এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • প্রিয় কবিতা

    Riju
    অন্যান্য | ১৮ জুলাই ২০০৬ | ৩৮৬৫২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ... | 99.38.123.8 | ১৪ জুন ২০১০ ০৩:১৮633552
  • মহাশ্বেতা দেবী মনীশ ঘটকের মেয়ে? উইকিও তাই বলছে। দ্যাকো ক্ষান্ডো! এদ্দিন জানতুম, ছোট বোন।
  • kasturi | 131.95.30.135 | ১৪ জুন ২০১০ ০৫:০৬633553
  • আরে ছাদে উঠে পড়তো যে ন্যাদোশ গরু, সেই গল্প যে বইটায় ছিলো সেখানেই তো ছিলো। মান্ধাতার বাপের আমল মানে যুবনাশ্বের আমল বিষয়েও সেখানেই আছে কিছু কিছু। মণীশের ছদ্মনামই তো যুবনাশ্ব ছিলো। তবে মাছের নামে গরুর নাম রাখা যে মোটেও উচিত নয় সেটা মহাশ্বেতা টুকুন বয়সেই বুঝেছিলো। :-)
  • Somnath | 85.154.255.42 | ১৪ জুন ২০১০ ০৯:৩৭633554
  • এইত্তো। রঞ্জনদার জন্যে আইডিয়াল অক্ষরবৃত্ত মনীশ ঘটকের কবিতাটা। টিকেন-দির বসন্তের গানখানি, মাত্রাবৃত্ত। মহাপয়ার।

    অ্যা-নড়বড়ে,
    ইউনিকোডে বাংলায় গুগলালে তুই ও পেয়ে যেতিস। (আমি অবিশ্যি না গুগলেই লিখিচি।) :-P
  • Shuchismita | 71.201.25.54 | ১৫ জুন ২০১০ ০৮:১৬633555
  • রঞ্জনদা, অমনি অর্বাচীন বলে ব্রাত্য করে দিলেন তো? :)
    আপনার ভালো লেগেছে দেখে খুশী হলাম। বইটা আপাতত কাছেই আছে। কিছু লাগলে বলবেন :)
  • dukhe | 122.160.114.85 | ১৫ জুন ২০১০ ১০:০১633556
  • প্রোঙ্কÄলেরটা বোধহয় তারাপদ রায় ।
  • Diptayan | 115.113.42.194 | ১৫ জুন ২০১০ ১৫:১৮633557
  • . ঘো . - র 'আবহমান সিনেমা টাতে একটা কবিতা বারবার রিপিট হয়েছে - 'অস্তে গেলা দিনমণি / আইলা গোধূলি ....' পুরো কবিতাটা আর কবি র রেফারেন্স টা পাওয়া যাবে ?

    আগাম ধন্যবাদ।
  • dukhe | 122.160.114.85 | ১৬ জুন ২০১০ ১০:৩৮633558
  • অস্তে গেলা দিনমণি/আইলা গোধূলি তো মেঘনাদবধ কাব্য । কিন্তু সিনেমা দেখিনি, কাজেই ওখানে কী দিয়েছে বলতে পারব না ।
  • Diptayan | 115.113.42.194 | ১৬ জুন ২০১০ ১৩:২৭633559
  • থ্যাংকু দুখে - খুব চেনা লাগছিল তাই। দ্বিতীয় সর্গ - সিনেমায় এটাই ইউজ হয়েছে।
  • arindam | 59.93.242.211 | ১৮ জুলাই ২০১০ ০৭:২১633560
  • মৌমাছিটা

    খোঁপার মধ্যে মৌমাছিটা
    গুন্‌গুনানি
    সমস্ত রাত,
    ঝর্ণা যেমন শব্দ কাটে
    পাহাড়ি খাদ
    সমস্ত রাত।

    খোঁপাই কিনা সন্দেহ হয়,
    চুল তো খোলা,
    হয়তো মাছি বুকের মধ্যে
    কিন্তু ব্রাও তো
    ঢিলেঢালা।

    হয়তো বুকের মৌমাছিটাই
    পাহাড় চড়তে
    পিছলে গিয়ে অনেক নিচে
    পড়তে পড়তে
    ঊরুর খাদে আটকে ছিল
    তাই সারারাত গুন্‌গুনানি
    মৌমাছি না জলপ্রপাত।। (জগন্নাথ চক্রবর্তী)
  • arindam | 59.93.242.211 | ১৮ জুলাই ২০১০ ০৭:২৯633562
  • কেশবিলাস

    তোমার ভুলে যাওয়া কথাগুলো
    সোনার চিরুনিতে মাথায় গেঁথে রাখবো
    আমি একদিন সময় করে ঠিক
    খোঁপাটা খুলব দেখো
    জানতে তার মধ্যে কটা গ্রন্থি-বাঁধা কাঁটা আছে
    এক একটা কাঁটায় এক একটা কথা
    আমি গুনে গুনে দেখব
    কতটা এগিয়েছি কতটা পেছিয়েছি
    হৃদয়-মোহনায় ক'টা জোয়ার-ভাঁটা আছে
    এক একটা মনে রাখায় এক একটা গিঁট
    এক একটা ভুলে যাওয়ায় এক একটা কাঁটা
    অবাধ্য চুলগুলো ফিতেতে ঢিট্‌
    করতে না জানি কত সুগন্ধ তেলের রাস্তা হাঁটা। (সাধনা মুখোপাধ্যায়)
  • Shibanshu | 59.97.224.117 | ১৯ জুলাই ২০১০ ১১:৪৮633563
  • রঞ্জন, 'পরমা' ভালো লাগাতে 'আধ-বুড়ো' হতে হয়না। পুরো-'বড়ো' হতে হয়। যেমন 'মেঘনাদ-বধ' বড়োদের কবিতা আর 'মৌমাছিটা'.... ছোটোদের। :-)
  • agantuk | 128.48.203.91 | ২০ জুলাই ২০১০ ০১:৫৫633564
  • আরিত্তারা, সাধনা মুখার্জির কবিতাও পড়েন নাকি গু-চর লোকজন! ওঁর শ্রেষ্ঠ কবিতা দে'জ এর ক্যাটালগে আছে, কিন্তু প্রকাশকের ঘরেই মেলে না। আর আনন্দ থেকে 'ক্যাপ্টেনের স্ত্রীর রবীন্দ্রসঙ্গীত' (?) আর 'ছুইমুই লজ্জাবতী' (?) বেরিয়েছিল, কিন্তু এখনো পাওয়া যায় কি? ধন্যবাদ, অরিন্দম, আরো আছে নাকি আপনার স্টকে?
  • Samik | 122.162.75.10 | ২০ জুলাই ২০১০ ০৮:৫৫633565
  • ওদিকে পর্বে পর্বে কবিতায় ফরিদার "পাচ্ছি না, ওকে কিছুতেই পাচ্ছি না' পড়ে থেকে আমার মাথায় বহু বহু পুরনো একটা কবিতা পাক দিয়ে উঠল, কিন্তু নামাতে গিয়ে দেখি কবিতার খাতাটাই খুঁজে পাচ্ছি না, কিছুতেই পাচ্ছি না।

    খুঁজে পেলে টুকে দেব এখানে।
  • Arpan | 122.252.231.10 | ২৫ জুলাই ২০১০ ১৫:৪৬633566
  • দিঘিতে হাঁস শামুকদানা খেআঁজে
    শরীর ভাসে… নাখমুখঠেআঁট জলে
    দিঘিতে হাঁস ঝিনুকদানা খেআঁজে…

    মৃগকে ব্যাঘ্র… বনস্থলে
    প্রয়োজনীয় খাদ্য মনে করে

    তোমার বুকে কী খুঁজেছি কাল
    শামুক? ঝিনুক? মাতৃশিশুকাল?
    তোমার বুকে কী পেয়েছি কাল–
    পুরো শৈশব, হুলো বাল্যকাল?

    মৃগকে ব্যাঘ্র… বনস্থলে
    নিজের জন্য খাদ্য কনফার্ম করে

    কাল কি ছিল অতিরিক্তকাল?
    তোমার বুকের তিলটি ছিল তাল… !
    এমন কি তিল কৃষ্ণ নহে, লাল?
    কালকে আকাশপাতাল ছিল কাল… !

    কালকে আমি বনস্থলে ছিলাম
    প্রমাণ ছিল, ব্যাঘ্র আমার নাম
    তোমার বুকের মাংশ ছিল, কাঁচা
    তাই খেয়েই তো আজ পর্যন্ত বাঁচা–
    কাল পর্যন্ত বাঁচতে যদি চাই
    ব্যাঘ্র আমি, কাঁচামাংশই চাই

    বকের চোখে পুঁটির ছবি আঁকা
    পুঁটির চোখেও কেঁচো আঁকা ছিল
    তোমাকে খেয়ে আমার বেঁচে থাকা
    না খেয়ে কারও বেঁচে থাকা ছিল?

    (খাদ্যখাবার - টোকন ঠাকুর)
  • arindam | 59.93.215.119 | ২৫ জুলাই ২০১০ ১৬:২৩633567
  • শূণ্যতা

    শূণ্যতা খুঁজে বেড়ায় আরেক শূণ্যতাকে।
    দুজনের কারুর-ই ইশকুল-পাঠশালা নেই,
    ছবি নেই, গান নেই, আয়নায় মুখ দেখা নেই,
    সৃষ্টি বা ধ্বংস নিয়ে শলাপরামর্শ নেই,
    দাবী নেই, দেওয়ানেওয়া নেই।
    কেবল এ ওকে আঁকড়ে ধ'রে
    রোদে হি হি...শীতে হি হি...
    বৃষ্টির কিছুটা দূরে হি হি করে কাঁপে।

    শূণ্যতা খুঁজে বেড়ায় আরেক শূণ্যতাকে।
    দুজনে একসঙ্গে থাকে, থাকে, তারপর বজ্রপাত হয়!
    একদিন এ ওর
    ফোকর ফাটল ফাঁকায় আঙুল চালিয়ে দিয়ে
    হো হো করে হাসে।
    তীব্র ঝাঁকুনি দিতে দিতে
    মুষ্ট্যাঘাত, মার, নখের আঁচড়ে
    দুজন দুজনকে রক্তাক্ত করে দূরে চলে যায়।

    তখন কোথাও কিছু গড়ে ওঠে,
    পূর্ণ হয়,
    পূর্ণ হয়ে ওঠে!(শূণ্যতা, ব্রত চক্রবর্তী)
  • ranjan roy | 122.168.9.58 | ২৫ জুলাই ২০১০ ১৮:৩৩633568
  • হার্ড ডিস্ক ক্র্যাশ করায় অনেকদিন দেখতে পারিনি।

    শুচিস্মিতাকে ধন্যবাদ।
    না, না, ব্রাত্য করিনি। বরং লজ্জা লজা মুখ করে আপনাদের এই সমৃদ্ধ আসরে টুক করে এক কোণে বসে পড়েছি।

    ছান্দসিক সোমনাথকে ধন্যবাদ। আস্তে আস্তে মাথায় ঢুকছে।
    কেমন যেন মনে হচ্ছে "" অক্ষরবৃত্ত''ই পরম্পরাগত বাংলা কবিতার প্রধান ছন্দ, একটু বেশি বলে ফেল্লাম না কি:)))?
    শিবাংশু, ভরসা পেলাম। আধবুড়ো হলে চলবে না, পুরোপুরি "বুড়ো' হতে হবে।:)))
    আমার বিজয়া মুখোপাধ্যায়ের তুলনায় সাধনা মুখো'র কবিতা বেশি ভাল লাগত। আর একজন প্রিয় কবি কবিতা সিংহ।
    রাজলক্ষ্মী দেবী ভাল লাগতো না।
  • ranjan roy | 122.168.9.58 | ২৫ জুলাই ২০১০ ১৯:৫১633569
  • মুক্তোডাঙার জল-থৈ-থৈ মাঠ
    ------------------------------------
    মুক্তোডাঙার জল-থৈ-থৈ-মাঠ,
    মাছ উঠেছে ভেসে।
    কাতলা-মৃগেল-রুই,
    চারা-ভেটকি-খলসে-মাগুর-কৈ
    জলে দিচ্ছে ঘাই।
    সকাল-সন্ধে-দুপুর-সাঁঝে
    দিনে-রাতে ঘরের মাঝে
    গেবোর মনটা বলছে শুধু--- যাই।
    একদিন না থাকতে পেরে মায়ের কাছে কান্না দিল জুড়ে।
    ডোং কিনবে, কাঁটা কিনবে, দুটো আনা পয়সা দিতে হবে।
    --- পয়সা বুঝি সিন্দুকেতে ভরা?
    ঘ্যানঘ্যানানি রাখ দেখি মুখপোড়া!
    ছোটভাইটা মরছে জ্বরে তাতে,
    বাল্লি কেনার দু'পয়সা নেই হাতে।
    পয়সা বুঝি ফলছে ঢেঁড়স গাছে?
    যা, নড়ে যা, জ্বালাস নেকো আর।
    রাগের তাপে গরগরিয়ে মনের ক্ষোভে গেবো
    হল ঘরের বার।
    দুপুরবেলা রোদের ঝামটা কড়া,
    হাওয়া নেইকো ঘাছপালা মনমরা,
    লেবুঝোপের কাছে
    ছাগলছানা দু'পা তুলে গন্ধ শুঁকে বেড়ায়
    কচিপাতা ফুটেছে কোন গাছে?
    পাড়ার কোণে চৌধুরিদের বাড়ি,
    ওদের সঙ্গে আড়ি।
    কিন্তু ওদের রান্নাঘরের শেকলখানা খোলা,
    দেয়াল থেকে লটকে আছে বঁড়শি নতুন,
    মাছরাখার এক ঝোলা।

    মুক্তোডাঙার জল-থৈ-থৈ মাঠ,
    মাছ উঠেছে ভেসে।
    ভরদুপুরে কোথাও নেই কেউ,
    গেবোর মনে উঠছে খুশির ঢেউ,
    জ্বরেভোগা ভাইয়ের পথ্যি হবে
    মায়ের মুখের কাটবে আঁধার
    কথা বলবে একটুখানি হেসে।
    হটাৎ দেখে শেতলাপাড়ার পারুল
    -- গেবোদাদা, আছ কেমন?
    ছিপখানা কার? মাছ ধরলে ক'টা?
    আমড়া খাবে? এই নাওনা,
    পিসির বাড়ি যেতে ওরা দিল।

    বল্লে গেবো-- এই পারুলি শোন,
    কালকে যদি আসি লক্ষ্মী বোন,
    আসবি রে তুই মুক্তোডাঙার মাঠে?
    মুচকি হেসে বল্লে পারুল--যাব।
    হাসি সঙ্গে দুললো কানের দুল,
    হেসে উঠলো ঘাড়-ঝাঁপানো চুল।
    সুর্য ডোবে হল ফেরার বেলা,
    -পারুল ভারি মিস্টি ওকে হাসলে মনে হয়
    তালপুকুরে লালশালুকের মেলা।

    কাঁধেতে ছিপ ঝোলায় জিওল মাছ,
    গেবোর মনে মনসাতলার নাচ।
    --" আমি ব্রজের কানু, বাজাই বেণু,
    মাঠে মাঠে চরাই ধেনু।''
    গেবোর গানের সুরে,
    গাছের পাখি পালিয়ে গেল দূরে।
    গাঁয়ের মুখে মাঠ পেছনে ফেলে
    এগিয়ে যেতেই আটকেছে পথ পাড়ার ক'টি ছেলে;
    সবার আগে চৌধুরিদের ভাই,
    গেবোর মুখে কোন শব্দ নাই।
    -- ছিপখানা কার? কোথায় পেলি তুই?
    হাত-মুচড়ে ধরল জনাদুই।
    বল্লে গেবো-- এতো আমার ছিপ,
    কাল এনেছি মাসির বাড়ি থেকে।

    --মাসির বাড়ি বলবি যদি ফের,
    তিন থাপ্পড়ে ঘুরিয়ে দেব গাল।
    মছের খালু ধূলোয় উল্টে দিল,
    যে কয়খানা ছিল একটু বড়ো
    বেছে বেছে নিল।
    গেবোর মনে রাগের রোখের ঝড়,
    দাঁতগুলোকে চিবোচ্ছে কড়ক্‌ড়,
    অপমানের জ্বালায় জ্বলছে বুক,
    মনে ভাসছে ছোটভাইয়ের জ্বরেভোগা মুখ,
    মাঅয়ের গলার ঝাঁঝ আসছে কানে,
    ধূলোমাখা ক্লান্তপায়ে ফিরে চল্লো গেবো ঘরের পানে।।
    (পূর্ণেন্দুশেখর পত্রী)

  • ps | 117.201.112.233 | ২৫ জুলাই ২০১০ ২০:১০633570
  • কয়েকটা দিন নিজের মত,
    কয়েকটা দিন অন্যের মত,
    কয়েকটা দিন বোকার মত,
    কয়েকটা দিন চালাকের মত,

    কয়েকটা দিন ইস্কুলের জন্যে,
    কয়েকটা দিন অফিসের জন্যে,
    কয়েকটা দিন বাড়ির জন্যে,
    কয়েকটা দিন বাইরের জন্যে,
    কয়েকটা দিন মাধবীফুলের জন্যে,
    কয়েকটা দিন টেষ্টম্যাচের জন্যে,
    কয়েকটা দিন ভালোবাসার জন্যে,
    কয়েকটা দিন চোখের জলের জন্যে,

    এইরকম কয়েকটা+কয়েকটা+কয়েকটা
    যোগ দিয়ে দিয়ে কিছুই মেলে না
    তবু দিন যায়।

    কয়েকটা দিন দিনের মত
    কয়েকটা দিন অদিনের মত
    দিন চলে যায়।

    'কয়েকটা দিন' - তারাপদ রায়
  • ps | 117.201.115.20 | ০২ আগস্ট ২০১০ ২২:২৮633571
  • মাঝে মাঝে আমি তোমাকে পেতে চাই
    চিঠি লেখার দূরত্বে;
    আমার কথাগুলি আমাকে দাঁড় করিয়ে রেখে
    তোমার কাছে যাবে।

    আর
    আমি তাদের ফেরবার অপেক্ষায়
    কেবলি ঘর-বার করব
    কেবলি ঘর-বার করব।

    তারপর
    একদিন কড়া নাড়ার শব্দে
    দরজা খুলে দেখব
    আমার নাম-ঠিকানায় কারা যেন দাঁড়িয়ে-

    তাদের একটিও
    আমার চেনামুখ নয়।।

    'দূরত্বে' - সুভাষ মুখোপাধ্যায়।
  • ps | 117.201.115.20 | ০২ আগস্ট ২০১০ ২২:৩২633574
  • একটা লাইন বাদ পড়ে গেছে।
    তৃতীয় লাইনে হবে
    'যেখানে'
  • Diptayan | 115.113.42.194 | ১২ আগস্ট ২০১০ ২০:০৩633575
  • এইটা কোন গানে বা কবিতায় আছে?

    বাসনা মোর,বিকৃতি মোর, আমার ইচ্ছাধারা ঐ চরণে যাক থামি
    সকল ঝড়ে,সকল ভরে আসুক সে চরম ওগো, মরুক না এই আমি....

  • Diptayan | 115.113.42.194 | ১২ আগস্ট ২০১০ ২০:১৩633576
  • বেঁচে থাক সার্চেবেল পিডিএফ - পেয়ে গেছি :)

    পূজা/প্রার্থনা/৯৩ : 'এ অন্ধকার ডুবাও তোমার'
  • d | 115.117.238.96 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১২:৪৪633577
  • বহুদিন পরে
    কিছু ভুলে যাওয়া
    শব্দ
    হঠাৎ
    মনে পড়ে গেল -

    অপারগতা
    হাহাকার
    অর
    শূন্যতা।

    এলোমেলো ২ - মাশীদ আহ্‌মদ
  • Shyamol | 119.30.39.82 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৬:৩৭633578
  • রাতের দুকুল জুড়ে অপার আকাশ
    তবুও বিলাপ শুনি নদীর তিয়াস
    যেনবা আনাগত বেদনার পাপ
    সাঁতরাই তবু ডুবি- রাতের প্রলাপ।
  • I | 14.96.198.193 | ২৩ নভেম্বর ২০১০ ০১:৪৬633579
  • সুব্রত চক্রবর্তী
    ----------------

    আকাশ যে নীল নয়-পাখি জানে, ঘুড়ি কিছু জানে
    দু'হাতে লাটাই নিয়ে যে বালক সারাবেলা মাঠে মাঠে ঘোরে
    যে জানে আকাশ নীল, তার দুটো দীর্ঘ চোখে ভেসে থাকে ম্লান জলকণা।

    জলের ভিতরে ঐ, আমাদের বালক বয়স-
    ঘুরন্ত লাটাই হাতে, একা-একা, সারাবেলা আকাশের দিকে
    চেয়ে থাকে। আকাশ যে নীল নয়, ঘুড়ি জানে,পাখি জানে-
    বালক জানে না।
    (বালক জানে না)

  • I | 14.96.198.193 | ২৩ নভেম্বর ২০১০ ০১:৫৮633580
  • দেবারতি মিত্র
    -------------

    বাংলা অনার্সের ছাত্রী আমার মেয়ে
    সন্ধেবেলা চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে পড়ে-
    কাআ তরুবর পঞ্চ বি ডাল,
    শরীর তরু , তার পাঁচটি ডাল।
    শুনতে শুনতে মার রান্নাঘরের
    শুকনো লঙ্কা-তেজপাতা-জিরে ফোড়নের গন্ধে
    বুক ভরে যায়। বলে ফেলি-
    মটর ডাল মুসুর ডাল?
    মেয়ে গির্জের চূড়োয় আকাশের ঝলক ধরা বাজকাঠি-হতভম্ব !
    তার চোখের কাজল লম্বা হতে হতে কালো মেঘ, অঝোর বর্ষণ,
    নিরালা ছাদের টবে ঘোরনচাঁপা গাছে থৈ থৈ জল।
    আর কতক্ষণ চলবে এই বৃষ্টিবাদল?
    ভাবতে না ভাবতে ক্যালেন্ডারের ফিঙে পাখিটা
    ঠোঁট নেড়ে শুরু করে দেয়-
    লেবুর পাতা করমচা, যা বৃষ্টি দূরে যা।

    করমচা শোনার সঙ্গে সঙ্গে মনে পড়ে চা কিনতে হবে,
    রাস্তায় বেরিয়ে পড়ি, সেখানেও শুধু জলকাদা,
    ঝিঁঝি বা ব্যাঙের ডাক নেই, কদম ফুলের বন নেই,
    আকাশে তারা ওড়ানো মেঘ, মুহুর্মুহু গাড়ির হর্ন।
    কাল সকালের রসদ সংগ্রহের জন্যে
    দোকানে যাই, বলি-
    চারটে ডিম, এক কিলো আলু, পাঁউরুটি।
    দোকানী ছেলেটা জিগ্যেস করে-রুটি ক' পাউন্ড?
    আমি বলি এজরা পাউন্ড।
  • I | 14.96.198.193 | ২৩ নভেম্বর ২০১০ ০১:৫৯633581
  • বলতে ভুলে গেছি। আগের কবিতার নাম "অদলবদল'।
  • I | 14.96.46.221 | ২৪ নভেম্বর ২০১০ ০১:৫৫633582
  • কত অজস্র কবিতা ! কয়েক বছর ধরে টাইপ করে চলা পিঁপড়ে-শৃঙ্খল শব্দ ! কিছু না হলেও শ-দুয়েক কবিতা । আস্ত একটা কবিতার বই।

    ফিরে ফিরে পড়তে ভালো লাগে। কোন কবি যেন পাঠককে জিগ্যেস করেছিলেন, গত রাতে কোন কবিতাটি পড়েছিলেন , শুতে যাওয়ার আগে? আদৌ কোনো কবিতা পড়েছিলেন , সারাদিনে? যেন ক্রোধের কথা। কবিতাছাড়া হয়ে যাওয়ার কথা।

    সেই রাগী , বিশ্বাসহীন কবির প্রতি এই কবিতা'র ঝাল্পিঝুল্পি ঝান্ডা আমি উঁচিয়ে ধরছি। আজ ও অন্যান্য রাতে আবার আমাদের কবিতাযাপন।
  • i | 137.157.8.253 | ২৪ নভেম্বর ২০১০ ০৫:০৮633583
  • আগে পড়ে শুনিয়েছি? মনে পড়ছে না... পড়ি, আবার?

    ব্রত
    প্রবীর দাশগুপ্ত
    প্রকাশিত-ভাষানগর, ১৯৮৯

    যে জন্ম আমাদের ঝাঁঝালো কেসুতপাতা মদ
    তার কি অনর্থ হতে আছে
    ঘাসের বাহান্নপথে পোকাদের হাঁটি হাঁটি গ্রাম
    কেউটের এলেবেলে বিষ পড়ে থাকে
    যে-ছেলেটি শান্ত আর যে-মেয়েটি আছাড়ি -পিছাড়ি
    উহাদের দেখা হোক - শালিখঠাকুর-

  • i | 137.157.8.253 | ২৪ নভেম্বর ২০১০ ০৬:৪২633585
  • শঙ্কর লাহিড়ীর কবিতা। নাম মনে নেই। স্পেসের ব্যবহার দেখাতে পারলাম না। তাতে কি? শুনুন..

    নতুন কবিতা, আমি পাই না তোমাকে কেন
    যেভাবে মুখার্জীর ছেলে
    আপন শালীকে নিয়ে ম্যাকলাস্কিগঞ্জ চ'লে যায়
    অসংযত কৈফিয়তহীন
    খিল দেয় ঘরে আর রাত্রিযাম করে পারাপার।

    একা আমি বসে থাকি সমাসবদ্ধ হ'য়ে

    নিজস্ব ছন্দ নেই, আধুনিক হেমন্ত আঁধারে
    সামান্য শীতের স্পর্শ-
    মনে হয় জ্বর হ'ল অথবা কি শরীরে জাগালে তোমাকে ছোঁয়ার আর্তি?

    তোমাকে ছোঁয়ার আর্তি ......!
    অবিশ্বাস্য, মনে পড়ে গেল:
    আর্তি নাম্নী এক অষ্টাদশী বিহারী ললনা
    দানাপুর ফাস্ট প্যাসেঞ্জারে
    ( - ছিলো জানালায় গ্রীবা, নক্ষত্রও ডুবে গিয়েছিলো)
    গেয়েছিলো শান্টিং- এর শব্দমালা আলোড়িত ক'রে
    'পিয়া বিনা, পিয়া বিনা, পিয়া বি না...।'
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন