এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পায়ের তলায় সর্ষে: সিকিম

    Arijit
    অন্যান্য | ২৫ অক্টোবর ২০১০ | ৯৭৪৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • robu | 122.79.36.222 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ০০:৪৩458607
  • আগে চোখা, পরে বাখিম।
  • sinfaut | 127.195.59.167 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৭:২৭458608
  • ডিপেন্ড করছে উঠছো না নামছো। আমি ওঠার সময়ের রুট লিখেচি।
  • I | 192.66.20.83 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ১০:১১458609
  • আহা,পাহাড়ে গিয়ে যদি জঙ্গল না দেখলে তো কি দেখলে! শুধু পাহাড় দেখতে কেউ পাহাড়ে যায়!
  • শিবাংশু | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৬:১৪458610
  • লেখাটা বেজায় ভালো লাগছিলো। ব্রেক লেগে গেলো কেন?
  • Blank | 213.132.214.83 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৭:০৫458611
  • এই টই তে বলে যাই। পেলিং এ থাকতে হলে থাকুন আপার পেলিং এর ফ্লোরেটে। ৯৬৭৪৯২২০৩০।
    সেরা হোটেল এটা। ১৫০০ র মধ্যে ঘর পেয়ে যাবেন। একদম হেলিপ্যাডের ওপরে। ফলে হোটেলের টেরেস টা আসলে হেলিপ্যাড। চারদিকে ৩৬০ ভিউ। মধ্যের রুম থেকে কাঞ্চন জঙ্ঘা দেখা যায়। পাশের রুম থেকে জানলা দিয়ে একটু মুখ বার করতে হয়। দেওয়াল জোড়া বড় সরো কাঁচ।
  • Ekak | 113.6.157.186 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৭:১২458612
  • সারাদিন ঘুটঘুট করে কপ্টার ওঠা নবার শব্দ হবেনাকো ?
  • Blank | 213.132.214.85 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৭:২৫458613
  • নানা ওতে কেউ কোনো দিন হেলিকপ্টার নামিয়েছে বলে মনে হয় না। সারা রাত হেলি প্যাডেই বসে আড্ডা মেরে কাটানো যায়।
  • Ekak | 113.6.157.186 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৭:২৮458614
  • ও । আমি ভাবলুম রেগুলার ওঠে নাবে ।
  • কাব্য | 113.16.69.11 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৬ ০৮:৩২458615
  • বহুদিন থেকেই ইচ্ছা ছিল যে শীত কালে কোন ঠান্ডার জায়গায় বেড়াতে যেতে হবে. আর বেড়ানোর জন্য সব রকম ব্যবস্থা আমাকেই করতে হবে. আগের বছর হল না. তা এ বছরে তো যেতেই হবে. প্রথমেই সংগী ঠিক করা. তা আমরা ২ জন এক বন্ধু আর তার আবার ২ বন্ধু. এই হল ৫ জন.

    এবার প্রশ্ন কোথায় যাওয়া যায়. তা বুনানের থেকে আগের বছরে ই জেনেছি যে দক্ষিণ সিকিম এই সময় আমাদের জন্যে সেরা.

    আর আমি ও সুযোগ বুঝে সব ব্যবস্থা করার ব্যাপার এদের ওপর দিয়ে দিলাম. আর ৩ জন ও মোটামুটি অফিস টপিস বাদ দিয়ে ট্যুর প্ল্যান বানিয়ে ফেলল. সাথে হোটেল ও বুক করা হল. তা ঠিক করা হল পেলিং রাবাংলা আর রেংচিংপো. আমার বহুদিন ধরে ইচ্ছে যে জংগল ডাকবাংলো তে থাকার. তা রেংচিংপো তে তাই ঠিক হল. সেখানে সে এক বিশাল ছড়িয়ে ছিলাম.. তা যথা সময়ে আসবে.

    সব ই তো হল এবার টিকিট. আমারা ডিসেম্বর এর মাঝামাঝি পৌঁছাবো. সেই মতো নিউ জলপাইগুড়ির টিকিট কাটতে গিয়ে দেখি একমাত্র পাহাড়িয়া express র মাত্র কটা টিকিট আছে তাও sleeper class এ. আগের বারের অভিজ্ঞতা থেকে জানি যে রাস্তায় প্রচুর ঠান্ডা পড়ে. এসি কামরা ই ভালো. কিন্তু কি আর করা যাবে. যা পাওয়া যায়. পাওয়া তো গেলো কিন্তু সব side upper. কি জ্বালাতন. একেতো দৈর্ঘ্য প্রস্থ দুই ই বেশি . তবু পাওয়া গেছে. ফেরার টিকিট তো প্রায় পাচ্ছিলামই না. শেষ পর্যন্ত পেলাম হলদিবাড়ি প্যাসেন্জার. ১০ ঘন্টার বসে বসে জার্নি. তাই সই.

    এসে গেল যাবার দিন. ট্রেনে খাবার জন্য আমি নিলাম আমার চন্দননগরের স্পেশাল মিষ্টি জলভরা. যারা জানেনা তারা যারা জানেন তাদের থেকে জেনে নিন. একজন আনবে পরোটা আর এক জন ডিম আলু কষা. আহা চলন্ত ট্রেনে বসে খাবার আলাদা আনন্দ. কিন্তু ট্রেনে উঠে তো চক্ষু চড়কগাছ. উরি তারা কি ভীর. এ ট্রেন দিঘা থেকে আসে. সবকটা সাইড লোয়ার এ ২ - ৩জন করে লোকজন বসে আছে. বসব ই বা কোথায় আর খাব ই বা কোথায়. শেষ অবধি ব্যুফে সিস্টেমে খাওয়া হল. শোবার সময় আবিষ্কৃত হল ঠিক সোজাসুজি আমার সামনের জানালায় কোনো কাঁচ নেই আর পুরো ট্রেনে টিটি র ও দেখা নেই. সিকিম বোধহয় আর পৌঁছতে পারলাম না. কিষনগজ্ঞেই ঠিক জমে যাবো.
  • | ১৭ জানুয়ারি ২০১৬ ১২:৫৪458617
  • তারপর?
  • কাব্য | 113.16.69.11 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৬ ১৫:৫৬458618
  • সব রাতেরই শেষ হয়. এই রাতের ও হলো. ঠান্ডা অন্ধকার রাত শেষ হয়ে শীতের সকালের প্রথম আলো দেখা দিল আর আমাদের ট্রেন টাও বিন্দু মাত্র লেট না করে বরং বিফোর টাইম নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে এসে পৌঁছল. নারায়ণ দা তার নতুন বোলেরো নিয়ে হাজির. শুরু হল স্বর্গের উদ্দেশ্যে যাত্রা. প্রথম গন্তব্য পেলিং.

    কিছুদূর চলার পর সুন্দরী তিস্তা আমাদের সাথী হল. তিস্তা ব্রীজ পার হয়ে গেল. সেখানে প্রাত্যহিক কাজ কম্ম করে টিফিন ও খাওয়া দাওয়া হল. গরম গরম আলু পরোটা.
    মাল্লি বাজার দিয়ে সিকিওরিটি চেক পোস্ট পেরিয়ে সিকিম ঢুকলাম. ওখান থেকেই লোকজন তাদের রাতের রসদ সংগ্রহ করল. তারা তো প্রচন্ড উত্তেজিত.. কি সস্তা কি সস্তা...
    কিন্তু একি চারদিকে এত ধুলো কেন.. আসলে এখানে পাহাড় ভেঙ্গে রাস্তা চওড়া করার কাজ চলছে. নারায়ণ দা জানালো যে আজ রবিবার বলে কাজ বন্ধ আছে. আর তাই জ্যাম ও নেই. চারিদিকে গাছপালা সব পাথরের ধুলো তে পুরো সাদা হয়ে আছে. ভয় লাগল সারা সিকিমে কি এই ধুলো ই দেখতে হবে....
    হঠাৎ করেই আমার মনে পড়ল কেউ একজন আমাকে বলেছিল সিকিম এ চামড়ী গাই র দুধ থেকে কিছু সুরপি পাওয়া যায়, তা যেন অবশ্যই টেস্ট করি. নারায়ণ দা কে সুরপি খাবো বলতে বুঝতেই পারে না. অবশেষে সব ব্যাখ্যার পর বলে ও ছুরপি. তার পর যে দোকান ই পায় জিজ্ঞেস করে ছুরপি ছ? অবশেষে একটা দোকানে পাওয়া গেল. নারায়ণ দা বলল মুখে দিয়ে রাখতে. ১-২ ঘন্টা পর সেটা নরম হবে. সবাই তো মুখে দিলাম.. ইশ কি বাজে খেতে. কোনো স্বাদ নেই. সবাই তো ১০ মিনিট বাদে ই ফেলে দিল. আমি তাও আশায় আশায় ৩০ মিনিট ধরে অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলাম আর তার পর ফেলে দিলাম. আর গ্রুপের লোকজন সারা ট্রিপ আমাকে ছুরপি ছ করে গেলো. অবশেষে পেলিং পৌঁছালাম. তখন প্রায় সন্ধ্যা হয় হয়. চারদিকে সাদা কুয়াশা. আপার পেলিং এ আমাদের হোটেল বুকিং ছিল. কিন্তু হোটেল দেখে সবার মাথা খারাপ হয়ে গেল. ঠিকঠাক ভিউ নেই. অথচ আমরা পেলিং এসেছি কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখব বলে. আর হোটেল বুকিং এর ও প্রধান শর্ত ছিল কাঞ্চনজঙ্ঘার ভিউ পাওয়া যাবে এমন রুম. এই হোটেলের সামনে রাস্তা আর তার সামনে অন্য হোটেল. আর সেই হোটেলের সামনে ভ্যালী আর কাঞ্চনজঙ্ঘা. এদিকে এখানে ২ দিন থাকার কথা. কোলকাতায় যেখান থেকে আমরা বুকিং করেছিলাম সেখানে ফোন করে পরের দিনের বুকিং cancel করা হল. সামনের হোটেলে গিয়ে বেস্ট ভিউ র রুম বুক করা হল এই আশায় যে কাল সকালে নিশ্চয়ই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা দেবে. পরের দিন আশপাশের জায়গা দেখার জন্য গাড়ি বুকিং ও করা হল. এরপর বুঝতে পারলাম ঠান্ডা কারে কয়. মনে হচ্ছিল যে নাক যেন নাকের জায়গায় নেই. বিছানায় যেন কেউ ঠান্ডা জল ঢেলে দিয়েছে. এমনকি লেপ কম্বলের ও একই অবস্থা. এর ই মাঝে একজন বড়প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেল. আসার পর তার কাজকম্ম দেখার মতো হয়েছিল. এর পর থেকে আমারা সবাই সব কিছুর জন্য গরম জলই ব্যবহার করেছি. যাক এরপর গরম গরম পকোরার সাথে সবাই বেশ গ্লাস হাতে নিয়ে বসে পড়ল. এক যাত্রায় পৃথক ফল করা উচিৎ না. আমি ও তাতে যোগ দিলাম. এক দিকে পাশ ফিরেই সারারাত ঘুমতে হল. কারণ পাশ ফিরলেই মনে হচ্ছে অন্যদিকে কেউ যেন বরফ গলা জল ঢেলে দিয়েছে... পরদিন সকাল হল একরাশ উত্তেজনা নিয়ে.. আজ তার দেখা পাবো... বারান্দায় গিয়ে দেখি আজ ও আকাশ কুয়াশায় ঢাকা. তৈরী হতে না হতেই কর্ণ তার গাড়ি নিয়ে হাজির. আমাদের তো আজ আবার হোটেল ও বদলাতে হবে. সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে সামনের হোটেলে রেখে বেরোনো হল.
  • pipi | 117.77.76.96 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৬ ১৯:০৩458619
  • পুপে চন্দননগরের?? ক্ষি কাণ্ড!!
  • কাব্য | 113.16.69.11 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৬ ১৯:৩৭458620
  • পিপি চন্দননগরের নাকি?
  • কিন্তু কিন্তু | 116.77.22.110 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৬ ২০:১৯458621
  • কান্য তো পুপে নয়। কাব্য লুরু আর পুপে পুনা। আলাদা লোক। তাছাড়া শীতে পুপে অজন্তা গিসল।
  • কাব্য | 113.16.69.11 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৬ ২২:০৪458622
  • একদম ঠিক
  • পুপে | 74.233.173.198 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৬ ২২:৫৬458623
  • পিপিদিদি, তাছাড়াও পুপে আসলে রিশড়ার লোক, বিখ্যাত জায়গা কোন্নগরের পরের স্টেশন।
  • d | 144.159.168.72 | ১৮ জানুয়ারি ২০১৬ ১০:৪০458624
  • সে ব্যাই হোক, তারপর কী হল?
  • d | 144.159.168.72 | ১৮ জানুয়ারি ২০১৬ ১০:৪২458625
  • আর কোন হোটে্লের ভিউ খারাপ আর কোন হোটেলের ভাল, সেইগুলো একটু লিখে দিলে ভাল হয় কাব্য। ঐ ট্রিপ অ্যাডভাইসারে দেওয়া থাকে না? অমনি।
  • pipi | 117.77.85.54 | ১৮ জানুয়ারি ২০১৬ ১৯:৫৭458626
  • ইহ!! যা তা ছড়িয়েছি! কাব্য লিখতে পুপে লিখেছি! ভীমরতি আর কারে কয়! ছরিঃ(
    অ কাব্য, তুমি চন্দনগরের কোনখানের? আমি তো বড়বাজার।
    আশকথা পাশকথায় টই এর সুতো কাটার জন্য আগে থেকে ছরি চেয়ে রাখলাম। আসলে এখানে তো কোন্নগর/রিষড়ের লোক বেশি। এই এক আমি আর রাবন্দা ছাড়া (তা তিনিও আর আসেননা) চন্নননগরের আর কাউকে পেলে, যাকে বলে, খুব ইয়ে হয় আর কিঃ)
    লেখা দিব্যি হচ্ছে। আগে বঢ়ো। আর হ্যাঁ, দমদি যেমন লিখল - হোটেলের নামধাম ডিটেল দিলে খুব উপকার হয়।
  • কাব্য | 113.16.69.11 | ১৯ জানুয়ারি ২০১৬ ০৪:৫৬458628
  • পিপি আমার বাড়ি মানকুন্ডু তে. আমি কৃষ্ণভাবিনীর ছাত্রী ছিলাম.
  • কাব্য | 113.16.69.11 | ১৯ জানুয়ারি ২০১৬ ০৪:৫৮458629
  • প্রথম গন্তব্য রিম্পি ফলস্. কিন্তু গন্তব্য তো অনেক পরের ব্যাপার. পুরো রাস্তা টা যেন নিজেই গন্তব্য. কতবার যে গাড়ি থামিয়ে ফটো তোলা হল. এখানে অন্য সিকিম. সবুজ সতেজ তরতাজা. আসবার সময় যে ভয় ছিল তা কেটে গেল.
    রিম্পি ফলস দেখে মন ভরল না. জল খুবই কম. সরু একটা ধারা নেমে এসেছে. তা সেখানেও কিছু ফটো তোলা হল. এর পরের গন্তব্য কাঞ্চনজঙ্ঘা ফলস. এটা দেখে মন ভরে গেলো. এখানে স্কোয়াশ মোমো খাওয়া হল. যদিও তা ছিল শুধুই ভেজ.
  • pipi | 139.74.245.122 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৩:২১458630
  • তারপর কি হইল?
  • কাব্য | 113.16.69.11 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৮:০৯458631
  • আজ আমারা যাব রাবাংলা. শুরু হল যাত্রা. এই ড্রাইভারের নাম সঞ্জয়. এ আমাদের সাথে পুরো বাকি ট্রিপেই থাকবে. পুরোরাস্তায় চারদিকে সুন্দর দৃশ্য আর রাস্তাও ঠিকঠাক. রাবাংলা তে আমাদের হোটেল বুকিং ছিল বাবুমশাই তে. এটা মেন রাবাংলা বাজার থেকে বেশ কিছুটা আগে. এদের হোটেল রুমের সাথে সাথে কটেজ ও আছে. পৌঁছে দেখি এখানেও আমরাই একমাত্র গেস্ট. দরদাম করে আমরা কটেজ ই নিলাম. এক একটি কটেজে ২ টো করে রুম. পুরো কটেজের ভিতর টাই কাঠের. আমাদের এই ট্রিপের বেস্ট হোটেল. সবার জন্য রেকমেন্ড করে রাখলাম. হোটেলে তাড়াতাড়ি জিনিস পত্র রেখে আমরা চললাম টেমি চা বাগান দেখতে. এটা নাকি সিকিমের এক মাত্র চা বাগান. বেশ ভালো লাগলো. কেউ চাইলে এই চা বাগানের ভেতর অবস্থিত চেরী রিসর্টেও থাকতে পারেন. বেশ ভালো লাগবে. এখানে চা খেয়ে চললাম Samdruptse দেখতে. এটা একটা বৌদ্ধ বিহার. এখানে বৌদ্ধ মূর্তি টি বেশ রাগী রাগী. বেরিয়ে ওখানেই খেলাম - - গরম গরম থুপকা. আমার বেশ ভালো লাগলো. সময় দেখি ৪ টে বেজে গেছে. তাই আর কোথাও না গিয়ে আমরা চললাম নামচি বাজারে. সুন্দর সাজানো গোছানো একটা বাজার. সবাই যে যার মত souvenirs কিনলাম. এখানে একটা দোকানে হঠাৎ করে ছুরপি দেখে কেনবার জন্য জানতে চাইলাম মিষ্টি হবে কিনা, বা কতক্ষন মুখে রাখলে তবে নরম হবে.. এই সব কথা শুনে দোকানদার ভীষন রেগে গিয়ে বলল এ সব মিষ্টি হয় না. এ হল time pass. বেশী কথা না বলে আমরা চলে এলাম. সন্ধ্যা হয়ে গেছে.. ঠান্ডা পেলিং র থেকে অনেক বেশি. হোটেলে ফিরে এলাম. আজ আমাদের campfire হবে. কিন্তু কি প্রচন্ড ঠান্ডা বাইরে. Temperature দেখলাম (-১ degree centigrade). সময় তখন সবে সন্ধ্যা ৭ টা. পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাচ্ছে. আজ আর বেশি ঘোরাঘুরি নয়. একটু দেরি করে বেরিয়ে প্রথমে যাবো বুদ্ধ পার্ক আর সেখান থেকে রেংচিংপো. হাতে সময় আছে দেখে আমি একা বেরুলাম হেঁটে চারপাশের পরিবেশ দেখতে. কুড়েঁ গুলো হোটেলে ই রইল. কত ছোট ছোট কিন্তু অপূর্ব কিছু জিনিস দেখলাম. দেখলাম একটা ছোট্ট মিষ্টি চার্চ. তার সামনে দুটো রাজহাঁস বেজায় চেঁচামেচি করছে. আর একটা কুট্টি মিষ্টি ম্যাও রোদ পোয়াচ্ছে তার বডি গার্ড দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে. তারা কারা.. তারা হলো ঘেউ ঘেউ র দল বা কুকুর আর কি. যাক এরপর আমরা চললাম বুদ্ধ পার্ক দেখতে. সকালে একবার ভেবেছিলাম ধুর সেই একই তো মনাস্ট্রী আর যাবো না. এসে বুঝলাম না এলে বিশাল মিস করতাম. বিরাট জায়গা জুড়ে তৈরি হয়েছে. এটার মাথায় যে বুদ্ধ মূর্তি টা আছে সেটা নাকী ৭ কেজি সোনার বেসের ওপর বসানো. ভিতরে হাতে আঁকা অপূর্ব সুন্দর সব ছবি. খুব সুন্দর এই জায়গাটা.
  • kabya | 59.200.21.199 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৮:২৯458632
  • | 213.132.214.81 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৮:৩৫458633
  • " তারপর? তার আর পর নেই। নেই কোন ঠিকানা..... "
  • kabya | 59.200.21.199 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৮:৪৩458634
  • রিম্বি ফলস।


    কান্চনজংঘা ফলস


    অরেন্জ বাগান


    কান্চনজংঘা full range



  • kabya | 59.200.21.199 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৮:৪৪458635
  • | 213.99.211.18 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৮:৪৫458636
  • কাব্য, জমে গেছে...
  • Kabya | 113.16.69.11 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৮:৪৭458637
  • ধন্যবাদ.
    এবার রবাংলার ফটোক
  • কাব্য | 113.16.69.11 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৮:৫০458639
  • আরো কয়েকটা পেলিং এর ফটো
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন