এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • প্রিয় কবিতা

    Riju
    অন্যান্য | ১৮ জুলাই ২০০৬ | ৩৮৬৪৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dukhe | 117.194.229.127 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১৫:১৯633653
  • নদীতে ভাসিয়ে দিলাম ফুল ও প্রদীপ ।
    যাঁরা পথ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন,
    ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন কায়া ও ছায়ার মায়া
    তাঁদের উপস্থিতি আমি এখনও অনুভব করি ।
    গাছে, ঘাসে, জলে, হাওয়ায় - ঐ তো তাঁদের বাড়ানো হাত ।
    বুঝতে পারি আমারও ফুরিয়ে আসছে আলো ।

    তলিয়ে যাওয়ার আগে চিৎসাঁতারে
    দেখি পৌঁছতে পারি কিনা ।

    আলো - সুশান্ত স্‌ৎপতি
  • ranjan roy | 122.168.29.182 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১৫:৩৮633654
  • অচিন্ত্যকে,
    কোন একদিন অন্যমনস্ক ভাবে চ্যানেলগুলোর কান মলতে মলতে একটি বাংলা চ্যানেলে কবিতাপাঠের আসরে ঢুকে পড়লাম। অন্য অনেক কবির মধ্যে গৌরাঙ্গ ভৌমিক পড়লেন "" দু:খ আমার ফিনিক্স পাখি'';-- সে এক অভিজ্ঞতা!
  • paakhi | 108.16.47.118 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ২০:৪২633655
  • গৌরাঙ্গ ভৌমিকের কি ফোন নং পাওয়া যায় না?
  • achintyarup | 121.241.214.38 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ২১:৩৪633656
  • আমি গৌরাঙ্গ ভৌমিকের গলাতেই শুনেছিলাম কবিতাটা। ক্যাসেটে।

    ভদ্রলোক এখনো আছেন কিনা জানিন। হুগলী-চুঁচড়োর দিকেই থাকতেন কি?
  • paakhi | 108.16.47.118 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ২১:৪৩633657
  • তা তো জানি নে। ভাবছিলুম তেনাকে ফুনিয়ে যদি বই বা কবিতাটা পাওয়া যায়
  • achintyarup | 121.241.214.38 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ২২:০৩633658
  • ভাইকে জিগায়ে দেখ
  • Bratin | 122.248.183.1 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১১:৩২633660
  • অনেক দিন আগে এই রকম একটা কবিতা পড়েছিলাম

    'এই পৃথিবীর কোন কিছু ই সোজা নয়
    .......

    আমার মনের সোজা ইচ্ছে টাও বাঁকা হয়ে যাচ্ছে তোমার মনের মধ্যে গিয়ে'

    ( কবিতায় বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে দেখনো হয়েছে কোন কিছু ই সরল পথে চলে না)

    কাল লেখা? কোন আইডিয়া। আমি একেবারে ভুলে মেরে দিয়েছি। আর বয়েস হচ্ছে তো!!
  • neeraa | 121.242.12.27 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১৩:৩৩633662
  • সরলরেখার জন্য

    জগন্নাথ চক্রবর্তী

    সামান্য একটা সরলরেখার জন্য মাথা খুঁড়ছি
    পাচ্ছি না।
    পৃথিবীতে কোথায় একটা সরলরেখা নেই।
    আকাশ অপরাজিত-নীল কিন্তু গোলাকার,
    দিগন্তও চক্রনেমিক্রম।
    নদী আঁকাবাঁকা, পাহাড় এবড়ো-খেবড়ো
    হ্রদ চ্যাপটা, উপকূল বুকে-হাঁটা সরীসৃপের
    মতো খাঁজ-কাটা।
    কুকুরের লেজ কুন্ডলী, হরিণের শিং ঝাঁকড়া
    গোরুর খুর দ্বিধা, আর গ্রান্ডট্রাংক রোড উধাও
    কিন্তু এলোমেলো।
    সৃষ্টিতে সরলরেখা বোধহয় এখনও জন্মায়নি
    যত দাগ, সব হয় ডিম, নয় নারকোল, কলার মোচা
    বৃত্ত, উপবৃত্ত ইত্যাদি
    একটাও সোজা নয়, কোন মানুষই সোজা নয়
    তাই বোঝা শক্ত
    মাথার ওপর সূর্য জবাকুসুম, তিনিও সোজা চলেন না
    উত্তরায়ণ থেকে দক্ষিণায়নে মাতালের মতো টলছেন
    সোজা কিছুই চোখে পড়ছেনা।
    তোমার চোখের ঈষৎ ভাষাও আমার বুকের
    মধ্যে এসে কেমন যেন বেঁকে যাচ্ছে
    আর আমার সহজ ইচ্ছেটাও তোমার দ্বিধার মধ্যে
    কেবলই কৌশিক-
    সামান্য একটা সরলরেখার জন্য আমরা বসে আছি
    সামান্য একটা সরলরেখার জন্য মাথা খুঁড়ছি
    পাচ্ছিনা। পৃথিবীতে কোথাও একটা সরলরেখা নেই।।
  • Bratin | 122.248.183.1 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১৩:৫৮633663
  • ধন্যবাদ। এটার কথাই বলছিলাম। :-))
  • n | 121.242.12.27 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১৪:৫১633664
  • -:ভ্রম সংশোধন:-
    আর আমার সহজ ইচ্ছেটাও তোমার দ্বিধার মধ্যে
    কেবলই কৌণিক-

    (ভুল করে "কৌশিক' লেখা হয়েছে)
  • I | 14.96.112.126 | ০৩ মার্চ ২০১১ ২১:৩৯633665
  • ছেলেবেলায়
    পায়রার গলায় ছুরি বসিয়ে
    লিচুগাছের ডাল ভেঙে
    দুই কাঁদি তালশাঁস খেয়ে
    বাগান লণ্ডভণ্ড আর পুকুরের জল ঘোলা করে
    দিনের শেষে যখন বাড়ি ফিরতাম
    তখন ঠাকুমাবুড়ি মাকে শাসাত :
    খবরদার বউমা, ওকে আজ ভাত দেবে না,
    উনুনের ছাই বেড়ে দেবে।

    ঠাকুমা কবে মরে গেছে। আমিও মর মর।
    কিন্তু এতকাল ধরে আমরা বাগান লণ্ডভণ্ড করেছি
    শয়তানের পিছনে কাঠি দিয়েছি।
    এখন মাটির নিচে জল পাঁচ মিটার নেমে গেছে।
    মেঘ আসে, কিন্তু লাফায় না, গর্জায় না, মরা মাছের মতো নীরবে ভেসে যায়।
    বেশী টানাহ্যাঁচড়া করলে মাটি থেকে জলের বদলে আর্সেনিক ওঠে।
    গাছের শিকড় নুন মাখানো জোঁকের মতো সিঁটিয়ে গেছে-
    নিচে যেতে পারে না। পুত্রবধূ আর নাতবৌয়েরা
    পাথরের ফাটলবাসী গিরগিটিদের মত ধুলোমাখা।
    খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ী পৃথিবী
    কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদারা , ছাই খা!
    কতদিন ঘরে একদানা চাল নেই-
    বউমা , ওদের ভাতের বদলে ছাই বেড়ে দাও,
    উনুন থেকে গরম ছাই তুলে দাও।

    (ছাই : মণীন্দ্র গুপ্ত)
  • dukhe | 122.160.114.85 | ০৪ মার্চ ২০১১ ১০:৪৬633666
  • অনবদ্য ।
  • I | 14.96.18.84 | ০৮ মার্চ ২০১১ ০০:২৪633667
  • দুধের বাছা ছেলেকে স্কুলে ভরতি করতে নিয়ে যাচ্ছি-
    ফর্ম ভরা, ইন্টারভিউ দেওয়ানো, অভিভাবক মাবাবাদের উদগ্রীব ধাক্কাধাক্কি
    যেন শাঙন আকাশে মেঘের ঘনঘটা,অস্থির বিদ্যুত, উচ্ছ্বসিত যমুনা-
    আর এরই মধ্যে আমি যেন সদ্যজাত কৃষ্ণকে ঝাঁকায় করে নিয়ে
    এই প্রলয় পেরিয়ে গোকুলে চলেছি।
    আমি বসুদেব, আমিই বাসুকি।
    ওর মা চলেছে আগে আগে, পথপ্রদর্শক শেয়ালনী।

    যেতে যেতে ভবিষ্যৎ দেখি :
    স্কুলে বংশী বট, ধেনুর পাল, শ্যামল বনভূমি, মিষ্ট জলাশয় কিছুই নেই।
    খুব ভোরে উঠেছে, তাই জলের বোতলে মাথা রেখে ও ঘুমিয়ে পড়ে,
    ইলাস্টিকের টাই গলায় ফাঁস দেয়,
    প্যান্ট খুলিয়ে টিচার পাছায় চড় মারে।

    এইভাবে ও ক্লাস পেরোয়, বড় হয়, পাতলা গোঁপ
    আর চিবুকে ছাগুলে দাড়ি গজায়।
    আর আমরা দেবকী-বসুদেবের মত দূরের-
    সুদূরের বাপমা হতে থাকি।

    সহপাঠিনী যারা একসঙ্গে ভরতি হয়েছিল
    তাদেরও দুধদাঁত পড়ে, ফোকলা মুখে আবার কী চমৎকার
    কঠিন ঝিলিক দেওয়া দাঁত গজায়।
    এই গোপিনীদের শরীরে অগোচরে যেন কিসের মন্থন চলে,
    না হলে মুখে দুধের গন্ধ চলে গিয়ে
    এই কদিনে কি করে টাটকা ননীর গন্ধ এল !

    আমাদের চোখ মায়ায় আচ্ছন্ন, আমরা বুঝি না,
    ওর শ্রীকৃষ্ণকীর্তন-পড়া দাদু কিন্তু ওকে অনেক বেশী বোঝেন।

    (গোকুলে : মণীন্দ্র গুপ্ত)
  • siki | 123.242.248.130 | ০৮ মার্চ ২০১১ ১৩:২২633668
  • বা:। বা:। বা:।
  • Bratin | 122.248.183.1 | ০৮ মার্চ ২০১১ ১৩:২৮633669
  • ইন্দো দা, ছাই,গোকুলে দুটো ই খুব ভালো লাগলো। মনীন্দ্র গুপ্ত আগে পড়ি নি।
  • san | 14.99.127.220 | ০৮ মার্চ ২০১১ ১৮:০৫633670
  • আমার মেয়েরা

    আমার মেয়ে কালো - বেশ কালো , মাথায় উবুঝুঁটি,
    ভোরবেলা ছাদে কাপড় শুকোবার তারে বসে
    দোল খেতে খেতে বলে -
    আর্জেন্টিনায় মেঘ দেখতে গিয়েছিলাম,
    ভয়ংকর বৃষ্টি এল, ঘর খুঁজে পেলাম না ,
    তাই ফিরছি।
    আমি বলি - তোকে যে তেমন করে নাচ গান ছবি আঁকা লেখাপড়া
    কিচ্ছু শেখাতে পারিনি খুকু,
    তাই মনের দু:খে পাখি হয়ে গেলি !
    আয়, একটু শস্যদানা খা, একটু জল খা,
    এখানেই থেকে যা ।
    আমাকে কি রাখতে পারবে চিরকাল ?
    এই বলে সকাল অন্ধকার করে,বাতাসে ভর
    ফুড়ুৎ উড়ে যায় মেয়ে।
    ঝড় বাজ বিদ্যুৎ তার দেয়াল জানলা দরজা,
    কিন্তু মাটিতে নামতে গেলেই মুশকিল-
    এসকালেটরের মতই পৃথিবী সরে সরে যাচ্ছে-
    কোথায় বসবে ও ?
    কোথায় একটা ঘর খুঁজে দেব ওকে?

    ভাবছি তো ভাবছিই
    এমন সময় একদিন আকাশ থেকে
    ঝলক ঝলক হাওয়া এসে বলে গেল-
    ভেবো না, অত ভেবো না মা ,
    আমি, আমরা, তোমার মেয়েরা
    দেশে দেশে বয়ে যাব -
    গাছ শব্দ আর প্রাণ
    আমাদের ছাড়া জন্মাতেই পারবে না ।

    --- দেবারতি মিত্র

  • ranjan roy | 122.168.250.226 | ০৮ মার্চ ২০১১ ২২:৫৮633671
  • ইন্দোডাক্তার ও স্যানকে অনেক অনেক ধন্যবাদ; মণীন্দ্র গুপ্ত ও দেবারতি মিত্র-- এই কবিদম্পতির চমৎকার তিন কবিতা তুলে দেয়ার জন্যে।
    স্যানদিদি,
    দেবারতির আরো কবিতা দাও, অনেকদিন পরে মন ভরে গেল।
  • san | 14.99.109.1 | ০৮ মার্চ ২০১১ ২৩:২৩633673
  • সকালের গার্হস্থ্য

    দোপাটি ফুলের মতো রোদ্দুরে
    পুবের বারান্দা ভরে যাবার আগেই
    কে আমাকে জাগিয়ে দিল -
    আঁকাবাঁকা দিঘির জলে ঘুমভাঙা মাছ, সাদা মেঘ, হাঁসেদের ঢেউ,
    পৃথিবীর আরামের নিশ্বাস।
    ভোরবেলাকার গলন্ত নীল আর উড়ন্ত বাতাসের প্ররোচনায়
    আমার দমবন্ধ কেটলিতে স্বপ্ন উথলে উঠল।
    চা ঢালা হল।
    পেয়ালারা আজ হাসিতে ভরতি,
    লিকারের মতিগতি না বুঝেই দুধচিনি
    চড়া আলোর সঙ্গে আকাশের লালচে আভার মোতো
    মিশে যেতে লাগল।

    চা পর্ব শেষ, এবার কুটনো কোটা শুরু-
    ঘুঘুর বুকের মতো ধুকপুকে শ্যামবর্ণ বেগুন
    কুটতে কুটতে পাখির মাংস কাটার মৃদু শিহরণ পাই।
    আমার কিশোরী মেয়ের আঙুল নরম সবুজ বাঁশি এই লম্বা লম্বা ঢ্যাঁড়স
    কাটতে গেলে সুর তছনছ হয়ে যাবে ভয়ে মরে যাই।
    তারপর তুকতুকে লাউ - বর্ণকুমারী না সুকুমারী?
    কুমারীর লাবণ্য গোড়া থেকে ছিন্নভিন্ন করলে
    মেয়েলি কুয়াশা, হৃদয়ের গন্ধ আর হরিৎ বেদনা।
    পুরুষের প্রতিভূ কোনো সবজির সঙ্গে আজ
    হেস্তনেস্ত হবে না ভেবে নিরুপায় দীর্ঘশ্বাস ফেলি।

    বেলা হল, রাত্তিরে ভেজানো বিছানার চাদর
    ঝটপট কেচে দিই, বারান্দায় মেলি।
    মাঠের কোণে বাঁকা রোদ, কাজলবউ টিউবেল পাম্প করছে,
    একটা ছাগল আনমনে ঘাস ছিঁড়ছে,
    কাকের ডাক, অটো রিকশার হর্ন একঘেয়ে মন্থর,
    মেঘলা শিকড়হীন অবসাদ, না-প্রতীক্ষার প্রহর।

    সংসার হিজিবিজি নিষ্ঠুর বই -
    একটি অক্ষরও পড়ে দেখতে সাধ হল না।

    ----- দেবারতি মিত্র

  • hu | 12.34.246.72 | ০৮ মার্চ ২০১১ ২৩:৩১633674
  • প্রিয় কবিতায় স্যানের পোস্ট পড়ে শ্রীজাত পড়া শুরু করেছিলাম। দেবারতি মিত্রও পড়িনি একদম। আরও পড়াও।
  • hu | 12.34.246.72 | ০৮ মার্চ ২০১১ ২৩:৪৭633675
  • সেই সাথে একটু ভাস্কর চক্রবর্তীও।
  • san | 14.99.109.1 | ০৯ মার্চ ২০১১ ০০:২৮633676
  • ভিখারি

    মুখের চামড়া টান , লোকে বলে - 'গম্ভীর মানুষ, একলা ঘরের কোণে থাকে'-
    কিসের গাম্ভীর্য? আহা, দুতিনটে কবিতা লিখি বলে?
    তুমি জানো, আমি শালা ভিখারির চেয়েও ভিখারি
          সিঁড়ির তলায় জুতো ছেড়ে
    তোমার নিরালা ঘরে উঠে যাই, নেমে আসি - মাঝখানে তুমি
    চায়ের বাজার নিয়ে কথা বলো, কথা বলো এ-বছর কোথায় বা বেশী বৃষ্টিপাত
    কোনো কোনো দিন হেসে চোখটা ওপরে তুলে, 'আরে তুমি? এসো এসো
          সেই কবে এসেছো সাতাশে'-
    আমি দেখি চেয়ে , বোর্নভিটা তোমাকে যত পুষ্টতা দিয়েছে
          মুখরা করেছে তারও বেশী -

    সকাল নটায় তবু টেলিফোন দেখলেই বুকের ভেতরে হাঁস ছটফট করে
    কচি ছাগলের মত রোদ নাচে ছাদের কার্নিশে -
         সব কি মাটিতে যাবে?
    একবার এই জন্ম - ছুটে যাই, তুমি জানো ছুটবোই আমি
    যেখানে তোমার ছায়া বসবোই হাঁটু ভাঁজ করে
    আমি ইঁট, আমি কাঠ - চুন বালি অথবা খড়কে কাঠি আমি
    তুমি জানো, আমি শালা ভিখারির চেয়েও ভিখারি
          বোকার মতন আজও হেসে
    তোমার নিরালা ঘরে উঠে যাই, নেমে আসি, লোকে বলে - 'গম্ভীর মানুষ
         একলা ঘরের কোণে থাকে'

    (ভাস্কর চক্রবর্তী)
  • san | 14.99.109.1 | ০৯ মার্চ ২০১১ ০০:৩৩633677
  • বৃষ্টি

    আজ সারাদিন বৃষ্টি...
    বৃষ্টি আজ সারাদিন
    বাতাসে ভাসছে,
                 ভেঙেচুরে
    ছড়িয়ে পড়ছে , আর
    মনে হচ্ছে
    কাঁদছে কেউ, আমি
    বিছানার দিকে এত
                 কবে যে এসেছি
    মনেও পড়ে না আজ -
    আজ শুধু ভোর থেকে দেখি,
    বৃষ্টি এসে
                 আমার জীবন
    ধুয়ে দিচ্ছে, তুলে ধরছে
    যেখানে আঁধারে
    মিনু আর ডলি আর
                 মা আমার

    স্তদ্ধ হয়ে আছে।
  • ranjan roy | 122.168.250.226 | ০৯ মার্চ ২০১১ ০২:১৭633678
  • স্যানদিদি, আমাদের মত কবিতাপিপাসু অভাজনের তরে ঠানদিদি হও, কবিতার ঝুলি বওয়া ঠানদিদি। আর একটু নিয়মিত এসো।
  • achintyarup | 59.93.255.100 | ০৯ মার্চ ২০১১ ০৪:৫৭633679
  • ঐ মেয়েটির কাছে
    সন্ধ্যাতারা আছে।
  • | 137.157.8.253 | ০৯ মার্চ ২০১১ ০৭:৪৭633680
  • কোনো তাড়াহুড়ো নেই,
    এখন সময় নয় বলো যদি,
    দাঁড়িয়ে থাকতে রাজি আছি।
    আয়না ফুরিয়ে গেছে-
    তোমার মধ্যেই অচ্ছ পর্দা,
    মোমবাতির পরী আলোকিত ছোট্টো জিভে
    চেটে খায় মিষ্টি অন্ধকার।
    একা দূর থেকে দেখি
    ঝিঁঝির গানের রেখা বেড়াতে যাচ্ছে বারান্দায়।
    কেউ নই, আমি কেউই নই জানি
    তবুও অপেক্ষা করে থাকি
    তোমার হাতের শব্দ পাই যদি হঠাৎ জানলা খুলে দাও-
    সেই মুখ সাদা টলটলে মেঘ
    আমার সমুদ্রে নেমে ঢেউ হয় যদি,
    চোখে পড়ে একবার
    কেটে ফেলা পায়ের নখের ফালি দু -একটি দূর তারা
    যার রশ্মি পৌঁছয়নি এখনো এ আকাশ অবধি।

    ভয় নেই, আশাও কি নেই?
    অসংখ্যজীবন আছে আরো-
    কীটজন্ম, পশুজন্ম, গাছজন্ম, বালি ও পাথরজন্ম
    কিছুতেই আপত্তি করি না-
    আমি থাকব পায়ে পায়ে,
    দেখতে চাই ক'বার না বলো তুমি,
    কতবার না বলতে পারো।

    না, না, এবং না
    দেবারতি মিত্র

  • siki | 123.242.248.130 | ০৯ মার্চ ২০১১ ০৯:২৯633681
  • সসঙ্কোচে জানাই আজ, একবার মুগ্‌ধ হতে চাই ....
  • Sudipta | 202.78.232.247 | ০৯ মার্চ ২০১১ ২২:১৩633682
  • মূর্খ বড়ো, সামাজিক নয় : শঙ্খ ঘোষ

    ঘরে ফিরে মনে হয় বড়ো বেশী কথা বলা হল?
    চতুরতা, ক্লান্ত লাগে খুব?
    মনে হয় ফিরে এসে স্নান করে ধূপ জ্বেলে চুপ করে নীলকুঠুরিতে
    বসে থাকি?
    মনে হয় পিশাচ পোষাক খুলে প'রে নিই
    মানবশরীর একবার?

    দ্রাবিত সময় ঘরে বয়ে আনে জলীয়তা, তার
    ভেসে-ওঠা ভেলা জুড়ে অনন্তশয়ন লাগে ভালো?

    যদি তাই লাগে তবে ফিরে এসো। চতুরতা, যাও।
    কী-বা আসে যায়

    লোকে বলবে মূর্খ বড়ো, লোকে বলবে সামাজিক নয়!

    ---------------------------
    কলকাতায় ফেরার পর থেকে অফিস থেকে ফেরার পথে এই কবিতাটা প্রতিদিন মনে পড়ে, প্রত্যেকটা দিন :(
  • Sudipta | 202.78.232.247 | ০৯ মার্চ ২০১১ ২২:১৭633685
  • দেবারতি মিত্র আর মণীন্দ্র গুপ্তের কবিতাগুলো বেশ লাগল; আর-ও হোক কিছু
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন