এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • সুচিত্র মিত্র

    ulpu sen
    গান | ০৪ জানুয়ারি ২০১১ | ১০৫৭১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ulu sen | 59.93.198.225 | ০৪ জানুয়ারি ২০১১ ০৯:৫২464137
  • সুচিত্র নোয়, আমি লিখে্‌ত চেয়েছি সুচিত্রা।
  • kumudini | 122.162.233.140 | ০৪ জানুয়ারি ২০১১ ১০:০৭464231
  • সুচিত্রার কিশোরীবেলার একটি ছবি আছে এখানে,আর বিষ্ণু দের লেখা কবিতার নাম- http://www.telegraphindia.com/1110104/jsp/nation/story_13389218.jsp
  • achintyarup | 59.93.242.230 | ০৫ জানুয়ারি ২০১১ ০৪:৪৩464242
  • কুমুদিদি, "কুসুমে বজ্রে তীব্র যার সদা ছন্দায়িত প্রাণ' ছিল কবিতাটার একটা লাইন। কবিতার নাম: "সুচিত্রা মিত্রের গান শুনে'

    (দ্বিতীয় শব্দটা "মিত্রের' কি "মিত্রর' ঠিক মনে নাই)
  • a x | 99.53.140.72 | ০৫ জানুয়ারি ২০১১ ০৫:১৭464253
  • কুসুমে বজ্রে ইত্যাদি বিষ্ণু দে'র লেখা কবিতা। কিন্তু কবিতার নাম রবীন্দ্রনাথ। আমার বন্দুক শ্রেষ্ঠ কবিতা থেকে পাঠাল।

    কবিতার প্রথম অংশ -
  • a x | 99.53.140.72 | ০৫ জানুয়ারি ২০১১ ০৫:১৮464264
  • রবীন্দ্রনাথ
    বিষ্ণু দে

    বিনিদ্র শতাব্দী ব্যেপে দিনরাত্রি বেঁধে যে সূর্যের
    দীর্ঘ আয়ু একাধারে বাঁশি ও তূর্যের,
    কুসুমে ও বজ্রে তীব্র যার সদা ছন্দায়িত প্রাণ,
    ধ্যান যার সূর্যোদয়ে, সূর্যাস্তে বিধুর যার গান,
    সেই তো বিশ্রামহীন মধ্যাহ্নের কর্মিষ্ঠ রৌদ্রের
    প্রাবল্যে চেয়েছে ফল ফুল আর আউষ আমন,
    সেখানে সবার হতে অধম ও সর্বহারা দীন,

    চেয়েছে যে প্রতিদিন দেশব্যাপী সর্বতোভদ্রের
    সর্বত্র সকলে হোক সচেতন সচ্ছ্বল ও সুখী I

    হে বন্ধু তোমরা বলো কেন তবু বলিষ্ঠ মননে
    আলোকিত নিত্যকর্মে আমরাও সৌন্দর্যে স্বাধীন
    সর্বদা উদগ্রীব নই, লক্ষ লক্ষ চিত্ত সূর্যমুখী?
  • achintyarup | 59.93.242.230 | ০৫ জানুয়ারি ২০১১ ০৫:২০464275
  • থ্যাঙ্ক ইউ অক্ষ। কিন্তু আমি যে কাল থেকে বিষ্ণু দে-র লেখা ঐ সুচিত্রা মিত্রর গান শুনে কবিতাটার খোঁজ করে যাচ্ছি, তার লাইনগুলো কে বলে দেবে?
  • a x | 99.53.140.72 | ০৫ জানুয়ারি ২০১১ ০৫:৪৫464286
  • খোঁজ জারি হ্যায়। "জাসুস" লাগানো হয়েছে।
  • achintyarup | 59.93.241.156 | ০৬ জানুয়ারি ২০১১ ০৫:০৯464297
  • বিষ্ণু দে-র লেখা

    সুচিত্রা মিত্রের গান শুনে

    বাগান ভরেছে, ফুলে, আলোয় আলোয়,
    শাদা, লাল, নীল, হলুদ, নানান রঙে ফুলে ফুলে ফুলময়।
    আর পল্লবেও, হরেক সবুজে, আলোর সরস স্পষ্টতায়।
    সমস্ত বাগান ছেয়ে রং আর গন্ধের বাহার,
    বাগানে, ঘরেও, বাহিরে অন্দরে, জানালায় বারান্দায়
    টবে ছাতে সর্বত্র গন্ধের ইন্দ্রধনুর সম্ভার,
    বর্ষার শান্তির আর সচ্ছল হিমের আসন্ন হাওয়ায়
    পাপড়ির বিচিত্র ঢঙে, কেশরের নানাভঙ্গে সাজে।

    কে বলে কয়েক বিঘা!
    ভিতরে থাক তো দেখো, মনে হবে
    সারাটা পৃথিবী যেন খুঁজে পাওয়া যায়
    অক্টোবরে প্রাণের গৌরবে জানালায় বারান্দায়
    আর বাগানে উঠানে, যেমনটি পাওয়া যায় গানে গানে
    পলি বালি জলে ধোয়া সোনার বাংলায়।
    আকাশের নীল তীরে অসীম উজানে যে বাঁশি বাজায় তাতে
    চোখ ভাসে ফুলের হাওয়ায় মুক্ত রঙ্গে দুলে দুলে!
    পশ্চিমের পাহাড়ের কঠিন ভঙ্গিমা
    সীমা পাবে আঁকাবাঁকা ফুলমতি-পাড়ে,
    এমন কি পাঁচিলের পারে লাল পথটাও
    রঙের বিন্যাসে মনে হবে উল্লসিত ইতিহাস,
    অন্য এক সাহসের সেজানের আঁকা।
    বর্ষার অশ্রুতে আর রৌদ্রের ধিক্কারে
    মানুষের সঙ্কল্পে ও প্রেমে শ্রমে
    সোরা ক্ষার সার হাড়ের ধুলায় ক্রমে ক্রমে
    আমাদের বাগানের আশ্চর্য ঐশ্বর্য এই
    কয়েক হাজার মৃত্যুঞ্জয় গাছ আর লক্ষ লক্ষ ফুলের মহিমা।
    ঘুরে ফিরে চোখের বিরাম নেই, ঘ্রাণেরও,
    নি:শ্বাসে নি:শ্বাসে নেই বুঝিবা বিশ্রাম, প্রাণেরও,
    যেদিকে তাকাই সবুজ আস্তরে থরে থরে
    রঙে গন্ধে কলিজা অবধি প্রাণ ভরে।
    এমন কি চোখ যেন গান করে
    পাহাড়ের কষ্টিতে, লাল পথে,
    আকাশের নীল স্রোতে, শরতের অশরীরী শুভ্র মেঘে,
    যে দিকে তাকাই গান, রঙে গন্ধে গান আর গান,
    না শুনে থাকাই ভার, থামিয়ে রাখাই ভার।
    সারাদিন ধরে এই ভোরাই ভয়রোঁয়,
    রাখালি সারঙে কিংবা ঘরেফেরা পূরবী খাম্বাজে।

    কয়েক হাজার গাছে নানা সাজে এল অক্টোবরে
    আনন্দ, আনন্দই বা প্রত্যাশী প্রসাদ,
    শিশু, বৃদ্ধ, মেয়ে বা পুরুষ প্রত্যেকের দেয়
    আর প্রত্যেককে দেয়,
    বাগানে বাগানে ঘরে ঘরে
    যেন সে বিজয়ী বধির আপ্লুত সংগীতের
    --বেনেডিক্‌টুস, বেনেডিক্‌টুস--
    সামগ্রিক ঐশ্বর্যের যুক্ত সপ্ত স্বরে
    মানবিক উত্তরণে মনের বৈভব।

    জানি এর তলে তলে বহু অশ্রুভরা বেদনায়
    বহু মৃত্যু আকুলতা, বহু স্মৃতির আমেজ,
    দূর ও নিকটে বহু দীর্ঘ ইতিহাস, সুদূরের মিতা ওগো মিতা,
    মেঘ রৌদ্র, রক্তময় শ্রম, গবেষণা, অনেক দিনের চিতা,
    ধুলা, মাটি, ছাই, বহু হাড়ের পাহাড় অন্তরে অন্তরে
    জানি ফুল মাটির জঠরে, পৃথুল তিমিরে চেতনায়
    খোঁজে আপন আকাশ।
    কাঁকরে কাদায় শিকড়ের গোপন বিস্তারে
    প্রাণ পায়, চলে যায় নিরেট মাটির ফাঁকে
    বিকাশের অন্ধকারে, এমন কি পাললিক স্তরে,
    এমন কি আগ্নেয় স্মৃতির গ্রানিট্‌ পাথরে,
    হাতে হাতে পায়ে পায়ে শিকড়ে অঙ্কুরে
    জোগায় রঙের গন্ধের রসদে রসদ সরস
    অবশ্যম্ভাবিতার অবাক্‌শাখায় পরাগের ঊর্ধ্বমূল স্তব।

    আমরাও জানি তো, ভাবিও তাই যে,
    তাই মনে রং ধরে সুগন্ধে ঘনায় রবীন্দ্রসংগীতে
    নন্দিত জীবনে নির্ভীক অজস্র রঙে ফুল ফোটে
    সার্থক জন্মের মাগো শিকড় ছড়ায় বাহিরে ও ঘরে
    সর্বত্র বাস্তব,
    অলৌকিক বাগানে অন্দরে অন্ধকারে পাথরে কাদায় ভিজে
    অন্তরে অন্তরে গানে গানে মাটিতে কাঁকরে জীবনের ভিতে।।

    ২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৯
  • kumudini | 59.178.41.166 | ০৬ জানুয়ারি ২০১১ ১২:২৮464308
  • অনেক ধন্যবাদ,অচিন্ত্যরূপ।
  • a x | 99.53.140.72 | ০৬ জানুয়ারি ২০১১ ১২:৪৯464138
  • হামারা তরফসে ভি বহোত সারে শুক্রিয়া।
  • kumudini | 59.178.41.166 | ০৬ জানুয়ারি ২০১১ ১৩:০৪464149
  • এই টইটার নামের বানানটা ঠিক করা যাবে না?
  • achintyarup | 121.241.214.34 | ০৬ জানুয়ারি ২০১১ ১৮:৪৯464160
  • আরও একটা লেখার কথা আবছা মনে পড়ছে। অশোক মিত্রের কবিতা থেকে মিছিলে বইয়ের কোনো প্রবন্ধে ছিল, যেখানে মিত্রমশাই লিখেছেন কোনো এক মিছিলে গান গাইতে গাইতে হাঁটছেন সুচিত্রা মিত্রা, গানের তালে তালে হাত উঠছে, নামছে, তালে তালে উঠছে আর পড়ছে হাতের সরু রুলি...
  • Abhyu | 97.80.156.230 | ১০ জানুয়ারি ২০১১ ০২:২৩464171
  • আমি কটা গান দেব এখানে - কারো কিছু স্পেশাল রিকুইজিশান আছে?
  • pi | 72.83.86.24 | ১০ জানুয়ারি ২০১১ ০২:৫৪464193
  • ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী

    কান্নাহাসির দোলদোলানো
  • Abhyu | 97.80.156.230 | ১০ জানুয়ারি ২০১১ ০২:৫৬464204
  • ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী দিয়ে দেব, অন্যটা হবে না। উপরের গানটা ভালো না? কনিকার থেকে কতো আলাদা ...
  • achintyarup | 59.93.242.44 | ১০ জানুয়ারি ২০১১ ০৩:২৭464215
  • @ অভ্যু: বেলা গেল তোমার পথ চেয়ে
  • pi | 72.83.86.24 | ১০ জানুয়ারি ২০১১ ০৩:৪২464226
  • হুঁউ।
  • sana | 110.32.48.25 | ১০ জানুয়ারি ২০১১ ০৬:৪২464232
  • খাঁচার পাখি থাকে সোনার খাঁচাটিতে,বনের পাখি থাকে বনে।।।।।
  • ranjan roy | 117.200.40.54 | ১০ জানুয়ারি ২০১১ ১২:৪৭464233
  • সকাল সাড়ে সাতটা হবে। ক্লাস ফোরের একটি ছেলে ঘুমুচ্ছে। ঘুমের মধ্যে কানে ঢুকছে কাছে রাখা ব্যাটারিচালিত রেডিও থেকে ভেসে আসা গান।
    "" রাত্রি এসে যেথায় মেশে দিনের পারাবারে,
    তোমায় আমায় দেখা হল সেই মোহানার ধারে''।

    উনি সঞ্চারীতে পৌঁছুলেন-
    "" নিতলনীল নীরব মাঝে বাজলো গভীর বাণী,
    নিকষেতে উঠলো ফুটে সোনার রেখা খানি।''
    ছেলেটা উঠে বসলো, তখন দ্বিতীয় অন্তরা চলছে-
    "" মুখের পানে তাকাতে যাই, দেখি দেখি দেখতে না পাই''
    গান শেষ হল।
    এতক্ষণ আপনাদের রবীন্দ্রসংগীত শোনালেন শ্রীমতী সুচিত্রা মিত্র।

    সেই খাদে নামা গলায় মন্ত্রোচ্চারণের মত "" নিতলনীল নীরব'' এর ডাক আর "" দেখি দেখি দেখতে না পাই'' য়ের অব্যক্ত যন্ত্রণার রেশ আজও অমলিন।

  • DeMu | 122.248.183.1 | ১০ জানুয়ারি ২০১১ ১৪:৪৪464234
  • আমার সুচিত্রার অনেক গান তেমন ভাল লাগে না। উচ্চারণ খুব ভালো, কিন্তু আমার অনেক সময় বেশ কৃত্রিম মনে হয়। যেমন "আশোক বনে" বউনে হয়ে গেছে। "সন্ধ্যা" স অ ন্ধা। সুর (স্বরস্থান) খুব ভালো, কিন্তু একটা বয়েসের পর উত্তরত্তর বেসুরো। কী দরকার ছিল আর রেকর্ড করার? একটা ভুল উদাহরণ রেখে যাওয়া। দৃপ্ত বলিষ্ঠ কণ্ঠ - কিন্তু বেশ কিছু গানে সেটা গুণ না হয়ে দোষই।
    সুরের অনুপূঙ্খে স্বরলিপি থেকে চ্যুতি অনেকক্ষেত্রে অমার্জনীয়।
  • kumudini | 59.178.50.22 | ১০ জানুয়ারি ২০১১ ১৬:০৪464235
  • সত্যি?
    আর আমি কিনা সারাজীবন ওঁর গান শুনে "বাঁচলাম"।
    ""ভুল উদাহরণ"'রেখে গেছেন?দেশে-বিদেশে এত গুণমুগ্‌ধ,এত ছাত্রছাত্রী,রবীন্দ্র ভারতী- কেউ টের পান নি,না?

    একজন শিল্পীর গান কারো ভালো লাগল না,এতো খুবই স্বাভাবিক।কিন্তু সুচিত্রা মিত্রের বিষয়ে লিখতে গিয়ে "কি দরকার ছিল ভুল উদাহরণ রেখে যাওয়ার?"এটা মেনে নিতে পারলাম না।
    আবার এইটা পড়ে নিলাম -http://en.wikipedia.org/wiki/Suchitra_Mitra
  • Kartuj | 121.244.209.245 | ১০ জানুয়ারি ২০১১ ১৬:৪৯464236
  • আ-আ-র সেই মানুষটি চলে যাবার পর তাঁর 'অমার্জনীয় ভুল' নিয়ে গবেষণা করতে আতসকাঁচ নিয়ে নাহয় নাই বসলেন। আপনি নিজে ঠিকঠাক জানলেই তো হল। শুনবেন না ওনার রেকর্ড তেমন হলে, মিটে গেল। তবে দাদা একটা কথা বলি, আপনাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। যাঁর কাছে ছোটোবড় সব শিল্পীরা নিজেদের ভুলভ্রান্তি শোধরাতে যেতেন, সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব থেকে নিশ্চিন্ত হতেন যাঁর গাওয়া ভার্সানটি শুনে, তিনি আপনার হাতে একেবারে caught red-handed যাকে বলে। তা একটু সেই সব ভুলের লিংকটিংক ছাড়ুন না, শুনি।

  • kumudini | 59.178.37.175 | ১০ জানুয়ারি ২০১১ ১৭:০০464237
  • কার্তুজকে বলি,আমি শুনেছি ও দেখেছি,অনেক বিখ্যাত/অল্পখ্যাত/অখ্যাত আবৃত্তিকার কোন শব্দের উচ্চারণ সম্বন্ধে সংশয় হলে সুচিত্রার সিডি/ক্যাসেটে শব্দটি খুঁজতে।
  • kumudini | 59.178.37.175 | ১০ জানুয়ারি ২০১১ ১৭:০২464238
  • "আবৃত্তিকারকে"
  • Kartuj | 121.244.209.245 | ১০ জানুয়ারি ২০১১ ১৭:১৬464239
  • ওনাকে আমি শেষের দিকে বেশ কয়েক বছর কোনো গান টিভিতে বা কোনো লাইভ অনুষ্ঠানে গাইতে শুনিনি। পাছে স্বরচ্যুতি হয়, সেই কারণে ইচ্ছাকৃতভাবেই হয়ত সর্বসমক্ষে আর গাইতেন না। ইটিভি বাংলায় 'অনেক দিনের আমার যে গান' নামে রবীন্দ্রসঙ্গীতের ওপর একটি মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান হত, তাতে একাল সেকালের বহু প্রোথিতযশা শিল্পীরা আসতেন। সুচিত্রা এসেছিলেন প্রথম দিকের একটি পর্বে, কিন্তু সেখানেও নিজে কোনো গান করেননি, কোনো গানের প্রসঙ্গ এলে তাঁর এক ছাত্রী উক্ত গানগুলি গেয়েছিলেন। এতেই বোঝা যায়, বয়সের কারণে স্বরপ্রয়োগে ভুল হয়ে রবীন্দ্রগানের অমর্যাদা যাতে না হয়, সে বিষয়ে কতটা সচেতন ছিলেন উনি।

    অথচ, তাঁর স্মরণে একটি অনুষ্ঠান হচ্ছিল গতকাল ২৪ ঘন্টায়, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় 'পথে চলে যেতে যেতে' গাইতে গিয়ে বহু জায়গায় বেসুরো গাইলেন, যা খুবই শ্রুতিকটু লাগল। মনে মনে ভাবছিলাম, না গাইলেই তো পারতেন। বয়স কি কাউকে রেহাই দেয়?
  • Shibanshu | 59.97.233.26 | ১০ জানুয়ারি ২০১১ ১৭:২৩464240
  • কুমুদিনী, মুগ্‌ধতা দিয়ে deMu র কথার উত্তর হয়না। সবই তো জানা কথা। তবে ব্যক্তি আমি যে স্তরের 'সুচিত্রামুগ্‌ধ' তাতে যদি আরও দশ বছর পরে তাঁর গলায় সব পর্দা গুলিই ভুল লাগতো, তবু আমি শুনতে চাইতাম। একটা উপমা দিতে ইচ্ছে করছে। রবিবাবু আমাদের জন্য যদি একটি তীর্থ হন, তবে সুচিত্রা একটি তীর্থপথ। সেটি কোথাও সিক্স লেন রাজপথ, কোথাও বা গ্রামছাড়া ঐ রাঙা মাটির পথ। যাঁরা রোল্‌স ফ্যান্টমের তীর্থযাত্রী তাঁদের ঐ রাঙা ভাঙা পথে হয়তো অসুবিধে হবে, কিন্তু আমাদের মতো চিঁড়েমুড়ি বাঁধা পদাতিকদের সবই পথমাত্র। তীর্থে পৌঁছোতে পারলেই হলো। তাই আজ নয়, আমাদের পৈতৃক প্রজন্ম থেকেই সুচিত্রা শুধু শ্রোতাদের জন্য নন, তিনি তীর্থপথিকদের জন্য। বয়সজাত সুরচ্যুতি বা তাঁর ট্রেডমার্ক দীপ্র ভঙ্গি, সবই মলাটের রং, তিনি তো থাকেন বইয়ের গভীরে...., কাগজগুলো একটু হলুদ, ভঙ্গুর হয়তো হয়ে গেছে, তাতে কীই বা আসে যায়।
  • kumudini | 59.178.37.175 | ১০ জানুয়ারি ২০১১ ১৭:৪১464241
  • অসাধারণ,শিবাংশু,অসাধারণ লিখেছেন।আপনারা তীর্থপথে চলেছেন,আমার যাত্রাই শুরু হলো না এখনো।তবু নিশিদিন যাঁর কাছে ভরসা পাই,তিনিই সুচিত্রা।
  • Abhyu | 97.80.156.230 | ১০ জানুয়ারি ২০১১ ১৭:৫৭464243
  • বয়স হয়েছে অনেক তখন তাঁর, একা পুরো চন্ডালিকা গেয়ে শুনিয়েছিলেন টিভিতে। সে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। কি করে বোঝাই? কণ্ঠে মিষ্টতা কমে এসেছে, কিন্তু তবু নাট্যগীতি গাওয়ার যে জাদু তাঁর জানা ছিল, তাতে সারাক্ষণ মুগ্‌ধ করে রেখেছিলেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন