এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • এলোপাথাড়ি, আবোলতাবোল

    Lama
    অন্যান্য | ১১ জুন ২০১১ | ৭৭৬৮ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 78.38.243.161 | ১০ জুন ২০১২ ০৬:২৬480303
  • লামা কি নাইট মারলে নাকি সত্যিই ভোর ছটায় উঠে পড়েছ?
  • Lama | 127.194.230.130 | ১০ জুন ২০১২ ০৬:৩০480304
  • আমি তো ব্রাহ্মমূহুর্তে উঠি ঃ)
  • aranya | 78.38.243.161 | ১০ জুন ২০১২ ০৬:৩৫480305
  • ব্রাহ্মমূহুর্তে উঠি না বলে জেগে থাকি বললে বোধহয় সত্যের কাছাকাছি হবে ঃ-) । গভীর রাতে তোমার পোস্ট দেখি মাঝেমাঝে
  • Lama | 126.203.188.143 | ১৯ জুন ২০১২ ১২:৫১480306
  • বেজায় গরম। একটা ট্রাফিক সিগন্যালের ছায়ার মধ্যে চুপচাপ বসে রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনছি। তবু ঘেমে অস্থির। নীলসাদা রঙ করা রেলিঙের ওপর বড় কাগজের সম্পাদকীয়র পাতাটা ছিল, হাওয়া খাবার জন্য যেই সেটা তুলতে গিয়েছি অমনি কাগজটা বলল “মাও”। কি আপদ! কাগজটা “মাও” বলে কেন?

    চেয়ে দেখি কাগজ তো আর কাগজ নেই, দিব্যি মোটাসোটা লাল টকটকে একটা বেড়াল গোঁফ ফুলিয়ে প্যাট প্যাট করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

    আমি বললাম “কি মুশকিল! ছিল সর্বাধিক প্রচারিত প্রথম শ্রেণীর দৈনিক, হয়ে গেল একটা দেড়াল।“

    অমনি বেড়ালটা বলে উঠল, ``মুশিকল আবার কি? ছিল কপালভাতি, হয়ে গেল জনলোকপাল। এ তো হামেশাই হচ্ছে।''

    আমি খানিক ভেবে বললাম, ``তা হলে তোমায় এখন কি বলে ডাকব? তুমি তো সত্যিকারের বেড়াল নও, আসলে তুমি হচ্ছ খবরের কাগজ ''

    বেড়াল বলল, ``বেড়ালও বলতে পার, সম্পাদকীয়ও বলতে পার, সাইবারক্রাইমও বলতে পার।''

    আমি বললাম, ``সাইবারক্রাইম কেন '' শুনে বেড়ালটা``তাও জানো না?'' বলে এক চোখ বুঁহে ফ্যাচফ্যাচ করে বিশ্রীরকম হাসতে লাগল আর “বাঙলার বায়ূ বাঙলার জল” গাইতে লাগল। আমি ভারি অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম। মনে হল ঐ সাইবারক্রাইমের কথাটা নিশ্চয় আমার বোঝা উচিৎ ছিল। তাই থতমত হেয়ে তাড়াতাড়ি বলে ফেললাম ``ও হ্যাঁ-হ্যাঁ, বুঝতে পেরেছি''

    বেড়ালটা খুশি হয়ে বলল, ``হ্যাঁ, এ তো বোঝাই যাচ্ছে- চক্রান্তের চ, পরিবর্তনের তালব্য শ , মাওবাদীর মা- হল চশমা। কেমন, হল তো?''

    আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না, কিন্তু পাছে বেড়ালটা আবার সেইরকম বিশ্রী করে হেসে ওঠে, তাই সঙ্গে সঙ্গে হুঁ হুঁ করে গেলাম। তার পর বেড়ালটা খানিকক্ষণ রাইটার্স বিল্ডিঙ্গের দিকে তাকিয়ে থেকে হঠাৎ বলে উঠল, ``গরম লাগে তো লন্ডন গেলেই পার।''

    আমি বললাম, ``বলা ভারি সহজ,কিন্তু বললেই তো আর যাওয়া যায় না?''

    বেড়াল বলল, ``কেন, সে আর মুশিকল কি?''

    আমি বললাম, ``কি করে যেতে হয় তুমি জানো?''

    বেড়াল একগাল হেসে বলল, ``তা আর জানিনে? কলকেতা, নন্দীগ্রাম,
  • phutki | 131.241.218.132 | ১৯ জুন ২০১২ ১২:৫৫480307
  • আরিব্বাস!!!
  • T | 24.139.128.15 | ১৯ জুন ২০১২ ১২:৫৭480308
  • হা হা হা হা...জ্জিও বস। চমৎকার হচ্ছে।
  • ডিডি | 120.234.159.216 | ১৯ জুন ২০১২ ১৩:১৮480309
  • ভয়ানক হচ্ছে। মারাত্মক ভালো।
    ইইস।
  • গান্ধী | 213.110.243.21 | ১৯ জুন ২০১২ ১৫:৪২480310
  • তাপ্পর??
  • প্পন | 214.138.240.254 | ১৯ জুন ২০১২ ১৬:০১480311
  • আবার মারাত্মক।
  • Debashis | 99.147.0.175 | ১৯ জুন ২০১২ ১৬:১৯480313
  • উরেদ্দাদা! এক্কেবারে ঝাকাস!
  • lcm | 79.236.163.133 | ১৯ জুন ২০১২ ১৭:২৪480314
  • খাসা এবং অসা
  • শ্রাবণী | 134.124.244.107 | ১৯ জুন ২০১২ ১৭:২৬480315
  • নাজুক!!
  • aka | 178.26.215.13 | ১৯ জুন ২০১২ ১৭:৪০480316
  • খাসা হয়েছে।
  • নেতাই | 131.241.98.225 | ১৯ জুন ২০১২ ১৮:৪৬480317
  • সিআর সেভেন আর লামাদাকে নিয়ে কেউ বাওয়ালি দেবেন না প্লিজ।
  • jhumjhumi | 127.194.241.210 | ১৯ জুন ২০১২ ১৯:০১480318
  • ফাটাফাটি!
  • pi | 82.83.85.246 | ১৯ জুন ২০১২ ১৯:৩৫480319
  • মাও, কপালভাতি, জনলোকপাল, চশমা ... ব্যাপ্পক !
  • Nina | 22.149.39.84 | ১৯ জুন ২০১২ ২৩:১৩480320
  • লামাকে শিগগির গোবেল দেয়া হৌকঃ-)))))))
  • bb | 127.195.174.108 | ১৯ জুন ২০১২ ২৩:২৭480321
  • সত্যি এই ছেলেটা নিজের প্রতিভা নষ্ট করছে। ইচ্ছা করলেই যুগান্তকারী অ্যানিমেশন ছবি বানাতে পারে, খুব সুন্দর হয়েছে লামা।
  • Sibu | 84.125.59.177 | ১৯ জুন ২০১২ ২৩:৩৫480322
  • গোবেল কি? গোরুর গলার ঘন্টা?
  • সোমনথ২ | 217.239.86.106 | ১৯ জুন ২০১২ ২৩:৫৯480324
  • "ছিল কপালভাতি, হয়ে গেল জনলোকপাল" - হাহাচেথেপগে !!
  • শঙ্খ | 169.53.174.140 | ২০ জুন ২০১২ ০০:৪০480325
  • লামাদা,

    একটু কী বোর্ডের ধুলো দিও দাদা। ঃ-))
  • Nina | 22.149.39.84 | ২০ জুন ২০১২ ০১:৪২480326
  • উফ! শিবু--গুরুর নোবেল হল গোবেল!
  • Lama | 127.194.246.171 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০০:২৮480327
  • কথাগুলোকে আসতে দিই, যেমন তারা আসে।

    টিপটিপ করে, ঝিরঝির করে, ঝমঝম করে কথাশিশুরা আসে। স্কুলছুটি ছেলেদের মতো।

    কতো সবুজ সবুজ অন্ধকার পুকুরের ঠান্ডা জলে ডুবসাঁতারের কথা, কতো দুপুরবেলায় লেবুগাছটির দিকে তাকিয়ে থাকার কথা, ঝড় থামবার পর গাছতলায় পাখির ছানাসহ নষ্টনীড়ের ছেতরে থাকার কথা, পুরনো ইঁটের পাঁজায় সাপের ডিম খুঁজে পাবার কথা, মেলাশেষের মাঠে শালপাতার ঠোঙ্গাদের ওড়াউড়ির কথা, শীতকালের বেঁটে বেঁটে দিনগুলোতে ঝুপঝাপ সন্ধ্যে নামার কথা। লেবু লজেন্সের কথা, চোরকাঁটার কথা, হারিয়ে যাওয়া রংপেনসিলগুলোর কথা, অকালমৃত কুকুরছানাদের কথা, কখনো না মেটানো আবদারগুলোর, না রাখতে পারা প্রতিশ্রুতিগুলোর কথা…

    আসে, যায়, ডোবে, ভাসে, বুজকুড়ি কাটে।

    বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে, হিমহাওয়ায় বিঁধতে বিঁধতে হেঁটে যাই ধোঁয়াটে গাছগুলোর দিকে

    বড় হাসালি, বড় কাঁদালি। ঘোর লাগিয়ে ছাড়লি বেবাক বেভুল বিটকেল জীবন বাপধন।
  • siki | 96.96.160.14 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০১:৪২480328
  • লামা আবারও একঘর।

    লামার হ য ব র ল-টা আমি কী করে মিস করে গেছিলাম?
  • shanku | 127.223.195.155 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৯:৫০480329
  • লামা-র আরও লেখা পড়তে চাই। কোথায় পাবো?
  • siki | 96.96.160.14 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১০:৩৭480330
  • লামা, হযবরলটা প্লিইজ শেষ করো।
  • Lama | 127.194.238.117 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০০:২৮480333
  • "আমার বড় ছেলে অমুক স্কুলে পড়ে, আর ছোট ছেলে তমুক স্কুলে। তোমার রিকশায় করে ওদের রোজ সকালে বাড়ি থেকে স্কুল আর বিকেলে স্কুল থেকে বাড়ি আনা নেওয়া করতে পারবে?"

    "পারব। মাসে একশো কুড়ি টাকা করে দেবেন।"

    "ওটা একশো করো। কাল থেকেই এসো তাহলে।"

    এইভাবে সজলকাকু এসেছিলেন আমাদের জীবনে। সজলকাকু। রিকশা চালাতেন। রিকশাওয়ালা।

    রোজ সকালে নির্ধারিত সময়ে রিকশার ক্রিং ক্রিং বেল বেজে উঠত। আর আমরা ব্যাগ কাঁধে স্কুলের পথে বেরিয়ে পড়তাম। তিন চার বছরে ব্যতিক্রম হয়েছিল শুধু দুবার। সজলকাকুর তিনকূলে কেউ নেই। শুধু কোথায় যেন এক দূর সম্পর্কের মাসি আছেন। মাসির বাড়ির নাম না জানা গ্রামের গল্প শুনতে শুনতে পৌঁছে যেতাম স্কুলে। যতদূর মনে পড়ে, ভাইয়ের স্কুল আগে ছুটি হত। সজলকাকু তাকে রিকশায় চাপিয়ে নিয়ে আসতেন আমাদের স্কুলের সামনে। আমার ছুটির জন্য অপেক্ষা করতেন। এই সময়টা ভাইয়ের মাঝে মাঝে ক্ষিদে পেয়ে যেত। তখন সজলকাকু বিস্কুট কিনে খাওয়াতেন। আমাদের বারণ করেছিলেন এ ব্যাপারে মা-কে কিছু না জানাতে।

    বড় হয়ে গেলাম। মাসকাবারি রিকশার পালা শেষ হয়ে সাইকেলে স্কুল যাওয়া আসা শুরু হল। স্কুল পেরিয়ে কলেজ। অন্য শহর। কলেজের পর আবার অন্য শহর। সজলকাকুকে ভুলেই গিয়েছিলাম প্রায়।

    সেদিনের হাফপ্যান্ট পরা স্কুলবালক আজ চল্লিশের মাঝবয়েসী। সজলকাকু তখন পঁচিশের যুবক হয়ে থাকলে আজ নিশ্চয় পঞ্চান্ন বা ষাটের প্রৌঢ়। হয়তো কোথাও আছেন। হয়তো নেই। এখন যদি দেখা হয় কেউ কউকে চিনতে পারব না।

    তাঁকে কখনো কিছু দেওয়া হয়নি। আজ তাই দুটো চারটি কথা সাজিয়ে দিলাম।
  • pi | 127.194.6.91 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০১:২০480335
  • ভাট থেকে মামুর ছেঁড়া ছেঁড়া গলগুলোকে তুলে জুড়ে দিলাম।

    --------------------------------------------------
    name: Ishan mail: country:

    IP Address : 214.54.36.245 (*) Date:12 Sep 2012

    আর ভাল্লাগেনা। জাস্ট কিচ্ছু করতে ইচ্ছে করছেনা, আপিসে শরীরটা ফেলে দিয়েছি। এই কারাগার আর কদ্দিন। মা। মাগো। মাথা ভোঁ ভোঁ করছে, কিচ্ছু শুনছিনা, এদিকে মিটিনে বসে আছি। কেন আছি, কে জানে।

    এই কনফারেন্স রুমের ঠিক পাশেই মিসিসিপির ব্রিজ। জানলা দিয়ে দেখা যাচ্ছে। লোকে খাচ্ছে-দাচ্ছে, ঘুরে বেড়াচ্ছে, গম্ভীর ভাবে কিসব বকে যাচ্ছে। আমি শুনছি না। নদীতে ইয়ালম্বা বার্জ চলছে, ক্যাপ্টেনকে দেখা যাচ্ছেনা। ব্রিজে কোনো গাড়ি নেই। রানওয়ে জুড়ে পড়ে আছে শুধু কেউ নেই শূন্যতা।

    এই মাত্র মিটিনে ফাটাফাটি তক্কো হয়ে গেল। গভর্নেন্স, গ্রিড আর্কিটেকচার, শেয়ারড মেমারি, এইসব কঠিন কঠিন বিষয়ে। একজন খুউব জোর দিয়ে বলছে, একজনের গ্রিডে অন্যজনকে লিখতে দেওয়া উচিত না। তাহলে প্রলয় হবে। শুনে আরেকজন আরও রেগে বলছে, সবাই যদি নিজের নিজের গ্রিডেই লেখে, তাহলে শেয়ারিংটা হবে কিকরে? কতো সব স্ট্রং মতামত, শেয়ারিং এর সুবিধা ও অসুবিধে নিয়ে কথা কাটাকাটি। যেন জ্যান্ত মানুষ নিয়ে কথা হচ্ছে।

    আমার মতামত জান্তে চাওয়ায় মোনালিসার মতো হাসলাম। যার মানে বোঝা যায়না। আমি ডানদিকে রইনা, আমি বাম দিকে রইনা, আমি ট্যারাব্যাঁকা রই, পরান জলাঞ্জলি দিয়া রে।

    ওদিকে এর মধ্যেই এইমাত্র একজন ফোন করল। একবার ধরলাম না, দুবার ধরলাম না। তৃতীয়বারে বাইরে গিয়ে ধরলাম। তারও একটা গ্রিড চাই। বললাম, বেশ তো হবে।
    সে বলল, আরো একটা কথা।
    আমি বললাম, বলো।
    সে বলল, কি বলছ শুনতে পাচ্ছিনা। আমি বাইরে আছি। এতো জোরে জোরে কথা বলতে হচ্ছে।
    আমি বললাম, তোমাকে জোরে জোরে কেন বলতে হবে। আমি তো দিব্যি শুনতে পাচ্ছি।
    সে চিৎকার করে বলল, কিচ্ছু শোনা যাচ্ছেনা।
    আমি বললাম, কিছু বলছিনা।
    সে আরও জোরে বলল, কি বলছ কিছুই বুঝতে পারছিনা। পরে বলব। তবে ফোনটা ধোরো।

    খুবই রেগে গেছে মনে হল। কিছুই বোঝাতে পারলাম না। কেন যে কথা বললাম কে জানে। ক্লান্তি আমায় ক্ষমা করো প্রভু।

    হ্যাঁ, কি যেন বলছিলাম? লোকটাকে কিছুই বোঝাতে পারলাম না। এরকম কতো হয়েছে।

    দিদিমনি জিজ্ঞেস করল, অ্যাসিড আর ক্ষার পড়েছ?
    আমি বলতে চেয়েছিলাম, হয়নি, কিন্তু পড়ে নেব। কিন্তু বললাম, হ্যাঁ পুরো পড়েছি।
    -- বলোতো কি করে চিনবে?
    আবছা আবছ মনে পড়ায়, বললাম, একটা কাগজ ডোবাতে হবে।
    -- আচ্ছা। কি কাগজ?
    উৎসাহ পেয়ে বললাম, খবরের কাগজ।
    -- আচ্ছা। তাতে কি হবে?
    -- (একটু ভেবে) অ্যাসিড হলে গন্ধ বেরোবে।
    -- কি গন্ধ?
    -- (মাথা চুলকে) একটু ভেবে বলতে হবে।
    -- পড়া ঠিকঠাক হয়নি?
    -- হ্যাঁ হ্যাঁ।
    -- ভেবেই বল।
    -- বাজে গন্ধ।
    -- পড়েছ? ঠিক করে বল।
    -- হ্যাঁ হ্যাঁ। পোড়া-পোড়া গন্ধ।
    -- কান ধরো।
    -- আরেকটু ভেবে বলি।
    -- (জোরে)কান ধরে দাঁড়াও।
    -- (কান ধরে) মানে ঠিক পোড়া-পোড়া না। হাল্কা গন্ধ বেরোবে।
    -- সত্যি করে বলো। পড়েছো?
    -- হ্যাঁ হ্যাঁ।
    -- তাহলে ওঠবোস করো।

    ইত্যাদি। বোঝাতে চাওয়া হয়েছিল, কালকেই পড়ে নেব। কিন্তু শর্টে মারতে গিয়ে কোথাকার জল কোথায় গড়াল।

    আরেকটা গপ্পো আছে। বিই কলেজের।

    কে যেন একটা খবর দিল, ক্লাসের একটা ছেলে জলে ডুবে মারা গেছে। সুইমিং পুলে। হাসপাতালে ডেডবডি আছে।

    দৌড়ে হাসপাতালে গেলাম। মিথ্যে কথা নয়। নিথর একটা দেহ শোয়ানো। তখনও মুখ খোলা। আমিই প্রথম। ডাক্তার বলল, নাম জানো?

    ভালো করে তাকিয়ে দেখি, কেমন সব অচেনা লাগছে। মুখটা চিনতে পারছি না। জাস্ট পারছি না। কার এই মুখ? জয়ন্ত? অনিন্দ্য? আমার নিজের আয়নায় দেখা মুখ? সব গুলিয়ে যায়।

    ডাক্তার বলে, কি হল, কে, বল?

    আমি হাঁ করে তাকিয়ে থাকি।

    ততক্ষণে চারপাশে আরও কিছু ছেলে জুটে গেছে। কেউ একটা বলে ওঠে, সঞ্জীব, সঞ্জীব। তাকিয়ে দেখি অনিন্দ্য।

    আমি, বুড়ো দামড়া ছেলে, কোত্থাও কিচ্ছু নেই, ভ্যাঁ করে কেঁদে দিই। অনিন্দ্য অবাক হয়ে বলে, কি হল?

    আমি বলি, তুই মরিসনি।

    অনিন্দ্য বলে, সে তো ভালো কথা। তাতে কাঁদার কি হল?

    সেইটা আর বোঝাতে পারিনি কাউকে। হতে পারে, সঞ্জীব মরে গেল বলে কাঁদলাম, নাকি অনিন্দ্য মরেনি বলে। যেকোনো মালের আখড়ায় বহুদিন এই নিয়ে খোরাক হয়েছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন