এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • প্রিয় কবিতা

    Riju
    অন্যান্য | ১৮ জুলাই ২০০৬ | ৩৮৬৪৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Sudipta | 202.78.232.247 | ০৯ মার্চ ২০১১ ২২:৩৩633686
  • মানুষের ওপর ভরসা রেখে হারানোর মুহূর্তে এই কবিতাটা বড্ড সাহস এনে দেয়, 'মানব ক্ষয়িত হয় না জাতি ব্যক্তির ক্ষয়ে' আর-ও একবার মনে করিয়ে যায়...

    কোথাও মানুষ ভালো রয়ে গেছে : বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

    কোথাও মানুষ ভালো রয়ে গেছে বলে
    আজ-ও তার নিশ্বাসের বাতাস নির্মল;

    যদি-ও উজীর, কাজী, শহর কোটাল
    ছড়ায় বিষাক্ত ধুলো, ঘোলা করে জল

    তথাপি মানুষাজো শিশুকে দেখলে
    নম্র হয়, জননীর কোলে মাথা রাখে,
    উপোসে-ওরমণীকে বুকে টানে; কারও
    সাধ্য নেই একেবারে নষ্ট করে তাকে।

    -----
    ভরসা রাখাই যায়, আর একটু ধৈর্য্য ধরে, টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজ থেকে হাতরুটি, সবেতেই :)
  • amitabha dev choudhury | 117.203.177.175 | ২১ মার্চ ২০১১ ২১:৫৯633687
  • yourblogisreallygood.
  • pi | 233.176.28.50 | ৩০ আগস্ট ২০১৪ ১২:৫৮633688
  • অনেকদিন দেখা হবে না
    তারপর একদিন দেখা হবে।
    দুজনেই দুজনকে বলবো,
    ‘অনেকদিন দেখা হয় নি’।
    এইভাবে যাবে দিনের পর দিন
    বত্সরের পর বত্সর।
    তারপর একদিন হয়ত জানা যাবে
    বা হয়ত জানা যাবে না,
    যে
    তোমার সঙ্গে আমার
    অথবা
    আমার সঙ্গে তোমার
    আর দেখা হবে না।
    -----
    তারাপদ রায়
  • pi | 24.139.221.129 | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২৩:৪১633689
  • তুলে দিলাম।
  • pi | 233.176.4.198 | ২১ জানুয়ারি ২০১৫ ০৯:২৫633691
  • এক একটা কলার ছেঁড়া জামা আছে
    যাতে আর বোতাম লাগানো হয়ে ওঠে না
    এক একটা বৃষ্টি আগে
    সবাই যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন
    এমন কিছু সময় আছে
    যারা ঘড়ির বাইরে ঘুরে বেড়ায়

    ঠিক সেইরকম একটা জামা পরে
    সেই আশ্চর্য বৃষ্টির মধ্যে
    সেই অবাধ্য সময়ে
    আমার সঙ্গে একজন
    জবুথবু মেয়ের দেখা হয়েছিল
    আর সেই হল আমার কাল

    ভালোবাসা - নবারুণ ঘোষ
  • san | 113.245.13.238 | ২৫ মার্চ ২০১৫ ২১:৫৭633692
  • একটাই মোমবাতি , তবু অহঙ্কারে তাকে তুমি দু'দিকে জ্বেলেছ ।

    খুব অহঙ্কারী হলে তবেই এমন কাণ্ড করা যায়।
    তুমি এত অহঙ্কারী কেন ?
    চোখে চোখ রাখতে গেলে অন্য দিকে চেয়ে থাকো ,
    হাতে হাত রাখতে গেলে ঠেলে ফেলে দাও,
    হাতের আমলকী-মালা হঠাৎ টান মেরে তুমি ফেলে দাও ,
    অথচ তারপরে এত শান্ত স্বরে কথা বলো , যেন
    কিছুই হয়নি , যেন
    যা কিছু যেমন ছিল , ঠিক তেমনি আছে ।
    খুব অহঙ্কারী হলে তবেই এমন কাণ্ড করা যায়।

    অথচ এমন কাণ্ড করবার এখনই কোনো কারণ ছিল না।
    অন্য-কিছু না থাক , তোমার
    স্মৃতি ছিল ; স্মৃতির ভিতরে
    ভুবন-ভাসানো একটা নদী ছিল ; তুমি
    নদীর ভিতরে ফের ডুবে গিয়ে কয়েকটা বছর
    অনায়াসে কাটাতে পারতে । কিন্তু কাটালে না ;
    এখনি দপ করে তুমি জ্বলে উঠলে ব্লাউজের হলুদে ।

    খুব অহঙ্কারী হলে তবেই এমন কাণ্ড করা যায়।
    তুমি এত অহঙ্কারী কেন ?
    একটাই মোমবাতি , তবু অহঙ্কারে তাকে তুমি দুদিকে জ্বেলেছ।

    ( একটাই মোমবাতি - নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী)
  • I | 233.239.164.138 | ২৭ মে ২০১৫ ২২:২৬633693
  • খোলা ভেঙে দেখলাম
    ভেতরে বাদাম নেই
    কিন্তু যতবার নেড়ে দেখেছি
    শব্দ- ভেতরে Kএ যেন ঠুকঠুক
    ফের খোলা ভাঙি
    ফের ভেতরে কেবল শূন্যতা-
    শূন্য কি তবে কঠিন হয়ে উঠছে!

    শূন্যের ভেতরে লুকিয়ে পড়ছে
    ধাতু কাঠ পাথর নিঃসঙ্গতা ও বাদাম
    ক্রমশ ভেতরের ফাঁকায়
    হারিয়ে যাচ্ছে ওরা-
    তবু যতবার নাড়ি
    নিরুদ্দেশ শৈশবের মতো
    কে যেন ভেতরে সাড়া দেয়...

    (শূন্যের ভেতরে-পার্থপ্রিয় বসু)
  • rabaahuta | 215.174.22.27 | ০৮ জানুয়ারি ২০১৬ ০১:০৬633694
  • কিশোর-গাঁয়ের পুবের পাড়ায় বাড়ি
    পিস্‌নি বুড়ি চলেছে গ্রাম ছাড়ি।
    একদিন তার আদর ছিল , বয়স ছিল ষোলো,
    স্বামী মরতেই বাড়িতে বাস অসহ্য তার হল।
    আর-কোনো ঠাঁই হয়তো পাবে আর-কোনো এক বাসা,
    মনের মধ্যে আঁকড়ে থাকে অসম্ভবের আশা।
    অনেক গেছে ক্ষয় হয়ে তার , সবাই দিল ফাঁকি,
    অল্প কিছু রয়েছে তার বাকি।
    তাই দিয়ে সে তুলল বেঁধে ছোট্ট বোঝাটাকে,
    জড়িয়ে কাঁথা আঁকড়ে নিল কাঁখে।
    বাঁ হাতে এক ঝুলি আছে , ঝুলিয়ে নিয়ে চলে ,
    মাঝে মাঝে হাঁপিয়ে উঠে বসে ধূলির তলে ।
    শুধাই যবে , কোন্‌ দেশেতে যাবে ,
    মুখে ক্ষণেক চায় সকরুণ ভাবে ;
    কয় সে দ্বিধায় , “ কী জানি ভাই , হয়তো আলম্‌ডাঙা ,
    হয়তো সান্‌কিভাঙা ,
    কিংবা যাব পাটনা হয়ে কাশী । ”
    গ্রাম-সুবাদে কোন্‌কালে সে ছিল যে কার মাসি ,
    মণিলালের হয় দিদিমা , চুনিলালের মামি —
    বলতে বলতে হঠাৎ যে যায় থামি ,
    স্মরণে কার নাম যে নাহি মেলে ।
    গভীর নিশাস ফেলে
    চুপটি ক ' রে ভাবে ,
    এমন করে আর কতদিন যাবে ।
    দূরদেশে তার আপন জনা , নিজেরই ঝঞ্ঝাটে
    তাদের বেলা কাটে ।
    তারা এখন আর কি মনে রাখে
    এতবড়ো অদরকারি তাকে ।
    চোখে এখন কম দেখে সে , ঝাপসা যে তার মন ,
    ভগ্নশেষের সংসারে তার শুকনো ফুলের বন ।
    স্টেশন-মুখে গেল চলে পিছনে গ্রাম ফেলে ,
    রাত থাকতে , পাছে দেখে পাড়ায় মেয়ে ছেলে ।
    দূরে গিয়ে , বাঁশবাগানের বিজন গলি বেয়ে
    পথের ধারে বসে পড়ে , শূন্যে থাকে চেয়ে ।

    (পিস‍্‍নি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
  • দিব্যজ্যোতি | 113.217.241.200 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:২০633696
  • তোমার বুদ্ধির সুধা, সুরা হল আঁধারে পচিয়া।
    হে অগ্নি পানিয়ে!! নিত্য জ্বলে তব ঘৃণ্য পাকস্থলি;
    কৌমার্য করিতে রক্ষা, আত্মরতি সম্বল তোমার,
    তোমার দুর্বল কন্ঠে স্বেচ্ছাবন্দী পাখির কাকলি,
    প্রাণশক্তি প্রাণহীণ, ধরিয়াছ প্রাণঘাতী নেশা,
    চরণে কাঁদিছে কায়া, ছায়া ভাবি হাসো উপহাসে,
    করেছ গতির রক্তে পঙ্গুতার প্রশস্তি রচনা,
    বিচ্ছেদ ভুলিতে চাহ বিরহের নিবীর্য বিলাপে।
    প্রসবের ব্যর্থতায় অভিমানী শৌখিন শাখার
    স্বার্থপর আত্মনাশ, বনস্পতি করিবেনা ক্ষমা,
    তৃষ্ঞায় শ্বসিছে তরু শিকড়ের শুন্য ভাণ্ড হাতে।
    সংবর এ ক্লীব কান্না! দেখনি কি মৃত্তিকা নির্মমা?
    রাজদণ্ড বহি ফিরে, শ্লথছন্দে রচিয়া বিলাপ,
    যে চাহে অলকা, তার নির্বাসন যোগ্য অভিশাপ।

    বর্তমান বুদ্ধিজীবীদের প্রতি ~ সরোজ দত্ত
  • rabaahuta | 106.95.19.165 | ১৪ মার্চ ২০১৭ ২২:২৭633697
  • কোথাও ছাপার ভুল হয়ে গেছে৷ ভীষণ, বিচ্ছিরি
    এ পদ্য আমার নয়, এই আলপনা, এই পিঁড়ি;
    এই ছবি আমি তো আঁকিনি,
    এই পদ্য আমি তো লিখিনি৷
    এই ফুল, এই ঘ্রাণ, এই স্বপ্নময়,
    স্মৃতি নিয়ে এই ছিনিমিনি
    এই পদ্য আমি তো লিখিনি৷
    আমার পুরোনো খাতা, উড়ছে হাওয়ায়
    ছেঁড়া মলাটের নিচে পোকা কাটা মলিন পাতায়
    আমের বোলের গন্ধ, ঝরে আছে অমোঘ পলাশ৷
    কবেকার সে পলাশ, ধলেশ্বরী নদীটিরে ঘাটে,
    একা একা ঝরে পড়ে সে কি সেই উনিশশো পঞ্চাশ?
    মদন জাগলার মাঠে
    আজও এক বিষন্ন শিমুল
    গাছ ভরা, পাতা ভরা ভুল৷
    স্মৃতি নিয়ে এই ছিনিমিনি
    কোথাও ভীষণ ভুল হয়ে গেছে,
    ঐ ছবি আমার নয়, এই পদ্য আমি তো লিখিনি৷

    (আমি লিখিনি - তারাপদ রায়)
  • d | 144.159.168.72 | ১৬ মার্চ ২০১৭ ১০:৪২633698
  • "সিঁড়িটি অবাক হয়ে উঠে গেল দোতলার ছাদে।
    গিয়ে দেখে সব সত্যি ----
    বড়িঘর, প্রতিবেশী, এজমালি হাওয়া,
    সুপুরিগাছের দাঁতে বিঁধে যাওয়া আকাশী পাথর,
    কোথা দিয়ে ট্রেন যায়, কোথায় যে যায়
    দ্রিম-দ্রিম শব্দ এসে ধাক্কা দেয় বাড়ির দেয়ালে।

    এরপরে আর
    কোথাও যাওয়ার নেই, এই কথা শুনে
    সিঁড়িটি একাই নেমে এল, ধীরে ধীরে
    অন্ধোকার জমে উঠল সিঁড়ির তলায়

    মায়াকানন - শৌভ চট্টোপাধ্যায়
  • সিকি | 158.168.96.23 | ১৫ মে ২০১৭ ১৪:২০633699
  • আজ অনেকদিন বাদে এই টইটা খুলে বসেছিলাম, ফলে যা হবার তাই হল। সারাটা সকাল চৌপাট হয়ে গেল।

    আবার জাগানো যায় না? অনেকেই এখানে তুলে দিয়েছেন পছন্দের কবিতা, অনেকেই আসেন না আর। নতুনও তো অনেকে এসেছে - তারা কিছু তুলে দিক না?
  • pi | 57.29.226.138 | ১৫ মে ২০১৭ ১৬:০৯633700
  • এখনে কারুর নাম দেখাচ্ছে না কেন ?

    Name: Mail: Country:

    IP Address : 137.157.8.253Date:09 Mar 2011 -- 07:47 AM
  • | 52.110.187.85 | ১৬ মে ২০১৭ ১১:১৩633701
  • কোনো এক রকমের সঙ্গীত

    অপেক্ষা করতে দাও সাপটাকে
    ওই গুল্মলতার তলায়
    বরং লেখাতে
    আসুক শব্দেরা, ধীর ও দ্রুত, তীক্ষ্ণ
    যা বিঁধে যায়, শান্ত চুপ ঠায়,
    নিদ্রাহীন।
    রূপকস্পর্শে মিলে যায়
    মানুষ ও শিলাখন্ড।
    রচনা হয়ে যায়।( ভাবনায় নয়
    বরং বস্তুজগতে ) হোক আবিষ্কার!
    শিলাফোঁড়া এই ফুলটাই আমার যা
    পাথরকেও ফাটিয়ে দ্যায় ।

    উইলিয়াম কার্লোস উইলিয়াম
  • Suhasini | 213.99.208.17 | ১৭ মে ২০১৭ ১০:৪১633702
  • তোমারে ডাকিনু যবে কুঞ্জবনে
    তখনো আমের বনে গন্ধ ছিল।
    জানি না কী লাগি ছিলে অন্যমনে,
    তোমার দুয়ার কেন বন্ধ ছিল।
    একদিন শাখাভরি এল ফলগুচ্ছ,
    ভরা অঞ্জলি মোর করি গেলে তুচ্ছ,
    পূর্ণতা-পানে আঁখি অন্ধ ছিল।
    বৈশাখে অকরুণ দারুণ ঝড়ে
    সোনার বরন ফল খসিয়া পড়ে।
    কহিনু, "ধুলায় লোটে মোর যত অর্ঘ্য,
    তব করতলে যেন পায় তার স্বর্গ।'
    হায় রে, তখনো মনে দ্বন্দ্ব ছিল।
    তোমার সন্ধ্যা ছিল প্রদীপহীনা,
    আঁধারে দুয়ারে তব বাজানু বীণা।
    তারার আলোক-সাথে মিলি মোর চিত্ত
    ঝংকৃত তারে তারে করেছিল নৃত্য,
    তোমার হৃদয় নিস্পন্দ ছিল।

    তন্দ্রাবিহীন নীড়ে ব্যাকুল পাখি
    হারায়ে কাহারে বৃথা মরিল ডাকি।
    প্রহর অতীত হল, কেটে গেল লগ্ন,
    একা ঘরে তুমি ঔদাস্যে নিমগ্ন,
    তখনো দিগঞ্চলে চন্দ্র ছিল।
    কে বোঝে কাহার মন! অবোধ হিয়া
    দিতে চেয়েছিল বাণী নিঃশেষিয়া।
    আশা ছিল, কিছু বুঝি আছে অতিরিক্ত
    অতীতের স্মৃতিখানি অশ্রুতে সিক্ত--
    বুঝিবা নূপুরে কিছু ছন্দ ছিল।
    উষার চরণতলে মলিন শশী
    রজনীর হার হতে পড়িল খসি।
    বীণার বিলাপ কিছু দিয়েছে কি সঙ্গ,
    নিদ্রার তটতলে তুলেছে তরঙ্গ,
    স্বপ্নেও কিছু কি আনন্দ ছিল।
  • Suhasini | 213.99.208.17 | ১৭ মে ২০১৭ ১০:৪২633703
  • উদাসীন/ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
  • Suhasini | 213.99.208.17 | ১৭ মে ২০১৭ ১১:৪৩633704
  • এটাও থাক। যদিও শব্দের এদিক ওদিক হতে পারে এক-আধটু।

    মেঘলাদিনে দুপুরবেলা যেই পড়েছে মনে
    চিরকালীন ভালোবাসার বাঘ বেরুলো বনে...
    আমি দেখতে পেলাম, কাছে গেলাম, মুখে বললাম: খা
    আঁখির আঠায় জড়িয়েছে বাঘ, নড়ে বসছে না।

    আমার ভয় হল তাই দারুণ কারণ চোখদু'টো কৌতুকে
    উড়তে-পুড়তে আলোয়-কালোয় ভাসছিল নীল সুখে
    বাঘের গরুর ভারী, মুখটি হাঁড়ি, অভিমানের পাহাড়...
    আমার ছোট্ট হাতের আঁচড় খেয়ে খোলে রূপের বাহার।

    মেঘলাদিনে দুপুরবেলা যেই পড়েছে মনে
    চিরকালীন ভালোবাসার বাঘ বেরুলো বনে...
    আমি দেখতে পেলাম, কাছে গেলাম, মুখে বললাম: খা
    আঁখির আঠায় জড়িয়েছে বাঘ, নড়ে বসছে না।

    বাঘ / শক্তি চট্টোপাধ্যায়
  • Suhaini | 213.99.208.17 | ১৭ মে ২০১৭ ১১:৪৪633705
  • বাঘের গতর ভারী, মুখটি হাঁড়ি, অভিমানের পাহাড়...

    বাজে টাইপো।
  • pi | 24.139.221.129 | ২২ নভেম্বর ২০১৭ ২৩:০৯633707
  • এটাও তুলে দিলাম, ইন্দোদা।
  • এলেবেলে | 212.142.80.114 | ২৩ নভেম্বর ২০১৭ ০০:৩৫633708
  • এত চমৎকার একটা টই আছে জানতাম না তো ! আমি একটা রেখে গেলাম, জানি না এর আগে কেউ দিয়েছেন কিনা । দিলে দিয়েছেন, একই কবিতা দু'বার পড়লে খারাপের চেয়ে ভালো বেশি হয় । নভেম্বর বিপ্লবের শতবর্ষ পালনের সময় কেন যেন এই কবিতাটা হঠাৎই মনে পড়ল

    সব সময় বিপ্লবের কথা না ব’লে
    যদি মাঝে মাঝে প্রেমের কথা বলি —
    আমাকে ক্ষমা করবেন, কমরেডস।
    সব সময় ইস্তেহার না লিখে
    যদি মাঝে মাঝে কবিতা লিখতে চাই —
    আমাকে ক্ষমা করবেন, কমরেডস।
    সব সময় দলের কথা না ভেবে
    যদি মাঝে মাঝে দেশের কথা ভেবে ফেলি —
    আমাকে ক্ষমা করবেন, কমরেডস।
    পাঁচ আর সাত নম্বর ওয়ার্ডে আমাদের ভোট কম ব’লে
    সেখানকার মানুষ রাস্তা পাবে কি পাবে না — জানতে চেয়েছিলাম।
    আমার জিভ কেটে নেবেন না।
    পার্টির ছেলে নয় ব’লে
    ইকনমিক্স-এ ফার্স্ট ক্লাস চন্দন
    কাজটা পাবে কি পাবে না — বলতে চেয়েছিলাম।
    আমার নাক ঘষে দেবেন না।
    দাগি বদমায়েশ
    আমাদের হয়ে উর্দি বদল করলেই
    রেহাই পাবে কি পাবে না — বলতে চেয়েছিলাম।
    আমায় জুতোয় মাড়িয়ে যাবেন না।
    বিশ্বাস করুন কমরেডস
    আমি দলছুট নই বিক্ষুব্ধও নই ;
    বিশ তিরিশ চল্লিশের গনগনে দিনগুলিতে
    কমরেড লেনিন থেকে প্রিয় হো চি মিন
    আমাদের যেসব কথা বলেছিলেন,
    এই শতকের অন্তিম দশকে দাঁড়িয়ে
    আমি স্রেফ সেই কথাগুলো
    সেই সব আহত, রক্তিম অথচ একান্ত জরুরি কথাগুলো
    আপনাদের সামনে
    সরাসরি তুলে ধরতে চাই।
    জানতে চাই
    অবিশ্বাস আর ঘৃণার
    ছোট ছোট জরজা জানালা ভেঙে
    আমরা কি একবারের জন্যেও
    সেই বিস্তীর্ণ মাঠের ওপর গিয়ে দাঁড়াতে পারি না
    যেখানে
    সূর্যের আলো
    সব জায়গায় সমানভাবে এসে পড়ে ?

    'শুনুন কমরেডস', অমিতাভ দাশগুপ্ত
  • aranya | 172.118.16.5 | ২৩ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৪১633709
  • খুব ভাল লাগার কবিতা এটা, থ্যাংকস এলেবেলে
  • abcd | 24.139.222.72 | ২৩ নভেম্বর ২০১৭ ১৬:৩৫633710
  • *উলঙ্গ রাজা* - নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

    সবাই দেখছে যে, রাজা উলঙ্গ, তবুও
    সবাই হাততালি দিচ্ছে।
    সবাই চেঁচিয়ে বলছে; শাবাশ, শাবাশ!
    কারও মনে সংস্কার, কারও ভয়;
    কেউ-বা নিজের বুদ্ধি অন্য মানুষের কাছে বন্ধক দিয়েছে;
    কেউ-বা পরান্নভোজী, কেউ
    কৃপাপ্রার্থী, উমেদার, প্রবঞ্চক;
    কেউ ভাবছে, রাজবস্ত্র সত্যিই অতীব সূক্ষ্ম , চোখে
    পড়ছে না যদিও, তবু আছে,
    অন্তত থাকাটা কিছু অসম্ভব নয়।
    গল্পটা সবাই জানে।
    কিন্তু সেই গল্পের ভিতরে
    শুধুই প্রশস্তিবাক্য-উচ্চারক কিছু
    আপাদমস্তক ভিতু, ফন্দিবাজ অথবা নির্বোধ
    স্তাবক ছিল না।
    একটি শিশুও ছিল।
    সত্যবাদী, সরল, সাহসী একটি শিশু।
    নেমেছে গল্পের রাজা বাস্তবের প্রকাশ্য রাস্তায়।
    আবার হাততালি উঠছে মুহুর্মুহু;
    জমে উঠছে
    স্তাবকবৃন্দের ভিড়।
    কিন্তু সেই শিশুটিকে আমি
    ভিড়ের ভিতরে আজ কোথাও দেখছি না।
    শিশুটি কোথায় গেল? কেউ কি কোথাও তাকে কোনো
    পাহাড়ের গোপন গুহায়
    লুকিয়ে রেখেছে?
    নাকি সে পাথর-ঘাস-মাটি নিয়ে খেলতে খেলতে
    ঘুমিয়ে পড়েছে
    কোনো দূর
    নির্জন নদীর ধারে, কিংবা কোনো প্রান্তরের গাছের ছায়ায়?
    যাও, তাকে যেমন করেই হোক
    খুঁজে আনো।
    সে এসে একবার এই উলঙ্গ রাজার সামনে
    নির্ভয়ে দাঁড়াক।
    সে এসে একবার এই হাততালির ঊর্ধ্বে গলা তুলে
    জিজ্ঞাসা করুক:
    রাজা, তোর কাপড় কোথায়?

    --------------------------------------------------

    *নীরেন! তোমার ন্যাংটো রাজা* -বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

    নীরেন! তোমার ন্যাংটো রাজা
    পোশাক ছেড়ে পোশাক পরেছে!
    নাকি, তোমার রাজাই বদলেছে?
    সেই শিশুটি কোথায় গেল
    যেই শিশুটি সেদিন ছিল?
    নীরেন, তুমি বলতে পারো,
    কোথায় গেল সে?
    নাকি, তুমি বলবে না আর;
    তোমার যে আজ মাইনে বেড়েছে!

    হেইও হো! হেইও হো!
    পোশাক ছাড়া নীরেন, তুমি,
    তুমিও ন্যাংটো।
    কিন্তু ঘরে তেমন একটি
    আয়না রাখে কে?
    এই রাজা না, ঐ রাজা না।
    তুমিও না; আমিও না।

    হেইও হো! হেইও হো!
    পোশাক ছাড়া নীরেন, আমরা
    সবাই যে ন্যাংটো।
    আমরা সবাই রাজা আমাদের এই
    রাজার রাজত্বে!

    কিন্তু তুমি বুঝবে কি আর;
    তোমার যে ভাই, মাইনে বেড়েছে!
  • সিকি | 158.168.40.123 | ২৪ নভেম্বর ২০১৭ ১০:৪৫633711
  • রাজা আসে যায়-টা কেউ একটু টাইপিয়ে দিন।
  • এলেবেলে | 212.142.71.148 | ২৪ নভেম্বর ২০১৭ ১৯:২০633712
  • এই নিন


    রাজা আসে যায় রাজা বদলায়
    নীল জামা গায় লাল জামা গায়
    এই রাজা আসে ওই রাজা যায়
    জামা কাপড়ের রং বদলায়...
    দিন বদলায় না!
    গোটা পৃথিবীকে গিলে খেতে চায় সে-ই যে ন্যাংটো ছেলেটা
    কুকুরের সাথে ভাত নিয়ে তার লড়াই চলছে, চলবে।
    পেটের ভিতর কবে যে আগুন জ্বলেছে এখনো জ্বলবে!


    রাজা আসে যায় আসে আর যায়
    শুধু পোষাকের রং বদলায়
    শুধু মুখোশের ঢং বদলায়
    পাগলা মেহের আলি
    দুই হাতে দিয়ে তালি
    এই রাস্তায়, ওই রাস্তায়
    এই নাচে ওই গান গায় :
    "সব ঝুট হায়! সব ঝুট হায়! সব ঝুট হায়! সব ঝুট হায়!"


    জননী জন্মভূমি!
    সব দেখে সব শুনেও অন্ধ তুমি!
    সব জেনে সব বুঝেও বধির তুমি!
    তোমার ন্যাংটো ছেলেটা
    কবে যে হয়েছে মেহের আলি,
    কুকুরের ভাত কেড়ে খায়
    দেয় কুকুরকে হাততালি...
    তুমি বদলাও না ;
    সে-ও বদলায় না!


    শুধু পোষাকের রং বদলায়
    শুধু পোষাকের ঢং বদলায়...
  • paps | 340112.218.673423.94 | ০৮ জুন ২০১৮ ০৩:৩৭633713
  • তুললাম
  • ফরিদা | ০৮ জুন ২০১৮ ০৪:০৪633714
  • নবধারা জলে ১
    - উৎপলকুমার বসু

    মন মানে না বৃষ্টি হল এত
    সমস্ত রাত ডুবো নদীর পাড়ে
    আমি তোমার স্বপ্নে-পাওয়া আঙুল
    স্পর্শ করি জলের অধিকারে।

    এখন এক ঢেউ দোলানো ফুলে
    ভাবনাহীন বৃত্ত ঘিরে রাখে--
    স্রোতের মতো স্রোতস্বিনী তুমি
    যা-কিছু টানো প্রবল দুর্বিপাকে

    তাদের জয় শঙ্কাহীন এত,
    মন মানে না সহজ কোনো জলে
    চিরদিনের নদী চলুক, পাখি।
    একটি নৌকো পারাপারের ছলে

    স্পর্শ করে অন্য নানা ফুল,
    অন্য দেশ, অন্য কোনো রাজার,
    তোমার গ্রামে রেলব্রিজের তলে
    ভোরবেলার রৌদ্রে বসে বাজার।
  • lcm | 900900.0.0189.158 | ০৮ আগস্ট ২০১৮ ১৩:২২633715
  • মানুষ পেলে আর ইলিশমাছ খায় না

    - পূর্ণেন্দু পত্রী

    ---------------------------------------------
    আমি খুব চিকেন খেতে ভালোবাসি
    চিকেনগুলো নালা-নর্দমা খেতে ভালোবাসে
    নালা নর্দমাগুলো ভালোবাসে কলকাতার চিতল-পেটি অ্যাভিনিউ
    অ্যাভিনিউগুলো ভালোবাসে সমুদ্র-কাঁকড়ার মতো ঝাঁকড়া গাছের কাবাব।
    তবে কলকাতার এখন ডায়াবেটিস।
    কলকাতার ইউরিনে এখন বিরানব্বই পার্সেন্ট সুগার।
    কলকাতার গলব্লাডারে ডাঁই ডাঁই পাথর
    গাছপালা খেয়ে আগের মতো হজম করতে পারে না বলে
    কলকাতা এখন মানুষ খায়।
    আগে বছরে একবার কোটালের হাঁক পেড়ে
    নদীগুলো ঢুকে পড়তো গ্রাম-গঞ্জের তলপেটে
    ভাঙা তক্তাপোষ থেকে ঘুমন্ত বৌ-বাচ্চাদের তুলে নিয়েই
    লাল-ঘূর্ণীর হেঁসেলে।
    এখন নদীর দেখাদেখি বড় বড় হাইওয়ে
    হাইওয়ের গন্ডারদের দেখাদেখি ইলেকট্রিক ট্রেনের চিতাবাঘ
    ডাঙার চিতাবাঘের দেখাদেখি আকাশের পেট্রোল চালিত ঈগল
    সকলেরই মানুষ খাওয়ার খিদে বেড়ে গেছে সাই সাই।

    কেবল কলকাতা নয়
    পৃথিবীর সমস্ত বৈদ্যুতিক শহর
    এখন মানুষ পেলে আর ইলিশমাছ খায় না।
    তরতাজা যৌবন পেলে ছুড়ে দেয় হ্যামবার্গারের ডিস
    পোর্সেলিনের বাটিতে হাড়-মাস-ভাসানো তরল স্যূপ পেলে
    মাদ্রিদ থেকে মোরাদাবাদ
    তেহেরান থেকে ত্রিপুরা
    গের্নিকা থেকে গৌহাটির
    শিয়াল-শকুনের মুখে
    বিসর্জনের রঘুপতি খিলখিল করে হেসে ওঠেন যেন।
  • JD | 0178.178.010112.149 | ০৯ আগস্ট ২০১৮ ০৩:৩০633716
  • কয়েকটা ভাস্কর চক্রবর্তী তুলে যাই? আজ দেখছি সকালের পরেই সোজা দুপুর-বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যে নেমে গেছে - আজ মনখারাপে ডুবে না গেলে পরে সময় না-ও পেতে পারি ... আগে নিশ্চয়ই কেউ না কেউ তুলেছে, থুরি, তুলেছেন ...

    অবশিষ্ট
    ----------
    সরু রাস্তার মতো, লম্বা করিডর
    শুধু একটা চেয়ার, আজ সমস্ত রাত, বসে থাকবে করিডরে

    ঝোপ থেকে
    লাফ দিয়ে উঠে আসবে চাঁদ
    সিঁড়ির কোণ থেকে বিড়াল আজ সরে যাবে উনুনের পাশে

    শুধু একটা আলপিন, আজ সমস্তরাত, দোল খাবে হাওয়ায়
    শুধু একজন মানুষ, আজ সমস্তরাত, খোলা ছাদে দাঁড়িয়ে থাকবে

    সোনালি চুলের স্মৃতি
    ------------------------

    মা বলতেন, কেন বাড়ি থাকিস না
    আমি জানি। ঝাঁ ঝাঁ দুপুর
    মেঝেতে শুয়ে থাকতাম দুজনে। পাশেই
    যে নদীটা বয়ে যেত
    তার সঙ্গে আমার সম্পর্কটা ঝিমিয়ে এসেছিল।
    সম্ভবত নীল রঙের একটা গান
    ঘরছাড়া করত আমাকে, পথখরচ
    থাকত সামান্যই, আমি
    এ তল্লাট থেকে সে তল্লাটে ভেসে বেড়াতাম।
    আধকাপ কফির একটা দুপুর
    বিকেলবেলার দুয়েক টুকরো ভাঙা স্বর।
    আজকাল ভাবি, হাওয়া
    কোথা থেকে এসে কোথায় যায়! চওড়া লালপেড়ে
    শাড়িটা পরে কে জানে কোথায় এখন
    বিড়বিড় করছেন মা
    থমথমে একটা তুফান আবার জট পাকাচ্ছে মাথায়
    সব কথা কি লেখা যাবে কোনোদিন?

    ষাটের দশকের প্রেমিকাকে
    -----------------------------

    হাওয়া বাতাসের রাত...
    তোমার নিষিদ্ধ মুখ অস্বাভাবিক আছে ভেসে।

    কালোজিরে ধনেপাতা নিয়ে
    হয়তো-বা ফেঁসে গেছ খুব।

    আমিও ফেঁসেছি প্রায় ঐরকম

    ডানা ঝাপটানোর শব্দ শুনতে পাও তুমি?
  • রাজশ্রী সরকার | 785612.35.5678.224 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:০৯633718
  • তুই কি আমার দুঃখ হবি?
    -আনিসুল হক

    তুই কি আমার দুঃখ হবি?
    এই আমি এক উড়নচন্ডী আউলা বাউল
    রুখো চুলে পথের ধুলো
    চোখের নীচে কালো ছায়া।
    সেইখানে তুই রাত বিরেতে স্পর্শ দিবি।
    তুই কি আমার দুঃখ হবি?
    তুই কি আমার শুষ্ক চোখে অশ্রু হবি?
    মধ্যরাতে বেজে ওঠা টেলিফোনের ধ্বনি হবি?
    তুই কি আমার খাঁ খাঁ দুপুর
    নির্জনতা ভেঙে দিয়ে
    ডাকপিয়নের নিষ্ঠ হাতে
    ক্রমাগত নড়তে থাকা দরজাময় কড়া হবি?
    একটি নীলাভ এনভেলাপে পুরে রাখা
    কেমন যেন বিষাদ হবি।
    তুই কি আমার শুন্য বুকে
    দীর্ঘশ্বাসের বকুল হবি?
    নরম হাতের ছোঁয়া হবি?
    একটুখানি কষ্ট দিবি।
    নিজের ঠোট কামড়ে ধরা রোদন হবি?
    একটুখানি কষ্ট দিবি।
    প্রতীক্ষার এই দীর্ঘ হলুদ বিকেল বেলায়
    কথা দিয়েও না রাখা এক কথা হবি?
    একটুখানি কষ্ট দিবি।

    তুই কি একা আমার হবি?
    তুই কি আমার একান্ত এক দুঃখ হবি?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন