এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পাকিস্তান : পাকিস্তানবাসীর চোখে

    pi
    অন্যান্য | ০৩ আগস্ট ২০১১ | ৬১৮৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pingo | 68.11.174.83 | ০৫ আগস্ট ২০১১ ১২:০৯482285
  • thikache, amiweekendelikhbo.banglaitypekoreobhoyostonoi, taiektuchaplagche.
  • kallol | 115.184.62.95 | ০৫ আগস্ট ২০১১ ১৪:৫৯482286
  • পিঙ্গোকে। চাপের কিছু নেই। এই ভাবে লিখুন।
    Thik aachhe,aami uikaenDe likhabo.baa`mlaay Taaip kare abhyasthanaitaai ekaTu chaap laagachhe
  • pingo | 68.11.174.83 | ০৬ আগস্ট ২০১১ ১০:৪৩482287
  • amiavra-ibanglalikhtepari, tobepainfullyslow.taibanglaiborolekharkothabhableibhoipaai.ekhanebanglalekharchestakorlam, hocchena.kichuektasomosyahocche.somosyatahoyamarcomputer, bawebbrowserbaeiwebsiteer.amionekageekhanebanglalikhechi, somosyahoyni.ekhonlikhteparchhina.fixnahowaobodhilekharupaynei.
  • dukhe | 117.194.242.58 | ০৬ আগস্ট ২০১১ ১৪:২৩482288
  • ইউনিকোড ভার্সনে গিয়ে ইউনিকোডে মতামত দিন । অভ্র ব্যবহার করেই লিখতে পারবেন ।
  • kd | 59.93.254.222 | ০৬ আগস্ট ২০১১ ১৮:৪১482290
  • পাই আজকাল নিজের নামের সঙ্গে লেখার প্রথম দু'তিনটে অক্ষর জুড়ে দেওয়ার স্টাইল নিয়েছে। পিঙ্গোর পোস্ট দেখে ""ঙ্গো'' দিয়ে পোস্টের লেখাটা পড়তে গিয়ে সুবিধে হোলো না। এখন বুঝছি, আলাদা পোস্টার। :)
  • pingo | 173.253.130.199 | ০৯ আগস্ট ২০১১ ০৩:২৯482291
  • সমস্যা টা বোধহয় বুঝতে পেরেছি। ফায়ারফক্স এ লেখা জাচ্ছিলো না কারন ওদের সিকিউরিটি খুব বাড়ানো আছে। ক্রোম এ লিখতে পারছি তবে মাঝে মাঝেই সমস্যা হচ্ছে, লেখা আটকে যাচ্ছে। দেখি কতক্ষণ লিখতে পারি। হাঁপিয়ে উঠলে রোমান স্ক্রিপ্টে লিখে শেষ করবো।
    লেখা শুরু করার আগে দু চারটে কথা বলে রাখি। বানান নিয়ে আমার খুব ছুতমার্গ নেই। বাংলা বানান রীতি নিয়ে আমার অনেক মতামত আছে, তবে সেসব এই টেক্সট এর বাইরে রাখলে ভালো। স্কুল-লাইফে ণ আর ন গোলানো ছাড়া আমার সাধারণত বানান ভুল হতো না। তাই এখানে বানান ভুল দেখলে সেটা খুব সম্ভবত টাইপ করতে গিয়ে আমার লড়াই করার চেষ্টা কে প্রকাশ করে। অথবা বাংলা লেখার অনভ্যাস বশত বানান ভুল হয়েছে। যাকগে গল্পো শোনাবো বলেছিলাম, গল্পো শোনাই।

  • pingo | 68.11.174.83 | ০৯ আগস্ট ২০১১ ০৬:৩২482292
  • প্রথমে আমার পরিচয় দিয়ে শুরু করি। মুসলিম পরিবারে জন্ম, নন-প্রাকটিসিং বক-ধার্মিক, নাস্তিক, সর্বভুক, মাঝবয়সী (মাঝবয়সী মানে ঠিক কত? জানিনা) প্রবাসী বাঙ্গালী। not-so-remote গ্রাম বা মফসসলে বড় হয়েছি। ছোটবেলায় আমাদের পাড়ায় বেশ “ভাল ছেলে” ছিলাম, তাই ফ্রী তে পাওয়া তকমা যাতে বজায় থাকে সেই নিয়ে বিশেষ সতর্ক ছিলাম। একেই বোধহয় বলে খ্যাতির বিড়ম্বনা। ফাউ ভাল ছেলের তকমা কে না চায়?
    আমাদের এলাকায় হিন্দু আর মুসলিম সংখ্যায় প্রায় সমান সমান, এবং সবাই শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে। সাম্প্রদায়িক টেনশন নেই এমন নয়, তবে সেটা কখনও ভনক আকার ধারণ করতে দেখিনি। তবে সমাজ জাতপাত এর উর্ধে নয়, সোসাইটি সেমি-হোমোজিনিয়াস। মানে হিন্দু-মুসলিম মেশে, তবে কিছু রাখঢাক আছে।
    আমার আগের জেনেরাশন এর গল্প। হিন্দু দের অনেকেই মুসলিম দের বাড়ি খাবে না, এবং মুসলিমরা হিন্দু দের বাড়ি খাবে না। “জল গ্রহণ করবে না” এতটা স্ট্রিক্ট নয়, তবে অনেকে কিছু খাবার খাবে, আর কিছু আইটেম খাবে না।
    যেমন, আমার বাড়িতে অনেক সময় কাঠ এর মিস্ত্রি আসতো কাজ করতে। ঐ মিস্ত্রি কি খাবে আর কি খাবে না সেটায় একবার চোখ বোলানো যাক: আমাদের বাড়িতে বানানো রুটি আর চিনি বা গুড় খাবে, কিন্তু ভাত বা তরকারি খাবে না। এই রুটি বনাম ভাত রহস্য আমি বোঝার চেষ্টা করেছি, বুঝিনি। একটা কারণ বোধহয় ড্রাই-ফুড/ওয়েট-ফুড, কিন্তু রুটি বানাতে অনেক বেশী physicaltouch লাগে, যেমন আটা মাখা-রুটি বেলা ইত্যাদি – প্রসেস টা বেশ লম্বা। কিন্তু রুটি আলাওড, ভাত নইব নইব চ। সুধিজন এই অদ্ভুত প্রাকটিস বিষয়ে আলোকপাত করুন।

  • pingo | 68.11.174.83 | ০৯ আগস্ট ২০১১ ০৭:১৩482293
  • "bhalochele" taquoteunquotelikhechilam.damnguruchandali-rformatting! nextkistiporeasche.
  • pingo | 68.11.174.83 | ০৯ আগস্ট ২০১১ ০৮:৪৬482296
  • আমাদের জেনারেশন এই সব ব্যাপারে অনেক বেশি লিবেরাল। সমাজ দিন দিন অনেক বেশী হোমোজিনিয়াস হয়ে যাচ্ছে। দু একটা এক্সট্রিম উদাহরণও আছে। বছর দু এক আগে আমার বাড়ী থেকে দুটো ব্লক দূরে থাকা একটা মুসলিম ছেলে একটা হিন্দু মেয়ে কে বিয়ে করেছে। এলাকার মেয়ে, লাভ ম্যারেজ ইত্যাদি। দু পক্ষের ই বাড়ির লোকজন প্রথমে মেনে নিতে চায়নি। তবে রেজিসটেন্স টা “এরম হওয়া উচিত নয়, এরকম টা না হলেই ভাল হতো, এই যাতীয় মতামত এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে, এর বেশি কিছু দূরে গড়াইনি। বাড়ির বুড়ো লোকজন এখন “করে ফেলেছে যখন কি আর করা যাবে” জাতীয় রিয়াকসন দেখায়। ঐ দম্পতি এখন দিব্য সুখে ঘর করছে। এই রকম ঘটনার এই রকম প্রতিক্রিয়া একটা জেনেরাশন আগেও ভাবা যেত না।
    এতক্ষণ পর্যন্ত লিবেরালাইজেশন এর গল্প শোনালাম। উলটোটাও শোনান উচিত, নয়ত এই গল্প সম্পূর্ণ হবে না। খুব সামান্য অসাম্প্রদায়িক ঘটনা অনেক সময় বেশ বড় সামপ্রদায়িক আকার নিয়েছে। ধরা যাক, লোকাল বাজারে রাম এর দোকানে রহিম এর ১০০০ টাকা বাকি আছে, কিন্তু বহুদিন ধরে রহিম টাকা টা শোধ দিচ্ছে না। একদিন রাগ এর মাথায় রাম বাজারে রহিম কে পাকড়াও করল, তারপর সেই বাকি টাকা শোধ নিয়ে তক্কাতক্কির মাথায় সাইকেল টা কেড়ে নিল। ব্যাস, এরকম একটা সামান্য পারসোনাল ঘটনা কম্যুনাল আকার নিলো। রহিম এর সমর্থক রা বাজার বয়কট করলো, প্রতিক্রিয়া স্বরূপ রাম ভক্তরা নিজেজের এলাকা দিয়ে রহিম দের জাতায়াত বন্ধ করে দিল। ফলত এক সপ্তাহ বাজার এবং এলাকা বন্ধ। তারপর রাগ একটু কমলে সবাই বুঝতে পারল এভাবে কারো চলছে না; তারপর আস্তে আস্তে সব ব্যারিকেড উঠে গ্যালো, তারপর কিছুদিন পর আস্তে আস্তে সব নরমাল হয়ে গ্যালো। এরকম ঘতনা সাম্প্রতিক কালে ঘটেছে। যারা পাড়া গাঁ এ বড় হয়েছে তারা হয়ত এই জাতীয় ঘটনার সাথে পরিচিত।
    এ সব গ্যালো সাধারণ মানুষ এর আকচুয়াল দইনিক প্রাকটিস লাইফস্টাইল এইসব। এর পরের কিস্তিতে তাঙ্কিÄক লেভেলে মুসলিম দের মধ্যে কি রকম এর পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি সেই গল্প লিখব।
    পুনশ্চ: এখন অনেক স্বচ্ছন্দে টাইপ করছি। শুরুতে টাইপ এর পিছনে এতো এফর্ট দিতে হচ্ছিল যে লেখার তাল বারবার কেটে যাচ্ছিল।

  • byaang | 122.167.209.99 | ০৯ আগস্ট ২০১১ ২১:২৮482297
  • পরের কিস্তি??
  • pingo | 173.253.129.81 | ১০ আগস্ট ২০১১ ০১:৩৮482298
  • raatelikhbo.
  • pingo | 68.11.174.83 | ১০ আগস্ট ২০১১ ০৬:৩৫482299
  • আমি এর আগের দুটো কিস্তি তে বিবরনমূলক লেখা লিখেছিলাম,তাই বেশি মত প্রকাশের সুযোগ ছিল না। এবারের লেখাটা একটু আনালিটিক্যাল, তাই লেখাটার মধ্যে অনেক এলিমেন্ট থাকবে যেখানে আমার নিজস্ব মত থাকবে প্রচুর। গ্রহণ/বর্জন পাঠকের নিজের দায়িত্ব। আমি যে সমাজে বড় হয়েছি সেই সেখানকার সাধারণ মুসলিম দের সম্বন্ধে একটা ধারণা দেওয়ার চেস্টা করব। বেশিরভাগ লোকের ধারণা ধর্মকম্ম করা, মানে নামাজ পড়া রোজা করা এইসব ভাল কাজ, তবে প্রায় কেউই চাপ নিয়ে এত কিছু করে না। বছরে দুটো ঈদ এর নামাজ একমাত্র নামাজ জেটা সকল মুসলিম পড়ে। একদম পাগল বা অসামাজিক কেও না হলে এই নামাজ পড়া এক রকমের বাধ্যতামূলক, মানে পড়তেই হবে। ধার্মিক অধার্মিক বকধারমিক মিলে কাওকে কখনও ঈদ এর নামাজ না পড়তে দেখিনি। না পড়তে গেলে কি হবে জানিনা। প্রচন্ড অড বা অসামাজিক মনে হবে নিজেকে, তা ছাড়া কিছু হবে বলে মনে হয়না। জানিনা, এটা একটা হায়পোথেটিক্যাল ব্যাপার, তাই বলতে পারব না। নামাজ এর জায়গায় সবাই সাজগোজ করে এক যায়গায় একসাথে জড়ো হওয়া, ফেস্টিভ মুড তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করা, এবং সবচেয়ে বড় ব্যাপার, নামাজ এর পর দল বেঁধে বন্ধুবান্ধব এর বাড়িতে খাবার খাওয়া - এই সব মিলিয়ে একটা বিরাট প্যাকেজ। এগুলো মিস করার কোন মানে নেই। তাই ঈদ এর সময় বাড়ি থাকলে আমি নামাজ পড়তে যাই, এবং আমার ধারণা এইগুলো আমাকে যেতে বাধ্য করে। ঈদ এর সময়ে বাড়ির বাইরে থাকলে এইসব নেই। তাই নামাই পড়তে যাই না। ছুটির দিনে সকালের এক্সট্রা ঘুম আমার কাছে অনেক বেশি আরামদায়ক।
    যাকগে, নিজের ঢাক পেটানো বন্ধ করে এবার লোকাল জনগনের কথায় ফিরে যাই। সাধারণ পাব্লিক দের আমি তিনটে ভাগে ভাগ করছি।
    টাইপ এক: ঈদ এর দিন ছাড়া সারা বছরে আর কখনও নামাজ পড়েনা এরকম লোক। অনেক আছে। বিশেষ করে অল্পবয়স্ক বা মধ্যবয়স্ক দের অনেকে এই কাটেগরি তে পড়ে। তবে এরা সাধারণত ধর্মের প্রতি বিরূপ মনোভাবাপন্ন নয়, তবে একটা বয়স পর্যন্ত এইসব "খুচরো" ব্যাপার কে খুব বেশি পাত্তা দেয় না। এদের বেশিরভাগ বয়স বেশি হলে একটু ধর্মের দিকে মন দ্যায়। সাধারণ মানুষের মধ্যে খুব কম লোক সারাজীবন নাস্তিক বা উদাসীন থাকে, তবে এরকম একজাম্পল ও দু একটা আছে।
    টাইপ দুই: এরা রমজান মাসে মাঝে মধ্যে দু একটা রোজা রাখে। কখনও হয়ত দু একবার আধা পীয়ার-প্রেসার আধা-ইচ্ছায় শুক্রবার মসজিদে নামাজ পড়তে যায়। এরা সঙ্খ্যা ভালই, তবে প্রথম টাইপ এর চেয়ে কম হবে।
    এই দুটো টাইপ মেলালে খুব সম্ভবত নব্বই শতাংশের বেশি মানুষ কভার করা হয়ে যাবে। এদের জেনেরাল পারসেপশন হচ্ছে ধর্মে কর্মে মতি হওয়া ভাল। ধর্মগ্রন্থে যে সব বলা-লেখা আছে সেসব জানা বা মানা ভাল। তবে এদের সাধারণত খুব বেশি বুদ্ধিসুদ্ধি বা পড়াশুনা নেই, তাই বংশপরমপরায় যা চলে আসছে সেটাকেই এরা ফলো করে। এবং মোল্লারা যা বলে সেটাকে খুব সহজে মেনে নেবার প্রবণতা দেখায়। এরা নিজেরা শিয়া না সুন্নি না সুফি সে সম্বন্ধে এদের কোন ধারনা নেই, মাথাব্যাথাও নেই। এরা শুধু জানে এরা মুসলিম। ইসলাম মেনে চলা এদের আদর্শ অর কর্তব্য। এদের কাছে ধর্ম আর লোকাচার সমান। এরা যেটা বিশ্বাস করতে চায় সেটা এদের শোনাও, এরা খুব সহজে বিশ্বাস করবে। ফলত, এদের প্রাকটিস এর মধ্যে অনেক হিন্দু-মুসলিম ধর্মের বর্ডারলাইন এলিমেন্ট মিশে আছে। তাই মা মনসার থানে মানত করা খুব স্বাভাবিক ঘটনা।
    এর পরের কাটেগরি টা সঙ্খ্যায় সবচেয়ে কম, তবে এরাই সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং। এই তিন নম্বর টাইপ নিয়ে নেক্সট কিস্তি নামবে।
  • Nina | 68.45.76.170 | ১০ আগস্ট ২০১১ ০৬:৪৮482300
  • খুব সুন্দর এগোচ্ছে--মন দিয়ে পড়ছি।
  • pingo | 68.11.174.83 | ১০ আগস্ট ২০১১ ১১:৩০482301
  • তিন নম্বর টাইপ এর লোকজন বলতে আমি বিশ্বাসী এবং প্রাকসিটিং মুসলিম দের কথা বলছি। এদের মধ্যে দু চারটে নিরক্ষর/খুব অল্পশিক্ষিত লোক আছে। তবে সাধারণত এই সেট এর লোকজন বাকি ৯০ শতাংশ এর চেয়ে বেশি শিক্ষিত। এরা রেগুলার নামাজ পড়ে, রমজান মাসে রোজা করে, ধর্ম নিয়ে মাঝে মধ্যেই ঠেক বসায়। সেই ঠেক এর আলোচনার বিষয় হল ধর্মচর্চা ধর্ম কালচার ইত্যাদি। সাধারণ উদ্দেশ্য হল নিজেদের কে ধর্মের আলোর মধ্যে রাখা, যারা একটু কম এনলাইটেড তাদের কে "আলোর" পথে নিয়ে আসা ইত্যাদি। এরা নিজেরা ধর্মগ্রন্থ পাঠ করেন, মাতৃভাষায় ধর্মচর্চা প্রোমোট করেন, এবং মোল্লাদের বাণীকে বিনা বাক্যে মেনে নেওয়ার চেয়ে এসব কাজকর্ম শ্রেয় বলে মনে করেন।

    এইসব কালচারড লোকের মধ্যে কিছু লোক আছে যারা কট্টরপন্থী। বা পিউরিটান। এদের কাজ হল এই সব ধর্মগ্রন্থ পড়ে সেগুলোর সঠিক মানে বোঝা, সেইসব বুঝে নিজেদের চলার পথ ঠিক করা, এবং বাকি সমস্ত কম এনলাইটেনড লোকজন দের "সঠিক" আলোর পথে নিয়ে আসা। যারা একটু "বিপথগামী" তাদের কে "পথ" দেখানো। যেসব লোকের বিশ্বাস বা প্রাকটিসে "গলদ" আছে তাদের কে "শোধরানো"। যাদের মধ্যে বিশ্বাস নেই তাদের মধ্যে আল্লাহ এর বাণী প্রচার করা। যারা সব জানে বোঝে কিন্তু প্রাকটিস করে না তাদের প্রাকটিস এর মধ্যে নিয়ে আসা। যেমন ধরা যাক, মা মনসার থানে মানত করা ঠিক ধর্মসম্মত নয়, সুতরাং এর বদল দরকার - আমার ধারনা এই ব্যাপারে বোধহয় সব পিউরিটান ই একমত হবেন। কারনটা খুব স্পষ্ট - এই প্রাকটিস এর সাথে বিশুদ্ধ ইসলাম এর কোন যোগ নেই।
    যাইহোক, এই ব্যাপারে সব পিউরিটানরা একমত হবেন কি না সেটা এই আলোচনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়। মূলকথা হল - কিছু অবভিয়াস ব্যাপারে এরা একমত। কিন্তু মতভেদ নেই এমন নয়। অনেক খুচরো ব্যাপারে মতভেদ আছে - এবং এই পার্থক্যগুলো খুব ইম্পরটান্ট। কিছু খুচরো পার্থক্য নিয়ে কয়েকটা সেক্ট গজিয়েছে। দুটো সেক্ট এর মধ্যে রেশারেশি, খুচরো বাওয়াল ইত্যাদি আছে। তবে কমন ফ্যাক্টর টা হল - এই সব সেক্ট এর মুসলিমরা বাকি সাধারন ৯০ শতাংশ মুসলিম দের চেয়ে একটু "বেশি মুসলিম"।

    এই সব বেশি মুসলিম দের আল্লাহ বাকি সাধারন মুসলিম দের আল্লাহ এর চেয়ে অনেক আলাদা। একজন সাধারন মুসলিম এর আল্লাহ তার কাছে একটা "পারসোনাল গড", মানে প্রত্যেকে আল্লাহবিশ্বাসী, তবে এদের প্রত্যেক এর আল্লাহ বাকিদের আল্লাহ এর সাথে সমান নয়। এরা বাঙালি এবং মুসলিম। কিন্তু বেশি মুসলিমরা কোরানে বর্ণিত "সঠিক" আল্লাহ তে বিশ্বাস করেন। অর্থাৎ এদের মধ্যে আল্লাহ হয়ে উঠেছে অনেক জেনেরাল। অর্থাৎ পারসোনাল গড এর মৃত্যু ঘটেছে এদের মধ্যে - সমস্ত বেঠিক বিশ্বাস বর্জন এর মধ্যে দিয়ে। এবং এদের ই একটা অংশ এসব এর সাথে আরও অনেক কিছু বিশ্বাস করে। যেমন ইসলাম একটা সম্পুর্ণ সমাজব্যাবস্থা, জীবনের প্রতি পদে পদে ধর্ম ই আমাদের পাথেয় হওয়া উচিত ইত্যাদি। সব মিলিয়ে এদের ইসলাম এককথায় পলিটিক্যাল ইসলাম - ইসলামিক সমাজব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়েই যার পরিসমাপ্তি। এরা বাংলা ভাষায় কথা বললেও মনে প্রাণে আরব। এবং এই সব ধ্যান ধারনার প্রচার ও প্রসার ই জীবন এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে এরা মনে করে। এরকম সমমনস্ক লোকেদের নিয়ে কিছু অরগানাইজেসেশন ও আছে। এদের প্রধান আকটিভিটি হল ধর্মের বইপত্র বিলি করা, এবং ছোট আলোচনাসভা বা পাবলিক জলসা আয়োজন করে নিজেদের দল বাড়ানো।

    আগেই বলেছিলাম, পাড়ায় "ভাল ছেলে" লেবেল গায়ে লেগে গিয়েছিল ছোটবেলায়। তার ফলস্বরূপ অনেক ছোটখাট আলোচনায় আমার অনেক সময় ডাক পড়ত - উদ্দেশ্য আমার মত ছেলেদের "কালেক্ট" করা। আমি দু একবার গেছি, কখনও দু একটা প্রশ্ন করেছি, ফ্রি খাবার খেয়েছি দেয়েছি তারপর চলে এসেছি। কিন্তু এখনও অবধি ধর্মে মতি ফেরেনি। ওরা বোধহয় এতদিনে হাল ছেড়ে দিয়েছে। আমি হোপলেস।

    যাইহোক, এদের প্রভাবে বাঙালি মুসলিম বাঙ্গালিঙ্কÄ কাটিয়ে প্রকৃত মুসলিম হয়ে উঠবে, নাকি বাঙ্গালীত্বের জোরে এরা আস্তে আস্তে হার্ডলাইন ছেড়ে রিভিশনিস্ট হয়ে উঠবে সেটা সময় ই বলবে। এখন আমি কাটি। পরে সময়-সুযোগ পেলে আরও কিছু হয়ত লিখব।
  • kallol | 220.226.209.2 | ১০ আগস্ট ২০১১ ১৬:১৮482302
  • পিঙ্গো বর্ণিত পূব বাঙ্গালার বাঙ্গালী মুসলমানের শ্রেণী বিভাগ, প:ব:তেও অনেকদিন পর্যন্ত তাইই ছিলো। একবার ধাক্কা খায় ১৯৬৯ জুলাই। চাঁদে মানুষ পা রেখেছে, এটা মানতে বেশ ঝামেলা হয়েছে। আমাদের বয়সীরাও (তখন আমরা ১৪-১৫) বলতো - ওটা আমেরিকার সিনেমা। ফলে তারা একটু বেশী মুসলমান হতে শুরু করলো।
    আবার ব্যাপারটা থিতিয়ে গিয়েছিলো।
    মাথা চাড়া দেয় ১৯৯২ - বাবরী মসজিদ ও পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জেতা।
    তারপর থেকে বেড়েই চলেছে।
  • Kulada Roy | 74.72.54.134 | ১০ আগস্ট ২০১১ ১৯:৩৪482303
  • পিঙ্গোর বর্ণনাটা অসাধারণ লেগেছে। খুব সাদামাটাভাবেই হিন্দুমুসলমানের চিত্রটা ফুটে উঠেছে। ধন্যবাদ। এইভাবেই বইয়ের গবেষকের বা ভাষ্যকারের বাইরে মানুষের দেখা জগ্‌ৎটা প্রকাশ হলেপর সঠিক সমাজচিত্রটা পাওয়া যাবে।

    আমার জন্ম বাংলাদেশর দরিদ্রতম এলাকায়। দরিদ্র নমশুদ্র পরিবারে। আমার ঠাকুরদার মেজভাই কোনোরকমে একটা ইটখোলা করে ব্রিটিশদের রাস্তাঘাটে দালানবিল্ডিংঅএ এই ইট ও রাজমিস্ত্রি সরবরাহ করে কিছু পয়সা কড়ি বানিয়েছিলেন। আর বাকীরা হাইলা চাষী। আর আমার নিজের ঠাকুরদা কিছু কৃষ্ণযাত্রা-পালাগান-যাত্রা গানে মেতেছিলেন। ফলে তিনি সর্বশান্ত হয়ে পথে বসেন। পরে হাট থেকে এক বস্তা চাল কিনে হাটে হাটে বাবাকে নিয়ে বিক্রিবাটা করে খোরাকী জোটাতেন। আমাদের সংসারে লেখাপড়াটা আমার কারণে আর কিছুটা কপালগুণে হয়েছে। অর্থনৈতিক কারণেই হোক আর অন্য কারণেই হোক আমাদের বাড়ির পরিবারটায় ধর্ম নিয়ে অত মাতামাতি ছিল না। টাকা জোগাড় হলে বাবা কখনো কালী পূজা করতেন। সেটা পারিবারিক বলেই হত। এই সময় আত্মিয়স্বজনরা আসতেন। আর লক্ষ্মীপূজোটা মা ফুলবেলপাতা প্রতিদিন প্রণামের মধ্যে দিয়ে সারেন। কখনো বিস্তারিত মন্ত্রতন্ত্র পড়তে দেখিনি। তার অত সময় ছিল না। তার চেয়ে ডালে ফোঁড়ন দেওয়া জরুরী। আর বছরে সরস্বতীপূজাটা হত। নো গুরু। নো ধর্মীয় আলোচনা। বছরের চৈত্রমাসে মতুয়ারা দক্ষিণের আন্ধারমানিক থেকে আসত--ওড়াকান্দি পায়ে হেঁটে যাওয়ার সময় আমাদের বাড়ি একরাত্রি থেকে যেত। খিচুড়ি খেত। আমার দিদির হারমোনিয়ামটা টিপেটুপে বিজয় সরকারের গান করত--পোষা পাখি উড়ে যাবে, একদিন --আমি ভাবি নাইতো মনে। আমরা পোষাপাখির উড়ে যাওয়াটা টের পেতাম। এই পর্যন্ত। মতুয়ারা এত গরীব যে তাদের হারমোনিয়ামটা পর্যন্ত ছিল না। ঢাকঢোলই যন্ত্র। হরিব্বলই মন্ত্র। এই মতুয়ারা এলে আমাদের প্রতিবেশি মুসলমানরা কখনো বিরক্ত হননি। তারা আমাদের বাড়িতে এসে মতুয়াদের কাছ থেকে গান শুনেছেন। তাদের কাছ থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বাদাবনের খবরাখবর নিয়েছেন। তাদের জলটা এগিয়ে দিয়েছেন। ঘরের গোগলার পাটিটা পেতে দিয়েছেন। পারলে দুটো মুড়ি বের করে দিয়েছেন।

    আর পূজার সময়ে বিশেষ করে সারাদিন ধরে মাইকে মান্না দে খুব চিৎকার করে গাইতেন--ললিতাগো, ওকে আজ চলে যেতে বল না, জগন্ময় যখন হাহাকার করে উঠেন-তুমি আজ কতদূরে, তখন দেখেছি আমাদের পাড়ার মুসলমান চাচারা ললিতাকে বেশ পছন্দই করত। কৃষ্ণ হারামজাদার উপর বেশ বিরক্ত হয়ে বলত, কিরে ব্যাটা অত ঝামেলা করছিস কেন। রাধার কাছে আইয়া পড়। অথবা কাইটা পড়। ঝুলোঝুলি করতিছিস ক্যান। আর দাদাজানরা জগন্ময় শুনলেই ছলছলো হয়ে উঠতেন। নানাপদে ভাবনা করতেন-দু:খি জগন্ময়ের জন্য। দুহাত তুলে মুনাজাত করে জগন্ময়ের তুমির জন্য দোয়া খায়ের করতেন। বলছেন--খোদা মাইয়াডারে তুমি বেহেস্ত নসিব কইরো। আর যারা পৌষ মাসে ডাক ঢোল পিটিয়ে রাত্রিকীর্তন করত--তারা মসজিদের সামনে এসে বাজনা থামিয়ে দিত। তখন মসজিদে নামাজীরা সেজদা দিচ্ছেন। কখনো এ নিয়ে সমস্যা দেখিনি।
  • pi | 72.83.100.43 | ১০ আগস্ট ২০১১ ১৯:৪৫482304
  • পিঙ্গোর বর্ণনা পশ্চিম বাংলার।
  • kc | 178.61.96.29 | ১০ আগস্ট ২০১১ ১৯:৫৪482306
  • পিঙ্গোর বর্ণনাটা এক্কেবারে যেন আকাদের মুর্শিদাবাদ জেলার বর্ণনা।
  • Nina | 12.149.39.84 | ১০ আগস্ট ২০১১ ২০:৪৪482307
  • পিঙ্গোর বর্ণনা খুব ভাল লাগছে--এমন করে রোজকার কথা রোজকার মানুষের কাছে শুনলে --ছবিতা অনেক সহজ ও পরিষ্কার হয়।
    কুলদাভাইএর কথাগুলিও সহজ ও পরিষ্কার--কোনও সোশ্যাল ম্যাসেজে ভারি নয়--চোখে দেখা সমাজ।
    আমাদের এখানেও অনেক সহজ মেলামেশা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানি মানুষজনের সঙ্গে--কিছু ব্যাতিক্রম থাকবেই--কিন্তু মোটামুটি সহজ। আমাদের ছেলেমেয়েদের মধ্যে আরো সহজ---তারা কোনোরকম দুরত্ব অনুভব করেনা। একে অপরের কালচারের ভালোটা স্বীকার করে ও তার থেকে ভালটাই শেখে।

    টই চলুক--খুব ভাল লাগছে।
  • pi | 72.83.100.43 | ১১ আগস্ট ২০১১ ০৩:৩০482308
  • "..আর পূজার সময়ে বিশেষ করে সারাদিন ধরে মাইকে মান্না দে খুব চিৎকার করে গাইতেন--ললিতাগো, ওকে আজ চলে যেতে বল না, জগন্ময় যখন হাহাকার করে উঠেন-তুমি আজ কতদূরে, তখন দেখেছি আমাদের পাড়ার মুসলমান চাচারা ললিতাকে বেশ পছন্দই করত। কৃষ্ণ হারামজাদার উপর বেশ বিরক্ত হয়ে বলত, কিরে ব্যাটা অত ঝামেলা করছিস কেন। রাধার কাছে আইয়া পড়। অথবা কাইটা পড়। ঝুলোঝুলি করতিছিস ক্যান। আর দাদাজানরা জগন্ময় শুনলেই ছলছলো হয়ে উঠতেন। নানাপদে ভাবনা করতেন-দু:খি জগন্ময়ের জন্য। দুহাত তুলে মুনাজাত করে জগন্ময়ের তুমির জন্য দোয়া খায়ের করতেন। বলছেন--খোদা মাইয়াডারে তুমি বেহেস্ত নসিব কইরো। ..."

    কুলদাদা, ব্যাপক ! :))

    pingo, ভাল লাগছে পড়তে। কোল্কাতা পর্ব আসবে না ?
    কিছু প্রশ্ন ছিল। ঐ ১০% এর সাথে এলাকার হিন্দুদের সম্পর্ক কেমন থাকে ? আর বাকিদের সাথেই বা কেমন? মুসলিম ও হিন্দুদের ধর্মীয়, সামাজিক, পারিবারিক অনুষ্ঠান টানে পারস্পরিক অংশগ্রহণের নমুনাই বা কেমন ?
  • sumit | 69.207.29.34 | ১১ আগস্ট ২০১১ ০৪:০৬482309
  • পিঙ্গো ও কুলদা- সাধু। লিখতে বেশী দেরী করবেন না আর, নয়তো টইবাজদের হাতে এমন সুন্দর সুতির কাজ ছিঁড়ে ফর্দাফাঁই হয়ে যাবে।
  • pingo | 68.11.174.83 | ১১ আগস্ট ২০১১ ০৯:০০482310
  • pi এর প্রশ্নের উত্তর দিই। প্রথমেই বলে রাখি, এই নম্বর বিভাজন টা একদম আরবিট। আকচুয়ালি ৯০ - ১০ কোনো পরিষ্কার বিভাজন নেই। এবং সাদা-কালো ও না পুরো সমাজ। পুরোটাই গ্রে-এরিয়ায় পড়ে। এবং লোকজন এর নেচার বা বিহেভিয়ার এর সবটাই continuum, মানে ফুল প্রাকটিসিং, প্রায় ফুল-প্রাকটিসিং, হাফ-প্রাকটিসিং, ল্যাদখোর প্রাকটিসিং, প্রায় নন-প্রাকটিসিং,একদম নন-প্রাকটিসিং, অধার্মিক এরকম লিখলে অনেক ভাল বর্ণনা দেওয়া হবে। আমি বর্ণনার সুবিধার্থে এরকম সরল বিভাজন করেছিলাম। যাইহোক, আমার ধারণা সিরিয়াসলি প্রাকটিসিং মুসলিম দের সঙ্খ্যা ১০ শতাংশের বেশি হবে না। এবং এদের অনেকে জাস্ট "ধর্ম করা ভালো" মনে করে, তাই করে। মানে পাতি ধর্মভিরু। এবং ফুলটাইম প্রাকটিস করে মানে ভাল রকমের ধর্মভিরু। এই সেট এর বাইরে যারা আছে, মানে যারা হাফ-প্রাকটিসিং তারা একটু কম ধর্মভিরু, এই যা পার্থক্য। এবং এদের বেশিরভাগ ই বেশ ভালোমানুষ, এবং বেশ সামাজিক। তাই এদের, মানে সেট এর দু পাশের লোকের সামাজিক স্টাটাস খুব একটা আলাদা নয়। কোন রেলিজিয়াসিটির সাথে সামাজিক সম্পর্কের কোন লিনিয়ার রিলেশন নেই; বা থাকলেও সেটা খুব প্রকট নয়, তাই আমার চোখে পড়েনি। এরা এক একটা কনট্রাডিকশন এর পিলার। অনেক স্ববিরোধী বিশ্বাস আছে এদের মধ্যে। এবং সেই স্ববিরোধ নিয়ে এরা কাজ চালানোর মত সেকুলার। সেই জন্যেই অমুসলিম দের সাথে দিব্ব্যি কাটিয়ে দ্যায় সারাজীবন কোন বড় রকমের সমস্যা ছাড়াই। এরা ধর্ম নিয়ে বেশ গোঁড়া, তবুও এদের গোঁড়ামি পলিটিক্যাল ইসলাম হয়ে ওঠেনি।

    একটা উদাহরণ দিলে বুঝতে পারবে।
    একটা ইসলামি জলসায় একজন বড় মাপের এক মৌলবি বলল, সব মানুষ ই আল্লাহ র সৃষ্টি, এবং মানুষের জন্য বেহেশ্তে যাওয়ার একটাই মাত্র পথ আছে, এবং সেই পথটা দেখাতে পারে ইসলাম।
    এরা এই কথায় বিশ্বাস করলো। সম্পুর্ণ রূপে।
    আমি: একটা কথা জিগ্যাসা করার ছিল। যারা নন-মুসলিম তাদের জন্য খারাপ লাগছে। তাদের জন্য বেহেশতে যাওয়ার কোন পথ নেই।
    এদের একজন: না, যারা অন্য ধর্মের লোক তাদের জন্য অন্য নিয়ম।
    আমি: তাহলে কি মৌলবি ভুল বলেছে?
    এদের একজন: না।
    আমি: তাহলে ঐ "একটাই মাত্র পথ" ব্যাপারটা ঠিক বুঝলাম না।
    এরপর আলোচনা বাড়ানো যায়, তবে সেটা এই লুপেই চলে। কথায় কথা বাড়ে, কারও মত বদল হয় না। বেশিরভাগ ধার্মিক লোকেরা এই কাটেগরি তে পড়ে। এদের ঈশ্বর ইনস্টিটিউশনাইজড পারসোনাল গড। ভেরি ক্লোজ - তবে এদের ধর্ম পুরোপুরি পলিটিক্যাল হয়ে ওঠেনি।

    পলিটিক্যাল ইসলাম এর প্রীচার যারা তাদের সঙ্খ্যা অনেক কম। একদম হাতে গোনা। এরা আকটিভ, অরগানাইজেশনাল ব্যাপারে মাথা খাটায়। বাইরে থেকে দেখলে এদের সাথে আগের ক্যাটেগরির একটা "খুব ধার্মিক" এর পার্থক্য পাবে না। তবে এদের অরগাইজেশনাল আক্টিভিটির গভীরে গেলে পার্থক্য বুঝতে পারবে। এদের, মানে এই সব আক্টিভ লোকেদের জেনেরাল বডি মিটিং গুলো অনেক বেশি রেলিজিয়ান এর দিকে ফোকাসড, আর "কোর" গ্রুপ এর মিটিং গুলো অনেক বেশি পলিটিক্যাল। মানে নেক্সট জেনেরাল মিটিং বা কম্যুনিটি আক্টিভিটির প্লান-প্রোগ্রাম-লাইন এইসব ঠিক করা, বাকিদের কি ভাবে বোঝানো হবে সেই সব নির্ধারন করা ইত্যাদি[ইনসাইডার ইনফো]। এদের আল্টিমেট গোল হল সারা দুনিয়ায় ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করা। মানে এককথায় এরা আর এস এস এর মিরর অরগানাইজেশন। বাকি খুচরো বর্ণনা আগের কিস্তিতে লিখেছিলাম।
  • pi | 128.231.22.133 | ১৩ আগস্ট ২০১১ ০২:০৮482311
  • হুম। ইন্টারেস্টিং।

    এই সারা পৃথিবীতে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার কাজটা ওঁরা, মানে ঐ খুব কম সংখ্যক যাঁদের কথা বল্লি, তাঁরা এটা কী কী ভাবে করতে চান ?
  • pi | 72.83.100.43 | ১৩ আগস্ট ২০১১ ২০:০২482312
  • এটা এখানেও থাক বরং।


  • pingo | 68.11.174.83 | ১৫ আগস্ট ২০১১ ০৭:৩৭482313
  • Pi–যারা সারা দুনিয়া জুড়ে শরিয়াতি শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চান প্রায় কেঊই ধান্দাবাজ নন। এরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন একমাত্র শরিয়াতি শাসন এর মাধ্যমেই পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব, এবং এই পথেই মৃতুর পর সবার মুক্তি সম্ভব। একজন খাঁটি মুসলিমের কাজ শরিয়তি আইন মেনে চলা, এবং যারা এসব মানতে নারাজ তাদের বুঝিয়ে “সত্যের” পথে নিয়ে আসা। কোরান-হাদিস এদের সংবিধান। জীবনের প্রতি পদে এরা ইসলাম ফলো করে। সারা পৃথিবীতে শরিয়তি শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব এই কথাটা এদের কতজন বিশ্বাস করে সেটা আমার সন্দেহ আছে - তবে এদের মতে আদর্শ সিস্টেম, তাই আমাদের আলটিমেট আপ্রোচ হওয়া উচিত শরিয়তি শাসন। Itisthebest.
  • pingo | 68.11.174.83 | ১৫ আগস্ট ২০১১ ০৭:৩৮482314
  • কোল্কাতা পর্ব নিয়ে আর একটা কিস্তি হয়ত পরে কখনও লিখব।
  • pingo | 68.11.174.83 | ১৫ আগস্ট ২০১১ ০৭:৫১482315
  • এবং শরিয়তি শাসন প্রতিষ্ঠা করার বেসিক আইডিয়া হল ইসলাম এর পজিটিভ দিক গুলো প্রোমোট করা এবং নেগেটিভ দিক গুলো ডিমোট করা। তবে প্লান আর আকশন নিয়ে এদের মধ্যে মতভেদ আছে। একদম এক্সট্রিম কেস হল মিলিটান্ট ইসলাম। মানে অমুসলিম দের মারধর-ভাংচুর এইসব। ideologically এইসব কাজকর্ম সমর্থন করে এরকম কোন মুসলিম আমি পারসোনালি চিনি না, বা বাঙ্গালিদের মধ্যে এই ধরনের মুসলিম আছে বলে জানিনা। বাকি রইল বোঝানো পাবলিক - এরা অসীম ধৈর্যশীল, সারাজীবন বাকিদের বোঝানোর চেষ্টা করে যায়।
  • pi | 72.83.74.17 | ১৫ আগস্ট ২০১১ ০৮:২৬482317
  • pingo, বুঝলাম।
    মিলিট্যান্ট ইসলামে বিশ্বাসী অংশ যে অতি ক্ষুদ্র, এটা যে বেশিরভাগ লোকজন কবে বিশ্বাস করবে ! মুসললামান মানেই বেশিরভাগ মোল্লা , মিলিট্যান্ট ... এইসব মিথগুলো যে কবে ভাঙবে !
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন