এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যদুবাবু | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২৩:৪৩501005
  • যাই হোক, যেটা বলতে এসেছিলাম, সেটা এই যে আজকে কেতাবি-র একটা অনলাইন ইভেণ্টে ইন্দ্রাণী-দিকে দেখলাম ও শুনলাম। মাঝে খানিকক্ষণ সৈকত-দাও এসে কিছু বললো। খুব ভালো লেগেছে। খুব-ই। 

    শুনতে শুনতে ভাবছিলাম, গুরুতে রেডিটের মত 'আস্ক মি এনিথিং' করা যায় বা আগে করা হয়েছে কখনো? যেখানে একজন লোক উত্তর দেবেন আর বাকি সবাই প্রশ্ন করবেন, হয়ত একটা গোটা দিন বা ঐরকম কিছু? 
  • যদুবাবু | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২৩:৩৭501004
  • আপনার তর্ক করছেন, ঝগড়া করছেন, বেশ করছেন ... চালিয়ে যান একেবারে ডুমস-ডে অব্দি ... কিন্তু দীপবাবু-কে একান্ত অনুরোধ, ঐ নেম-কলিং অর্থাৎ 'ওরে পাঁঠা', 'ওরে গাধা, 'ইতর' --  এইগুলো একটু বন্ধ করুন। আপনার দিক থেকেই করুন। ঐগুলো বাদ দিলে আপনার আক্রমণের ধার কিছুই কমে না বরং বাড়লেও বাড়তে পারে। আর উপরি পাওনা, আমাদের চোখ একটু কম কটকট করে এবং বিরক্তি কম হয়, এই আর কি। 
  • ইবাবা | 2405:8100:8000:5ca1::34c:e65b | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২৩:৩৬501003
  • ভাই ধুর এলেবেলের হাঁড়ি এভাবে হাটে ভেঙে দিলেন!
     একটু একটু করে দেবে ভেবেছিল , এ তো পুরো অ্যানসার লিক হই গিলা।
  • sm | 2402:3a80:1cd3:82a1:478:5634:1232:5476 | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২৩:৩২501002
  • হরপ্রসাদ শাস্ত্রী চমকার বলেছিলেন, “বাংলা সংস্কৃতের কন্যা তাে নয়ই, বরং সংস্কৃত বাংলার ‘অতি-অতি-অতি-অতি অতিবৃদ্ধ প্রপিতামহী।’ সুনীতিকুমারের ‘The Origin and Development of the Bengali Language’ গ্রন্থে দেখা যায়, সংস্কৃতের কোনও উত্তরসূরী নেই। প্রাকৃতগুলাের আছে। যেমন প্রাচ্যা, অশােকের পূর্বী প্রাকৃত, মাগধী অপভ্রংশ পার হয়ে যে উত্তরসূরী ভাষা রেখে গেছে তার নাম বাংলা।
     
    --
    এই নিন,আপনার ফেবারিট হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মশায়ের উক্তির ছেঁড়া অংশ দিলুম। নিন,আরো কিছু ছেঁড়া উক্তি।
  • এলেবেলে | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২৩:২৮501001
  • ফুটেজের ইঞ্জিরিটা রমিত করেছিলেন। সেটার কপি-পেস্ট করে চালাকি করার কিছু নেই কারণ পেন্টিকে এতটা জিজ্ঞাসাই করা হয়নি! চোথা উগড়ালে এই হালই হয়!!
  • এলেবেলে | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২৩:২৬501000
  • পেন্টি, এই নাও বাবা তোমার ঈশ্বরের একান্ত স্নেহভাজন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী --- আমাদিগের দুর্ভাগ্যক্রমে যে সময়ে ইংরেজ মহাপুরুষেরা বাঙালিদিগকে বাংলা শিখাইবার জন্য উদ্যোগী হইলেন, সেই সময়ে যে-সকল পণ্ডিতের সহিত তাঁহাদের আলাপ ছিল তাঁহারা সংস্কৃত কালেজের ছাত্র। তখন সংস্কৃত কালেজ বাংলায় একঘরে। ব্রাহ্মণ-পণ্ডিতেরা তাঁহাদিগকে যবনের দাস বলিয়া সঙ্গে মিশিতে দিতেন না। তাঁহারা যে-সকল গ্রন্থাদি পড়িতেন তাহা এ দেশমধ্যে চলিত ছিল না। এমনকি দেশীয় ভদ্রসমাজে তাঁহাদের কিছুমাত্র আদর ছিল না। সুতরাং তাঁহারা দেশে কোন্ ভাষা চলিত কোন্ ভাষা অচলিত, তাহার কিছুই বুঝিতেন না। হঠাৎ তাঁহাদিগের উপর বাংলা পুস্তক প্রণয়নের ভার হইল। তাঁহারাও পণ্ডিতস্বভাবসুলভ দাম্ভিকতাসহকারে বিষয়ের গুরুত্ব কিছুমাত্র বিবেচনা না করিয়া লেখনী ধারণ করিলেন।
    পণ্ডিতদিগের উপর পুস্তক লিখিবার ভার হইলে তাঁহারা প্রায়ই অনুবাদ করেন। সংস্কৃত কালেজের পণ্ডিতেরাও তাহাই করিলেন। তাঁহারা যে-সকল অপ্রচলিত গ্রন্থ পাঠ করিয়াছিলেন তাহারই তর্জমা আরম্ভ করিলেন। রাশি রাশি সংস্কৃত শব্দ বিভক্তি পরিবর্জিত হইয়া বাংলা অক্ষরে উত্তম কাগজে উত্তমরূপে মুদ্রিত হইয়া পুস্তকমধ্যে বিরাজ করিতে লাগিল।
    ...এই শ্রেণীর লেখকের হস্তে বাংলাভাষার উন্নতির ভার অর্পিত হইল। লিখিত ভাষা ক্রমেই সাধারণের দুর্বোধ ও দুষ্পাঠ্য হইয়া উঠিল। অথচ এডুকেশন ডেস্‌প্যাচের কল্যাণে সমস্ত বঙ্গবাসী বালক এই প্রকারের পুস্তক পড়িয়া বাংলাভাষা শিখিতে আরম্ভ করিল। বাংলাভাষার পরিপুষ্টির দফা একেবারে রফা হইয়া গেল।
     
    নাও, এবারে এই লোকটাকেও গাধা, ইতর, ছাগল, পাঁঠা বলে তোমার পাণ্ডিত্য ফলাও।
  • এলেবেলে | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২৩:২৩500999
  • আজ্ঞে, উহা কোনও ছেঁড়া অংশ নয়। একটি আস্ত পোবোন্দো যা আপনি এ জীবনে পড়েন্নি। ভবিষ্যতে পড়বেন, সে আশা করা বাতুলতা।
  • sm | 2402:3a80:1cd3:82a1:478:5634:1232:5476 | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২৩:১৪500998
  • এসেম, পাতি উইকিতে উঁকি দিয়ে কিস্যু লাভ নেই। উহা সম্পাদনযোগ্য।
     
    পারলে কোনও ভাষাবিদকে কোট করুন।
    ---
     
    এই যে এতক্ষণ তড়পাচ্ছিলেন,জানেন বাংলা ভাষায়  তিন হাজার ফার্সী শব্দ! কেন সংস্কৃত ভাষার হেজিমনি মেনে নেবো? তাই তো দেখালুম, বাংলা শব্দ ভাণ্ডারে পঞ্চাশ হাজার খাঁটি সংস্কৃত শব্দ। এখন,আপনি চাইলে ফার্সী ভাষার আধিপত্য স্বীকার করতেই পারেন। কি আর করবো? নবদ্বীপের তার্কিক আপনি।
    যাই হোক,সুনীতি চাটুজ্যের উক্তির ছেঁড়া অংশ তুলে শাক দিয়ে, তিমি ঢাকা যাবে না।
  • দীপ | 2402:3a80:1cd6:8e4a:ec26:d331:8767:551c | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২৩:১২500997
  • আসলে পাঁঠার মাথায় সংস্কৃত ঢোকেনা, বিদ্যাসাগর-বঙ্কিম ঢোকেনা! তাই নেচে বেড়াচ্ছে!
  • দিশি | 94.102.56.8 | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২৩:০৬500996
  • মেকুরে হুড়ুম খাইয়া হৈক্কর করসে।
  • দীপ | 2402:3a80:1cd6:8e4a:ec26:d331:8767:551c | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২৩:০৪500995
  • ওরে গাধা, বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমের বাংলা গদ্য আর ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের পুরো পণ্ডিতদের গদ্য এক নাকি!
  • ধুর | 2405:8100:8000:5ca1::e4:b30f | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২৩:০২500994
  • এলবো আর কবার একই মাল দিয়ে ফুটেজ খাবে?
    Every kid in the village school used to get carried away in the recess but with a very focused mind he used to make models of various things like mill machines. Once he made a water clock out of an old box. That clock had a upside down cone which constantly dropped water drop by drop from inside the box. To mark the time there was a real sundial fixed in it.
  • এলেবেলে | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২৩:০১500993
  • এসেম, আমি জানি ভাষাবিদকে কোট করা আপনার মুরোদে কুলোবে না। নিন, ফের সুনীতি চাটুজ্যে রেখে গেলাম। আর পেন্টির জন্য কাঁঠালপাতা।
     
    ... বাঙলার প্রাকৃত বা তদ্ভব রূপটিই যে এর আসল রূপ, একথা রামমোহন রায় মেনে গিয়েছেন। কিন্তু ফোর্ট-উইলিয়ম কলেজের আর শ্রীরামপুরের পণ্ডিতদের হাতে প’ড়ে বাংলা ভাষা ভোল ফিরিয়ে ব’স্‌ল, বাঙলা ব্যাকরণ ব’লে লোকে সংস্কৃত ব্যাকরণের সন্ধি আর কৃৎ তদ্ধিত শব্দসিদ্ধি প’ড়্‌তে লাগ্‌ল।
  • এলেবেলে | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২২:৫৫500992
  • পেন্টি, এটার মানে কী?
     
    ঐ ঘড়ীর শঙ্কু, বাক্‌সমধ্য হইতে অনবরতবিনির্গতজলবিন্দুপাত দ্বারা নিমগ্নকাষ্ঠখণ্ডপ্রতিঘাতে, পরিচালিত হইত; বেলাববোধনার্থ তাহাতে একটি প্রকৃত শঙ্কুপট্ট ব্যবস্থাপিত ছিল।
     
    ছিড়িক ছিড়িক হাগলে হবে!
  • দীপ | 2402:3a80:1cd6:8e4a:ec26:d331:8767:551c | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২২:৫৪500991
  • অজস্র উদাহরণ দেওয়া হল! কিন্তু তবুও পাঁঠা থামবে না!
  • এলেবেলে | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২২:৫৪500990
  • গোলামে আপত্তি থাকলে দেবেশ-আজমেও চলবে।
  • দীপ | 2402:3a80:1cd6:8e4a:ec26:d331:8767:551c | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২২:৫২500989
  • আসলে পাঁঠার মগজে বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমের কাব্যময় গদ্য ঢোকেনি! তাই নাদিয়ে বেড়াচ্ছে!
  • এলেবেলে | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২২:৫২500988
  • এসেম, পাতি উইকিতে উঁকি দিয়ে কিস্যু লাভ নেই। উহা সম্পাদনযোগ্য।
     
    পারলে কোনও ভাষাবিদকে কোট করুন।
  • দীপ | 2402:3a80:1cd6:8e4a:ec26:d331:8767:551c | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২২:৫১500987
  • ঘরে ঘরে সবাই বলাবলি করতে লাগল, উঃ, কী উঁচু নজরটাই হয়ে এসেছে! অনেকে নিজের নিজের চিরদিন বাড়ি বসে থাকা ছেলেগুলোর দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে নিঃশ্বাস ফেলল।
     
    তবু কিছুদিন একটু জাতে-ঠেলা জাতে-ঠেলা হয়ে থাকতে হয়েছিল বৈকি রামকালীকে। বারবাড়িতে শুত, খেত, বাড়ির ছোট ছেলে।পুলে দৈবাৎ কেউ রামকালীকে ছুঁয়ে ফেললে তাকে কাপড় ছাড়ানো হত। কিন্তু রামকালীই একদিন গ্রামকর্তাকে ডেকে সালিশ মানল।
     
    এটা কেন হবে?
     
    একটি দিনের জন্যে সে বৈদ্যের অন্ন গ্রহণ করে নি, এক দিনের জন্য কোন অনাচার করে নি, শুধু শুধু পতিত হয়ে থাকতে হবে কেন তাকে?
     
    গ্রামকর্তারা মাথা চুলকে হেঁ হেঁ করতে লাগলেন, স্পষ্ট কিছু বলতে পারলেন না। কারণ ছোঁড়াটা নাকি রাজবদ্যি গোবিন্দ গুপ্তর সমস্ত বিদ্যে আর সমস্ত টাকা হাতিয়ে নিয়ে এসেছে।
     
    তাছাড়া ছোঁড়ার হাতটা দরাজ।
     
    কর্তাদের হেঁ হেঁ করার অবসরে রামকালী নিজের বক্তব্য ব্যক্ত করল, দেখুন। আমার গুরুর ওষুধ ডেকে কথা কয়। আমি তার কিছু-কিঞ্চিৎ আশীৰ্বাদও তো পেয়েছি। সে বিদ্যে আমার জন্মভূমির, আমার পাড়াপাড়শীর, আমার জ্ঞাতি-গোত্তরের কাজে লাগুক এই আমি চাই। তবে যদি আপনারা তা না চান, তা হলে আবার আমাকে গ্রামের বাস উঠিয়ে চলে যেতে হবে।
     
    এবার গ্রামকর্তারা হা হা করে উঠলেন। সত্যিই তো, কথাটা তো উড়িয়ে দেবার নয়? সকলেরই একদিন না একদিন নিদেনকাল আছে।
     
    ওঁদের হাঁ-হাঁর অবসরে রামকালী বললে, এই যে একটি পুকুর কাটাবার ইচ্ছে হয়েছে, সেই উপলক্ষ্যে গ্রাম-ভোজন দেব। আশা করে বসে আছি, সে আশা তা হলে পূরণ হবে না!
     
    এরা আবার দ্বিধাশূন্য হয়ে ‘সে কি? সে কি?’ করে উঠলেন।
     
    আর ইত্যবসরে ফেলু বাঁড়ুয্যে এক চাল চেলে বসলেন। কি এক সংস্কৃত শ্লোক আউড়ে বললেন হেসে হেসে, জানো তো, উপর্যুক্ত বয়সে বিবাহ-সংস্কার না হলে কন্যা যেমন অরক্ষণীয়া হয়, পুরুষও তেমনি পতিত হয়।
     
    রামকালী মাথা নীচু করে বললে, বয়স প্রায় ত্ৰিশ পার হতে চলল, এ বয়সে কে আমাকে কন্যাদান করবে?
     
    ফেলু বাঁড়ুয্যে বীরদৰ্পে বলে উঠলেন, আমি করব। এতে আমার ভায়েরা আমাকে জাতে ঠেলেন তো ঠেলুন।
     
    ফেলু বাঁড়ুয্যেকে জাতে ঠেলা! জাতের যিনি মাথা!
     
    ‘হাঁ-হাঁ’র স্রোত বইতে লাগল সভায়।
    (প্রথম প্রতিশ্রুতি)
  • এলেবেলে | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২২:৫০500986
  • নিজের নামে ইতর, ছাগল, পাঁঠা লিখতে না পারা লোকটা এই ভাষা লিখলে ইসকুলের ছেলেপিলেরা খড়ম দিয়ে এর মাথা ফাটিয়ে দিত!
     
    ১. …যে স্থানে ত্রেতাবতার ভগবান রামচন্দ্র, দুর্বৃত্ত দশাননের বংশধ্বংসবিধানবাসনায়, মহাকায় মহাবল কপিবল সাহায্যে, শতযোজনবিস্তীর্ণ অর্ণবের উপর, লোকাতীত কীর্তিহেতু সেতুসঙ্ঘটন করিয়াছিলেন, তথায় উপস্থিত হইয়া দেখিলাম, কল্লোলিনীবল্লভের প্রবাহমধ্য হইতে, অকস্মাৎ এক স্বর্ণময় ভূরুহ বিনির্গত হইল; তদুপরি এক পরম সুন্দরী রমণী, বীণাবাদনপূর্বক, মধুর স্বরে সঙ্গীত করিতেছে। কিয়ৎ ক্ষণ পরে, সেই বৃক্ষ কন্যা সহিত জলে মগ্ন হইয়া গেল। এই অদ্ভুত ব্যাপার দর্শনে বিস্ময়সাগরে মগ্ন হইয়া, তীর্থপর্যটন পরিত্যাগপূর্বক, আমি আপনকার নিকট ঐ বিষয়ের সংবাদ দিতে আসিয়াছি।
     
    ২. পাঠশালার সকল বালকই, বিরামের অবসর পাইলে, খেলায় আসক্ত হইত; কিন্তু তিনি সেই সময়ে নিবিষ্টমনা হইয়া, ঘরট্ট প্রভৃতি যন্ত্রের প্রতিরূপ নির্মাণ করিতেন। একদা, তিনি একটা পুরাণ বাক্‌স লইয়া জলের ঘড়ী নির্মাণ করিয়াছিলেন। ঐ ঘড়ীর শঙ্কু, বাক্‌সমধ্য হইতে অনবরতবিনির্গতজলবিন্দুপাত দ্বারা নিমগ্নকাষ্ঠখণ্ডপ্রতিঘাতে, পরিচালিত হইত; বেলাববোধনার্থ তাহাতে একটি প্রকৃত শঙ্কুপট্ট ব্যবস্থাপিত ছিল।
  • দীপ | 2402:3a80:1cd6:8e4a:ec26:d331:8767:551c | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২২:৪৯500985
  •  ইন্দির ঠাক্‌রুণের সঙ্গে হরিহরের সম্পর্কটা বড় দূরের। মামার বাড়ীর সম্পর্কে কি রকমের বোন। হরিহর রায়ের পূর্বপুরুষের আদি বাড়ী ছিল পাশের গ্রামে যশড়া-বিষ্ণুপুর। হরিহরের পিতা রামচাঁদ রায় মহাশয় অল্প-বয়সে প্রথমবার বিপত্নীক হইবার পরে অত্যন্ত ক্ষোভের সহিত লক্ষ্য করিলেন যে দ্বিতীয়বার তাঁহার বিবাহ দিবার দিকে পিতৃদেবের কোন লক্ষ্যই নাই। বছরখানেক কোনরকমে চক্ষুলজ্জায় কাটাইয়া দেওয়ার পরও যখন পিতার সেদিকে কোন উদ্যম দেখা গেল না, তখন রামচাঁদ মরীয়া হইয়া প্রত্যক্ষে ও পরোক্ষে নানারূপ অস্ত্র ব্যবহার করিতে বাধ্য হইলেন। দুপুরবেলা কোথাও কিছু নাই, সহজ মানুষ রামচাঁদ আহারাদি করিয়া বিছানায় ছটফট করিতেছেন — কেহ নিকটে বসিয়া কি হইয়াছে জানিতে চাহিলে রামচাঁদ সুর ধরিতেন, তাঁহার আর কে আছে, কে-ই বা আর তাঁহাকে দেখিবে—এখন তাঁহার মাথা ধরিলেই বা কি—ইত্যাদি। ফলে এই নিশ্চিন্দিপুর গ্রামে রামচাঁদের দ্বিতীয় পক্ষের বিবাহ হয়, এবং বিবাহের অল্পদিন পরে পিতৃদেবের মৃত্যু হইলে যশড়া-বিষ্ণুপুরের বাস উঠাইয়া রামচাঁদ স্থায়ীভাবে এখানেই বসবাস শুরু করেন। ইহা তাঁহার অল্প বয়সের কথা—রামচাঁদ এ গ্রামে আসিবার পর শ্বশুরের যত্নে টোলে সংস্কৃত পড়িতে আরম্ভ করেন, এবং কালে এ অঞ্চলের মধ্যে ভাল পণ্ডিত হইয়া উঠিয়াছিলেন। তবে কোন বিষয়কর্ম কোনদিন তিনি করেন নাই, করার উপযুক্ত তিনি ছিলেন কিনা, সে বিষয়েও ঘোরতর সন্দেহের কারণ আছে। বৎসরের মধ্যে নয় মাস তাঁহার স্ত্রী-পুত্র শ্বশুরবাড়িতেই থাকিত। তিনি নিজে পাড়ার পতিরাম মুখুয্যের পাশার আড্ডায় অধিকাংশ সময় কাটাইয়া দুইবেলা ভোজনের সময় শ্বশুরবাড়ী হাজির হইতেন মাত্র; যদি কেহ জিজ্ঞাসা করিত—পণ্ডিতমশায়, বৌটা ছেলেটা আছে, আখেরটা তো দেখতে হবে? রামচাঁদ বলিতেন—কোন ভাবনা নেই ভায়া, ব্রজো চক্কোত্তির ধানের মরাই-এর তলা কুড়িয়ে খেলেও এখন ওদের দু-পুরুষ হেসে-খেলে কাটবে। পরে তিনি ছক্কা ও পঞ্জুড়ির জোড় কি ভাবে মিলাইলে ঘর ভাঙিতে পারিবেন, তাহাই একমনে ভাবিতেন।
     
     ব্রজ চক্রবর্তীর ধানের মরাই-এর নিত্যতা সম্বন্ধে তাঁহার আস্থা যে কতটা বে-আন্দাজী ধরনের হইয়াছিল, তাহা শ্বশুরের মৃত্যুর পরে রামচাঁদের বুঝিতে বেশি বিলম্ব হয় নাই। এ গ্রামে তাঁহার জমিজমাও ছিল না, নগদ টাকাও বিশেষ কিছু নয়। দুই চারিটি শিষ্য-সেবক এদিকে ওদিকে জুটিয়াছিল, তাহাদের দ্বারা কোন রকমে সংসার চালাইয়া পুত্রটিকে মানুষ করিতে থাকেন। তাঁহার পূর্বে তাঁহার এক জ্ঞাতি-ভ্রাতার বিবাহ তাঁহার শ্বশুরবাড়ীতেই হয়। তাহারাও এখানেই বাস করিয়াছিল। তাহাদের দ্বারাও রামচাঁদের অনেক সাহায্য হইত। জ্ঞাতি-ভ্রাতার পুত্র নীলমণি রায় কমিসেরিয়েটে চাকরি করিতেন, কিন্তু কর্ম উপলক্ষে তাঁহাকে বরাবর বিদেশে থাকিতে হইত বলিয়া তিনি শেষকালে এখানকার বাস একরূপ উঠাইয়া বৃদ্ধা মাতাকে লইয়া কর্মস্থলে চলিয়া যান। এখন তাঁহাদের ভিটাতে আর কেহ নাই।
     
     শোনা যায়, পূর্বদেশীয় এক নামজাদা কুলীনের সঙ্গে ইন্দির ঠাক্‌রুণের বিবাহ হইয়াছিল। স্বামী বিবাহের পর কালেভদ্রে এ গ্রামে পদার্পণ করিতেন। এক-আধ রাত্রি কাটাইয়া পথের খরচ ও কৌলীন্য সম্মান আদায় করিয়া লইয়া, খাতায় দাগ আঁকিয়া পরবর্তী নম্বরের শ্বশুরবাড়ী অভিমুখে তল্‌পী-বাহক সহ রওনা হইতেন, কাজেই স্বামীকে ইন্দির ঠাক্‌রুণ ভাল মনে করিতেই পারে না। বাপ-মায়ের মৃত্যুর পর ভাই-এর আশ্রয়ে দু-মুঠা অন্ন পাইয়া আসিতেছিল, কপালক্রমে সে ভাইও অল্প বয়সে মারা গেল। হরিহরের পিতা রামচাঁদ অল্প পরেই এ ভিটাতে বাড়ী তুলিলেন এবং সেই সময় হইতেই ইন্দির ঠাক্‌রুণের এ সংসারে প্রথম প্রবেশ। সে সকল আজিকার কথা নহে।
     
     তাহার পর অনেকদিন হইয়া গিয়াছে; শাঁখারীপুকুরে নাল ফুলের বংশের পর বংশ কত আসিয়াছে, চলিয়া গিয়াছে। চক্রবর্তীদের ফাঁকা মাঠে সীতানাথ মুখুয্যে নতুন কলমের বাগান বসাইল এবং সে সব গাছ আবার বুড়া হইতেও চলিল। কত ভিটায় নতুন গৃহস্থ বসিল। কত জনশূন্য হইয়া গেল, কত গোলোক চক্রবর্তী, ব্রজ চক্রবর্তী মরিয়া হাজিয়া গেল, ইছামতীর চলোর্মি-চঞ্চল স্বচ্ছ জলধারা অনন্ত কালপ্রবাহের সঙ্গে পাল্লা দিয়া কুটার মত, ঢেউয়ের ফেনার মত, গ্রামের নীলকুঠির কত জন্‌সন টম্‌সন সাহেব, কত মজুরদারকে কোথায় ভাসাইয়া লইয়া গেল!
     
     শুধু ইন্দির ঠাক্‌রুণ এখনও বাঁচিয়া আছে। ১২৪০ সালের সে ছিপ্‌ছিপে চেহারার হাস্যমুখী তরুণী নহে, পঁচাত্তর বৎসরের বৃদ্ধা, গাল তোব্‌ড়াইয়া গিয়াছে, মাজা ঈষৎ ভাঙিয়া শরীর সামনে ঝুঁকিয়া পড়িয়াছে, দূরের জিনিস আগের মত চোখে ঠাহর হয় না, হাত তুলিয়া যেন রৌদ্রের ঝাঁজ হইতে বাঁচাইবার ভঙ্গিতে চোখ ঢাকিয়া বলে, কে আসে? নবীন? বেহারী? না, ও, তুমি রাজু . . . .
     
     এই ভিটারই কি কম পরিবর্তনটা ইন্দির ঠাক্‌রুণের চোখের উপর ঘটিয়া গেল! ঐ ব্রজ চক্রবর্তীর যে ভিটা আজকাল জঙ্গল হইয়া পড়িয়া আছে, কোজাগরী লক্ষ্মী-পূর্ণিমার দিন গ্রামসুদ্ধ লোক সেখানে পাত পাড়িত। বড় চণ্ডীমণ্ডপে কি পাশার আড্ডাটাই বসিত সকালে বিকালে! তখন কি ছিল ঐ রকম বাঁশবন! পৌষ-পার্বণের দিন ঐ ঢেঁকিশালে একমণ চাল কোটা হইত পৌষ-পিঠার জন্য—চোখ বুজিয়া ভাবিলেই ইন্দির ঠাক্‌রুণ সে সব এখনও দেখিতে পায় যে! ঐ রায় বাড়ীর মেজবৌ লোকজন সঙ্গে করিয়া চাল কুটাইতে আসিয়াছেন, ঢেঁকিতে দমাদম পাড় পড়িতেছে, সোনার বাউটি রাঙা হাতে একবার সামনে সরিয়া আসিতেছে আবার পিছাইয়া যাইতেছে, জগদ্ধাত্রীর মত রূপ, তেমনি স্বভাবচরিত্র। নতুন যখন ইন্দির ঠাক্‌রুণ বিধবা হইল, তখন প্রতি দ্বাদশীর দিন প্রাতঃকালে নিজের হাতে জলখাবার গোছাইয়া আনিয়া তাহাকে খাওয়াইয়া যাইতেন। কোথায় গেল কে! সেকালের আর কেহ বাঁচিয়া নাই যার সঙ্গে সুখদুঃখের দুটো কথা কয়।
     
     তারপর ঐ সংসারে আশ্রয়দাতা রামচাঁদ মারা গেলেন, তাঁর ছেলে হরিহর তো হইল সেদিন। ঘাটের পথে লাফাইয়া লাফাইয়া খেলিয়া বেড়াইত, মুখুয্যেদের তেঁতুল গাছে ডাঁশা তেঁতুল খাইতে গিয়া পড়িয়া হাত ভাঙিয়া দুই-তিন মাস শয্যাগত ছিল; সেদিনের কথা। ধূমধাম করিয়া অল্প বয়সে তাহার বিবাহ হইল— পিতার মৃত্যুর পর দশ বৎসরের নববিবাহিতা পত্নীকে বাপের বাড়ী ফেলিয়া রাখিয়া দেশছাড়া হইয়া গেল। আট দশ বছর প্রায় কোন খোঁজখবর ছিল না—কালেভদ্রে এক-আধখানা চিঠি দিত, কখনো কখনো দু’পাঁচ টাকা বুড়ীর নামে মনি অর্ডার করিয়া পাঠাইত। এই বাড়ী আগুলিয়া কত কষ্টে, কতদিন না খাইয়া প্রতিবেশীর দুয়ারে চাহিয়া চিন্তিয়া তাহার দিন গিয়াছে।
     
     অনেকদিন পরে হরিহর আজ ছয় সাত বৎসর আসিয়া ঘর-সংসার পাতিয়াছে, তাহার একটি মেয়ে হইয়াছে— সেও প্রায় ছয় বৎসরেরটি হইতে চলিল। বুড়ী ভাবিয়াছিল এতদিনে সেই ছেলেবেলার ঘর-সংসার আবার বজায় হইল। তাহার সঙ্কীর্ণ জীবনে সে অন্য সুখ চাহে নাই, অন্য প্রকার সুখ-দুঃখের ধারণাও সে করিতে অক্ষম — আশৈশব-অভ্যস্ত জীবনযাত্রার পুরাতন পথে যদি গতির মোড়টা ঘুরিয়া দাঁড়ায় তাহা হইলেই সে খুশী, তাহার কাছে সেইটাই চরম সুখের কাহিনী।
     
    হরিহরের ছোট্ট মেয়েটাকে সে একদণ্ড চোখের আড়াল করিতে পারে না — তাহার নিজেরও এক মেয়ে ছিল, নাম ছিল তার বিশ্বেশ্বরী। অল্প বয়সেই বিবাহ হয় এবং বিবাহের অল্প পরেই মারা যায়।
     
    হরিহরের মেয়ের মধ্যে বিশ্বেশ্বরী মৃত্যুপারের দেশ হইতে চল্লিশ বছর পরে তাহার অনাথা মায়ের কোলে আবার ফিরিয়া আসিয়াছে। চল্লিশ বছরের নিভিয়া-যাওয়া ঘুমন্ত মাতৃত্ব মেয়েটার মুখের বিপন্ন অপ্রতিভ ভঙ্গিতে, অবোধ চোখের হাসিতে—একমুহূর্তে সচকিত আগ্রহে, শেষ-হইতে চলা জীবনের ব্যাকুল ক্ষুধায় জাগিয়া উঠে।
     
     কিন্তু যাহা সে ভাবিয়াছিল তাহা হয় নাই। হরিহরের বৌ দেখিতে টুকটুকে সুন্দরী হইলে কি হইবে, ভারী ঝগড়াটে, তাহাকে তো দুই চক্ষু পাড়িয়া দেখিতে পারে না। কোথাকার কে তার ঠিকানা নাই, কি তাহার সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজিয়া মেলে না, বসিয়া বসিয়া অন্নধ্বংস করিতেছে!
     
     সে খুঁটিনাটি লইয়া বুড়ীর সঙ্গে দু’বেলায় ঝগড়া বাধায়। অনেকটা ঝগড়া চলিবার পর বুড়ী নিজস্ব একটি পিতলের ঘটী কাঁখে ও ডান হাতে একটা কাপড়ের পটুলি ঝুলাইয়া বলিত—চল্লাম নতুন বৌ, আর যদি কখনো ও বাড়ীর মাটি মাড়াই, তবে আমার—। বাড়ি হইতে বাহির হইয়া গিয়া বুড়ী মনের দুঃখে বাঁশবাগানে সারাদিন বসিয়া কাটাইত। বৈকালের দিকে সন্ধান পাইয়া হরিহরের ছোট মেয়েটা তাহার কাছে গিয়া তাহার আঁচল ধরিয়া টানাটানি আরম্ভ করিত— ওঠ্ পিতিমা, মাকে বল্‌বো আল্ তোকে বক্‌বে না, আয় পিতিমা। তাহার হাত ধরিয়া সন্ধ্যার অন্ধকারে বুড়ী বাড়ী ফিরিত। সর্বজয়া মুখ ফিরাইয়া বলিত, ঐ এলেন! যাবেন আর কোথায়। যাবার কি আর চুলো আছে এই ছাড়া? . . . তেজটুকু আছে এদিকে ষোল আনা!
     
     এ রকম উহারা বাড়ী আসার বৎসর-খানেকের মধ্যেই আরম্ভ হইয়াছে—বহুবার হইয়া গিয়াছে এবং মাঝে মাঝে প্রায়ই হয়।
     
     (পথের পাঁচালী)
  • sm | 2402:3a80:1cd3:82a1:478:5634:1232:5476 | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২২:৪৮500984
  • বর্তমানে বাংলা ভাষার ভান্ডারে রয়েছে প্রায় দেড় লক্ষ শব্দ। তার মধ্যে প্রায় পঞ্চাশ-পঞ্চান্ন হাজার শব্দ তৎসম (খাঁটি সংস্কৃত) শব্দ, আড়াই-তিন হাজার আরবি-ফারসি শব্দ, প্রায় চারশো তুর্কি শব্দ, হাজার দুয়েক ইংরেজি শব্দ এবং প্রায় পাঁচশাে পর্তুগিজ ও ফরাসি ইত্যাদি বিদেশি শব্দ। অবশিষ্টগুলি তদ্ভব ও দেশি শব্দ
     
    ---
    এলেবেলে বাবু,আপনাকে নিয়ে যে কি করি! পড়াশোনা করবেন না,উল্টে নবদ্বীপের তার্কিক দের মতোন তেড়ে আসার ট্র্যাডিশন বজায় রাখবেন।সৈকতের লেখা থেকে ভাষার বিবর্তনের রেফারেন্স দেবেন।
    নিন ,বাংলা শব্দ ভান্ডার এর হাল খাতার হিসাব দিলুম।এবার তেড়ে আসুন দেখি। আমাকে থুড়ি বাংলা ভাষার মুখে নুড়ো গুঁজে দিন এক্কেরে!
  • :) | 2405:8100:8000:5ca1::349:5147 | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২২:৪৭500983
  • গোলাম মুর্শেদ? যার হিসেবে বাঙালি জাতির বয়স হাজার বছর? ইসলাম আসার আগে যে জাতি ছিল না?
  • দীপ | 2402:3a80:1cd6:8e4a:ec26:d331:8767:551c | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২২:৪৭500982
  •  পিসিমা এই ভয়ঙ্কর অন্ধকারে ওই অদূরবর্ত্তী গভীর জঙ্গলটা স্মরণ করিয়া মনে মনে বোধ করি শিহরিয়া উঠিলেন। ভীতকণ্ঠে প্রশ্ন করিলেন, আচ্ছা, ওর মা কি বারণ করে না? গোঁসাইবাগানে কত লোক যে সাপে-কাম্ড়ে মরেচে, তার সংখ্যা নেই—আচ্ছা, ও জঙ্গলে এত রাত্তিরে ছোঁড়াটা কেন?
     
     বড়দা একটুখানি হাসিয়া বলিলেন, আর কেন! ও-পাড়া থেকে এ-পাড়ায় আসার এই সোজা পথ। যার ভয় নেই, প্রাণের মায়া নেই, সে কেন বড় রাস্তা ঘুরতে যাবে মা? ওর শীগ্‌গির আসা নিয়ে দরকার। তা, সে-পথে নদী-নালাই থাক্ আর সাপ-খোপ বাঘ-ভালুকই থাক্।
     
     ধন্যি ছেলে! বলিয়া পিসিমা একটা নিশ্বাস ফেলিয়া চুপ করিলেন। বাঁশীর স্বর ক্রমশঃ সুস্পষ্ট হইয়া আবার ধীরে ধীরে অস্পষ্ট হইয়া দূরে মিলাইয়া গেল।
     
     এই সেই ইন্দ্রনাথ। সেদিন ভাবিয়াছিলাম, যদি অতখানি জোর এবং এম্‌নি করিয়া মারামারি করিতে পারিতাম! আর আজ রাত্রে যতক্ষণ না ঘুমাইয়া পড়িলাম, ততক্ষণ কেবলই কামনা করিতে লাগিলাম—যদি অম্‌নি করিয়া বাঁশী বাজাইতে পারিতাম।
     
    (শ্রীকান্ত , প্রথম খণ্ড)
  • দীপ | 2402:3a80:1cd6:8e4a:ec26:d331:8767:551c | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২২:৪৫500981
  • মিথ্যাবাদী ইতরের লজ্জা নেই!
  • দীপ | 2402:3a80:1cd6:8e4a:ec26:d331:8767:551c | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২২:৪৪500980
  • সপ্তমীপূজার দিন কে আমাকে এত আফিঙ্গ চড়াইতে বলিল! আমি কেন আফিঙ্গ খাইলাম! আমি কেন প্রতিমা দেখিতে গেলাম! যাহা কখন দেখিব না, তাহা কেন দেখিলাম! এ কুহক কে দেখাইল!
     
    দেখিলাম-অকস্মাৎ কালের স্রোত, দিগন্ত ব্যাপিয়া প্রবলবেগে ছুটিতেছে-আমি ভেলায় চড়িয়া ভাসিয়া যাইতেছি। দেখিলাম-অনন্ত, অকূল, অন্ধকারে, ব্যাত্যাবিক্ষুব্ধ তরঙ্গসঙ্কুল সেই স্রোত-মধ্যে মধ্যে উজ্জ্বল নক্ষত্রগণ উদয় হইতেছে, নিবিতেছে-আবার উঠিতেছে। আমি নিতান্ত একা-একা বলিয়া ভয় করিতে লাগিল-নিতান্ত একা-মাতৃহীন-মা! মা! করিয়া ডাকিতেছি। আমি এই কাল-সমুদ্রে মাতৃসন্ধানে আসিয়াছি। কোথা মা! কই আমার মা? কোথায় কমলাকান্ত-প্রসূতি বঙ্গভূমি! এ ঘোর কাল-সমুদ্রে কোথায় তুমি? সহসা স্বর্গীয় বাদ্যে কর্ণরন্ধ্র পরিপূর্ণ হইল-দিঙ্মণ্ডলে প্রভাতরুণোদয়বৎ লোহিতোজ্জ্বল আলোক বিকীর্ণ হইল-স্নিগ্ধ মন্দ পবন বহিল-সেই তরঙ্গসঙ্কুল জলরাশির উপরে, দূরপ্রান্তে দেখিলাম-সুবর্ণমণ্ডিতা, এই সপ্তমীর শারদীয়া প্রতিমা! জলে হাসিতেছে, ভাসিতেছে, আলোক বিকীর্ণ করিতেছে! এই কি মা? হাঁ, এই মা। চিনিলাম, এই আমার জননী জন্মভূমি-এই মৃন্ময়ী-মৃত্তিকারূপিণী-অনন্তরত্ন-ভূষিতা-এক্ষণে কালগর্ভে নিহিতা। রত্নমণ্ডিত দশ ভুজ-দশ দিক্-দশ দিকে প্রসারিত তাহাতে নানা আয়ুধরূপে নানা শক্তি শোভিত; পদতলে শত্রু-বিমর্দ্দিত বীরজন কেশরী শত্রু নিষ্পীড়নে নিযুক্ত! এ মূর্ত্তি এখন দেখিব না-আজি দেখিব না, কাল দেখিব না-কালস্রোত পার না হইলে দেখিব না-কিন্তু এক দিন দেখিব-দিগভুজা, নানা প্রহরণপ্রহারিনী শত্রুমর্দ্দিনী, বীরেন্দ্রপৃষ্ঠবিহারিণী-দক্ষিণে লক্ষ্মী ভাগ্যরূপিণী, বামে বিদ্যাবিজ্ঞানমূর্ত্তিময়ী, সঙ্গে বলরূপী কার্ত্তিকেয়, কার্য্যসিদ্ধিরূপী গণেশ, আমি সেই কালস্রোতমধ্যে দেখিলাম, এই সুবর্ণময়ী বঙ্গপ্রতিমা!
     
    কোথায় ফুল পাইলাম, বলিতে পারি না-কিন্তু সেই প্রতিমার পদতলে পুষ্পাঞ্জলি দিলাম-ডাকিলাম, “সর্ব্বমঙ্গলমঙ্গল্যে, শিবে আমার সর্ব্বার্থসাধিকে! অসংখ্য সন্তানকুল-পালিকে! ধর্ম্ম অর্থ, সুখ দুঃখদায়িকে! আমার পুষ্পাঞ্জলি গ্রহণ কর। এই ভক্তি প্রীতি বৃত্তি শক্তি করে লইয়া তোমার পদতলে পুষ্পাঞ্জলি দিতেছি, তুমি এই অনন্তজলমণ্ডল ত্যাগ করিয়া এই বিশ্ব-বিমোহিনী মূর্ত্তি একবার জগৎসমীপে প্রকাশ কর। এসো মা! নবরাগরঙ্গিণি নববলধারিণি, নবদর্পে দর্পিণি, নবস্বপ্নদর্শিনি!-এসো মা, গৃহে এসো-ছয় কোটি সন্তানে একত্রে, এক কালে দ্বাদশ কোটি কর যোড় করিয়া, তোমার পাদপদ্ম পূজা করিব। ছয় কোটি মুখে ডাকিব, মা প্রসূতি অম্বিকে! ধাত্রি ধরিত্রি ধনধান্যদায়িকে! নগাঙ্কশোভিনি নগেন্দ্রবালিকে! শরৎসুন্দরি চারুপূর্ণচন্দ্রভালিকে! ডাকিব,-সিন্ধুসেবিতে সিন্ধু-পূজিতে সিন্ধু-মথনকারিণি! শত্রুবধে দশভূজে দশপ্রহরণ-ধারিণি! অনন্তশ্রী অনন্তকালস্থায়িনি! শক্তি দাও সন্তানে, অনন্তশক্তি-প্রদায়িনি! তোমায় কি বলিয়া ডাকিব মা? ঐ ছয় কোটি মুণ্ড ঐ পদপ্রান্তে লুণ্ঠিত করিব-এই ছয় কোটি কণ্ঠে ঐ নাম করিয়া হুঙ্কার করিব,-এই ছয় কোটি দেহ তোমার জন্য পতন করিব-না পারি, এই দ্বাদশ কোটি চক্ষে তোমার জন্য কাঁদিব। এসো মা, গৃহে এসো-যাঁহার ছয় কোটি সন্তান-তাঁহার ভাবনা কি?
     
    দেখিতে দেখিতে আর দেখিলাম না-সেই অনন্ত কাল-সমুদ্রে এই প্রতিমা ডুবিল! অন্ধকারে সেই তরঙ্গসঙ্কুল জলরাশি ব্যাপিল, জলকল্লোলে বিশ্বসংসার পূরিল! তখন যুক্ত করে, সজল নয়নে, ডাকিতে লাগিলাম, উঠ মা হিরণ্ময়ি বঙ্গভূমি! উঠ মা! এবার সুসন্তান হইব, সৎপথে চলিব-তোমার মুখ রাখিব। উঠ মা, দেবী দেবানুগৃহীত-এবার আপনা ভুলিব-ভ্রাতৃবৎসল হইব, পরের মঙ্গল সাধিব-অধর্ম্ম, আলস্য, ইন্দ্রিয়ভক্তি ত্যাগ করিব-উঠ মা-একা রোদন করিতেছি, কাঁদিতে কাঁদিতে চক্ষু গেল মা! উঠ উঠ, উঠ মা বঙ্গজননী!
     
    মা উঠিলেন না। উঠিবেন না কি?
     
    এস, ভাই সকল! আমরা এই অন্ধকার কালস্রোতে ঝাঁপ দিই। এস, আমরা দ্বাদশ কোটি ভুজে ঐ প্রতিমা তুলিয়া, ছয় কোটি মাথায় বহিয়া, ঘরে আনি। এস, অন্ধকারে ভয় কি? ঐ যে নক্ষত্রসকল মধ্যে মধ্যে উঠিতেছে, নিবিতেছে, উহারা পথ দেখাইবে-চল! চল! অসংখ্য বাহুর প্রক্ষেপে, এই কাল-সমুদ্র তাড়িত, মথিত, ব্যস্ত করিয়া, আমরা সন্তরণ করি-সেই স্বর্ণপ্রতিমা মাথায় করিয়া আনি। ভয় কি? না হয় ডুবিব মাতৃহীনের জীবনে কাজ কি? আইস, প্রতিমা তুলিয়া আনি, বড় পূজার ধুম বাধিবে। দ্বেষক ছাগকে হাড়িকাটে ফেলিয়া সংকীর্ত্তি খড়্গে মায়ের কাছে বলি দিব-কত পুরাবৃত্তাকার ঢাকী, ঢাক ঘাড়ে করিয়া, বঙ্গের বাজনা বাজাইয়া আকাশ ফাটাইবে-কত ঢোল, কাঁসি, কাড়া, নাগরায় বঙ্গের জয় বাদিত হইবে। কত সানাই পোঁ ধরিয়া গাইবে “কত নাচ গো!”- বড় পূজার ধুম বাধিবে। কত ব্রাহ্মণপণ্ডিত লুচি মণ্ডার লোভে বঙ্গপূজায় আসিয়া পাতড়া মারিবে-কত দেশী বিদেশী ভদ্রাভদ্র আসিয়া মায়ের চরণে প্রণামি দিবে-কত দীন দুঃখী প্রসাদ খাইয়া উদর পূরিবে। কত নর্ত্তকী নাচিবে, কত গায়কে মঙ্গল গায়িবে, কত কোটি ভক্তে ডাকিবে, মা! মা! মা!-
     
    আচ্ছা, এই লেখায় কটা তৎসম, তদ্ভব শব্দ আছে? উর্দু-ফাাাার্সর্র
    ফার্সি কত আছে?
     
     
  • এলেবেলে | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২২:৪৩500979
  • পেন্টি, এখানে বাংলা গদ্যভাষা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বড়দের ব্যাপারে বাচ্চাদের নাক গলাতে নেই। ঈশ্বর রাগ করেন।
  • এলেবেলে | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২২:৪১500978
  • সঙ্গে এপার বাংলার দেবেশ রায় আর ওপার বাংলার গোলাম মুর্শেদ আর মোহম্মদ আজমের বইপত্তরগুলো ঘাঁটুন। সব বোলতি বন্ধ হয়ে যাবে।
  • দীপ | 2402:3a80:1cd6:8e4a:ec26:d331:8767:551c | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২২:৪০500977
  • একটু ‌আগেই তো মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের উদাহরণ দেওয়া হলো।‌ আশ্চর্য‌ আপদ‌ তো!
  • এলেবেলে | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ২২:৩৯500976
  • কিচ্ছু দরকার নেই। যেখান থেকে এই আলোচনার সূত্রপাত সেই সৈকতের আজকের আবাপ-র লেখাটা পড়ুন এবং সেখানে তৎসম শব্দ কতগুলো আছে সেটা খুঁজে বের করুন। আপনারাই আপসে আপ পথে এসে যাবেন। সুরও নরম হয়ে যাবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত