এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • প্রিয় কবিতা

    Riju
    অন্যান্য | ১৮ জুলাই ২০০৬ | ৩৯১২১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • tkn | 122.162.42.61 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৯:১৭633353
  • খাবার জলে মিশেছে আর্সেনিক
    জলখাবরে মিলতে পারে পাস্তা
    শত্রু তোমায় চিনিয়ে দেবে শ্রেণি
    বন্ধু তোমায় দেখিয়ে দেবে রাস্তা

    এইটুকুই তো। আর বাকি সব বাতিল
    বিরাট একটা ইলিউশনে বন্দি
    তারই মধ্যে বাহানা বর্ষাতি
    সন্ধ্যেবেলা ঠিক করে দেয়, কোন দিক...

    আনমনা পথ পেরোও কোনোক্রমে
    দু'দিকে যার ছল, অজুহাত, বায়না....
    সব রাস্তা যেতেও পারে রোমে,
    সব SMS তোমার কাছে যায় না।
  • aka | 168.26.215.13 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৯:৩৩633354
  • এই শেষ কবিতাটা কার লেখা?
  • tkn | 122.162.42.61 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৯:৩৫633356
  • হুঁ...শ্রীজাত
  • I | 59.93.255.178 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৯:৩৫633355
  • ছন্দে মালুম দিচ্ছে শ্রীজাত।
  • I | 59.93.255.178 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৯:৪১633357
  • শ্রীজাত হলেন ছোগড়া। সবে প্রেম কচ্ছেন। সদ্য এসেমেস-টেসেমেস পাঁটাচ্ছেন। তার কিছু যাচ্চে, কিছু যাচ্চে না। এ তো আর আমি কিম্বা ডিডি কিম্বা জয় গোঁসাইয়ের মত প্রৌঢ় নয়, যে মুখ হাঁড়ি করে বসে আছে! নতুন টেকনোলজি শিখতেও মন চাইছে না। সকালে উঠে আপিস যেতে ইচ্ছে করে না !
  • tkn | 122.162.42.61 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৯:৪৪633358
  • সে আর আমি

    তার যেরকম তছনছিয়া স্বভাব
    ঝড়ের পিঠে সওয়ার হয়ে আসে,

    আমিও তেমন অজ পাড়াগাঁর নবাব
    সন্ধেবেলা মুক্তো ছড়াই ঘাসে

    তার যেরকম বিরুদ্ধতার মেজাজ
    হঠাৎ করে উল্টোদিকে ছোটে

    আমিও তেমন আগুনজলে ভেজা
    সময় বুঝে ঠোঁট বসাব ঠোঁটে

    তার যেরকম উল্টোপাল্টা খুশি
    হালকা রঙের বাতাসে চুল বাঁধে

    আমিও তেমন সিঁদুরে মেঘ পুষি
    কেমন একটা গন্ধ ছড়ায় ছাদে..

    তার যেরকম মন খারাপের বাতিক
    সন্ধে হলে ভাল্লাগে না কিছু,

    আমিও তেমন জলের ধারে হাঁটি
    বুঝতে পারি আকাশ কত নিচু

    তার যেরকম জাপটে ধরে সোহাগ
    আমায় ছাড়া চলে না একদিনও,

    আমিও তেমন দু-চার লাইন দোহা
    লেখার ওপর ছড়িয়ে থাকা তৃণ.....

    শ্রীজাত
  • tkn | 122.162.42.61 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৯:৪৬633359
  • শরীর থেকে শরীর ছোটে গন্ধ
    আগুন থেকে আগুন অপরাধ
    আকাশ থেকে আকাশ ছোটে বিদ্যুৎ
    পাহাড় থেকে পাহাড় ছোটে খাদ

    গুজব থেকে গুজব ছোটে মিথ্যে
    প্রহর থেকে প্রহর ছোটে দিন
    এঘর থেকে ওঘর ছোটে খেলনা
    কাগজ থেকে কাগজ আলপিন

    এ হাত থেকে ও হাত ছোটে ওড়না
    খবর থেকে খবর অভিঘাত
    আড্ডা থেকে আড্ডা ছোটে সন্ধে
    ক্লান্তি থেকে কান্তি ছোটে রাত

    এতই যদি ক্লান্ত, তবে লাভ কী?
    ছুট থামিয়ে বোসো কিছুক্ষণ।
    সেই সুযোগে নতুন করে ছুট দিক
    আমার থেকে তোমার দিকে, মন।

    শ্রীজাত
  • ranjan roy | 115.184.110.201 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:১৭633360
  • ইন্দোডাক্তার ও টিকেনস্যার,
    তোমরা আমাকে পাগল করে দিলে।
    ৩৬গড়ে এসব কিস্যু পাইনে। শেষ পড়েছিলাম---""পাগলী তোমার সঙ্গে''। আর শ্রীজাত পাক্ষিক দেশ ছাড়া কোথাও পড়িনি।
    জানুয়ারীতে কোলকাতায় এসে নিয়ে যাব মুঠো ভরে বগলে করে অনেক জয় ও শ্রীজাত।
  • a x | 143.111.22.23 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:২৭633361
  • লাস্ট স্তবকে এসে কেমন খটকা লাগছে।
  • san | 123.201.53.2 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:৩৪633363
  • 'ও যখন প্রতিরাত্রে মুখে নিয়ে এক লক্ষ ক্ষত
    আমার ঘরের দরজা খোলা পেয়ে ফিরে আসে ঘরে
    দাঁড়ায় দুয়ারপ্রান্তে সমস্ত বিশ্বের স্তব্ধতায়
    শরীর বাঁকিয়ে ধরে দিগন্তের থেকে শীর্ষাকাশ
    আর মুখে জ্বলে থাকে লক্ষ লক্ষ তারার দাহন
    অবলম্বহীন ওই গরিমার থেকে ঝুঁকে পড়ে
    মনে হয় এই বুঝি ধর্মাধর্মজ্ঞানহেন দেহ
    মুহূর্তে মূর্ছিত হল আমার পায়ের তীর্থতলে-
    শূন্য থেকে শূন্যতায় নিরাকার অস্ফূট নিশ্বাস
    মধ্যযামিনীর স্পন্দে শব্দহীন হল, তখনও সে
    দূর দেশে দূর কালে দূর পৃথিবীকে ডেকে বলে :
    এত যদি ব্যূহ চক্র তীর তীরন্দাজ, তবে কেন
    শরীর দিয়েছ শুধু, বর্মখানি ভুলে গেছ দিতে !"

    (শঙ্খ ঘোষ)
  • san | 123.201.53.2 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:৩৮633364
  • এত বেশি কথা বলো কেন? চুপ করো
    শব্দহীন হও
    শষ্পমূলে ঘিরে রাখো আদরের সম্পূর্ণ মর্মর

    লেখো আয়ু লেখো আয়ু

    ভেঙে পড়ে ঝাউ, বালির উত্থান, ওড়ে ঝড়
    তোমার চোখের নিচে আমার চোখের চরাচর
    ওঠে জেগে

    স্রোতের ভিতরে ঘূর্ণি, ঘূর্ণির ভিতরে স্তব্ধ
    আয়ু
    লেখো আয়ু লেখো আয়ু
    চুপ করো, শব্দহীন হও

    (শঙ্খ ঘোষ)
  • san | 123.201.53.2 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:৪৩633365
  • বৃষ্টি হয়েছিল পথে সেদিন অনন্ত মধ্যরাতে
    বাসা ভেঙে গিয়েছিল, গাছগুলি পেয়েছিল হাওয়া
    সুপুরিডানার শীর্ষে রূপোলি জলের প্রভা ছিল

    আর ছিল অন্ধকারে - হৃদয়রহিত অন্ধকারে
    মাটিতে শোয়ানো নৌকো, বৃষ্টি জমে ছিল তার বুকে
    ভেজা বাকলের শ্বাস শূন্যের ভিতরে স্তব্ধ ছিল

    মাটি ও আকাশ শুধু সেতু হয়ে বেঁধেছিল ধারা
    জীবনমৃত্যুর ঠিক মাঝখানে বায়বীয় জাল
    কাঁপিয়ে নামিয়েছিল অতীত, অভাব, অবসাদ

    পাথরপ্রতিমা তাই পাথরে রেখেছে সাদা মুখ
    আর তার চারধারে ঝরে পড়ে বৃষ্টি অবিরল
    বৃষ্টি নয়, বিন্দুগুলি শেফালি টগর গন্ধরাজ

    মুছে নিতে চায় তার জীবনের শেষ অপমান
    বাসাহীন শরীরের উড়ে যাওয়া ম্লান ইশারাতে
    বৃষ্টি হয়েছিল বুকে সেদিন অনন্ত মধ্যরাতে

    (শঙ্খ ঘোষ)
  • san | 123.201.53.2 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০১:০৪633366
  • সারারাত ঝড়ের পরে তোমার কাছে আসা
    ভেবেছি শিখিয়ে দেব সকালবেলার ভাষা

    সকালের গাছগুলো সব নিথর, জড়োসড়ো
    অভিযোগ, বাগ্‌বিতন্ডা এড়িয়ে চলে ঝড়ও

    সে কেবল ঝাপটা লাগায় বাতাসে আর জলে
    স্বভাবে দস্যু, তবু নিজের কথাই বলে

    আমিও আমার কথা বুঝিয়ে দিতে এসে
    দেখেছি চৌকাঠে দাগ, চাউনি একপেশে

    কে তোমায় কী বোঝাল, ভুল কিছু, না ঠিকই
    আমি তাও আমার কথা আমার মতই লিখি

    যতসব জটিল ব্যাপার এড়িয়ে চলে ঝড়ও
    আমার এই সহজ লেখা, সহজ ভাবেই পড়ো

    (শ্রীজাত)
  • tkn | 122.162.42.61 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০১:১৩633367
  • ঘড়ির কাঁটা বাছতে গিয়ে হাতে সময় বিঁধছে
    আঙুলে কেটে, না, রক্ত না, গরম গরম ইচ্ছে

    গড়িয়ে পড়ছে মেঝের ওপর। চাটতে এসে হায়না
    আমার কাছে থাকতে চাইছে (ফিরিয়ে দেওয়াও যায় না)

    এখন আমার সঙ্গে ঘুমোয়, গল্প করে, খায়-দায়
    আমরা আদান প্রদান করি বেঁচে থাকার কায়দা

    যেমন আমি রক্ত চাটা শিখছি, তবে আস্তে
    ওরও একটু সময় লাগবে ঘড়ির কাঁটা বাছতে ....

    শ্রীজাত
  • san | 123.201.53.2 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০১:২০633368
  • এবার তবে খুলে দেওয়া, সব বাঁধনই আলগা করে নেওয়া।
    যখন বলি, কেমন আছো? ভালো?
    'ভালো' বলেই মুখ ফিরিয়ে নেবার মতন মরুভূমি
    এবার তবে ছিন্ন করে যাওয়া।

    বন্ধ ছিল সদর, তোমার চোখ ছিল যে পাথর
    সেসব কথা আজ ভাবি না আর
    যাওয়ার পরে যাওয়া কেবল যাওয়া এবং যাওয়ায়
    আকাশ গন্ধরাজ।

    শিরায় শিরায় অভিমানের ঝরনা ভেঙে নামে
    দুই চোখই চায় গঙ্গাযমুনা
    মন কি আজও লালন চায়? মনকে বলো 'না'
    মনকে বলো 'না', বলো 'না' !
  • tkn | 122.162.42.61 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০১:২৪633369
  • সংসারগীতিকা - ১

    একমুঠো দুমুঠো চালে তিনমুঠো চারমুঠো
    ভাত রেঁধেছি। গরম। তুমি ঘুম থেকে না উঠো

    তুমি ঘুম থেকে উঠো না। সূরয পশ্চিমে যাক ঢ'লে
    মাথার ধারে জানলা খোলা, বৃষ্টি বেশি হলে

    বেশি বৃষ্টি হলেই চুল ভিজবে। চুলখোলা চুলভেজা
    শরীর বলে বাইরে যাব, মন বলে ঘরকে যা-

    ঘরে বউ আছে ঘুমন্ত, তার শিয়রে মোমবাতি
    আলগা, অলস হাত-পা, তবু স্বপ্ন দেখার বাতিক

    তাকে সুন্দরী করেছে। আমি দূর থেকে তাই দেখি
    ঠোঁটদুটো আধুনিক, আহা, চোখদুটো সাবেকি

    আমার ঘুম আসে না। ঠান্ডা ভাতে কব্য ঝ'রে পড়ে
    বৃষ্টি ধরে আসছে। কীসের আগুন লাগে খড়ে...

    ঘরে আগুন দিলেও মরব না আজ। আগলাব খড়কুটো
    শুধু ঘুম থেকে উঠো না তুমি, ঘুম থেকে না উঠো...

    শ্রীজাত
  • vikram | 86.43.82.35 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৫:২১633370
  • এই লোকটা, শ্রীজাত লিখেছিলো দেশ পত্রিকা শারদীয়ায় অনেক দিন আগে:

    তীক্ষ্ণ ফলায় গেঁথেছি চাঁদ
    আমি দিতে থাকি তোমাকে বাদ
    তোমাকে বাদ
    তোমাকে বাদ

    ইত্যাদি, এইটা খুব ভালো হয়েছিলো।

    কারণ এই লোকটি বলার চেষ্টা করছিলো (বা করেনি, আমি জোর করে বলছি) যে এই ভাষায়, এইভাবেই লোকে লেখে, লোকে লিখবে, বাকি সব আসিগিয়া। আমার ভালো লাগে এর বেশ কিছু লেখা। শুনেছি এর বন্ধু বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি আরো ভালো, কিন্তু আমার এখনও মনে হয় যে শ্রীজাত বন্যোর লেখার আর্বান লোকেদেদ্র পক্ষে ভালো। এইটা আসা ভালো। কারাণ কবিতায় তো আর্বান ইনফ্লুএন্স ছিলই না। সবই তো হয় বালের ভাঙা প্রেম, সিপিএম, ও অবক্ষয়ী সমাজের সিনিয়ার সিটিজেন, এইসব। :-*(
  • mk | 98.221.52.119 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৫:৫৮633371
  • বাহ বেশ!
  • vikram | 86.43.82.35 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৬:২৫633372
  • আরও দু লাইন মনে পড়লো কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো:

    চাঁদ ফেটে নামে চাঁদের কোষ
    তোমার দোষ
    তোমার দোষ

    এইগুলি ভালো।
  • mk | 98.221.52.119 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৬:৪২633374
  • চেষ্টা চালাও আরো মনে পড় বে।
  • m | 173.26.17.106 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:০১633375
  • শহরে যখন কেউ পাগল হয়,তখন সে ট্রাফিক পুলিশ হয়ে যায়।নিজের খেয়ালে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে,ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে,দিনের পর দিন।নিখুঁত তার হাতের মুদ্রা, অটুট তার গাম্ভীর্য।কেবল তার নিয়ন্ত্রিত গাড়িঘোড়াগুলি সম্পূর্ণ অলীক।সেসব গাড়িঘোড়া কাউকে চাপা দেয় না,কোনো প্রিয়জনকে বাসস্টপে নামিয়ে দিয়ে যায় না..

    রণজিৎ দাশ
  • tkn | 122.162.42.61 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:৫৩633376
  • বিক্রমের মনে পড়া কবিতাটা

    চন্দ্রকোষ-

    তীক্ষ্ণফলায় গেঁথেছি চাঁদ
    খেলা শুরু হলে তোমাকে বাদ
        (তোমাকে বাদ তোমাকে বাদ)

    গলিয়ে ফেলেছি পুরনো ঘুম
    পথ হারানোর কী মরশুম
        (কী মরশুম, কী মরশুম)

    হারিয়েছি পথ তোর পাড়ায়
    ইতিউতি কারা গলা বাড়ায়
         (সাহস তো খুব! গলা বাড়ায়!)

    গলা কেটে নাও। কাটা গলায়
    ঝরে পরে সুর। আর ফলায়
    চাঁদ ফেটে নামে চন্দ্রকোষ
         (তোমার দোষ! তোমার দোষ!)

    দোষ কেটে যায়, আহা, নিখাদ
    খেলা শুরু হয়
    খেলা শেষ হয়
    আমি দিতে থাকি তোমাকে বাদ
           তোমাকে বাদ
            তোমাকে বাদ

    (শ্রীজাত)
  • tkn | 122.162.42.61 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:০৩633377
  • পুরানো সেই দিনের কথা-

    চন্দ্র সেন মহাত্মন    ক্লাসে পা রাখিয়া কন,
        "সাধ ছিল বাগান করার"
    অগ্রে বসা ফুলদল    হাসিল ছলাৎছল
        ছেলেদের মাথায় ডাস্টার।

    অত:পর ধুলা ঝাড়ি    স্মার্ট হইল রাম আনাড়ি
        কিন্তু অগ্রপশ্চাৎ ভুলিল
    ফল যা হবার তাই    বাঘের অভাব নাই
        তার উপরে সন্ধ্যাও নামিল

    সন্ধ্যাবাজারের ধারে    সুশ্রী ফ্ল্যাট কিনিবারে
        সাহায্য চাইলাম জনে জনে
    কেহ দিল নিষ্ঠুরতা    কেহ বা কথার কথা
        ইতিমধ্যে মলয় পবনে -

    ফুলেরা যে যার মতো    গৃহকুঞ্জে অবনত
        হইয়া বর পাইল- দামি মালি
    সামান্য পরাগদান    লুকাইয়া রাখিলাম
        পাছে একহাতে বাজে তালি।

    লুকাইল রবিশশী    আজ স্টেট বাসে বসি
        যাইতেছি চাকুরি করিতে
    আচমকা গোলাপি ত্বক     হৃদয়ে চালায় নখ
        অতীত ফিরিল আচম্বিতে।

    উচ্চতায় পাঁচ চার    লক খোলে দরোজার
        চেনা ফুল, কাশ্মীরি ঘরানা
    এক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদী    ছিনু দুই বৎসরাদি
        তাই বুঝি হাসিতেও মানা?

    - বিনায়ক বন্দ্যোপধ্যায়

  • kanti | 125.20.11.34 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৩:০১633378
  • হামি জমিদারবাবুর দারোয়ান। সড়কের পাশে
    দেউড়িমে থাকি। খৈনি খাই।ঘাসে
    লাঠি ঠুকি। রসুই পাকাই।
    বাবু মস্ত রাজা। আছে নোকর-নায়েব-সিপাই
    আউর পুরনো মস্ত বাড়ি
    আউর বারোটা জুড়ি, সতেরটা হাওয়া গাড়ি।

    বাবুর বড়ছেলে মেট্ট্রিক পাশ দিলো।
    বাবু সাতদিন মদ কেলো।
    দোসরা মহলে বাবুর লেড়কা ভি। মস্ত ভোজ হোলো। বাইজি
    নাচলো; মাইজি
    বড়া ভারি সোনার হার বকশিশ দিলো।
    মিষ্টিবিলি হোলো।

    সেদিন খেঁদিঝি আউর তার
    লেড়কিকে মাইজি ঝাঁটাপিটে তাড়ালো। হামি জানি কার
    ঘরে মাঝরাতে
    তার লেড়কিকে মিলেছিলো। (সে বাবুর বড়ছেলে) তাতে
    হামাদের কী?
    হামি খৈনি খাই, রসুই পাকাই, দেউড়িমে থাকি।
  • kanti | 125.20.11.34 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৩:২২633379
  • বাবুর এক বিটি ভি আছে।
    ডেরাইভারের কাছে
    সে ঠাট্টা করতো, হাসতো ভি
    মগর্মালোম হুয়া নেই তার সাথ ভগবে কভি।
    ভিতর-ভিতর বহুৎ গন্ডগোল; পুলিশ রুপেয়া ঘুষ
    হামরা ভি বকশিশ পেয়ে খুশ।
    লেড়কি লৌটে্‌ক এলো
    ফুর্তিসে বাবু আউর লেড়কা দোসরা-দোসরা মহলে বহুৎ মদ খেলো।

    ইসমে তুমার কী, হামার ভি কী?
    হামি জমিদারবাবুর দরোয়ান, দেউড়িমে থাকি।

    --কামাক্ষীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় ।
    ১৯৪৮শে প্রকাশিত 'একা' কাব্য গ্রন্থ থেকে ।।
    একটু অন্য স্বাদের জন্য তুললাম
  • san | 123.201.53.2 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৭:৩০633380
  • যদি পারো দু:খ দাও, আমি দু:খ পেতে ভালোবাসি
    দাও দু:খ, দু:খ দাও - আমি দু:খ পেতে ভালোবাসি।
    তুমি সুখ নিয়ে থাকো, সুখে থাকো, দরজা হাট-খোলা।

    আকাশের নিচে, ঘরে , শিমূলের সোহাগে স্তম্ভিত
    আমি পদপ্রান্ত থেকে সেই স্তম্ভ নিরীক্ষণ করি।
    যেভাবে বৃক্ষের নিচে দাঁড়ায় পথিক, সেইভাবে

    একা একা দেখি ওই সুন্দরের সংশ্লিষ্ট পতাকা।

    ভালো হোক মন্দ হোক যায় মেঘ আকাশে ছড়িয়ে
    আমাকে জড়িয়ে ধরে হাওয়া তার বন্ধনে বাহুর।
    বুকে রাখে, মুখে রাখে - 'না রাখিও সুখে প্রিয়সখি!
    যদি পারো দু:খ দাও আমি দু:খ পেতে ভালোবাসি
    দাও দু:খ, দু:খ দাও - আমি দু:খ পেতে ভালোবাসি।
    ভালোবাসি ফুলে কাঁটা, ভালোবাসি, ভুলে মনস্তাপ -
    ভালোবাসি শুধু কূলে বসে থাকা পাথরের মতো
    নদীতে অনেক জল, ভালোবাসা, নম্রনীল জল -
    ভয় করে।"

    (শক্তি চট্টোপাধ্যায়)
  • san | 123.201.53.2 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৭:৩৩633381
  • কেন অবেলায় যাবে? বেলা হোক, ছিন্ন করে যেও
    সকল সম্পর্ক ! যেন গাছ থেকে লতা গেছে ছিঁড়ে
    একটি বিষণ্ন লোক থাকে যেন হাস্যময় ভীড়ে

    কেন অবেলায় যাবে? বেলা হোক, ছিন্ন করে যেও
    সকল সম্পর্ক

    ( শক্তি চট্টোপাধ্যায়)
  • P | 109.76.81.200 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৮:৩১633382
  • কে বলে কবিতা বুঝতে ভয়ানক আঁতেল আর বুঝিল হতে হয় ?

    " কেউ যায় অন্ধকারে , কেউ যায় ছয়ার মতন.......
    কলরব আছে তাই
    সন্ধ্যেবেলা ঘরের দাওয়ায়
    সুখে বসে কথা কয় গুটিকয় আত্মীয়স্বজন.............

    এতো জীবন দিয়ে লেখা। ছবির মতন ফ্ল্যাশব্যাক দেখলুম এ কটা লাইন পড়ে। পাত্র-পাত্রী সব বদলে গ্যাছে। ঘরের সেই দাওয়াটাও। তবু এককালে তো ছিল , এমন একটি নিবিড় সুখের জীবন।

    অনেক ধন্যবাদ দুখে।
  • saikat | 59.94.2.138 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ২১:২০633383
  • রহস্যময় এই গাছ যে তোমাকে ফল দেয়
    মায়াবী এই নদী যে তোমার অবগাহনের সাক্ষী
    অলৌকিক এই সরাই যার নি:সঙ্গতা তোমার শরীরকে
    করে তুলেছে সংলাপমুখর
    পরিব্যাপ্ত এই বায়ু যা ভরিয়ে তুলেছে তোমার ঘর
    বইগুলো গুছিয়ে রাখছে
    আর পরিষ্কার রাখছে তোমার বিছানা আর জামাকাপড়
    উদাসীন এই আকাশ যা বেদনা আর উন্মাদনার জন্ম দিয়েছে
    তোমার ভেতর
    ইশারাময় এই গ্রন্থ যা তোমাকে দিয়েছে অন্তহীন পাঠের আনন্দ;
    পূর্ণতাময় এই নক্ষত্রলোক যে তোমাকে মাঝরাতে
    ঘুম ভেঙে জেগে ওঠার বিস্ময়বোধ দিয়েছে
    আনন্দময় এই তৃণভূমি যে তোমার শিকারী চরিত্রকে তৃপ্ত
    করেছে
    জাদুকরী এই নিশিযাপন যা আগুন আর বরফের কাহিনী শোনায়
    নিয়তির মতো এই নারী
    যে তোমার ভালবাসার শেষ দেখতে চায়
    তার স্বপ্নগুলোকে বাঁচিয়ে রাখবে বলে।

    (রহস্যগল্প, সর্বজিৎ সরকার)
  • I | 59.93.213.79 | ১০ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:০৭633385
  • স্যানের সঙ্গে কি টেলিপ্যাথি যোগ? একইসঙ্গে একই কবিতা পড়ার কপাল?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন