এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পায়ের তলায় সর্ষে: সিকিম

    Arijit
    অন্যান্য | ২৫ অক্টোবর ২০১০ | ৯৭৪৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • D | 14.96.210.150 | ২৭ অক্টোবর ২০১০ ১১:০১458661
  • যাই ... যাই.... কই যাই?
    =============

    গত একবছরেরও কিছু বেশী সময় নানারকম সমস্যায় পর্যুদস্ত হতে হতে যখন হাতপায়ের নখগুলো পর্যন্ত ক্লান্ত হয়ে পড়েছে, তখন মনে হল না: আর নয়। এবারে কোথাও একটা যেতেই হবে। পাহাড়ে, মানে হিমালয়ের কোথাও না কোথাও। এদিকে পুজোর সময়ে কলকাতা ও তৎসংলগ্ন অঞ্চল বিভীষিকাস্বরূপ। কাজেই ঐসময়ই যেতে হবে।

    প্রথম চেষ্টা হল অরুণাচল। তো ব্ল্যাঙ্কি বলল যে ওখানে একা একা গেলে নাকি মুন্ডুটা কারো বিয়েতে গিফট হিসেবে দিয়ে আসতে হতে পারে। ব্যপারটা খুব একটা পছন্দ না হওয়ায় ট্র্যাভেল এজেন্ট খুঁজতে লাগলাম। কিন্তু ঠিক জমল না। কেউ বলে 'আমরা একটা ছো-ও-ট্ট গ্রুপ মানে মাত্র ২০ জন নিয়ে যাব'। কেউ বলে 'আমরা তো লক্ষ্মীপুজোর আগে রওনা হব না'। দেখা গেল অজ্জিতও অরুণাচল যাবার প্ল্যান করছে। এক ট্র্যাভেল এজেন্টও জুটিয়ে দিল। কিন্তু তারা ওদিকে আর কোনই খবর দিতে পারে না। এদিকে দিন চলে যায় ..... দিনযাপনের ক্লান্তি আরও বাড়ে .... মরীয়া হয়ে ভূটান যাবার চেষ্টা দেখলাম। বাপ্‌রে! সে কি খরচ!! ব্ল্যাঙ্কি একটা ইটিনেরারি আর সপেক্ষাকৃত কম খরচে ব্যবস্থা করার সন্ধান দেবে ... এই যাস্ট ভিপিএন থেকে বেরিয়েই দিয়ে দেবে। দিন, সপ্তাহ , মাস যায় ... আজ এই ২৭ অক্টোবর অবধি ব্ল্যাঙ্কি ভিপিএন থেকে বেরোয় নি তো।
    ও ভুটান পরে হবে ভেবে কাটিয়ে দিয়ে শেষমেষ সিকিম।
  • Blank | 170.153.65.102 | ২৭ অক্টোবর ২০১০ ১২:২৯458662
  • :-|
  • Samik | 121.242.177.19 | ২৮ অক্টোবর ২০১০ ১১:৪৫458663
  • আরে এই টইটা এগোয় না কেন?
  • Samik | 121.242.177.19 | ২৮ অক্টোবর ২০১০ ১১:৪৬458664
  • ভূটান যদি কেউ ঘুরে এসে থাকেন, একটা সর্ষে খুলে দিন না।
  • Arijit | 61.95.144.122 | ২৮ অক্টোবর ২০১০ ১১:৪৮458665
  • ফরচুনা লাচুং-এ দমুর জন্যে দাঁড়িয়ে আছে। দমু লাচুং অবধি পৌঁছলেই কাটাও-ইয়ুমথাং-জিরো পয়েন্ট যাবে।
  • roks | 203.110.246.230 | ২৯ অক্টোবর ২০১০ ০০:৩৯458666
  • একটা জিনিষ জিগাই, অরিজিৎদার এন জে পির কথা শুনে মনে হলো, মহালয়ার ঠিক আগেরদিন, তেনজিং নোরগে বাসস্ট্যান্ডে অটো থেকে নামার আগেই যেসব দালালরা ধরে, তারা যে অফার দিলো আমাদের জনাতেরো কে গ্যাংটক নামিয়ে দিয়ে আসবে হাজার টাকায়, তাহলে তখন কি তারা অপ্রকৃতিস্থ ছিলো?
  • Nina | 64.56.33.254 | ২৯ অক্টোবর ২০১০ ০১:১৫458667
  • শমীক , এই টইটা আগাইতে চাও তো রঞ্জনেরে ডাক দ্যাও--আবার ঝপাং করে আগেরটি মাঝপথে ঝুলিয়ে এখেনে চলে আসবেনখনে ---তুমি আন্দামান থেকে এমন ডাকলে যে বিকেশাঙ্কেলকে সেই পটেরিয়ার হাতে রেখে দিয়ে ভুলেই গেসেন :-০
  • d | 14.96.161.175 | ২৯ অক্টোবর ২০১০ ০৮:২১458668
  • ছুটি নেওয়ার পাপে
    আছি প্রবল চাপে।
  • Samik | 122.162.75.209 | ২৯ অক্টোবর ২০১০ ০৯:৩০458669
  • :-)

    রক্‌সবিবি,

    আমি তো আগেই বলেছি। এনজেপি গলা কাটার জায়গা। অনেক শস্তা পাওয়া যায় তেনজিং নোরগে বাসস্ট্যান্ড থেকে। শেয়ারিংয়ে গেলে আরও শস্তা।

    আমি যখন ছিলাম ওপাড়ায়, তখন শিলিগুড়িতে অটোরিক্সার অস্তিত্ব ছিল না। কেবল রিক্সা।
  • d | 14.96.183.131 | ২৯ অক্টোবর ২০১০ ১০:১৮458671
  • তেনজিং নোরগে থেকে একটু এগিয়েই গলির মধ্যে মার্কেটটাই কি হংকং মার্কেট? সন্ধ্যে ৭টায় ও আমাকে সানগ্লাস বেচার জন্য ঝুলোঝুলি করছিল।
  • Samik | 122.162.75.209 | ২৯ অক্টোবর ২০১০ ১০:৩৪458672
  • না। তেনজিং নোরগের পাশের গলিতে মার্কেটটা এমনিই মার্কেট, ওটা SJDA, মানে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির মার্কেট। হংকং মার্কেটের আসল নাম বিধান মার্কেট। তেনজিং থেকে পিছিয়ে এসো, এনজেপির দিকে, মহানন্দা ব্রিজ ক্রস করে মহানন্দার এপারে। হিলকার্ট রোড একটু এগিয়েই দুভাগ হয়ে গেছে। ডানদিকেরটা বেরিয়ে গেছে জলপাইগুড়ির দিকে, বাঁদিকেরটা বিধান মার্কেটের পাশ দিয়ে শিলিগুড়ি শহরের ভেতর। কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম। ঐ বিধান মার্কেটই হংকং মার্কেট।

    কাঞ্চন স্টেডিয়ামের পাশে এই সময়ে বসে পড়েছে ভুটিয়া মার্কেট। শস্তায় শীতবস্ত্রের সম্ভার।

    SJDA মার্কেটটাও ভালো, ওখান থেকে একটা ডাবল ডেক কিনেছিলাম চলে আসার আগে, আজও চলছে।
  • Arijit | 61.95.144.122 | ২৯ অক্টোবর ২০১০ ১০:৪৪458673
  • আমিও চাপে। ট্রয়ের রাজকুমারী এখনও অধরা...একটু কাছে এসেই ফের নুকিয়ে পড়ছেন। দেখি, পরের হপ্তায়...
  • Arijit | 61.95.144.122 | ০২ নভেম্বর ২০১০ ১২:১৮458674
  • দমুর গঙ্গাচান (ছুটি নেওয়ার পাপস্খালনের জন্য) হয়নি?
  • d | 14.96.192.45 | ০২ নভেম্বর ২০১০ ১২:৫৩458675
  • এই হয়ে এলো .... :)
  • biskut | 202.78.233.186 | ০২ নভেম্বর ২০১০ ২১:১১458676
  • ইয়ুমথাং এ লাচুং নদীর ধারে প্রিমুল বিছনো ভ্যালিটার কথা কেউ লিখবে না? বা তার দুপাশের পাইনের বন আর বরফের চূড়াগুলোর কথা? নিদেনপক্ষে গুরুদোংমার পথে গাড়ির চাকায় শেকল বেঁধে ওঠার গল্পটা তো হোক! আর বাবাধামে বা নাথুলা গিয়ে আর্মি ক্যাম্পে কেউ বড় বড় গেলাসে ধোঁয়া ওঠা চা খাও নি? তাড়াতাড়ি লেখো সব, নইলে আমার কিন্তু ভারি লেখা পাচ্চে, সব আগে ভাগে লিখে দেবো, হ্‌ম্‌ম্‌ম!!!!
  • biskut | 202.78.233.186 | ০২ নভেম্বর ২০১০ ২১:১২458677
  • * প্রিমুলা আর লাচুং থেকে ইয়ুমথাং যাওয়ার পথে রডোডেনড্রনের সারি, লাল লাল থোকা ফুল
  • d | 14.96.23.52 | ০২ নভেম্বর ২০১০ ২১:৪৭458678
  • টিকিট নাই .... হোটেল নাই
    ===============

    সিকিম যাব এটা স্থির করেই হুড়মুড়িয়ে হোটেল বুকিঙের চেষ্টা শুরু করলাম। ট্র্যাভেল এজেন্ট তো যথারীতি সব ই 'লাক্সারি' আর 'লাক্সারি ডিলাক্স' বলে বলে বেদম ভাড়া চায়। অগত্যা নিজেই নেট ঘাঁটতে শুরু করলাম। প্রথমেই ফেরার টিকিটের সন্ধান, কারণ যাই আর না যাই ২৪ তারিখের মধ্যে ফিরতে আমাকে হবেই। তো প্রচুর খোঁজ-দ্য-সার্চ লাগিয়ে 'জয়দাদা'র শিলিগুড়ি ট্যু কলকাতা ভলভোতে ২৩ তারিখ রাতে জায়গা পাওয়া গেল।

    যাক ফেরাটা নিশ্চিন্ত। এবারে থাকাটাকার বন্দোবস্ত দেখা যাক।

    ট্র্যাভেলগুরু থেকে গ্যাঙটকের কিছু বাজেট হোটেলের খবর পাওয়া গেল। রিভিউ টিভিউ পড়ে 'ক্রিস্ট্যাল প্যালেস'এ মনে হল থাকা যায়। দিলাম বুক করে ১৪ আর ১৫ তারিখের জন্য। তারপর নর্থ সিকিমের জন্য খোঁজাখুঁজি। অজ্জিত খবর দিল 'ফরচুনা'র। নেটে তো এদের ব্যবস্থাপত্তর দেখে বড্ডই পছন্দ হল। এরা দেখলাম গোটা নর্থ সিকিম প্যাকেজটাও বেশ ভাল রেটেই দিচ্ছে। প্রথমে ৪ দিনের প্ল্যান বানিয়েও দেখলাম ৩ দিনেই পুরোটা ঘোরা যায়। শুধু শুধু হোটেলে একরাত বেশী থাকার কোন মানে নেই। আর অজ্জিতরাও ৩ দিনের ট্রিপেই যাচ্ছে। ওদের সাথে গেলে ট্র্যান্সপোর্ট এর খরচটা দিব্বি ভাগাভাগি হয়ে যাবে। অতএব ৩ দিনই থাক। কথা হল ফরচুনা গ্যাঙটকের হোটেল থেকে তুলে নিয়ে যাবে এবং গ্যাঙটকের হোটেলেই নামিয়ে দিয়ে যাবে। এর মধ্যের সমস্ত দায়িত্ব ওদের।

    তো, আমার প্ল্যানটা দাঁড়াল ::
    ১৪ অক্টোবর গ্যাঙটক পৌঁছন।
    ১৫ অক্টোবর গ্যাঙটক সাইটসিয়িং
    ১৬ অক্টোবর ছাঙ্গু, বাবামন্দির, নাথুলা
    ১৭ অক্টোবর গ্যাঙটাক ট্যু লাচেন ভায়া সেভেন সিস্টার ফলস, নাগা ফলস, সিংহিক ভিউ পয়েন্ট
    ১৮ অক্টোবর গুরুদোংমার লেক, চোপতা ভ্যালী হয়ে ঘুরে এসে লাচুং
    ১৯ অক্টোবর কাটাও গ্রাম, ইয়ুমথাং ভ্যালী হয়ে গ্যাঙটকে হোটেলে ফেরত।
    ২০ অক্টোবর সকালে পেলিঙের দিকে চলে যাব।
    ২১ অক্টোবর পেলিঙ সাইটসিয়িং
    ২২ অক্টোবর রাভাংলা
    ২৩ অক্টোবর শিলিগুড়ি এসে রাতে বাস ধরব।
    ২৪ সক্কালবেলা আবার কলকাতা।

    পেলিঙের বুকিং টুকিং ভাবলাম গ্যা?অটকে গিয়েই করব। এদিকে ক্রিস্ত্যাল প্যালেসে তো ১৪ আর ১৫ রাতের জন্য বুক করেছি, ১৬ সকালে ছেড়ে দেবার কথা। অথচ প্ল্যান তো একদিন পিছিয়ে গেছে। তাড়াতাড়ি ট্র্যাভেলগুরু দিয়ে আবার ১৬ তারিখ রাতটাও বুক করলাম।

    হায় তখন যদি জানতাম ................ যাক সেসব যথাসময়ে বলা যাবেখন।

    এইবারে গ্যাঙটকে পৌঁছোবার একটা ব্যবস্থা দেখতে হয়। ট্রেন তো প্রশ্নই নেই, বাসেও টিকিট নেই। অগত্যা বাগডোগরা পৌঁছব ১৪ দুপুরে।

  • aka | 168.26.215.13 | ০২ নভেম্বর ২০১০ ২১:৫৮458679
  • রাবাংলার ছবি কই?
  • biskut | 202.78.233.186 | ০২ নভেম্বর ২০১০ ২২:১২458680
  • এই তো দৌড়ুচ্চে!!! আমরাও লাগাম দিয়ে রইলুম
  • pi | 72.83.80.136 | ০২ নভেম্বর ২০১০ ২২:২০458682
  • চা এর সাথে তো বিস্কুট ও চাই। আপনার গল্প ও হোক।:)
  • biskut | 202.78.233.186 | ০২ নভেম্বর ২০১০ ২২:২৬458683
  • ডি ছাংগু পৌঁছে ধোঁয়া ওঠা চা খাবে যখন আমি কিঞ্চিৎ বিস্কুট যোগান দেবো 'খন, অরিজিতের লেখাটা কেমন খাপছাড়া লাগল, কেমন সব জায়গায় গিয়ে-ও শেষ অবধি যাওয়া হয় নি টাইপ, তাই ডি কে চাগাতে এট্টু খেই দিলুম :)
  • Arijit | 61.95.144.122 | ০৩ নভেম্বর ২০১০ ১০:০৯458684
  • আসলে গুরুদংমার না যেতে পারার দু:খটা একটু বেশিই।

    ইয়ুমথাং-কাটাও-জিরো পয়েন্ট এখনো পৌঁছইনি। গাড়ি লাচুং-এ দাঁড়িয়ে আছে। তবে রডোডেনড্রন গাছের বন নিয়ে লেখার তেমন কিছু নাই, কারণ অক্টোবরে একটিও ফুল ছিলো না।
  • d | 14.96.61.148 | ০৩ নভেম্বর ২০১০ ১১:১০458685
  • বিস্কুট, আপনার ফুলেল গল্পটা লিখে ফেলুন। অক্টোবরের গল্পে ফুল থাকবে না।
  • i | 137.157.8.253 | ০৩ নভেম্বর ২০১০ ১১:২৭458686
  • ছবি কোথায়?
  • Arijit | 61.95.144.122 | ০৩ নভেম্বর ২০১০ ১১:৩৩458687
  • আমারগুলো তো "বেড়ানোর ছবি'-তে অনেকদিন আগেই দিয়েছি। আবার দিলাম - http://picasaweb.google.com/arijit72/Sikkim

    দমু ফেসবুক আর ওর্কুটে কিছু রেখেছে।
  • Manish | 59.90.135.107 | ০৩ নভেম্বর ২০১০ ১৪:৫৯458688
  • এটা শ্লথ্‌গতির টই হয়ে যাচ্ছে
  • Manish | 59.90.135.107 | ০৩ নভেম্বর ২০১০ ১৫:০৬458689
  • ছবিগুলো খুব ভালো লেগেছে।শেষের কলাবনের ছবিটা সবচেয়ে ভালো।:-)
  • Arijit | 61.95.144.122 | ০৩ নভেম্বর ২০১০ ১৫:৪৩458690
  • ঠিক আছে, একটু এগোই। হাতে কিছুটা সময় আছে, রাজকুমারীর পরীক্ষা চলছে।

    ফরচুনা লাচুং হোটেলটা লাচেনের মত হরিব্‌ল না হলেও খাওয়াটা বিশেষ সুবিধার নয়। অবশ্য সেটা ওই জায়গায় জিনিসপত্রের অ্যাভেইলেবিলিটির জন্যেও হতে পারে। কি সব বেগুনের ঘ্যাঁট না কি যেন ছিলো, সাথে পনীর। পরে হিসেব করে দেখেছি গ্রুপ পিছু ওরা যা টাকা নেয়, তার ৫০% ওদের নীট্‌ লাভ।

    ১৯শে অক্টোবর: কাটাও, ইয়ুমথাং, জিরো পয়েন্ট হয়ে গ্যাংটক
    ===============================

    ফরচুনা আরো যে দু নম্বরিটা করেছিলো সেটা হল নিষ্পাপ মুখে প্যাকেজে কাটাও রাখা। হোটেলের লোক এবং ড্রাইভারেরা সকলেই এক বাক্যে বললো যে কাটাও তো যেতে দেয় না - মিলিটারি আটকে দেয়। তাও যেহেতু প্যাকেজে আছে, তাই চেষ্টা করা হবে। সকালে বেরিয়ে আগে কাটাও। ফিরে এসে ব্রেকফাস্ট খেয়ে ইয়ুমথাং/জিরো পয়েন্ট। জিরো পয়েন্ট প্যাকেজে নেই, তাই ওর বাড়তি পয়সাটা ড্রাইভারকে দিয়ে দিলেই হবে। পাসাং ছেলেটা বেশ ভালো - মুখ থেকে হাসি যায় না, আর কোনো কিছুতে অরাজী হয় না। তার ওপর ঋক আর ঋতির সাথে জবরদস্ত দোস্তি হয়ে গেছে।

    ভোর পাঁচটা থেকে আমরা সবাই রেডি, কিন্তু পাসাং-এর পাত্তা নেই। শেষে যখন এলো তখন সাড়ে পাঁচটা বেজে গেছে। তড়িঘড়ি কাটাওয়ের দিকে রওনা দিলাম। কাটাও যেতে হয় লাচুং থেকে অল্প কিছুটা নেমে এসে নদী পেরিয়ে অন্য একটা রাস্তা দিয়ে। তুলনামূলকভাবে ভালো রাস্তা (লাচেন-এর চেয়ে অনেকগুণে ভালো), কিন্তু বেজায় প্যাঁচালো আর চড়াই - এবং সরু। ভাগ্য ভালো ওই রাস্তায় গাড়ি প্রায় নেই বল্লেই চলে - তাই কোথাওই আটকায়নি - ঘুরতে ঘুরতে উঠতে উঠতে অনেক উঁচুতে উঠে যাচ্ছিলাম। নীচের দিকে তাকালে অবাক লাগে - যে ওই রাস্তা দিয়ে আমরা উঠে এসেছি।

    নর্থ সিকিমের গোটা সময়টাতে সকালের দিকে আমরা অবিশ্বাস্য ভালো আবহাওয়া পেয়েছি। পুরো ঝকঝকে নীল আকাশ, সাদা মেঘ, আর দূরে বরফে ঢাকা চূড়া - একদম ক্যালেন্ডারের ফটো। হিমালয়ে এসে এত ভালো আকাশ না পেলে মন খুঁতখুঁ করে, ছবিগুলোতে আকাশ কেমন ঘোলাটে থাকে (লাভা/লোলেগাঁওতে যা পেয়েছিলুম) - ভাল্লাগে না। এইবার, লাচেন থেকে গুরুদংমার যাওয়ার সময় এবং লাচুং-এও, আবহাওয়ার কারণে ছবিগুলো ব্যাপক উঠেছে। তবে এই সময়েই যে পশ্চিম হিমালয়ে আবহাওয়া ঘোঁট পাকাচ্ছে সে খবর জানা ছিলো না। নর্থ সিকিমে বিএসএনএল ছাড়া আর কারও সিগন্যাল পাওয়া যায় না বলে বাইরের সাথে যোগাযোগ ছিলো না যে এসব খবর পাবো।

    ঘন্টাখানেক ঘুরে ঘুরে পাহাড়ে ওঠার পর একটা মিলিটারি ক্যাম্প - এবং সেখানে আটকে গেলাম। গত এক বছরের কিছু বেশি সময় ধরে নাকি কাটাও যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এবারে আরে মেডিক্যাল অ্যাডভাইস নয়, পরিষ্কার "অর্ডার নেহি হ্যায়'। তবে এখানে ছবি নিতে আটকালো না - ক্যাম্পের ছবি না তুললেই হল। ক্যাম্পের ছবি তোলার কোনো দরকারও ছিলো না - কারণ উল্টোদিকে সোজা তাকালে ঝকঝকে আকাশে বরফে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। আমি আগে কখনো কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখিনি - লোলেগাঁও আর রিশপে মেঘের জন্যে দেখা যায়নি - কাজেই ক্যামেরা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। দূরে কাঁচনজঙ্ঘা, তার অল্প আগে বরফে ঢাকা আরেকটা চূড়া - মিলিটারির ভদ্রলোক নামটা বলতে পারলেন না। ছবি তুলতে তুলতে কাঞ্চজঙ্ঘা মেঘে ঢাকতে শুরু করলো - আজনবিকে মুখ দেখিয়েই সম্রাজ্ঞী মুখ ঢাকলেন। কিছুক্ষণ মিলিটারীর ওই দুজনের সাথে গেঁজিয়ে, গরম জল খেয়ে (চা-ও খাওয়াতে চাইছিলেন, মনে হল লোকের মুখ দেখতে পেলে এঁরা ভারী খুশী হন) আবার ঘুরতে ঘুরতে নামা।

    লাচুং-এ ফিরে শুনলাম বাকি সবকটা গাড়ি অনেকক্ষণ রওনা দিয়েছে ইয়ুমথাং-এর দিকে। কেউই আর কাটাও যায়নি। আমরাও আর না দাঁড়িয়ে ব্রেকফাস্টের প্যাকেট সঙ্গে নিয়ে ইয়ুমথাং-এর দিকে রওনা দিলাম।
  • d | 14.96.113.58 | ০৩ নভেম্বর ২০১০ ১৫:৫৫458693
  • সাড়ে পাঁচটা কোথায়? আমরা তো সাড়ে ছটায় রওনা হলাম। :( পাসাং নিচে শুতে গেছিল তো।

    ইশ! আমার হাত নিশপিশ করছে .... অথচ সময় পাচ্ছি না।
  • Arijit | 61.95.144.122 | ০৩ নভেম্বর ২০১০ ১৫:৫৫458691
  • আমার অ্যালবামের ৩৩ থেকে ৩৭ হল কাটাও যাওয়া/ফেরার পথে। ৩৪ নং হল কাঞ্চনজঙ্ঘা (পুরো জুম করে নেওয়া), ৩৩ আর ৩৫ হল অন্য নাম না জানা চূড়াগুলো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন