এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • কালী

    tatin
    বইপত্তর | ০৫ নভেম্বর ২০১০ | ৯৪২১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Shibanshu | 59.93.80.99 | ২০ নভেম্বর ২০১০ ১০:২৯458358
  • কালীতঙ্কÄ ও তন্ত্রদর্শনের সাব অল্টার্ন ব্যাখ্যা নিয়ে বেশ কিছু চিন্তা আছে। এই সব কল্পনা ও প্রয়োগের মোটামুটি সন্তোষজনক অবস্থান পাওয়া যায় সেখানে। অভ্যুদয়ের পাঠানো লিংকটি ছিলো ভক্তের অবস্থান। সামূহিক 'ভয়' কীভাবে সামাজিক 'ভক্তি' হয়ে মূর্তিরূপ গ্রহণ করে, তৎসহ অন্যান্য অনার্য দর্শনের কাল্পনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক আর্যায়ন, লোকায়ত অকাল্ট আচারবিচারের প্রতি মূলস্রোতের স্বীকৃতি ইত্যাদি নানা আকর্ষক বিন্দু আছে সেখানে। বিপুল বিষয়.... হরপ্পা থেকে কালিবঙ্গান সব চলে আসে...
  • kallol | 115.184.110.120 | ২০ নভেম্বর ২০১০ ১১:৩২458359
  • অ শিবাংশু, অ দীপ্তেন, এতো চিপুস চিপুস করে লেখো ক্যানো। এট্টু বড়ো করে লেখো না মাইরী।
  • dd | 122.167.8.40 | ২০ নভেম্বর ২০১০ ২১:২৩458360
  • টুক করে একটা টাইমলাইন মেনে নিন। তক্কো কইরেন না। প্লিজ।

    বেদ+ উপনিষদ - ১৪০০ থেকে ১০০০ বিসি,মহাভারত,রামায়ণ - ৪র্থ বিসি থেকে ৪র্থ এ ডি, মূল পুরাণগুলো ৪র্থ এ ডি থেকে তা ধরুন প্রায় ১২০০ ,আর তন্ত্র গুলো শুরু বাংলা ও বিহারে,পাল সাম্রাজ্যে, ৮ম শতাব্দী থেকে শুরু।

    মানছি, প্রোচুর গোঁজামিল আর ওভারল্যাপিং আছে কিন্তু ক্ষি আর করা ?

    (লিখছি)
  • dd | 122.167.8.40 | ২০ নভেম্বর ২০১০ ২২:০৮458361
  • অসুরদের সাথে যুদ্ধ করতেন ইন্দ্র,বা বিষ্ণু। দু এক বার মহেশ্বর।
    একবারের জন্য সরস্বতী।

    কিন্তু কোথাও একটা খুব দরকার ছিলো ওয়ারিওর গডেসের। হয়তো বেদের বাইরের ধর্মে, মানে কল্লোল যকে আদি ধর্ম বলেছে, তাতে ছিলো অমন কোনো দেবীদের প্রাধান্য।

    তাই পুরাণ লেখা শুরু হতেই যেনো ঝাঁকে ঝাঁকে যোদ্ধা দেবীরা এসে বসলেন। দেবীমাহাত্মের চন্ডী আর আমাদের মা দুর্গা প্রায় হুবহু এক। তারা বধ করলেন চন্ড,মুন্ড, শুম্ভ, নিশুম্ভ, মহিষাসুর,দুর্গাসুর - ইত্যকার কতো অসুরদেরই মারলেন এঁরা। পুরুষ দেবতারা তখন কোথায় ?

    আদি শক্তিদেবীর প্রোটোটাইপ?
    তিনি এক মহারাণীর মতন সুসজ্জিতা, অসুর দলনী,সিংহ বাহিনী। সামান্য ভেরিয়শনে অনেক নামে এই সব মুর্তি কল্পনা হয়েছিলো।

    এর মধ্যে ভদ্রকালী নামটি উল্লেখ যোগ্য কেনোনা কালিকা পুরানে এর ধ্যান মুর্ত্তি প্রায় অবিকল দুর্গা/চন্ডীর। পরে তন্ত্রসারে ইনি হাইজ্যাকড হয়ে ভয়ংকরী মুর্ত্তি ধারন করেন।

    মহামেঘতুল্যবর্ণ,কৃষ্ণ বস্ত্র পরিহিতা, ভয়ংকর দাঁত, শবদেহ লেহনরতা, গলায় নরমুন্ডমালা ,বিশাল উদর, কোটরে বসা চোখ । শুধু ই বিভৎস রস,
  • dd | 122.167.8.40 | ২০ নভেম্বর ২০১০ ২২:২৭458362
  • একটা টানা পোরেন ছিলো। একদিকে দুর্গা/চন্ডীর জঁর অন্যদিকে কালীর।

    মাঝমধ্যে খিচুড়ি হয়ে যেতো কিছু ধ্যানমুর্তিই। যেন কালিকা পুরাণের উগ্রচন্ডী, তিনি কাজলের মতন কালো, হাতে গদা ও সুরাপুর্ণ পাত্র,গলায় মুন্ডমালা কিন্তু তিনি অষ্টাদশভুজা,সিংহ বাহিনী এবং মহিষাসুরের নিয়ন্তা।

    আর ভদ্রকালীর তন্ত্রমুর্ত্তির মতন কালিকা পুরণে এমন কি বামন পুরাণ,স্কন্দপুরাণেও এলেন চামুন্ডা। তর বর্ননাটা দেখুন, কতরগত চোখ, মাংসহীন মুখ, অস্থিসার,উর্দ্ধকেশ, ক্ষেণ উদর,ব্যাঘ্রচর্ম্ম পরিহিতা, নানান ধারালো অস্ত্র নিয়ে তিনি শ্বারুঢ়া।

    যক্‌জন দুর্গার থেকে কালীর "গোত্র" আলাদা হতে শুরু করেছিলো তখন সেই রুপ ছিলো শুধু ই ভীতিপ্রদ।

    এরপর আস্তে আস্তে সেটাও চেঞ্জ হয়ে যাবে।
  • dd | 122.167.8.40 | ২০ নভেম্বর ২০১০ ২৩:১২458363
  • এট্টু ডাইগ্রেস করি।

    যখন ঐ ওয়ারিওর গডেস নিয়ে খুব টানাটানি অথচ বেদের কাছে থেকে কিছু পাওয়ার নেই, মোটামুটি দেবী শুণু, তখন ঐ সরস্বতীকে নিয়েই কল্পনা শুরু হয়েছিলো।

    মহানীল সরস্বতী, হলেন তারা।ইনি মূল হিন্দু ধর্মে ঠিক ঠাঁই না পেলেও বৌদ্ধ ধর্মে জাঁকিয়ে বসলেন। তার বেশ কয়েকটি রূপ , যেমন আর্য্য সরস্বতী বা বজ্রসরস্বতী ছিলেন রক্তবর্ণা, শস্ত্রধারিনি, আর বাম হাতে ছিলো নরকপাল।

    হিউয়েন সাং যখন ভারতে এলেন তখন বিভিন্ন স্তুপে তিনি "ব্ল্যাক ম্যাকিক"এর চিহ্ন এখেছিলেন। বৌদ্ধ ধর্মকে প্রায় গ্রাস করে আনছিলো এই হিংস্র দেবী।
  • tatin | 70.177.55.6 | ২০ নভেম্বর ২০১০ ২৩:২৩458364
  • হেভি ইন্টারেস্টিং তো- ঐ হিউয়েন সাং এর অবসার্ভেশন টা
  • dd | 122.167.8.40 | ২০ নভেম্বর ২০১০ ২৩:৩৫458365
  • তো কালী এলেন কবে ?
    কালীর নাম উল্লেখ আছে ঋগবেদে, অগ্নির স্‌প্‌তজিহ্বার একটি। লেলিহান,করালী,কালী.... ইত্যকার নাম ছিলো সেই সব অগ্নিশিখাদের। তার মানে, এটাইমোলজকালী কালী নামের মধ্যে একটা র্দ্ররূপ ছিলো। পরে কালো আর কালী মিশে গেলেন।

    প্রথম উল্লেখিত হলেন বহদ্ধর্ম্মপুরাণে। এটি কোনো মূল পুরাণ নয়।নোন সাল নাগাদ রচিত হয়েছিলো এরকম একটি অতি সহজ প্রশ্নের উত্তর কোথ্‌থাও খুঁজে পাবেন না। তবে ভারত চন্দ্রের আগে - মানে হয়তো ১৬ বা ১৭ সেঞ্চুরি।

    দশমহাবিদ্যার একজন ছিলেন কালী।

    তাঁর প্রথম বর্ননায় তিনি মোটেই ভয়ংকরী নন। তিনি শিবের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে তাঁর স্বর বর্ণ ত্যাগ করে কৃষ্ণবর্ণা হলেন। তিনি পীনন্নত পয়োধরা, বিবস্ত্রা ও মুক্তকেশা। তিনি শিবকে যৌবনমদে অগ্রাহ্য করেছিলেন ও বিশাল দেহ নিয়ে পাহার কাঁপিয়ে পদ্ম লোচনা হয়েছিলেন।
  • dd | 122.167.8.40 | ২০ নভেম্বর ২০১০ ২৩:৩৭458366
  • ন্না, বানান গুলো ক্রমাগত: এঁকে বেঁকে যাচ্ছে। আর ল্যাখা যাবে না।

    তাও তো সংস্কৃত লিখছি ই না।
  • tatin | 70.177.55.6 | ২০ নভেম্বর ২০১০ ২৩:৫৯458368
  • বৃহদ্ধর্ম কি এক্সক্লুসিভ পূর্বভারতের পুরাণ?
  • dd | 122.167.8.40 | ২১ নভেম্বর ২০১০ ০০:০৬458369
  • তা তো জানি নে।

    বৃহদ্ধর্ম্মপুরাণ চোখেও দেখি নি।

    তবে তন্ত্র আর কালী কাল্ট এসেনশিয়ালি বাঙালী।
  • dd | 122.167.3.72 | ২১ নভেম্বর ২০১০ ১১:৪১458370
  • পুরাণগুলি দুর্গা/চন্ডীর নানান রূপে ভরে গেলো। কৌশিকি,কাত্যায়নি,বিন্ধ্যবাসিনি, রক্তদন্তিকা,শতাব্দী,শাকম্ভরী,ভীমা,ভ্রামরী। কতো তাঁদের নাম।তাদের হাতে নিহত অসুরদের ও লম্বা লিস্টি। আছেন বেত্রাসুর,কলিংগদৈত্য, অন্ধকাসুর।তবে রূপের অতো বৈচিত্র নেই। উনিশ বিশ। একটু অন্যধরনের মুর্ত্তি শাকম্ভরীর।

    দশ মহাবিদ্যার থেকেই বোধহয় কালীর আলাদা কাল্ট চালু হতে লাগলো।
    দ্বিতীয় মহাবিদ্যা তারা, যিনি কালীর চেয়ে অনেক প্রাচীন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কয়েছিলেন এই দেবী আন্মাদের দেশেয় নন, ইনি তিব্বত বা চীন থেকে এসেছিলেন। ইলোরায় (ষষ্ঠ শতাব্দী) কয়েকটি তারা মুর্ত্তি আছে।
  • dd | 122.167.3.72 | ২১ নভেম্বর ২০১০ ১১:৫৩458371
  • যা:, আবার খেই হারিয়ে গেলো। উফ।

    অন্নদামংগলে (এই সময়ে কালীমুর্ত্তির পুজা শুরু হয়ে গেছে)ভারত চন্দ্র রায় গুনাকর যে রূপ বর্ননা করলেন, বা তার আগেও কালীর সাথে শিবের স্রেফ কোনো সম্পর্ক ছিলো না। দেবী লোলজিহ্বা ছিলেন কিন্তু লজ্জায় নয়। খুব ই উগ্রমুর্ত্তি।

    বিভিন্ন তন্ত্রে এর পর দেবী মুর্ত্তি পাল্টে যেতে লাগলেন। চমুন্ডা বা উগ্রচন্ডীর মতন অস্থিসার দেহ নয়। তিনি পীন পয়োধরা ও ষোড়ষী। এই রকম বয়সের উল্লেখ আছে এক প্রি টীন বালিকা সরস্বতীর্কিন্তু রেফারেন্সটা মনে আসছে না।
  • dd | 122.167.3.72 | ২১ নভেম্বর ২০১০ ১২:০২458372
  • আর লেখার দরকর নেই। মানে আমার।

    ১৭০০-১৮০০ ,এই সময়ের মধ্যেই কালী সমাজে প্রতিষ্ঠিতা হলেন। বাকীটা সবাই জানেন, প্র বৈ চ একটু বেশী জানেন।

    এবং আমার ধারনা ক্রমাগত: ভাবে কালীকে খুব সহনীয় করে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। সেটাই স্বাভাবিক। তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে কমনীয় আনন্দময়ী শান্ত রূপ। রতাতুরা রতিস্থিতা মুর্ত্তি আর পুজ্য নয়। কষ বেয়ে গড়ায় না রক্তধারা।

    এখানে আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে মাতৃ মুর্ত্তির আবেগে ভেসে গেলেন রামপ্রসাদ ও পরবর্ত্তী প্রজন্মেরা ( আমার ও দারুন লাগ শ্যামা সংগীত শুনতে), সেই কল্যান কর, মংগল কর রূপ তো নয় কালীর? কিন্তু কোন রসায়ণে সেটি সম্ভব হলো?
  • d | 14.96.26.147 | ২১ নভেম্বর ২০১০ ১২:২১458373
  • এদিকে আবার নবদ্বীপের রাসে কেষ্টঠাকুরের প্রেম প্রেম রূপের সাথে নাকি কালীঠাকুরের বীভৎস টাইপও বেশী বেশী করে আছে। নবদ্বীপের রাস নাকি 'শাক্তরাস'। রাসপূর্নিমায় কালীপুজোও হয়। কেন গো ডিডিদাদা?
  • vikram | 83.147.135.239 | ২১ নভেম্বর ২০১০ ১৭:১২458374
  • এটা বড়ো ভালো হচ্ছে তো
  • Shibanshu | 117.195.136.8 | ২১ নভেম্বর ২০১০ ২০:০০458375
  • হিউ এন সাং ভারতবর্ষে ছিলেন ৬৩০ থেকে ৬৪৪ খ্রিস্টাব্দ। তাঁর স্মরণপঞ্জীর দুটি ভাগ আছে। একটি তাঁর ভ্রমণপঞ্জী এবং অপরটি তাঁর জীবনী। এই জীবনী অংশটির প্রামাণ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কারণ সেখানে তাঁর মাহাত্ম্য প্রতিষ্ঠা করার জন্য শিষ্যরা বহু অতিশয়োক্তি নথিভুক্ত করেছিলেন। তবে তাঁর রচনায় উল্লেখ রয়েছে যে ব্রাহ্মণরা বহুদিন থেকেই অথর্ববেদ অনুযায়ী তন্ত্রমন্ত্রের সাধনা করে। তিনি শীলাদিত্য হর্ষবর্ধনের আশ্রিত ছিলেন তাই তাঁর রচনায় কোথাও আমি বৌদ্ধরা কোথাও ব্ল্যাক ম্যাজিকের চর্চা করছে তার উল্লেখ পাইনি, বরং তিনি সতত বৌদ্ধ ধর্মে এসব অনাচারকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়না বলে দাবি করেছেন। একটা উল্লেখ আছে, তবে সেটা ব্রাহ্মণদের সম্পর্কে।

    পন্ডিত নাগার্জুন, যিনি দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশের অধিবাসী ছিলেন, যখন জানতে পারেন যে বৈশালী প্রদেশে বৌদ্ধরা সঙ্ঘারামে বারো বছর ধরে ঘন্টাধ্বনি বন্ধ রেখেছে, কারণ এক ব্রাহ্মণ পন্ডিত তর্কযুদ্ধে বৌদ্ধদের পরাজিত করেছেন। এই ব্রাহ্মণকে 'প্রেতসিদ্ধ' বলা হয়েছে। যে রকম বর্ণনা পাওয়া যাচ্ছে তাতে মনে হয় এই ব্রাহ্মণ বামাচারী বা বীরাচারী তান্ত্রিক ছিলেন। তা নাগার্জুন এই কথা শুনে তথাগত বুদ্ধের পরম পবিত্র আবাস বৈশালীতে আসেন এবং ঐ ব্রাহ্মণকে পরাজিত করে সঙ্ঘারামে আবার ঘন্টাধ্বনির প্রচলন করেন। নাগার্জুনকে বোধিসত্ব হিসেবে স্বীকার করা হয়েছিলো।

    সনতারিখ নিয়ে প্রচুর গোলমাল রয়েছে। যথাসম্ভব সংক্ষেপে বলি অমরকোষ রচয়িতা অমরসিংহকে বিক্রমাদিত্যের নবরত্নের একজন বলা হয়েছে। যদি তিনি বরাহমিহিরের সমসাময়িক হন তবে ষষ্ঠ শতাব্দীর মানুষ। অমরকোষে এই সব পুরাণের উল্লেখ নেই। তিনি পুরাণের যেসব লক্ষণের উল্লেখ করেছেন সেই অনুযায়ী অষ্টাদশ পুরাণ ও বাইশটি উপপুরাণ ষষ্ঠ শতকের পরবর্তী ব্যাপার ( বৃহদ্ধর্মপুরাণ মূল অষ্টাদশ পুরাণের অন্তর্গত নয়)। আবার রঘুনন্দনের (চতুর্দশ শতক) রচনায় এই সব পুরাণ উপপুরাণের কিছু উল্লেখ আছে, কিন্তু তার সংখ্যা অনেক কম। অতএব এই সব পুরাণের প্রকৃত বিকাশ শ্রী চৈতন্যের পরবর্তীকালে। ব্রহ্ম, ব্রহ্মান্ড, ব্রহ্মবৈবর্ত, মার্কন্ডেয়, ভবিষ্য ও বামন, এই পুরাণগুলিকে রাজস পুরাণ বলা হয়। এ গুলিতে ব্রহ্মা, বিষ্ণুর সঙ্গে শিব ও শক্তি দেবতারও মাহাত্ম্য বর্ণনা আছে। তন্ত্রে মোটামুটি ভাবে এই পুরাণগুলি বা এর উপপুরাণগুলিকেই উল্লেখ করা হয়। তবে কূর্মপুরাণে ভৈরব, বাম, যামল, করাল প্রভৃতি তন্ত্র শাস্ত্রের উল্লেখ রয়েছে। অমরকোষে তন্ত্রশাস্ত্রের উল্লেখ নেই। কামধেনু, প্রপঞ্চসার ও বর্ণোদ্ধার তন্ত্রে বর্ণসমুদায়ের বর্ণনা বিশেষভাবে বাংলা অক্ষরপদ্ধতির সঙ্গে মেলে। তাই প্রিন্সেপ সাহেবের মত অনুযায়ী এই সব তন্ত্র নি:সন্দেহে দশম খ্রিস্টাব্দের পরে রচিত হয়েছে।

    তবে সব তন্ত্রকেই 'গৌড়ীয়' তন্ত্র হিসেবে গণ্য করা সমীচীন নয়। এর ব্যতিরেকে আফঘানিস্তান,কাশ্মির, পঞ্জাব, রাজস্থান, কচ্ছ, মহারাষ্ট্র প্রভৃতি এলাকায় প্রভূত তন্ত্রচর্চার প্রচলন ইতিহাসে নথিবদ্ধ আছে।

    অত্যন্ত শুষ্ক আলোচনা। বেশি করা ক্লান্তিজনক।
  • dd | 122.167.42.149 | ২১ নভেম্বর ২০১০ ২০:১৪458376
  • শিবাংশু

    শুষ্ক কেনো হবে? খুব ভালো লাগছে পড়তে। আরো লিখুন।

    হিউএন সাংএর কথাটা আমি পেলাম বাশাম সাহেবের The wonder that was india. pp 280তে। তন্ত্র নিয়ে লিখেছেন Even in the 7th Century Hsuan Tsang found certain monasteries permeated with magical practices। ঐ খানেই আরো লিখেচেন অনেকানেক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী attempted feats of sorcery and nercomancy

    তবে এর সুত্র উল্লেখ করেন নি।
  • aka | 24.42.203.194 | ২১ নভেম্বর ২০১০ ২৩:০৪458377
  • ঠিক ঠিক ঐ নবদ্বীপের রাস আর কালীর সম্পর্কটা জানা খুব দরকার। আমাদের সাথে রাস বা তারার খুব সম্পর্ক থাকার কথা নয়। তাও কেমন করে হল?

    অবশ্যি পুরো দস্তুর ঘটি হওয়া সঙ্কেÄও আমাদের বাড়িতে কোজগরী লক্ষ্মী পুজো হয়। সেটাও নবদ্বীপ থেকেই এসেছে।
  • I | 14.96.186.166 | ২১ নভেম্বর ২০১০ ২৩:৩৭458379
  • বা:, বেশ !
  • Shibanshu | 117.195.129.214 | ২২ নভেম্বর ২০১০ ০০:২৯458380
  • ব্যাশাম সাহেব যখন লিখেছেন তখন সেটা স্বীকৃত। কারন Wonder.... যখন প্রকাশিত হয়েছে তখন হরপ্রসাদ জীবিত ছিলেন আর ক্ষিতিমোহন, গোপীনাথ তো পূর্ণমাত্রায় সৃষ্টিশীল। আমি আমার কাছে হিউ এন সাংয়ের যে ভ্রমণ বৃত্তান্ত রয়েছে সেখানে এই বিষয়টির উল্লেখ পাইনি। ছাড়া প্রবোধ চন্দ্র বাগচি মশায় লিখেছেন খ্রিস্টিয় সপ্তম শতকের মধ্যভাগে হিউ এন সাং যখন শীলভদ্রের কাছে নালন্দায় যোগাচার দর্শন অধ্যয়ন করছিলেন তখনো সেখানে তান্ত্রিক মতের প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে মনে হয়না। তিনি বলেছেন বৌদ্ধ তন্ত্রযান অষ্টম শতক থেকেই নালন্দা, বিক্রমশীলা ও ওদন্তপুরীতে প্রচলিত হয়।
    বৌদ্ধ তন্ত্রযানের যে তিনটি প্রধান ধারা আছে, কালচক্রযান, বজ্রযান ও সহজযান, তার মধ্যে সহজযান অর্বাচীনতম আর এর মধ্যেই বৌদ্ধ দর্শনের চূড়ান্ত অবক্ষয় ও তন্ত্রের নামে ব্যভিচারের বন্যা নামে। শংকরের পূর্বসূরি মালাবারের ব্রাহ্মণ কুমারিল ভট্ট যিনি সম্ভবত বখতিয়ার খিলজির থেকেও অধিক বৌদ্ধ সংহারের নায়ক ছিলেন, তিনি সপ্তম শতাব্দীর মানুষ। শংকর সম্ভবত অষ্টম-নবম শতকের লোক। তাঁর সময়কালের আগেই লোকপ্রিয় সহজযানী বৌদ্ধ মতের পাপে বৌদ্ধ ধর্মের ভিত্তি টলে যায়।

    এর মধ্যে একটি কথা, ধর্মের নামে ব্রাহ্মণরা যত বৌদ্ধ বিনাশ করেছে ততো ব্যপক হত্যা যজ্ঞ সম্ভবত মাহমুদ ঘজনি বা বখতিয়ার খিলজি করতে পারেনি, সোমনাথ বা অন্যত্র। হিন্দু সহিষ্ণুতার যে গালগল্প প্রচার করে নরপশুরা মুখ্যমন্ত্রী-টন্ত্রী হয় তারা এসব দেশের মানুষের কাছে অজানা রাখতে চায়। সেই মৌর্য সাম্রাজ্যের সময় থেকেই এদেশে রাজনীতির দুটি ভার্টিকাল রয়েছে। ব্রাহ্মণের স্বপক্ষে বা ব্রাহ্মণের বিপক্ষে। এর মধ্যে 'হিন্দু'ত্বের কোনও ভূমিকা নেই। ইসলামি বা ঔপনিবেশিক শাসনকালে এই বিভাজনটি প্রত্যক্ষ রাজতন্ত্র থেকে সরে গিয়ে বৃহত্তর সমাজজীবনে আশ্রয় নিয়েছিলো, বর্ণাশ্রম ইত্যাদির ছলে। ইংরেজ বিদায়ের পর আবার সগর্জনে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। যদা যদা হি ধর্মস্য তিনি কখনও আসেন লালকৃষ্ণ-নরেন্দ্র হয়ে, আবার কখনও লালু-মায়াবতী হয়ে। অজ্ঞান তিমিরের অন্ধদের ভাগ্য পরিবর্তন আর হয়না। এই আলোচনাটি হয়তো এক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক, কিন্তু কালী ও তন্ত্রের সাব অল্টার্ন ব্যাখ্যায় এর প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে।
  • Tim | 173.163.204.9 | ২২ নভেম্বর ২০১০ ০৯:১৬458381
  • ব্যাপক হচ্ছে। আরো হোক।
  • kc | 194.126.37.76 | ২২ নভেম্বর ২০১০ ১০:২৯458382
  • ব্যাপক হচ্ছে। আমি একটা ছড়া উল্লেখ করি, সপ্তদশ শতাব্দীতে রচিত বাঁকুড়ার জগৎরাম রায়ের রামায়ণ থেকে, কালীমাতার বর্তমানে প্রচলিত চেহারাটা তখনও এরকমই ছিল। ছড়াটা শিবের মুখে,

    শুনলো শিবা       বলিব কিবা
          তোমার গুণের কথা।
    কহিলে মরম       পাইবে শরম
          গণপতির মাতা।।
    পুর্ব্বকালে       রণস্থলে
          রক্তবীজের নাশে।
    ভীষণ আকার       করে মার মার
          দেবতা পলায় ত্রাসে।।
    বরণ কালী       মুণ্ডমালী
          লহ লহ করে জিহবা।
    করাল বদন       বিকট রসন
          গলিত বসন কিবা।।
    ঘন তর্জন       ঘোর গর্জন
          ভূমেতে লোটে জটা।
    প্রখর খড়েগ       দনুজ-বর্গে
          দলিলে দানব-ঘটা।।
    হইয়া অধীর       খাইয়া রুধির
          খর্পর পূরি যবে।
    লোহিত বর্ণ       নয়ন ঘুর্ণ
          কর্ণ-ভূষণ সবে।।
    যোগিনী সঙ্ঘ       সব উলঙ্গ
          তোমার সঙ্গে নাচে।
    অসুর অমর       করে থরহর
          ভয়ে না আসে কাছে।।
    গুহ গজানন       ভাই দুইজন
          মা বলি কাছে গেল।
    মায়ের সজ্জা       দেখিয়া লজ্জা
          সাগরে ডুবে ছিল।।
    বধিয়া অরি       নাচহ ফিরি
          ঘন ঘন দাও লম্ফ।
    অহি-মহীযুত       কমঠ পীড়িত
          ত্রিভুবন হল্য কম্প।।
    ভূমি টলবল       যায় রসাতল
          চরাচর ডুবে জলে।
    খাইয়া সিদ্ধি       পাগল বুদ্ধি
          পড়ে তোর পদতলে।।
    আমি তোর হর       তেই পদ ভর
          ধরিল আপন বুকে।
    চরণ-স্পর্ধ       বাড়িল হর্ষ
          অঙ্গ অতি পুলকে।।
    এসব মনে       পড়িবে কেনে
          সে গেল অনেক দিন।
    তে কারণে কই       মোর হৃদে সেই
          দেখ পদ-চিন।।
  • tatin | 70.177.55.6 | ২২ নভেম্বর ২০১০ ১০:৪৮458383
  • shibangshu, আমাদের ন্যাড়াপোড়া কি বৌদ্ধধ্বংসের উৎসবের স্মৃতিবাহী?
  • kallol | 220.226.209.2 | ২২ নভেম্বর ২০১০ ১১:৪২458384
  • অ শিবাংশু - এই দ্যাখো, শুকনো কোথা গো? আমার তো খুব ভালো লাগছে। আরও লেখোনা কেন দাদা। তোমার নাহয় জানা ব্যাপার আবার করে জানাতে ল্যাদ লাগছে। আমাদের কথা ভাবো। কেমন ঝাপ বন্ধ হয়ে যাওয়া পানশালার দিকে তৃষ্ণার্ত চেয়ে আছি - আমার সাধ না মিটিলো গাইতে গাইতে।
    অ দীপ্তেন - প্রবৈচ ছাড়াও আমরা যে আছি তার খ্যাল আচে? অ্যাঁ। অক্ষরগুলো এঁকে বেঁকে গেলে অবশ্যি অন্য কথা। সে তো ম-এর ক্ষৃপা। তা, এট্টু প্রবৈচ ভুলে হাত চালাও দিনি।
    পুরোনো মালপত্তর ঘাঁটা ঘাঁটি করতে গিয়ে নানান কালীর ছবি পেলাম। কাকে পাঠাই এই টইতে আপলোড করতে?
  • Shibanshu | 59.93.67.114 | ২২ নভেম্বর ২০১০ ১২:৩৯458385
  • মগধ সাম্রাজ্যের পূর্বভাগের ধর্মবিশ্বাস চিরকালই গোলমেলে। গৌড়, বঙ্গ ও প্রাগজ্যোতিষপুরের মানুষদের ধর্মীয় আনুগত্য নিয়ে আর্যাবর্তের মানুষরা সতত বিড়ম্বিত থাকতো। যেহেতু এখানের জনগোষ্ঠীর মধ্যে একতরফা আর্য প্রভাব নেই বললেই চলে, সেই হেতু তাদের আর্যদের মতো কোনও সরলরৈখিক সামন্তবাদী ধর্মবিশ্বাসের মধ্যে আঁটানো যায়না। তাদের ঐশী বিশ্বাসের মধ্যে ধর্ম ও জিরাফ চিরকালই জড়াজড়ি করে থাকে। সাহেবদের বহু আগে থেকেই এখানের লোকজন সত্যিকারের 'পোস্ট মডার্ন'। পশ্চিম থেকে আসা ফর্সা মানুষদের দল, যাদের মধ্যে 'আর্য', শক, কুষাণ, হুন সবাই, আবার পূর্ব থেকে সমুদ্রপথে আসা পীতজাতির মানুষরা, দক্ষিণের দ্রাবিড়দের সঙ্গে তো প্রগাঢ় আদান প্রদান ছিলো বাণিজ্যসূত্রে। আর ভূমিজ অস্ট্রিক উপজাতিরা, যারা পশ্চিমের অঙ্গদেশ থেকে পূর্বে বরেন্দ্রভূমি পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিলো, আমাদের এথেনিসিটির মধ্যে অবিচ্ছিন্নভাবে জড়িয়ে রয়েছে। ' বল মা তারা দাঁড়াই কোথা?' বাঙালির মনে নিজস্ব অবস্থান নিয়ে এই দ্বন্দ্ব সুপ্রাচীন। আমাদের দেব-দেবী ভিত্তিক লৌকিক ধর্ম বিশ্বাস ( ঈশ্বরবিশ্বাস নয়) এই সমস্ত ধ্যানধারণার সমাপতন। তাই কোন দেবতা বা দেবী আমাদের ইতিহাস ভূগোলে কীভাবে স্থান করে নিয়েছেন তার খতিয়ান নিতে চাইলে ভক্তের নির্বিবাদ নিশ্চিন্ত আত্মসমর্পনের বাইরে এসে 'রাজনৈতিক' সমীকরণের আশ্রয় নিতে হবে।('রাজনৈতিক' শব্দটির প্রতি অনেকের অনীহা রয়েছে, এর আগে কবিতা প্রসঙ্গে আলোচনায় দেখেছি। অনুরোধ থাকলো নিজগুণে এ অধমকে ক্ষ্যামাঘেন্না করে নেবেন, কারণ এই মূর্খ বিশ্বাস করে প্রতিটি মানুষ বা সমাজব্যবস্থার অস্তিত্বই তাদের 'রাজনৈতিক' অবস্থানের সঙ্গে বিজড়িত। )

    সময় পেলে আবার লিখবো।
  • pathak | 151.141.84.194 | ২২ নভেম্বর ২০১০ ২১:২৫458386
  • চমৎকার এগোচ্ছে।

    তারা তিব্বতী দেবী? বর্মামুলুকে ও মনে হয় তারা দেবী বা তার কোনো মডিফাইড ভার্সন আছেন।

    ছিন্নমস্তা কখন এলেন? মন্দির ও নাকি আছে সেই যে ভেড়া নদীর পাশে।

    শ্রী শ্রী চন্ডী তে দেবীর নানা রূপের বর্ণনা আর কীর্তিকলাপ রয়েছে, কেউ কালো কেউ ফর্সা কেউ শিরোমালা গলে দিগবসনা আবার কেউ সর্বালংকারভূষিতা মহারাণীরূপা, কিন্তু লক্ষ করার ব্যাপার হলো এখানে সবাই আবার চন্ডিকারই দীপ্ত দেহে মিলিয়ে যাচ্ছেন এরকম একেশ্বরীভাবনাও আছে।
  • tatin | 70.177.55.6 | ২২ নভেম্বর ২০১০ ২২:০৯458388
  • *প্রিভেল
  • tatin | 70.177.55.6 | ২২ নভেম্বর ২০১০ ২২:০৯458387
  • pathak, হিন্দুধর্মে যাঁরা বই পত্তর লিখতেন, তারা আনন্দবাজার লেভেলের হারামি ছিলেন- অন্য আইডিয়াগুলো প্রইভেল করলেও যাতে তাদের লেখা অপ্রাসঙ্গিক না হয়ে পড়ে, সব রুটই খুলে রেখে দিতেন
  • Shibanshu | 117.195.135.5 | ২৩ নভেম্বর ২০১০ ০০:৩৬458390
  • এই পাতাটিতে এখনও পর্যন্ত যে সব পুথি বা গ্রন্থের উল্লেখ করা হয়েছে যতোদূর জানি তার কোনোটিতেই 'হিন্দু' শব্দের ব্যবহার নেই। ব্রাহ্মণ আছে, শৈব, সৌর, শাক্ত, বৈষ্ণব, বৌদ্ধ আছে, কিন্তু 'হিন্দু' নয়। 'হিন্দু' বা 'হিন্দুত্ব' শব্দ নিয়ে ঘোর কোলাহল যা দেখেছি তা সিপাহি বিদ্রোহের পরবর্তীকালে। কৃষ্ণকুমার মিত্রের হিন্দুমেলা ও টিলকের শিবাজী উৎসব থেকে 'হিন্দু' শব্দের পূর্ণ রাজনীতিকরণ ঘটে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন