এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • নতুন সরকারের শিক্ষা স্বাস্থ্য শিলপনীতি ইত্যাদি

    pi
    নাটক | ২৯ জুলাই ২০১১ | ১৬৪০৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • hu | 12.34.246.72 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২১:৩৯482695
  • না হে পাই। বাবামার কাজটা খুব কঠিন। আমার এক বন্ধু যে সব কিছু নিজের ইচ্ছায় নিজে খোঁজ নিয়ে পড়েছে সে আজ দু:খ করে তার বাড়ি থেকে কেন একটু গাইড করল না। আমি আবার অভিযোগ করি বেশি গাইডেন্সের। আসলে বেশি গাইডেন্স আর কম গাইডেন্স - কোনটাই অপ্টিমাল গাইডেন্স নয়। গাইডের কাজ পথ দেখানো। পথে বিপদ থাকলে সতর্ক করা। তবে পথ বন্ধ করা নিশ্চয়ই গাইডের কাজ নয় - যেটা আমাদের অনেকের হয়েছে। কিন্তু যাই হোক না কেন, কাজটা খুবই কঠিন। নিজের জীবনের ডিসিশন তো নয়, অন্য একটা আস্ত মানুষ যে তোমার ওপর নির্ভরশীল তাকে নিয়ে কাজ। সোজা নয় মোটেই।
  • rimi | 168.26.215.135 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২১:৪১482696
  • পাই, আকার হল "মুখেই মারিতং..." ইত্যাদি। এখন টাকা টাকা করে গলা ফাটাচ্ছে, অথচ নিজে কিন্তু পরিবারকে (মানে আমাকে) মানসিক সুস্থিরতা দেবার জন্যে এককথায় কগনিজেন্টের চাকরি ছেড়ে দিয়েছে, অর্ধেক মাইনের চাকরি নিয়ে কলম্বাসে চলে এসেছিল তখন। আমার বাবা মা জামাইএর মাইনে কমে গেল বলে দুশ্চিন্তা করলেও আকার বাবা মা বলেছেন "যা ভালো বোঝো করো"।

    তাই আকার কথায় খানিক মুচকি হাসি ছাড়া আমার আর কিছু করার নেই :-))
  • hu | 12.34.246.72 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২১:৪২482697
  • পাই আবার পাইয়ু হয়ে গেল? :-)))
  • pi | 72.83.100.43 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২১:৪৩482699
  • হু, লাস্ট পোস্টে দ্যাখো। ঐ জন্যই বল্লাম।
    এই কেরিয়ার কউন্সেলিং টা বাবা মা শিক্ষক শিখিকা সবার জন্য হওয়া উচিত। মানে, তাঁদের কেরিয়ারের জন্য না। কিন্তু এটা নিয়ে কীভাবে ডিল করা উচিত, কীভাবে বোঝা উচিত, কোথায় কী অপশন আছে, তাই নিয়ে মোটামুটি একটা জ্ঞান। এবং সবার উপরে এইটা মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া, গাইড করো, ডিক্টেট না।
  • nk | 151.141.84.194 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২১:৪৩482698
  • আহারে আকার সব বিত্তান্ত প্রকাশ হয়ে পড়ছে। :-)
  • rimi | 168.26.215.135 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২১:৪৫482700
  • ঠিক পাই, একদম ঠিক। এটাই আমারো মত।
  • pi | 72.83.100.43 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২১:৪৬482701
  • রিমিদি , :)

    হু, :(

    আচ্ছা, তোমাদের বলিহারি। ওটা পিউ ও তো পড়তে পারতে !

  • hu | 12.34.246.72 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২১:৪৭482702
  • হ্যাঁ, কেরিয়ার কাউন্সেলিংএর অভাব পদে পদে অনুভব করেছি। ইন ফ্যাক্ট এখনো করি :-) কি করলে যে একটু পছন্দসই কাজ পাওয়া যায় এই বুড়ো বয়সে!
  • Nina | 12.149.39.84 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২১:৫৫482703
  • মেয়ে আমাদের সমস্ত ডিসিশন নিজে নিয়েছে---নিজের মতন করে রিসার্চ করে কি পড়বে কোথায় পড়বে ঠিক করেছে। creative writing এ যাবে বলে sarah lawrence এ গেছে অনেক তার চেয়ে ভাল কলেজে চন্স পেয়েও, আবার জুনিয়ার ইয়ার করেছে অক্সফোর্ডে আর সেখানেও সে পড়েছে অঙ্ক :-০ আর ইকোনোমিক্স ! তারপর সে লাইন বদলে করেছে প্রি ল' প্যাটেন্ট ল' তে ল' স্কুল এ বেছে নিয়েছে বেন্‌জামিন কার্ডোজো স্কুল নিউ ইয়র্ক---ল' করে ব্লুমবার্গে কাজ করে, নিউ ইয়র্ক বার পাস করেছে--কিন্তু সবটাই সে নিজের মর্জি মতন, এবং কলেজের গাইডের কথামতন--- এবং তার goal ভবিষ্যতে তার কলেজের ডিন হবে!
    আকা সে ইংলিশ মেজর নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল :-))
    এখন আর কবিতা লেখে না, বল্লে বলে মা নো টাইম--আসলে কি জান ছেলে মেয়েগুলো যা করতে বলবে তার উল্টোটাই করতে ভলবাসে ;-))

  • Nina | 12.149.39.84 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২১:৫৯482705
  • হুচে, বড় খাঁটি কথাটি কয়েছ বাছা--বাবা মার কাজ বড় কঠিন কাজ তাই তো পেরেন্টিং স্কুল থাকা বড় দরকার! বাবা মার ই সবার আগে গাইডেন্স লাগবে ' ব্যালান্সের লালন ভার্সেস তাড়ন" :-))
  • rimi | 168.26.215.135 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২২:১৪482706
  • নিনাদি দারুণ তো। খুব ভালো লাগল। তুমি এগুলো বলে খুব ভালো করলে।
  • nk | 151.141.84.194 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২২:১৫482707
  • বিদ্যাসাগরের বাবা খুব চালাক মানুষ ছিলেন, ছেলেকে তিনি যখন যা তাকে দিয়ে করাতে চাইছেন তার ঠিক উল্টোটা করতে বলতেন। পরের দিকে অবশ্য ছেলে এই ট্রিক ধরে ফেলেছিলো। :-)
  • dukhe | 117.194.238.148 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২২:৩৯482708
  • টইয়ের নাম পালটে 'আকার স্বরূপ' করে দেওয়া হোক । :)
  • aka | 24.42.203.194 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২২:৪৬482709
  • যাস্ট ডিসগাস্টিং। কে কেন কোন পরিস্থিতিতে কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার ওপর দাঁড়িয়ে ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।

    আর আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা করা একেবারেই পছন্দ করছি না। সে যিনিই হোন।
  • dukhe | 117.194.238.148 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২২:৫০482710
  • আরে আকা এত চটে যান কেন ? মনে হচ্ছে টেন্টব্রিজ এফেক্ট । :)
  • rimi | 168.26.215.135 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২২:৫৪482711
  • "দুখের টিপ্পনী" নামই বা নয় কেন? :-))

    নিনাদির আর সিকির গপ্প শুনে আমারো একখান গপ্প মনে পড়ল। দু:খিত, আমি আবার তক্কের চেয়ে গল্প বলতে বেশি ভালোবাসি :-(

    ২০০৯ সালে আমাদের এখানকার স্পেস সেন্টারে এসেছিলেন ড: মার্ক ডেভলিন নামে একজন অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট। তাঁর টিম অ্যান্টার্ক্টিকাতে বেলুন উড়িয়েছিলেন। সেই বেলুন ওড়ানো নিয়ে মুভি বানিয়েছেন মার্কের ভাই পল।

    দুই ভাইই বক্তৃতা দিলেন। এঁদের বাবা ছিলেন বিজ্ঞানী। মার্কও বিজ্ঞানী হলেন। পল কি নিয়ে কলেজে পড়েছিলেন?
    ...... সেই... ইংলিশ অনার্স!!!

    পল হলেন ডকু ফিলিমমেকার। পাঁচবার এমি পেয়েছেন। মার্ক হলেন প্রফেসর। কার রোজগার বেশি? অবশ্যই পলের।

    ইংলিশ মেজর নিয়ে খিল্লি করলে ব্যথা আছে। কারণ ইংলিশ মেজরে কেরিয়ার অপশন ঢের বেশি।
  • rimi | 168.26.215.135 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২৩:০২482712
  • আকার জন্যে:
    মিষ্টি করে মুচকি হাসি :-))))
    আর এক গামলা বরফ (মাথায় দেবার জন্যে)
  • Nina | 12.149.39.84 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২৩:০৩482713
  • :-) অথচ আমার মা ভিষণ চেয়েছিলেন যেন আমি ইংলিশ অনার্স নিয়ে পড়ি! আমি মোট্টেই তা পড়িনি---কোনও হাই-হুই কারণ নয় স্রেফ ইংলিশ অনার্স নিয়ে পড়লে সেই আমাদের পাটনা উইমেন্স কলেজেই ক্লাস হবে , all girls ;-) কিন্তু ইকোনমিক্স অনার্স হয় কো এড পাটনা কলেজে--অতএব আমি নিলাম ইকোনোমিক্সে অনার্স :-))
  • hu | 12.34.246.72 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২৩:১২482714
  • নীনাদি, এসব যুগে যুগে বদলে যায়। আমার মায়ের যেমন খুব ইচ্ছে ছিল সায়েন্স পড়ার। বায়োলজি প্রিয় সাবজেক্ট। ইচ্ছে ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু কন্যাসন্তান সায়েন্স পড়ার চাপ নিতে পারবে না এসব ভুজুং ভাজুং দিয়ে তাকে জোর করে ইংলিশ অনার্স পড়ানো হল। এবার সে যখন মা হল তখন সে চাইল নিজের অসম্পূর্ণ ইচ্ছা মেয়ের ঘাড়ে চাপাতে। আমার সবচেয়ে অপ্রিয় সাবজেক্ট বায়োলজি। তাও আমাকে বায়োলজি বয়ে বেড়াতে হল ক্লাস টুয়েলভ পর্যন্ত। খুব কষ্ট করে জয়েন্ট মেডিকেলে বসাটা আটকাতে পেরেছিলাম।
  • hu | 12.34.246.72 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২৩:১৩482716
  • আবার মামা নিজে চেয়েছিল ইংলিশ পড়তে। তাকে পড়তে হল কেমিস্ট্রি :-(
  • Nina | 12.149.39.84 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২৩:৩১482717
  • সেই জন্যই তো বলি
    "পেরেন্টিং স্কুলের" খুব প্রয়োজন :-)
  • ranjan roy | 122.168.234.62 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২৩:৩৪482718
  • সিকি,
    তাহলে গেঁড়ির বোন গুঁড়ির(নামটা ওর পছন্দ না হলে বল) অনুভব থেকে কি জানা গেল?
    সি ইউ এর ডিগ্রি খারাপ নয়। ওর জোরেই নয়ডা-গুরগাঁওয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে কল আসছে। গুঁড়ির একটাই প্রবলেম--কোলকাতায় চাকরি চাই, সেটা নেই।
    তো সেটা "" ৩৪ বছরের অপদার্থতার ফল''!:))))))
    পিটি বলবেন-- আপনার অভ্যেস গেল না! এটা তো মানবেন এখানে শিক্ষার মান উন্নত। দিল্লি লোক না পেয়ে লুফে নিচ্ছে।
    মর‌্যাল: ভাল পড়াশুনো বা ফাইন আর্‌ট্‌স এ কাজ করে ভাল পয়সাকড়ি পেতে হলে কোলকাতার বাইরে তাকানো উচিৎ।
    উদাহরণ আমার বন্ধু শিবাদিত্য সেনের (অমর্ত্য সেনের কাজিন)মেয়ে শাঁপলা। ইকনমিক্সে ভাল কাজ করে বঙ্গ ছেড়ে দিল্লিতে চাকরি করচে।
  • ranjan roy | 122.168.240.188 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২৩:৫২482719
  • এ:, সিকিকে লেখা পোস্টটা সকালে লিখে এত রাত্তিরে সাবমিট করলাম, ছড়িয়েছি।
    তা' একটা ডিক্টেট করা- কাম -গাইড করার গল্প বলি? আমিও রিমির মত তক্কের চেয়ে গপ্পো করতে বেশি ভালবাসি।

    আমার বন্ধু বিজয় বর্মা ( সেইযে যার মেয়ের ডাক্তারিতে ভর্তি না হয়ে পাড়ার সাধারণ ঘরের মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করার জন্যে মুসলমান হওয়ার গপ্পো চার বচর আগে শুনিয়েছিলাম!) চাকরির গোড়াতে ব্যাংকের টপ অথরিটির সঙ্গে পঙ্গা নিয়ে ফাল্‌তু চার্জে সাসপেন্ড হল। তো ওর বাবা বল্লেন- কিছু না, তোমাদের সর্বোচ্চ কর্তার ইগো হার্ট হয়েছে, গিয়ে ক্ষমা চাইলেই কাল রি-ইনস্টেট হয়ে যাবে। অন্য অপশন হল ফাইট করা, তাতে লং টার্মে জিতবে, কিন্তু গোড়ায় অনেক দুর্ভোগ আছে।
    তবে চাকরির শুরুতেই মাথা নোয়ালে সারাজীবন মাথা নুইয়ে কম্প্রোমাইজ করে চাকরি করবে।
    এই হল দুটো অপশন; দুটোরই আলাদা আলাদা প্রস্‌ অ্যান্ড কন্স্‌। এখন তুমি নিজেকে নেড়েচেড়ে দেখ তোমার কমফোর্ট জোন কি? কতদূর পারবে। তার পর রাস্তা বেছে নাও। তুমি আমার ছেলে; আমার কাজ হল তুমি যে রাস্তাই বেছে নাও, তাতে তোমার পাশে দাঁড়ানো। কিন্তু তোমার হয়ে রাস্তা আমি বেছে দেব না; এ'কাজটি তোমাকেই করতে হবে।
    আমি এটা মেনে চলার চেষ্টা করি।
  • kk | 69.245.8.145 | ০১ আগস্ট ২০১১ ২৩:৫৭482720
  • পাই আর রিমির ৯-৪৩ আর ৯-৪৫ এর পোস্টের সাথে আমি ১০০% এরও বেশি সহমত।

    নিনাদি যেমন বললে ওরকম ভাবে মানসিক ভারসাম্য হারানো বা সুইসাইড করেছে এমন ছেলেমেয়ের খবর হয়তো সব সময় পাওয়া যায়না। কিন্তু তাদের সংখ্যাটা বিশাল। আমি একজনের কথা এই মুহুর্তেই বলতে পারি। সে আমি নিজে। আগেই বললাম 'হু' এর গল্পের সাথে আমার মিলের কথা। আমি আদ্যন্ত সায়েন্স হেটার। কোনদিন সায়েন্স ভালোবাসতে পারিনি, এতটাই অপছন্দ করতাম (ও করি) যে ক্যামেরা, গাড়ি ইত্যাদি টেকনোলজিক্যাল জিনিষের অ্যাড টিভিতে দেখতে পর্যন্ত বিরক্ত লাগে। কিন্তু (এই 'কিন্তু' কথাটায় বোল্ড ও আন্ডারলাইন)আমার বাবা,কাকা, দাদু, পিসি, দুই দিদি, এক কথায় মা ছাড়া বাড়ির আর সব লোক আগাপাশতলা সায়েন্সের লোক। কাজেই আমি যে সায়েন্স নিয়ে পড়বোনা এটা ভাবাও নিষিদ্ধ ছিলো আমাদের বাড়িতে। মাধ্যমিকের পরে যখন হাজরাবর অনুরোধ করেছিলাম আর্টস নিয়ে পড়বো তখন জাস্ট সেটা ইম্ম্যাচিওরিটি এবং অবাস্তব বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিলো। হায়ার সেকেন্ডারীর রেসাল্ট খারাপ হবার পরেও কেউ কানে তুললোনা যে আমার দ্বারা সায়েন্স হচ্ছেনা।গল্প বড়ো করে লাভ নেই, তবে ঐ চাপের ফলে সায়েন্সের লাইন ছাড়তে পারলামনা। অত্যন্ত অপছন্দের জিনিষ নিয়ে পি এইচ ডি করলাম, সেই নিয়েই এমনকি পোস্টডকও করছি। না সুইসাইড করিনি, বা ক্লিনিক্যালি মানসিক ভারসাম্য হারাইনি। কিন্তু এর ফলে এই যে মিডিওকার কাজের মান, আর তার জন্য রাতদিন আফশোস, গ্রিভেন্স, কখনো কখনো হয়তো সেল্ফ পিটি, বিরক্তি এই জিনিষগুলো মনের মধ্যে ভিনভিন করতে থাকলে সেটাকে খুব সুস্থ্য কিছু বলা যায়না। আর সেই সঙ্গে তার ফলস্বরূপ সব সময় ইনফিরিয়োরিটি কমপ্লেক্স, কনফিডেন্সের অভাব, ইনসিকিওরিটি.... এগুলো বাড়তে বাড়তে এমন জায়গায় এসেছে যে আজকাল সবরকম সোশ্যাল সিচুয়েশন আমি অ্যাভয়েড করতে চাই। কারুকে ফোন নাম্বার দিইনা (ঈশান আর পাই অন্তত এটা খুব ভালো করে জানে), কারুর সাথে দেখা করতে চাইনা। এই আইসোলেশন কামীতা, বর্ডারলাইন অ্যাভয়্‌ডান্স পার্সোনালিটি ডিজর্ডার এগুলো সুস্থ্য মানসিক ভারসাম্য থাকা বলা যায় কিনা জানিনা। প্রেশার যে মানুষের কত বড় ক্ষতি করতে পারে তা আমি অন্তত হাড়ে হাড়ে বুঝেছি। কোন রিপোর্ট, তথ্য-পরিসংখ্যান ছাড়াই।
    এই সব অতি ব্যক্তিগত কথা খোলাপাতায় এভাবে লিখতে আমার নিজেরও খুব ভালো লাগলোনা। কিন্তু আলোচনা যখন উঠলোই না লিখে থাকতেও পারলাম না।
  • ranjan roy | 122.168.240.188 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০০:০৪482721
  • কেকে'র সঙ্গে সহমর্মিতা অনুভব করছি। ইকনমিক্স বা
    লিটারেচারের অধ্যাপনা করতে চাইতাম।
    ৩৩ বছর ব্যাংকের চাকরি বাধ্য হয়ে তেও অষুধ গেলার মত করেছি, আর গুনগুন করেছি-""কিছুই তো হল না''।
    রিটায়ার করে মহানন্দে আছি।
  • rimi | 168.26.215.135 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০০:১৪482722
  • কেকে, তোমার কথা শেয়ার করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। এই ধরণের ব্যক্তিগত গল্পগুলো ই কিন্তু আমাদের নিজেদের ব্যক্তিগত ডিসিশন নিতে অনেক বেশি সাহায্য করে। গুরুভাইদের থিওরেটিকাল "আমেরিকার শিক্ষা ভার্সেস ভারতের শিক্ষা" জাতীয় তর্কাতর্কিতে নিজেদের ইন্টেলেকচুয়াল মাস্টারবেশন হতে পারে, কিন্তু তার বেশি কিছুই হয় না :-(( বিশেষ করে যখন আলোচনার বেশির্ভাগই টিকাটিপ্পনী আর বিদ্রুপে ভর্তি।

    সত্যি বলতে কি, যে নিজের ইচ্চার বিরুদ্ধে কাজ করার চাপটা না খেয়েছে, তাও বাবা মার মতন অ্যাপারেন্ট ওয়েল উইশারদের থেকে, যাদের সঙ্গে ভালোবাসার দুর্বলতাজনিত কারণেই খুব বেশি লড়াই করা যায় না, সে কিছুতেই বুঝবে না এই কষ্ট বা ক্ষতিটা। এই কষ্টটা সারাজীবন থেকে যায়।

    আমার বাবা মার কারুর মাথার উপর অভিভাবকস্থানীয় তেমন কেউ ছিল না। তার ফলে তাঁদের অনেক লড়াই করতে হয়েছে। কিন্তু দুজনেই নিজের ইচ্ছামতন পড়াশুনো করেছেন, কেরিয়ার বেছে নিয়েছেন। দুজনের কেউই বোঝেননি যে মেয়েকে চাপ দিলে ক্ষতিটা কোথায় আর কি ভাবে হয়। বুঝলে, অবশ্যই এটা করতেন না।

  • Nina | 12.149.39.84 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০০:১৮482723
  • kk তোমার কথাটা পুরোপুরি অনুভব করতে পারছি---তোমার অবস্থাটাই আমার ছেলেরও আজ--শুধু আরও একশো গুণ সিভিয়ার--আর তাই জন্যই আমি সব্বার সঙ্গে এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই---যে যেভাবেই হোক উপকৃত হোক এই ঘটনা শুনে---ভুল না করুক, মনের কথা বলে মনটা হাল্কা করুক----
    আমার এক এক সময় মনে হয়--এই "মন" জিনিষটা যে ঠিক কি, কোথায় থাকে , কি তার রঙ, ওজন , মতিগতি--কবে সায়েন্স বার করতে পারবে--নাকি করে ফেলেছে , আমি জানিনা ?!!!! জীবনটা তো দেখি এই মনেরই অধীন!!
  • ranjan roy | 122.168.240.188 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০০:২২482724
  • নীনা-কেকে-রিমিকে ডাবল ক'।
  • hu | 12.34.246.72 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০০:২৪482725
  • হ্যাঁ, কলিদির লেখাটা মর্মে মর্মে অনুভব করলাম। রোজ যে কাজটা করতে হয় তাতে মোটিভেশনের অভাব যে কি পরিমান আত্মগ্লানির জন্ম দেয় তা যার নিজের না হয়েছে সে বুঝবে না।
  • pi | 128.231.22.99 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০০:২৮482727
  • কেকেদি, ভালো করেছ এগুলো লিখে।

    এখানে যে কেরিয়ার ওয়ার্কশপ হয়, তার প্রথম প্রশ্নটা হল এইটা। যে কাজ করছো, সকালে উঠে সেখানে যাবার নামে গায়ে জ্বর আসে কিনা :)
    উত্তর হ্যাঁ হলে নিজেকে অন্য প্রশ্ন করা শুরু করো। সিরিয়াসলি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে প্রতিক্রিয়া দিন