এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পায়ের তলায় সর্ষে: সিকিম

    Arijit
    অন্যান্য | ২৫ অক্টোবর ২০১০ | ৯৭৪৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • de | 59.163.30.2 | ১২ নভেম্বর ২০১০ ১৩:১৬458727
  • এদ্দিনে পুরোটা পড়ে উঠলাম! খুব সুন্দর লাগলো -- বিশেষ করে ব্লগে ছবিগুলোর স্লাইড শো'টা দারুণ!

    দমদির লেখার অপেক্ষায়!
  • d | 14.96.95.99 | ১২ নভেম্বর ২০১০ ১৫:৪৮458728
  • এই সপ্তাহান্তের মধ্যে নামিয়ে দেব --- ইন্‌শাল্লাহ্‌
  • Manish | 59.90.135.107 | ১২ নভেম্বর ২০১০ ১৭:৪৬458729
  • চা তো পেলাম কিন্তু বিস্কিট কোথায়?:-)
  • SB | 14.96.139.32 | ১২ নভেম্বর ২০১০ ২১:০৪458730
  • অরিজিৎ, টিবেট রোড তো এম জি মার্গের কাছেই। বলতে চাইছিলাম এমন কোথাও থাকা উচিত হবে না যেখান থেকে এম জি মার্গে যেতে গেলে ট্যাক্সি লাগে। সেরকম হলে বিকেল / সন্ধে টা পুরোটাই মাটি।
  • Tim | 173.163.204.9 | ১৩ নভেম্বর ২০১০ ২০:৫৯458731
  • আমরা একবার ছিলাম পি ডব্লু ডির গেস্ট হাউজের কাছে। বেশ খানিকটা উঠে গিয়ে। খুব নিরিবিলি। আরেকটু উঠে গেলেই সিনেমা হল ইত্যাদি। রাস্তাটার নাম মনে নেই।

    পেলিং সম্পর্কে অজ্জিতদার কমেন্টে একশো শতাংশ ক। একবার মেঘলা আবহাওয়ায় তিনদিন পেলিং থাকা হয়েছিলো। তিনটে দিনই মাটি।
  • d | 14.96.171.213 | ১৪ নভেম্বর ২০১০ ১১:২৬458732
  • গ্যাংটক - ০
    ========

    ১৩ তারিখ দুপুর থেকে ট্র্যাভেলগুরুর এস এম এস আসা শুরু হল যে আমি যদি দুপুর বারোটায় হোটেলে ঢুকতে না পারি, তাহলে যে আগেভাগে খবর দিয়ে রাখি। নাহলে আমার বুক করা ঘর অন্যলোককে দিয়ে দেওয়া হবে। বার তিনেক মেসেজটা পাওয়ার পর রিস্ক নেওয়া ঠিক হবে না ভেবে ক্রিস্ট্যাল প্যালেসের নাম্বারে ফোন করলাম। তারা তো 'হ্যাঁ হ্যাঁ চলে আসুন কোনো প্রবলেম নেই' বলেটলে বলে কি 'আপনি তো ১৬ সকালে চেক-আউট করবেন'। যত বলি না না আমি আরেকদিনের এক্সট্রা বুকিং করেছি। পরে করেছি, সে ওরা আর বুঝতেই চায় না। শেষে দুত্তোর ওখানে গিয়ে দেখা যাবে, ভেবে ছেড়ে দিলাম।

    ১৪ তারিখ সকালে যখন বেরোচ্ছি, হাউসিঙের পুজো কমিটির যিনি চাঁদা নিয়ে সবচেয়ে বেশী জোর করেছিলেন, তিনি দেখতে পেয়ে বললেন 'আরে আপনি এই পুজোর মধ্যে বেড়াতে যাচ্ছেন!?' তা, তাই তো বলেছিলাম বাপু, যে আমি পুজোয় থাকবই না। সে যাগ্গে, রাস্তা টাস্তা বিলকুল ফাঁকা, হু-হা করে এয়ারপোর্ট পৌঁছে গেলাম। বাগডোগরা নামলাম বেলা 1.15 নাগাদ। নেমে জানলাম বাগডোগরা থেকে গ্যাংটক যাওয়ার হেলিকপটার সার্ভিস আছে। ভাড়া ৩২০০/-। বয়স্ক লোক, যাঁদের পাহাড়ী রাস্তায় কষ্ট হয়, তাঁদের জন্য ভাল অপশান। তবে আমি বলব ঐ পাহাড়ী রাস্তায় ঘুরে ঘুরে সইয়ে সইয়ে ওঠাই ভাল। হঠাৎ করে ৫০০০ ফুট উচ্চতায় গিয়ে উপস্থিত হলে বয়স্কদের নি:শ্বাসের কষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

    বাগডোগরা থেকে গ্যাংটক ১২৪ কিলোমিটার। সবচেয়ে সস্তা হয়, কিছু একটা ধরে শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে বাসস্ট্যান্ডে এসে সেখান থেকে ভাড়া করা। তো, আমার মত একটু আলসে ধরণের লোকের পক্ষে সেটা অল্প চাপের, তাই প্রিপেড বুথে গিয়ে দাঁড়ালাম। তাঁড়া জানালেন গ্যাংটকের ভাড়া ১৬৯০/-, ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে নামিয়ে দেবে, হোটেলে ড্রপ করবে না। অগত্যা প্রিপেডের স্লিপ নিয়ে বাইরে আসতেই একজন এসে ধরল, তারই ট্যাক্সির নাম্বার দেওয়া। সে জানাল গাড়ী হল মারুতি ভ্যান। আমাকে গাড়ীর সামনে দাঁড় করিয়ে সে বলল 'এটায় তো আপনার খুব কষ্ট হবে, হোটেল অবধি যাবেও না, দাঁড়ান আপনাকে একটা ওয়াগন আর ব্যবস্থা করে দিচ্ছি'। পাশে দেখলাম এক দম্পতি প্রচন্ড চেঁচামেচি করছেন যে তাঁরা আর এক পয়সাও এক্সট্রা দেবেন না .... ইত্যাদি। এদিকে ড্রাইভার কোথায় চলে গেছে কে জানে! দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবছি তাহলে হোটেলে পৌঁছাতে নিশ্চয় কিছু অতিরিক্ত চাইবে, তা চাক, কিন্তু তাহলে প্রিপেড ব্যপারটা কি পুরো আইওয়াশ! এইসব ভাবতে ভাবতেই প্রচন্ড হইহট্টগোল। একজন মারাত্মক মোটা লোক এসে আমার জন্য নির্দিষ্ট ওমনিভ্যানের ডিকিটা দ্বাম করে খুলে ফাঁকা দেখে আরো জোরে দ্ব্‌দ্বাম করে বন্ধ করে দিল, সাথে নেপালী ভাষায় যা সব বলছে, সেগুলো নির্ঘাৎ খুব একটা শিষ্ট ভাষা নয়।

    পেছনে পেছনে ড্রাইভার দৌড়ে এসে 'এই যে ম্যাডাম দাঁড়িয়ে আছেন, ওঁর সঙ্গেই মালপত্র', বলে আমার স্যুটকেসটা ধরতে যেতেই সেই বিশালবপু লোকটি দাঁ খিঁচিয়ে আবার কতগুলো কিসব বলে আমার স্যুটকেসটা ধরে টানার চেষ্টা করল। আমি ব্যপার দেখে কিঞ্চিৎ ঘাবড়ালেও স্যুটকসের হাত্‌ল একেবারে শক্ত করে চেপ ধরেছি, যাকে বলে বজ্রমুষ্টি আর কি।
  • d | 14.96.171.213 | ১৪ নভেম্বর ২০১০ ১১:৩০458733
  • ধ্যুৎ বড্ড টাইপো হচ্ছে :(
    ***
    তাঁরা
    দাঁত
    হাতল
  • Sudipta | 115.187.34.154 | ১৪ নভেম্বর ২০১০ ১১:৩৮458734
  • তারপর?
  • d | 14.96.5.206 | ১৪ নভেম্বর ২০১০ ২২:০৯458735
  • যদিও খুব একটা জুৎ হয় নি, তবু ছবির লিঙ্ক।
    http://picasaweb.google.com/tdamayanti/Sikim
    আরো দু-চারটে পরে তুলব।
  • Nina | 68.84.239.41 | ১৫ নভেম্বর ২০১০ ০৫:০৮458584
  • বজ্রমুষ্টি আলগা হবে কখন?
    ছবিগুলো দারুণ সুন্দর--সবই পিকচার-পোস্টকার্ড --জনমনিষ্যি , একদুইখান সোনা মুখ দেখতে পেলে বেশ হত -:)
  • de | 59.163.30.4 | ১৫ নভেম্বর ২০১০ ১০:৩০458585
  • দমদি, হাত খোলো!
  • d | 14.96.79.7 | ১৫ নভেম্বর ২০১০ ১১:০৫458586
  • নীনা, আমি পবলিক ফোরামে নিজের, বন্ধুবান্ধবদের বা তাদের কুচুমণিদের ছবি দিই না। আগে অর্কুটে রাখতাম friends only সেটিংসের ভরসায়। সম্প্রতি সে ভরসাও টাল খেয়েছে তাই ওখানেও রাখি নি।

    দেবযানী, হবে হবে সব হবে। ;-)
  • d | 14.96.79.7 | ১৫ নভেম্বর ২০১০ ১১:১০458587
  • *পাবলিক
  • Nina | 64.56.33.254 | ১৬ নভেম্বর ২০১০ ০০:৪৩458588
  • তা অবশ্য ঠিক দমুদিদি--তা লেখাটা কই??
  • d | 14.96.159.118 | ১৬ নভেম্বর ২০১০ ১৬:৫৩458589
  • হই হট্টগোলের মাঝে যা বুঝলাম গ্যাংটকের কোন যাত্রী এলে তাদের কোন স্থানীয় নেপালী ড্রাইভার নিয়ে যাবে, গ্যাংটকের আশেপাশে যার বাড়ী। দার্জিলিং, কালিম্পং ইত্যাদির ক্ষেত্রেও সেরকমই নিয়ম। সমতলের কোন যাত্রী এলে বাঙালী ড্রাইভার তাকে নিয়ে যাবে। আমার জন্য নির্দিষ্ট গাড়ীর ড্রাইভার ঐ মোটা এবং রাগী ভদ্রলোককে বারবার বোঝায় আমি যেহেতু ভেতর থেকে 'স্লিপ কাটিয়ে' এনেছি, তাই আমাকে ওর গাড়ীর কাছে না এনে ওর উপায় ছিল না, কিন্তু ঐ নিজে থেকে ওঁদের খুঁজতে গেছে। তিনি কিঞ্চিৎ সন্দেহ প্রকাশ করায় আমি তাড়াতাড়ি প্রিপেডের কাগজ বের করি। আর উনি লজ্জায় জিভ টিভ কেটে আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে আমাকে নয় ঐ ড্রাইভারকেই আসলে সন্দেহ।

    যাই হোক সবাই মিলে আমাকে একটা চকোলেট রঙের ওয়াগন আরে তুলে দিল। লক্ষ্যণীয় ব্যপার হল এই গাড়ীর ড্রাইভার কিন্তু এতক্ষণ নির্বিকারভাবে কানে ইয়ারফোন গুঁজে চ্যুইংগাম চিবোচ্ছিল, একটা কথা বলে নি। উঠে পড়তেই সেও কান থেকে প্লাগ খুলে গাড়ীতে উঠে চালিয়ে দিল। মিনিট দশেক চলার পরে আমার হোটেলের নাম জিজ্ঞাসা করল।

    এরপর শুরু হল NH-31A ধরে চলা। বেশ কিছুদূর অবধি তো বিশ্রি গুমোট গরম, মাঝে মাঝে রঙ্গীত নদী দেখা দিয়ে যায়। এদিকে দুপুরের ফ্লাইট হওয়ায় খাওয়াদাওয়াটা কেমন ঘেঁটে গেছিল। বেজায় খিদে পেয়েছে, কিন্তু ড্রাইভার ছেলেটি কিছু কানেই তোলে না .... বাঁইবাঁই করে চালিয়ে যাচ্ছে। শুরু হয়ে গেল পাহাড়ী রাস্তা, এঁকেবেঁকে ঘুরে ঘুরে ওঠা। তারমধ্যে হঠাৎ একজায়গায় নীচের দিকে হাত দেখিয়ে বলে 'হু-উ-উ-ই যে দেখা যায় ড্যানীর বিয়ারের কারখানা .. খুউব ভাল হুঁ হুঁ' কিন্তু খাবার? খাবার কোথায় পাব? 'ইঁহা নেহি, উপর চলো, উঁহা মিলেগা'। খাদের দিকে রাস্তার ধারে পাথরের ওপরে অসংখ্য বাচ্চা, বুড়ো বাঁদর বসে আছে। কেউ উকুন বাছছে, কেউ গম্ভীরমুখে গাড়ী দেখছে, কেউ পেছন ফিরে উদাসমুখে বসে নদী দেখছে। কেউ বা কোন সুন্দরী বান্দরীর মনোযোগ টানতে নানারকম কসরত করছে। ইতিমধ্যে সঙ্গ নিয়েছে তিস্তা।

    রাস্তা রীতিমত খারাপ। মুড়ির টিনে বন্দী ঝালমুড়ির মত ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে রংপো পৌঁছোলাম। সেখানে মস্ত বড় রেস্টুর‌্যান্টে পকোথা ভাজার সুগন্ধ। কিন্তু হায় পার্কিঙে জায়গা নাই বলে গাড়ী দাঁড়াল না। তখন আমার প্রায় কেঁদে ফেলার ইচ্ছে হচ্ছে। ড্রাইভার ভরসা দিল সিংতামে ঠিক খাওয়া পাওয়া যাবে। সিংতাম যখন পৌঁছোলাম তখন ঘুটঘুটে অন্ধকার। আর সেখানে তখন পাওয়ার কাট। ফলে গাড়ী গিয়ে যখন একটা মিষ্টির দোকানের সামনে দাঁড়াল, তখন টিমটিমে মোমবাতির আলোয় মনে হল ছোটখাট কোন জায়গায় এসেছি। কিন্তু পরে দেখেছি সিংতাম বেশ বড়সড় জায়গা। যাই হোক সেই মিষ্টির দোকানে রসগোল্লা আর চা খেয়ে আবার রওনা দিলাম। এদিকে ক্ষিদেয়, অনেকদিন পরে পাহাড়ী পথে ঘুরে ঘুরে ওঠা আর ঝাঁকুনিতে আমার অবস্থা কাহিল। ওদিকে পাহাড়ে নিকষ কালো অন্ধকার নেমে এসেছে।
  • d | 14.96.159.118 | ১৬ নভেম্বর ২০১০ ১৮:১১458590
  • সিংতামের পরে আর কোথাও দাঁড়ানো নেই, সোজা গ্যাংটক। শহরটাকে রাতের বেলায় দেখেও মোটামুটি বড়ই মনে হল। আমার হোটেল আড়িথাং এলাকায়, যেটা এমজি মার্গ থেকে দুই ধাপ নীচে। হোটেলে পৌঁছে জানা গেল ট্র্যাভেলগুরু আমার ১৪-১৫ র বুকিঙের খবর ওদের জানালেও ১৬ তারিখেরটা জানায় নি। কি অদ্ভুত! কেন? তার কোন উত্তর ওদের কাছেও নেই। এদিকে ১৬ তারিখ নবমী -- হোটেল পুরো উকড। কোনো ঘর নাকি খালি নেই। আমি পেমেন্ট কনফার্মেশান, ট্র্যাভেলগুরু থেকে আসা বুকিং কনফার্মেশান দেখালাম। হোটেলের বাঙালী পার্টনার তখন বললেন 'ঠিক আছে ঠিক আছে কিছু একটা ম্যানেজ করে দেওয়া যাবে'

    এই ক্রিস্ট্যাল প্যালেস' হোটেলটা মোটামুটি। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, গরম জলটলও আছে। অপেক্ষাকৃত ভাল কোথাও জায়গা না পেলে চলে যায় আর কি। তবে সেই ১৬ তারিখে ওরা যে ঘরটা দিয়েছিল সেটা অতি বাজে। মানে তখনও লাচেনের হোটেল দেখিনি তো, তাই বেশ রাগ করেছিলাম।

    এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি তাশি-ডেলেক হোটেলের ছাদ থেকে নাকি কাঞ্চনজঙ্ঘার চমৎকার ভিউ পাওয়া যায়। তবে সে হোটেলের চার্জ প্রচুর বেশী। গ্যাংটকের কিছুটা আগে একটা ভিউ পয়েন্ট থেকেও নাকি কাঞ্চনজঙ্ঘার ফুল-ভিউ পাওয়া যায়। কিন্তু রাতের বেলায় আসায় সেও আমার দেখা হয় নি।

    যাই হোক, খেয়েদেয়ে ঘুম দেওয়া গেল। কাল সকালে উঠে সাইট সিয়িঙের ব্যবস্থা করা যাবে।
  • Nina | 68.84.239.41 | ১৭ নভেম্বর ২০১০ ০৫:২৯458591
  • আচ্ছা দমুদিদি, ঐ উদাস বাঁদর, প্রেমিক বাঁদর , কবি-বাঁদর (মানে নদী দেখছিল তো) এদের তো কিছু ছবি পাব্লিক ফোরামে দিতে পার---গ্যাংটকি বাঁদরারা কি আর একটূ বেশি খ্যাঁদা হয় নাকি, দেখতুম!
  • d | 14.99.70.95 | ২১ নভেম্বর ২০১০ ১৮:৩০458592
  • গ্যাংটক - ১
    ========

    হোটেল থেকে জানা গেল গ্যাংটক সাইটসিয়িঙের ২-৩ রকমের প্যাকেজ হয়। সেভেন পয়েন্ট হলে ১০০০/- টাকা, টেন পয়েন্ট হলে ১২০০/-টাকা ১৫ পয়েন্ট হলে ১৫০০/-টাকা ইত্যাদি। এটা পুরো গাড়ী বুক করার খরচ। কেউ শেয়ারে যেতে চাইলে মাথাপিছু দু তিনশো টাকার মত লাগে।

    ১৯৪০ সাল অবধি গ্যাংটক ছিল ছোট্ট একটা পাহাড়ী জনপদ, তিব্বতের লাসা থেকে ভারতের পূর্বপ্রান্তে আসাযাওয়া করা ব্যবসায়ীদের এক রাত্রি আস্তানা নেওয়ার জায়গা। ১৮৪০ সালে এনচে গুম্ফা তৈরী হওয়ার পর বৌদ্ধধর্ম চর্চার কেন্দ্র হিসাবে গ্যংটকের গুরুত্ব বাড়ে। ব্রিটিশদের হাতে তিব্বতের পরাজয়ের পর তিব্বত ও ব্রিটিশ ভারতের মধ্যে একটি বৃহৎ বাণিজ্যকেন্দ্র হিসাবে গ্যাংটক গড়ে উঠতে থাকে। সিকিমে ব্রিটিশের অধীনস্থ নামগিয়াল বংশ শাসন চলছে তখন। ১৮৯৪ সালে সিকিমের সম্রাট রাজধানী তামলং থেকে সরিয়ে গ্যাঙ্‌টকে নিয়ে এলে গ্যাংটক ক্রমে ক্রমে বড় শহর রূপে গড়ে ওঠে।

    গ্যাংটকের আবহাওয়া ভারী চমৎকার। সারাবছরই না-ঠান্ডা, না-গরম একটা ব্যপার। এখানে বলে রাখি, গ্যাংটকসহ গোটা সিকিমেই কোথাও সিলিং ফ্যান বা টেব্‌ল ফ্যান দেখি নি। এসির তো প্রশ্নই নেই। ছাদের সিলিঙে ফ্যান লাগানোর কোন ব্যবস্থাই নেই। এর থেকেই খানিকটা অনুমান করা যায় আবহাওয়া সম্পর্কে। ঠান্ডাও তেমন মারাত্মক কিছু পড়ে না। গ্যাংটক ও আশেপাশে এই অক্টোবরে দিনেরবেলায় তো হাফহাতা শার্ট/কুর্তাই ঠিক আছে, সন্ধ্যের পরও ফুলহাতা হলেই চলে। গরম জামাটামার দরকার নেই।

    যাই হোক, সাইট সিয়িঙে বেরিয়ে প্রথম গেলাম রাঙ্কা মনাস্টারি। বেশ নতুন গুম্ফা, বেশীদিন তৈরী হয় নি। ঢোকার মুখেই লম্বা সারিতে জপযন্ত্র। একধার থেকে একটা একটা করে ক্লকওয়াইজ ঘুরিয়ে অন্যধার অবধি পৌঁছে গেলে বস্তা বস্তা পূণ্য অর্জন হয়। সব ধর্মেই কিছু শর্টকাট পূণ্যার্জনের ব্যবস্থা থাকে। সে অমুক তমুক নদীর জলে ডুব দিয়েই হোক, কি ভগবানের উদ্দেশ্যে কোন পশুবলি দিয়েই হোক কি জপযন্ত্র ঘুরিয়েই হোক। মস্ত প্রাঙ্গনের এক কোণায় কিছু বাচ্চা বাচ্চা লামা বসে পড়াশোনা করছিল। বছর ১০-১২ র বেশী বয়স নয় কারো। ক্রমশ: পর্যটকদের ভীড় বাড়তে থাকায় তারা পুঁথিটুথি গুটিয়ে উঠে যায়। বয়সোচিত চাপল্যে কয়েকজন দুটো করে সিঁড়ি টপকে টপকে ওঠে। ঘোর অধার্মিক বলেই বোধহয় আমার মনটা খারাপ হয়ে যায়। এইটুকু টুকু ছেলে কোথায় হেসেখেলে বাবা মায়ের কাছে বড় হবে, তা না বাবা মা ওদের দিয়ে দিয়েছে গুম্ফায়, সন্ন্যাস নেওয়ার জন্য।
  • d | 14.99.70.95 | ২১ নভেম্বর ২০১০ ২০:৫০458593
  • পরবর্ত্তী গন্তব্য বন-ঝাকরি ফলস ও এনার্জীপার্ক। ঝাকরি হল ওঝা বা শমেন (Shamanism -- Shaman), যারা দুষ্ট আত্মা তাড়িয়ে রোগবালাই দূর করে। বনঝাকরি আর বনঝাকরিণী এই জলপ্রপাতের আশেপাশেই ডেরা বেঁধে থাকত বলে কথিত। বনঝাকরি আর বনঝারিণীর মূর্তিও আছে। বনঝাকরি বেঁটেখাটো গাঁট্টাগোট্টা পুরুষ, বনঝাকরিণী লম্বা, ঘোরকালো, হাতে খড়্‌গওয়ালা, করালবদনা অতি ভীষণ দেখতে নারী। দুইপাশে দুই বড় শ্বদন্ত বেরিয়ে আছে, হিংস্র মুখভঙ্গী। শুনলাম বনঝাকরি নাকি ছোট ছোট পবিত্রচিত্ত বাচ্চাদের ধরে আনত শমেনিজম-এ দীক্ষা দিয়ে 'ঝাকরি' করার জন্য। যেসব বাচ্চা সত্যিই 'পবিত্রচিত্ত' এবং যারা বনঝাকরিণীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারত (যে বাচ্চাগুলো চালাকচতুর আর কি!) তাদের ঝাকরি তার বিদ্যা উজাড় করে শিখিয়ে দিকে দিকে পাঠিয়ে দিত মানবকল্যাণের জন্য।

    এহেন পবিত্র জায়গায় সিকিম সরকার কিছুদিন আগে একটি সৌরশক্তি গবেষণা ও উৎপাদনকেন্দ্র স্থাপন করেছেন। সঙ্গে একটি পুঁচকে মিউজিয়ামও আছে। আর এইসেছে অব থাকলে তার সঙ্গে দু চারখানা স্যুভেনিয়র'এর দোকান টোকানও থাকবে বৈকী। কাজেই দু চারখানা খাবার দোকান ও একটা মোটামুটি গোছের রেস্ট্যুর‌্যান্টও আছে।

    এইসব দেখেটেখে গেলাম রোপওয়ে দেখতে। লোয়ার গ্যাংটক থেকে এক্কেবারে আপার গ্যাংটকের সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত যাওয়ার রোপওয়ে আছে। কেবলকারে করে ওঠার জন্য এমন লম্বা লাইন পড়েছে যে দেখেই ভয়ে পালিয়ে এলাম। দেখতে খুব কিছু আহামরি লাগলও না, অল্প একটুখানিই চড়া, তাও বন্ধ কেবলকারের মধ্যে। এখান থেকে গেলাম একটা পুষ্প প্রদর্শনী দেখতে। সিকিমের প্রাক্তন রাজার বাগানের একপ্রান্তে একটা ছোট্টমত গ্রিনহাউস বানিয়ে তারমধ্যে কিছু গাছপালা, ফুল ইত্যাদি। না দেখলেও তেমন কোন ক্ষতি নেই।

    দো-দ্রুল-চোর্তেন স্তুপ- বেশ বড়সড় স্তুপ। এখানেও সারিবেঁধে ১০৮ টা জপযন্ত্র রয়েছে। এই স্তুপের শিখরটা সোনায় মোড়া। এখানে গুরু রিম্পোচে ( পদ্মসম্ভব) এর দুটো মস্ত মস্ত মূর্তি আছে।

    এর কাছেই নামগিয়াল ইন্সটিট্যুট অফ টিবেটোলজি, একটা অসাধারণ জায়গা। এই ইন্সটিট্যুট ও মিউজিয়াম সোমবার থেকে শনিবার সকাল দশটা থেকে বিকেল ৪ ট পর্যন্ত খোলা। দেখতে গেলে বিকেল তিনটের মধ্যেই পৌঁছে যাওয়া ভাল। ভেতরে ছবি তোলা নিষেধ। মিউজিয়ামে দুর্দান্ত ভাল থাংকা আর পুঁথি বা পুঁথির অংশবিশেষ রয়েছে। সংস্কৃত, নেপালী, চাইনিজ, তিব্বতী, লেপচা এমনকি বাংলা স্ক্রিপ্টও দেখলাম। যদিও অক্ষরগুলো দেখে মোটেও বর্তমান বাংলা হরফের সাথে কোন মিল পেলাম না। একাদশ ও দ্বাদশ শতকের দুটো পুঁথির অংশ, প্রজ্ঞা-পারমিতা সূত্র লেখা রয়েছে। বৌদ্ধধর্ম ও তন্ত্রসাধনার বিভিন্ন উপচারও রয়েছে। তার মধে একজোড়া পাত্র, মানুষের মাথার খুলি দুইভাগ করা, মৃত আত্মার উদ্দেশে জল দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হত। এছাড়া রয়েছে বোধিসঙ্কেÄর বিভিন্ন মূর্তি। এগারোমাথা আর হাজারহাতওয়ালা অবলোকিতেশ্বরের মূর্তি আছে। আছেন তারাসুন্দরী ও আরো দুজন দেবী (নাম ভুলে গেছি)। অবলোকিতেশ্বরের মূর্তিটায় একটা বৈশিষ্ট্য লক্ষ করলাম। মাথাগুলো রাবণের মত পাশাপাশি অবস্থিত নয়, একটার উপরে আরেকটা করে চুড়োর মত করা। এইভাবে অন্তত পাশফিরে ঘুমানো যাবে, রাবণের ঐ পাশাপাশি মাথা সাজানোয় পাশ ফিরে ঘুমানো সম্ভব নয়।

    এই ইন্সটিট্যুটের সাথে একটা হ্যান্ডিক্র্যাফটস আইটেমের দোকানও আছে। কিন্তু আমি যখন পৌঁছেছি ততক্ষণে ওটা বন্ধ হয়ে গেছে। অল্পস্বল্প দু:খ রয়ে গেল সেজন্যে।
  • d | 14.99.70.95 | ২১ নভেম্বর ২০১০ ২২:২৭458595
  • গনেশ টাক আর হনুমান টক পাহাড়ের ওপর গনেশ আর হনুমানের মন্দির। এরমধ্যে হনুমান টক মস্ত উঁচু। বহুদিনের অনভ্যাসের পর সারাদিনধরে পাহাড়ের বিভিন্ন উচ্চতায় ওঠানামা করে বেজায় ক্লান্ত ছিলাম, হনুমান টকে উঠি নি কষ্ট করে। গনেশ টকে উঠেছিলাম, মন্দির কেমন জানি না, তবে ওপর থেকে ভিউটা চমৎকার।

    দিনের সর্বশেষ গন্তব্য তাশি ভিউ পয়েন্ট। বেশ অনেকখানি সিঁড়ি বেয়ে উঠে একটা সরু ফালিমত জায়গায় একটা দূরবীণ রাখা। ওপর থেকে গ্যাংটক শহরটার ভারী চমৎকার ভিউ পাওয়া যায়। আর অন্যান্য কিছু অনামা শৃঙ্গের সাথে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘাও। এই গোটা ট্যুরে মেঘ আর কুয়াশা আমার সঙ্গ ছাড়ে নি, এখানেও যখন গেলাম, টিকিট কাউন্টারের প্রৌড়া হেসে বললেন 'উপরে উঠে লাভ নেই, তেমন কিছু দেখতে পাবেন না, আপনি চাইলে টিকিট দেব, তবে আমি বলি বরং কাল সকালে আসুন।' পরে আবার কবে যাব না যাব ভেবে জোর করে টিকিট নিলাম, উঠলাম। কিন্তু কাঞ্চনজঙ্ঘা হায়, কিছু মেঘের পুঞ্জ হয়েই রইল।

    এরপরে সোজা এসে নামলাম এম জি মার্গে, গ্যাংটকের মল এলাকা। দুপাশে অজস্র দোকান আর অজস্র ট্যুরিস্ট দেখতে দেখতে পেলিং যাওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য খোঁজ শুরু করলাম। একটা কি যেন ট্র্যাভেল এজেন্সি, একটি লেপচা ছেলে বসেছিল, অসম্ভব উদাসীন গলায় বলল 'আভি বুকিং করনে সে বহোত জাদা লাগেগা। আপ দশেরাকে বাদ আও সস্তে মেঁ হো যায়েগা।' সে এমনকি আমার থেকে অ্যাডভান্স বুকিং নিতেও অস্বীকার করে। তাশি ভিউ পয়েন্টের সেই প্রৌঢ়া, এই ছেলেটি --- এ শুধু হিমালয়েই সম্ভব, আগেও দেখেছি। সমতলের কোন ট্যুরিস্ট স্পটে কক্ষণো এভাবে বলে দিত না, ভ্যাবলা ট্যুরিস্টের থেকে একটু বেশী রেট নেওয়াটাই দস্তুর তো। মাঝে মধ্যে হিমালয়ে গেলে মানুষের প্রতি ক্রমক্ষীয়মাণ বিশ্বাস আবার ফিরে ফিরে আসে।

    আর একটু খোঁজাখুঁজির পর সিকিম ট্যুরিজমএর একটা অফিস দেখলাম। সেখানে ঢুকে আলাপ হল জনের সাথে। জন শাঙ্কের, অ্যাসিসট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার অপারেশানস - STDC। ভদ্রলোক তৎক্ষণাৎ বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে বুকিঙের ব্যবস্থা করলেন। রাবাংলায় কোনও বুকিং পাওয়া গেল না। পেলিঙে হোটেলের বাজেট রুম পাওয়া গেল, বাকী সব বুকড। উনিই পরামর্শ দিলেন টিমি চা বাগানের ভেতরে পিডবিউডির বাংলোয় থাকতে। অনেক নীচে হচ্ছে বলে আমি একটু খুঁত্‌খুঁত করছিলাম, কিন্তু জন বারবারই বললেন যে একেবারে বাগানের ভেতরে থাকার অভিজ্ঞতা
    নাকি একেবারে ইউনিক।

    ভদ্রলোক আমার থেকে দুই রাত পেলিঙের হোটেলের আর একরাত টিমি বাংলোর ভাড়া নিয়ে ওখানে ফোন করে কনফার্ম করে দিলেন। আমাকে কোন রিসিট দিলেন না, বরং নিজের কার্ড দিলেন একটা। আমার কুচুটে মন ঠিক নিশ্চিন্ত্র হতে না পেরে ওঁকে রিসিটের কথা, কনফার্মেশানের কথা জিজ্ঞাসা করল। ভারী অবাক হলেন ভদ্রলোক। বললেন রিসিট তো দেবে ঐ হোটেল বা বাংলোর লোকজন, আর উনি তো ফোনে বলেই দিয়েছেন যে টাকা উনি পেয়ে গেছেন, আবার সমস্যা কী? তা বটে,! আমিও মাথাটাথা চুলকে বেরিয়ে এলাম।

    পেলিঙে হোটেল 'হাং রী লজ' আপার পেলিং, দিনপ্রতি ৮০০/-টাকা। টিমি টি গার্ডেনের বাংলো দিনপ্রতি ১০০০/- টাকা। লোকাল সাইটসিয়িঙের ব্যবস্থা হোটেল/বাংলো থেকে করে দেবে, আমাকে সেখানেই টাকা দিতে হবে।

    পশ্চিম সিকিমের ব্যবস্থা মোটামুটি হল। ব্যাস নিশ্চিন্ত! এইবারে একটু দোকানবাজার দেখা যাক। কাল আবার চাঙ্গু নাথুলা যাওয়া।
  • d | 14.96.197.92 | ২২ নভেম্বর ২০১০ ০৭:১৫458596
  • টেস্ট টেস্ট
  • Binary | 198.169.6.50 | ২২ নভেম্বর ২০১০ ০৮:২০458597
  • বেড়ে হচ্চে। দাম করে গাড়ির ডিকি খুলে আবার দ্বাম করে বন্ধ করাটা পড়ে বেজায় হাসি পেল। সেই কোন কালে সিকিম গেছিলাম ....
  • de | 203.199.33.2 | ২২ নভেম্বর ২০১০ ১৭:৩২458598
  • দারুণ হচ্ছে, দমদি!
    পাশ ফিরে শোয়া অবলোকিতেশ্বর কি মহাদেব না বুদ্ধদেব? :))
  • পুপে | 74.233.173.203 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৮:৫৪458599
  • এই টইটা নাকি দময়ন্তী দি? লেখো লেখো। তুলে দিলুম।
  • cb | 208.147.160.75 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৯:৫২458600
  • ওফ সেই উঃ সিকিম, সেই গুরুডোংমার। ২০১০ এ যাওয়া বন্ধুদের সাথে। কি পরিমাণ অনভিজ্ঞ ছিলাম!!!!!

    সেখানে পৌঁছে আলোচনা শুনুনঃ

    ১মঃ গুজু, প্ল্যানটা কি? লেকটা তো বেশ বড়ই মনে হচ্ছে

    গুজুঃ হুম্ম, পুরোটা কি পাক দিতে পারবি? (চোখ মুখ কুঁচকে)

    ১মঃ লেটস ডু ওয়ান থিং। কোয়ার্টার যাই, আবার ব্যাক করে আসব

    গুজুঃ ওটা কম হয়ে যাবে রে, এত যায়্গায় গেলাম এই লেক তো পাতি

    ১মঃ মাথাটা ব্যাথা করছে, কাল রাতে মদটা বেশি হয়ে গেল

    গুজুঃ তার ওপর আবার আর্লি রাইসিং, মাথাটা ......

    ওদিকে কারা ফস করে বিড়ি ধরিয়ে ফেলেছে

    গুজুঃ চ এক টান দিয়ে নিচে নামি, এই আর্মির লোকগুলো কেমন যেন

    লেকের পাড়ে পৌঁছেঃ

    ১মঃ কি বুঝছিস?

    গুজুঃ কোয়ার্টার যাবি আর? কি রকম একটা বোধ করছি

    ১মঃ ওটা কে রে? সৌমেনদা কি বরফ ভেঙ্গে জলে পড়ে গেল?

    গুজুঃ মার গাঁড়াক, আমি একটু শুই

    ১০ মিনিট বাদে ব্যাক ইন গাড়ি

    তো এই পোচুর পাঁয়তাড়া কষে ২০ মিটার যেতে পেরেছিলুম। হতাহতের সংখ্যা ০ :P
  • Isotonic Hawkes | 117.167.116.86 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ২০:৪০458601
  • এর পরে আরো তিনবার (নাকি চারবার) সিকিম ঘোরা হয়েছে। আরো অনেক ঘটনা, আর ক্রমশঃ সিকিমকে সাংঘাতিক ভালোবেসে ফেলাঃ-)
  • | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ২১:৩১458602
  • হায় আমার আর তারপরে যাওয়া হয় নি, এটারও কত খুঁটিনাটি ভুলে গেছি। এমনকি গুরুদোংমারও দেখা হয় নি।
    ভেউ ভেউ ভেউউ

    অজ্জিত লিখবেখনে।
  • Isotonic Hawkes | 117.167.116.86 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ২১:৪০458603
  • দুস্স্স্স্স

    তুমি ল্যাখো, আমি ঘুমাই।
  • I | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ২৩:০০458604
  • না না ডম, লেখো। আবার ফিরে পড়লাম। দিব্য হচ্ছিল। যদি অবশ্য সব মনে থাকে। আমি তো অনেক ভুলে যাই।
  • sinfaut | 74.233.173.203 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ২৩:৫১458606
  • আমার সিকিমের থেকে গাড়োয়াল বা হিমাচল বেশি ভালো লাগে। এক তো মোটাসোটা নদী বয়ে গেলে অনেকদূর পর্যন্ত ভিউ পাওয়া যায়, বুগিয়ালও বেশি আছে। সেই তুলনায় সিকিমের পাহাড় চাপা, ভেজা। বাখিম থেকে ছোখা তো পুরো দমচাপা জঙ্গল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন