এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শুষ্কং কাষ্ঠং প্রেমের গল্প

    ব্যাং
    অন্যান্য | ১৫ এপ্রিল ২০১৩ | ১১৮৫৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রোবু | 213.147.88.10 | ১১ মার্চ ২০১৪ ০৮:৪২601978
  • আংটি, রোবুনির অসুখ ও পাড়ার ওষুধের দোকানের মালিক সংক্রান্ত একটা গল্প আর খোলা পাতায় লিখতে পারলুম না। আপনারা বুঝে নিন!
  • রোবু | 213.147.88.10 | ১১ মার্চ ২০১৪ ০৮:৪৩601979
  • মালিক বাঁ কর্মী, শিওর নই।
  • শ্রী সদা | 127.194.216.22 | ১১ মার্চ ২০১৪ ০৮:৪৯601980
  • ক্ষী মুসকিল। ঐ লাইনে বোল্ড লেটারে লেখা শব্দগুলো হল বিলিতি এবং দেশী। মসলিন ইঃ তো যাকে বলে প্লেসহোল্ডার। একদিকে পাশ্চাত্য জেন্ডার ইকুয়ালিটির স্লোগান (খুন্তি সহ ডানহাত মাথার উপর তুলে) অন্যদিকে গৃহকর্মে অনিচ্ছুক সরল গোলগাল বং বয়েজদের অস্তিত্বের সংকট - কবি এইসবই বলতে চেয়েছেন।
  • aka | 80.193.75.161 | ১১ মার্চ ২০১৪ ০৮:৫৭601981
  • ছিদ্রান্বেষী জনগণ।
  • sosen | 111.63.146.134 | ১১ মার্চ ২০১৪ ০৯:০৭601982
  • "আংটি, রোবুনির অসুখ ও পাড়ার ওষুধের দোকানের মালিক" এ আবার ক্যামন গল্প, কি করে বুঝব?
  • রোবু | 213.147.88.10 | ১১ মার্চ ২০১৪ ০৯:১৬601983
  • তাইলে কাটিয়ে দাও :-)
  • sosen | 111.63.146.134 | ১১ মার্চ ২০১৪ ০৯:২৫601984
  • না না শুনতে চাই। ডিমউইট বলে এমনি হতচ্ছেদ্দা করবি?
  • Arpan | 52.107.175.147 | ১১ মার্চ ২০১৪ ০৯:২৬601986
  • পাড়া বা চেনাশোনা দোকান থেকে ওষুধ ঠিক আছে, কিন্তু বিষুধ না কেনাই ভালো - বৃদ্ধ ভামের অযাচিত উপদেশ।
  • Tim | 188.91.253.21 | ১১ মার্চ ২০১৪ ০৯:২৬601985
  • ক্ষি মুশকিল সব গল্পই কি মুনমুন সেনের গামছার মত হবে? ;-)
  • aka | 80.193.75.161 | ১১ মার্চ ২০১৪ ০৯:৩০601988
  • আবার ওষুধ বিষুধ কোদ্দিয়ে এল? রোবু কি ওল্ড ফ্যাশনড নাকি?
  • aranya | 154.160.5.25 | ১১ মার্চ ২০১৪ ০৯:৪৪601989
  • আম্মো ডিমউইট, গপ্পোটা রেখেঢেকে বলে ফ্যাল, অল্প পরিবত্তোন অ্যালাউড
  • সিকি | 135.19.34.86 | ১১ মার্চ ২০১৪ ০৯:৫২601990
  • সময় বুঝে আমিও ডিমউইট হয়ে গেলাম। :)

    রোবু, গপ্পো বল।
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 | ১১ মার্চ ২০১৪ ০৯:৫৬601991
  • চকচকে আংটিটা খুলে গেলেই হত :
  • | ১১ মার্চ ২০১৪ ১১:০৯601992
  • রোবু আমাদের বেশ গভীর জলের মাছ। হুঁ হুঁ বাবা!
  • de | 69.185.236.52 | ১১ মার্চ ২০১৪ ১১:২৮601993
  • ঃ))) হোক আরো গপ্পো হোক -

    বে' হয়ে রোবুর গপ্পের ছিটকিনি খুলে গেছে -
  • ~L~ | 69.160.210.2 | ১১ মার্চ ২০১৪ ১৩:৩৬601994
  • যাক, মনে করে "গপ্পের" লিখেছে।
  • রোবু | 213.99.211.19 | ১১ মার্চ ২০১৪ ১৪:২২601995
  • রোবুও ডিমউইট। তাই কোন গল্পের কথা হচ্ছে বুঝতে পারছে না।

    অসুধের দোকানে কি খালি ওষুধ-ই পাওয়া যায় নাকি রে বাবা!

    কিন্তু অর্পণদার প্রতি একটা ভয়ানক প্রশ্ন জেগেছে। সে খোলা বন্ধ কোনো পাতাতেই করা যাবে না :-(
  • Tim | 188.91.253.21 | ১১ মার্চ ২০১৪ ১৪:২৭601996
  • নানারকম প্রশ্নোত্তরের পর আরো আরো ফ্রয়েডিয়ান প্রশ্ন জেগে উঠছে, সাথে পান।
  • রোবু | 213.99.212.224 | ১১ মার্চ ২০১৪ ১৪:৩০601997
  • পান পাতা? ;-)
  • Tim | 188.91.253.21 | ১১ মার্চ ২০১৪ ১৪:৫০601999
  • না, সোফিয়া লোরেন ;-)
  • Arpan | 52.107.175.154 | ১১ মার্চ ২০১৪ ১৫:২২602000
  • রোবু, বাপু হে এই বৃদ্ধের প্রতি অত কৌতূহল আর নাই বা দেখালি।
  • Arpan | 52.107.175.154 | ১১ মার্চ ২০১৪ ১৫:২৬602001
  • (নার্ভাস স্মাইলি)
  • সিকি | 131.241.127.1 | ২০ আগস্ট ২০১৪ ১৫:১৯602002
  • অনেকদিন ডুবে ছিল এই টইটা। একটু তুলে দি?
  • | ২০ আগস্ট ২০১৪ ১৮:১৪602003
  • আচ্ছা ইপ্পির অ্যালার্মের গপ্পোটা তো লেখা নাই এখেনে। ঐ টিমিইইইইই

    আর হাঁসু বলে ইপ্পিকেই ডাকা হোত তাই না?
  • Tim | 12.133.48.171 | ২০ আগস্ট ২০১৪ ১৮:৫২602004
  • দমদি সেটা শুষ্কং কাষ্ঠং টইয়ের গল্প কেন হবে? ওতো ডিসিভাটের গল্প, সেই যেবারে আমি টিকিস খেলাম, আর হুতোদারা সাড়ে বারোটা না একটার সময় এসে পৌঁছলো।
  • পুপে | 74.233.173.198 | ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ ১৫:১১602005
  • মহালয়ার ভোর। মেয়েটা সারারাত ঠিক করে ঘুমোয়নি। একে তো আজ সকালে ফিজিক্স টিউটর পরীক্ষা নেবেন। তায় পরীক্ষা দিয়ে ফেরার সময় মেয়েটা একটা কঠিন কাজ করবে বলে ভেবে রেখেছে। যে করেই হোক, আজ একটা এস্পার ওস্পার দরকার ; কানাঘুষোটা আজকাল বড্ড বেড়েছে। মাধ্যমিকের আগে খাতা ভর্তি ইতিহাসের স্পেশাল নোট কাউকে না দিয়ে যেচে পড়ে ঐ মিচকে পড়ুয়া ছেলেটাকে দিত মেয়েটা, টিউশন ক্লাসে গুছিয়ে ছেলেটাকে ঝাড়িও মারত ; এসবি করত উলটোদিক থেকে আশাব্যঞ্জক সাড়া পেত বলেই। কিন্তু শোনা যাচ্চে মেয়েটার রিসেপ্টর সংকেতটা ভুলভাল ডিকোড করেছে। ছেলেটা আসলে অন্য কাউকে .... তবে কালও তো....

    মহালয়া শুনতে শুন্তেও মেয়েটা এইসব ভাবছিল আর মনে মনে খেটেখুটে বানানো ইংরেজি বয়ানটা ঝালিয়ে নিচ্ছিল। বেচারি ইংরেজি লিখতে ভালোই পারে, তবে বলতে গেলেই জড়াবে। একটা বাংলা বয়ানও আছে, তবে সেটা বলতে গেলেই বোধ হয় কুলকুলিয়ে হাসি পাবে! তবে আদতে তো লাভ নেই, একটা কঠিন "না" শোনার জন্য মনটাকে সে বেঁধেছেদে ভালো করে রেডি করেই রেখেছে, খুব একচোট কেঁদেছেও সে রাতে বালিশ ভিজিয়ে। এইসবের চক্করে পড়াশোনা ডকে উঠেছে, অংক খাতা খুলে আনমনা হয়ে বসে থাকে, x= প্রেম গানটা গুনগুন করে। পুজোর পরেই এগারো ক্লাসের হাফ ইয়ারলি পরীক্ষা। হয় কি নয়ের দোটানায় পরীক্ষা গোল্লায় দিতে মেয়েটা মোটেই রাজি নয় ; তাই আজ সব দোনামোনার নিরসন হবে। নাঃ, কোন বন্ধুকে দিয়ে গুজগুজ ফুসফুস নয়, চিঠিচাপাটি নয়, নিজের মুখেই বলবে, নিজের কানেই শুনবে। এম্নিতেও পড়ুয়া ছেলেটার আশায় বসে থাকলে ব্যাপারটা "হলেও হতে পারতো" ক্যাটেগরিতে চলে যাবার বিপুল সম্ভাবনা।

    টিউশন থেকে ফেরার পথে একসাথে হাঁটছে ওরা দুজন। পরীক্ষাটা যাচ্ছেতাই হয়েছে মেয়েটার, কোনমতে পাঁচ পেলে হয়, তাও ভাল এটা ইস্কুলের পরীক্ষা নয়। ছেলেটার ভাইও একসাথে পড়তে আসে, ও খানিকটা আগে হাঁটছে। কোন প্রবলেমটা কিভাবে অ্যাপ্রোচ করতে হত, কে কোনটা ভুল করল এসব মেলাতে মেলাতেই প্রায় হিন্দমোটর স্টেশনের কাছে এসে পড়েছে ওরা। মেয়েটা এখনো সুযোগ পায়নি খাপ খোলার। ছেলেটা ফিজিক্স নিয়ে বকেই চলেছে। কিন্তু এরপর তো ট্রেন, তারপর বাড়ি, তারপর সেই পুজোর পরে আবার টিউশন ক্লাস! উতকন্ঠায় মেয়েটা তো তদ্দিনে মারাই যাবে! মরিয়া হয়ে মেয়েটা বলে উঠলো - এই শোন তোর সাথে আমার কিছু কথা আছে, কিন্তু আগে প্রমিস করে কথা গুল শোনার পর বন্ধুত্ব ভাঙবি না।
    ছেলেটা-- প্রমিস।
    মেয়েটা খুব আস্তে আস্তে ইংরেজিতে স্পিচটা চালু করেছে। কিন্তু হায়! তখন স্টেশনের পাশের রাস্তায় রিক্সা সাইকেল ফলওয়ালার হাঁকডাক ট্রেনের হুইসলে মেয়েটার ভীতু ভীতু গলা ডুবেই গেল।
    ছেলেটা-- কি বলছিস। কিছুই শুনতে পাচ্ছিনা যে।
    বাকি স্পিচ সে ইংরেজি কি বাংলা মেয়েটার আর মনেও পড়ছে না ছাই। এবার উপায়?
    মেয়েটা-- বাদ দে। শোন তুই তো জানিসই যে আমিমি একজনকে খুব লাইক করি। আর তোরা সবাই মিলে আমার সেই অজানা কাল্পনিক বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে আমাকে খুব খ্যাঁপাস।
    ছেলেটা-- হ্যাঁ এই তো সেদিন ষাঁড় নাম দিয়েছিলুম ছেলেটার।
    মেয়েটা-- হুম, আসলে সেই ছেলেটা তুইই।
    একটু থেমে,
    ছেলেটা-- আমি জানি।
    মেয়েটা-- জানিস মানে? কে বললো।
    ছেলেটা-- অতসব তোর জেনে কাজ নেই।
    একটু বিরক্ত হয়ে মেয়েটা-- জানিসই যখন, তখন এবার না-টাও বলে দে।
    ছেলেটা-- জানিসই যখন তাহলে আবার বলতে বলছিস কেন?
    মেয়েটা-- আমি তোর নিজের মুখ থেকে শুনতে চাই।

    (ওরা তখন ডিঙিয়ে ডিঙিয়ে রেললাইন পেরোচ্ছে)

    ছেলেটা-- আচ্ছা, নে। না।
    মেয়েটা-- এবার বল না কেন বললি।
    ছেলেটা-- তুইই তো বলতে বললি। আর আরো কিছু কারণ আছে।
    মেয়েটা-- তার মানে তুই আমাকে লাইক করিস না? আমার যে মনে হত।
    ছেলেটা-- আরে না না। লাইক তো খুবই করি। কিন্তু প্রেম করা সম্ভব নয়।
    মেয়েটা-- কেন?
    ছেলেটা-- আসলে আমার বাড়ির লোকজন খুব অর্থোডক্স। এইচ এসের আগে প্রেম করছি শুনলে রেগে যাবে খুব। আর পড়াশোনা তেও ক্ষতি হতে পারে।
    মেয়েটা-- ওকে দেন। কিন্তু আশা করি আমাদের মধ্যে আগের মতই বন্ধুত্ব থাকবে।
    ছেলেটা-- হ্যাঁ, সে তো উইডাউট ডাউট।

    (এবার আর কারোর কোন কথা নেই। মেয়েটার খুব কষ্ট হচ্ছে। চোখ দিয়ে জল প্রায় গড়ায় গড়ায়, কোনমতে লম্বা লম্বা আঁখিপাতা দিয়ে আটকে রেখেছে। এই বাজে ছেলেটার সামনে সে কিছুতেই কাঁদবে না। আশ্চর্যের ব্যাপার ভাইটা এখনো দূরে দাঁড়িয়ে। যেন এদের চেনেই না। ট্রেনের অ্যানাউন্সমেন্ট হচ্ছে। দূরে ট্রেনটা দেখাও যাচ্ছে। এটাতেই ওরা সব উঠবে।)

    ট্রেনটা প্রায় এসে পড়েছে।
    হঠাত,
    ছেলেটা- শোন না। বলছি যে একটু ওয়েট করবি আমার জন্য? মানে উচ্চমাধ্যমিক অবধি। তারপর প্রেম করতে আমার কোন চাপ নেই। আমি যদি টুয়েলভের পর থেকে তোর সাথে প্রেম করি? চলবে?

    মেয়েটা হাঁ!! কি বলবে বুঝেই পাচ্ছে না সে। এ আবার কেমন প্রশ্ন।

    মেয়েটাকে চুপ দেখে আবার বললো-- মানে এর মধ্যে যদি তোর আর কাউকে না ভালো লেগে যায় তাহলে কি এইচ এসের পর থেকে আমার সাথে প্রেম করবি?

    ট্রেন এসে গেছে। মেয়েটা ট্রেনে উঠতে উঠতে টুক করে একটা সম্মতিসূচক ঘাড় নেড়ে দিল। ছেলেটার ফর্সা মুখে কান অব্ধি হাসিতে ভরা। আর মেয়েটা? পেটে হাজার হাজার প্রজাপতি উড়ছে। হাসি পাচ্ছে না কান্না সে বুঝতেই পারছেনা!
  • জিও | 132.177.49.60 | ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ ১৫:৪৪602006
  • জিও পুপে। একঘর।
  • PM | 37.97.248.34 | ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ ১৬:০৭602007
  • অসাধারন, এই গল্পের ব্যাকগ্রাউন্ড কতো সালের? ঃ)। এটা মনে হচ্ছে ২০০০ এর পরের গল্প ঃ)
  • T | 24.100.134.52 | ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ ১৬:৩০602008
  • খিকজ।

    এই দুবছর পর থেকে প্রেম কব্বো শুনে আমারও একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল। সেটা ছিল থার্ড ইয়ার এবং আমার বন্ধুর নাম ছিল গোবিন্দ নস্কর। এখন, এই ধরণের নাম মেয়েরা খুব একটা পাত্তা দেয় না। তার উপরে ওঁর বাড়ি ছিল বাউড়িয়া এবং কথা বলতে সামান্য তোতলাত। তারও উপরে ধরেন গিয়ে ওর হাইট ছিল পাঁচ ফুট, এবং বেশ বৃহৎ মাপের ভুঁড়ি। সুতরাং সেই রূপকথার বালিগঞ্জ প্লেস, ধূমায়িত চা, মাই নেম ইজ রাজ, রাজ হয় আমার নাম, কিংবা রোহিত মার্কা রোশনাই, উত্তাল বাইক ফাইক এইসব বিবিধ জনরার ঘ্যাঁট অর্থাৎ স্বর্গীয় প্রেম, সেই রকম কিছু যে কপালে জুটবে না তা নিয়ে গোবিন্দ নস্কর নিশ্চিন্তই ছিল। কিন্তু বন্ধুভাগ্য খন্ডাবে কে।

    বিধির লিখন অনুযায়ী কিছুদিন বাদেই সে প্রেমে পড়ল। পাত্রীটি ফার্স্ট ইয়ার। সবে কলেজে ভর্ত্তি হয়েছে। হোস্টেলের সামনে দিয়ে মুখ নীচু করে যায়। আসে। বই ছাড়া কোনো দিকে তাকায় না। ডাকসাইটে রুপসী না হলেও, মুখটি ভারি মিষ্টি। নিশ্‌ ফ্যান ক্লাব রয়েছে। গোবিন্দ নস্কর তাতে যোগদান করেছেন। প্রতিদিন বিস্তর চা, গলা খ্যাঁসখ্যাঁসানি, সিগারেট, স্প্রেডের বিবি, এবং ক-ক-ক কিরণ সহযোগে নানান চিত্তাকর্ষক আলোচনা হয় কিন্তু ঘন্টা বাঁধার উপায় কিছুতেই বেরোয় না।

    এখন ফ্ল্যাঙ্কিং অ্যাটাক সর্বদা কাজে আসে না। কখনো কখনো দরকার হয় ডিরেক্ট অ্যাপ্রোচ। ম্যাজিনো লাইন ভেঙে হুড়মুড় করে ঢুকে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ। ফলে গোবিন্দ নস্কর এক শীতের দুপুরে আমার রুমে হানা দিল। গুরুদায়িত্ব হচ্ছে পাত্রীটিকে গিয়ে সোজাসুজি বলা যে, গোবিন্দ নস্কর তার জন্যে পাগল। সে শীতের রাতে চান করে, পড়ায় মন বসে না, দিল প্রভূত দিওয়ানা হয়েছে। অতএব বসরাই গুলাপ টি নিয়ে ধন্য করুন।

    -- যদি না বলে?
    -- তো-তো-তো, তু-তু-তুই ম্যানেজ ক-ক-রবি। কা-কা-জ উ-উদ্ধার করতেই হ-হবে।
    -- ঢপ। আমি তোর সাথে দেখা করিয়ে দেবো। যা বলার তুই নিজে বলবি। অন্য কিছুতে আমি নেই।

    ঠিক হ'ল যে, আমি গিয়ে বলব এই হচ্ছেন শ্রী গোবিন্দ। তোর সাথে কথা বলতে চায়। এরপর পুরো ব্যাপারটা নস্কর সামলাবে। আমি দূর থেকে নজর রাখব। তুখোড় স্কিল ইত্যাদি দেখিয়ে পাত্রীকে সে যদি কনভিন্স না করাতে পারে, তো হাতের ইশারা করবে। ঐটা হচ্ছে সিগন্যাল। সেকেন্ড ওয়েভ। আমি গিয়ে তখন বিবিধ উপদেশাবলী সহ বোঝাব, প্রেম কেন করা উচিত এবং করলে শ্রী গোবিন্দের সাথেই কেন করা উচিত। শেষে মধুরেণ সমাপয়েৎ হবে এবং আমরা কাকার দোকানে মোগলাই প্যাঁদাব।

    এরপর দিন এসে গেল। কিন্তু সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজেই একটি করে সাক্ষী বড়িলাল থাকে। এই সমস্ত প্ল্যান যখন হচ্ছিল তখন কোনো এক বড়িলাল গোটা ব্যাপারটা জেনে ফেলে চতুর্দিকে রটিয়ে দেয়। ফলে স্রেফ তিনজন নয়, নির্দিষ্ট দিনে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছিল অন্ততঃ তিরিশজন।

    তো, যা ভেবেছিলাম ঠিক তাই। খানিক পরেই হাতের ইশারা। প্রথম অ্যাটাক ফেল করেছে। আমি চ্যুয়িং গাম চিবুতে চিবুতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলাম।
    -- এ-এ-এই যে। তু-তু-তুই কথা বল।

    এবং গোবিন্দ নস্কর হাওয়া।

    আমি একটু অবাক হলুম। তারপর ছিক করে চ্যুইংগামটা ফেলে জিগালুম কি বলেছে ও? পাত্রীটি লাজুক মুখ করে জানাল সে কিছুই বুঝতে পারে নি। দাদাটা বড্ড তোতলাচ্ছিল।
    -- নামটা এটলিস্ট বলেছে?
    -- না।
    বোঝো। তা, যাই হোক আমি ইনিয়ে বিনিয়ে শ্রী গোবিন্দের অবস্থাটা বর্ণনা করলুম। মেয়েটির মুখ উত্তরোত্তর গম্ভীর হতে থাকল। শেষে সে জানাল, তারপক্ষে ধ্যাত বলা ছাড়া উপায় নেই, কারণ বাড়িতে বকবে। আর তাছাড়া সে ফার্স্ট ইয়ার।
    -- তাহলে, থার্ড ইয়ারে উঠে বরং প্রেম করিস এর সাথে? হ্যাঁ, কেমন?
    খানিক মিল পাচ্ছেন নিশ্চয়ই পুপেদিদি বর্ণিত কেসটির সাথে। কিন্তু এক্ষেত্রে মেয়েটি সলজ্জ হেসে আরেকটি ধ্যাত ছাড়া কিছুই বলেনি।

    কিন্তু এ কোনো গল্পই নয়। আসল গল্প, নাকি দুঃখজনক অধ্যায় এর পরে। বলেছিলাম না তিরিশ জোড়া চোখ নজর রাখছিল ঘটনার উপর! নস্করের প্রস্থানের পর আমার আগমন দেখে বাঁদরগুলো রটায় যে অ্যাকচুয়ালি আমিই নাকি প্রপোজ কত্তে গিসলুম। মেয়েটির সলজ্জ হাসিও তাদের চোখ এড়ায় নি।

    গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো, পাত্রীটিও হোস্টেলে ফিরে জানায় যে পাত্রপক্ষের দিকের লম্বা দাদাটিকে তার পছন্দ হয়েছে।

    ফলস্বরূপ প্রায় মাসতিনেক ধরে আমার কোর্ট মার্শাল চলে। পাত্রী যে হোস্টেলে থাকত যেই একই হোস্টেলের একটি বিশেষ রুমের অধিবাসিনীকে কিছুতেই বুঝিয়ে পারা যায় নি যে, হারে বাবা, আমি তো স্রেফ গোবিন্দ---

    -- চোপ!

    এমনিই এসব গল্প। এখন এমনিই এসব মনে হয়। মাস তিনেক ধরে শ্রীমান তিতাস দুশ্চরিত্রের বাটখারা হয়েছিলেন, সেসব ভেবে হাসিও পায়। যদিও ঝামেলা কি করে মিটেছিল সেসব জিগাবেন না।
  • | ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ ১৬:৫৪602011
  • কেন জিগাবো না হে? অবশ্যই জিগাবো। শীগগিরই বলে ফ্যাল শেষ পর্যন্ত কী করে ম্যানেজ হল?

    আর পুপের গপ্পোটা হি হি খুউব মিত্তি।

    কেউ সোসেন ব্যাং কুমুকে ডেকে দাও এখানে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন