এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • উচ্চশিক্ষা মানে প্রেসিডেন্সি-পশ

    Biplab Pal
    অন্যান্য | ১৩ জুন ২০১১ | ২২৩২৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 59.161.27.157 | ১৩ অক্টোবর ২০১১ ২০:৫১480020
  • পিটি,
    আপনার লাস্ট পোস্টের সঙ্গে পুরোপুরি একমত, যদিও কোলকাতার অ্যাকাডেমিক ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে (বা ভারতের যে কোন মেট্রোর) আমার যোগাযোগ বা কান্ডজ্ঞান নেই বললেই চলে।
    ম্যাক্সিমিন,
    আপনার সঙ্গে পুরোপুরি একমত যে সেন্টার অফ এক্সেলেন্সের কাছ থেকে এটাই আশা করা উচিৎ যে সেখানে পাঠ্যপুস্তককে হেলাফেলা না করেও স্বাধীন ভাবে আউট অফ বক্স চিন্তা করতে শেখানো হবে; বাঁধাবুলির বাইরে বই পড়তে বড় আকাশে পাখা মেলতে উৎসাহ দেয়া হবে।
    আমি নাকতলা স্কুলের উদাহরণ দিয়েছিলেম শুধু পিটিকে গ্রেটের সংখ্যা দিয়ে প্রতিষ্ঠানের সুদি ন-দুর্দিন চিহণিত না করতে বলার জন্যে।
    আমি নিজে বরানগরে, নাকতলায় যাঁরা আমাকে ওইভাবে পড়তে শিখিয়ে ছিলেন, ভাবতে শিখিয়ে ছিলেন, তাঁদের কাছে নতমস্তক আছি।
    ( আমাকে বরানগরের কেশব মহারাজ টিসি দেবার সময় বলেছিলেন--- তোমার ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি। তুমি ম্যাট্রিক পাস করতে পারবে না। রাস্টিকেট হবে, তারপর কোলকাতার রাস্তায় রাস্তায় লোকের পকেট কেটে বেড়াবে। সে গল্প পরে অন্য টই খুলে বলব, শীগ্গিরই:)))।

    কিন্তু, যাঁরা আমাকে অন্য ভাবে পড়তে ভাবতে পথ দেখিয়ে ছিলেন তাঁদের একজন হলেন নাকতলা স্কুলের ইকনমিক্সের টিচার প্রণব সেন স্যার,
    থাকতেন হালতু-গরিফার মোড়ে একটি সাধারণ টালি ছাওয়া বাড়িতে। যাঁরা সিপিএমের জন্ম লগ্ন থেকে নিষ্ঠা-আদর্শের জোরে খাদ্যাঅন্দোলনের সময় থেকে নৈতিক সাহস ও বিশ্বাসের জোরে সিপিএমকে শক্ত জমিতে ষাটের দশকে দাঁড় করিয়েছিলেন উনি সেই গ্রাসরুট স্তরের নেতাদের একজন।
    ওনার ব্যক্তিগত স্নেহ পেয়েছি। নাকতলা থেকে ছাত্রাবস্থায়ই হালতুতে ওনার বাড়িতে গেছি। অতি সুভদ্র, বিনয়ী কিন্তু নিজের বিশ্বাস ও বক্তব্যে দৃঢ়।
    শুনলাম উনি মারা গেছেন। এও শুনলাম উনি শেষ জীবনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
    বুদ্ধবাবুর রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হয়েছিলেন।
    উনি বাড়ি-গাড়ি কিছুই করেন নি। এক স্বপ্নের পেছনে সারা জীবন কাটিয়ে দিলেন। মানুষ হিসেবে উনি আমার চোখে অনেক বড়, আমি একটু সেন্টিমেন্টাল টাইপ। আজকে এই সুযোগে প্রয়াত প্রণবস্যারকে আমার অকুন্ঠ শ্রদ্ধা জানিয়ে গেলাম।
    কোয়ার্ক,
    তারাশংকর নাগ ও আমি মাত্র শেষ বছরে নাকতলা স্কুলে একসঙ্গে পড়েছি। ওনার বাবা আর আমার কাকা এজি বেঙ্গলে কাজ করতেন। ও সায়েন্সে, আমি আর্টসে। তারপর কলেজে আমি মৌলানা-প্রেসির আড্ডা ইত্যাদি এবং এই ব্যব্‌স্‌থায় যে যত পড়ে সে তত মুর্খ হয় ""বুঝে'' পড়াশুনার জগত থেকে দূরে সরে গেলাম। কোলকাতা ছাড়লাম।
    তাই সেইসময় পরিচয় থাকলেও আজকে ওর মনে না থাকাই স্বাভাবিক।
  • PT | 203.110.243.21 | ১৩ অক্টোবর ২০১১ ২২:৩৫480021
  • কোন সময় কালের আগে পর্যন্ত প্রেসির অবস্থা যথেষ্ট গৌরবময় ছিল এটা বার বার জানতে চাওয়ার একটিই উদ্দেশ্য ছিল। তাহলে ""খারাপ"" হওয়ার সময়ে কি কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সেগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করে কোন সমাধানসূত্র বার করার কথা ভাবা যেত।

    তাহলে এই আলোচনাটা কি আপাতত: শেষ হল?
  • Bratin | 117.194.100.96 | ১৩ অক্টোবর ২০১১ ২২:৫১480022
  • PT দা, আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ক্লাসমেট IIT খড়গপুর ছেড়ে পুনে চলে গেল। ওখানে আ ই এস সি টাইপের কিছু একটা হয়েছে। ওকে জিগালাম 'হ্যাঁ রে। IIT ছাড়লি কেন'? বললো 'এখানে কেউ তেমন কিছু গবেষণা করে না।শুধু পলেটিক্স'। আপনি বলবেন এট হয়তো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আমি বলবো এই ধরনের ঘটনা থেকেই আমরা সিদ্ধান্ত নি।
  • T | 14.139.128.11 | ১৩ অক্টোবর ২০১১ ২৩:০২480023
  • ব্রতীনবাবু, আপনার বন্ধু আপনাকে ভুল কিছু বলেননি। কে জি পি তে শুধু পলিটিক্স নয়, আরো নানান রকম নন্সেন্স ব্যাপার চলে যে...
  • PT | 203.110.243.21 | ১৩ অক্টোবর ২০১১ ২৩:৩৪480024
  • ব্রতিন welcome back-বিজয়ার শুভেচ্ছা নিও।

    পুণেতে IISER আছে-সেখানে গেল কি? IISER সি.এন.আর.রাওয়ের মশ্তিষ্ক প্রসূত আর IISER পুণের অধিকর্তা তাঁর জামাই। (এরকম সংবাদ থেকে আমরাও কিছু কিছু সিদ্ধান্তে পৌঁছই)।

    খেয়াল রেখ, কানপুর IIT-থেকে কেউ একজন সম্ভবত: IISER কলকাতায় আসছে-অধিকর্তা হয়ে। তাতে কি প্রমাণ হয় যে কানপুর IIT-তে কিছু হয়না?

    এরকম আসা-যাওয়া চলতেই থাকে। আর একটি কথা বন্ধুকে জানিও। সারা ভারতে গবেষণার সঙ্গে যুক্ত অনেকেই এখনো অপেক্ষাতে আছে-IISER কলকাতা আর পুণে থেকে ভুবন কাঁপানো আবিষ্কারের জন্য!!
  • T | 14.139.128.11 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ০৮:৫৯480025
  • @PT, 'ভুবন কাঁপানো আবিষ্কার!', কি জানি, হতে পারে হয়তো। IISER এর খবর খুব একটা নেই, তবে ইদানীংকালের দেশের অন্যতম প্রিমিয়ার রিসার্চ ইন্সটিটুশন আই আই এস সি তে দেখি, ভীষণ পাতি কাজ হয়। পাতি কাজ করতে উৎসাহ দেওয়া হয়। ইঞ্জিনিয়ারিং এ মুষ্টিমেয় কিছু প্রফেসর বাদ দিলে, বাদবাকিরা বেশীরভাগই ঢ্যাঁড়শ। বেশ কিছু সায়েন্সের জনতার কাছ থেকে শুনেছি তাদেরও ঐ একই অবস্থা। ম্যাথমেটিক্সের লোকেরা অবশ্য নিজেদের স্ট্যান্ডার্ড বেশ উঁচু করে রাখে। আই আই এস সি তে ভুবন কাঁপানো আবিষ্কার করার সম্ভাবনা খুব কম, কারোর তেমন ইচ্ছেও নেই।

    আমাদের ডিপেই যেমন প্রচুর পাবলিক আছে যারা বছর বছর 'ডি আর ডি ও' আর 'ইসরো' র প্রজেক্টের দিকে তাকিয়ে থাকে। এগুলো সব নামকায়াস্তে প্রজেক্ট, কোন ডেলিভারেবল নেই, কাজের তাড়াও নেই। কিন্তু পয়সা প্রচুর। ভালৈ ফুর্তিতে পেপারের পারমুটেশন কম্বিনেশন চলছে। চাট্টী খাজা পেপার লিখে প্রতি বছর কনফারেন্সে বিদেশ ঘুরে আসছে। এমনকি বিদেশী ইউনি তে স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামেও নিজেরাই চলে যাচ্ছে।:) এদের দিয়ে আর যাই হোক ভুবন কাঁপানো আবিষ্কার হবে না। সায়েন্সের গপ্পো তো আরো সাংঘাতিক।

    আই আই টি কেজিপির স্ট্যান্ডার্ড অনেক নীচে নেমে গেছে। ওখান থেকে যাঁরা কনফারেন্সে বক্তিমে করতে আসেন, তাঁদের কথাবার্তা শুনেই বোঝা যায়। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও তদ্রুপ। বরং মুম্বই আই আই টি নিজেদের মান ধরে রেখেছে।

    বিভিন্ন রিসার্চ প্রতিষ্ঠানগুলোতে করে খাওয়া পাবলিক প্রচুর বেড়ে গেছে। তারাই সংখ্যাগরিষ্ট। তাই,ভালো মেধাবী ছাত্রছাত্রী, যাঁরা 'ভুবন কাঁপানো আবিষ্কার' করতে চান, তাঁদের জন্য আমেরিকা বা ইউরোপই ভালো।

    শেষে, সি এন আর রাও সম্পর্কে একটি পি জে শেয়ার করি। এক সায়েন্সের বন্ধু বলছিল,ওদের ডিপ এর সব প্রফেসর পেপার ইত্যাদি লিখে আগে ওঁর কাছে পাঠায়। সে উনি কাজে ইনভল্‌ব্‌হড না থাকলেও। তারপর সে পেপার আশীর্বাদধন্য হয়ে ফিরলে সেটিকে যত্ন সহকারে ওঁর নাম যুক্ত করে জার্নালে পাঠানো হয়। শুনে বিস্মিত হয়ে বল্লুম কেন? ডাইরেক্টলি সাবমিট করতে কি অসুবিধা ছিল? সে আরো অবাক হয়ে বলল, বলিস কি! আরে স্যারেদের বৌ বাচ্চা নেই? খেতে পরতে হবে না!
  • pi | 128.231.22.133 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ০৯:১৫480026
  • বিজ্ঞানের রাজনীতি নিয়ে যত কম মুখ খোলা যায় তত ভালো :)

    তবে T, এসব এদেশেও কিছু কম হয়না। গ্রান্ট সাবমিশন হবার পর সেটা রিজেক্টেড হল আর প্রোপোসালটা চলে গেল রাইভ্যাল গ্রুপের কাছে, এমনও হয়। কোন কোন বিশেষ ব্যক্তির নামধন্য হয়ে কোন কোন স্পেসিফিক জার্নালে পেপার বেরিয়ে যাওয়া খুব কমন ঘটনা। বাঘা বাঘা জার্নালে বেরোনো এক্সপেরিমেন্ট রিপ্রোডিউস করতে কালঘাম ছুটে গেছে, এমন ভুক্তভোগী যে কত আছেন ! ঐজন্যই অন্য টইটাতে লিখছিলাম, এই পাবলিশ অর পেরিশ সিস্টেমে বিজ্ঞান চর্চার প্রচুর হতাশাজনক দিক আছে।
  • PT | 203.110.243.21 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ০৯:১৯480027
  • এটাই তো বঙ্গের জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি এতদিন ধরে:- প: বঙ্গের বাইরেই সেরকম একটা কিছু হচ্ছেনা।
  • T | 14.139.128.11 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ০৯:২৭480028
  • @pi, আপনার সাথে একমত।
  • PT | 203.110.243.21 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ১০:২৮480030
  • এত গাল দেওয়ার পরেও একটা কথা বলি। কাজ যে একেবারেই কিছু হচ্ছেনা তা নয়। এক দশক আগের তুলনায় এখন পাবলিকেশনের সংখ্যা বেড়েছে, গুণমানও বেড়েছে। নতুন অধ্যাপকদের মধ্যে কিছু একটা করার চেষ্টা, করার ইচ্ছে আগের তুলনায় অনেক বেশী। আর ""পাবলিশ অর পেরিশ"" নিয়ে বেশী আকচা-আকচি করে লাভ নেই। ছাপানোর মত কাজ থাকলে তবেই না ছাপবে। আর না ছাপালে শুধু মুখের কথায় তো কোন বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে না।

    এটা প্রেসির ফোরাম বলে এই প্রসঙ্গে জানাই যে প্রেসিতে পড়ানোর গুণমান যে তেমন নেমেছে তা নয়। সর্বভারতীয়, বিশেষ্‌ত: দক্ষিণের বেশ কিছু ইউনির ঢালাও নম্বরের সঙ্গে পাল্লা দিতেই গিয়ে এ বঙ্গেও নম্বর হাত খুলে দিতে হচ্ছে। নাহলে ২-৩ নম্বরের জন্য ফার্স্ট ক্লাস না পাওয়ার কারণে একটা সময়ে প্রচুর ভাল ছেলে/মেয়েকে চাকরির জন্য শর্টলিস্ট করা যায়নি। সুগত/মমতা যতই লাফান না কেন এই নম্বরের চাপ থেকে তাঁরা প্রেসিকে বার করতে পারবেন না। আর গবেষণার ক্ষেত্রে PresiU-র ব্যাপক সমস্যা হবে। কেম্ব্রিজ থেকে পিএইচডি করে আসা মাস্টারমশাইও সুযোগ-সুবিধের অভাবে গবেষণা থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছেন।
  • ridhhi | 108.194.169.197 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ১০:৪২480031
  • টি স্যার, ভূ : কা :: কোথাও হচ্ছে না | হলে এত্ত গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট , আর প্রোগ্রাম মিলিয়ে ভূ: এত ঘন ঘন কাঁপত , যে ধু: নড়ে যেত | ঐ হলি গ্রেল গুলো বাদ দিয়ে যা বাকি থাকে , তা হল খুচ খাচ , আপনি যাকে বললেন পা::| ওটা দেশ নিরপেক্ষ | একাদেমিয়ার বৈশিষ্ট্য | জুপিটারে গেলেও হবে |
  • T | 14.139.128.11 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ১১:১২480032
  • @ridhhi, ভুবন কাঁপানো আবিষ্কার হচ্ছে না বুঝি! বাইরের দেশে তো হচ্ছেই। এখানে অবশ্য ভুবন কাঁপানো আবিষ্কারের সংজ্ঞা নির্ধারণের প্রয়োজন। তেমনি পাতি কাজের সংজ্ঞাও নির্ধারণের দরকার।
    পাতি কাজের পেছনে উৎসাহ প্রদান, বা 'কোন রকমে ডিগ্রী নিয়ে বেরিয়ে যাও বাছা' ফিলোসফি বাইরের দেশে কতটা চলে জানি না। তবে মনে হয় কেউ ভালো কাজ করতে চাইলে সাধারণত অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু এখানে কেউ তা চাইলেও তাকে করতে দেওয়া হয় না, পেছনে নানারকম কলকাঠি নাড়া হয়। ভারতে এই ঘটনা খুব স্বাভাবিক। এবং এটি কোন আকাডেমিয়ার বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। পৃথিবীরও না, জুপিটারেরও নয়।

  • PT | 203.110.247.221 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ১১:৪৫480033
  • ভু:কা:আ শব্দনিচয় আমি ভারতীয় গবেষণা প্রসঙ্গে ঠাট্টাচ্ছলে ব্যবহার করেছি-ঐ কে যেন IIT থেকে IISER চলে গেলেন সেই প্রসঙ্গে।

    বিদেশের গবেষণা প্রসঙ্গে আমি কোন মন্তব্য এখনও করিনি।
  • Bratin | 122.248.183.1 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ১১:৫৩480034
  • PT দা, শুভ বিজয়া।

    আমার বক্তব্য এইরকম । পড়ানো বা গবেষণা তো ঠিক ১০-৫ টার রুটিন কাজ নয়। আমার মনে হয় এখানে সব থেকে বড় যেটা দরকর সেটা হল পরিবেশ এবং মানসিকতা ।ধরুন , ডিপার্টমেন্ট এ ৫ জন শিক্ষক। তার মধ্যে ৪ জন সব সময় এটা ওটা তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন। প্রমোশন ইত্যদি যা পাবার তা হয়ে গেছে। অদূর ভবিষ্যতে তার সম্ভাবনা নেই। এই পরিবেশ টা সেই নতুন আসা পঞ্চম ছেলে টিকে ডিমোটিভেটেড করে দেবার পক্ষে যথেষ্ট নয় কি? পুনে তে ওদের ডিপে শুনলাম ভাটনগর সন্মান পাওয়া কেউ কেউ আছেন। এই রকম সহকর্মী,আবহাওয়া কি আমাদের মধ্যে বেস্ট টা বার করে আনতে সাহায্য করবে না?
  • prateek | 180.151.34.130 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ১২:০০480035
  • সুশান্ত দত্তগুপ্ত সরছেন তালে? গুড নিউজ!
  • PT | 203.110.247.221 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ১৩:০০480036
  • ব্রতিন, কোন ব্যক্তি কি কারণে চাকরী বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা আমার জানা নেই বলে এই বিশেষ ব্যাপারে মন্তব্য করব না।

    তবে বলি যে সারা ভারত জুড়ে 45 targeted research নামক একধরণের গবেষণা চলছে। এর মানে হল ভারতের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান বিষয়ক award গুলো যেহেতু ঐ বয়সের মধ্যেই পেতে হবে তাই মরিপড়ি করে জীবনের ""শ্রেষ্ঠতম"" গবেষনাপত্র গুলো ঐ বয়সের মধ্যেই ছেপে ফেলতে হবে। এটা খুব মজাদর ব্যাপার যদি প্রতিযোগীতায় না ঢুকে বাইরের থেকে দেখা যায়।

    তবে এই সব লোভনীয় পুরস্কারের জন্য খুঁটি ধরতে হয় - শুধু বিজ্ঞানে হয়না। আর খুঁটি মুলত: ব্যাঙ্গালোরের একজন আর পুণার একজন। বাকিরা ডেপুটি খুঁটি - সেইসব খুঁটিতে গিয়ে নিয়মিত ফুলজল চড়াতে হয়।

    এই প্রতিযোগীতার নিয়ম-কানুন খুব নির্মম। সেখানেও রাজনীতির খেল চলে তবে সেটা বাংলার মত পাতি রাজনীতি নয়। চারপাশে এইসব প্রতিযোগীরা থাকলে যে উন্নততর গবেষণা হবেই এমন ভাবার কোন কারণ নেই। কেননা কোন প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তা কাউকে ""নীল-চক্ষু বালক"" ধরে নিলে তারই পেছেনে মাল-মশলা ঢালতে থাকবে অন্যদের বাদ দিয়ে।

    আসলে এদেশে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই মূল লক্ষ্য পড়ানো আর গবেষণা ছাড়া অন্যকিছু। যত নামী গবেষণাগার তত অ-বিদ্যার চাষ। ব্যতিক্রমি মানুষ অবশ্যই আছেন -তবে তাঁরা ক্রমশ: কমে আসছেন সংখ্যায়। এইসব উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রতিযোগীদের থেকে ছোট ছোট কলেজে পড়ান আর প্রাইভেট ট্যুশনি করেন এমন শিক্ষকদের অনেক বেশী সৎ বলে মনে হয়।

    শুধু মেধা দিয়ে গবেষণা হয়না। অ্যাম্বিয়েন্সটাও খুব জরুরী। প্রতিকূল পরিবেশ একজন প্রতিভাশালী বিজ্ঞানীকে নষ্ট করে দেবে- দেবেই যদিনা তাঁর অফুরন্ত এনার্জী থাকে সিস্টেমের সঙ্গে লড়াই করার। সেইজন্য বারংবার লিখছি যে কেউ যদি সিরিয়াস গবেষণা করতে চায় তার অবিলম্বে দেশত্যাগ করা উচিৎ আর বিদেশে থাকলে সে যেন দেশে ফেরার কথা না ভাবে। অমর্ত্য বিদেশে গিয়ে নিজের, দেশের ও দশের মঙ্গল করেছেন। দেশে থাকলে খুব বড়জোর প্রধানমন্ত্রী হতেন!!
  • Fevi | 80.219.210.233 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ১৩:১১480037
  • দত্তগুপ্ত ঠিক সরছেন না। অবসরের বয়স হয়েছে। তবে সরানো উচিত ছিল। আগেই।

    পিটি, দেশের award নিয়ে যত কম বলা যায় ততই ভাল :-)। বিদেশেও এখন শুরু হয়েছে।
  • abastab | 61.95.189.252 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ১৩:২১480038
  • পুরষ্কার তিরষ্কার নিয়ে আলোচনার মাঝে আমার দু পয়সা। ইদানীং খাসা জিনিস হয়েছে google scholar ওটা ব্যবহার করে কিন্তু খানিকটা গুণমানের বিচার করা যায়। আর গবেষ্‌ণার কাজেও ওটা বেশ সাহায্য করে।
  • Bratin | 122.248.183.1 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ১৩:২৬480039
  • বুঝলাম!! :-)))
  • quark | 14.139.199.1 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ১৫:৩২480041
  • "উনি" সরছেন না, অবসরও নিচ্ছেন না, শুধু বিশ্বভারতীর উপাচার্য হচ্ছেন।
  • maximin | 59.93.165.38 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ১৭:৪৭480042
  • পিটি -- রাজ্য সরকার দেবে কেন? ইউজিসি-ই দেবে। যেমন অন্য ইউনি ও অটোনমাস ইস্টি দের দেয়। প্রেসি যখন সরকারী কলেজ ছিল তখনকার কথা একবার ভাবুন তো? কলেজের কয়েকটা বিভাগে তখনও ইউজিসি ফান্ডেড গবেষণা সেন্টার ছিল। কিন্তু ইউজিসি যখন সেন্টার এক্সপ্যানশনের সুপারিশ করত ইউজিসির টাকা গ্রহণ করতে হলে রাজ্যসরকারের concurrence লাগত। (রাজ্য সরকারের ফিনানশিয়াল লায়াবিলিটি থাকত না কিন্তু। শুধুই concurrence) তা রাজ্যসরকার তখন টাকাটা নিতে দিত না। স্রেফ ফাইল চাপা দিয়ে রেখে দিত। ইউজিসির টাকা অন্য রাজ্যে চলে যেত।
  • PT | 203.110.247.221 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ১৮:০৫480043
  • ম্যাক্সিমিন কি শেষ দুটি বাক্যের সমর্থনে কোন লিংক দেবেন? আমি যতদূর জানি concurrence-এর সঙ্গে স্পেস, লোক ইত্যাদি বেসিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার রাজ্য সরকারকেই জোগান দিতে হয়। অবিশ্যি নির্ভর করে কি ধরণের ফান্ডিং আসছে তার ওপরেও।
  • maximin | 59.93.165.38 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ১৮:৫৮480044
  • লিঙ্ক নেই। সহজ বুদ্ধিতে যা বুঝি, কনকারেন্স না দেওয়ার পক্ষে এমন সঙ্গত যুক্তি যদি থাকতই তাহলে রাজ্যসরকার নিশ্চয়ই সেই মর্মে চিঠি দিতেন। বিভাগে সেই চিঠির কপিও পাঠাতেন। ফাইল চাপা অবস্থায় ফেলে রাখার মত নীচ কাজ করতে হত না।

    কত কী অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটে, বুদ্ধিতে যার জবাব মেলে না। প্রেসির কিছু আত্মাভিমানী প্রফেসর এমনকি রাইটার্সে গিয়েও বসে থাকতেন না। একদম অবিশ্বাস্য ব্যাপার নয়?
  • maximin | 59.93.165.38 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ১৯:০৬480045
  • এত কথা লিখতাম না জানেন? নেহাৎ মনে হল আপনি সত্যিই জানতে চান।

    (পথপাশে [bytheway] গতকাল থেকে আমার নেট ছিল না।)
  • PT | 203.110.243.21 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ১৯:২৫480046
  • ম্যাক্সিমিনি, সত্যি জানতে চাই। গত দু-তিন বছর ধরে তথ্য নিয়ে এত অসত্য, অর্ধসত্য, অপসত্য প্রচার হয়েছে বহুল প্রচারিত মিডিয়ার মাধ্যমে যে ধূলো থিতোনোর পরে সব তথ্য আর একবার বিচার করে নিতে চাইছি। যেমন কিনা গোটা দশেক অধ্যাপকের নাম চাইছি যাদের মেধা নয় শুধু মিছিলে যাওয়ার জন্য চাকরি হয়েছে .......
  • maximin | 59.93.165.38 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ১৯:৫৮480047
  • উদাহরণস্বরূপ ১৯৭৭ সালের উদ্‌গাওকর কমিটির সুপারিশের কথা বলা যায়। ইউজিসির ভিসিটিং টিমের রেকমেন্ডেশন অনুসারে প্রেসির কয়েকটি বিভাগের জন্যে টাকা মঞ্জুর হয়ে এসেছিল। রাজ্যসরকারের একপয়সাও লাগত না। রাজ্যসরকারের অফিসে ফাইলগুলো চাপা পড়ে রইল। সেও ছিল আরেক পরিবর্তনের দিন।
  • maximin | 59.93.165.38 | ১৪ অক্টোবর ২০১১ ২০:২০480048
  • এই কথাটা একজনের কাছে জেনে নিয়ে বললাম। সার্চ দিয়ে পাইনি।

    গোটা দশেক অধ্যাপকের নাম চাই, যাদের মেধা নয় শুধু মিছিলে যাওয়ার জন্য চাকরি হয়েছে। পারলাম না। ফেইল।
  • indranil | 117.201.109.9 | ২৯ নভেম্বর ২০১১ ২১:৫৪480050
  • "উচ্চশিক্ষা মানে......" বাজে কথা ।

    ওটা আমাদের যত্নলালিত ভ্রম । এমন বহু কলেজ আছে যেখান থেকে কৃতি ছাত্ররা বিশ্ব-দরবারে প্রতিষ্ঠিত ।
  • indranil | 117.201.109.9 | ২৯ নভেম্বর ২০১১ ২১:৫৪480049
  • "উচ্চশিক্ষা মানে......" বাজে কথা ।

    ওটা আমাদের যত্নলালিত ভ্রম । এমন বহু কলেজ আছে যেখান থেকে কৃতি ছাত্ররা বিশ্ব-দরবারে প্রতিষ্ঠিত ।
  • indranil | 117.201.109.9 | ২৯ নভেম্বর ২০১১ ২১:৫৫480053
  • "উচ্চশিক্ষা মানেই......" বাজে কথা ।

    ওটা আমাদের যত্নলালিত ভ্রম । এমন বহু কলেজ আছে যেখান থেকে কৃতি ছাত্ররা বিশ্ব-দরবারে প্রতিষ্ঠিত ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন