এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কলিভাট

    Bratin
    অন্যান্য | ৩০ নভেম্বর ২০১০ | ৯৬৯৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Bratin | 122.248.183.1 | ৩০ নভেম্বর ২০১০ ১৩:০১467462
  • শুরু করে দিন ম্যাডাম রা....
  • M | 59.93.215.238 | ৩০ নভেম্বর ২০১০ ১৩:১২467531
  • হ্যাঁ এবার কাবলিদার বাড়ির ভাটের গপ্প:

    আমার দ্বিতীয় ভাট,যেতে আদেও পাবো কিনা বুঝতে পারছিলামনা, কারন সবার যে সময় টা সামাজিকতা করার , আমার সেসময়টাই ব্যস্ততায় কাটে।

    যাহোক ঋভুকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম, ও ব্যাটার গিটার ক্লাস হলে একবার বাড়ি ঢুঁ মারতেই হবে, সেখানে বুড়ো বুড়ি দুটো যত দিন যাচ্ছে তত অবুঝপনা বাড়িয়ে চলেছে, সপ্তাহে একদিন বাড়ি যাই, না গেলেই গাল ফোলে, সঙ্গে আমার ছানাটার ও। আর যেতে যেতেই ছেলের সাথে চাট্টি মারপিট হয়ে গেলো, আমি বললাম আমার সাথে চল(সেকি আর সাধ করে, জানি একা গেলেই কাব্লিদা বকবেন, কপালে দু:খু থাকলে আর খন্ডাবে কে?)কিন্তু সে ব্যাটা দাদুন বাড়ি গেলে কি আর আমায় পাত্তা দেয় নাকি?

    যাকগে যথারীতি হাজরার অটোতে চাপতে যাবো, শাড়ী টাড়ী পড়ে জিতা জাগতা একটা সেফটিপিনের দোকান হয়ে চলেছি, যাতে কেউ না বাচ্চা বলে,চুলে একটা খোঁপা বাঁধার ও ভীষন ইচ্ছা পাচ্ছে, একটু গম্ভীর টম্ভীর দেখায় যাতে, তা চুলটারো আক্কেল জ্ঞান থাকলে কিনা, তিনমাস দিব্বি বড় হলো, চতুর্থ মাসে সেটা ঘাড় অবধি নেমেই অ্যাবাউট টার্ন করে গুটিয়ে যেতে চায়, এত সব গান গাইছি কেন? সেকি আর এমনি রে! অটোতে আমি উঠতে যাচ্ছি এই সময় আমায় হতভম্ব করে দুজন লোক আমায় ঠেলে উঠে পড়লো, গম্ভীর চেহারা হলে পার্তো নাকি?:( আমি কাঁদো কাঁদো মুখে তাকিয়ে আছি, পেছনে যে আরো একটা সিট খালি সে আর দেখতে পাচ্ছি না, কিন্তু অটো ওলাটা ক্লাসিক, রাজেশ খান্না টাইপ ঘার হেলিয়ে চোখ দিয়েই ক্যায়সে যেন উঠে পড়তে বললো আর আমি ঝপাং করে চড়ে পড়লাম।তারপর কত্ত কত্ত গান শুনতে শুনতে চললাম, তার মধ্যে একটা অদ্ভুত গান, তুমি আমার, তুমি আমার বলেই চলেছে, আর সেটা টিরিং টারাং টাইপের ভাবে, আর রসিক ছেলেটা রাসবিহারি থেকে হাজরার দিকে যে ব্যস্ত রাস্তাটা যাচ্ছে সেখানে সেই গানের তালে তালে জিক জ্যাক করে চলেছে। সে যাকগে, আমায় দিব্যি সে ফেরার লোক তোলা সত্বেও না নামিয়ে হরিশ মুখার্জি রোডের মুখে ছেড়ে দিলো আর আমিও দিব্যি একে তাকে জিজ্ঞাসা করতে করতে বলরাম দাস ঘাট না কি যেন,সেখানে পৌছে গেলাম, আর সেখান থেকে দিব্যি চিনে ফেললাম কাব্লিদার বাড়ী, কে বলে আমি চেনা রাস্তাও চিনতে পারিনা।

    কাব্লিদার বাড়িতে একটা দারুন মজার ব্যাপার আছে, সেটা হলো ছিটকিনির সাথে একটা দড়ি বাঁধা, সেটা উপরে বসে টানলেই চলে, দিব্যি দরজা খুলে যায়, এটা নাকি কাব্লিদা যে একজন ইঞ্জিনিয়ার তার প্রমান দিচ্ছে।:P ওহ! বাড়ি ঢুকতে গেলেই দেখা যাবে মুন্ডুর উপর গুরুর ব্যানার ঝুলছে, আর একটা আছে গলিতে ঢোকার মুখে, ভুল হবার কোনো উপায় ই নাই।আমি ঢুকতেই দেখলাম কে যেন একটা নতুন জামাই টাইপের, আরে এ তো ব্রতীনের সাথে মিলছে, আমি হাই বললুম আর ব্যাটা ক্যামন ঘাবরে গেলো। তারপর উঠে দেখি কাব্লিদা আর ব্রতীন ছাড়া সুমেরু আর সামু রয়েছে খালি, আর কেউ নেই।ক্ষী ক্ষান্ড! আমার ই দেরী হবার আর আমি আগে এসে গেছি। আমরা জমিয়ে অড্ডাচ্ছি, এমন সময় জেমসের মানে তিলের ফোন এলো, ব্রতীন একটা গুরুচন্ডালি হাতে লাজুক লাজুক ভাবে জেমসকে রাস্তা চিনিয়ে আনতে চললো কাব্লিদার পরামর্শ অনুযায়ী, আর রঞ্জনদার ফোন এলো, উনি না ট্যাক্সিওয়ালা কে যে কাকে ঘুরিয়ে নিয়ে বেরাচ্ছিলো কে জানে, মোট কথা কাব্লিদার পাড়াতে মানে মম দিদির পাড়াতে উনি সন্দেহ জনক ভাবে চক্কর কাটছিলেন। উনি ফোনিয়ে যেমন বলেছেন তমনি ভাবে চৌ রাস্তাটির মোরে দাঁড়িয়ে আমাদের যে দিকে লক্ষ্য রাখা দরকার কাব্লিদা সেদিকে তাকিয়ে , আমি তো কিছুতেই লক্ষ্য স্থির করতে পারি না, জেবনে কিছুই হলো না যার জন্য, তা উল্টো দিকে তাকিয়ে ছিলাম, দেখি সেদিক থেকেই একটা ট্যাক্সি বেরিয়ে আসছে আর ট্যাক্সিওয়ালা অসহায়ের মতো খড় কুটো আঁকড়ানোর চেষ্টা করছে, হে হে বাবা! আমি বলে এখেনে গুরুতে কত গোয়েন্দা গপ্প পড়লুম, ধাঁ করে পিছনের সিটে কাঁচের আড়ালে মনে হলো রঞ্জনদা, আমি প্রায় লাফালাফি করে কাব্লিদার দৃষ্টি সেদিকে আকর্ষন করছি আর দেখি ট্যাক্সিওয়ালাও হাত দেখিয়ে ঠিকাছে থামো গোছের কি একটা বোঝাচ্ছে, রঞ্জনদা উইদাউট বৌদি নেমে এলেন।
    তারপর রান্না ঘরে আমি, জেমস বৌদি আর সামু হেবি গ্যাঞ্জাম করছি, আর গন্ডোগোলের মধ্যে ও সামু দিব্যি মন দিয়ে রেঁধে চলেছে,হঠাৎ একটা ঝড় উঠলো আর আমরা বুঝলাম দিদিয়া মানে নিনাদি এলো। উফ্‌হ্‌হ্‌হ্‌হ কি ছটফটে, এর পা ভাঙবে নাতো আর কার পা ভাঙবে?
  • kumudini | 59.178.38.24 | ৩০ নভেম্বর ২০১০ ১৩:১৬467542
  • কেন,স্যার-রা কি ঘুমোচ্চেন এখনো?
    ভাটের পাতায় কলিভাটের সব্বাইকে ঘরে ঢোকামাত্র এগটা করে চন্দ্রমল্লিকা(চুলে/কানে গোঁজার জন্য) আর এগ্‌টা করে ফিশ ফিঙ্গার দিইছিলাম,জানিনা কেউ খ্যাল করেছিল কিনা।
  • samran | 117.194.99.235 | ৩০ নভেম্বর ২০১০ ১৩:২৪467553
  • আপাতত কেবল ছবি অর সেও মাত্তর কয়েক পিস।

    ক্যামেরায় চার্জ ছিল না, চার্জার এ একখান ছোট্ট অ্যাডাপ্টার লাগে, সেইখানি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, সর্বোপরি সকলেই আড্ডায় ব্যস্ত, ছবি তোলার সময় ছিল না।

    http://www.facebook.com/photo.php?fbid=10150095059766823&set=a.10150095059556823.299834.521136822#!/album.php?aid=299834&id=521136822

    ঘটনা আরো আছে, আমার পিকাসায় আর জায়গা নেই বিধায় খোমাখাতায় ছবি। কেউ দেখতে না পাইলে জানাইয়েন, ফ্লিকারে তুইল্যা দিমুনে
  • Manish | 59.90.135.107 | ৩০ নভেম্বর ২০১০ ১৪:১৪467564
  • আমি দেখতে পারছি না।:-(
  • M | 59.93.215.238 | ৩০ নভেম্বর ২০১০ ১৪:২৮467575
  • কোথাও যদি খালি ঝিম্পাচ্ছে হয় তো দিদিয়া আর কাব্লিদাকে ছেড়ে দিলেই যথেষ্ট, আবার সব দিব্যি চাঙ্গা হয়ে উঠবে, কিন্তু অমিতো দাদা কি ঠান্ডা আর ভালো মানুষ, আর দিদিয়াকে কি ভালোটাই না বাসে,দিদিয়া কোথায় নেচে টেচে সেরে যাওয়া ভাঙ্গা পা আবার দিব্যি ফুলিয়ে ফেলেছে কিনা তাই অমিতোদা ও কোথায় পা মুচকে পা ফুলিয়ে ফেলেছেন।ক্ষী চাপ! এদিকে দিদিয়ার বিরাট দম্ভ থলিকা আর একটা ব্যাগ থেকে ক্ষনে ক্ষনেই দারুন দারুন জিনিস সব বেরোতে লাগলো।

    এদিকে সুমেরুর কোথায় যেন যাবার ছিলো, সে বেচারী আবার আগের রাতে ও জেগে টেগে কাজিয়েছে, সেই অবস্থায় মানে ঢুলন্ত অবস্থাতে ও দারুন ফিস পকোরা বানিয়ে ফেললো।এদিকে নানা রকম রঙের স্যালাড ও রেডি।এর মধ্যেই সুকন্যা, সরভাজা, সায়ন, লামা আর তুষ্টু হাজির।সরভাজাকে এট্টু কোলে নিতে গেলাম তো বেচারী ঠোঁট ফুলিয়ে একাকার করলো,এদিকে মেয়ে মোট্টে কাঁদুনে নয়, সারাদিনে আর একবারো কাঁদতে দেখলাম না।আসলে কুঁচোরাও ঠিক আমায় ভরসা করে না।

    আমাদের জমজমাটি আড্ডা চললো,কখনো বাড়িওয়ালা ভাড়াটে,এইরকম আর কি।জেমসদাদা একটা দারুন দেখতে লেবু নিনাদির হাতে তুলে দিলো, আমরা মন্তমুগ্‌ধ হয়ে রঙের বাহার দেখলাম।সুন্দরী নিনাদিদির হাতে সুন্দর লেবু, বেশ কিছু ছবি উঠলো।ও তার মাঝে শিবাংশুদার ফোন এলো।আমি লেখা পড়ে পড়ে সবার সম্বন্ধে একটা ধারনা করে নি, সেটা প্রায় ই মেলে দেখি।কিছুদিন আগে বি এল এ আভিজাত্য নিয়ে ব্যপক বাওয়াল হচ্ছিলো।তাতে নানা রকম মন্তব্য আসছিলো, ইয়ে আমার শব্দ ভান্ডার খুব সীমিত , তাই এটাকে আভিজাত্য না সম্ভ্রান্ত্য কি বলে জানিনা, কিছু মানুষের মধ্যে দিদিয়া যেটা বলেছিলো একটা অরা, সেটা খুঁজে পাই, তারা চিৎকার করে আমি এই আমি সেই দাবী করে না,নাক কুঁচকে লোককে ছোট করে না, কিন্তু সেই অরাটা খুঁজে পাওয়া যায় তাদের মধ্যে।শিবাংশুদা ঠিক তেমনি একজন মানুষ ।যতবার কথা বলেছি ওনার সাথে এটাই মনে হয়েছে।

    যাইহোক, তারপর আমরা সবেগে খাবারের দিকে ধাবিত হলাম। সামুর রান্না ভুনি খিচড়ি আর হান্ডি মাটন বা গামলা মাটন, যে না খেয়েচে তাকে অন্তত: বলে সে টেষ্ট বোঝানো যাবে না , ব্যাস। ওহ! সুমেরুর কাজ থাকার জন্য ও একটু আগেই চলে যায়। খাবার সময় একটা বাঙাল ঘটি কাজিয়া প্রায় ই লেগে যাচ্ছিলো,আমি খালি আমি বাঘ বলে শিগ্গিরি খাওয়ার দিকে মন লাগিয়ে বহির্বিশ্বে কি হচ্ছে সব ভুলে গেলাম।

    তারপর আরো খানিক আড্ডা হলো আর চারটে বাজতেই আমি কেটে গেলাম।
  • Zzzz | 14.96.186.23 | ৩০ নভেম্বর ২০১০ ১৭:২৮467586
  • এবারেও মিস করলাম! ভ্যাঁক :(
  • Bratin | 117.194.97.43 | ৩০ নভেম্বর ২০১০ ২১:১৪467597
  • দিব্যি হয়েছে ম। এইবার রঞ্জন দা, সামরান আর কাবলি দা লিখে ফেলুন।
  • de | 59.163.30.2 | ০১ ডিসেম্বর ২০১০ ০৮:১৩467608
  • আমি ছবি দেখতে পেলাম না :(( -- মুখবইয়ে অ্যাকাউন্ট নাই :((( -- কারো পিকাসায় জায়গা নাই?
  • tatin | 130.39.149.21 | ০১ ডিসেম্বর ২০১০ ০৮:১৪467463
  • ফেসবুকটা খুলে নিন
  • ranjan roy | 122.173.190.217 | ০১ ডিসেম্বর ২০১০ ০৯:৪২467474
  • গতবার ।সবার আগে পৌঁছেছিলাম। এবার বেশ দেরিতে। কাবলিদা তাঁর ফুটফুটে নাতনিকে নিয়ে মিত্র ইনস্টিটুশনের সামনে দাঁড়িয়ে।
    আমি যেই নাতনির মাথায় হাত রেখে আশীর্বচন ঝাড়তে যাবো উনি বল্লেন-- আরে রঞ্জন! এই তো বড়মা, ওপাড়ায় কিকি নামে লেখেন। মানে যাঁর স্বামীর ভিয়েতনামে ফার্মাসিউটিক্যাল এর বিজনেস।
    --- ধ্যাৎ, কি যে বলেন! অ্যালজাইমারে ধরলো নাকি? ওকে আমি চিনি। লেডি ব্রেবোর্নে পড়ে। এই তো সেদিন ক্লাস কেটে পিপলি লাইভ দেখতে যাওয়ায় আপনি বকেছিলেন। ওর বাবা-মার কাছে আম্রিগায় ফেরৎ পাঠাবেন বলেছিলেন।
    তারপরে কাব্লিদার আড্ডাঘরে পৌঁছুলে ব্রতীন শুভজিৎ সামরান সবাই আমাকে বোঝালো যে আমারই নাকি অ্যালজাইমার হয়েছে, ক্ষী কান্ড!
    যথারীতি সামরান রান্নাঘরে। আমি নিশ্চিত যে আইজ ""পিউরসালা"" খাওয়াইবো। তাই এখনো রান্না হইতাছে। কিন্তু সুমেরুর হাসিতে কেন ক্লান্তি? চোখ ভারি-ভারি, মাইরি
    ও তো পট ইত্যাদিতে নেই, সিগ্রেটেই শেষ। তবে?
    জানালো রাত চারটে অব্দি " রুপসী বাংলা' চ্যানেলের জন্যে কোন রিয়েলিটি শো' য়ের শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিল। চোখ খুলতে পারছে না। ওকে ছাড়া যে ভাট শুরু হয় না, সেই দায়বদ্ধতা থেকে এসেছে, আবার তাড়াতাড়ি যাবে।
    এলেন সস্ত্রীক জেমস্‌ বা তিল, মাত্র গত রাতে অস্ট্রেলিয়া থেকে উড়ে এসেছেন। জেট ল্যাগে কাতর। আবার যাবেন হাভার্ডে। কিন্তু খুব চেষ্টা করছেন আসর জমিয়ে রাখতে, চমৎকার সব গল্পের স্টক ওনার ঝুলিতে। আর শ্রীমতী জেমস্‌ এর যত্নে ওঁদের বাগানে পেয়ারার মত যে গন্ধ লেবু হয়েছে সেই তার একটি সঙ্গে সবুজ পাতা শুদ্ধু দিলেন দিল্লি থেকে উড়ে আসা নীনাকে। উনি সেটি হাজার ওয়াটের ঝাড়বাতি জ্বালানো হাসির সঙ্গে গ্রহণ করলেন।
    নীনা ও অমিত হাসিগল্পে জমিয়ে দিলেন কলিভাট। আমি দেখছি থরে থরে সাজানো স্যালাড, চীজ, শিভাস রীগ্যাল। আর ভাবচি কতক্ষণ? আর কতক্ষণ?
    নিজেকে বলছি আগের বার চার গ্লাস ভদকা খেয়ে লেভি না দিয়ে ঝগড়া করে চলে গিয়েছিলে। এবার রিটায়ার্ড আদমীর স্বাভিমান ধরে রাখো, ওদিকে তাকিওনা।
    ইতিমধ্যে নীনা এক থলে টফি দিলেন। কাব্লিদা একটা নিলেন। আমি ভাবলাম-- বুড়ো হয়েছো , কিন্তু শিশু হবে নাকি! ওসব খাবো না।
    এবার এল কবিশিল্পী হুতো, গ্রেট সুকন্যা, লামা ( ও নাকি সুকন্যার ভাসুর! আজকালের ছেলেমেয়ারা যে কি হয়েছে! ভাসুর-ভাদ্রবৌ একসঙ্গে আসে, আমাদের সময়ে----)। আর ওদের কোলে-কাঁখে চমৎকার দুইশিশু। ওরা আসায় ভাট পারিবারিক পূর্ণতা পেলো।
    এবারের ভাটের কেন্দ্রে ছিলেন জেমস ও নীনা-- এই দুই দম্পতি। ফাটাফাটি!
    অন্যেরা ,কাবলিদা ব্যতিক্রম, একটু যেন নিÖপ্রভ।
    ইতিমধ্যে সবাই গরমাগরম ফিশফ্রাই খাচ্ছে। অন্যের দেখাদেখি আমিও একটি ফোরেন চকলেট মুখে পুরে দিলাম। একি এযে গলে গেল। তারপর???
    এই বাঙালকে সবাই আশ্বস্ত করলো যে ওগুলো লিকিয়োর চকোলেটই বটেক।
    খাওয়ার সময় আরেক বিস্ময়।
    খিচুড়ি আর খাসির মাংসের ঝোল। তাতে ইয়াবড় আলু দেখে তুলতে গিয়ে দেখি কাঁটায় গাঁথা যাচ্ছেনা, পিছলে বেরিয়ে যাচ্ছে। আলুর এহেন ম্লেচ্ছ ব্যবহারে ক্রুদ্ধ হইয়া তাহাকে মুখে পুরিয়া চমকিত হইলাম। কোথায় আলু, এ যে চর্বির দলা। কিন্তু কি ভাল খেতে, তবে কোলেস্টরল?
    চুলোয় যাক কোলেস্টরল, সব কোলে ই খারাপ না, কিছু কোলেস্টরল ভালো ও হয়। ইন্দোডাকতারকে জিগ্যেস কোরো। আরো দুটো মুখে পুরলাম, আরো একহাতা খিচুড়ি নিলাম।
    না:, আমার সন্দেহ অমূলক। সামরান, মানে আমাদের সামু, রান্না-খাওয়াদাওয়া নিয়ে যে স্বাদু লেখা গুলো লেখে ( যেমন এবারের শারদীয়া একদিন এ লিখেছে) তা জেনুইন, টুকে লেখেনি।
    এবার ভাঙলো, ভাঙলো মিলনমেলা ।
    বিদায় নিলেন নীনা ও জেমস্‌ দম্পতি, আরো আগে বড়মা। সুমেরু গেছে স্যুটিং পুরো করতে।
    আমিও কাটবো কাটবো করছি সামু বল্লো--
    রিটায়ার্ড মানুষ টায়ার্ড কেন? বসুন, আমরা আছি। আর আজে বাজে জিনিসের দিকে না তাকিয়ে শিভাস খান।
    ওর চোখের দৃষ্টি বলছিলো-- আমিতো রান্না ছাড়া কোন ব্যাপারে বাঙাল নই। ইনি কিন্তু আজও দীনবন্ধু মিত্তিরের যুগের সেই বাঙালই রয়ে গেলেন, কইলকাত্তাই হইতে পারেন নাই।
  • Manish | 59.90.135.107 | ০১ ডিসেম্বর ২০১০ ১০:০৯467485
  • বদনা বইয়ে আমারো কোনো খাতা নেই
  • i | 137.157.8.253 | ০১ ডিসেম্বর ২০১০ ১০:৫৪467496
  • আচ্ছা, মায়াপাতার এই যে সম্পর্ক/ অ-সম্পর্ক/ নি:সম্পর্কতা- বাস্তবে টেনে নিয়ে যাই কেন আমরা? কেন চর্মচক্ষে দেখতে চাই? কেনই বা মুখোমুখি আড্ডা দিতে চাই?
    অলীক সম্পর্কে কারো আগ্রহ নাই বুঝি?
  • de | 59.163.30.2 | ০১ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:১৮467507
  • আর যার থাকে থাক -- অলীক কিছুতেই আমার কোন আগ্রহ নাই :))! আমার সব্বাইকে দেখার খুব ইচ্ছে, নেহাত পাকেচক্রে হয়ে ওঠে না তাই -- নইলে কবে ভাটে পৌঁছে যেতাম!
  • dd | 124.247.203.12 | ০১ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:৩৬467518
  • কৈ, শুধু মায়া পাতায় লোকেদের লগে ই-আড্ডা মেরে পেট ভরে না।

    ইচ্ছে করে সগলের লগে মুখোমুখী হুলিয়ে আড্ডা দি। দু এক জনকে তো কষ কষ করে চিমটি কাটতেও মন যায়।
  • M | 59.93.192.55 | ০১ ডিসেম্বর ২০১০ ১৩:৪২467527
  • আমার আবার মনে হয়,ইন্দ্রানী যেমন বলেছেন, অলীক সম্পর্ক, সেটাই ভালো।

    আসলে কি হয়, আমার ক্ষেত্রে, আমি খুব একটা ধারনা করেনি যখন কারোর সাথে মিশি, সে ধারনাতে ধাক্কা খেতে আমার একদম ভাল্লাগেনা।দুরত্ব থাকলে ধাক্কা খুব একটা খেতে হয় না, বেশ কয়েকবার নেট থেকে বন্ধুদের সাথে যেই কথা বলা বা দেখা করা হয়েছে ব্যাপারটা দেখেছি, সেই থেকে আমি খুব ভয় পাই বেশী মিশতে, মনে হয় এই না দেখাই বুঝি ভালো।
  • M | 59.93.192.55 | ০১ ডিসেম্বর ২০১০ ১৩:৪৫467528
  • ইসে, গুচ-র বন্ধুদের সাথে এখন ও বেশ ভালৈ আড্ডা দিয়েচি, আগে যেটা বললাম সেটা কখন ও ঘটেনি। একটা ডি: দিয়ে গেলাম।
  • Bratin | 122.248.183.1 | ০১ ডিসেম্বর ২০১০ ১৩:৪৮467529
  • পাক্কা বাঘ নয় তাহলে ইসে বলতো না :-))
  • M | 59.93.192.55 | ০১ ডিসেম্বর ২০১০ ১৩:৫৩467530
  • হে হে, বাঘিনী........:P
  • kumudini | 59.178.130.100 | ০১ ডিসেম্বর ২০১০ ১৪:০৬467532
  • ফটোগুলোর জন্য সামরানকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।তিলস্যার আর কাবলিদার ছবি আছে কি?আর ঐ দড়ি বাঁধা
    ছিটকিনির?
    বেশীর ভাগ ভাটিয়ালই তো একেবারে বাচ্চা।আমি যখন ভাটে যাবো, তখন আমার বি-শা-ল চেহারা দেখে এরা হয়তো দাঁ ত ছিরকুটে মুচ্ছো যাবে।
  • Bratin | 122.248.183.1 | ০১ ডিসেম্বর ২০১০ ১৪:১২467533
  • সাদা পাঞ্জাবি পরা শীর্ষেন্দু টইপের ভদ্রলোক ই কাবলি দা। আর জেমস স্যারের বারন তাই ফটো দেওয়া হয় নি
  • Shibanshu | 59.93.81.80 | ০১ ডিসেম্বর ২০১০ ১৮:৪৪467534
  • কলকাতা যাবার পথে রায়পুর স্টেশন থেকে রঞ্জন আমাকে ফোন করেছিলেন। সামান্য কথা হয়েছিলো।ওনার সাম্প্রতিক লেখাগুলির প্রতি আমার মুগ্‌ধতা জানানোতেই শেষ হয়ে গিয়েছিলো আলাপ। কারণ তখন আমি ছিলাম মগন গহন একটি সরকারি নৈশভোজের আসরে। বৃষ্টি আর নামেনি। কথা হয়েছিলো কলিভাটের দিন কথা হবে।

    রোববার দুপুর বেলা রঞ্জনের নম্বরে একটা ফোন করলুম। তিনি তখন মগন গহন কলিভাটে। দুচার কথা হলো, তার পর ফোন গেলো ব্রতীনের কাছে। সেখান থেকে লর্ড জেমস, কাবলিদা,নিনা, কিকি। লর্ড জেমস আমাকে তেলুগুতে সম্ভাষন জানালেন। কাবলিদা সম্প্রতি আমাকে 'তর্কপঞ্চানন' গোছের একটা উপাধি দিয়েছেন। তার জন্য তাঁর ফর্মাল ধন্যবাদ প্রাপ্য ছিলো, সেটা জানিয়ে দিলাম। নিনা বহুবার আদেশ করা সঙ্কেÄও সশরীরে তার সঙ্গে দেখা করতে কলকাতা যাওয়া হলোনা, সেই জন্য তার সপ্রশ্রয় অনুযোগ শুনলুম। শেষে কিকি, তার সঙ্গে কথা বলা যথারীতি রিফ্রেশিং অভিজ্ঞতা। কলিভাটের দ্রৌপদী ( স্বাধীনা ও সূপকœÑ£) ব্যস্ততার জন্য কথা বলতে পারলেন না। এভাবেই সেদিন আমার কথা ফুরোলো।

    আমি দীর্ঘদিন এমন একটা পেশায় আছি, যেখানে বৈজ্ঞানিক দক্ষতায় অপরিচিত মানুষকে বিশ্বাস অবিশ্বাসের মানদন্ডে সতত বিচার করতে হয়। অবশ্যই প্রীতিকর ব্যবসা বলা যায়না। তা সেরকম একজন পোড়খাওয়া লোক যে এই সব সাহেবি অলীক জগত সম্পর্কে বিশেষ স্বস্তি বোধ করবে না, তা তো প্রতিষ্ঠিত সত্য। হ্যাঁ, এই সব অলীক পাতা থেকেই ব্যক্তিসম্পর্কের সূত্রপাত হয়। কিন্তু তার পর সেই সব সম্পর্ক নিজস্ব ডানা মেলে উড়ে যাবে, গিয়ে বসবে সেই সব ডালে, যেখানে শুশ্রূষার আশ্বাস আছে। অলীক যোগাযোগ একদিন অতীত হয়ে যাবে, কিন্তু বর্তমান ও ভবিষ্যত অধিকার করে থাকবে রক্তমাংসের মানুষেরা আর তাদের নানা রঙের আকাঙ্খা আর আন্তরিক আহ্বানের অনন্ত সবুজ দ্বীপ।
    সেদিনের কলিভাটে যাঁদের সঙ্গে কথা হলো, তাঁদের কখনও আমি চোখে দেখিনি, কবে দেখবো তারও কোনও ঠিক নেই। আমার অন্যপাতার বন্ধুদের সঙ্গেও তো কোনও দেখাসাক্ষাৎ ছিলোনা কোনদিন। কিন্তু তাঁদের অনেকের সঙ্গেই যে মাত্রার ব্যক্তিগত আলাপন হতো, তাতো অনেক পুরোনো বন্ধুর সঙ্গেও সচরাচর হয়না। নূতন আকাঙ্খা আসে, চলে আসে নূতন সময়/ পুরানো সে নক্ষত্রের দিন শেষ হয়, নূতনেরা আসিতেছে বলে। এই রকম নতুন বন্ধুরা যখন জানতে পারেন এই অধম দুদিনের অবকাশে কলকাতা যাবে, তাঁরা রীতিমত ঘটা করে আসর সাজান। একটি সন্ধ্যাকে মনোরম করে তুলতে অংশভাগী হয়ে ওঠেন একান্ত নিষ্ঠায়। তাঁদেরও অধিকাংশের সঙ্গেই আমার চোখের দেখা ছিলোনা। তবু তাঁরা কতো অবলীলায় আপনজন হয়ে ওঠেন। পানভোজনের ব্যয় সংক্রান্ত গদ্যময় প্রশ্ন করলে ক্ষুব্ধ হন।

    পথে চলে যেতে যেতে কোথায়, কোনখানে তোমার পরশ আসে, কখন , কে জানে....?

    স্পর্শটি অলীক জগত থেকেই আসুক না, আমি তো অপেক্ষা করবো ব্যক্তিজগতের আলিঙ্গনের। হ্যাঁ, আমি তা পেয়েছি এবং কেউ আমাকে কখনও নিরাশ করেনি। আমি একাই এ রকম ভাগ্যবান না আরও এমন মানুষ এখানে আছেন?
  • Arpan | 122.252.231.10 | ০১ ডিসেম্বর ২০১০ ১৯:৩৬467535
  • শিবাংশুর যথারীতি আভিজাত্যভরা লেখা। সুন্দর। কিন্তু একটা জিনিস বুঝলাম না।

    অলীক সম্পর্ক সাহেবি হতে যাবে কেন?
  • Shibanshu | 117.195.130.143 | ০১ ডিসেম্বর ২০১০ ২২:৩৬467536
  • অর্পণ,
    সাহেবদের হাত ধরে যেসব সংস্কারহীনতা আজ আমাদের নৈতিক অবক্ষয়ের মূল কারণ তার মধ্যে প্রধান হচ্ছে অতি ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ। এই প্রবণতাটি বস্তুত ব্যক্তিস্বার্থপরতার মার্জিত পরিভাষা। তার সামগ্রিক মূল্যবোধবিধ্বংসী আক্রমণে আমাদের চিরাচরিত পারিবারিক ও সামাজিক আশ্রয়গুলি দ্রুত ভেঙে পড়ছে।
    য়ুরোপীয় রনেসাঁসের সময় থেকেই পশ্চিম জগতে 'যুক্তিবাদী' চর্চার আধিক্য সেই সব জাতিকে বহু সাফল্য নিশ্চয় এনে দেয়, কিন্তু তার সঙ্গে এনে দেয় একাকিত্ব আর বিচ্ছিন্নতা। এসব কথা সবার জানা, তাই বিশদে যাচ্ছিনা।
    আজ আমাদের দেশের নেট প্রজন্ম, মানুষের সঙ্গে ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব বা আত্মীয়তার ভার বা বন্ধন ধারণে অনিচ্ছুক ও অসমর্থ। আমার বেঁচে থাকার জগত যে আমার একার নয়, তার মধ্যে সবার স্থান আছে, এই সার সত্যটি স্বীকার করতে এই প্রজন্ম প্রস্তুত নয়। মূল্যবোধের এই অবক্ষয়টি বিশ্বায়নের অতি গুরুত্বপূর্ণ অন্ধকার দিক। নিত্য বিকশিত প্রযুক্তির আশীর্বাদকে মানবিকবোধ বিস্তারের কাজে না লাগিয়ে মানুষের থেকে দূরে যাবার বাহন হিসেবে ব্যাপক ব্যবহার করা হচ্ছে। নেট প্রযুক্তির দৌলতে পলকে তৈরি হচ্ছে অলীক সম্পর্ক আর পলক ফেলার আগেই তা মুছেও যাচ্ছে। মানুষী সংবেদনাকে কি এতো সহজে বাজারি দাঁড়িপাল্লায় বিচার করা যায়।

    আমি ব্যক্তিগতভাবে আমাদের দেশে যখন প্রথম নেটপ্রযুক্তি আসে,চোদ্দো-পনেরো বছর আগে, তখন থেকেই এর সঙ্গে ওতপ্রোত থাকি। কিন্তু তা আমার নতুন বন্ধুলাভের সূত্র হিসেবেই কাজ করেছে। আমি কখনো কোনও নৈর্ব্যক্তিক অলীক বন্ধুর সঙ্গে কোনও রকম বিনিময়েই স্বচ্ছন্দ নই। এর মানে অবশ্যই তা নয় যে এ বিষয়ে আমার মূল্যায়ণটিই সঠিক আর ভিন্নমতটি ভ্রান্ত। তবে আজ যখন পশ্চিম থেকেই এই সব অলীক জগতের মায়ায় সৃষ্ট নানা সামাজিক মানসিক ব্যাধির পরিসংখ্যান আসছে, তখন কখনও মনে হয় হয়তো আমাদের নির্ণয়টিই সঠিক ছিলো।

    এই ধরনের অলীক সম্পর্কগুলিকেই আমি 'সাহেবি' অভিধা দিতে চেয়েছিলাম।
  • nyara | 122.172.45.27 | ০১ ডিসেম্বর ২০১০ ২২:৪৬467537
  • "সাহেবদের হাত ধরে যেসব সংস্কারহীনতা আজ আমাদের নৈতিক অবক্ষয়ের মূল কারণ তার মধ্যে প্রধান হচ্ছে অতি ব্যক্তিস্বাতন্‌ত্‌র্‌যবাদ। এই প্রবণতাটি বস্তুত ব্যক্তিস্বার্থপরতার মার্জিত পরিভাষা।"

    শিবাংশুবাবুর এই দুটি বক্তব্যের সঙ্গে একেবারেই একমত হওয়া গেল না ।
  • a x | 99.50.241.18 | ০১ ডিসেম্বর ২০১০ ২৩:১৫467538
  • হামভি পারলাম না। একেবারেই না। ইনফ্যাক্ট পুরো বক্তব্যটার মধ্যেই একটা বেশ ফিউডাল তুঘলকি দৃষ্টির আঁচ পেলাম।

    নৈতিকতার গোলপোস্ট গুলো সরে যাচ্ছে। যেমন সরার কথা। বদলে যাচ্ছে মানদন্ড। কিন্তু অবক্ষয় তাকে বলা চলেনা। চিরাচরিত প্রথা, পরিবারতন্ত্রের নামে এই বিশ্বায়ন ইত্যাদির বহু আগে যা যা চলত, তার চেয়ে এই ব্যক্তিস্বাধীনতা ডেফিনটলি আ স্টেপ ফরওয়ার্ড।
  • aka | 168.26.215.13 | ০১ ডিসেম্বর ২০১০ ২৩:৩২467539
  • 'পরিবারতন্ত্রের নামে বিশ্বায়ন' লাইন টা ঠিক মতন বুইতে পারছি না - এ দিল মাঙ্গে মোর।

    (দিব্যদৃষ্টিতে দেখতে পাচ্ছি টই হাইজ্যাকিত)
  • Shibanshu | 117.195.132.243 | ০১ ডিসেম্বর ২০১০ ২৩:৩৬467540
  • ভিন্ন মত স্বাগত। কিন্তু তা বলে পরিবারতন্ত্র তুঘলকি বিচার !!! গোল পোস্ট এগিয়ে দেওয়া যায়, পিছিয়েও দেওয়া যায়... মূল খেলাটি তো থাকছেই...। না সেটিও সন্দেহজনক?
  • a x | 99.50.241.18 | ০১ ডিসেম্বর ২০১০ ২৩:৩৭467541
  • বিশ্বায়নের যুগ - ভারতে '৮০র দশক থেকে যদি ধরি, তারও অনেক আগে থেকে এই পরিবারতন্ত্রের নামে -

    এবার বোঝা যাচ্ছে?
  • a x | 99.50.241.18 | ০১ ডিসেম্বর ২০১০ ২৩:৩৯467543
  • মূল খেলাটি কি?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন