এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • প্রিয় কবিতা

    Riju
    অন্যান্য | ১৮ জুলাই ২০০৬ | ৩৮৬৫০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • lcm | 69.236.163.206 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:৫৮633619
  • সৈকত,
    অমিতাভ দেব চৌধুরী - ইনি কে? এনার সম্বন্ধে কিছু বলো।
  • saikat | 202.54.74.119 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:০৮633620
  • এলসিএম,

    এনার সম্বন্ধে আমি প্রথম পড়ি, রোববার পত্রিকায়, জয় গোস্বামীর "গোঁসাইবাগান' কলামে। "প্রেমকাহিনী' কবিতাটা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। তারপর গত বইমেলায় একটা বইও পেয়ে গেলাম। সেখান থেকেই এই কবিতাগুলো।

    জন্ম ১৯৬২, শিলং-এ। কাছাড়ের একটি স্কুলে পড়ান। আর কবিতা লেখেন। এই আর কি !
  • lcm | 69.236.163.206 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:১৫633621
  • থ্যাংকু সৈকত। প্রেমকাহিনী কবিতাটি সত্যিই ভালো।
  • Souva | 122.177.203.232 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:২৬633622
  • তোমাকে ছাড়ছিনা
    ------------------
    --বারীন ঘোষাল

    যেমন করে বাঁচো এবং বাঁচাও আমাকে
    আঁধার ভাঙো
    টুকরো করো আলোর মহিমা
    যত শেখাও তুমি অম্লজান
    যতই শেখাও ব্যর্থ ক্লোরোফিল
    বেঁচে থাকার রহস্যে আর তোমাকে ছাড়ছিনা।

    শিকড় হয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছি
    যেমন ক'রে দাঁড়াও নির্জনে

    খর উপত্যকায় ফাটল মাটির চৈত্রটানে
    দুটি স্তনের মাঝে তোমার শরীর গন্ধ লুকাও
    জন্ম দাও যেমন আবার জন্ম কেড়ে নাও
    পরাগে বিষ মিশিয়ে তুমি ক্ষান্ত করো কাকে
    আমি তোমাকে ছাড়ছিনা
    ছাড়ছিনা।
  • Souva | 122.177.203.232 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:৩৩633623
  • পলাশের দিন
    ------------
    --বারীন ঘোষাল

    দিন এলো পলাশের
    অসম্ভব প্রিয় দিনে বাতাসের স্পর্শে জ্বলে ওঠা
    ভাসমান লাল বয়া
    নেভা সবুজ সয়
    আর বিস্ময়
    জীবনকে প্রিয় করে, পাগল
    দিন এলো পলাশের

    এমন ঝরার কথা কে শুনেছে
    ক্লোরোফিলে জন্ম ফিরে পাওয়া
    অথৈ ঋতুর মাঝে খড়কুটো বয়ার
    আগুনটানে চিকন করো ডানা
    পৃথিবীর শিশুকাল আর মানুষের
    সবুজ-জল-বসন্ত কি কাটবেনা?
    সমস্ত শাসন ভেঙে সমস্ত স্নোফল
    ডেকে উঠল যৌবন, দিন এলো।
  • Arpan | 204.138.240.254 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:৪৩633624
  • অতোটুকু চায় নি বালিকা!
    অতো শোভা, অতো স্বাধীনতা!
    চেয়েছিলো আরো কিছু কম,

    আয়নার দাঁড়ে দেহ মেলে দিয়ে
    বসে থাকা সবটা দুপুর, চেয়েছিলো
    মা বকুক, বাবা তার বেদনা দেখুক!

    অতোটুকু চায় নি বালিকা!
    অতো হৈ রৈ লোক, অতো ভিড়, অতো সমাগম!
    চেয়েছিলো আরো কিছু কম!

    একটি জলের খনি
    তাকে দিক তৃষ্ণা এখনি, চেয়েছিলো

    একটি পুরুষ তাকে বলুক রমণী!

    (নি:সঙ্গতা - আবুল হাসান)
  • Arpan | 204.138.240.254 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:৪৬633625
  • অতেআ বড় চেআখ নিয়ে, অতেআ বড় খেআঁপা নিয়ে
    অতেআ বড় দীর্ঘশ্বাস বুকের নিশ্বাস নিয়ে
    যতো তুমি মেলে দাও কেআমরের কোমল সারশ
    যতেআ তুমি খুলে দাও ঘরের পাহারা
    যতেআ আনেআ ও-আঙ্গুলে অবৈধ ইশারা
    যতো না জাগাও তুমি ফুলের সুরভী
    আঁচলে আগলা করেআ কেআমলতা, অন্ধকার
    মাটি থেকে মৌনতার ময়ূর নাচাও কেআন
    আমি ফিরব না আর, আমি কেআনদিন
    কারেআ প্রেমিক হবো না; প্রেমিকের প্রতিদ্বন্দ্বী চাই আজ
    আমি সব প্রেমিকের প্রতিদ্বন্দ্বী হবো।

    (প্রেমিকের প্রতিদ্বন্দ্বী - আবুল হাসান)
  • d | 14.96.223.120 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:৪৮633626
  • অ্যাঁ!!
  • Arpan | 216.52.215.232 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:৫৭633627
  • এর জন্য দায়ী মামুর বাগে ভরা কোড। : X

    iunikoD bhaarsane giye dekho.
  • sana | 58.106.4.180 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১০ ১৫:৩৫633629
  • অর্পন,আবুল হাসান এর কবিতার বই এর নাম কি? ওঁর সম্বন্ধে কিছু বলুন না?
  • Arpan | 122.252.231.10 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১০ ২১:৪২633630
  • সানা,

    আবুল হাসানের কোন বই আমার কাছে নেই। কবিতাগুলো টুকছি নেটের অগুন্তি বাংলা ফোরামের আনাচকানাচ থেকে। এই টইয়ের ১৫ নং পাতায় দেখুন কনফু একটা কবিতা তুলে দিয়েছিল, "অতোটুকু চায় নি বালিকা', সেটা পড়ে কবির নাম মাথায় গেঁথে গিয়েছিল, আজ অজান্তে ওই একই কবিতা আবার তুলে দিয়েছি।

    বইগুলি খুঁজছি যদি কলেজ স্ট্রিটে মেলে।

    বাকিটা এইখানে পড়ুন। খুঁজলে আরো পাবেন।

    http://www.sachalayatan.com/yeeshan/10480
  • Diptayan | 115.113.42.194 | ১০ ডিসেম্বর ২০১০ ১৩:২০633632
  • এই কবিতা টা কার ? কোন কবিতা?

    " .......হঠাৎ কখন, কহে মোর মন, মিথ্যে সব মিথ্যে/ প্রাণে যদি রয়, গান অক্ষয়, সুর যদি রয় চিত্তে"
  • sana | 58.106.4.180 | ১০ ডিসেম্বর ২০১০ ১৩:৩৫633633
  • ধন্যবাদ,অর্পন।
  • hu | 71.201.25.54 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১০ ০৬:৫২633634
  • ইচ্ছেমতো পদ্য

    মেঘ করেছে, বেশ করেছে।
    বৃষ্টি ধুয়ে দিক
    মিনিবাসের চাকার তলায়
    থ্যাঁতলানো লিরিক

    রেলিং ভেঙে উপচে আসুক
    খুবসে আসুক জল
    ঠান্ডা হাওয়ার ঝাপটা মারে –
    ‘আড্ডা দিবি চল!’

    আড্ডা কোথায়, একলা হাঁটি
    পকেটভরা হাত
    কুড়িয়ে রাখা কাগজ দিয়ে
    বানানো সম্রাট

    মেঘ করেছে, বেশ করেছে।
    বৃষ্টি হয়ে যাক
    সন্ধে হলে উড়িয়ে দেব
    ক্লান্ত, ভেজা কাক

    কোথায় যাবে, ফিরবে কিনা
    খোঁজ নেব না আর
    অনেকগুলো বর্ষা ভেঙে
    এই বুঝেছি সার –

    সহজ ছিল রাস্তা, তবু
    কঠিন হল ঠাঁই
    ইচ্ছেমতো পদ্য লিখি
    উল্টোডাঙায় যাই।

    (শ্রীজাত, ইচ্ছেমতো পদ্য, কফির নামটি আইরিশ)
  • hu | 71.201.25.54 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১০ ০৬:৫৯633635
  • সাইকেল কাব্য

    একে শুক্ল
    দুয়ে পক্ষ

    তিনে সাইকেল
    চারে চক্কর

    পাঁচে হস্টেল
    ছয়ে ক্রিং ক্রিং

    ওঠে চিরকুট
    থেকে ফিনকি

    দুটো অক্ষর
    গালে ছিটকোয় –

    ‘নামো চটপট
    আজ শীত কই?’

    ছোটে সাইকেল
    ছোট রাস্তা

    কোন কাজ নেই
    যত কাজ থাক

    ডানা ঝাপটায়
    বাঁধা ওড়না

    ‘আগে তুই বল –’
    ‘আগে তোর নাম –’

    কিছু প্রশ্ন
    কিছু উত্তর

    কিছু দুচ্ছাই
    কিছু ধুত্তোর

    গোটা সন্ধে
    কাটে খুচখাচ

    ঝুটো মুক্তো
    দুটো ফুচকা

    ক্লাসে প্রক্সি
    ঘাসে মকসো

    নামে রাত্তির
    ঘোরে বচ্ছর

    আসে ফের শীর
    হাওয়া শুকনো

    হাতে পেনসিল
    পায়ে ফুটনোট

    শুধু গরমিল
    ছিল অঙ্কে

    বেশি কার দোষ
    ছিল কম কে

    চেনা সূর্য
    গেল অস্তে

    ফাঁকা পথঘাট
    খাঁ খাঁ হোস্টেল...

    শুধু জানলায়
    বাঁধা ওড়না

    ওটা ওর না...
    ওটা ওর না...

    একে বন্ধু
    দুয়ে সখ্য

    তাই সাইকেল
    মারে চক্কর

    তবু চিরকুট
    তবু ক্রিং ক্রিং

    যদি একবার
    যদি ফিনকি

    দুটো অক্ষর
    গালে ছিটকোয়

    নামে চটপট
    বলে ‘শীত কই?’

    তাই চিরকুট
    ভরা অক্ষর

    তাই সাইকেল
    আজও চক্কর

    সারা সন্ধে
    বাজে ক্রিং ক্রিং

    যদি একবার
    যদি ফিনকি

    গালে ছিটকোয়...

    (শ্রীজাত, ইচ্ছেমতো পদ্য, কফির নামটি আইরিশ)
  • hu | 71.201.25.54 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১০ ০৭:০৮633636
  • মোমবাতিদের মন

    হাত ধরেছি অন্ধকারে
    ছাড়তে কতক্ষণ

    হয়তো আমার আঙুল জানে
    মোমবাতিদের মন

    পর্দা ওড়ায় বৃষ্টিহাওয়া...
    ছাদে মাদুর পাতি

    দূরে কোথাও আশার গলায়
    ‘কাচেরই ঝাড়বাতি...’

    সঙ্গে মুড়ি, জোছনামাখা
    কাঁচা লঙ্কা, ঘ্রাণে

    মোমবাতিদের মন কিছুটা
    আমার আঙুল জানে।

    বেশিরভাগই স্পর্শকাতর
    কিন্তু স্মৃতিহীনা

    রইল ছাদে মাদুর পাতা...
    আমি তো বসছি না!

    (শ্রীজাত, ইচ্ছেমতো পদ্য, কফির নামটি আইরিশ)
  • hu | 71.201.25.54 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১০ ০৭:১৯633637
  • ছোট্ট যে বইটা উপহার পেয়েছিলাম

    তুমি দূর যে গেলে
    হেসে কামড়ে খেলে
    রোদে জানলা পোড়া

    কাঁচা শার্সি মেখে
    গেল রাস্তা বেঁকে
    তাতে পাগলা ঘোড়া

    একা হাঁটছে এখন
    পিঠে কাঁপছে দ্যাখো
    হু-হু শিরদাঁড়াটি

    আমি কেউ না কারও
    কিছু রাস্তা আরও
    তবু সঙ্গে হাঁটি।

    তাতে রাত কাটে না
    বহু মাত্রা দেনা
    আছে ঘরবাজারে

    তারা মিটলে তবে
    ঘুমে শান্তি হবে।
    পোড়া জানলা ধারে

    কত সন্ধে বাকি
    বসে গুনতে থাকি
    ধূ-ধূ সূর্য ডোবা

    রোদে শার্সি সেঁকা
    পড়ে রইল একা
    ভাঙা স্বপ্নে দেখা

    আনা আখমাতোভা...

    (শ্রীজাত, ইচ্ছেমতো পদ্য, কফির নামটি আইরিশ)
  • hu | 71.201.25.54 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১০ ০৭:২৯633638
  • ছুটির বিকেল

    পায়ের পাতায় আলিস্যি
    মুঠোয় ভাঙা দূরত্ব
    ছুটির বিকেল ঝাপটে আয়
    সব অজুহাত ফুরোক তোর

    বই পুরোনো, জলের দর
    জলের তলায় আমহার্স্ট স্ট্রিট
    ছুটির বিকেল সাঁতরে আয়
    রোদের ভিড়ে ঘামাচ্ছি

    ধুলোয় গেল ধুলোর দিন
    এখন বেলা পড়ন্ত
    ছুটির বিকেল দৌড়ে আয়
    কাজ পড়ে থাক বরং তোর

    হিসেব নাহয় ঘাসেই হোক
    লাভ হবে না যে অঙ্কে...
    যুদ্ধ ছিল। এবার তুই
    শান্তি শেখা ক্রেয়নকে।

    (শ্রীজাত, ইচ্ছেমতো পদ্য, কফির নামটি আইরিশ)

  • achintyarup | 59.93.240.58 | ২৭ জানুয়ারি ২০১১ ০৪:২৩633640
  • আমাকে গৌরাঙ্গ ভৌমিকের "দু:খ আমার ফিনিক্স পাখি' কবিতাটি কেউ দিতে পারেন?
  • m | 117.194.32.165 | ২৭ জানুয়ারি ২০১১ ০৬:৪৩633641
  • মেহেরপুরের একশো বছর আগেকার
    এক অসাধারণ বৃষ্টির দিন-
    আমি দেখি নি,আআর বাবা দেখেছিলো,যার বয়েস তখন বারো।

    সহজ গণিত- আজ আমার বয়স একশো বারো হলে
    আমিও বাবার পাশে বসে সেই বৃষ্টি দেখতে পেতাম।
    বাবা সমবয়েসী আমাকে হঠাৎ ধাক্কা দিয়ে সেই
    জলে ভেসে যাওয়া উঠোনে ফেলে দিত,
    অথবা হয়তো আমিই তাকে ফেলে দিতাম...
    তারপর হাসতে হাসতে হুড়োহুড়ি করতে করতে
    দুজনে দিঘিতে গিয়ে পড়তাম।

    বৃষ্টিতে বাঁশবন ভিজে গেছে।
    হাওয়ায় মড়মড় করে লম্বা বাঁশ নুয়ে পড়েছে,
    আবার সোজা হচ্ছে।
    বাঁশবনে ব্যাংএর ছাতার নীচে জোনাকিরা এসে আশ্রয় নিয়েছে
    ঝড়ে বাদলে তাদের আগুনটুকু যেন নিবে না যায়।
    ঘাট ভেসে গিয়ে জল চলে এসেছে আমের বনে।
    উইঢিবির কাছে যেন দূরাগত কোলাহল শোনা গেল:
    উইজনগণ ঢিবির নিচের গ্রামে হৈ চৈ করছে,ব্যবস্থা করছে-
    বৃষ্টি থেমে গেলেই তারা আকাশে রামধনু তুলবে।

    বাবা আমার কাঁধে হাত রেখে বলল- দ্যাখ,দ্যাখ, দেখে রাখ-
    পরে দু:খকষ্ট ভুলতে এইসব খুব কাজে দেবে।
    আমি বল্লাম - তুইও দেখে রাখ বাবা,
    দু:খকষ্ট তোর ও কিছু কম আসবে না।

    অনেকদিন পরে বাবা তার দু:খ কষ্ট নিয়ে
    আকাশে মিলিয়ে গেল।
    আমিও আমার দু:খ কষ্ট নিয়ে
    আকাশে মিলিয়ে যাব।
    মাঝখানে শুধু বত্রিশ বছরের ব্যবধান যেন
    পলাতক মলিন শেষরোদ্দুর।

    বৃষ্টি
    মণীন্দ্র গুপ্ত
  • m | 117.194.32.165 | ২৭ জানুয়ারি ২০১১ ০৬:৪৫633642
  • ** আমার
  • i | 137.157.8.253 | ২৭ জানুয়ারি ২০১১ ০৭:১৩633643
  • কে কখন কোন কবিতা পড়তে চাইবেন /শুনতে চাইবেন-সে তো নিতান্ত ব্যক্তিগত। কোনো মুহূর্তে একের চাওয়া ছুঁয়ে যায় অন্যজনে, কখনও যায় না।
    ম আজ মণীন্দ্র গুপ্ত পড়লেন। আমিও পড়ছি। এই দুপুরে। শোনাই?

    বিপণি বীথিতে
    মণীন্দ্র গুপ্ত

    কিছুই পারিনা বলতে , এ-ও জানি কখনো পারব না ,
    আমাদের দেখা হল পৃথিবীর বিপণিবীথিতে ,
    তুমি যা কিনতে এলে আমি তারই পুরোন গ্রাহক ।

    অদ্ভুত ধাঁধার মতো বিপণির গলি ও কুঠুরি,
    একই কক্ষে শোভমান জৈব পরী , দু:সহ কস্তুরী ।
    অজ্ঞেয় স্বভাববশে আমরা ঐ দু:খেরই গ্রাহক
    পরস্পর দেখা হল বিপণির ছায়াচ্ছন্ন কোণে -

    একত্র অর্ধেক ব্যয়ে আমরা যদি কিনতে পারতাম
    সহনীয় হত তবে এ জন্মের বাজার ভ্রমণ
    অন্তত: বমাল ফিরতাম সহদু:খে এক আস্তানায় -
    সেটুকুও অসম্ভব - প্রত্যেকের আলাদা বাসাবাড়ি ,
    সুতরাং কান্না চেপে যে যার বাড়িতে ফিরে যাব।

  • Tim | 173.163.204.9 | ২৭ জানুয়ারি ২০১১ ১২:২১633644
  • আহা, মণীন্দ্র গুপ্তর কবিতাদুটো বড়ো ভালো লাগলো। আরো হোক।
  • lcm | 69.236.184.33 | ২৭ জানুয়ারি ২০১১ ১৩:৫৭633645
  • বাহ! শ্রীজাত-র কবিতা।
    মণীন্দ্র গুপ্ত-র বৃষ্টি - খাসা কবিতা।
  • kallol | 220.226.209.2 | ২৭ জানুয়ারি ২০১১ ১৭:১১633646
  • এই বইমেলার বাজারে - মণীন্দ্র গুপ্তের অক্ষয় মালবেরী (৩ খন্ডে) কিনে ফেলুন। ভদ্রলোক অসম্ভব ভালো গদ্যও লেখেন।

  • dukhe | 122.160.114.85 | ২৭ জানুয়ারি ২০১১ ১৭:২৯633647
  • তিন খণ্ড একসঙ্গে বেরিয়েছে আগের বছর । বোধহয় অবভাস থেকে ।
  • kallol | 220.226.209.2 | ২৭ জানুয়ারি ২০১১ ১৭:৩৩633648
  • হ্যাঁ হ্যাঁ অবভাস থেকে। আমার অবশ্য আগেকার কেনা।
  • achintyarup | 121.241.214.38 | ২৮ জানুয়ারি ২০১১ ০০:০৫633649
  • খুব ভাল লাগল মণীন্দ্র গুপ্ত। কিন্তু গৌরাঙ্গ ভৌমিকের কবিতাটা ক্ষেউ পাইলেন? আমি পরে যতটুকু মনে আছে লিখে দেব (ভুলভাল সহ), তাই দেখে আর কারও যদি খোঁজার উৎসাহ হয়
  • achintyarup | 59.93.243.141 | ২৯ জানুয়ারি ২০১১ ০৩:৪৯633651
  • আমার যে কি দু:খ কি বলব। কেউ দিতেই পাল্লে না আমাকে কবিতাটা। এমনকি দোকানদার পর্যন্ত না। অগত্যা মনে যেটুকু আছে সেটুকুই লিখে রাখি। পুরোটা গায়েব হওয়ার আগে। মূল কবিতাটি লিখেছিলেন গৌরাঙ্গ ভৌমিক। কবিতার নাম, আগেও লিখেছি, দু:খ আমার ফিনিক্স পাখি। এখানে আমার স্মৃতি থেকে খানিকটে তুলে দিচ্ছি, লোকজনকে কবিতাটা খুঁজে বের করতে উৎসাহ দেওয়ার জন্য। উদ্ধৃতিতে ভুল থাকবেই সে বিষয়ে আমি নি:সন্দেহ। আর এখানে যতটুকু লিখছি, আসল কবিতার দৈর্ঘ্য অন্তত তার পাঁচগুণ। বেশিও হতে পারে।

    আমার একটা দু:খ ছিল, গভীর এবং গোপন দু:খ।
    ঊনিশ শত তিরিশ সালে, জলে কাদায় মাখো মাখো।
    একটু সবুজ, শ্যাওলা-পড়া, ঘেমো গন্ধ রোদে-পোড়া
    একটু গ্রাম্য অশিক্ষিত রুক্ষ-টুক্ষ।

    তখন আমার ইচ্ছে হত আমগাছে কি পেয়ারাগাছে
    হঠাৎ উঠে ডাল ঝাঁকাবার
    ডুব-সাঁতারে জল-টলটল একটা পুকুর পাড়ি দেবার।
    কিম্বা হঠাৎ মাঝনদীতে ভেসে উঠে অবাক হবার
    কি আশ্চর্য! মাত্র ক'হাত মাথার ওপর সূর্য জ্বলছে
    রাজহংসীর রুপোলী এক ডিমের মতন।
    তা দিচ্ছে ডিম রাজহংসী, তখন আমি দেখতে পেতুম।
    তখন আমি চড়ুইপাখির চলাফেরার মানে বুঝতুম
    জামের ছায়া, নিমের ছায়া এক রকম নয় বুঝতে পারতুম।

    আকাশ ক্রমে নেমে আসত মাঠের ওপর নদীর ওপর
    গাছের ওপর ছাতের ওপর...
    আলাপ করার জন্যে হয়ত।
    সন্ধেবেলায় জীবিত আর মৃতেরা সব কাছাকাছি আসত যখন
    ছায়া ছায়া লাউমাচা কি সিঁদুরে আমগাছের নিচে
    রাস্তা দিয়ে, কথা বলত ফিসফিসিয়ে
    তখন আমি তাদের কথা শুনতে পেতুম
    ভয়ে ভয়ে রোমাঞ্চিত
    রাংচিতা গাছ ডিঙিয়ে ফেললে
    থাকত না ভয় একটুও আর।

    ঊনিশ শত ঊন্‌চল্লিশে সেই দু:খকে সঙ্গে নিয়ে
    এলুম আমি নদীমুখো শহরতলীর এক বাড়িতে।
    আমার অনেক বন্ধু জুটল, অনেক বন্ধু
    হাসল আমায় গ্রাম্য দেখে, আমার গ্রাম্য পোষাক দেখে।
    অনেক বন্ধু হাত লাগিয়ে দু:খটাকে সাফাই করল।
    ঘামের গন্ধ মুছে ফেলল, শ্যাওলা-সবুজ রাখল না আর

    মাঝে মধ্যেই দেখা হত নীলগঞ্জের কারও সঙ্গে
    আমায় দেখে চমকে উঠত, প্রশ্ন করত
    নীলগঞ্জের অনুপম না? ব্যাপারটা কি?
    অসুখ নাকি? চেহারা তো পাল্টে গেছে।
    আমি বলতুম আরে না না...
    পাল্টা প্রশ্ন উঠে আসত ঠোঁটের ডগায়,
    অনুপম কে? নীলগঞ্জের কোথায় যেন?
    সে কোন্‌ দিকে?

    অনুপমকে ভুলতে লাগলাম ক্রমে ক্রমে
    অনুপমকে দণ্ড দিলাম মনে মনে --
    মৃত্যুদণ্ড।
    কিন্তু সেও বেঁচে ওঠার সঞ্জীবনী মন্ত্র জানত...
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন