এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • প্রিয় কবিতা

    Riju
    অন্যান্য | ১৮ জুলাই ২০০৬ | ৩৮৬৪৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 115.184.0.1 | ১৫ জানুয়ারি ২০১০ ০৭:৩২633452
  • শুচিস্মিতা কি লাউটোকা, ফিজি? আরও অনেক গুণের সঙ্গে নানারকম রান্নার একস্পার্ট?
    অবশ্যি ফিজিবাসিনী ছাড়াও আরোএক্‌জন শুচিস্মিতা আছেন।

    আচ্ছা, পায়ে পায়ে কবিতা-১ কেউ একটু তুলেদিতে পারবেন? আমার একটু দরকার।
  • SS | 128.248.169.131 | ১৫ জানুয়ারি ২০১০ ০৮:২৭633453
  • রঞ্জনদা, ওই 'পর্বে পর্বে কবিতা' টইটা তোলা গেলনা কারণ ওটায় পোস্টের লিমিট ছাড়িয়ে গেছে। আপনি উপরে ডানদিকে টইপত্তরের সার্চে গিয়ে নামটা টাইপ করুন পেয়ে যাবেন।
  • sinfaut | 117.194.196.80 | ১৫ জানুয়ারি ২০১০ ০৮:৪৬633455
  • লিখতে পারছিনা - ৩
    ==========================

    তবে কি সত্যিই আমি
    তবে কি সত্যিই আমি
                      স্বরক্ষেপন ভুলে গেছি।

    একটা সত্যি কথা আপনাদের বলে রাখা ভালো।
    আদ্যোপান্ত বৃদ্ধ আর খাঁটি।
    একবার শিখলে পরে কক্ষনও ভোলেনা কেউ
    স্বরক্ষেপন বিদ্যাটি।
    (যেমন ভোলাই যায় না, উপনয়নের দিনে, ভিজে যাওয়া পরব কাঠামো)

    আমার দ্বিতীয় স্বরে কবিতারা কথা বলবে। থামো।

    - দীপাংশু আচার্য
  • sinfaut | 117.194.196.80 | ১৫ জানুয়ারি ২০১০ ০৮:৪৯633456
  • লিখতে পারছি না - ২
    ===========================

    সেরকম কিছুই দেখিনি।

    সেরকম কিছু বলতে, যেরকম কিছু দেখলে
    রসিয়ে রসিয়ে লেখা যায়। কিছুই দেখিনি মাইরি।

    যেমন ধরুন বলছি &mdash পাহাড়ের শ্বেতকিস্‌সা, জঙ্গলের ঝন্‌ঝন্‌,
    সেয়ানা ক্লিপের স্বপ্ন কিম্বা হানাবাড়ি ...

    অতএব আমি শুধু আমি আমি লিখে যেতে পারি।

    - দীপাংশু আচার্য
  • sinfaut | 117.194.196.80 | ১৫ জানুয়ারি ২০১০ ০৮:৫৪633457
  • ছুট্‌বল
    ===========

    আয়তক্ষেত্র আমাদিগে নিয়ন্ত্রণ করে
    যাহারা উল্লাস ছিল &mdash
    হাততালি হয়ে যায় উদাসীন ধরনের ...

    আয়তক্ষেত্র হওয়ায় এসব।

    নেশা খুব পয়া জানো, পয়ারের মতো

    দুয়ে মিলে &mdash
    আয়তক্ষেত্র আর নেশা
    আমাদের কী দারুণ নিদারুণ করে দ্যায় ...

    নিজেদেরই নিজেদের মনে হয় &mdash
    বেড়াতে যাওয়ার মতো স্টেশনের ধারে ধারে
                                  বসে থাকা ছিমছাম লজ।

    এবং ভূগোল ভেদে
                      আনখ পাল্টে যায়
                               আয়তক্ষেত্রময় কিছু ডজ ...

    - দীপাংশু আচার্য
  • sinfaut | 117.194.196.80 | ১৫ জানুয়ারি ২০১০ ০৯:২২633458
  • সমস্ত অসুখ
    ==============

    ধারণার অনেক প্রজাতি
    তার মধ্যে একটা প্রজাতি
                    পরিমাণমতো জমলে
                              চিরায়ত ঘুম সৃষ্টি হয়

    এদের ভেতরে ফের
    কতিপয় মারা গেলে
    মানুষের চোখ কমে আসে

    অল্প এক ছিলিমের কানায় সকাল বেলা
              নিজেকে আবিষ্কার করে তারা

    সারাদিন ফেলে রাখে ছিপ

    বাবাকে কুমারী মনে হয়
              কুমারীকে ঘুমের মোটিফ

    - দীপাংশু আচার্য
  • Rajdeep | 61.14.13.7 | ১৫ জানুয়ারি ২০১০ ০৯:২৯633459
  • সিঁফো - দীপাংশুর এই কবিতার বই আর প্রকাশকের নাম কি?
  • ranjan roy | 115.184.0.1 | ১৫ জানুয়ারি ২০১০ ০৯:৩০633460
  • SS এবং পাইকে ধন্যবাদ। সত্যিই "পর্বে পর্বে কবিতা-১" চাইছিলাম। বুড়ো বয়সে যাতা! পায়ে-পায়ে কবিতা?
  • sinfaut | 117.194.196.80 | ১৫ জানুয়ারি ২০১০ ০৯:৩১633463
  • মেলায় দেখো নাই? :)

    বই - উবু সব মাদারির ভীড়
    প্রকাশক - হুডিনির তাঁবু।
  • Ri | 121.241.218.132 | ১৫ জানুয়ারি ২০১০ ১০:২৬633464
  • মেঘবালিকার ইউটিউব আছে নাকি?
  • Shuchismita | 71.201.25.54 | ১৫ জানুয়ারি ২০১০ ১৮:১১633465
  • মেঘবালিকার ইউটিউব আছে। সন্ধ্যেবেলায় দিয়ে দেব। কিন্তু কোথায় দেব? অন্তর্জাল টইতে?

    রঞ্জনদা, আপনি যাঁর কথা বললেন তিনি আমার নেমসেক মাসি। আমার অত গুন নেই :)

  • Shuchismita | 71.201.25.54 | ১৫ জানুয়ারি ২০১০ ১৮:১৫633466
  • এই &mdash গুলো কি কবিতার পার্ট নাকি? :o
  • omnath | 62.61.164.32 | ১৫ জানুয়ারি ২০১০ ২০:৪৬633467
  • ঋজু,

    আমায় তোর মেল আই ডি পাঠা।।। তোর গায়েব এর আই ডি তো চলছে না।
  • A | 24.34.250.7 | ১৬ জানুয়ারি ২০১০ ০৬:১৬633468
  • আমার একটা বহুদিন আগে পড়া,এবং খুব ভালো লাগা কবিতা মনে পড়ল। পুরো কবিতা টা মনে নেই, কারো হাতের কাছে আছে কি? তবে কিছু লাইন মনে আছে, খণ্ড খণ্ড ভাবে। অসাধারণ!

    অথবা পৌত্রীর বিবাহে আমি চুম্বক ছাড়া কিছু দেবো না ভেবেছি

    ----- ---- ----

    রুয়ার বিবাহে যাব বলে উঠেছি এইবার নিশিধাক্কার ঢেউয়ে ত্রস্ত হয়ে

    ------ ---- ------

    হে রুয়া আদিম পিতা জন্মমাত্র তুমি আপন লিঙ্গের অবাস্তব উচ্চতায় উচাটন করেছ জোৎস্না
    স্বাতী নক্ষত্রের ঈর্ষা হল ধর্মপত্নীর প্রতি ঈর্ষা হল রক্ষিতার নানাবিধ

    ----- ---- ------

  • A | 99.183.185.250 | ১৬ জানুয়ারি ২০১০ ১২:১৯633469
  • ছোট্ট নোট:

    উপরের 24.34.250.7-এর "A" কিন্তু আমি নই।

    ~অমৃতা/Amreeta
  • omnath | 85.154.255.46 | ১৬ জানুয়ারি ২০১০ ১৯:৪৮633470
  • রুয়ার কবিতা অমিত ছাড়া আর কার ভালো লেগে থাকতে পারে ভেবে কিছু মনেই পড়ল না। ওটা নিশ্চয়ই অমিত।
  • A | 128.103.93.213 | ১৬ জানুয়ারি ২০১০ ২২:০৬633471
  • হে হে!! উপরের 24.34.250.7 আমি, মানে A

    confusion এড়িয়ে যাওয়ার জন্য AM লিখব নাহয় এবার থেকে।
    --
    A /AM

  • A | 99.183.185.250 | ১৬ জানুয়ারি ২০১০ ২৩:৪৭633472
  • @ AM,

    সেই ভালো:)

    ~A
  • SB | 114.31.249.105 | ২৬ জানুয়ারি ২০১০ ১৫:০৭633474
  • প্রিয় কবিতা ঠিক নয়, কারণ আমি নৈরাজ্যবাদী নই, তবে বিখ্যাত কবিতা তো বটেই, এক এন আর আই বন্ধু হাংরিদের সম্পর্কে বই চায় খুঁজছে, সেই সুত্রেই মনে পড়ল, তাই দিয়ে দিলাম -

    মানুষের সঙ্গে কোন বিরোধ নেই - ফালগুনি রায়

    না, মানুষের সঙ্গে আমার আর বিরোধ নেই কোন-
    এখন পাওনাদার দুর্ঘটনায় পড়লে তাকে নিয়ে যেতে পারি হাসপাতাল
    প্রাক্তন প্রেমিকার স্বামীর কাছ থেকে অনায়াসে চাইতে পারি চার্মিনার
    দাড়ি গজানোর মত অনায়াস এ জীবনে আমি
    রামকৃষ্ণের কালীপ্রেমে দেখি সার্বজনীন যৌনসুখ
    একটা চটী হারিয়ে গেলে আমি কিনে ফেলি একজোড়া নতুন চপ্পল
    না, মানুষের সংগে আমার আর বিরোধ নেই কোন

    বোনের বুকের থেকে সরে যায় আমার অস্বস্তিময় চোখ
    আমি ভাইফোঁটার দিন হেঁটে বেড়াই বেশ্যা পাড়ায়
    আমি মরে গেলে দেখতে পাবো জন্মান্তরের করিডোর
    আমি জন্মাবার আগের মুহুর্তে জানতে পারিনি আমি জন্মাচ্ছি
    আমি এক পরিত্রাণহীন নিয়তিলিপ্ত মানুষ
    আমি এক নিয়তিহীন সন্ত্রাসলিপ্ত মানুষ

    -----

    ৫০ এর দশকের শেষে খাদ্য আন্দোলন, তার পড়েই ৬০-এর দশকের মধ্য ভাগে এই হাংরি আন্দোলন, কবিতা লিখে, সাহিত্য করে চাকরী খোয়ানো জেল খাটা বোধয় সেই প্রথম, টাইম ম্যাগাজিনেও হাংরিদের সম্পর্কে রিপোর্টিং, হারি জেনারেশন, বা হাংরি আন্দোলন কে একটা কাল্ট স্ট্যাটাস দিয়েছিল। এমনকি নক্সাল আন্দোলনের ভ্রূণ ও নাকি এই হাংরিদের মধ্যেই লুকিয়ে ছিল। দেবেশ রায়ই বোধয় লিখেছিলেন, হাংরি আন্দোলন তঙ্কÄগত বিশ্বের ক্ষেত্রে নকশালপন্থার প্রথম ইঙ্গিত। কর্মপ্রণালীর দিক থেকে এই দুটো আন্দোলনের পদ্ধ্বতি স্বতোপ্রণোদনার ওপর নির্ভর করে প্রচলিত ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা এনে দেয়া!

    আজকে দাঁড়িয়ে মনে হয় এসব প্রয়াস অর্বাচিন .... অপ্রাসঙ্গিক, যে কোন ধরনের অন্দোলনে নৈরাজ্যবাদের কোন মূল্য নেই, স্বতস্ফুর্ততার কোন স্থান নেই, মানে নেই।
  • Shuchismita | 71.201.25.54 | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:৪৮633475
  • "ভাঙিল দ্বার কোন সে ক্ষণ, অপরাজিত ওহে।
    এসেছ প্রেম, এসেছ আজ কি মহা সমারোহে।"

    ঝড়ের মত এসে পড়ল আর একটা প্রেম।
    এখন একে কোথায় বসাই
    একটা ঘরের পরিজন, অন্যটাতে
    লেখার কাগজ বইপত্তর
    বারান্দাভর

    অতিথ-স্বজন
    কোথায় বসাই?
    শক্ত হাতে সরিয়ে দেব?
    এক আঘাতে

    ছিন্ন করব
    মন থেকে মুখ?
    আমি কি আর তেমন কসাই?

    বয়স যখন অল্প ছিল কেউ আসেনি
    ঝর্না ঝোরা বনশ্রেনী
    কেউ আসেনি

    এখন এসে ঝড়ের মত ধাক্কা দিয়ে
    আমায় ফেলে

    বসে পড়ল, মাথার কাছে
    আঙুল দিয়ে
    চুল নেড়ে দেয়
    মাথার থেকে ছন্দ নিয়ে ছড়িয়ে ফ্যালে মাঠের ওপর
    যেন আমি চল্লিশোর্ধ্ব সংসারী নই
    সতেরো পার কিশোর ছেলে

    ছন্দেরা সব নিজের মত উড়তে উড়তে
    কেউ পাখি কেউ বৃক্ষ হল
    কেউ চালাঘর
    কেউ বা তালশিখর হয়ে চুল ঝাঁকাচ্ছে ঝড়ের সঙ্গে
    চুল ঝাঁকাচ্ছে, শিখর ভাঙছে, উড়ে পড়ছে বুকের ওপর...
    জ্ঞান হারালাম...

    সকালে ঘুম ভাঙতে দেখি
    সমস্ত মাঠ বৃষ্টিধোয়া
    মাঠের ওপর দাঁড়িয়ে আছে
    আধভাঙা গাছ, আধভাঙা ঘর
    সবভাঙা প্রেম
    অপরাজিত!

    - জয় গোস্বামী
  • dukhe | 117.194.225.126 | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:২৫633476
  • আমাদের ছোটোবেলায়, আমরা, সূর্যের বিষয়ে একটা গল্প শুনতাম । পৃথিবী ও তার ভাইবোনদের জন্মের ব্যাপারে । আজগুবি গল্প । কিন্তু শুনতাম । তাতে বলা হত, আদিকালে, সূর্য যখন তরুণ, তখন তার খুব কাছ দিয়ে মারাত্মক শক্তিশালী একটি নক্ষত্র চলে যায় । ধাক্কা লাগেনি । তাহলে তো ইতিহাস অন্যরকম হত । তবে এত কাছ দিয়ে যায় যে, সেই ভয়ানক তারার আকর্ষণে সূর্যের শরীর ফুলে ওঠে । সূর্য ছিঁড়ে একটা তোলপাড় আগুনের পিণ্ড ছুটে যায় সেই নক্ষত্রের দিকে । কিন্তু সেই নক্ষত্র তো আর দাঁড়িয়ে ছিল না, সে তার মধ্যে এক-অনন্ত দূর চলে গেছে । যেমন যাওয়ার কথা ।
    এখন এই উৎপাটিত আগুনপিণ্ড কী করল ? সে-ও তো আর ঐ সূর্যের আকর্ষণ থেকে বেরোতে পারল ন । তাই ঐখানেই নিজের সবটুকু আগুন নিয়ে সে জ্বালাপোড়া করতে লাগল আর ঘুরতে লাগল আর টুকরো হতে হতে ছিঁড়ে, ছড়িয়ে পড়ল দূরে দূরে.....

    এই গল্প শুনলে এখনকার ছেলেরা হাসবে । এখন অন্য গল্প পাওয়া যায় । আমরা যারা বড়, তারাও হাসি । কিন্তু কেউ কেউ আমরা এখনো রাতে একা ছাদে দাঁড়ালে কিংবা ঘুমের উড়ন্ত বারান্দায়, হঠাৎ এক ঝলক দেখতে পাই সেই সর্বনাশ ঘটানো চকিত গমনপথ, সেই তীব্র, সৌন্দর্যময়, পাগলকরা তারার মুখ আর নিজেদের সেই নিশিপাওয়া দৌড়, তার ঘরছাড়া-করা আহ্বান দেখতে পাই । আমাদের স্ত্রী-পুত্ররা জানে না, কিন্তু দায়দায়িত্বের মধ্যে ডুবে যেতে যেতেও মাঝে-মাঝে আমরা বুঝতে পারি দূর থেকে আমাদেরও অনুসরণ করে চলেছে, প্রদক্ষিণ করে চলেছে এদের অচেনা সব আগুনের পিণ্ড.....

    - জয় গোস্বামী
  • M | 59.93.244.196 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৮:৫৬633477
  • দু এর জন্য,
    নক্সী-কাঁথার মাঠ

    কবি জসিম উদ্দিন

    (১)
    বন্ধুর বাড়ী আমার বাড়ী মধ্যে ক্ষীর নদী
    উইড়া যাওয়ায় সাধ ছিলো,পাঙ্খা দেয় নাই বিধি।
    ---রাখালী গান।

    এই এক গাঁও,ঐ এক গাঁও,--মধ্যে শূনো মাঠ--
    খানিকটা তা'র ধানে ভরা,খানিক ভরা পাট।
    এ-গাঁও যেন ফাঁকা ফাঁকা,হেথায় হোথায় গাছ;
    গেঁয়ো চাষের ঘরগুলি সব দাঁড়ায় তারি পাছ।
    ও-গাঁয় যেন জমাট বেঁধে বনের কাজল-কায়া
    ঘরগুলিরে জড়িয়ে ধ'রে বাড়ায় ঘরের মায়া।
    এ-গাঁও চেয়ে ও-গাঁর দিকে,ও-গাঁও এ-গাঁর পানে,--
    কতদিন যে কাটবে এমন কেইবা তাহা জানে!
    মাঝখানেতে জলীর বিলে জ্বলে কাজল-জল,
    বক্ষে তাহার জল-কুমুদী মেলছে শতদল।
    এ-গাঁ'র ও-গাঁ'র দু'ধার হ'তে পথ দু'খানি এসে
    জলীর বিলের জলে তা'রা পদ্ম ভাসায় হেসে,
    কেউবা বলে--আদ্যিকালে এই গাঁর এক চাষী
    ঐ গাঁর এক মেয়ের প্রেমে গলায় পরে ফাঁসি;
    এ-পথ দিয়ে একলা মনে চলছিলো ঐ গাঁয়ে,
    ও-গাঁর মেয়েও আসছিলো সে নূপুর-পরা পায়ে।
    এই খানেতে এসে তা'রা পথ হারালো,হায়,
    জলীর বিলে ঘুমিয়ে আছে জল-কুমুদের গায়।
    কেইবা জানে হয়ত তা'দের মাল্য হতেই খসি
    শাপলা লতা মেলছে পরাগ জলের উপর বসি'।
  • M | 59.93.244.196 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:১৬633478
  • মাঠের মাঝে জলীর বিলের জোলো রঙের টিপ--
    জ্বলছে যেন এ-গাঁ'র ও-গাঁ'র বিরহেরি দীপ!
    বুকে তাহার এ-গাঁর ও-গাঁ'র হরেক রঙের পাখী
    মিলায় সেথা নূতন জগৎ নানান সুরে ডাকি'।
    সন্ধ্যা হলে এ-গাঁ'র পাখী এ-গাঁও পানে ধায়,
    ও-গাঁর পাখী ও-গাঁয় চলে বনের কাজল-ছায়।
    এ-গাঁ'র লোকে নাইতে আসে, ও-গাঁ'র লোক ও আসে,
    জলীর বিলের জলে তারা জলের খেলায় ভাসে।
    এ-গাঁও ও-গাঁও মধ্যে ত দুর,--শুধুই জলের ডাক,
    তবু যেন এ-গাঁয় ও-গাঁয় নাইক কোন ফাঁক।
    ও-গাঁর বধু ঘট ভরিতে যে ঢেউ জলে জাগে
    কখন কখন দোলা তাহার এ-গাঁয় এসেও লাগে।
    এ-গাঁর চাষী নিঘুম রাতে বাঁশের বাঁশীর সুরে
    ওই না গাঁয়ের মেয়ের সাথে গহন ব্যাথায় ঝুরে।
    এ-গাঁও হ'তে ভাটির সুরে কাঁদে যখন গান,
    ও-গাঁ'র মেয়ে বেড়ার ফাঁকে রয় সে পেতে কান।
    এ-গাঁও ও-গাঁও মেশামেশি কেবল সুরে সুরে;
    অনেক কাজে এরা ওরা অনেক খানি দুরে।

    এ-গাঁর লোকে দল বাঁধিয়া ও-গাঁর লোকের সনে
    কাইজা ফ্যাসাদ করছে যা জানেই জনে জনে।
    এ-গাঁর লোকে করতে পরখ ও-গাঁর লোকের বল
    অনেক বারই লাল করেছে জলী-বিলের জল।
    তবু ভাল, এ-গাঁও ও-গাঁও আর যে সবুজ মাঠ
    মাঝখানে তা'র ধুলায় দোলে দুখান দীঘল বাট।
    মাঝখানেতে ধান-কাউনে অথই রঙের মেলা,
    এ-গাঁর হাওয়ায় দোলে দেখি ও-গাঁয় যাওয়ার ভেলা।
  • M | 59.93.243.222 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৪:১৬633479
  • ২)

    এক কালা দ'তের কালি,য্যাদ্যা কলম লেখি--
    আর এক কালা চক্ষের মনি,যাদ্যা দৈনা দেখি--
    ও কালা, ঘরে রইতে দিলিনা আমারে।

    --মুর্শীদা গান।

    এই গাঁয়ের এক চাষার ছেলে লম্বা মাথার চুল,
    কালো মুখেই কালো ভ্রমর,কিসের রঙীন ফুল।
    কাঁচা ধানের পাতার মত কচি-মুখের মায়া,
    তা'র সাথে কে মাখিয়ে দেছে নবীন তৃনের ছায়া।
    জালি লাউয়ের ডগার মত বাহু দুখান সরু;
    গা'খানি তার শাঙন মাসের যেমন তমাল তরু।
    বাদল ধোয়া মেঘে কে গো মাখিয়ে দেছে তেল,
    বিজলী-মেয়ে লাজে লুকায় ভুলিয়ে আলোর খেল।
    কচি ধানের তুলতে চারা হয়ত কোনো চাষী,
    মুখে তাহার ছড়িয়ে গেছে কতকটা তা'র হাসি।
  • Samik | 219.64.11.35 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৪:৪৮633480
  • এই লাস্ট কবিতাটা আলোর ফুলকিতে পড়েছিলাম।
  • ranjan roy | 122.168.243.71 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৫:০১633481
  • "" আমার ছেলের হাত কেটেছে
    কাটুক না হাত, তোর কি?
    উনি এলেন ওষুধ দিতে
    দরদ যত ওঁর কি?
    ভেঙে আমার ঘরের আগল
    ঢোকেই যদি ধুমসো ছাগল
    খায় যদি সে লাউয়ের ডগা
    তাড়ায় কেন তোর ঝি?
    তোর কি!""
    ( আশা দেবী, নারায়ণ গাঙ্গুলি মশায়ের দ্বিতীয় স্ত্রী)
  • M | 59.93.213.116 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২০:৫০633482
  • রূপাই গাঁয়ের সব থেকে নজরকাড়া ছেলে। আর সাজু বা সোনা অন্য গাঁয়ের সোনার বরন মেয়ে, তার বাবা নেই কেবল মা অছে, সে চেকন সেঁওই কাটা বা পাকান পিঠা বা বিয়ের গান বা যেকোনো ঘর গেরস্থালীর কাজে বেষ্ট।

    এই গাঁয়েতে তাহার মতো নাইক সমতুল।
    বিয়ের গানে ওরই সুরে সবারই সুর কাঁদে,
    "সাজু গাঁয়ের লক্ষ্মী মেয়ে"-- বলে কি লোক সাধে?

    তো সেবার দারুন খরা, একটু ও বৃষ্টির দেখা নাই ,মাঠ শুকনো চেলা কাঠের মতো আগুন পেলেই যেন জ্বলে উঠবে।তাই প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী পাঁচটি মেয়ে বদনা বিয়ের গান গেয়ে মাঙন হেঁকে চললো, মাঝের মেয়ে সোনার বরন সাজু , সবার নজর তারই পানে।যে যা পারছে দিচ্ছে,কেউ দিলো এক পোয়া চাল, কেউ নুন, কেউ ডাল, কেউবা আনী।

    এমনি ভাবে সবার ঘরে মাঙন করি সারা
    রূপাই মিঞার রুশাই ঘরের সামনে এলো তারা।
    রূপাই ছিলো ঘর বাঁধিতে পিছন ফিরে চায়;
    পাঁচটি মেয়ের রূপ বুঝি ঐ একটি মেয়ের গায়!
    পাঁচটি মেয়ে, গান সে গায়, গানের মতই লাগে;
    একটি মেয়ের সুর ত নয় ও বাঁশী বাজায় আগে।
    ঐ মেয়েটির গঠন-গাঠন চলন-চোলন ভালো,
    পাঁচটি মেয়ের রূপ হ'য়েছে ও'রির রূপের আলো।
    রূপাইর মা দিলেন এনে সেরেক খানেক ধান,
    রূপাই বলে--"এই দিলে মা থাকবে না আর মান।'
    ঘর হতে সে এনে দিলে সেরেক পাঁচেক চাল,
    সেরেক খানেক দিল মেপে সোনা মুগের ডাল।

    মাঙন সেরে মেয়ের দল চললো এখন বাড়ী,
    মাঝের মেয়ের মাথার বোঝা লাগছে যেন ভারী।
    বোঝার ভারে চলতে নারে,পিছন ফিরে চায়;
    রূপার দু'চোখ বিঁধলো গিয়ে সোনার চোখে হায়!

  • indrani | 203.214.145.98 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১১:০০633483
  • দোল: শান্তিনিকেতন


    বকুল শাখা পারুল শাখা
    তাকাও কেন আমার দিকে?

    মিথ্যে জীবন কাটলো আমার
    ছাই লিখে আর ভস্ম লিখে-

    কী করে আজ আবীর দেবো
    তোমাদের ঐ বান্ধবীকে!


    শান্ত বলে জানতে আমায়?
    কলঙ্কহীন, শুদ্ধ বলে?
    কিন্তু আমি নরক থেকে
    সাঁতরে এলাম

    তখন আমার শরীর থেকে
    গরম কাদা গড়িয়ে পড়ছে
    রক্ত-কাদা

    হঠাৎ তোমায় দেখতে পেলাম
    বালোকাদের গানের দলে

    সত্যি কিছু লুকোচ্ছি না।

    প্রাচীন তপোবনের ধারে
    তোমার বাড়ি

    কখন যাবো? - ঘুম পাচ্ছে-
    বলো কখন মুখ রাখবো
    তোমার কোলে!
    বারণ করবে?

    জয় গোস্বামী
  • arindam | 59.93.163.25 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১১:৩৭633485
  • শিমূল, শিমূল, তুই চুপ করে থাক
    জানাস্‌ নে গোপন কথাটি
    ও খুঁজে মরুক, ওর ভিটে মাটি চাঁটি
    হয় হোক, ওর বুক দু:খে পুড়ে খাক!

    জারুল, জারুল, তুই দেখাস নে পথ
    একা একা সে ঘুরে মরুক
    ও চেয়েছে রমণীর সম্মুখ দ্বৈরথ
    মাংস, ত্বক ছুঁয়ে ছেনে সুখ !

    অশোক, অশোক, ওকে কর বর্ণকানা
    যূথী, তুই দিস না সৌরভ
    সমস্ত অরণ্যে আজ ওর ঠাঁই মানা
    ও চেনেনি রূপের গৌরব। (প্রতিহিংসা, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়,এসেছি দৈব পিকনিকে)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন