এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • প্রিয় কবিতা

    Riju
    অন্যান্য | ১৮ জুলাই ২০০৬ | ৩৮৬৫১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রাজশ্রী সরকার | 785612.35.5678.224 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:২১633719
  • অমলকান্তি
    -নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

    অমলকান্তি আমার বন্ধু,
    ইস্কুলে আমরা একসঙ্গে পড়তাম।
    রোজ দেরি করে ক্লাসে আসতো, পড়া পারত না,
    শব্দরূপ জিজ্ঞেস করলে
    এমন অবাক হয়ে জানলার দিকে তাকিয়ে থাকতো যে,
    দেখে ভারী কষ্ট হত আমাদের।

    আমরা কেউ মাষ্টার হতে চেয়েছিলাম, কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল।
    অমলকান্তি সে-সব কিছু হতে চায়নি।
    সে রোদ্দুর হতে চেয়েছিল!
    ক্ষান্তবর্ষণ কাক-ডাকা বিকেলের সেই লাজুক রোদ্দুর,
    জাম আর জামরুলের পাতায়
    যা নাকি অল্প-একটু হাসির মতন লেগে থাকে।

    আমরা কেউ মাষ্টার হয়েছি, কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল।
    অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারেনি।
    সে এখন অন্ধকার একটা ছাপাখানায় কাজ করে।
    মাঝে মধ্যে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসে;
    চা খায়, এটা-ওটা গল্প করে, তারপর বলে, “উঠি তাহলে।”
    আমি ওকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসি।

    আমাদের মধ্যে যে এখন মাষ্টারি করে,
    অনায়াসে সে ডাক্তার হতে পারত,
    যে ডাক্তার হতে চেয়েছিল,
    উকিল হলে তার এমন কিছু ক্ষতি হত না।
    অথচ, সকলেরই ইচ্ছেপূরণ হল, এক অমলকান্তি ছাড়া।
    অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারেনি।
    সেই অমলকান্তি–রোদ্দুরের কথা ভাবতে-ভাবতে
    ভাবতে-ভাবতে
    যে একদিন রোদ্দুর হতে চেয়েছিল।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী নতুন দিল্লি-1 | 340112.79.896712.145 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৫:৫২633720
  • হঠাৎ করে কোনও বিপদ ঘটুক, এমনটা চান না নিশ্চয়? তাহলে বাড়ির সদর দরজায় লেবু-লঙ্কা ঝোলাননি কেন?
    সেই ছোটবেলা থেকেই নানা দোকানে তো বটেই এমনকী অনেকের বাড়ির সদর দরজাতেও লেবু-লঙ্কা জোলাতে দেখে এসেছি। এমনকী এও শুনেছি যে কারও ব্যবহার করা লেবু-লঙ্কা রাস্তায় পরে থাকলে তা যেন ভুল কেউ না মারায়। কারণ এমনটা করলে নাকি নানাবিধ বিবপদ ঘটার আশঙ্কা বেড়ে যায়। সেই ছোট বাচ্চাটা আজ ২৫ বছরের যুবক। কিন্তু একটা প্রশ্ন এখনও সঙ্গ ছাড়েনি, কেন সবাই দোকান এবং বাড়ির মূল দরজায় লেবু-লঙ্কা ঝোলান? যারা বাস্তুশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করেন, তাদের মতো এই টোটকাটিকে কাজে লাগালে নাকি অনেক উপকার পাওয়া যায়। বিশেষত খারাপ শক্তির প্রভাবে কোনও বিপদ ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। শুধু তাই মেলে আরও অনেক উপকার, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তবে তার আগে আপনার জেনে রাখা প্রয়োজন যে অনেকের কাছেই অন্ধবিশ্বাস হিসেবে পরিচিত এই টোটকাটিকে কাজে লাগালে যে বাস্তবিকই কিছু উপকার পাওয়া যায়, সে কথা বিজ্ঞানও মেনে নিয়েছে। তাই তো বলি বন্ধু জীবনের আগামী সময়কে যদি নিরাপদ করতে হয়, তাহলে এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, বাড়ি বা দোকানের সদর দরজায় লেবু-লঙ্কা ঝোলালে সাধারণত যে যে বিপদগুলি থেকে বেঁচে থাকা যায়, সেগুলি হল।।।
    ১। গৃহস্থে অলক্ষীর প্রবেশ ঘটার আশঙ্কা কমেঃ শাস্ত্র মতে কারও বাড়িতে মা লক্ষ্মীর প্রবেশ ঘটলে সেই পরিবারের জীবন আনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগে না। কিন্তু মা লক্ষ্মীর জয়গায় যদি তাঁর বোন অলক্ষ্মী কারও বাড়িতে প্রবেশ করে যায়, তাহলে কিন্তু মারাত্মক বিপদ। কারণ সেক্ষেত্রে গৃহস্থের প্রতিটি কোণায় খারাপ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। সেই সঙ্গে মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষতিও হয়। তবে এমন ক্ষতির হাত থেকে কিন্তু বেঁচে থাকা সম্ভব, যদি বাড়ির মূল দরজায় লেবুর সঙ্গে সাতটি লঙ্কা ঝোলানো হয় তো। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে অলক্ষ্মী, ঝাল জাতীয় খাবার বেজয় পছন্দ করেন। তাই তো লেবু-লঙ্কা ঝোলালে বাড়ির দরজায় এসে মা লক্ষ্মীর বোন থেমে যান, কারণ সেখান থেকেই তিনি খাবার খেয়ে উল্টো মুখে ফিরে যান। ফলে বাড়ির অন্দরে খারাপ শক্তির প্রবেশ ঘটার সম্ভাবনা যায় কমে।
    ২। কালো দৃষ্টির প্রভাব কমেঃ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির দরজায় লেবু-লঙ্কা ঝোলালে কারও খারাপ দৃষ্টির প্রভাবে কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। কারণ লেবু-লঙ্কার প্রভাবে খারাপ শক্তি ঘরের ভিতরে প্রবেশই করতে পারে না। তাই তো বলি বন্ধু, আজকের প্রতিযোগিতাময় দুনিয়ায় য়েখানে সবাই সামনের জনকে মেরে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা লেগে রয়েছে, সেখানে নিজেকে এমন খারাপ শক্তির হাত থেকে বাঁচাতে যে এমন ঘরোয়া টোটকাকে কাজে লাগানো মাস্ট, সে বিষয়ে নিশ্চয় আর কোনও সন্দেহ নেই!
    ৩। ভূত-প্রেতেরা দূরে পালায়ঃ এই ধরণা কতটা বাস্তবসম্মত জানা নেই, তবে এদেশের অনেক জায়গাতেই এমনটা বিশ্বাস রয়েছে যে বাড়ির মূল ফটকে একটা সাদা সুতোর সাহায্যে লেবু-লঙ্কা ঝোলালে ভূতের খপ্পরে পরার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। তবে আদতে এমনটা হয় কিনা তা যদিও জানা নেই।
    ৪। রোগ-ব্যাধির প্রকোপ কমেঃ একেবারে ঠিক শুনেছেন বন্ধু! বাস্তবিকই বাড়ির সদর দরজায় লেবু-লঙ্কা ঝোলালে অনেক রোগই দূরে পালা। কারণ লেবু এবং লঙ্কাতে উপস্থিত ভিটামনি সি সহ আরও নানাবিধ উপকারি উপদান বাতাসে মিশে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। ফলে দেহের অন্দরের ক্ষমতা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
    ৫। পোকা-মাকড় দূরে থাকেঃ সম্প্রতি হওয়া বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে যে সুতোর সাহায্যে লেবু এবং লঙ্কা ঝোলানো হয়, তা ধীরে ধীরে লেবুতে উপস্থিত নানাবিধ অ্যাসিডকে শুষে নেয়। ফলে সেই সব অ্যাসিডের গন্ধে পোকা-মাকড়দের বাড়ির অন্দরে প্রবেশ একেবারে আটকে যায়। ফলে পোকা-মাকড়দের উপদ্রবে নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। তাই তো বলি বন্ধু নিজেকে এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের নানাবিধ রোগ-ব্যাধির মার থেকে সুরক্ষিত রাখতে লেবু আর লঙ্কাকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, বাড়ির সদর দরজার লেবু-লঙ্কা ঝোলালে যে নানাবিধ উপকার পাওয়া যায় সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু এই টোটকাটিকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি যদি ঘরের প্রতিটি কোণায় লেবু কেটে রাখতে পারেন, তাহলে কিন্তু আর বেশি মাত্রায় উপকার মেলে। যেমন ধরুন।।।
    ১। সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে পরিবারেঃ সুখে-শান্তিতে থাকতে কে না চায় বলুন! কিন্তু শত চেষ্টা করেও যে সেই স্বপ্ন অনেকে পূরণ করতে পারেন না। তবে আর চিন্তা নেই! কারণ আজ এমন এক মহৌষধি সম্পর্কে আপনাদের জানাতে চলেছি, যাকে কাজে লাগালে গৃহস্থের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করবে যে নেগেটিভ শক্তি দূরে পালাবে। ফলে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগবে পরিবারে। শুধু তাই নয়, গুড লাকও রোজের সঙ্গী হয়ে উঠবে। ফলে জীবনের ছবিটা মনোরম হয়ে উঠতে যে সময় লাগবে না, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
    ২। বাস্তু দোষ কেটে যায়ঃ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কারও বাড়িতে যদি বাস্তু দোষ থাকে, তাহলে নানবিধ খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় কমে। শুধু তাই নয়, পরিবারে অশান্তির মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। আর সবথেকে চিন্তার বিষয় হল কারও বাড়িতে এমন দোশ আছে কিনা তা জেনে ওটাও সম্ভব নয়। তাই তো প্রায় সবারই বাড়িতে লেবু রাখা উচিত। আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে একটা পাতি লেবুকে চার টুকরো করে একটা প্লেটে রেখে তার চারিপাশে চাল দিয়ে একটা বৃত্ত বানিয়ে যদি প্লেটটিকে শোয়ার ঘরের বিছানার নিচে রাখা যায়, তাহলে বাস্তু দোষ কেটে যেতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, প্রর পর তিনদিন ফ্রেশ লেবু থালায় রেখে তা যদি বিছানার নিচে রাখতে পারেন, তাহলে আরও বেশি মাত্রায় উপকার পাওয়া যায়।
    ৩। অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমেঃ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে লোকের কুনজর এবং অশুভ শক্তির প্রভাবে অনেক সময়ই এমন পরিস্থিতি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে যার প্রভাবে মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় থাকে, সেই সঙ্গে পকেট খালি হয়ে যেতেও সময় লাগে না। এমন অবস্থায় একটি লেবুকে চার চুকরো করে ঘরের চার কোনায় রেখে দিন। দেখবেন অবস্থার উন্নতি ঘটতে সময় লাগবে না। শুধু তাই নয়, গৃহস্থের অন্দরে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বৃদ্ধি পাবে যে অনেক অনেক টাকার মলিক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হতে দেখবেন সময় লাগবে না।
    ৪। কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভের পথ প্রশস্ত হয়ঃ অফিসে চটজলদি পদন্নতি লাভ করতে চান নাকি? উত্তরটা যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে ৯টা লেবু একটি সেরেমিক পাত্রে রেখে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। এমনটা করলে দেখবেন সফলতার স্বাদ পেতে সময় লাগবে না। শুধু তাই নয়, মাইনেও বাড়বে চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, মনের মতো চাকরির সন্ধান করছেন যারা, তারাও এই টোটকাটিকে কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন। সুফল যে মিলবে, সে কথা হলফ করে বলতে পারি।
    ৫। বৈবাহিক জীবন আনন্দে ভরে ওঠেঃ শাস্ত্র মতে একটি মাঝারি মাপের পাত্রে জল নিয়ে তাতে তিনটি লেবু ফেলে যদি শোয়ার ঘরে রাখা যায়, তাহলে বৈবাহিক সম্পর্কের অবনতি ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। শুধু তাই নয়, স্বামী-স্ত্রী মধ্যে ভালবাসার মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে আনন্দে ভরে ওঠে সংসার।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী আমার প্রিয়কব | 340112.79.896712.145 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:০০633721
  • মায়ের স্মৃতি
    - লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
    শস্যপূর্ণা মা বসুন্ধরা যতই হোক না বৃহত্তর
    জন্মদাত্রী মা যে আমার, স্বর্গের চেয়েও বড়।
    মায়ের মত আপনজন কেউ এ সংসারে নাই।
    মায়ের স্নেহ ভালবাসা কোথায় গেলে পাই?

    স্নেহ মাখা পরশ মায়ের, ভুলায় নয়ন মন।
    মা ছাড়া এই বিশ্বমাঝে, আর কেউ নয় আপন।
    মায়ের জন্যেতে দেখি এই সসাগরা পৃথিবী।
    তাই আজও বিশ্বজুড়ে, দেখি যে মায়ের ছবি।

    প্রথম আমি হাঁটতে শিখি, ধরি জননীর কর,
    শিখলাম লিখতে বর্ণমালার প্রথম অক্ষর।
    ছোটবেলায় যখন আমি কাঁদতাম মা মা বলে,
    ছুটে এসে আদর করে মা তুলে নিত কোলে।

    মায়ের স্নেহ আদর পেয়ে সবই যেতাম ভুলে,
    মায়ের পায়ে প্রণাম করে যেতাম রোজ স্কুলে।
    স্নেহ ভরা পরশ মায়ের, জুড়ায় মন ও প্রাণ
    কোলে বসে শুনতাম মায়ের ঘুমপাড়ানী গান।

    মাকে মনে পড়ে আমার আজও মাকে মনে পড়ে,
    মায়ের কথা বললে পরে চোখে আসে জল ভরে।
    সেই মা আমার গেছে চলে, একলা আমায় ফেলে,
    আজও কেঁদে মাকে ডাকি, ভাসি চোখের জলে।

    মায়ের অভাব পূর্ণ করো, এসো মাগো ফিরে।
    তোমার লাগি আজও কাঁদি, ভাসি আঁখি নীরে।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 340112.79.896712.145 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:০৪633722
  • এ গাঁয়ের মাটিতে
    -লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    গাঁয়ের মাটিতে স্নেহের পরশ
    ছায়াঘেরা গ্রামখানি,
    এই গাঁ আমার মাটি মা আমার
    এই টুকু শুধু জানি।

    সবুজ তরুর শাখায় শাখায়
    বিহগের কলতান,
    পূবের গগনে রবির কিরণে
    প্রভাত পাখির গান।

    ফুল বনে বনে ফুটেছে কুসুম
    অলিদল আসে ধেয়ে,
    উষর মাটিতে চালায় লাঙল
    চাষীগণ গান গেয়ে।

    সূদূর আকাশে মেলে দুটি পাখা
    উড়ে বলাকার সারি,
    রাঙাপথ দিয়ে ধূলা উড়াইয়ে
    ছুটে চলে গোরুগাড়ি।

    সবুজ ডাঙায় সকালে বিকালে
    গোরু মোষ সব চরে,
    গাঁয়ের পুকুরে জেলে জাল ফেলে
    রোজ এসে মাছ ধরে।

    অজয়ের বাঁকে নিত্য ঝাঁকেঝাঁকে
    আসে শালিকের দল,
    আপন বেগেতে অজয়ের জল
    বয়ে চলে কল কল।

    সবুজ তরুর ছায়া দিয়ে ঘেরা
    ছোট আমাদের গ্রাম,
    এই গাঁ আমার জন্মভূমি মা
    মোর পূণ্য পিতৃধাম।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 340112.79.896712.145 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:০৮633723
  • অজয় নদীর কাব্য
    পঞ্চম পর্ব।

    প্রথম প্রকাশ- ২৫শে জানুয়ারী, ২০১৮
    দ্বিতীয় প্রকাশ- ২৫শে ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
    তৃতীয় প্রকাশ- ২৫শে মার্চ, ২০১৮
    চতুর্থ প্রকাশ-১৭ই মে, ২০১৮
    পঞ্চম প্রকাশ- ২রা জুন, ২০১৮

    ------ঃ ****¬ঃ-----------

    অজয় নদীর গতির ধারা (৫)
    মূলচাঁদ মাহাত

    (১)
    অজয় নদীর গতির ধারা
    চঞ্চল অবিরল,
    বালুচরের আঁকে বাঁকে
    উচ্ছল কল্‌ কল্‌।

    (২)

    গাঁয়ের বধুরা কাপড় কাচে
    স্নান সেরে যায় ঘরে,
    কচিকাঁচা দল সাঁতার কাটে
    হৈ হুল্লোড় করে।
    (৩)

    জেলে মাঝি কূল মৎস ধরে
    জীবিকা দিন যাপন,
    যাত্রী পারাপার করে চলে
    নৌকারই সোপান।
    (৪)

    জলচর প্রাণী মনের হরষে
    জল কেলি করে খায়,
    রাখাল বালক অজয় তীরে
    মন হরা গান গায়।
    (৫)
    জল সিঞ্চনে ফসল ফলায়ে
    কৃষক আত্মহারা,
    দু কুলের কুল ভরিয়া চলে
    ধনধান্যে বসুন্ধরা।

    ------ঃ ****¬ঃ-----------

    ভূমিকা (অবতরণিকা)
    মনের গহনে প্রাণের স্পন্দনে আবার জেগে উঠলো অজয়ের কলতান। অজয় বীরভূম আর বর্ধমানের স্পষ্ট সীমানা। সারা বছরই যেন এই বিশাল নদীটি মুখ থুবডে, পডে। আছে। জল থাকেই না বলতে গেলে, চারদিকে শুধু বালি, এক জায়গায় শুধু তিরতির করে বয়ে যাচছে, সেটাই তার বেঁচে থাকার লক্ষণ। লোকজন হেটেই পার হয়, গরুর গাড়িও চলে। বরষার সময় দুয়েকটা মাস দেখা যায় তার আসল রূপ। এমনি ভাবেই চলে অজয়ের প্রবল জলধারা। বর্ধমানের ভাঙন অপরদিকে বীরভূমের মাটির গড়ন। এই ভয়াবহ রূপের মধ্যে অজয় সবার একটা অভিশাপ হয়ে দাঁড়ালেও বর্ষার শেষে অজয়ের রূপে সবাই মোহিত হয়।
    অজয় নদী হল একটি বন্যাসঙ্কুল নদী যা গঙ্গার অন্যতম প্রধান শাখা ভাগীরথী হুগলির উপনদী। মুঙ্গের জেলায় একটি ৩০০ মিটার উচু পাহাড় থেকে উৎসারিত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহী অজয় ঝাড়খণ্ডের উপর দিয়ে বয়ে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চিত্তরঞ্জনের নিকট শিমজুড়িতে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছে এবং বর্ধমান ও বীরভূম জেলার প্রাকৃতিক সীমানা হিসাবে পূর্বে প্রবাহিত হয়ে বর্ধমানের কাটোয়া সাবডিভিসনের কেতুগ্রাম থানা অঞ্চলে বর্ধমানে প্রবেশ করে কাটোয়া শহরের কাছে ভাগীরথীর সংগে মিলিত হয়েছে।অজয় মোট দৈর্ঘ্য ২৮৮ কিলোমিটার যার মধ্যে শেষ ১৫২ কিমি পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত। অজয়ের প্রধান উপনদীগুলি হল ঝাড়খণ্ডের পাথরো ও জয়ন্তী এবং বর্ধমানের তুমুনি ও কুনুর। অজয়ের ধারা শুরু থেকে অনেকদুর অবধি ল্যাটেরাইট মাটির উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বর্ধমানের আশুগ্রামে এসে শেষ পর্যন্ত পাললিক অববাহিকায় প্রবেশ করে। অজয়ের উপত্যকায় ঘন জঙ্গল ছিল। কিন্তু অধুনা খনিজ নিষ্কাষণ ও অন্যান্য মনুষ্যজনিত উপদ্রবে বেশিরভাগ জঙ্গল বিনষ্ট হয়ে গেছে।
    সকলের একনিষ্ঠ সহযোগিতা আর শুভ আশীর্বাদ মাথায় রেখে প্রকাশ করলাম অজয়নদীর কাব্য পঞ্চম পর্ব। কবিতা সকলের ভালো লাগলে আমার পরিশ্রম সার্থক হবে। সকলকে জানাই রাঃ নন্দিত জয়গুরু।
    বিনীত কবি।

    তারিখ ২রা জুন, ২০১৮
    স্থান নতুন দিল্লি।

    সূচীপত্র
    ১।অজয় নদীর ঘাট
    ২।অজয়ের নদীজল
    ৩।অকূল গাঙের মাঝি
    ৪।অজয়ের কোলাহলে
    ৫।অজয় নদী বয়ে চলে
    ৬।গাঁয়ের অজয় নদী
    ৭।অজয় নদীর ঘাটের কাছে

    ------ঃ ****¬ঃ-----------

    অজয় নদীর ঘাট
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    গাঁয়ের অজয় নদী চলে আনমনে,
    শঙ্খচিল ভেসে চলে সুনীল গগনে।
    গাছেগাছে পাখি ডাকে হরষিত মন,
    নদী ধারে ওই পারে আছে আমবন।

    গাঁয়ের বধূরা সবে নদী ঘাট হতে,
    কলসীতে জল নিয়ে চলে রাঙাপথে।
    দুইধারে ধানখেতে ধান কাটে চাষী,
    রাখালিয়া সুরে শুনি দূরে বাজে বাঁশি।

    মনাস উদাস হয় শুনি সেই গান,
    অজয়ের জলধারা করে কলতান।
    বন শালিকের দল চরে করে খেলা,
    অজয়ের নদীতটে আসে পড়ে বেলা।

    দূর গাঁয়ে জ্বলে দীপ হেথা অন্ধকার,
    সাঁঝের আঁধার নামে ঘাটে চারিধার।

    ------ঃ ****¬ঃ-----------

    অজয়ের নদীজল
    - লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    শীতল তরুর ছায়ে আমাদের গ্রাম,
    তরুশাখে পাখি ডাকে হরষিত প্রাণ।
    প্রভাতে অরুণ রবি উদিল গগনে,
    ফুলকলি ফোটে সব কুসুম কাননে।

    রাখাল গরুর পাল নিয়ে যায় মাঠে,
    দুইধারে ধানখেতে চাষী ধান কাটে।
    বোঝা বোঝা ধান লয়ে চলে গরুগাড়ি,
    রাঙা পথে দুই ধারে খেজুরের সারি।

    তাল সুপারির গাছ আমের বাগান,
    দূরে অজয় নদীর শুনি কলতান।
    শঙ্খচিল ভেসে চলে আকাশের গায়,
    অজয়ের নদী জলে মাঝি ডিঙা বায়।

    ঘাটে ঘাটে করে স্নান গাঁয়ের বধূরা,
    বন ধূতুরার ফুলে ছেয়েছে কিনারা।
    অবিরত বয়ে চলে অজয়ের ধারা,
    অজয়ের কলতানে জাগে বসুন্ধরা।

    ------ঃ ****¬ঃ-----------

    অকূল গাঙের মাঝি
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    অকূল গাঙের মাঝি রে।।।।।।।।।।।।।।।।
    ও মাঝি রে ।।।।।।।। ও মাঝি ভাই ।।।।।।।।।।

    মাঝি রে তুই সাধ করে
    বালুচরে বাঁধলি কেন ঘর?
    জীবন নদীর ঝড় তুফানে
    আসছে রে ঝঞ্ঝা ভয়ংকর।

    আশে পাশে নাইরে কেহ
    ধরবে কে তোর হাত?
    দুঃখে দুঃখে যাবে কেটে
    তোর আঁধার ভরা রাত।

    অকূল গাঙের মাঝি রে
    তোর ছিঁড়ে গেছে পাল
    ভেঙে গেছে হাল
    কেমনে তরী চলবে?

    নদী মাঝ থেকে
    এসে কিনারায়
    তরীখানি বুঝি ডুববে।

    অকূল গাঙের মাঝিরে তুই
    মিছেই করিস আশা।
    জীবন নদীর ঘূর্ণিপাকে
    তোর কাঁদছে ভালবাসা।

    মনমাঝি কাঁদে নদীর কূলে
    তরীখানি তার দিশা ভূলে,
    আপনমনে চলছে সাগর পানে।
    একবার এগিয়ে যায়
    আবার পিছনে যায়
    চলছে তরীখানা জোয়ার ভাঁটার টানে

    অকূল গাঙের মাঝি রে
    অকূল গাঙের মাঝি রে।।।।।।।।।।।।।।।।
    ও মাঝি রে ।।।।।।।। ও মাঝি ভাই ।।।।।।।।।।

    ------ঃ ****¬ঃ-----------

    অজয়ের কোলাহলে
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    অজয়ের কোলাহলে মেতে ওঠে গ্রাম,
    নদীজল ছল ছল বহে অবিরাম।
    দুইপারে ছোট গ্রাম মাঝে নদী বয়,
    নদীতীরে সুশীতল সমীরণ বয়।

    নদীজল কল কল করে কোলাহল,
    অজয় নদীর ধারা বহে অবিরল।
    মাঝি ভাই নৌকা বায় ভাটিয়ালি সুরে,
    শাল পিয়ালের বনে বাঁশি বাজে দূরে।

    অজয়ের হাঁটুজল বৈশাখের মাসে,
    নদীবাঁকে ঝাঁকেঝাঁকে শালিকেরা আসে।
    পার হয় গরুগাড়ি, পার হয় লোক,
    নদীপারে দৃশ্য হেরি ভরে দুই চোখ।

    অজয়ের নদীচরে পড়ে আসে বেলা,
    রবি ডুবে সাঙ্গ হয় দিবসের খেলা।

    ------ঃ ****¬ঃ-----------

    অজয় নদী বয়ে চলে
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    অজয় নদী বয়ে চলে আমার গাঁয়ের পাশে,
    প্রভাতবেলায় পূব গগনে অরুণ রবি হাসে।
    নদীর ঘাটে যাত্রীরা এলে গাঁয়ের মাঝিভাই,
    গান গেয়ে মাঝি বৈঠা হাতে নৌকা চালায়।

    নদীর চরে খেলা করে বন শালিকের ঝাঁক,
    দূর আকাশে ভেসে আসে শঙ্খচিলের ডাক।
    নদীরঘাটে পাড়ার ছেলে আসে গামছা পরে,
    তেল মেখে চান করে তারা ফিরে যায় ঘরে।

    বেলা পড়ে আসে নদীর ঘাটে সূর্য অস্ত যায়,
    সাঁঝের আঁধার আসে নেমে নদীর কিনারায়।
    জোনাকিরা জ্বলে গাছে নদীর ঘাটের কাছে,
    নির্জন নদীর ঘাটে দেখি নৌকা বাঁধা আছে।

    দূরে নদীর ঘাটে ঘাটে চাঁদের আলোক ঝরে,
    জোছনারাতে জোনাকিরা কাঁদে অজয়ের চরে।

    ------ঃ ****¬ঃ-----------

    গাঁয়ের অজয় নদী
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    গাঁয়ের অজয় নদী চলে আঁকে বাঁকে,
    হিমেল হাওয়া বয় গাছে পাখি ডাকে।
    দুই ধারে উঁচু নীচু অজয়ের পাড়।
    মাঝিভাই খেয়া বায় টেনে চলে দাঁড়,

    খেয়া পারাপার করে সারাদিন ধরে,
    মাছরাঙা মাছ খায় বসে বালুচরে।
    নদী ধারে ধান মাঠে আসে বনটিয়া,
    শিস দেয় বারে বারে হরষিত হিয়া।

    মাঠেমাঠে পাকে ধান চাষী যায় মাঠে,
    গান গেয়ে সারাদিন মাঠে ধান কাটে।
    এপারেতে তালবন খেজুরের সারি,
    ওপারে সবুজ গাছ ছোট ছোট বাড়ি।

    গাঁয়ের বধূরা সব নদী ঘাট হতে,
    কলসীতে জল নিয়ে চলে রাঙাপথে।
    অজয়ের নদীঘাটে পড়ে আসে বেলা,
    নামে সন্ধ্যা শেষ হয় দিবসের খেলা।

    ------ঃ ****¬ঃ-----------

    অজয়নদীর ঘাটের কাছে

    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
    অজয় নদীর ঐ ঘাটের কাছে,
    মা কালীর এক মন্দির আছে।
    দূরে দেখি নদীর শ্মশান ঘাটে,
    জ্বলে ওঠে চিতা দিনে রাতে।

    যাত্রী বোঝাই নৌকা আসে,
    পূবের গগনে অরুণ হাসে।
    যাত্রীরা নামে নৌকা হতে,
    পায়ে হেঁটে চলে রাঙাপথে।

    গাঁয়ের বধূরা কলসী কাঁখে,
    জল নিয়ে আসে নদী থেকে।
    নদীর বাঁকে মোড়ের মাথায়,
    ভালুক-ওয়ালা ভালুক নাচায়।

    গাঁয়ের বাউলরা নদীর চরে,
    একতারা বাজিয়ে গান করে।
    শাল পিয়ালের বনে বাঁদাড়ে
    মুরগী ডাকে ঝোপের আড়ে।

    পড়ে আসে বেলা সূর্য ডোবে,
    নামে আঁধার বাঁশের ঝোপে।
    সানাই-এর সুর বেজে উঠে,
    চাঁদের আলো জোছনা ফুটে।

    অজয় নদীর কাব্য পাঠে পাঠক ও কবিগণের মন্তব্য।

    শহীদ খাঁন
    আসরের স্বনামধন্য কবি।

    সুপ্রিয় কবি বন্ধুবর। আপনার এ অসাধারন লেখণী
    পুরাটা না পড়লে, কেউ সহজে অনুধাবন করতে
    পারবেন না।আপনার লেখণীর মাঝে আমি অনেক
    কিছুই খুজে পেলাম দাদা। শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা
    সতত।
    ভাল থাকবেন,
    মনে রাখবেন।

    মন ভরে গেল প্রিয় কবি। অপূর্ব সুন্দর উপস্থাপনা।

    জলোরাশি ভালোবাসি অজয়ের ধারা,
    কাশ বনে কূলে মাঝি
    অতি মনোহরা।
    রবি মামা দেয় হামা ঊষাভোরে নিত্য,
    অজয়ের কলোরোলে-করে
    মন নৃত্য।
    রাতে শশী জ্বলে নেভে মেঘ তার আরপার,
    তরঙ্গ জলোরাশি-ভালোবাসি
    বার বার।
    তারকার দেশে চলি উঁচুনিচু ঢেউ গুলি,
    আর রবে ভাবাবেগে-গেয়ে চলি
    কথাকলি।
    অজয় সে জলোধারা তির তির চলে বয়ে,
    মাঝি তার মল্লায়-বয়ে চলে
    গান গেয়ে।
    জেলে আর বরশিতে কচি কাঁচা মাছ ধরে,
    জাল টেনে টোনাটুনি-মাছ নিয়ে
    যায় ঘরে।
    অজয় সে বুকে ধরি মাতামহী গরিমাতে,
    জোড় করে ভক্তিতে-প্রণামেতে
    প্রতি প্রাতে।

    আন্তরিক প্রীতি ও শুভকামনা রইল প্রিয় কবি।

    অজয় নদীকে ভুগলে পড়েছিলাম । আজ আপনার কাছ
    থেকে এতো জেনে অভিভূত হলাম প্রিয় কবিজি (দাদা) ।
    প্রতিটি কবিতা আমার মনে দাগ কেটে গেল। কেন জানেন?
    আমি শিশুকালে মুর্শিদাবাদের বেনিয়াগ্রাম আর ফারাক্কায় থাকতাম।
    সেখানকার স্মৃতি আর দৃশ্যকে আজও ভুলতে পারনি। শেষবার গেছি
    ১৯৮৮ সালে। আর যাওয়া হয়নি। আপনি কবিতাতে যে বিবরণ দিয়ে থাকেন
    তা আমি যেন নিজ চোখে দেখি ।

    অনেক অনেক ভালোলাগা মাখা ভালোবাসা দিলাম অজয় নদীকে আর
    আমার প্রিয় কবি-দাদাকে।
    জয় গুরু।।।।।।।।।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 340112.79.896712.145 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:১৩633724
  • খেয়াল করে দেখবেন বাঙালিরা কম-বেশি সবাই প্রায় বেজায় স্বাস্থ্যকর। আর এর পেছনে আমাদের খাদ্যাভ্যাসকে কৃতিত্ব না দিলে কিন্তু ভুল কাজ হবে। কারণ আমাদের রান্নায় বেশি মাত্রায় হলুদ এবং রসুন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর হলুদ যে বেজায় স্বাস্থ্যকর তা কি আর বলে দিতে হবে। আর যদি রসুনের কথা জিজ্ঞাস করেন তাহলে বলতে হয় এতে উপস্থিত অ্যালিসিন নামক একটি উপাদান মাথার চুল থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে দারুন কাজে আসে। এই কারণেই তো চিকিৎসকেরা প্রতিদিন সকালে উঠে খালি পেটে রসুন খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে যদি এমনটা করতে না পারেন, তাহলেও ক্ষতি নেই। কারণ আমাদের নানা পদে যে রসুন উপস্থিত! প্রসঙ্গত, নিয়মিত রসুন খাওয়া শুরু করলে সাধারণত যে যে শরীরিক উপকারগুলি পাওয়া যায়, সেগুলি হল।।। ১। নানাবিধ ব্রেনের অসুখ দূরে থাকেঃ বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে রসুনে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র এমন খেল দেখাতে শুরু করে যে নানাবিধ নিউরোডিজেনারেটিভ অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। বিশেষত অ্যালঝাইমার্স মতো রোগ দূরে থাকে। ২। হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটেঃ হে ভোজনরসিক বাঙালি নানা পদের স্বাদ নিতে নিতে কি হজম ক্ষমতাটা একেবারে গোল্লায় গেছে? তাহলে নিয়মিত রসুন খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন হজমের উন্নতি ঘটতে সময় লাগবে না। আসলে রসুনে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান স্টমাকের ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে বদ-হজম এবং নানাবিধ পেটের রোগের প্রকোপ কমে চোখের নিমেষে। ৩। বারে বারে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমেঃ ওয়েদার চেঞ্জের সময় যারা সর্দি-কাশিতে খুব ভুগে থাকেন। তারা আজ থেকেই দু কোয়া রসুন অথবা গার্লিক টি খাওয়া শুরু করুন। তাহলেই দেখবেন আর কোনও দিন এমন ধরনের শারীরিক সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে না। কারণ রসুন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে খুব শক্তিশালী বানিয়ে দেয়। ফলে ভাইরাসদের আক্রমণে শরীরের কাহিল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। ৪। নানাবিধ সংক্রমণ সব দূরে থাকেঃ গত ৭০০০ বছর ধরে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে রসুনের ব্যবহার হয়ে আসেছে। আর কেন হবে নাই বা বলুন, এতে উপস্থিত একাধিক কার্যকরি উপাদান ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস সহ একাধিক জীবাণুর সংক্রমণ আটকাতে যে কোনও আধুনিক মেডিসিনের থেকে তাড়াতাড়ি কাজে আসে। তাই তো প্রতিদিন ১-২ কোয়া রসুন খেলে এমন ধরনের সব রোগের খপ্পরে পরার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। ৫। ব্লাড প্রসোর নিয়ন্ত্রণে থাকেঃ বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে রসুনের মধ্যে থাকা বায়োঅ্যাকটিভ সালফার, রক্তচাপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে শরীরের অন্দরে সালফারের ঘাটতি দেখা দিলে তবেই রক্তচাপ বাড়তে শুরু করে। এই কারণেই তো দেহের অন্দরে সালফারের ঘাটতি মেটাতে নিয়মিত এক কোয়া করে রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। ৬। ত্বক সুন্দর হয়ে ওঠেঃ শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদান বা টক্সিনের কারণে ত্বকের যাতে কোনও ধরনের ক্ষতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে রসুন। সেই সঙ্গে কোলাজিনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখার মধ্য়ে দিয়ে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। অন্যদিকে প্রায় প্রতিদিন যদি থেঁতো করা রসুন চুলে লাগানো যায়, তাহল দারুন উপকার মেলে। একবার ভাবুন আকারে ওইটুকু, কিন্তু কত কাজেই না আসে। ৭। রক্ত বিষমুক্ত হয়ঃ প্রতিদিন এক গ্লাস গরম জলের সঙ্গে দুটো রসুনের কোয়া খেলে রক্তে থাকা নানা বিষাক্ত উপাদান শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে ত্বক এবং শরীর উভয়ই চাঙ্গা হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, যারা ওজন কমানোর কথা ভাবছেন, তারা দু কোয়া রসুন খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এক গ্লাস গরম জলে লেবু চিপে সেই জল পান করুন। এমনটা করলে দেখবেন নিমেষে ওজন কমে যাবে। ৮।ইমিউনিটি বাড়েঃ রসুনে উপস্থিত ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, যা দেহের আনাচে-কানাচে জমতে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। আর একবার ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয়ে উঠলে একদিকে যেমন সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে, তেমনি ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। ৯। ক্ষতের চিকিৎসায় কাজে আসেঃ কেটে গেলে এবার থেকে ক্ষতস্থানে এক টুকরো রসুন রেখে ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে দিন। তাহলেই দেখবেন জ্বালা-যন্ত্রণা কমে যাবে। সেই সঙ্গে ক্ষতও সারতে শুরু করবে। আসলে রসুনে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান প্রদাহ কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই তো যন্ত্রণা কমাতে এটি এতটা কাজে লাগে। ১০। ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে থাকেঃ একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে প্রতিদিন রসুন খেলে পাকস্থলী এবং কলোরেকটাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। তাই যাদের পরিবারে এই ধরনের ক্যান্সারের ইতিহাস রয়েছে তারা রসুন খাওয়া কোনও দিন বন্ধ করবেন না। দেখবেন উপকার পাবেন। ১১। হাড় শক্তপোক্ত হয়ে ওঠেঃ শুনে একটু অবাক লাগছে, তাই তো? কিন্তু একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে নিয়মিত রসুন খাওয়া শুরু করলে দেহের অন্দরে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি প্রপাটিজের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে একদিকে যেমন নানাবিধ যন্ত্রণা কমে, তেমনি হাড়ের ক্ষয় হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে। ১২। হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটেঃ রসুনে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজ রয়েছে। এই উপাদানটি একদিকে যেমন শরীরে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, তেমনি উচ্চ রক্তচাপকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে। আর একথা তো সবারই জানা আছে যে এই দুটি জিনিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে তো হার্টের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটার আশঙ্কা একেবারেই থাকে না। প্রসঙ্গত, রক্তে শর্করার মাত্রাকে স্বাভাবিক রাখার মধ্যে দিয়ে ডায়াবেটিসের মতো রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও রসুনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
  • | 453412.159.896712.72 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:৩৬633725
  • এই টইটা নিজের কবিতার জন্য নয়। অন্যের লেখা যেসব কবিতা ভাললেগেছে সেগুলো পোস্ট করুন।
  • কুমু | 2345.111.4534.87 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:৩৯633727
  • প্রিয় কবিতার টইতে অসাধারণ কবিতা।
  • কুমু | 2345.111.4534.87 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:৩৯633726
  • প্রিয় কবিতার টইতে অসাধারণ কবিতা।
  • কুমু | 2345.111.4534.87 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৭:০১633729
  • রসুন কবিতা টি বেশ।দুই এক জায়গায় ছন্দ ধরতে পারিনি,ও কি ছু না।সবচেয়ে সুন্দর হল,"বাঙালী রা কমবেশি সকলেই স্বাস্থ্যকর।"
  • dc | 232312.174.1289.243 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৮:৫৯633730
  • রসুন আর লেবু-লংকা, এই দুটো কবিতাই অসাধারন। বিশেষ করে লেবু-লংকার শেষটা তো বারবার পড়তে হয়, এরকম পদ্য সচরাচর চোখে পড়ে না। যদিও তিনটি কেন বুঝতে পারিনি, দুটি হওয়া উচিত ছিলো, লংকা যখন একটি।

    আশা করি এবার পেঁয়াজ নিয়ে একটা কবিতা পাবো।
  • কুমু | 2345.111.5634.64 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২০:০৮633732
  • লেবু লংকা পড়ে চক্ষের জল ধরে রাখতে পারলাম না‌,এক কেজি লেবু নিয়ে এলাম।আমার ধারণা ছিল মশা তাড়া নোর জন্য লেবুলংকা ঝোলায়, ধিক আমাকে।
  • কুমু | 2345.111.5634.64 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২০:০৮633731
  • লেবু লংকা পড়ে চক্ষের জল ধরে রাখতে পারলাম না‌,এক কেজি লেবু নিয়ে এলাম।আমার ধারণা ছিল মশা তাড়া নোর জন্য লেবুলংকা ঝোলায়, ধিক আমাকে।
  • সিকি | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২০:১৮633733
  • | 2345.106.780123.22 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২১:১৯633734
  • ইয়ে লেবু লঙ্কার কবতে টা কোতায় পাব? অজয় নদী পেরিয়ে যেতে হবে কি?
  • পিনাকী | 2367.119.676712.1 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২১:৩২633735
  • রসুন, লেবু-লংকা সব পড়ে আপটুডেট হলাম। একরাশ মুগ্ধতা রইল।
  • dc | 232312.174.1289.243 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২২:৩৮633736
  • লেবু লংকা এপাতাতেই আছে, একটু ওপর দিকে। Date:20 Sep 2018 -- 03:52 PM

    অবশ্যই পড়বেন। কাব্যগুনেও ভরপুর, আবার অনেক কিছু জানতেও পারবেন।
  • | 670112.193.233412.73 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২২:৫৬633737
  • উঠতে গেলেই অজয় নদীর চড়ায় এটকে যাতিছি। থাক মোবলিকে এত কষ্ট দিয়ে লাভ নেই। কাল ল্যাপী থেকে ট্রাই করব।
  • বিপ্লব রহমান | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:২৮633738
  • পরানের গহীর ভিতর-১
    - সৈয়দ শামসুল হক

    জামার ভিতর থিকা যাদুমন্ত্রে বারায় ডাহুক,
    চুলের ভিতর থিকা আকবর বাদশার মোহর,
    মানুষ বেকুব চুপ,হাটবারে সকলে দেখুক
    কেমন মোচড় দিয়া টাকা নিয়া যায় বাজিকর ৷
    চক্ষের ভিতর থিকা সোহাগের পাখিরে উড়াও,
    বুকের ভিতর থিকা পিরীতের পূর্ণিমার চান,
    নিজেই তাজ্জব তুমি – একদিকে যাইবার চাও
    অথচ আরেক দিকে খুব জোরে দেয় কেউ টান৷
    সে তোমার পাওনার এতটুকু পরোয়া করে না,
    খেলা যে দেখায় তার দ্যাখানের ইচ্ছায় দেখায়,
    ডাহুক উড়ায়া দিয়া তারপর আবার ধরে না,
    সোনার মোহর তার পড়া থাকে পথের ধূলায় ৷
    এ বড় দারুণ বাজি, তারে কই বড় বাজিকর
    যে তার রুমাল নাড়ে পরানের গহীন ভিতর ৷
  • b | 4512.139.6790012.6 | ২১ অক্টোবর ২০১৮ ১৯:৩৭633740
  • Shirt
    By Robert Pinsky
    *****************
    The back, the yoke, the yardage. Lapped seams,
    The nearly invisible stitches along the collar
    Turned in a sweatshop by Koreans or Malaysians

    Gossiping over tea and noodles on their break
    Or talking money or politics while one fitted
    This armpiece with its overseam to the band

    Of cuff I button at my wrist. The presser, the cutter,
    The wringer, the mangle. The needle, the union,
    The treadle, the bobbin. The code. The infamous blaze

    At the Triangle Factory in nineteen-eleven.
    One hundred and forty-six died in the flames
    On the ninth floor, no hydrants, no fire escapes—

    The witness in a building across the street
    Who watched how a young man helped a girl to step
    Up to the windowsill, then held her out

    Away from the masonry wall and let her drop.
    And then another. As if he were helping them up
    To enter a streetcar, and not eternity.

    A third before he dropped her put her arms
    Around his neck and kissed him. Then he held
    Her into space, and dropped her. Almost at once

    He stepped to the sill himself, his jacket flared
    And fluttered up from his shirt as he came down,
    Air filling up the legs of his gray trousers—

    Like Hart Crane’s Bedlamite, “shrill shirt ballooning.”
    Wonderful how the pattern matches perfectly
    Across the placket and over the twin bar-tacked

    Corners of both pockets, like a strict rhyme
    Or a major chord. Prints, plaids, checks,
    Houndstooth, Tattersall, Madras. The clan tartans

    Invented by mill-owners inspired by the hoax of Ossian,
    To control their savage Scottish workers, tamed
    By a fabricated heraldry: MacGregor,

    Bailey, MacMartin. The kilt, devised for workers
    To wear among the dusty clattering looms.
    Weavers, carders, spinners. The loader,

    The docker, the navvy. The planter, the picker, the sorter
    Sweating at her machine in a litter of cotton
    As slaves in calico headrags sweated in fields:

    George Herbert, your descendant is a Black
    Lady in South Carolina, her name is Irma
    And she inspected my shirt. Its color and fit

    And feel and its clean smell have satisfied
    Both her and me. We have culled its cost and quality
    Down to the buttons of simulated bone,

    The buttonholes, the sizing, the facing, the characters
    Printed in black on neckband and tail. The shape,
    The label, the labor, the color, the shade. The shirt.
  • JD | 013412.184.235623.35 | ২২ অক্টোবর ২০১৮ ১৯:৩৪633741
  • উফ কি পাওয়ারফুল কবিতাটা, আগে কখনো পড়িনি, অবশ্য আমি প্রায় অশিক্ষিত কাজেই সেটা আশ্চর্যের নয় ..
    আজকেই এটা ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়তে দেবো !
  • র২হ | 238912.66.566712.231 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:২৬633742
  • জয় গোস্বামীর কবিতা, একটি মেয়ের আত্মহত্যা নিয়ে, একটি পাখিকে উদ্দেশ্য করে - কিছুতেই মনে করতে পারছিনা। কেউ বলবে?
  • কুশান | 015612.107.231223.12 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:২৪633743
  • বুলবুল পাখির কবিতা

    ও বুলবুল পাখি তোমার গান ফুরোল ঘুমের বড়ি খেয়ে
    ছাদের ওপর শুকনো কাপড়, তারের ওপর ক্লিপগুলো আটকানো
    পরশু থেকে কেউ তোলে নি, পিছন দিকে দেবদারুগাছ থেকে
    উল্টোপাল্টা পাতা কেবল আছড়ে এসে পড়ছে খুশিমতো
    বিকেলবেলার মেঘ সরেছে, রোদ হেলেছে হেমন্তকাল বেলা
    ঘরের কিছু সরায় নি কেউ? টেবিলে সেই শিশি, টেবিলক্লথ?
    এককোণে চুপ জলের কুঁজো, বোকা গেলাস উল্টে আছে মুখে
    খাটের ওপর না-খোলা বই, ড্রেসিং টেবিল, আয়নায় টিপ সাঁটা,
    ওরাই শুধু সব দেখেছে, ওরা তখন ঘরেই ছিল, ওরা
    সমস্ত ঠিক বলতে পারে, কী বলবে আর কেউ-দায়ী-নয় চিঠি?
    ওই খাট সব বলতে পারে কখন তুমি কাঁদলে উপুড় হয়ে,
    পাশের বাড়ির ভাড়াটে বউ, নিচের তলার মন্দিরাদির বাবা
    দুদিক থেকে ধ'রে তোমায় অ্যাম্বুলেন্সে তুলল, তখন ক'টা!
    পাড়ায় যখন খবর এল, কারা তোমার অন্যরকম চেনা,
    তোমার সঙ্গে কার কী ছিল-গল্প চলল জটলায় জটলায়...
    আমিও এই পাড়ার ছেলে, পাড়ার পুজোয় চাঁদাও নিয়ে গেছি,
    লাইব্রেরিতে তোমার হাতেই বই দিয়েছি পাল্টে কতবার
    নাহয় তোমার ছোটই হবো, না হয় তোমায় দিদি-ই বলতাম,
    না হয় তোমার বন্ধুও নই, না হয় নই অন্যরকম চেনা-
    হঠাৎই সব করে বসলে-ও বুলবুল পাখি, তুমি
    আমার কথা একবারও ভাবলে না!
  • একক | 340112.124.566712.143 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৫৩633744
  • বড্ড সাটলটির অভাব। যেন এম্বুলেন্স অবধি কোলেকরে এগিয়ে না দিলে,পাঠক বুঝতো না, সুইসাইড
  • র২হ | 238912.66.786712.183 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ১০:৩১633745
  • হ্যাঁ, এটাই, থ্যাঙ্কিউ!

    অ্যালবামে একটা পুরনো ফটো দেখে মনে পড়ে খুঁজছিলাম।
  • Faiz Saab | 340112.124.566712.135 | ১২ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৩১633746
  • मुझसे पहली-सी मुहब्बत मिरे महबूब न मांग
    मैनें समझा था कि तू है तो दरख़शां है हयात
    तेरा ग़म है तो ग़मे-दहर का झगड़ा क्या है
    तेरी सूरत से है आलम में बहारों को सबात
    तेरी आखों के सिवा दुनिया में रक्खा क्या है
    तू जो मिल जाये तो तकदीर नगूं हो जाये
    यूं न था, मैनें फ़कत चाहा था यूं हो जाये

    और भी दुख हैं ज़माने में मुहब्बत के सिवा
    राहतें और भी हैं वसल की राहत के सिवा

    अनगिनत सदियों के तारीक बहीमाना तिलिसम
    रेशमो-अतलसो-किमख्वाब में बुनवाए हुए
    जा-ब-जा बिकते हुए कूचा-ओ-बाज़ार में जिस्म
    ख़ाक में लिबड़े हुए, ख़ून में नहलाये हुए
    जिस्म निकले हुए अमराज़ के तन्नूरों से
    पीप बहती हुयी गलते हुए नासूरों से
    लौट जाती है उधर को भी नज़र क्या कीजे
    अब भी दिलकश है तिरा हुस्न मगर क्या कीजे

    और भी दुख हैं ज़माने में मुहब्बत के सिवा
    राहतें और भी हैं वसल की राहत के सिवा
    मुझसे पहली-सी मुहब्बत मिरे महबूब न मांग
  • b | 237812.68.674512.73 | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৫:৫১633747
  • thanks to Atoz, ভাটে হারিয়ে যাওয়ার আগে চিপকিয়ে রাখলাম।

    এই কি জীবন কালীদা
    - তারাপদ রায়
    **********
    এসব কথা ভুলে যাওয়া যায় না,
    মনে রাখাও সম্ভব নয়।
    মাঠের ভিতরে উড়ে যাচ্ছে হলুদ রঙের পাতা, এলোমেলো অন্যমনস্ক পাখি,
    বটগাছের নীচে সন্ন্যাসীর পায়ের কাছে শুয়ে আছে বশংবদ কুকুর,
    রাস্তার কল থেকে আঁজলা করে
    লোহার গন্ধমাখা জল খাচ্ছে ইস্কুলের ছেলেরা।
    দূরে মেঘলা আকাশ নীল রঙের শীতের দিন,
    যারা জঙ্গলে গিয়েছিলো একজন ছাড়া সবাই ফিরেছে,
    যে ফেরেনি তার কথা আলোচনা করছে বাজারের লোকেরা,
    তার বুড়ি ঠাকুমা দাওয়ায় বসে কাঁদছে,
    চায়ের দোকানের বেঞ্চিতে বসে
    একজন আরেকজনকে বলছে, এই কি জীবন, কালীদা?
    এ সব ঠিক মনে রাখার বা ভুলে যাওয়ার নয়,
    থাকে অথবা হারিয়ে যায়
    কারোর কিছু আসে যায় না,
    শুধু শুধু একা বৃদ্ধা দাওয়ায় বসে কাঁদে,
    চায়ের দোকানে নিরুত্তর চুপচাপ বসে থাকে কালীদা।
    দূরে মেঘলা আকাশ, নীল রঙের শীতের দিন।
  • Atoz | 236712.158.788912.174 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:৩৯633748
  • অনেক ধন্যবাদ b। আমার নিজেরই টইতেই দেওয়া উচিত ছিল। আপনি দিয়ে দিলেন, অনেক ধন্যবাদ। এইসব কবিতা চিরকালের ভালো কবিতা।
  • করবী কুসুম | 236712.158.678912.185 | ০৯ জানুয়ারি ২০২০ ২২:৫১633749
  • কার্য সমাপন হলে ছায়ার মতন এসে ছায়া দেয় সাবলীল ঘুম ;
    পরস্পর আলিঙ্গনে শুয়ে থাকি আমি আর করবী কুসুম।
    আকাশের পরিসরে আলো আর অন্ধকার নানাভাবে জড়িয়ে রয়েছে,
    সকল তারার আলো পরস্পর মেলামেশা করে
    প্রেমার্ত চিন্তার মতো, পবিত্র চিন্তার মতো হয়।
    কার্য সমাপ্ত হলে ছায়ার মতন হয়ে ছায়া দেয় সাবলীল ঘুম ;
    পরস্পর বাহুপাশে শুয়ে আছি আমি আর করবী কুসুম।
    চিন্তার সঙ্কট এলে এইরূপ কথা ভাবা,দৃশ্য ভাবা, নিরাপদ, ভালো।
    তবেই আদর করে ভালোবাসে সময় আকাশ অগ্নি নক্ষত্রের আলো।

    ~~~
    বিনয় মজুমদার
  • | 2601:247:4280:d10:ed3c:a60f:82fa:ed93 | ২৩ জুলাই ২০২০ ০৬:১৭732428
  • মরণ
    -কবিতা সিংহ

    বেশ কেমন হাল্কা নীল রঙের শার্ট পরেছে আকাশ
    শার্ট মনে করতেই ছুট
    বালির উপর দিয়ে ছুট ছুট ছুট
    ছুট মনে করতেই সমুদ্র আঙুল
    শাদা ফেনা নখে খামচে ধরা হলুদ সৈকত
    আঙুল মনে করতেই চাঁপা গড়ন মরণ!
    গড়ন মনে করতেই আঙুলে আঙুলে কথা বলা
    কথা বলা মনে করতেই পুরন্ত ঠোঁট
    ঠোঁট মনে করতেই হাসি -হাসি থেকে
    চোখের নীলতারা
    নীলতারা মনে করতেই আবার নীল শার্ট
    নীলশার্ট মনে করতেই নীল আকাশ
    নীল আকাশ মানেই বালির উপর
    ছুট্ ছুট্ ছুট্
    পায়ের ছাপ ফেলতে ফেলতে - মরণ
    দুখানি অমল চরণ
    চরণ মনে করতেই চুম্বন চুম্বন চুম্বন চুম্বন!
    চুম্বন মনে করতেই নেমে আসা নীলতারা
    জোড়াভুরু চোখ
    দুভুরুর মাঝখানের ঘূর্ণি তিলের তিলক
    নীলতারা নীলতারা মনে করতেই আকাশ
    আকাশ মনে করতেই আবার নীল শার্ট
    নীলশার্ট মনে করতেই কেবল বার বার
    ঘুরে ফিরে, ফিরে ঘুরে আবার- আকাশ, আঙুল, চোখ, ছুট, হাসি, চরণ-আবার নীল শার্ট
    মরণ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন