এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • প্রিয় কবিতা

    Riju
    অন্যান্য | ১৮ জুলাই ২০০৬ | ৩৮৬৫৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Samik | 122.162.75.94 | ২৪ নভেম্বর ২০১০ ০৯:১০633586
  • (টুপি খুললাম)
  • I | 14.96.77.86 | ২৫ নভেম্বর ২০১০ ১০:৫৩633587
  • সময়ের সঙ্গে এক বাজি ধ'রে পরাস্ত হয়েছি।
    ব্যর্থ আকাঙ্খায়, স্বপ্নে বৃষ্টি হয়ে মাটিতে যেখানে
    একদিন জল জমে, আকাশ বিম্বিত হয়ে আসে
    সেখানে সত্বর দেখি, মশা জন্মে; অমল প্রত্যুষে
    ঘুম ভেঙে দেখা যায়; আমাদের মুখের ভিতরে
    স্বাদ ছিল, তৃপ্তি ছিল যে সব আহার্য তারা প'চে
    ইতিহাস সৃষ্টি করে; সুখ ক্রমে ব্যথা হয়ে ওঠে।
    অঙ্গুরীয়লগ্ন নীল পাথরের বিচ্ছুরিত আলো
    অনুষ্ণ ও অনির্বাণ, জ্ব'লে যায় পিপাসার বেগে
    ভয় হয়, একদিন পালকের মতো ঝ'রে যাব।

    (সময়ের সঙ্গে এক-বিনয় মজুমদার)
  • I | 14.96.77.86 | ২৫ নভেম্বর ২০১০ ১০:৫৯633588
  • আমি কি পাহারা দেব
    ছোট বোন ঘুমায় যখন

    দুপুরে, আকাশ নীল
    শরীরের, শান্ত কলরব

    আমি কি ঘুমোবো পাশে
    ছোট বোন ঘুমায় যখন

    (ছোট বোন- ভাস্কর চক্রবর্তী)
  • Sibu | 70.7.22.211 | ২৫ নভেম্বর ২০১০ ১১:০২633589
  • এই টইটা বন্ধ করে দেওয়া যায় না? মাথার মধ্যে খালি শালিখঠাকুর ঘুরছেন। ঘুমোতে পারছি না যে!
  • saikat | 202.54.74.119 | ২৫ নভেম্বর ২০১০ ১১:১৬633590
  • I বিনয় মজুমদারের যে কবিতাটা দিয়েছে, আহ কী অমোঘ ভাবনা ওখানে। জমে থাকা জল, যাতে বিম্বিত হয়ে আসে আকাশ, সেখানে খুব শীঘ্রই মশা জন্মায়। যা দেখা যায়, "ঘুম' ভেঙে গেলেই ! ঘুরেফিরে মাঝে মধ্যেই এই লাইনগুলো মাথায় বিলি কাটে। জগত-জীবনের অতি সত্য কথা একটা ইমেজের মধ্যে দিয়ে !
  • I | 14.96.77.86 | ২৫ নভেম্বর ২০১০ ১১:২০633591
  • হাতে বেঁধেছো রাখী, এবার
    তোমরা ভাইবোন
    মুহূর্তের দুর্বলতা
    মনে রেখো না, মন

    তুমি এবার ভগ্নী হলে
    আমি তোমার ভাই
    আদিম ভাইবোনের কথা
    আমরা ভুলে যাই

    চাঁদ উঠেছে, ফুল ফুটেছে
    গাছে ডাকছে পাখি
    ভুলের কথা ভুলে হঠাৎ
    আগুনে হাত রাখি

    অসামান্য আগুন, সেই
    আগুন অসাধারণ
    একটিবার রেখেছ হাত
    দুবার রাখা বারণ !

    রাখী-জয় গোস্বামী
  • I | 14.96.77.86 | ২৫ নভেম্বর ২০১০ ১২:১৫633592
  • ১৪ই অক্টোবর, ১৯৬০
    কাগজকলম নিয়ে চুপচাপ বসে থাকা প্রয়োজন আজ;
    প্রতিটি ব্যর্থতা, ক্লান্তি কী অস্পষ্ট আত্মচিন্তা সঙ্গে নিয়ে আসে।
    সতত বিশ্বাস হয়, প্রায় সবই আয়োজন হয়ে গেছে, তবু
    কেবল নির্ভুলভাবে সম্পর্ক স্থাপন করা যায় না এখনও।
    সকল ফুলের কাছে এত মোহময় মনে যাবার পরেও
    মানুষেরা কিন্তু মাংসরন্ধনকালীন ঘ্রাণ সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে।
    বর্ণাবলেপনগুলি কাছে গেলে অর্থহীন, অতি স্থূল বলে মনে হয়।
    অথচ আলেখ্যশ্রেণী কিছুটা দূরত্বহেতু মনোলোভা হয়ে ফুটে ওঠে।
    হে আলেখ্য, অপচয় চিরকাল পৃথিবীতে আছে;
    এই যে অমেয় জল-মেঘে মেঘে তনুভূত জল-
    এর কতটুকু আর ফসলের দেহে আসে বলো?
    ফসলের ঋতুতেও অধিকাংশ শুষে নেয় মাটি।
    তবু কী আশ্চর্য, দেখ, উপবিষ্ট মশা উড়ে গেলে
    তার এই উড়ে যাওয়া ঈষৎ সঙ্গীতময় হয়।

    ফিরে এসো চাকা-বিনয় মজুমদার
  • Kartuj | 125.20.3.146 | ২৫ নভেম্বর ২০১০ ১৪:১০633593
  • 'অস্তে গেলা দিনমণি আইলা গোধূলি'

    থেকে

    'দেবীর চরণতলে (নাকি আসনতলে?) বিশ্রাম লভিলা'

    অব্দি কেউ একটু লিখে দিতে পারবেন? মে-না-বধ নেই এখন হাতের কাছে। লাইনগুলো বড় প্রিয়। কিন্তু মুখস্থ নেই। :-)
  • jayanti | 59.178.152.49 | ২৫ নভেম্বর ২০১০ ১৪:৩৭633594
  • খুব,খুব সাদামাটা,কিন্তু আমার ভালো লাগে-

    পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা,
    ষোল আনাই ফাঁকি,
    তবুও তাকে যত্নে ঢেকে,
    বুকের মধ্যে রাখি।

  • Kartuj | 125.20.3.146 | ২৬ নভেম্বর ২০১০ ১৪:৫৯633596
  • কেউ দিতে পারছে না? কেউ নাআআআআআআআ?? ইকিরে বাওয়া ! রঞ্জন্দা হলে ঠিক দিয়ে দিতেন। তিনিও তো বোধায় আসছেন না। একটু দেখো না ভাই/দাদা/বোন/দিদি সব।
  • dukhe | 122.160.114.85 | ২৬ নভেম্বর ২০১০ ১৫:২৭633597
  • কার্তুজ, স্পেস বাদ দিয়ে url টা টাইপান -
    http://www.pdftop.com/ebook/meghnad+badh+kabya/
    যা চেয়েছ তার কিছু বেশী দিব -
  • Kartuj | 125.20.3.146 | ২৬ নভেম্বর ২০১০ ১৫:৩৬633598
  • আমাদের দোকানের আবার এদিক না ওদিক। ব্লক করে দিচ্ছে। বাড়ি গিয়ে দেখতে হবে। তবে হাবেভাবে বুঝছি আছে যাহার জন্যে এত প্রত্যাশা। দুখেদাকে ধন্যযোগ এখানেই দিয়ে যাই, আর পাইদির টইতে যাবার টেইম নাই।

    এইজন্যেই তো গুরুতে আসি। একটা না একটা উপায় হবেই সবকিছুর। :-)
  • Arpan | 204.138.240.254 | ২৬ নভেম্বর ২০১০ ১৬:০৪633599
  • ভাট দ্যাখো।
  • sana | 58.106.152.47 | ২৬ নভেম্বর ২০১০ ১৭:০৬633600
  • সকলেই গেট খুলে ঢুকি
    শব্দ হয়

    ঘরের ভিতরে ব'সে
    শব্দ শুনে
    মা ঠিক বুঝতে পারে
    কে এসেছে

    সকলেই
    যে যার নিজের মতো গেট খুলি।

    'নিজস্বতা'
    সুজিত সরকার।
  • sana | 58.106.152.47 | ২৬ নভেম্বর ২০১০ ১৭:১৯633601
  • বৃদ্ধ বলতে থাকেন হারানো দিনের গল্প

    -------এসব আগেও অনেক শুনেছি,
    তবু তাঁকে বুঝতে দিই না।

    বৃদ্ধ বলতে থাকেন.....

    বলতে বলতে
    তীব্র হয়ে উঠে
    তাঁর বাঁচার আকাঙ্খা----

    এইভাবে আরও কিছুদিন
    তাঁর মৃত্যু প্রতিহত করি।

    'মৃত্যু প্রতিহত করি'
    সুজিত সরকার।

  • sana | 58.106.152.47 | ২৬ নভেম্বর ২০১০ ১৮:৩০633602
  • যখন বাসের মধ্যে ভীড়ে পিষ্ট হতে হতে
    তুমি বাড়ি ফিরছিলে
    আকাশে তখন চাঁদ ছিলো।

    যখন নিজের ঘরে নরম সোফায় বসে
    টিভি সিরিয়াল দেখছিলে
    তখন হাসনুহানা গন্ধ ছড়াচ্ছিল তোমার বাগানে।

    হাজার দুশ্চিন্তা নিয়ে
    যখন ঘুমিয়ে পড়েছিলে বিছানায়
    তখন ছাদের এন্টেনায় লক্ষ্মী পেঁচা বসেছিল।

    তুমি যদি চাঁদ-প্যাঁচা-হাসনুহানার পৃথিবীতে
    একা কিছুক্ষন বসে থাকতে
    কাল থেকে আবার নতুনভাবে শুরু হত তোমার জীবন।

    'তুমি যদি...'
    সুজিত সরকার
  • sana | 58.106.152.47 | ২৬ নভেম্বর ২০১০ ১৮:৫২633603
  • কোনো অস্পষ্টতা আমার পছন্দ নয়।

    অনেকেই কথা বলে,কিন্তু বাক্য সম্পূর্ন করে না--
    জ্ঞান,যত সামান্যই হোক,যেন স্পষ্ট হয়।

    একটি গোলাপ থেকেও জীবন-মৃত্যু বুঝে নেওয়া যায়
    রিল্‌কে বুঝেছিলেন যেমন;
    ফুটে উঠছে যে ফুল--তার দিকে চেয়ে থাকতে থাকতে
    বুঝে নেওয়া যায় বিশ্বপ্রকৃতির সৃষ্টিরহস্য
    বাশো বুঝেছিলেন যেমন;

    যা সম্পূর্ন, তা স্পষ্ট; যা অসম্পূর্ন তা অস্পষ্ট।

    আমি জানি, গ্রীষ্ম যাকে দগ্‌ধ করে,বর্ষা তকে স্নিগ্‌ধ করে
    শীতে যা ঝরিয়ে দেয়,বসন্ত তা ফিরিয়ে আনে
    কারখানা সত্য, আমি জানি,কিন্তু তার পাশে ফুটে থাকা কৃষ্ণচূড়া মিথ্যা নয়;

    বৈপরীত্য আছে, আমি চাই সম্পূর্নতা, সমন্বয়--

    কোনো অস্পষ্টতা আমার পছন্দ নয়।

    'অস্পষ্টতার বিরুদ্ধে'
    সুজিত সরকার।

  • arindam | 59.93.219.38 | ২৭ নভেম্বর ২০১০ ২১:৩৮633604
  • ভালোবাসাকেই ভালোবাসে মানুষ আর তাই কত সহজে কবি বলে,
    ভালোবেসো সেই ভালোবাসাকে, আমার আর
    কিছুই চাই না
    পুড়ুক না হয় প্রিয় নদীটি, ভাসুক সারা
    শরীর জুড়ে দূর প্রবাস
    জন্ম জন্ম পায়ে ফোটাবে কাঁটা, একটু
    নীরব নীল দু:খ কুচি
    দেখা হলো কি দেখা হলো না
    ঐ মেঘ আর এই মেঘে ধারাপাত হলো না
    ভালোবেসো তবু ভালোবাসাকে, আমার আর
    কিছুই চাই না।(দেখা হলো কি দেখা হলো না---সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়)
  • I | 14.96.203.255 | ০২ ডিসেম্বর ২০১০ ২৩:৩২633605
  • সাধারণভাবে স্নেহ আমারও কাটে না।
    অথচ আমার মত স্নেহহীন পিতাকে দ্যাখেনি
    কেউ, কোনোদিন , আহা ছিলো জ্বর অবোধ কপালে
    তা দেখে ওষুধ আনতে গিয়ে, আমি নিরুদ্দেশে গেছি
    ভেবেছি, আমায় যদি না দ্যাখে, ও পরিত্রাণ পাবে।

    নম্রচোখ, ভোলামুখ-কিছুই জানি না-এইভাবে
    নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত হই বন্ধুবান্ধবের কাছে
    দুই থেকে চার গেলাস-কেউ নয় বিভ্রান্ত যেহেতু
    আমি পরিত্রাণহীন মদ খাই, লণ্ডভণ্ড করি
    আমার সন্তান যেন থাকে দুধেভাতে
    এইই চাই, কে বাঁচাবে? সন্তান বাঘিনী রক্ষা করে।

    শক্তি চট্টোপাধ্যায়,সন্তান বাঘিনী রক্ষা করে
  • hu | 12.34.246.72 | ০২ ডিসেম্বর ২০১০ ২৩:৪৯633607
  • বন্দুক, থ্যাঙ্কিউ!
  • I | 14.96.203.255 | ০২ ডিসেম্বর ২০১০ ২৩:৫১633608
  • সব চরিত্র কাল্পনিকের পোসেনজিতের মত না?
  • I | 14.96.203.255 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:০১633609
  • জানি, একা এসেছিলে। একা ফিরে গেছো।

    গত বছরের মত কে আর তোমাকে
    তিনটি দশক পার করিয়ে পুরনো
    বইয়ের দোকানে নেবে?

    মলাট কেটেছে উই,
    আটা খেয়ে গেছে আরশোলা,
    স্মৃতির কয়েকটি পাতা সাবাড় করেছে ঘুণপোকা।
    কী তাদের দোষ?
    সময়ের কাঁচি কিছু লেলিহ ডালপালা ছেঁটে দেয়।

    বাগানে নিয়ম আছে।
    ঝুপো-থুপো কিছু গাছ উপড়ে ফেলতে হয়,
    প্রকৃত গাছের ক্ষতি
    তা, না হলে !
    জানি , একা এসেছিলে। একা ফিরে গেছো।

    শক্তি চট্টোপাধ্যায়, বইমেলা '৮৩

    উদয়ন ঘোষের একটি লাইন মনে পড়ে গেল- বস্তুত: মৃত্যু হল যৌবন।
  • I | 14.96.203.255 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:০৫633610
  • মৃত্যু'র কথা যদি এসেই যায়, তবে-

    মৃত্যুর ভিতরে এক পিঁপড়ে এসে কোথায় কামড়ায়?
    জানে না সে মরে গেছে, ভুলে গেছে বিদায় জানাতে
    অভিমানে মূঢ় শব, মৃত্যু এসে তাকেই কামড়ায়
    জানে না সে মরে গেছে, ভুলে গেছে বিদায় জানাতে।

    মৃত্যুর ভিতরে। কবি, আবারো, শক্তি চট্টো।
  • Arpan | 122.252.231.10 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:৩৬633611
  • রাজা যায় রাজা আসে-আবুল হাসান

    তোমার দীর্ঘ জীবন আমি চাই নি কখনো অবচেতনেও
    মৃত্যু ভেতরের খবরাদি জেনেছে আগেই
    পৃথিবীতে করণীয় শেষ হলে চলে যাওয়া ভালো
  • Arpan | 122.252.231.10 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:৩৮633612
  • এ ভ্রমণ আর কিছু নয়, কেবল তোমার কাছে যাওয়া
    তোমার ওখানে যাবো, তোমার ভিতরে এক অসম্পূর্ণ যাতনা আছেন,
    তিনি যদি আমাকে বলেন, তুই শুদ্ধ হ' শুদ্ধ হবো
    কালিমা রাখবো না!

    এ ভ্রমণ আর কিছু নয়, কেবল তোমার কাছে যাওয়া
    তোমার ওখানে যাবো; তোমার পায়ের নীচে পাহাড় আছেন
    তিনি যদি আমাকে বলেন, তুই স্নান কর
    পাথর সরিয়ে আমি ঝর্ণার প্রথম জলে স্নান করবো
    কালিমা রাখবো না!

    এ ভ্রমণ আর কিছু নয়, কেবল তোমার কাছে যাওয়া
    এখন তোমার কাছে যাবো
    তোমার ভিতরে এক সাবলীল শুশ্রূষা আছেন
    তিনি যদি আমাকে বলেন, তুই ক্ষত মোছ আকাশে তাকা--
    আমি ক্ষত মুছে ফেলবো আকাশে তাকাবো
    আমি আঁধার রাখবো না!

    এ ভ্রমণ আর কিছু নয়, কেবল তোমার কাছে যাওয়া
    যে সকল মৌমাছি, নেবুফুল গাভীর দুধের সাদা
    হেলেঞ্চা শাকের ক্ষেত
    যে রাখাল আমি আজ কোথাও দেখি না-- তোমার চিবুকে
    তারা নিশ্চয়ই আছেন!

    তোমার চিবুকে সেই গাভীর দুধের শাদা, সুবর্ণ রাখাল
    তিনি যদি আমাকে বলেন, তুই কাছে আয় তৃণভূমি
    কাছে আয় পুরনো রাখাল!
    আমি কাছে যাবো আমি তোমার চিবুক ছোঁবো, কালিমা ছোঁবো না!

    (তোমার চিবুক ছোঁবো, কালিমা ছোঁবো না-আবুল হাসান)
  • I | 14.96.203.255 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:৪৪633613
  • আরেকজন আছে জীবন। তাকে তো আর ফেলেছড়িয়ে রাখতে পারি না; শিশুর মত, সে ঠোঁট ফুলিয়ে অভিমান করে। ধুলোয় রাখতে পারি, রংচটা কার্নিশে রাখতে পারি। কিন্তু অস্নেহে রাখতে পারি না। জীবনকে তাই এই রঙীন লেবেঞ্চুষ, জীবনের জন্য এই রঙীন লেবেঞ্চুষ, শক্তিবাবু'র শিলবিলাতি পদ্য।

    জীবনের দুটি দিকই আগুনে পুড়েছে,
    ভুরু মধ্যখানে ছিল একাকী আগ্নেয়।
    সুতরাং ভালোবাসা অনির্বচনীয়তার পাশে
    দুটি হাতে মাথা রেখে শুয়ে আছে, একাকী, একেলা।
    বিষণ্নতা একে বলে।।

    যতদূর দু:খ যায় সেই পথে আমি হেঁটে আসি
    প্রধান প্রবীণ দু:খ কিছু পথ পরিবেদনার
    মতন রেখেছে কাছে।।

    জীবনের দুটি দীর্ঘ সিঁড়ি দেখে হারিয়েছো পথ,
    কোনোদিনই সন্তাপ করোনি
    মুখ ও মুখশ্রী দু:খে ধুয়ে যায়, বানেও ডোবে না।
    কারণ দ্বীপের মতো সমর্থক সমুদ্রেরও নেই।।

    যুক্তর জন্য ব্যর্থ পদ্য।
  • saikat | 202.54.74.119 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১০ ১০:৪৯633614
  • দুইটি বালক বসেছিল পার্কে দুপুরবেলাতে।
    নৈ:শব্দ্য চিবিয়ে খায় হিরোহোন্ডা - গাড়লের কাশি -
    ট্যাক্সির ঝাপটা। আর ক্রমে রোদ হয়ে আসে বাসী
    শেষে, সূর্য অস্ত গেল দুজনের মাঝখানটিতে।

    ছায়ারা ছড়িয়ে পড়ে ঘাসেদের প্রতি রোমকূপে
    দুজনের মাঝখানে শূন্যতায় ছিল যে পাথর
    তা হটাৎ ফাটে ঝর্ণা হয়ে। ঔ হ্লাদিনীর স্বর
    বালক দুজনে শোনে, শিউরে ওঠে, ভয়ে ভয়ে কাঁপে।

    সে কাঁপনে খুলে যায় রাতের ভেতরে আরো রাত
    দুইজন নড়েচড়ে সহসা যুবক হয়ে যায়।
    ঝর্ণা - সে তো পাথরের আমিষ হৃদয় ! জ্যোৎস্নায়
    দুটি ছায়া খুব ঘন। হেডলাইট কখনো করাত।

    দুজনে ফিরল ঘরে গোপনে গুটিয়ে রেখে মাস্তান আস্তিন,
    সারারাত পার্কে ভিজল দুজনের শৈশবের শেষতম দিন।

    প্রেমকাহিনী - অমিতাভ দেব চৌধুরী
  • lcm | 69.236.163.206 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:০৬633615
  • ভাল কবিতাটি, যেমন এই লাইনটা -
    "... দুটি ছায়া খুব ঘন। হেডলাইট কখনো করাত...'
    ....
    কিন্তু, "হ্লাদিনী' - এ শব্দের মানে কি?
    -দুর্বল ভোকাবোল্যারি নিয়ে কবিতা চাপ হয়ে যাচ্ছে....

    কিন্তু, আবার এই লাইনটা -
    ঝর্ণা - সে তো পাথরের "আমিষ' হৃদয়....

    এত শব্দের কারসাজি... আমিষ/নিরামিষ হদয়...

  • saikat | 202.54.74.119 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:৩২633616
  • যুধিষ্ঠির

    এক.

    যদিও পাতিনি হাত, এই করতলে
    একটি ভিক্ষুক জানি ঘুমিয়ে রয়েছে।
    জেগে উঠলে শিস দেবে। রাজমুকুটের দিকে
    ট্যরাচোখে তাকাবে সভয়ে।
    ভিক্ষা চাইবে পাঁচটি গ্রাম।
    পাঁচ আঙুলের জন্য। বাঁচার লড়াই
    শক্ত খুব। এ হৃদয় আরামের দাস।
    এভাবে কাটছে দিন।
    হাততালি ভুলে গিয়ে। ইনিয়ে বিনিয়ে।
    একটি আঙুল শুধু, অনামিকা, মাঝে মাঝে বলে:
    যে হাতে তুলেছ ফুল, সেই হাতে ভিক্ষা করা সাজে?

    দুই.

    চাইনা মাগো বড় হতে।
    অঋণী ও অপ্রবাসী থেকে
    দুমুঠো শাকান্ন যেন পাই রোজ। এই সাধ।
    রাজার বাড়িতে খুব হৈ চৈ। গেলে,
    হ্রেষা ভুলে যাব। লোকে
    বাজি রাখবে আমার ওপর।
    তারপর চোখে রক্ত। মুখে ফেনা।
    তার চেয়ে এই ভালো।
    রাজার পথের পাশে বসে থাকা।
    কাঙালের মতো নয়, দর্শকের মতো।
    সব যুদ্ধ শেষ হলে বেজে ওঠে ব্যস্ত নীরবতা
    সে নীরবতায় এই দুই চোখ ভেজাব, আড়ালে।

    - অমিতাভ দেব চৌধুরী

  • r.h | 203.99.210.20 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:৫১633618
  • বয়স আমার অন্তত পঁয়ত্রিশ
    পনেরো বছরে পা দিয়েছো তুমি সবে
    তবু গূঢ় ক্ষতে চোঁয়ায় স্মৃতির বিষ
    তাকালে তোমার তরুণ মুখাবয়বে

    ...

    আপাতত এই-ই :P
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন