এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • প্রিয় কবিতা

    Riju
    অন্যান্য | ১৮ জুলাই ২০০৬ | ৩৯১৭৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • san | 123.201.53.2 | ১০ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:৫৯633386
  • :-)
  • san | 123.201.53.2 | ১১ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:০২633387
  • দুপুরে পাতা খসার মতো কোনও
    বাহানা চাইছিলাম

    শুয়ে থাকার গন্ধ আসে ... শোনো -
    শীতের শেষ টিলা

    ফুঁ দিয়ে ভাঙি। আঘাতে ওড়ে ধুলো
    আমার মুখ ফিকে

    গড়িয়ে যায় বিকেলবেলাগুলো
    আমার নিচু বিকেলবেলাগুলো
    ময়দানের দিকে ....

    (শ্রীজাত)
  • san | 123.201.53.2 | ১১ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:০৫633388
  • কারও ছায়া পড়ে না মাটিতে
    এখানে সবাই এত সৎ

    বাঁকা হুল্লোড়ের পাশ দিয়ে
    ঢালু হয়ে নেমে গেছে পথ....

    নিচু দরজা ... লন্ঠনের আলো...
    ভূতের পানীয় ভবিষ্যৎ

    টেবিলে টেবিলে ভারী মাথা
    গেলাসে পরীর দস্তখৎ ....

    (শ্রীজাত)
  • san | 123.201.53.2 | ১১ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:০৯633389
  • হেরে যাওয়ার গন্ধ আর অভ্যেসের ধাঁধা
    পিঁপড়েদের শান্ত পায়চারি

    ময়দানের মাটিতে দু'পা শেকল দিয়ে বাঁধা
    চিবুক তোলো, আকাশকারবারি

    ট্যাক্সি ছোটে কালোহলুদ চিতার মতো তেজি
    চতুর্দিকে হাঁ করে আছে হোটেল

    নিয়ন থেকে গড়িয়ে নামে তরল ইংরেজি
    হাজার লোক সিঁড়িতে নামে ওঠে...

    কে আর অত খবর রাখে ব্যস্ততার দিনে,
    কবে তোমার বন্ধ হল ওড়া

    সন্ধে তার পোশাক ঝাড়ে। আলতো আস্তিনে
    কুর্নিশের পালক, ছেঁড়াখোড়া

    (শ্রীজাত)
  • saikat | 202.54.74.119 | ১১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:৫৮633390
  • ভেবে দ্যাখো, ছড়িয়ে যাওয়ার জন্য আর কী প্রয়োজন আমাদের?
    একটা না খোলা বইয়ের পাতা, রঙ না ধোয়া একটা তুলি, হারিয়ে যাওয়ার মতো
    কোন শহর, ক্ষত চিহ্নে ভরা সব পুরনো আয়না
    নিজেদের যারা সরিয়ে রাখছে আমাদের নজর থেকে

    আয়নার মধ্যে একটা শহর আর শহরের ভেতরে একটা আয়না
    যেখানে মেয়েরা কাপড় কাচছে আর খেলা করছে হৃদপিন্ড নিয়ে
    শহরের ভেতরে একটা আয়না আর আয়নার মধ্যে একটা শহর
    যেখানে প্রেমিকেরা চিউয়িংগাম চিবোচ্ছে আর রফা করছে দিগন্তের সাথে

    দ্যাখো, আয়নার ভেতরে একটা লোক দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছে।
    আর ভাবছে, ছড়িয়ে যাওয়া মানে আসলে ছাড়িয়েও যাওয়া
    লোকটার বাইরেটা খুব শান্ত আর ভেতরটা ঝরা পাতার মতো
    ভাঙা আয়নার ফাঁক-ফোকর দিয়ে
    এক অপরাহ্ন থেকে অন্য অপরাহ্নের স্রোতে সে ভেসে যাচ্ছে
    তার একটা হাত তাকে পাতালের দিকে টানছে, অন্য হাতটা নিয়নের দিকে
    কন্ঠস্বরগুলো ক্রমাগত তাকে ডুবিয়ে দিচ্ছে আর সে ভেসে উঠছে
    ঘুমন্ত নাবিকের স্বপ্নের মতো

    কী দিয়ে সে ভরে তুলবে আলোর কোলাহলে ফাঁকা ঘরগুলো,
    নিজেকে সে কীভাবে শুনতে পাবে ফের?
    ঢেউ দিয়ে? বালি দিয়ে?
    আয়নার ফাটলে কোন ঠান্ডা বিষধর সাপ হয়ে গিয়ে?

    (সর্বজিৎ সরকার)
  • saikat | 202.54.74.119 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৫:১২633391
  • তোমাকে আমি বলতে চেয়েছিলাম
    জীবন নয় নদীর কোনো নাম,
    জীবন নয় পাহাড় থেকে এসে
    দু:খ পাওয়া আঘাতে-আশ্লেষে,
    জীবন মানে আরো -
                    সোনালী ফুল রাত্রিবেলা ঝরে,
                    সকালবেলা তুমি আমার ঘরে;
    তোমাকে আমি বলতে চেয়েছিলাম
    জীবন নয় জীবনসংগ্রাম।

    (তোমাকে আমি, প্রণবেন্দু দাসগুপ্ত)
  • SB | 114.31.249.105 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৯:৪৫633392
  • আত্মসমালোচনা ~ সমর সেন

    একদা আমরা ছিলাম বিমর্ষ বাঁদর;
    আজ আস্ফালনে মত্ত যেন বীর হনুমান।
    সেতুবন্ধের অনেক বাকি,
    ওপারে রাক্ষসের স্পর্ধা দিনেদিনে বাড়ে,
    প্রতিদিন দেখি উষ্ট্রগ্রীব প্রতিনিধি তার
    এদেশকে নির্বিকারে বলাৎকার করে;
    কিন্তু ভাই, নিশ্চিত জানি
    শেষপর্যন্ত ইতিহাস নির্ঘাৎ আমাদের দিকে;
    সেই ঐশী ইতিহাসশক্তির মায়ায়
    লেজের জটিল জাল দেখি রাবনের গলায়।
  • dukhe | 117.194.236.108 | ১৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ২০:৩২633393
  • দারিদ্‌র্‌যরেখার নীচে ঝুঁকে দেখি
    মানুষের সংসার

    আবহাওয়া ভালো নয়
    সমস্ত নক্ষত্র আজ পৃথিবীর দিকে

    যদি খসে পড়ে! উনুনে, হাঁড়িতে...

    পৃথিবির দিকে ঝুঁকে আছি
    আজ হাটবার

    - রাহুল পুরকায়স্থ
  • I | 59.93.216.234 | ২০ ডিসেম্বর ২০০৯ ২২:২৯633394
  • শক্তিবাবুর চ্যাটারবাক্স :

    শাক্য

    তন্ময়তার মধ্যে একটি গোলাপায়রার ছানা
    মুখ থুবড়ে পড়লো কোলের উপর
    ধরবো বলে দুহাত এবং চারহাত বাড়িয়ে দিলাম
    বাতাস হাতড়ে ফিরলো দুহাত শূন্য কোলের উপর
    বাঁচাতে পারলো না, শাক্য, গোলা-পায়রার ছানা
    কপিলবাস্তু ছাড়লো না এই নতুন রাজার ছেলে
    শাক্য হয়েই রইলো এবং গোলা- পায়রার ছানা
    বেড়াল মুখে কামড়ে নিয়ে চললো অন্ধকারে......
  • ranjan roy | 115.184.31.177 | ২০ ডিসেম্বর ২০০৯ ২২:৩৪633396
  • SB,
    একটু সমর সেন হোক। আমার হাতের কাছে বই নেই।
    "" তুমি কি আসবে আমাদের মধ্যবিত্ত জীবনে উর্বশী,
    চিত্তরঞ্জন সেবাসদনে যেমন উর্বর মেয়েরা আসে?''
    বা ""মেঘদূত''
  • I | 59.93.216.234 | ২০ ডিসেম্বর ২০০৯ ২২:৩৬633397
  • ছেলেটি ঘুমন্ত হাতে

    ছেলেটি ঘুমন্ত হাতে জড়িয়েছে নিষ্ঠুর পিতাকে।
    যিনি সদাভ্রাম্যমাণ, জনপদে,জঙ্গলে, বিজনে-
    এক দেশ থেকে অন্যদেশে ছুটে যান ক্রমাগত-
    যিনি, এই আসছি বলে, দূরে চলে যান অকস্মাৎ।

    সংস্রবে না পেয়ে শিশুহাত দুটি জড়িয়ে ধরেছে।
    এও হতে পারে সেই স্নেহবাধা তুচ্ছ করে পিতা
    ঘোর রাতে চলে যাবে, ত্যাগ করে সমস্ত কিছুই;
    পিছে থাকবে কিছু স্মৃতি, স্মরণীয় শয্যার উত্তাপ,
    কীসের বাহির টান, কী সংসর্গ রয়েছে কোথায়?
    কীসের অসুখ এই, পূর্বাপর ওষুধে সারে না!
    ছেলেটি ঘুমন্ত হাতে জড়িয়েছে নিষ্ঠুর পিতাকে।
  • I | 59.93.216.234 | ২০ ডিসেম্বর ২০০৯ ২২:৪২633398
  • কীসের ক্ষতি?

    মাটির একটি কলস ছিলো তার পিছনে।
    সম্মুখে জল, শূন্য কলস তার পিছনে-
    হাতের লাঠি উচ্চে ধরা, তুচ্ছ তো কাজ !
    কিন্তু কলস যাচ্ছে-আসছে, স্থির থাকেনি।
    অথচ তার বারণ ছিলো পেছন ফেরা,
    পেছন ফিরলে প্রেতাত্মা তার সঙ্গে যাবে,
    কীসের ক্ষতি? এতোকালের পিতৃমূর্তি!
  • I | 59.93.216.234 | ২০ ডিসেম্বর ২০০৯ ২২:৫৩633399
  • যতিচিহ্নের মত রণজিৎ দাশ।

    অফিস থেকে ফেরার পর

    তীক্ষ্ণ, বেদনাময় ভালোবাসা যে বহন করে সে মা।
    বাবা কে? একটু অচেনা, এক চিরস্থায়ী প্রতিপালক।

    শিশু, তার নির্জ্ঞানের মধ্যেও, বাবার ভিতরের
    আত্মমুখী পুরুষটিকে স্পষ্ট দেখতে পায়।
    কিন্তু মা-য়ের ভিতর শুধু মা-ই দেখা যায়, আর কিছু না।

    ঐ পুরুষটি, সুতরাং, অফিস থেকে ফিরে
    সন্তানের দিকে তাকিয়ে একটু বোকা-বোকা হাসি হাসে।
    সন্তান, বুঝতে পারে বাবার দূরত্ব।
    সে লাফিয়ে এসে কোলে ওঠে, মাকে ডাকে,
    এবং আকাশ, জল ও আসন্ন রাত্রির উদ্দেশে
    ঘোষণা করে যে, তার বাবা ফিরেছেন।

    ঐ পুরুষ টের পায়, শিশুটির এই ঘোষণা ব্যতিরেকে
    আকাশ, জল এবং আসন্ন রাত্রির মধ্যে তার ফিরে আসা
    কত বেশী শক্ত আর অনিশ্চিত হতো।

  • I | 59.93.216.234 | ২০ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:০৭633400
  • বিড়াল

    সুখের অত্যন্ত কাছে বসে আছে অসুস্থ বিড়াল
    পশমের অন্তর্গত হয়ে বসে আছে অসুস্থ বিড়াল
    খুব কাছে বসে আছে হিতব্রতী অসুস্থ বিড়াল
    কাছে বসে আছে কিছু পাবে বলে, অমরতা পাবে।
    কাছে পেয়ে রাখা শক্ত, ঢাকা শক্ত চাদরে কাঁথায়
    ঢাকা শক্ত ঘরে বাইরে, ঢাকা শক্ত অসুখে-সম্মোহে
    সুখের অত্যন্ত কাছে বসে আছে অসুখী বিড়াল।।

  • I | 59.93.216.234 | ২০ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:১২633401
  • উনুনের পাশে

    গরম উনুন নিয়ে শুয়ে আছে প্রকৃত বেড়াল।
    থাবায় স্থাপিত মুখ, চোখ খোলে, চোখ বন্ধ করে-
    বিপুল আরাম যেন গোল হয়ে বলের মতন
    পড়ে আছে। রান্নাঘরে এ বেলার কাজকর্ম শেষ।

    এমন নিরীহ মুখ, রূপবান টাকার মতন
    আঁচলের গিঁঠ খুলে পড়ে গেছে উনুনের পাশে।
    বেড়াল টাকার মুখ নিয়ে শুয়ে রয়েছে ঘুমে
    ভিতরে, কখনো জাগে, আবার ঘুমোয়, জাগে ফের।
  • I | 59.93.216.234 | ২০ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:১৭633402
  • জন্মদিনে

    জন্মদিনে কিছু ফুল পাওয়া গিয়েছিলো।
    অসম্ভব খুশি হাসি গানের ভিতরে
    একটি বিড়াল একা বাহান্নটি থাবা গুনে গুনে
    উঠে গেলো সিঁড়ির উপরে
    লোহার ঘোরানো সিঁড়ি, সিঁড়ির উপরে
    সবার অলক্ষ্যে কালো সিঁড়ির উপরে।
    শুধু আমিই দেখেছি
    তার দ্বিধাণ্বিত ভঙ্গি
    তার বিষণ্নতা।

    জন্মদিনে কিছু ফুল পাওয়া গিয়েছিলো
    এখন শুকিয়ে গেছে।
  • kc | 89.203.49.18 | ২০ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:৩৮633403
  • ডাক্তার, প্রতিটাই ছুঁয়ে গেল ....
  • vikram | 78.16.244.22 | ২১ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৩:৫৫633404
  • লক্ষ্য করবে, ডাকতারবাবু দ্ব্যর্থবোধক ভাষায় কথা কইছেন। এত কবিতা, কিন্তু ''এখন শুকিয়ে গেছে'' এই বলে বিদাই নিলেন। তবে কি উনি এখন রোগমুক্ত?
  • M | 59.93.203.167 | ২১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৩:৫৮633405
  • আর সব কিছুতেই অত বিড়াল কেন? ওটা কি বোঝাতে চাইছে?
  • Bratin | 125.18.17.16 | ২১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৪:০৩633407
  • ইন্দো দা খুব ভালো লাগলো
  • SB | 59.93.198.117 | ২১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৯:৫১633408
  • উর্বশী - সমর সেন

    তুমি কি আসবে আমাদের মধ্যবিত্ত রক্তে
    দিগন্তে দুরন্ত মেঘের মত!
    কিংবা আমাদের ম্লান জীবনে তুমি কি আসবে,
    হে ক্লান্ত উর্বশী,
    চিত্তরঞ্জন সেবাসদনে যেমন বিষণ্নমুখে
    উর্বর মেয়েরা আসে:
    কত অতৃপ্ত রাত্রির ক্ষুধিত ক্লান্তি,
    কত দীর্ঘশ্বাস,
    কত সবুজ সকার তিক্ত রাত্রির মতো,
    আর কত দিন!

    (ধন্যবাদ রঞ্জনদা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্যে, এই কবিতাটা নিয়ে আমার আবার একটা ব্যক্তিগত অম্ল-মধুর স্মৃতি আছে:) )
  • SB | 59.93.198.117 | ২১ ডিসেম্বর ২০০৯ ২০:১২633409
  • মেঘদূত - সমর সেন

    'রবীন্দ্রনাথ মেঘদূতের যে ব্যাখ্যা করেছেন,
    তা অনেকটা তাঁর নিজস্ব;
    প্রত্যেক দুটি মানুষের মধ্যে যে বিপুল, গভীর বিরহ' -
    সড়ে-তিনটের ঘন্টা বাজাতে
    ছেলেদের শেষহীন অস্পষ্ট গুঞ্জন
    হঠাৎ মুখর হয়ে উঠল।

       কলেজে ছুটি হলো;
      কিন্তু এই মন্থর ক্লান্ত বিকেলে বাড়ি ফিরে কী হবে?
      আকাশের সীমান্তে মেঘের নীল গাম্ভীর্য,
      এখনি বৃষ্টি নমবে;
      ছেলেবেলায় জলে ভেজার অদ্ভুত আনন্দ
      এখন আর নেই,
      আর এখন বাড়ি ফিরে কী হবে।
      তার চেয়ে ভালো
      কাছাকাছি কোনো বন্ধুর আড্ডা, কোনো হোস্টেল,
      সেখানে উত্তেজনাহীন অশ্লীলতায়
      কাটুক একটি সন্ধ্যা।

    বৃষ্টির আভাসে করুন পথে ধুলো উড়ছে,
    এমন দিনে সে-ধুলো মনে শুধু আনে
    সাঁওতাল পরগনার মেঘ-মদির আকাশ;
    মোড় ঘুরে দক্ষিণের পথ ধরলাম,
    চারদিকে আকাশ মেঘ-মদির,
    আর কিসের দীর্ঘশ্বাস -

      সাঁওতাল পরগনার নি:সঙ্গ স্তব্ধতা।
      ধুলোভরা নির্জন পথে মোটরের কর্কশ শব্দে
      একটি হরিণের ঊর্দ্ধশ্বাস, ধাবমান বেগ,
      আর সেই ক্ষিপ্রগতি চঞ্চল রেখায়
      উর্বশীর দীর্ঘশ্বাস,
      মৃত্যুহীন অতীতের শেষ হাহাকার।
  • SB | 59.93.198.117 | ২১ ডিসেম্বর ২০০৯ ২০:২১633410
  • উর্বশী কবিতাটা তে একটা ভুল থেকে গেছে :(

    শেষের আগের লাইনটা হবে:

    *কত সবুজ সকাল তিক্ত রাত্রির মত,
  • ranjan roy | 115.184.71.116 | ২১ ডিসেম্বর ২০০৯ ২২:০৪633411
  • SB,
    আরেকটা সমর সেন।
    ওই যে""একটি মেয়ে ক্লাসের পড়া করছে'' এমন একটা লাইন আছে না? যার শেষ পংক্তি হল:

    ""হে ম্লান মেয়ে, কী আনন্দ পাও প্রেমে , সন্তানধারণে''

    --- এর সঙ্গে একটা গপ্পো আছে , তুমি কবিতাটা লিখলে বলবো।
  • SB | 59.93.194.133 | ২২ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:১৪633412
  • ওটাও তো মেঘদূত :) লিখে দিচ্ছি, ৫ মিনিট দিন।
  • SB | 59.93.194.133 | ২২ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:২২633413
  • মেঘদূত - সমর সেন

    পশের ঘরে
    একটি মেয়ে ছেলে ভুলানোর ছড়া গাইছে,
    সে ক্লান্ত সুর
    ঝরে-যাওয়া পাতার মতো হাওয়ায় ভাসছে,
    আর মাঝে-মাঝে আগুন জ্বলছে
    অন্ধকার আকাশের বনে।

    বৃষ্টির আগে ঝড়, বৃষ্টির পরে বন্যা। বর্ষাকালে,
    অনেকদেশে যখন অজস্রজলে ঘরবাড়ি ভাঙ্গবে,
    ভাসবে মূক পশু আর মুখর মানুস,
    শহরের রাস্তায় যখন
    সদলবলে আর্তনাদ করবে দুর্ভিক্ষের স্বেচ্ছাসেবক,
    তোমার মনে তখন মিলনের বিলাস
    ফিরে তুমি যাবে বিবাহিত প্রেমিকের কাছে।
    হে ম্লান মেয়ে, প্রেমে কী আনন্দ পাও,
    কী আনন্দ পাও সন্তানধারণে?
  • SB | 59.93.171.178 | ২৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৪:১৬633414
  • রঞ্জনদা, গপ্পো কোথায়? অপেক্ষায় রইলাম ....
  • I | 59.93.208.198 | ২৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ২১:৪৪633415
  • শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়

    রাত বারোটার পর কলকাতা শাসন করে চারজন যুবক
    চৌরঙ্গী ভবানীপুর থেকে শ্যামবাজার বদ্বীপ
    ঘোড়ার টগবগ শব্দ চাবুকের শিস শুধু যারা নিদ্রারোগী শোনে তারা
    রাস্তার কুকুরগুলো জনহীন ট্রামলাইনে অগ্নিকণা দেখে ধন্য হয়।

    একমুঠো পুলিশের লালমাথা ইতস্তত রয়েছে ছিটানো
    ঘোড়ার খুড়ের শব্দ শুনলে ওরা দাঁড়ায় সম্ভ্রমে
    ঘোড়ার খুড়ের শব্দ দূরে গেলে আধুলি কুড়োয় ওরা শির নত করে;
    তোমরা কেউ দেখোনি হে এই দৃশ্য, মাঝরাত্রে দেখেছে বেশ্যারা।

    হলুদ বাড়ির সামনে ঘোড়া থেকে লাফাবে চারজন
    উপরে তাকাবে সকৌতুক, যেন শিকারী দেবতা;
    সারি সারি জানালায় ছবি হয়ে ঝুলছে সব দাসী, এক রাজার কুমারী
    চিনে নিতে তিন মিনিট; অত:পর কোলাহল, সিঁড়িতে জুতোর শব্দ
    ফুল, পর্দা, নিয়নের আলো , অন্ধকার।

    পুনরায় চমকে উঠবে ঘুমন্ত শহর যেই হেসে উঠবে অশ্বারোহী চারজন যুবক-

    অথচ জানবে না কেউ গোপন ঝিনুকে রাখা পোকাগুলি
    মুক্তা হয়ে গিয়েছে বিস্ময়ে।

    (মত্ত অবস্থায় রচিত)

  • I | 59.93.208.198 | ২৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ২১:৫৫633416
  • শক্তি চট্টোপাধ্যায়

    ..... কোথা গেল চারজন যুবক?
    একজন ঘরে গেছে, অন্যজন পরে
    আর দুই বন্ধু গেছে গানের আসরে
    ফিরে আসবে ব'লে
    গানের আসরে গিয়ে মিশ্রিত খাম্বাজে
    তারা ডুবে আছে
    কিছু-না-কিছুর মধ্যে তারা ডুবে আছে।

    ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে চারজন যুবক
    একটিকে ঘরে পাবে, অন্যটিকে পরে
    শুধু কলকাতায় একা, একা বৃষ্টি ঝরে
    প্রকৃত দেখার নেই কোন একজন
    আবহাওয়ার ঘরে আজ নির্দেশ, লক্ষণ
    বৃষ্টি হবে
    বৃষ্টি হবে টিন-ছাদে, গলিতে, মর্মের
    যতোগুলি কাঁথা ছিলো, তার উপরে জোর
    বৃষ্টি হবে, ছিঁড়ে যাবে কাঁথা
    ভেঙে যাবে বালুকায় যতো ছিল মাথা
    দেহগুলি থাকবে শুধু পচনের হাতে...
    বিদায় বিদায়
    বিদায় সমুদ্রগামী জাহাজের ঢেউ
    বিদায় দিগন্তব্যাপী বৃষ্টিপাতটিও
    বিদায় বিদায়
    শরতের উশিখুশি দরোজা খোলার শব্দ হলো।।

    (সেগুন মঞ্জরী থেকে শুধু বৃষ্টি পড়ে-অংশবিশেষ)
  • ranjan roy | 115.184.13.126 | ২৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:০২633418
  • SB,
    গপ্পোটা এরকম। একজন মৌলানা আজাদে আমার চেয়ে সামান্য বড়,ইংরেজি অনার্স পড়তেন। পরে বাংলাভাষায় একটি ভাল প্রবন্ধের লিটল্‌ ম্যাগাজিন সম্পাদনা করেন। নাম বল্লে কেউ কেউ চিনতে পারেন, তার ভয়ে নাম করছি না।
    আমার সঙ্গে ভাল জমতো, দুইজনেই তখন সমর সেনের ভক্ত। তখন ইউনিভার্সিটির দ্বারভাঙ্গা বিল্ডিংয়ের দেয়ালে লালকালিতে লেখা হচ্ছে---"" বাংলাকবিতা থেকে বনলতা সেনী বিবর্ণতা মুছে যাক''।
    মুখে এই বক্তব্যের সমর্থন করলেও মনে মনে কষ্ট পেয়েছিলাম। যেমন দুষ্টু ছেলেকে টিচার মারলে বাবা বলেন-- ভালর জন্যেই মেরেছেন।
    কিন্তু মনে মনে কষ্ট পান।
    যাকগে, একদিন বিষ্ণু দে থার্ড ইয়ারের ক্লাসে এলিয়ট পড়াবেন। আমি ফার্স্ট ইয়ারের ইকনমিকস্‌। ওকে পটিয়ে ওদের ক্লাসে বসে শুনছি। বুঝছি না কিছুই, কিন্তু ভাল লাগছে।
    আদ্দেক ক্লাস হতেই ও আমাকে টেনে ক্লাস থেকে বের করে নিয়ে এল।
    -- ওই বুর্জোয়া কবি বিষ্ণু দের আরেক ডেকাডেন্ট কবি এলিয়ট পড়ানো? দুদ্দূর! চল্‌!
    --কোথায় যাবো?
    --- পূরবী সিনেমার সামনে আড়াইটের সময় একটি মেয়েকে আসতে বলেছি। আমার বোনের বান্ধবী। ও ইংরেজিতে অনার্স পড়ে।
    ---- মাইরি! তোর কি সাহস রে! আমি তো কোন মেয়েকে অমনি--। আবার বোনের বন্ধু! মারাত্মক। তা কিভাবে বল্লি? ও রাজি হল?
    -- না মানে, ও আমার থেকে বই নেয়। তাতে একটা চিরকুটে ঐসময় ওই জায়গায় আসতে বলে গুঁজে দিয়েছি।
    --- কি করে বুঝলি যে ও আসবে?
    -- আসবে, আসবে। কারণ তাতে আমার প্রিয় কবি সমর সেনের কবিতার দুই পংক্তি তুলে দিয়েছি। ওকে আসতেই হবে।
    -- কী কবিতা? কোন পংক্তি?

    -- ""মেঘদূত''। লাইন দুটো হচ্ছে--"" হে ম্লান মেয়ে,
    প্রেমে কী আনন্দ পাও,
    কী আনন্দ পাও সন্তানধারণে?''

    মেয়েটি এসেছিল কিনা বলতে পারার জন্যে কোন প্রাইজ নেই।

    এবার ""ঊর্বশী'' নিয়ে তোমার গল্প?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন