161.63.245 | ৩০ নভেম্বর ২০০৯ ১৭:২৬633244
  • I, 'থাকা' কবিতাটার দ্বিতীয় লাইনে বারেবারে আছে? নাক বারেবার? আমার মনে হচ্ছে 'বারেবার' আছে হয়ত। ভুলও হতে পারে
  • I | 59.93.223.37 | ৩০ নভেম্বর ২০০৯ ১৯:৪৫633245
  • না:, চেক করলাম। "বারে বারে'; "বারেবার' নয়।
  • I | 59.93.223.37 | ৩০ নভেম্বর ২০০৯ ১৯:৪৭633246
  • যদিও হিসেবমত "বারেবার' হওয়ারই কথা। ছাপার ভুলও তো কতসময় হয়।
  • aranya | 144.160.226.53 | ৩০ নভেম্বর ২০০৯ ২০:১৩633247
  • বারেবার না বার বার ?
  • m | 173.26.17.106 | ৩০ নভেম্বর ২০০৯ ২০:২৩633248
  • বোকা,
    আমি খুব ভালো বেঁচে আছি
    ছদ্ম সংসারে কানামাছি।

    যাকে পাই তাকে ছুঁই,বলি
    কেনযাস এ গলি ও গলি?

    বরং একবার অকপট
    উদাসীন খুব হেসে ওঠ্‌-

    শুনে ওরা বলে এটা কে রে
    তলে তলে চর হয়ে ফেরে?

    এমন কী সেদিনের খোকা
    আঙুল নাচিয়ে বলে 'বোকা'!

    সেই থেকে বোকা হয়ে আছি
    শ্যাম বাজারের কাছাকাছি।

    শঙ্খ ঘোষ

  • I | 59.93.223.37 | ৩০ নভেম্বর ২০০৯ ২০:২৮633249
  • আমাদের ঠাকুর্দা জলঢাকায় বেড়াতে গিয়ে নীলবসনা এক পরীর
    দেখা পান ১৮ বছর বয়সে। নীলবসনার নীলিমায় আচ্ছন্ন হয়ে
    তিনি ৬ মাস কাটান এবং তাঁকে নিজের ঘরণী করে শেষ জীবনে
    আক্ষেপ করেন, "কাঠকুড়োনির সঙ্গে কেটে গেল এই জীবন।'

    ঠাকুমাকে অবশ্যি আমি কোনোদিন আক্ষেপ করতে শুনিনি।
    ঠাকুর্দাকে তিনি দুমুঠো চালের ভাত ফুটিয়ে দিতেন
    বন থেকে কুড়িয়ে আনা কাঠের আগুনে। আমাদের শোনাতেন
    রূপকথার আশ্চর্য সব গল্প আর শাপভ্রষ্ট পরীদের কাহিনী।

    আমার বাবা তাঁর উনিশ বছর বয়সে একটি রাজহংসীর দেখা পান
    হাঁসখালিতে বেড়াতে গিয়ে। শেষ বয়সে বাবা আক্ষেপ করতেন,
    "হায়, কোথায় গেল রাজহংসীর সেই রূপ, শাদা ডানার চঞ্চলতা।'
    আমি আমার মাকে দেখতুম , রান্নাঘরের জানালা দিয়ে
    দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে। তাঁরও মুখে শুনেছি
    শাপভ্রষ্ট দেবদেবীর গল্প।

    ছাব্বিশ বছর বয়সে একদিন আমিও হঠাৎ টের পাই, বি. কে. পাল
    এভিনিউর সন্ধ্যায় এক রাজকন্যা মৎসকুমারীর বেশে হাঁটছে।
    এখন তিনি আমার স্ত্রী। শোবার ঘরে জানালায় চোখ রেখে
    নাতি নাতনীদের শোনাচ্ছেন শাপভ্রষ্ট দেবদেবী আর
    লালপরী, নীলপরী ও রাজহংসীদের গল্প।

    আমি দূরাগত এক নক্ষত্রের ঝিকিমিকি টের পাই গল্পের
    ফাঁকে ফাঁকে। জলের কল্লোল শুনি, ডানার ঝটপট। মৎসকন্যার
    চোখে এখনো কি ভেসে আসে দূর সমুদ্রের কোনো দৃশ্য?

    শাপভ্রষ্ট দেবদেবীদের নিয়ে আমাদের পরিবারের ঐতিহ্য।
    যেন বা স্মৃতির মতো লেগে আছে স্বর্গের আভাস।

    (শাপভ্রষ্ট, গৌরাঙ্গ ভৌমিক)
  • m | 173.26.17.106 | ৩০ নভেম্বর ২০০৯ ২০:৩২633250
  • মুখর প্রচ্ছদ ভেঙে দেখা যায় না মুখের আদল
    অধিকাংশ দিন।

    শুধু
    কখনো কখনো
    স্নানশেষে ঘরে ফিরে এলে

    হঠাৎ তোমাকে দেখে মনে হয় সেজে আছো খুব।
  • I | 59.93.223.37 | ৩০ নভেম্বর ২০০৯ ২০:৩৭633252
  • কার কবিতা?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন