এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • প্রিয় কবিতা

    Riju
    অন্যান্য | ১৮ জুলাই ২০০৬ | ৩৯১৪৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • I | 59.93.245.4 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ২২:০৫633286
  • এবার একটু শঙ্খ ঘোষ?

    জংলা পথের মধ্যিখানে সেই আমাদের সত্যিকারের বিভেদ।
    তখন থেকে উলটোমুখে চলছি দুজন ঝড়ঝঞ্ঝায়
    বাঁয়ের পথে আমি, ডাইনে তুমি।
    চলতে চলতে যৎসামান্য মনেও পড়ছে মিলনদিনের ছবি
    রক্তমূলক বিচ্ছেদেরও দাগ।
    চলতে পারি তবু কেবল নিজের মতো, আর
    জ্ঞানগম্যি ছলকে ছলকে দূরের থেকে বাঁকতে পারি আরো অনেক দূরে।
    যেতে যেতে কখন দেখি পরস্পরের পাশ -কাটানো পথ গিয়েছে ঘুরে
    বৃত্ত হয়ে-
    আমিই কখন হেঁটে যাচ্ছি তোমার পথে এবং তুমি আমার
    অতর্কিতে পালটে গেছে ডাইনে বাঁয়ে পথ হয়েছে অদলবদল বাঁকা
    তুমিই এখন আমি, আমিই তুমি
    রক্তরেখার এপার থেকে অবাক হয়ে আমার মুখে দেখছি তোমার স্পষ্ট প্রতিচ্ছবি।
    (প্রতিচ্ছবি)

  • Sayantan | 159.53.78.143 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ২২:১০633287
  • আমরা যারা দিন আনি, দিন খাই,
    আমরা যারা হাজার হাজার দিন খেয়ে ফেলেছি,
    বৃষ্টির দিন, মেঘলা দিন, কুয়াশা ঘেরা দিন,
    স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে অধীর প্রতীক্ষারত দিন,
    অপমানে মাথা নিচু করে চোরের মত চলে যাওয়া দিন,
    খালি পেট, ছেঁড়া চটি, ঘামে ভেজা দিন,
    নীল পাহাড়ের ওপারে, সবুজ বনের মাথায় দিন,
    নদীর জলের আয়নায়, বড় সাহেবের ফুলের বাগানে দিন,
    হৈ হৈ অট্টহাসিতে কলরোল কোলাহল ভরা দিন,
    হঠাৎ দক্ষিণের খোলা বারান্দায় আলো ঝলমলে দিন -
    এই সব দিন আমরা কেমন করে এনেছিলাম, কিভাবে,
    কেউ যদি হঠাৎ জানতে চায়, এরকম একটা প্রশ্ন করে,

    আমরা যারা কিছুতেই সদুত্তর দিতে পারবো না, কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারবো না
    কি করে আমরা দিন এনেছিলাম,
    কেন আমরা দিন আনি, কেন আমরা দিন খাই,
    কেমন করে আমরা দিন আনি, দিন খাই।

    (দিন আনি, দিন খাই - তারাপদ রায়)
  • ranjan roy | 115.184.75.156 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ২২:১২633288
  • হে সময়! উত্তাল সময়!
  • tkn | 122.163.79.91 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ২২:৫৪633289
  • টিউটোরিয়াল ... (বাকিটুকু)

    শুধু ছোটকালে নয়, এখনো যে টিউটোরিয়ালে
    পাঠিয়েছি, জানিস না, কিরকম খরচাপাতি তার?
    ওখানে একবার ঢুকলে সবাই প্রথম হয়। প্রথম, প্রথম!
    কারো অধিকার নেই দ্বিতীয় হওয়ার।

    রোজ যে যাস, দেখিস না কত সব বড় বড়
    বাড়ি ও পাড়ায়
    কত সব গাড়ি আসে, কত বড় আড়ি করে
    বাবা মা-রা ছেলেমেয়েদের নিতে যায়?

    আর ঐ গাড়ির পাশে, পাশে না পিছনে-
    ঐ অন্ধকারটায়
    রোজ দাঁড়াতে দেখিস না নিজের বাবাকে?
    হাতে অফিসের ব্যাগ, গোপন টিফিন বাক্স, ঘেমো জামা, ভাঙা মুখ -

    দেখতে পাসনা? মন কোথায় থাকে?
    ঐ মেয়েগুলোর দিকে? যারা তোর সঙ্গে পড়তে আসে?
    ওরা তোকে পাত্তা দেবে? ভুলেও ভাবিস না!
    ওরা কত বড়লোক!

    তোকে পাত্তা পেতে হলে থাকতে হবে বিদেশে, ফরেনে
    এন আর আই হতে হবে! এন আর আই, এন আর আই!
    তবেই ম্যাজিক দেখবি
    কবিসাহিত্যিক থেকে মন্ত্রী অব্দি একডাকে চেনে
    আমাদেরও নিয়ে যাবি, তোর মাকে, আমাকে
    মাঝে মাঝে রাখবি নিজের কাছে এনে

    তার জন্য প্রথম হওয়া দরকার প্রথমে
    তাহলেই ছবি ছাপবে খবর কাগজ
    আরো দরজা খুলে যাবে, আরো পাঁচ আরো পাঁচ
    আরো আরো পাঁচ
    পাঁচ পাঁচ করেই বাড়বে, অন্য দিকে মন দিস না,
    বাঁচবি তো বাঁচার মত বাঁচ!

    না বাপী না, না না বাপী, আমি মন দিই না কোনোদিকে
    না বাপী না, না না আমি তাকাই না মেয়েদের দিকে
    ওরা তো পাশেই বসে, কেমন সুগন্ধ আসে, কথা বলে, না না বাপী পড়ার কথাই
    দেখি না, উত্তর দিই, নোট দিই নোট নিই
    যেতে আসতে পথে ঘাটে
    কত ছেলে মেয়ে গল্প করে
    না বাপী না, আমি মেয়েদের সঙ্গে মিশতে যাই না কখোনো
    যেতে আসতে দেখতে পাই কাদা মেখে কত ছেলে বল খেলছে মাঠে
    কত সব দুষ্টু ছেলে পার্কে প্রজাপতি ধরছে
    চাকা বা ডাঙ্গুলি খেলছে কত ছোটোলোক
    না, আমি খেলতে যাই না কখোনো
    খেলতে যাইনি। না আমার বন্ধু নেই
    না বাপী না, একজন আছে, অপু, একক্লাসে পড়ে
    ও বলে যে ওর বাবাও বলেছে প্রথম হতে
    বলেছে, কাগজে ছবি, ওর বাবা, ওকে ....
    হ্যাঁ বাপী হ্যাঁ, না না বাপী, অপু বলেছে পড়াশোনা হয়নি একদম
    বলেছে ও ব্যাক পাবে, ব্যাক পেলে ও বলেছে, বাড়িতে কোথায়
    বাথরুম সাফ করার অ্যাসিড আছে ও জানে,
    হ্যাঁ বাপী হ্যাঁ, ও বলেছে,
    উঠে যাবে কাগজের প্রথম পাতায়.....
  • d | 117.195.39.105 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:০২633290
  • এই টিউটোরিয়ালটা একটা ছোট গল্প হলেই তো পারত। এমন দামড়া একটা কবিতা হওয়ার কি দরকার ছিল বাপু!
  • nyara | 216.145.54.158 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:০৭633291
  • ভুলে গেছি অনেকটা। কিছু বাদ যেতে পারে। দুচারটে শব্দ গোঁজা থাকতে পারে। লোপামুদ্রা এটিকে গান বানিয়ে কবিতাকে খুন করেছেন।

    আমরা তো অল্পে খুশি,
    কী হবে দু:খ করে?
    আমাদের দিন চলে যায়
    সাধারণ ভাতকাপড়ে।

    চলে যায় দিন আমাদের
    অসুখে ধারদেনাতে
    রাত্তিরে দুভায়ে মিলে
    টান দিই গঞ্জিকাতে।

    সবদিন হয়না বাজার,
    হলে হয় মাত্রাছাড়া -
    বাড়িতে ফেরার পথে
    কিনে আনি গোলাপচারা।

    কিন্তু পুঁতব কোথায়?
    ফুল কি হবেই তাতে?
    সে অনেক পরের কথা
    টান দিই গঞ্জিকাতে।

    আমরা তো অল্পে খুশি,
    কী হবে দু:খ করে?
    আমাদের দিন চলে যায়
    সাধারণ ভাতকাপড়ে।

    মাঝে মাঝে চলেও না দিন
    বাড়ি ফিরি দুপুররাতে;
    খেতে বসে রাগ চড়ে যায়
    নুন নেই ঠান্ডা ভাতে।

    রাগ চড়ে মাথায় আমার
    আমি তার মাথায় চড়ি,
    বাপব্যাটা দুভায়ে মিলে
    সারা পাড়া মাথায় করি।

    করি তো কার তাতে কী?
    আমরা তো সামান্য লোক।
    আমাদের ভাতের পাতে
    লবণের ব্যবস্থা হোক।

    - জয় গোস্বামী
  • tkn | 122.163.79.91 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:১৪633292
  • আজ মেঘ করে এলে শিকারকাহিনি পড়ব খুব
    ওল্টাতে ওল্টাতে পাতা ঝিঁঝিডাকা জঙ্গলে দেব ডুব-
    নামেই অভয়ারণ্য। কত লোক নিয়ে গেছে বাঘে
    পাঠকের ভয় করে। লেখকের হাতে তৈরী চাঁদ একা জাগে।
    জোছনায় গামবুট কাঁপে। গাইড সারেঞ মিয়াঁ, একটু দূর গিয়ে
    সে বলল, 'দাঁড়ান। আওয়াজ করবেন না। বাঘ হেঁটে গেছে এই পথ দিয়ে!'
    'কীভাবে বুঝলেন মিয়াঁ?'... 'দ্যাখেন, গাছের গায়ে দুটো একটা লোম লেগে আছে
    আর কিছু ঘাসের ডগা ভেঙে বিখরে পড়ে আছে আনাচে কানাচে
    বাঘ এখানে ছিল কি না, বোঝা যায় এই সমস্ত ছোটোখাটো দাগে'....

    যেমন আমাকে দেখলে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে তুমি হেঁটে গেছ একটু আগে!

    (অকালবৈশাখী- শ্রীজাত)
  • aka | 168.26.215.13 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:২৬633293
  • একটা কথা জিগ্যেস করব? এই এতো লোকের এত কবিতা লোকে যাস্ট মাথা থেকে লিখে দিচ্ছে। একটু করে পায়ের ধুলো দেবেন দাদারা দিদিরা। ছোটবেলায় আটলাইন মুখস্ত লিখতে দিত তাতেই দু একটা নিজের শব্দ গুঁজে দিতাম। ফটোগ্রাফিক মেমরি সবার।
  • tkn | 122.163.79.91 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:২৮633294
  • আমি টিউটোরিয়ালটা টুকে দিয়েছি আকাবাবু :-)। অঞ্জনা চক্কোত্তিও তাই। বাকিগুলো একটু আধটু :-))
  • pinaki | 131.151.102.250 | ০২ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:৩০633296
  • হ্যাঁ, আম্মো একটু লেগডাস্ট নেবো।
  • Sayantan | 159.53.46.141 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:১৮633297
  • তুমি আমাকে মেঘ ডাল্কবার যে বইটা দিয়েছিলে একদিন
    আজ খুলতেই দেখি তার মধ্যে এক কোমর জল।
    পরের পাতায় গিয়ে সে এক নদীর অংশ হয়ে দূরে বেঁকে
                                         গেছে।

    আমাকে তুমি উদ্ভিদ ভরা যে বইটা দিয়েছিলে
    আজ সেখানে এক পা-ও এগোনো যাচ্ছে না, এত জঙ্গল।
    গাছগুলো এত বড় হয়েছে যে মাটিতে আলো আসতে
                                         দিচ্ছে না।

    তুমি আমাকে ঝর্না শেখবার যে বইটা দিয়েছিলে
    আজ সেখানে মস্ত এক জলপ্রপাত লাফিয়ে পড়ছে
                                         সারাদিন।

    একনকি তোমার দেওয়া পেজ-মার্কের সাদা পালকটাও
    যে বইতে রেখেছিলাম, সেখানে আজ
    কত সব পাখি উড়ছে, বসছে, সাঁতার কাটছে।
    তোমার দেওয়া সব বই এখন মরুভূমি আর পর্বতমালা,
    সব বই আজ সূর্য, সব বই দিগন্ত...

    অথচ আজকেই যে আমার লাইব্রেরি দেখতে আসছে বন্ধুরা
    আমার পড়াশোনা আছে কিনা জানার জন্য! তাদের আমি
    কী দেখাবো? তাদের সামনে কোন মুখে দাঁড়াবো আমি!
  • Sayantan | 159.53.46.141 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:১৯633298
  • ** প্রেমিক - জয় গোস্বামী
  • Sayantan | 159.53.46.141 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:২০633299
  • *** ডাকবার, এমনকি
  • tkn | 122.163.79.91 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:২৩633300
  • সায়ং, এই স্পেসটা কি করে দ্যায়? মানে অনেকটা ছেড়ে কি করে লেখে?
  • Sayantan | 159.53.46.141 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:৩৮633301
  • হটমল ট্যাগ। & n b s p
    অ্যাঙ্গুলার ব্র্যাকেটের মধ্যে। স্পেসগুলো বাদ দিয়ে। একটা ট্যাগ মানে একটা ক্যারেক্টার স্পেস।
  • Sayantan | 159.53.46.141 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:৫৮633302
  • প্রীতি
      জয় গোস্বামী

    ও প্রীতি,
        দীর্ঘ ঈ, হ্রস্ব ই-কারের ডানা
    দুদিকে অর্ধেক মোড়া
             চিঠিতে বসেছ, নিতে
                     বলেছ। নেবো না।
    ডানা মেলে উড়ে যাও, প্রীতি
                     দূরে দীর্ঘ ওই জল
                     পার হয়ে
                     একপিঠ ডাঙা
    ঐ যে উঠেছে,
             চর
             জানা বা অজানা
    কত সব পরিবার
             ঘর ছাইবে, ঘর ছাইল,
                  যাও,
    ওই চরে গিয়ে নামো,
                 হাত লাগাও
                         বসতির কাজে,
    আমিও তোমার পিছে উড়ে যাই
                     সকলের সঙ্গে গিয়ে বসি
    পুরোনো পাড়ার লোক দেখে যাই বসে-বসে
                         আলিঙ্গন, আলিঙ্গন,
                         আজ একাদশী,
    এখন বন্যার জল নেমে গেছে,
    ছেলেরা কাঠাম তুলছে জল থেকে
                     ঝাঁপাঝাঁপি
                     নদীপাড় পোহাচ্ছে রোদ্দুর,
    খালাসীর কড়াইতে ছ্যাঁকছোঁক শুকনো লঙ্কা
                         শুকনো কাশি, ঝাল তরকারি
    ভাঙা আস্ত দুটো লঞ্চ
                 গায়ে লেখা লম্বা নাম
                             "দুর্গতিনাশিনী' আর "জয় মা অভয়া'...
    মা ভেসে গেছেন কালকে, শুভ নমস্কার,
                         প্রীতি,
                             হ্যাঁ, শুভ বিজয়া!
  • indrani | 124.168.169.243 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৬:২৪633303
  • রঞ্জনদা,
    ধন্যি স্মৃতিশক্তি আপনার!
    এই যে ..টুকে দিচ্ছি... দু মিনিট
  • i | 124.168.169.243 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৬:২৯633304
  • শিকড়বাকড়

    শিকড়বাকড় শিকড়বাকড় শিকড়বাকড়
    উপরভাগে মানুষ প্রতন,
    পিঠের থেকে পেটের থেকে ঝুলছে শিকড়,
    জমির উপর, ক্ষেতের উপর ঘেঁষটে চলে।

    কোন্‌খানে পায় জলের দেখা,
    খরায় মাটি বক্ষ ফাটি চিতিয়ে আছে,
    মনুষ্যস্বর নেই তো কাছে।
    তার ভাষা সেই আপনি বোঝে,
    বসার মতো ঠাইঁটি খোঁজে,
    গোটা জীবন উড়ে -উড়েই চলে বেড়ায়।

    চেনাজানা মানুষ এড়ায়,
    উড়ে বেড়ায়,
    জমির উপর ক্ষেতের উপর ঘেঁষটে চলে...

    শিকড়বাকড় শিকড়বাকড় শিকড়বাকড়।

    শক্তি চট্টোপাধ্যায়

  • i | 124.168.169.243 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৬:৩৮633305
  • ন্যগ্রোধ গাছের নিচে তিনচক্ষু পাহাড়ের ধারে
    ভয়ংকর অপমূর্তি -
    তার পায়ে অর্করাঙা ফুল দিতে দিতে বেলা যায়,
    বৃথাজন্ম রোদ ক্রমে চড়ে।

    তুমি যদি একবার ফিরে চাও তবে
    যত দেশে যত সোনা ধুলো মনে করি,
    আদি আকাশের কোলে সমুদ্র যেমন সব চিহ্ন মুক্ত
    তোমাকে কখনও পেলে আমি তাই।
    সময় কি হবে আজ, কাল, কিংবা কোনও জন্মে?
    জানালার ধারে মেঘ এসে বলে গেল-
    বৃষ্টি নষ্ট এবারে কোর না।
    তবু তুমি বোবা কেন?
    তুমি জানো, আমার গহন দু:খ - মিষ্টি ফলগাছের শ্যামাভা
    ছায়া হয়ে নামে না তো!
    অথচ সামনে যেতে ভয় হয়,
    সুখ, অর্থ, প্রণয়, সম্বোন্ধি সব মুখোশের মতো
    যদি টান মেরে খুলে ফেলি: নিথর কঙ্কাল-
    মাংসমজ্জা খসে গেছে বহুযুগ হল,
    হাড়ের আঙুলে আংটি,
    সেই মহামূল্য রত্ন ছুঁতে ঘৃণা জাগে।

    অমর সাবান হবে?
    মাটি হতে পারো না কি,
    যাতে শরীরের ভাঙা খাঁচা
    রোদে জলে নষ্ট সব বাঁশের কাঠামো
    অগাধ মূর্তির মতো লাগে।

    দেবারতি মিত্র।

  • i | 124.168.169.243 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৬:৪৫633307
  • চিলাপাতা জঙ্গলের কালভার্টে ধাক্কা খেল গাড়ি-
    তুমি কবে, তুমি কি কখনও...
    ভেবে পিছনের আকুল টায়ার গড়াতে গড়াতে
    বিলীন জঙ্গলে ঢুকে
    ঘাসের মায়ের বাড়ি পৌঁছে থেমে গেছে
    বিকেলের শেষে।
    এক পা এক পা নীল ঝরনা হয়ে এসে
    অপেক্ষা করবে ভোরবেলা?
    বিরহ বইয়ে দেব পুরোটা দক্ষিণে আমি
    সেখানে সে উত্তর পাবে না।

    বধির ময়ূর, তাকে খোঁচাব না আর।
    কপিশ-নীলাভ দূর কুয়াশার জাল যদি পার হই,
    কি রয়েছে অন্ধকারে তারপর?
    বাতাবি ফুলের গন্ধ ভেসে আসে-
    একটি তারার থেকে আরেকটির ঘনিষ্ঠতা যতটুকু
    তুমিও আমার তত কাছে আছ
    সে কথাই ভাবি।

    দেবারতি মিত্র
  • i | 124.168.169.243 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৬:৫১633308
  • বুক পেতে শুয়ে আছি ঘাসের উপরে চক্রবালে
    তোমার ধানের মুখে ধরে আছি আর্ত দুই ঠোঁট

    তুমি চোখ বন্ধ করো, আমিও দুচোখ ঢেকে শুনি
    যেন কোন্‌ তল থেকে উঠে আসে পাতালের শ্বাস

    সমস্ত দিনের মূর্ছা সেচন পেয়েছে এইখানে
    মুহূর্ত এখানে এসে হঠাৎ পেয়েছে তার মানে

    নিজের পায়ের চিহ্ন নিজে আর মনেও রাখেনি
    আমিও রাখিনি কিছু, তবু হাত রাখে পিছুটান

    মাটিতে বসানো জালা, ঠান্ডা বুক ভরে আছে জলে
    এখনও বুঝি ভালো কাকে ঠিক ভালোবাসা বলে।

    শঙ্খ ঘোষ
  • i | 124.168.169.243 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৬:৫৭633309
  • শেষ লাইনে মারাত্মক ভুল হয়েছে।

    এখনও বুঝিনি ভালো কাকে ঠিক ভালোবাসা বলে।
  • ranjan roy | 115.184.4.98 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ২২:৪৮633310
  • ইন্দ্রাণী,
    জাস্ট ফাটিয়ে দিলে! কোথায় সিডনি, আর কোথায় রায়পুর। সব পাশাপাশি ঘর যেন।।
  • I | 59.93.205.95 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ২২:৫৫633311
  • দেবারতি মিত্র'র দুটো কবিতাই অদ্ভুত।
    ভালো কথা, ন্যগ্রোধ শব্দের মানে জানতাম না। ডিকশনারি খুলে দেখলাম : বটগাছ/শমীবৃক্ষ/বিষবৃক্ষ।
  • Arpan | 122.252.231.12 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:২৮633312
  • ন্যাড়াদাকে ধন্যবাদ। জয়ের কবিতাটা আবার পড়াবার জন্য।
  • Samik | 122.162.75.214 | ০৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:৩৬633313
  • @ তেকোনা,

    <nbsp;> এইভাবে স্পেস দেয়।
  • tkn | 122.173.186.215 | ০৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:১০633315
  • কই? হল না তো !
  • tkn | 122.173.186.215 | ০৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:১০633314
  • nbsp; এভাবে?
  • sinfaut | 117.194.196.49 | ০৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:১১633318
  • <&nbsp;>
  • Sayantan | 159.53.110.140 | ০৪ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:১১633316
  •  
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন