এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পায়ের তলায় সর্ষে : ন্যাশনাল পার্কস অফ অ্যামেরিকা

    Shuchismita
    অন্যান্য | ০৫ জুন ২০১০ | ১৯৬৩৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • গান্ধী | 213.110.243.21 | ২১ জুন ২০১২ ১২:২৮456755
  • মেকানিকালে পিএইচডি করছি

    মেল করেছি
  • Rit | 213.110.243.21 | ২১ জুন ২০১২ ১২:৪৯456756
  • হুম। কিন্তু ন্যাশনাল পার্কের কি হল? পেপে বানফ টা নামাও।
  • kd | 69.93.216.69 | ২১ জুন ২০১২ ১৬:২৪456757
  • বাইসনের পাখনা খেতেও বেশ ভালো। স্পেশালি ঝাল-ঝাল ভ্যারাইটি। ঃ)
  • hu | 22.34.246.72 | ২১ জুন ২০১২ ২০:৩১456758
  • ঋত্বিকের লেখাটা আগে পড়েছিলাম। আজ আবার পড়লাম। সত্যি, অ্যামেরিকার পশ্চিমাঞ্চলের মত সম্মোহক প্রকৃতি আর কোথাও দেখিনি। পর্বত হিসেবে রকি কুলীন না হতে পারে, এমন বেখেয়ালি ভাঙাগড়া, এমন বৈচিত্রময় মানচিত্র আর কোথায়! যতবার যাই তত বেশি করে ভালো লাগে। আর্চেস আর ক্যানিয়নল্যান্ড এখনও ঘোরা হয় নি আমার। একজনের অ্যালবামে ছবি দেখেছিলাম ঝড় আসার পূর্বমুহূর্তের ক্যানিয়নল্যান্ড - স্লেট রঙের আকাশ থমকে আছে লাল পাথরের বুকে। বাপরে! কি দাপট!
  • Rit | 213.110.243.21 | ২২ জুন ২০১২ ০১:৫৭456759
  • আজ গান্ধী ও আর একজন গুরুভাই এর সাথে (যাঃ গুরুর নামটা জিগ্গেস করতে ভুলে গেছি।ঃ( ) দেখা হল। অনেকক্ষন আড্ডা হল অনেক বিষয় নিয়ে।
  • pi | 147.187.241.6 | ২২ জুন ২০১২ ০২:২৫456760
  • সুমন্ত ?
  • Rit | 213.110.243.21 | ২২ জুন ২০১২ ০২:৩৪456761
  • সুমন্ত তো আসল নাম। গুরুতে নাম টা কি?
  • pi | 147.187.241.6 | ২২ জুন ২০১২ ০২:৩৫456762
  • সেই বলুক নাহয় ঃ)
  • Rit | 213.110.243.21 | ২২ জুন ২০১২ ০২:৪৯456763
  • ৩.১৪১৫৯২৬৫,
    তুমি কি খড়্গপুরে ছিলে?
  • pi | 147.187.241.6 | ২২ জুন ২০১২ ০৪:৪৯456765
  • নাঃ, কিন্তু চিনি ওকে ঃ)
  • departed | 69.160.210.2 | ২২ জুন ২০১২ ১২:০৮456766
  • মিশরের পায়ের তলার সর্ষে টা খুঁজে পাচ্ছিনা যে !
  • kb | 213.110.243.21 | ২২ জুন ২০১২ ১২:২১456767
  • RIT দা আমি সুমন্ত না । আমি কৌশিক । আর আমি খুব কম লিখি ।
  • . | 152.176.84.188 | ০৪ জুন ২০১৩ ১৯:৪১456768
  • .
  • . | 116.218.246.117 | ০৪ জুন ২০১৩ ২০:১৪456769
  • Shuchismita | 211.145.237.16 | ২৫ জুন ২০১৩ ০১:২১456770
  • এই পথ নতুন নয়। জায়নের সবুজ ক্যানিয়ন, ব্রাইসের কমলা শিখর, ভার্জিন নদীকে পাশে রেখে মাইলের পর মাইল পেরিয়ে যাওয়া আগেও হয়েছে। গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের জমাট অন্ধকারে রিম ট্রেলের রেলিং ধরে সেদিন দাঁড়িয়ে ছিলাম। বাতাস ধাক্কা খাচ্ছিল ক্যানিয়নের দেওয়ালে, কোথাও কোন আলো নেই – এমনকি কোন তারাও নয়, মেঘে ঢেকেছিল সেই রাত্রি। পরের দিন ঘন কুয়াশার আড়াল থেকে ক্লান্ত সিঁদূরের টিপের মত সূর্জ উঠেছিল। নির্জন সেই সকালে মুখোমুখি বসা গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের সাথে – একা।

    এর কিছুদিন পর চিঠি এল। গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন যাব, ডেথ ভ্যালি যাব, জায়ন যাব। সুলুক দাও। চিঠি দেওয়া নেওয়া চলে। কার পরে কি, কোন জায়গাটা কিছুতেই না দেখে ফিরে আসা যাবে না, কোথায় দিনের কোন সময়ে পৌঁছুতে হবে – তার পরেও কথা থেকে যায়। কথা চলে।

    সে ছিল শীতের সময়। বরফ পড়ে সেডোনার লাল পাথর এখন কেমন দেখাচ্ছে জানতে ইচ্ছে হয়। ডেথ ভ্যালি যাওয়ার দিন বরফ ঝড়ে রাস্তা বন্ধ থাকে কিছুক্ষণ, পার্ক অফিসে ফোন করে খোঁজ নিই ভেতরে ঢোকা যাবে কিনা। মোহাভের মরুভূমিতে যাওয়া হয়নি কখনও। গল্প শুনে আশ মেটে না। কল্পনা করার চেষ্টা করি কেমন সেই পরিত্যক্ত অঞ্চল – লাল রুক্ষ পাথুরে মাটি, ছোট ছোট ঝোপ এখানে সেখানে, আর কিচ্ছু নেই, প্রাণের কোন চিহ্ন নেই সেই মরুভূমিতে। এভাবেই, দেড়হাজার মাইল দূরে থেকেও একসাথে অনেকটা পথ হাঁটা হয়ে যায় আমাদের।

    ******

    দিন-মাস-বছরের হিসেবে অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে। আর ভার্চুয়াল পথ হাঁটা নয়, সত্যিকারের রাস্তা খোঁড়ার কাজে হাত মিলিয়েছে দুজনে। ২০১৩-র গ্রীষ্মে ছুটি পাওয়া যায় কিছুটা। অ্যামেরিকাতেও আসা হয়ে যায় কিছু কাজে। পুরনো সেই পথ আবার টানতে থাকে তাদের যা তাদের ভাগ্যকে মিলিয়েছে।
  • Shuchismita | 211.145.237.16 | ২৫ জুন ২০১৩ ০৩:০৭456771
  • মোট বারোদিনের ছুটি। নটা ন্যাশনাল পার্ক। দৈনিক গড়ে সাড়ে চারঘন্টা ড্রাইভিং। ড্রাইভারটির উত্তেজনার শেষ নেই। অ-ড্রাইভারটিরও ম্যাপ মুখস্ত করে আশ মেটে না। মে মাসের কোন এক রবিবার রাতে লাস ভেগাসে পৌঁছনো গেল। প্লেন বিভ্রাটে সাড়ে এগারোটার জায়গায় রাত দুটো। লাস ভেগাস মাঝরাতেও জেগে থাকে। বরং বেশি জাগে। আড়াইটের সময় পথে বেরিয়ে কোনমতে দুটি স্যান্ডূইচ গলঃধকরন করে ব্যাক টু হোটেল। পরের দিন জায়ন যাওয়ার কথা।

    ড্রাইভারটির কোনদিনই ভোরে ওঠার সুনাম নেই। কিন্তু বেড়ানোর সময় সে অন্য মানুষ। অত রাতে শুয়েও পরের দিন সাড়ে নটার মধ্যে বেরিয়ে পড়া গেল। শহর ছাড়াতেই রাস্তা বদলে যায়। লাল, কমলা, বাদামী, বেগুনী রঙের পাহাড়। পাহাড় কেটে রাস্তা। কখনও রাস্তার পাশে নদী। কখনও রাস্তা বড় একা। ছোট ছোট ঝোপ বাদে এক টুকরো সবুজও নেই। বারোদিন ধরে যে পথে ঘোরাফেরা হল সে পথের প্রতিটা বাঁক প্রকৃতির নিখুঁত যত্নে তৈরী। এমনটা আর কোথাও নেই। পৃথিবীর কোটি কোটি বছরের ইতিহাস লেখা আছে এই পাথরে, সমুদ্র গর্ভে তলিয়ে যাওয়া আদিম প্রাণের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায় একটু খুঁজলেই। কোটি বছরের পুরোনো বালিয়াড়ি হাওয়ার ধাক্কা খেতে খেতে, কখনও জলে, কখনও তাপে, ভূগর্ভস্থ চাপে পরিবর্তিত হতে হতে তৈরী হয়েছে এই স্যান্ডস্টোন। অনেকবার তো আসা হল এই পথে। তবু প্রথমবারের মতই ভালো লাগে। ‘আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে!’

    মেসকুইট নামে একটা ছোট শহরে থামা হয়। ছোট্ট একটা রেস্তোরাঁ। হোমফ্রাই, স্যান্ডুইচ আর কফি দিয়ে লাঞ্চ সেরে কাছাকাছি একটা ওয়ালমার্ট থেকে আগামী কদিনের রসদ বোঝাই করা হয় গাড়িতে। তারপর আবার যাত্রা শুরু। এর আগে যখন এসেছি এপথে – ২০০৯ এ – সে ছিল আমার প্রথম একা একা বেড়াতে যাওয়া। একটা চাইনিজ ট্যুরগ্রুপের সাথে। লাস ভেগাস থেকে জায়ন, ব্রাইস হয়ে সেবার গেছিলাম ইয়েলোস্টোনে। জায়ন যাওয়ার পথে রাতে থাকা হয়েছিল সেন্ট জর্জে। পাহাড় ঘেরা ছিমছাম শহর। চাইনিজ রেস্তোরাঁয় বাফে ডিনার করে হোটেলের ঘরে ফিরে এক অপূর্ব সূর্জাস্ত উপহার পেয়েছিলাম। এবারেও থামা হল সেন্ট জর্জে। যে রেস্তোরাঁয় খেয়েছিলাম তার সামনেই। ড্রাইভার তেল ভরল, গাড়ির যত্নআত্তি করল। অ-ড্রাইভার মুগ্ধ হয়ে ঘুরে বেড়ালো চার বছর আগের ফেলে যাওয়া পথে। আকাশ কি অপূর্ব নীল! ‘শাখে শাখে, পাখী ডাকে, কত শোভা চারি পাশে!’
  • kk | 78.47.250.76 | ২৫ জুন ২০১৩ ০৪:০৯456772
  • সুন্দর হচ্ছে !
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৫ জুন ২০১৩ ০৫:২৮456773
  • বাঃ, চলুক।
  • sosen | 125.241.21.80 | ২৫ জুন ২০১৩ ০৮:৪০456774
  • খুব সুন্দর।
  • | 24.97.70.88 | ২৫ জুন ২০১৩ ০৯:৪০456776
  • মিত্তি লেখা। মিত্তি গপ্পো।
    জায়ন? জিয়ন?
  • khilli | 132.176.31.119 | ২৫ জুন ২০১৩ ১৬:০৭456777
  • মনে পড়ে সেই সব দিন । আহা চলুক
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৫ জুন ২০১৩ ২০:৩২456778
  • জায়ন-ই মনে হয়, ইংলিশে zion। বড় বেশী সুন্দর, যে কোন বিশেষণই হার মেনে যাবে।
    আমার অবশ্য সবচে পছন্দ এখনো ইয়েলোস্টোন আর ভারতে সিমলিপাল - পাহাড়+জঙ্গল এই কম্বিটা খুব আকর্ষণ করে
  • ন্যাড়া | 213.83.248.37 | ২৫ জুন ২০১৩ ২০:৪১456779
  • জায়নের রঙের বাহার অপূর্ব লেগেছিল। আমিও অরণ্যর সঙ্গে একমত, ইয়েলোস্টোন ফাশটো, যদিও গ্র্যান্ড ক্যানিয়নও আমার খুব প্রিয় জায়গা - বোধহয় বার পাঁচেক গেছি। আর একবার গেলে অনারারি লাইফ মেম্বারশিপ দিয়ে দেবে।
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৫ জুন ২০১৩ ২০:৪৭456780
  • গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন যাই নি এখনো, ন্যাড়ার কাছে টিপস নেব তাইলে, যাওয়ার আগে
  • hu | 211.145.237.16 | ২৫ জুন ২০১৩ ২০:৫৩456781
  • কেউ যদি আমায় শিখিয়ে দেয় কি করে ছবি পোস্ট করতে হয় তাহলে গল্পের সাথে সাথে একটু ছবিও দিতে পারি।
    অভ্রতে লিখছি। কোন কারনে য-এর সাথে রেফ লেখা যাচ্ছে না। তাই সব সূর্য হয়ে যাচ্ছে সূর্জ।

    ঠিক, বৈচিত্রের দিক দিয়ে ইয়েলোস্টোন ফার্স্ট। তবে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন এতবার গেলাম - এখন আরো বেশি ভালো লাগে। আর এবারে প্রথম গেলাম আর্চেস আর ক্যানিয়নল্যান্ড। অসাধারন!
  • Shuchismita | 142.248.254.178 | ২৬ জুন ২০১৩ ০০:২০456782
  • কোথায় কোথায় গেলাম

  • Shuchismita | 142.248.254.178 | ২৬ জুন ২০১৩ ০০:২২456783
  • স্প্রিংডেল শহরটিকে জায়নের গেটওয়ে বলা যায়। শহর যেখানে শেষ হয়েছে সেখানেই ন্যাশনাল পার্ক শুরু। হোটেল নেওয়া হয়েছিল স্প্রিংডেলেই। ছবির মত শহরের বুকে ছোট ছোট কটেজ। তাদেরই কোন একটায় সেদিন রাত্রিবাস। ঘড়িতে তখন বড়জোর আড়াইটে। হোটেলে থেমে সময় নষ্ট না করে সোজা পার্কে ঢুকে যাওয়া হবে ঠিক হল। সিঙ্গল এন্ট্রি পঁচিশ টাকা। আমরা যেহেতু অনেকগুলো পার্কে ঘুরব তাই আশিটাকা দিয়ে অ্যানুয়াল পাস নেওয়া হল। ড্রাইভার তখন হিসেব করছে – এ বছর মে মাসে পাস কেনা হল, পরের বছর মে পর্জন্ত ভ্যালিড। পরের মে’র আগে যদি আলাস্কাটা করে নেওয়া যায়! যদি রকিটা একবার ঘুরে আসা যায়! আহা! যদি...

    জায়নে গরমকালে পার্ক শাটল চলে। ভিউ পয়েন্টগুলোতে গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায় না। স্প্রিংডেল থেকেই শাটল ছাড়ে। সেখানেই গাড়ি রেখে শাটলে চেপে দিব্যি পার্কটা দেখে নেওয়া যায়। ড্রাইভার আগেরবার যখন এসেছিল তখন ছিল শীতকাল, আর অ-ড্রাইভার এসেছিল ট্যুরগ্রুপের সাথে। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটা কেউই জানত না। পার্কে ঢুকে খানিক পরেই দেখা গেল প্রাইভেট ভেহিকেলের জন্য রাস্তা বন্ধ। অতএব পথের ধারে গাড়ী রেখে বাসের জন্য অপেক্ষা। সাথে ক্যামেরা আর জলের বোতল। শাটল অবশ্য এল সাথে সাথেই। ব্যবস্থা মন্দ না। বাসে বসেই সুন্দর দেখতে দেখতে যাওয়া যায়। সাথে কমেন্ট্রি চলে। মেন ভিউ পয়েন্টগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরন। জায়নের ক্যানিয়ন সৃষ্টির ইতিহাস। শাটল বাসের শেষ স্টপ টেম্পল অফ শেনওয়া। সেখান থেকে একটা মাইলখানেকের ট্রেইল আছে যেটা ভার্জিন রিভারে গিয়ে শেষ হয়েছে। আসলে গোটা রাস্তাটাই নদী পাশে পাশেই চলে। রাস্তার শেষে গিয়ে দেখা যায় পুরো ক্যানিয়নটাই নদী দখল করে নিয়েছে। ইচ্ছে করলে খানিক হেঁটে আসা যায় ক্যানিয়নের বুকে। জল এখানে বেশ কম। আমরা দুজন নদীকে পাশে রেখে পথ চলি। আমার সব সময়েই আর সব ক্যানিয়নের চেয়ে জায়নকে বেশি সবুজ মনে হয়েছে। ড্রাইভার শীতকালে সবুজের প্রাচুর্জ দেখেনি। এবার হাঁটতে হাঁটতে সেও স্বীকার করল। জানি না কলোরাডো নদীর কাছে গেলে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন কেমন। গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন সবসময়েই দেখেছি উপর থেকে। হয়তো ভার্জিন নদীর সাথে হাঁটছি বলেই জায়ন এত সবুজ লাগে। পথের পাশে সশঙ্ক কাঠবেড়ালী আমাদের উপস্থিতির আঁচ পেয়েই লুকিয়ে ফেলে নিজেকে। হরিণেরা কিন্তু উদাসীন। ছবি তুলতে দেয় বিনা আপত্তিতে। তারপর হেলতে দুলতে এগিয়ে যায় জলের দিকে। বেলা তখন পড়ে এসেছে। সোনালী রোদ ক্যানিয়নের মাথায় রঙ ধরায়। গাছের সবুজ ঝলমল করে। তার অনেক নিচে আমরা নদীর সাথে হেঁটে চলি। জলের বুকে আঁধার ঘনায়। ট্রেইলের শেষে ক্যানিয়ন যেখানে সম্পূর্ন ডুবে আছে জলে সেখানে খানিক বসে থাকি। অন্য যাত্রীরা কেউ কেউ জলে নামে। আমরা আর জুতো খোলার আলস্যে সে পথে যাই না। টাটকা বাতাস ভরে নিতে থাকি ফুসফুসে। সোনালী ক্যানিয়ন লালচে হয়ে আসে। ফেরার পথ ধরি। আবারও এক মাইল নদীর সাথে হেঁটে শাটল বাস। আমাদের গাড়ি। নদীগর্ভ থেকে উঠে আসার পর বুঝতে পারি সন্ধ্যা নামতে তখনও কিছু বাকি। ক্যানিয়নের মধ্যে অন্ধকার হয় তাড়াতাড়ি। খানিকক্ষণ এদিক-ওদিক করে ফিরে আসি স্প্রিংডেলে। হোটেলের মালিক ভারতীয়। ঘরে লাগেজ রেখেই আবার বেরিয়ে পড়ি। শহরের রাস্তায় পায়চারি করতে করতে সূর্জ পুরোপুরি ডুবে যায়। নানা রকমের পাথর বিক্রি হচ্ছে। জায়নের ওয়াইল্ড ফ্লাওয়ার শুকিয়ে বিক্রি হচ্ছে। জানি না কতদিন থাকবে, তবে কিনেছি একটা। পথের ধারে এক রেস্তোরাঁয় খেতে ঢোকা হল। যে মেয়েটি বসালো, তার বাবা অর্ডার নিল আর রান্না করছে তার ভাই। খাবার বেশ ভালোই। হোটেলে ফেরার সময় সন্ধ্যা নেমেছে পুরোদমে, আকাশজুড়ে অজস্র তারা। লোকালয়ের আলোয় একটু বা নিস্প্রভ, তবে মনোরম।
  • sosen | 111.63.162.43 | ২৬ জুন ২০১৩ ০০:৩৮456784
  • শুচিস্মিতা, পোস্টইমেজ-এ আপলোড করেও পোস্টাতে পারো, বা ফেবু থেকে ছবির ওপর রাইটক্লিক করে কপি ইমেজ লোকেশন(সম্ভবত)।
  • Shuchismita | 142.248.254.178 | ২৬ জুন ২০১৩ ০০:৫০456785
  • থ্যাঙ্কিউ সোসেন। এই ছবিটা কি দেখা যাচ্ছে?

    ভার্জিন রিভার - জায়ন ক্যানিয়ন

  • Shuchismita | 211.145.239.35 | ২৭ জুন ২০১৩ ০৩:১৭456787
  • পরের দিন ব্রাইস যাওয়ার কথা। তবে তাড়া নেই। ব্রাইসে থাকবো দু-রাত। বিকেল নাগাদ পৌঁছলেই হবে। আগের দিন ম্যাপ দেখেই ঠিক করে রেখেছিলাম এমারেল্ড পুলে যাব। আর যাব উইপিং রকে। এমারেল্ড পুল মাইলখানেকের হাইক। উইপিং রক আরোই কম। সকালে অল্প অল্প শীত লাগছিল। জ্যাকেট পরেই যেতে চাইছিলাম। ড্রাইভারের তাড়নায় খুলতে হল। সে অবশ্য ভালো উপদেশই দিয়েছিল। চড়াই রাস্তা। একটু এগোতেই গরম লাগতে শুরু করল। সরু রাস্তার একদিকে পাহাড়, অন্য দিকে খাদ। মাঝে মাঝেই দেখা যায় ভার্জিন নদী। অজস্র বুনোফুলের কাকে ছেড়ে কাকে দেখি। ড্রাইভারের সতর্ক কান। পাতায় সামান্য আওয়াজ হতেই সে আমাকে নিয়ে সরে দাঁড়ায়। দেখতে পাই গর্ত থেকে হেলেদুলে বেরোয় সরীসৃপ। একদল স্কুলের ছেলেমেয়ে হৈ হৈ করে যোগ দেয়। আমরা ওদের এগিয়ে যেতে দিয়ে আলস্যে পথ হাঁটি। অনেক ছবি তোলা হয়। ক্যামেরায় যত না রাখি তার চেয়ে বেশি জমাই মনে। একটু পরে জলের ছিটে গায়ে লাগতে থাকে। পায়ের তলায় রাস্তা পেছল। ওয়াটার ফলের কাছে পৌঁছে গেছি। মে’র শুরুতে জল নেই খুব বেশি। সামান্য যেটুকু আছে তাতে এমারেল্ড পুল ভরেনি। কিন্তু চারদিক ঘেরা পাহাড়, তার একটি থেকে ঝিরঝিরে জলের প্রবাহ – মাটির কাছে পৌঁছনোর থেকে দর্শনার্থীদের গা ভেজাতে যার আগ্রহ বেশি, আর পাহাড় যেখানে শেষ হয়েছে সেখানে উজ্জ্বল নীল আকাশ – অদ্ভুত ভালো লাগছিল। ‘তুমি কেমন করে গান করো হে গুণী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি!’

    আগের দিন শাটল বাসে যেতে যেতেই ঠিক করেছিলাম উইপিং রক দেখতেই হবে। ওখানে নাকি হ্যাঙ্গিং গার্ডেন আছে। ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যানের মত? তা তো জানি না। তবে চড়াই পথ যেখানে শেষ হয়েছে সেখানে পাহাড়ের গায়ে তৈরী হয়েছে এক কোটর, যার ছাদে অভিকর্ষের বিপরীতে তৈরী হয়েছে এক বাগান। মূলত মস গোত্রীয়। গ্রীষ্মের শুরুতে মখমলের মত প্রগাঢ় সবুজ মস আর লাল-কমলা ফুলে ছয়লাপ সেই পাথরের ছাদ। পাথর চুঁইয়ে ফোঁটা ফোঁটা জল পড়ছে। তাই নাম উইপিং রক। পিছল কোটরে সাবধানে ঢুকি। উপরে চাইলে বর্নাঢ্য বাগান, সামনে জায়নের পাহাড়। সূর্জ তখন বেশ ওপরে। ধোঁয়ার মত দেখায় পাহাড়চুড়ো। রূপকথার মত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন