এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • নতুন সরকারের শিক্ষা স্বাস্থ্য শিলপনীতি ইত্যাদি

    pi
    নাটক | ২৯ জুলাই ২০১১ | ১৬৪০৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 72.83.100.43 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১৭:২৩482629
  • উফ্‌ফ ! আবার টাইপ করতে হবে :(

    পরে করবো।
  • hu | 98.223.88.150 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১৭:৫০482631
  • হায়ার সেকেন্ডারীর কম্বি নিয়ে কথা হচ্ছে দেখে পুরোনো শোক উথলে উঠল। ভাবলাম দুকলম লিখি। যেহেতু ভালো মেয়ে ছিলাম তাই সায়েন্স না নেওয়ার অপশনটা ছিল না। এদিকে পড়তে ভালো লাগে ভূগোল। পরে বুঝেছি আমার যেটা ভালো লাগত সেটাকে বলে জিওলজি। কিন্তু ভূগোল দিদিমনির বেশ প্রিয় ছাত্রী হওয়া সঙ্কেÄও তিনি আমাকে এই সাবজেক্টের সন্ধান দিতে পারেন নি। যাই হোক, ভেবেছিলাম মাধ্যমিকের পরে সায়েন্স নিলেও অ্যাডিশনালে ভূগোল নেব। আমার গ্রামের স্কুলে সেই কম্বি ছিল। কিন্তু মাধ্যমিকের রেজাল্টটা একটু বেশী ভাল হয়ে গিয়ে মুশকিল হল। স্কুলের দিদিরাই জোর করে কলকাতা পাঠিয়ে দিল। বাবা-মার জোরজারি তো ছিলই। দূরত্বের কারনে আবাসিক কলেজ ছাড়া সেই মূহুর্তে উপায় ছিল না। যে আবাসিক কলেজে ঢুকলাম সেই কলেজ ভূগোল পড়ানোর জন্য বিখ্যাত, কিন্তু সায়েন্সের সাথে ভূগোল অ্যালাও করবে না। আর সায়েন্স পড়তে না চাইলেই সেকালে লোকে এমন ছি ছি করত, আমিও ভিতু মানুষ, ভূগোল পড়া আর হল না। হায়ার সেকেন্ডারীতে খুব খারাপ রেজাল্ট করায় জিওলজি পড়ার রাস্তাটা একটু খুলছিল। কে জানে কেন লোকে মনে করে জিওলজি পড়তে পিওর সায়েন্সের মত অত বুদ্ধি লাগে না। তাই জিওলজির র‌্যাঙ্কিং পিওর সায়েন্সের নিচে, মানে যাদবপুরে সেরকমই শুনেছিলাম। কিন্তু একমাত্র মেয়ে ফিল্ডট্রিপে যাবে, কে জানে কত খারাপ ছেলে থাকবে সঙ্গে - এসব ভয় পেয়ে মা প্রবল আপত্তি জানালেন। আমিও খারাপ রেজাল্ট করে চুপসে ছিলাম, প্রতিবাদটা বেশি দূর গড়ালো না। শেষমেষ সংখ্যাতঙ্কÄ। বলতে নেই, সুখেই আছি। অন্য কোন সাবজেক্টে আমার মত মাঝারী মানের ছাত্রী এত সহজে চাকরী পেত না। কিন্তু খুব আফশোষ হয়। নিজের ইচ্ছেমত পড়তে পারলাম না ভেবে। বাবা-মাকে দোষ দিই না। তাদের চিন্তা সেই সময়ের ইকোনমি, সেই সময়ের সামাজিক অবস্থার ফসল। নিজেও তো নিজের দায়িত্ব বুঝে নিয়ে প্রতিবাদ করতে পারি নি।

    আমেরিকাতে এসে একটা জিনিস খুব ভালো লাগে। যেকোন বয়সে পড়াশোনা শুরু করা যায়। কিন্তু খুব খরচসাপেক্ষ। কিছু মাস আগে মনে বিদ্রোহ এল। ভাবলাম যা পড়তে ভালো লাগে সেটা পড়বই। শখের পড়া নয়, ডিগ্রী নেব। যাতে কাজ করতে পারি। হায়ার সেকেন্ডারীর ফিজিক্স-কেমিস্ট্রি দিয়ে জিওলজির মত টেকনিকাল বিষয়ে আমাকে নেবে না সেটা বুঝেছিলাম। ভেবে দেখলাম পুরোনো পৃথিবীর কথা জানতে আমার খুব ভাল লাগে। বেশ। পাঁচ কোটি বছর আগে পৃথিবী কেমন ছিল সেটা নিয়ে পড়ার ক্ষমতা যদি আমার নাই থাকে, তাহলে অন্তত চেষ্টা করি পাঁচ হাজার বছর আগে কেমন ছিল সেটা জানার। আমেরিকার ছোট শহরের অখ্যাত ইউনিতেও অনেক আনকনভেনশানাল সাবজেক্ট অফার করে। আর্কিওলজির এক প্রফেসরের সাথে দেখা করলাম। আর্কিওলজি থেকে জিও-আর্কিওলজি, প্যালিয়েন্টোলজিতে যদি যাওয়া যায়। প্রফেসর তো প্রথমে খুব অবাক হলেন। তারপর খুশী হলেন। তারপর নিজেই ডিসকারেজ করলেন। আমি যেখান থেকে শুরু করছি তাতে একটা খুব ছোটখাটো চাকরী পেতেও আমার চার বছর লেগে যাবে এবং সেটাও ড্রিম জব হবে না। এই দেশে কোন রোড কন্‌স্‌ট্‌রকশ্নের কাজ হলে নাকি আগে আর্কিওলজিস্টদের লাগে, তারা রাস্তা পরীক্ষা করে দেখে রোড কন্‌স্‌ট্‌রাকশনের ফলে কোন জাতীয় সম্পদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কিনা। বেশির ভাগ লোক আর্কিওলজিতে মাস্টার্স করে এই কাজ করে। আমি যা করতে চাই তাতে তো পিএইচডি লাগবেই। মানে আরো পাঁচ বছর। তাও জিজ্ঞেস করলাম কোন কোর্স নিতে পারি কিনা, অন্তত একটু পড়া তো হবে, গাঁটের পয়সা খরচ করেই। বড় শহর, বড় ইউনি হলে হয়ত সেটা হয়ে যেত। কিন্তু এই ইউনি ইভনিং কোর্স অফার করে না আর্কিওলজিতে। চাকরী ছেড়ে তো আর পড়তে পারব না। অতএব আশায় আশায় আছি কেউ যদি বছর দশেকের মত খাওয়া-পরাটা স্পন্সর করে। তবে এটাও ঠিক, পড়তে হলে কলেজে যেতে হবেই এমন কোন মানে নেই। গুরুতেই কত লোককে দেখি যাদের কত বিষয়ে জ্ঞান, অথচ প্রথাগত পড়াশোনা হয়ত অন্য বিষয়ে। আমিও ইচ্ছে হলে কোন আর্কিওলজির প্রোজেক্টে ভলান্টিয়ার করতে পারি সামারে। ছুটি পাওয়া খুব মুশকিল যদিও। কিন্তু আমি জব স্যাটিসফ্যাকশনও চাইছিলাম, সেটা বোধহয় হয় না।

    আবার হয় নাই বা বলি কি করে। আমার কাজিন ভাইয়ের কথা বলি। ছোট থেকেই ছবি আঁকায়, সাজানো-গোজানোতে খুব ঝোঁক। যেসব সাবজেক্ট ভালো জানলে আমাদের দেশে ভালো ছেলে বলা হয় সেগুলোতে ও ওর অপদার্থতা খুব তাড়াতাড়িই প্রমাণ করে দিতে পেরেছিল। তা সত্বেও হায়ার সেকেন্ডারী পাশ করার পর যখন বলল ফ্যাশন নিয়ে পড়বে তখন আমিও ভয় পেয়েছিলাম। একে তো এই ইন্ডাস্ট্রী নিয়ে কিছুই জানি না, তার ওপর প্রচন্ড খরচসাপেক্ষ। এত খরচ করে পড়াশোনার পর তা যদি একটি অশ্বডিম্ব প্রসব করে সেটা মধ্যবিত্ত বাড়িতে অ্যাকসেপ্ট করা একটু সমস্যা হয়ে যায়। কিন্তু ওর বাবা-মা বেশ সাহসী। তাঁরা ওকে বাধা দেন নি। শুরু করেছিল একটি সাধারণ কলেজ থেকে। তারপর ভীষন ভালো কাজ করে NIFTতে চান্স পেল। সামনের বছর বেরোবে। ওর খুব ভালো হোক, প্রাণের আনন্দে কাজ করুক, খুব ভালো কাজ করুক এটাই চাই। ও যদি সফল হয় তাহলে অন্য রকমের সাবজেক্ট নিয়ে পড়ায় ভয়টা আমাদের নেবারহুডে অনতত কিছুটা কমবে। তবে ও যদি পড়াশোনায় তথাকথিত ভালো হত, বা যদি এত খরচসাপেক্ষ পড়াশোনা ওর বাবা-মা বহন না করতে পারতেন তাহলে কি হত জানি না।
  • aka | 168.26.215.13 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১৭:৫০482630
  • ঠিকাছে বুঝলাম। এমনিতেই একই কথা বারবার আউড়ে যাওয়া হচ্ছে, আর এদিকে আজ সময় বাড়ন্ত।
  • hu | 12.34.246.72 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১৮:৩৭482632
  • এখন যেটা মনে হয়, পরিকাঠামো, সিলেবাস এসবের পরেও শিক্ষকদের প্রপার ট্রেনিংটা খুব দরকার। পড়াশোনাকে অর্থকরী হতেই হবে। নইলে ফ্রাস্ট্রেশন আসে। আর যার যাতে আগ্রহ সে সেটা নিয়ে ভালো করে পড়তে চাইলে তার একটা সুযোগ থাকা উচিত যাতে সে নিজের পড়াশোনাটা কাজে লাগিয়ে একটা সম্মানজনক জীবন যাপন করতে পারে। সত্যি বলতে কি, সেই সুযোগটা আছেও। কিন্তু আমরা সেটা জানতে পারি না। আমার ভূগোলদিদিমনি যেমন ধরতে পারেননি আমার ইন্টারেস্ট জিওলজিতে। তিনি জানতেন না জিওলজি পড়ে কি কেরিয়ার হতে পারে। আমার বাবা-মাও জানত না। যে সাবজেক্টে কেরিয়ার সুনিশ্চিত নয় তা পড়ার ঝুঁকি কজন নিতে পারে। শুধুমাত্র টাকা রোজগারের জন্যই যেমন পড়াশোনা নয়, তেমনি টাকার চিন্তা বাদ দিয়েও পড়াশোনা হয় না। মাধ্যমিকের পরেই যখন আমাদের কি পড়তে চাই সেটা ঠিক করে নিতে হয়, তখন কেরিয়ার কাউন্সেলিংও সেই পর্যায়েই শুরু করা উচিত। দু:খের বিষয় সেটা অনেক পরেও আমাদের দেশে হয় না। যখন স্টাটিস্টিক্স নিয়ে অনার্স পড়ি কলকাতার একটি কলেজে, গুচ্ছ গুচ্ছ অঙ্কই করে গেছি শুধু, একটা লোকও বলে দেয়নি এটা পড়ে কি হয়। প্রথম চাকরীতে যখন ঢুকি তখনও ভালো করে বুঝতে পারি নি ঠিক কিসে চাকরী পেলাম। রিস্ক ম্যানেজমেন্ট তখনও আমাদের দেশে নতুন কনসেপ্ট। অথচ মাস্টার্স করেছি দেশের একটি অগ্রগণ্য প্রতিষ্ঠান থেকে। সেখানেও যদি ছাত্রদের ঠিকঠাক কেরিয়ার কাউন্সেলিং না হয় তাহলে তো খুব মুশকিল। তবু তো সেখানকার অবস্থা অন্য জায়গার তুলনায় ভালো। কোম্পানিগুলো আসত ইন্টারভিউ নিতে। মোটকথা আউট অফ দ্য বক্স চিন্তাই বল, আর চাপমুক্ত পড়াশোনাই বল, পেটে কিল মেরে কেউ পড়তে আসবে না। আর ঠিকঠাক গাইডেন্স পেলে পেটে কিল মেরে থাকার দরকারও নেই। আমেরিকার স্কুলগুলো এই ব্যাপরে কেমন আমি একেবারেই জানি না। কিন্তু দেশের স্কুলগুলো জিরো। আমাদের সময়ে অন্তত তাই ছিল।
  • dukhe | 122.160.114.85 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১৮:৪১482633
  • ঠিকঠাক গাইডেন্স পেলে প্রাণায়ামও কেরিয়ার হতে পারে ।
  • aka | 168.26.215.13 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১৯:২০482634
  • হুঁ ফ্রিজ থাকলে গরমকালেও ঠাণ্ডা জল পাওয়া যায়।
  • pi | 72.83.100.43 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১৯:২৫482635
  • কুঁজো থাকলেও।
  • hu | 12.34.246.72 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১৯:২৮482636
  • কুঁজোতে কি আর ফ্রিজের মত ঠান্ডা হয়? আর ফ্রিজের পাশে কুঁজোতো পিয়ার প্রেশারেই মরে যাবে।
  • aka | 168.26.215.13 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১৯:৩২482638
  • ঠিক ওদিকে অচ্যুতানন্দ ছোবড়া শিল্প করছে, এদিকে দিদিকে কুঁজো শিল্পের কথা বলা হোক। ছেলেদের শেখানো হবে কুঁজোই আমাদের ঠাণ্ডা জীবন।
  • kk | 69.245.8.145 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১৯:৩৫482639
  • আরে 'হু' এর এই ৫-৫০ এর পোস্টটা তো দেখি হুবহু আমার গল্প! শুধু আমার ক্ষেত্রে জিওলজির বদলে ছিলো ইংরেজি বা বাংলা সাহিত্য।
  • pi | 72.83.100.43 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১৯:৩৭482640
  • পিয়ার প্রেশারটাই মূল সমস্যা। যেখানেই হোক।
  • aka | 168.26.215.13 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১৯:৪১482641
  • পিয়ার তৈরি হতে না দিলেই হল। নো ফ্রিজ, কুঁজো অনলি, তাঁতে বোনা শাড়ি, বাপুজি বলেছিলেন। আরও অনেক কিছু বলেছিলেন। মনে হয় নো আলুর চপও বলেছিলেন।
  • pi | 72.83.100.43 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১৯:৪৩482642
  • ইংলিশ অনার্স নিয়ে পড়লে জীবন বরবাদ, এই 'র‌্যাশানাল থিংকিং' এর পিয়ার প্রেশার দেশেও আছে, বিদেশেও।:) আর আমার মতে সেটা সমস্যা। :)
  • rimi | 168.26.215.135 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১৯:৪৬482643
  • "হু" এর পোস্টটা আমারো গল্প, শুধু "জিওলজি"র বদলে ছিল প্রথমে ছিল ছবি আঁকা। পরে চেয়েছিলাম ফিজিক্স। দুটোতেই "সম্মানজনক" চাকরি পাওয়াটা খুব চাপের ব্যপার বলে, আর সেই সম্মানজনক জায়গায় যেতে হলে যেমন রেজাল্ট করতে হবে সেটা করার মতন আমার "যথেষ্ট প্রতিভা" নেই বলে, আমাকে দুটো থেকেই কাটিয়ে স্ট্যাটিসটিক্স বা ইকনোমিক্স পড়তে রীতিমতন "উৎসাহ" দেওয়া হয়েছিল। শুধু যে বাবা মা তাই না, আত্মীয় স্বজন, টিচার ইত্যাদি যে যেখানে ছিলেন সকলেই।

    বাবা মা সহ গোটা সমাজের এই ওভারপ্রোটেক্টিভ মানসিকতার (যেটার থেকেই ভারতীয় বাচ্চাদের এত চাপ) কথাটা ভাবলেই আমার এখনো ভয় হয়।
  • aka | 168.26.215.13 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১৯:৫১482644
  • দুর ওটা রিয়ালিটি। আমি ইংলিশ অনার্স পড়লে মা এবং বাবা দুজনেই আজ গত হতেন। ইংলিশ হনার্সটা আমার পক্ষে খুব মানাচ্ছে না ধরা যাক ক্রিকেট খেললে হেবি রোমান্টিক হত কিন্তু এদ্দিনে বাবা মা কে হারাতাম। যাদের দরকার হয় না তারা জীবন নিয়ে অনেক কিছু করতে পারেন, লাকি ওয়ান। কিন্তু দরকার হবেই না এটা ধরে নিয়ে এগোলে চাপ হতে পারে। একটি ঝটকায় ইংলিশ হনার্সের রোমাণ্টিসিজম জানলা দিয়ে পালাবে। বাপ-মা হিসেবে এটা বলা খুব দরকার।
  • rimi | 168.26.215.135 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১৯:৫২482645
  • পাইএর 1 august, 7.43 PM ভীষণভাবে একমত। যে সত্যিই ইংলিশ পড়তে চায়, তাকে জোর করে অংকে ঢোকালে কেলেংকারি হতে পারে। সবার চাপ নেবার ক্ষমতা সমান নয়, চাপের মুখে রিঅ্যাকশনও সবার সমান নয়। যে পয়সর কথা ভেবে বাবা মার ইংলিশ অনার্সে এত অনীহা, সেই পয়সা রোজগার ব্যপারটাতেই ঘেন্না ধরে গিয়ে বাচ্চা দুচ্ছাই বলে সব ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারে। এরকম কিছু উদাহরণ আমি চোখের সামনে দেখেছি।
  • nyara | 122.172.23.198 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১৯:৫৪482646
  • আমার গল্পটায় হাল্কা মোচড় আছে। আমি যা পড়তে চেয়েছিলাম তাই পড়তে পেয়েছি। এবং অশ্বডিম্ব প্রসব করেছি। এখন বলতেও পারিনা যে যদি অমুক পড়তাম তো দেখিয়ে দিতাম। ভগমান চিরকাল একচোখো।
  • aka | 168.26.215.13 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১৯:৫৬482647
  • আমি তো কিছুই পড়তে চাই নি, কিন্তু পড়েছি এবং কোন ডিম্বই প্রসব করি নি। দিন আনি দিন খাই।

    তবে দাদা আমি ক্রিকেট খেলতে চেয়েছিলাম। (সপাং)
  • rimi | 168.26.215.135 | ০১ আগস্ট ২০১১ ১৯:৫৯482649
  • ছেলেমেয়ের ভালো লাগাটাকে এককথায় "রোমান্টিসিজম" বলে দেওয়াটাই চাপ।

    ছেলে বা মেয়েকে নিজের জীবনের দায়িত্ব নিজেকে নিতে হবে। এটা শেখানোটাই যথেষ্ট। আর এটাও গজাল মেরে ঢুকিয়ে দেওয়ার দরকার নেই। বাবা মাকে দেখে, চারপাশের সমাজকে দেখে বাচ্চা আপনি শিখবে। গজাল মেরে শেখাতেই গেলে, বা লম্বা লেকচার দিলেই বাচ্চা সেই ব্যপারে বীতশ্রদ্ধ হবে। হবেই, যদি তার নিজস্ব ব্যক্তিত্ব থেকে থাকে।
  • rimi | 168.26.215.135 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২০:০১482650
  • ব্যপারটা "অমুক পড়লে দেখিয়ে দিতাম"ঠিক নয়, "অমুক পড়লে আনন্দ পেতাম, উৎসাহ পেতাম" - এটুকুই।
  • aka | 168.26.215.13 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২০:০৩482651
  • ঠিক, ফ্রি মার্কেট টিভি, ইন্টারনেট, বই সব দাও বাচ্ছা যেটা তুলবে সেটাই তার জীবন, নইলে নিজেই শিখে নেবে কোনটা ঠিক।

    হোয়াই নট ড্রাগ? প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে বা মেয়ে ড্রাগ খেয়ে কম বাঁচতে চাইলে অসুবিধা কি?
  • rimi | 168.26.215.135 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২০:১৩482652
  • ফ্রি মার্কেট, টিভি, ইন্টার্ণেট ড্রাগ পর্নোগ্রাফি ইত্যাদি একসময় জীবনের সামনে আসবেই। তখন নিজের প্রায়োরিটি অনুযায়ী নিজে যাতে বেছে নিতে পারে, ভুল ডিসিশন নিলে যাতে শুধরে নিতে পারে - শুধু সেটুকুই শেখাবার।

    প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে মেয়ে ড্রাগ নিতে চাইলে কারুর বাপের ক্ষমতা নেই তাকে আটকায়। বিশেষ করে বাবা মা যদি কানের কাছে সমানেই বলতে থাকে "ড্রাগ নিস না, মরে যাবি", তাহলে তার ড্রাগ নেবার চান্স বেড়েই যায়। :-)
  • aka | 168.26.215.13 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২০:২২482653
  • সে তো বটেই প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে মেয়ে কি আর শুনবে? তাও ড্রাগের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেনিং হয়, প্রপার সেক্স এডুকেশনের কথা বলা হয়, তেমনই ইংলিশ মেজরের দূরবস্থার কথাও বলা হবে।
  • rimi | 168.26.215.135 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২০:২৩482654
  • আর হ্যাঁ, ইংলিশ নিয়ে পড়েও অনেক রকম কেরিয়ার অপশন আমেরিকাতেই আছে, ভারতেও আছে কিন্তু। কেউ ইংলিশ নিয়ে পড়তে চাইলে বাবা মার উচিত নানারকম কেরিয়ার অপশন তাকে খুঁজে বের করতে সাহায্য করা - যদি টাকাটা রোজগারই মূল কনসার্ন হয়। এছাড়াও, যেকোনো সময়ে স্ট্রিম বদলানোর সুযোগ আমেরিকাতে তো আছেই।
    "ইংলিশ পড়লে টাকা রোজগার করতে পারবি না" এই মেসেজটা দেবার চাইতে "যা নিয়েই পড়ো, কি কি কেরিয়ার অপশন আছে ভালো করে ভেবে নাও, যাতে অর্থাভাবে নিজের জীবন থেমে না যায়" -এই মেসেজটা দেওয়াটা অনেক প্রয়োজনীয় বলে আমি মনে করি।
  • rimi | 168.26.215.135 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২০:২৬482655
  • আকা :-))) ড্রাগের বিরুদ্ধে এত ক্যাম্পেন দেখেছি আমেরিকায় (ভারতে দেখি নি), কিন্তু ইংলিশ মেজর নিয়ে পড়লে দুরবস্থা হবে এই ক্যাম্পেন তো কোথাও চোখে পড়ল না।

    ভারতে অবশ্য উল্টো, ইংলিশ নিয়ে পড়লে বা ক্রিকেটে খেলতে দেখলে বাবা মার যত চাপ হয়েছে, ছেলেকে সিগারেট ফুঁকতে দেখলে, বা সিদ্ধি খেয়ে গড়াতে দেখলে অত চাপ হয় নি।

    মাইরি:-)))
  • pi | 72.83.100.43 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২০:২৮482657
  • এতগুলো কথা চলে এসেছে, কোনটা ছেড়ে কোনটা যে লিখি।

    রিয়েলিটি নিয়ে যখন কথা উঠলো, তখন রিয়েল কেসই নেওয়া হোক।

    সিকির শালী আর শালীর দিদির ইংলিশ আর কেমিস্ট্রি অনার্স।
    এখানে দু'জনেই দু'জনের পছন্দমত বিষয় নিয়ে পড়েছেন।

    এবার , এই পছন্দের বিষয় নিয়েই বা তাকে কোনো না কোনো ভাবে ভবিষ্যতে চাকরি করতে পারলে তো খুব ভাল। কিন্তু সেটা না হলেও খুব ক্ষতি দেখিনা। বিষয়টাকে শুধু পড়ার আনন্দের জন্যও পড়া গেলে ভালোই তো।
    চাকরির ব্যাপারে, বহু চাকরিতেই এই বিষয়গুলোর সরাসরি কোন প্রয়োগ নেই। এরকম বহু 'ভাল' চাকরিও আছে। যেগুলো অনেকেকি ভালোবেসেই করে। সেগুলোর জন্য শিক্ষা কি ফেলনা ? তাও নয়। কম্প্রিহেনশন , অ্যানলিটিকাল স্কিল, ঠিকঠাক বুঝে রিপ্রেজেন্ট করা , এগুলোর চর্চাও তো হয় একরকম করে।
    বন্দনা শিভার একটা কথা খুব ভাল লেগেছিল। কানপুরে তখন শেষের দিক। ওনার টক শুনে দুম করে ভারি ইম্প্রেসড হয়ে পড়লাম, ওনার সাথে গিয়ে ঐ বীজ আশ্রমে কাজ করার ইচ্ছে জাগলো, প্রকাশও করে ফেল্লাম। অনেক কথা বলেছিলেন। লোকজন এলে তো ওঁদের ভারি সুবিধে হয়, তাও মানা করেছিলেন। তখনই আসতে। সামনে তখন পিএইচি্‌ড করা ঠিকঠাক ছিল। বল্লেন, সেই প্ল্যানটা একেবারে আপসেট না করতে। কারণ, পিএইচি্‌ড করা লোক্‌জন ওঁর চাই ! সে যে বিষয়েই হোক না কেন। ঐ কাজের সাথে গবেষণার কাজ কোনোভাবে সম্পর্কিত হতে হবেনা। কিন্তু ওঁর মতে পিএইচি্‌ড টা একটা ট্রেনিং প্রসেস, অনেককিছু শেখায়, ডেভেলপ করায় ( অনেকের মধ্যে সেটা এমনিও থাকতে পারে। কিন্তু যাদের নেই, তাদের জন্য একটা দরকারি ট্রেনিং তো বটেই), উনিসেরকম 'ট্রেইন্ড' কাউকে চাইবেন।
    এই কথাটা আজ আমি ভীষাণভাবে বিশ্বাস করি।

    যাগ্গে, যে কথা হচ্ছিলি। ঐ চাকরির কথা। প্রশাসনিক ক্ষেত্রে কেসচা অনেকের কাছেই খুব প্রেফারেবল একটা চাকরি। নানা কারণে।
    তো, সেটার জন্য তো সত্যি অনার্স টা কেমি্‌স্‌ট্‌র না ইংলিশে ছিল, ম্যাটার করে না।
    সিকি ই লিখলো।
    এদিকে তার আগের লেখাতেই ছিল, মানে দিদির সাথে পদে পদে তুলনাতে (যেটা ও না, অন্যরা করেছেন), দিদি কেমিস্ট্রি পড়েছে, কেরিয়ার নিয়ে চিন্তা নেই। এ ইংলিশ পড়ে আর কী করবে !
    এক্ষেত্রে এই কনসার্নটা কিন্তু ইনভ্যালিড ছিল।

    এটা কি আমাদের মাইন্ডব্লক নয় ?

    দেশে অপশন যেমন কম, মানে খাতায় কলমে থাকলেও প্র্যাকটিকাল ক্ষেত্রে কম, তার কারণ দেশের চাকরির বাজার , শুধু সেটাই নয়। আমাদের মাইন্ডসেট ও । একটা অন্যটাকে ইন্‌প্‌লুয়েন্স ও করে।
    একটা ভিশাস সাইকেল তৈরি হয়।

    ( শুধু দেশ কেন, আকাদা ও নেনাদির লেখা থেকেই প্রমাণিত, বিদেশের ছবি ও বলবো , প্রায় এক )
  • hu | 12.34.246.72 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২০:২৮482656
  • রিমিদির পোস্টের সাথে অক্ষরে অক্ষরে একমত।
  • hu | 12.34.246.72 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২০:৩২482658
  • কিন্তু বাবা-মাই বা জানবে কি করে কি সাবজেক্টে কেমন কেরিয়ার অপশন। আমাদের দেশে যেমন বেশ ধেড়ে বয়েস পর্যন্ত বাবা-মাদের সন্তান প্রতিপালন করতে হয় আমেরিকায় তো তা হয় না। দেশের বাবা-মাদের তাই চাপটা বেশি। আমাদের দেশে যদি গ্র্যাজুয়েট অ্যাসিস্ট্যন্টশিপ দিয়ে নিজের পড়াশোনা চালানো যেত তাহলে বাবা-মা এত ইন্টারফেয়ার করত না মনে হয়।
  • pi | 72.83.100.43 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২০:৩৪482660
  • আকাদা, তাহলে সবার আগে ব্যবস্থা করা উচিত যাতে সবার জন্য মাসে লাখ দু'লাখের চাকরি হয়।

    অন্য অপশন। স্বাস্থ্য , শিক্ষা, এইসব বেসিক প্রয়োজনগুলো মেটাতে এত বেশি খরচ কেন হবে সেটা প্রশ্ন করা। সেটা বন্ধ করা যায় কিনা দেখা।

    আমি দ্বিতীয়টা প্রেফার করব।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন