এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • নতুন সরকারের শিক্ষা স্বাস্থ্য শিলপনীতি ইত্যাদি

    pi
    নাটক | ২৯ জুলাই ২০১১ | ১৬৪০৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • hu | 12.34.246.72 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০০:৩০482728
  • কিন্তু পাই, নিজেকে প্রশ্ন করে আরো বেশি কষ্ট পাওয়া ছাড়া আর কিছু হওয়ার নেই। আমেরিকার নাগরিক হলে হয়ত অন্যরকম হত। কিন্তু এই মুহূর্তে কিছুই হওয়ার নেই।
  • nk | 151.141.84.194 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০০:৪২482729
  • এতো মনে হচ্ছে সেই আড়াই হাজার বছর আগের লোকটার কথাটাই খুব মূল্যবান ছিলো। মধ্যম পন্থা। খুব জোরে তার টেনে পরাবে না, তার ছিঁড়ে যাবে। আবার খুব ঢিলাও করবে না, সুর বাজবে না। করতে হবে মাঝামাঝি, মঝঝিম পন্থা। বেশী ঢিলাও না বেশী আঁটও না।
    এতো হাজার বছর কেটে গেল, মানুষের সুখদুখ একই রয়ে গেল!
  • pi | 128.231.22.99 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০০:৪৪482730
  • একটা কথা মনে হচ্ছিলো। ঐ যে আকাদা না nk , কে যেন লিখলো, কোন কোন বন্ধু আক্ষেপ করেছে, তাদেরকে মা বাবা কিছু বলেননি বলে।
    আসলে এই ব্যাপারটাও ভীষণভাবে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি বদলে যাবে। মানে, বিভিন্নজনের প্যাটার্ন তো বিভিন্নরকম হয়।
    কেউ কেউ একটু নির্ভরতা পছন্দ করে, সবার নিজস্ব পছন্দ অপছন্দ অত স্ট্রং ও হয় না। মা বাবার সিদ্ধান্তই তার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে খুব অসুবিধে হয়না। মানে তার নিজের হয়ত সেভাবে কোন সিদ্ধান্ত থাকেই না। থাকলেও মা বাবার বলা পথে চলতে যে কমফর্টটা পায় সেটাই তার কাছে বেশি কাম্য।

    আবার কারুর কারুর ক্ষেত্রে নিজের পছন্দ অপছন্দ অনেক আগেই তৈরি হয়ে যায়। ঠিক হোক কি ভুল সেই পথেই চলতে চায়। কারণ অপছন্দের পথে চলা তার পক্ষে প্রচণ্ড অসুবিধের। চলতে হলে নানারকম মানসিক সমস্যা হতে থাকে। মাইল্ড হোক কি প্রকট।

    এখানে যারা লিখছি যে অপছন্দের বিষয় নেওয়াতে কী প্রচণ্ড খারাপলাগায় ভুগতে হয়েছে বা অসুবিধে হয়েছে, সেটা আবার সবার জন্য একরকম নাও হতে পারে।
    বা, মসৃণ কেরিয়ার পাথটের নিশ্চিত আরাম কি জীবিকা জনিত অন্য স্বাচ্ছন্দ্য ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দকে একদম ভুলিয়ে দিতে পারে
    একেবারেই নাও হতে পারে। এরকম কিছু উদাহরণ মনে পড়লো বলে বললাম।

    এইরকম মানসিকতা থাকলে মা বাবা জোর করে কেন 'ভালো'টা বোঝালেন না অলে আক্ষেপ থাকতেই পারে।

    হঠাৎ একটা অ্যানালজি মনে আসাতে নিজেরই হাসি পেয়ে গেল। কারণ বেশ ভুলভাল তুলনাই। তবু মনে যখন এসেছে, লিখেই ফেলি।
    এই মা বাবার জোর করা কি মা বাবার নিজের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া/কার্যকর করা .. লাভ আর অ্যারেঞ্জড ম্যারেজের কথা মনে পড়ে গেল :)

  • pi | 128.231.22.99 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০০:৫৯482731
  • আসলে মনে পড়লো এইটা ভাবতে গিয়ে।
    যদি নিজের জোর করে নেওয়া সিদ্ধান্ত ভুল হয় বা তখন যে প্রচ্ছন্ন বিদ্রূপ, টীকা টিপ্পনী, বা আগেই তো বলেছিলাম ... জাতীয় কথা শুনতে হয়, সেটা ঐ বাড়ির অমতে প্রেম করে করা বিয়ে ভেঙ্গে যাবা/ বিয়েতে গণ্ডগোল হলে আসা রি-অ্যাকশন গুলোর মতই অনেকটা। :)

    আসলে এগুলোকে অ্যাবসলিউটলি 'ভুল' বলার কোন মানে হয়না। কোন এক সময় যদি ভাল লেগে থাকে, তো সেই সময় সেটা করাই ঠিক। অন্তত আমার তাই মনে হয়।
    এই যে নিনাদি মেয়ের কথা লিখলো, বারে বারে কেরিয়ার ট্র্যাক বদলেছে। যা জিনিস নিয়ে একসময় পড়তে চায়না বলেছিল, বহুদিন বাদে তাই করেছে ( আমিও নিজেও অমনি অনেক কিছু করেছি), এতে ক্ষতি কি ? মিয়েণ্ডারিং কি খারাপ নাকি ? জার্নির প্রতিটা অংশ আলাদা করে ভাল লাগলেই হল।

    হুচে, তুমি সব খোঁজ নিয়েছ ? সিটিজেন না হলে এখানে 'পরিবর্তন' সম্ভব না ? শিওর ?
    দেশে ফিরে ? ভেবেছ তা নিয়ে ? বেসিক ডিগ্রী থাকলে কিন্তু একদম অন্য রকম লাইনেও শিফট করা যায়।
    আমি ক্লাস টেনের পর বায়ো ছেড়ে দিয়ে, প্রায় কিছু না জেনে সাত বছর পর সোজা তার গরু খোঁজার গোয়ালে ঢুকেছিলুম। :)

  • nk | 151.141.84.194 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০১:০১482732
  • পাইয়ের কথায় একমত। আসলে এইসব ব্যাপারগুলো খুবই ব্যক্তিনির্ভর। একজনের ব্যাপারে বলতে পারি, সে আমার খুব চেনা। তার বাবা মা তাকে কোনোরকম চাপ টাপ দেন নি, কোনো গাইডেন্সও দেন নি, কারণ তাদের নিজেদেরই তেমন জানা ছিলো না সেসব। বাবা ভদ্রলোক কমার্সের লাইনের লোক, সরকারী চাকরি করতেন, থিতু একটা জীবন, সেকালের মধ্যবিত্তদের যেমন হতো। মা ভদ্রমহিলা কোনো চাকরি করতেন না। তো এনাদের মেয়ে নিজের চয়েস হিসাবে হার্ডকোর সায়েন্স বেছে নিয়ে পড়াশোনা করবে ঠিক করেছিলো, সে বলেছে সে নিজেই নিজেকে চাপে রাখতো। কারণ বাবা মা তো ঠিক করে রেখেছিলেন মোটামুটি পড়িয়ে শুনিয়ে বিয়ে দিয়ে দেবেন আর তারপরে তার মতন মেয়ে সে শ্বশুর-বাড়ীতে মানাতে না পারলে সেটা তার ব্যাপার, চাকরি বাকরি করে মেয়ে স্বাধীন হবে এটা দুরাগত স্বপ্নেও তেনারা ভাবেন নাই। এটা ছিলো ও মেয়ের সবচেয়ে ভয়ের, কারণ সে জানতো শ্বশুর বাড়ীতে সে মানাতে পারবে না, স্বাধীনতা তার চাই, শেকল পরার আগে সে গঙ্গায় ডুববে। কেস ডিসমিস।
    তো এই মেয়ে তাই নিজের থেকেই নিজে ডবল চাপে ছিলো, নিজের ভালোলাগা সাবজেক্ট নিয়ে সে পড়তেও চায় আবার কেরিয়ারও চায়। তো, এই করতে গিয়ে সে ডুবতে প্রায় বসেছিলো, তবে মোক্ষম সময়ে কিছু ঘটনাচক্র ঘটে গিয়ে তাকে বাঁচালো। এখন সে ভাবে উফ, কী ফাঁড়া কাটিয়েই না সে এখন নিজের মনোমত কাজটি করতে পারছে! খুব বড় কোনো অবদান রাখতে সে পারবে না জানে, কিন্তু এই কাজটি তাকে যে স্বাধীনতা দিয়েছে তাতেই সে কৃতজ্ঞ। বড় বড় অবদান রাখার জন্য তুখোর লোকেরা তো আছেনই।
    তো, এসব হলো গিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির জীবন, প্রত্যেকের অবস্থা আলাদা, একরকম ভাবে কি বিচার করা যায়?
    কারুর কাছে এর বাবা মা কে উদার মনে হবে, কারুর কাছে মনে হবে মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদাসীন, যে যেভাবে দেখবে। কেউ কেউ ভাববে মেয়েকে ডোবাতে বসেছিলো। কেউ আবার ভাববে ভালো ই তো, সন্তানকে "নিজের রাস্তা নিজে বুঝে নাও", "আত্মদীপ ভব" এই উপদেশ কর্মে করে দেখিয়েছেন। :-)
  • Nina | 12.149.39.84 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০১:০৪482733
  • piu ;-))
    আরে কয়েনের তো দুটি সাইড আছেই। আমাকেই দেখনা---বিন্দাস কাটিয়েছি স্কুল কলেজ লাইফ, যতটুকু না পড়লেই নয় , পড়েছি--বেশ টপাটপ ভালভাবেই পাশ করে গেছি তো! এখানে এসে যখন পাতি কম্পিউউটার প্রোগ্রামিং কোর্স পড়তে শুরু করলাম----তখন দেখি আরিব্বাস, এতো রোজ পড়তে হবে--ক্লাসে ঢুকেই quiz আচমকা , হোমওয়ার্ক থেকে ক্লাস কুইজ থেকে সবেতে ন্‌ম্‌বার আর সব অ্যাড করে ফাইনাল নাম্বার---বর বলেছিল , ফেল্টু মারব কারণ সায়েন্সের মেয়ে নই বলে কিন্তু 4.0 নিয়ে বেরিয়ে গেছি।
    তখন একবার মাকে বলেছিলাম --মা আমাকে আরও চেপে ধরে পড়াও নি কেন---বুদ্ধিটা সবাই বলছে, ভালই, আঁকতে পারতাম--সেও খেয়াল খুশি মতন ধরে ছেড়ে দিয়েছি--তাতেও চাপ দাওনি, গান জোর করে শেখাওনি--কেন কেন কেন?
    মা বল্ল--বেশ তো আনন্দে জীবন কাটিয়েছ, কাটাচ্ছ--ক্ষতি কি ---:-)
    আর দেখ আমি কিনা ছেলেকে কেমন চেপে ধরলাম----আবার দেখ একই তো বাবা মা---আমাদের মেয়েতো ঠিকঠাক বাবা-মাকে পাত্তা না দিয়েই কি সুন্দর নিজের রাস্তা ঠিক করে নিল---তবে?
    বটম লাইন বোধহয়
    " ব্যালান্স" !
  • hu | 12.34.246.72 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০১:০৮482734
  • পাই, সিটিজেন হলেও পরিবর্তন সম্ভব কিনা জানি না। কিন্তু একটা ফুলটাইম জব করতে করতে কেরিয়ার শিফট করা যে ভীষন ভীষন কঠিন সেটা বুঝেছি। বিশেষ করে সেই সাবজেক্টে যদি ব্যাচেলর লেভেলের পড়াশোনা একটুও না করা থাকে। দেশে ফিরে গিয়ে সম্ভব কিনা জানি না। অন্নচিন্তা না করতে হলে অনেক কিছুই সম্ভব :-)
  • hu | 12.34.246.72 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০১:১১482735
  • নিশি, মেয়েটিকে অভিনন্দন :-)
  • kk | 69.245.8.145 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০১:১৪482736
  • পাই, 'পরিবর্তন' সম্ভব,সিটিজেন না হলেও। কিন্তু তার জন্য যে পয়সা, সময়, সাহস ও বোল্ডনেস লাগে সেগুলো জোটানোটা কঠিন কাজ, খুবই। দেশে ফিরে পুরোপুরি লাইন চেঞ্জ করা আরোই কঠিন। দেশে সবকিছুতে এজ-বার একটা খুব বড় বাধা। আমি সিরিয়াসলি অনেক খোঁজখবর করেছি। এখনও রাস্তা মেলেনি কিছু।

    নিনা দি, হ্যাঁ, অন্য টইতেও তোমার লেখা পড়তে পড়তে খুব ফীল করছিলাম। আমিও এটাই আশা করবো যে এই থ্রেডগুলো পড়ে যে যেভাবেই হোক উপকৃত হোক।

    রিমি, সে তো অবশ্যই। বাবা মায়েরা যদি বুঝতে পারতেন এতে ছেলেমেয়ের আখেরে ক্ষতি হবে তাহলে এগুলো কখনোই করতেন না। আজকে আমার বাবা'র মনে আমার থেকে খুব কম দু:খ নেই ঐ সিদ্ধান্ত গুলোর জন্য। থ্রী ইডিয়ট্‌স দেখতে দেখতে বাবা হঠাৎ ক'রে উঠে পড়েন, বলেন অন্য কিছু লাগা, এটা আর দেখতে ইচ্ছে করছেনা।

    হু, তোমার আরো একটা কথার সাথে মিলে গেলো,দশ বছরের জন্য কেউ স্পনসর করার ভার নিলে সত্যিই বড় ভালো হতো।
  • Nina | 12.149.39.84 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০১:২৬482738
  • আর একটা কথা মনে পড়ে গেল---আমার বাবা কখনও বলত না--এটা কর, এটা করিসনা ---আমি কিছু একটা করতে চাইলাম, বাবা মার পছন্দ নয়--বাবা বলত- -বেশ আমি বোঝাই তোকে কেন এটা করা ঠিক নয়--আর তুই বোঝা আমায় --কেন এটা করা ঠিক--যে বোঝাতে পারবে তারটাই হবে ---অনেক সময় আমার পয়েন্টও গ্রাহ্য হত, আবার আমিও মেনে নিতাম অনেক সময়---
    বিয়ে করলাম যাকে তার আবার my way or highway কিন্তু খানিকটা, বড্ড ভালবাসি আর খানিকটা তার পড়াশোনা ফ্যমিলি ব্যাকগ্রাউন্ড সব দেখে একটু awstruck ও ;-) কেমন যেন আস্থাও আছে আর খানিকটা নিজের বিন্দাস নেচার----তাই যেন একটু ভুল হয়ে গেল কোথায়---এখন তাই বসে ভাবি, এটা কি আটকাতে পারতাম --কিন্তু সেও তো ১০০% ভাল বাবা --এটাই কি তবে ভবিতব্য--ধ্যুস আরও কনফিউসড হয়ে যাই!!!!!
  • pi | 128.231.22.99 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০১:৩৪482739
  • nk র কথায় মনে হল, এটাও একটা পয়েন্ট। সবেতেই কি তুখোড় কোন অবদান রাখতে হবেই নাকি ? রাজা উজির মারতে হবেই কি ?

    কেকেদি বা হুচে লিখেছিলে, পছন্দের বিষয় না বলে মিডিওকার মানের কাজ হলে খারাপ লাগার সেটাও একটা এলিমেন্ট হয়।

    কিন্তু নিজের ইচ্ছে মত কিছু করতে পারছি, এই স্বাধীনতার আনন্দটা খুব উচ্চমানের কিছু না করতে পারলেও খুব বেশি অতৃপ্তির জন্ম দ্যায়না কিন্তু। তবে এটাও ব্যক্তিনির্ভর হতে পারে।
    আর সাধারণভাবে, পছন্দের জিনিশ করতে পারলে লোকজন খুব একটা খারাপ কিছু করে না।
  • nk | 151.141.84.114 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০২:৫৩482740
  • আর আমার নিজের কথা? আরে মশায় খেয়েপরে যে আছি এই তো অনেক, একটুকু বাসা ধরণীর এক কোণে, দুবেলা দুমুঠো জোটে, কাজের একটা স্মুদ পরিবেশ, লোকে সর্বক্ষণ ব্যক্তিগত জীবনটা কীরকম কত দামের কাপড় পরলাম কি আমার ঠাকুরদাদার মামা কী করতো কিংবা আমি কোথায় কার সঙ্গে ঘুরতাম এসব নিয়ে বিরক্ত করে না, এই ই অনেক। দেশের এলিট ইস্কুলে কালেজে যাই নি, ওখানে চুপচাপ নিজের মত থাকতে পারি এমন কাজই বা দিতো কে আমায়? দিলেও এই করো না কেন, ঐ করো না কেন করে কানের পোকা বার করতো। :-)
    আর তুখোড় কাজ? রাজা উজির মারা? ওসব ক্ষণজন্মা প্রতিভার লোকেরা পারে, তারা মাউন্টেন মুভার, আমি সেসব জায়েন্টদের পরে পরে পাথর টুকরো করতে করতে যাই, তারো তো প্রয়োজন আছে, নাকি? :-)
  • hu | 98.223.88.150 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০৩:৩০482741
  • কলিদি, ভেবে দেখলাম দশ বছরও লাগবে না। একবার পিএইচডি প্রোগ্রামে ঢুকে গেলে একটা গ্র্যাজুয়েট অ্যাসিস্ট্যান্টশিপও কি জোটাতে পারব না? শুরুর দিকে দু-তিন বছর স্পনসরশিপ চাই শুধু। চলো, আমরা একে অপরকে স্পনসর করি :-)

    পাই/নিশি, তুখোড় কিছু করে ফেলব এরকম উচ্চাশা কিছু ছিল না। একটা পছন্দের বিষয় নিয়ে কাজ করব, উৎসাহ নিয়ে পড়ব, সেমিনারে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ব না - বাস! এইটুকুই :-)
  • nk | 151.141.84.194 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০৩:৫৯482742
  • ওরে বাবা, সেমিনারে ঘুম, সেতো যাকে বলে একেবারে নিশ্চিত! তুখোড়েরা পর্যন্ত ঘুমায়। :-)
    আমাদের আবার থাকতো কম্পালসারি সেমিনার, প্রত্যেক শুক্কুরবার, ইন্টারডিসিপ্লিনারি। সে যে কী মারাত্মক ঘুমজাগানি সেমিনার!
    জলের বোতল রাখতাম সঙ্গে, চোখের পাতা বুজে আসলেই এক ঢোক জল খেতাম। তাতেও কাজ না হলে কামড়ানো ক্লিপ দিয়ে গালে আটকাতাম। :-)
    একটা কথা আমি আজো বুঝি নি, লোকে প্রেজেন্টেশান গুলো এমন অদ্ভুত করে কেন? যতো দুর্বোধ্য তত এলিট! আমার ঘোর সন্দেহ বাংলা ভাষার আধুনিক কবিদের দ্বারা এই লোকেরা কন্টামিনেটেড!
  • aka | 24.42.203.194 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০৪:২৬482743
  • আজ অবধি আমি অন্তত একজন চাকুরিজীবিকেও দেখি নি যে হেব্বি পছন্দ টছন্দ করে চাকরি করতে যায়।

    যাইহোক, আমার বক্তব্যে মনে হয় একটু এক্সট্রীমের সুর আছে, সেটা বদলে নেওয়াই ভালো।

    এক, আমি ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। ব্যক্তি স্বাধীনতার সাথে সাথেই আসে সেল্ফ রেগুলেশন। তো, সচেতন পিতা হিসেবে সেটাও তৈরি করতে চাই। সন্তান কি পড়বে সে তার ব্যপার, কিন্তু পসিবল সম্ভাবনাগুলো আলোচনা করা জানিয়ে দেওয়াও কর্তব্য মনে করি। অল্প বয়সের ঘোর লাগা চোখে রিয়ালিটিটা অন্যরকম লাগতে পারে, যেটা কাটাতে অভিজ্ঞতা লাগে। এই বোধটা যাতে সন্তানের মধ্যে আসে সেটা যদি এস্টাবলিশড করতে পারি কোনরকম পাওয়ার স্ট্রাগল ছাড়া তাহলেই নিজেকে সফল মনে করব। এটাই হয়ত অন্য সবাইও বলছেন বা মিন করছেন সেক্ষেত্রে নিজের স্ট্যান্ডটা কিলিয়ার করা উচিত। নিশিকান্ত মনে হয় একেই মজ্ঝিম পন্থা বলেছে। আমি মধ্যপন্থায় বিশ্বাস করি।

    দুই, পাইয়ের উদাহরণের যে ছেলেটির কথা বলা হয়েছে তার মানসিক ভারসাম্য কি জন্য হারিয়েছিল তা অত সহজে বলা যায় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাপ মায়ের সাথে ছেলে মেয়ের পাওয়ার স্ট্রাগলে সেন্সিটিভ ছেলে মেয়েদের অনেক অসুবিধা হয়। তার থেকে অনেক জটিল সমস্যার সূত্রপাত হয়। এক্ষেত্রে সমস্যা যত না বেশি কোন একটি বিশেষ বিষয় তার থেকে অনেক বেশি অন্য পারিপার্শিক বিষয়। অ্যাপারেন্টলি তা হয়ত চোখে পড়ে না। জটিল সমস্যার ক্ষেত্রে সাইকলজিস্টের সাহায্য নেওয়াই একমাত্র ওষুধ। কঠিন, জটিল সমাজে সাইকলজিস্টের কাছে যাওয়ার দরকার অনেকের। কারণ অ্যানক্সাইটির কারণ খুঁজে বের করাই খুব জরুরী। আমি নিজে অনেক বার ভেবেছি, চারিদিকে এত টেনশন যে মাথা ঠিক রাখা সহজ নয়।

    তিন, নিনাদির মেয়ের কথা শুনে খুব ভালো লাগল। সবাই যখন ব্যক্তিগত স্তরে এত কথা বলছে তাহলে বলেই ফেলি নিনাদির ছেলে ও মেয়ের ক্ষেত্রে পার্থক্যটা কি এক্সপেকটেশনের চাপের তারতম্যের? নাকি সত্যিই চাপিয়ে দেওয়া বিষয়ের? বোঝা কিন্তু খুব শক্ত।

    চার, আবার নিনাদির মেয়ের কথা। সাফল্য এসেছে, নিশ্চয়ই আনন্দের কথা। কিন্তু নিনাদির মেয়ে কি উদাহরণ হতে পারে? মনে হয় না। কারণ ও কিন্তু অ্যাভারেজ ইংলিশ মেজর গ্র্যাজুয়েটের থেকে অনেক বেশি আর্ণ করছে/করবে। মানে ও অ্যাভারেজ নয়। যেকোন বিষয়েই কেউ ভালো হলে সে মানদণ্ড হতে পারে না। যেমন পৃথিবীর সমস্ত স্টার্টাপের মাণদণ্ড গুগুল বা ফেসবুক হতে পারে না। তখন দেখা উচিত বছরে কটা স্টার্টাপ ফেল করে। কারণ মোস্ট লাইকলি আপনারটাও ফেল করবে। তেমনই ইংলিশ মেজর নিয়ে পড়লে মোস্ট লাইকলি আপনি জীবনের শেষে ৭৫K মাইনে পাবেন।

    পাঁচ, তাই আমার পুত্র ইংলিশ মেজর পড়লে নিনাদির মেয়ে উদাহরণ হিসেবে আসবে কিন্তু সেটা সাফল্যের এক্সেপশন হিসেবে। রিয়ালিটি হিসেবে আসবে ৭৫K র মাইনে, তৎকালীন কস্ট অফ লিভিং এবং আরও বহু অসফল লোকের কথা যারা প্রপার গাইডেন্স না পাওয়ায় এখন গুমড়ে মরে। গাইডেন্স মানে পাওয়ার স্ট্রাগল নয় বরং গণতান্ত্রিক আলোচনা যাকিনা সেক্স কিংবা ড্রাগ নিয়ে করলেই কারুর কোন মাথা ব্যথা নেই।

    ছয়, তাহলে কি শুধু টাকা রোজগারের জন্যই সব। অনেকটাই তাই। কিন্তু তার মধ্যে একটা ব্যালান্স থাকতে হয়। আবার সেই মধ্যপন্থা। কতটা টাকার জন্য কে দৌড়বে সেটা তার নিজস্ব ব্যপার কিন্তু জীবনে টাকার দরকার একেবারেই নেই এই ইলিউশনটাও থাকা উচিত নয়।
  • rimi | 24.42.203.194 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০৫:০২482744
  • আকার যুক্তি মেনে নিলে ইংলিশ, ইতিহাস, ভূগোল ইত্যাদি সব বিষয়গুলো উঠে গিয়ে পড়ে থাকবে একমাত্র ম্যানেজমেন্ট, আর বড়জোর কম্পিউটার সায়েন্স (ভাগ্যিস!!)

    ৭৫কে মাইনের কম হলেই তুমি অসফল এই কথা ছেলেমেয়ের মাথায় ঢুকে গেলে বাকি জীবন তাদের মানসিক হাসপাতালে কাটাতে হবে।

    আচ্ছা, কিন্তু ইংলিশ মেজর নিয়ে পড়া "অসফল লোক যারা গাইডেন্সের অভাবে" বিজনেস না পড়ে বা অংক না পড়ে ইংলিশ নিয়ে পড়ে, তাদের "গুমড়ে মরার" গপ্পগুলো কোথায় পাওয়া যাবে? পেলে এখনি পড়ে ফেলি।
    "গাইডেন্সের" অভাবে ইংলিশ না পড়ে সায়েন্স পড়তে গিয়ে গুমড়ে মরা ছেলেপুলের কাহিনীগুলো নেগলেক্ট করে শুধু উল্টো উদাহরণ নিয়ে মাতামাতি করলে কি সঠিক "গাইডেন্স" দেওয়া যাবে তবে?
  • pi | 128.231.22.99 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০৫:১৪482745
  • ৭৫k র সীমারেখার ভিত্তি আর 'সফল' এর সংজ্ঞা জানতে পারলে ভাল হত।

    কিন্তু আকাদা তো পোচ্চুর লোকজনকে লজ্জায় ফেলে দিলে। সব 'ফেইলিওর' :)

    কে কত আর্ন করে তাই দিয়েই সব বিচার্য, তাও জানা হল :)
  • aka | 24.42.203.194 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০৫:২১482746
  • কি জ্বালা রে বাবা। অসফল কে বলল? তবে হ্যাঁ একটা ডিসেবল ছেলে মেয়ে হলে প্যান্টুলুন হলুদ হয়ে যাবে, তার সাথে একজনের ক্যান্সার জাতীয় এক্সেপেন্সিভ রোগ হলে মাস কয়েকেই মরে যাবে, চিকিৎসা করানোর ক্ষমতা থাকবে না। এটাকে অসফল মনে করলে অনেকেই অসফল। স্কিল অনুযায়ী যত বেশি পারা যায় তত বেশি টাকা ইনকাম করাই বাস্তবের কাছাকাছি। যাদের এই রিয়ালিটি ফেস করতে হয় না তারা ভাগ্যবান। আমার সন্তানের ভাগ্যও সুপ্রসন্ন হবে এই ভেবে কেরিয়ার প্ল্যানিং হয় না।
  • rimi | 24.42.203.194 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০৫:২৬482747
  • অ্যাইত্তো!!! আসল কথায় এসে গেছে ব্যপারটা।

    ভাগ্যছক করাও। বাবা মার ক্যান্সার বা ডিসেবল ছেলে মেয়ে কপালে লেখা থাকলে ছেলেকে বিল গেটস হতে হবে।

    এই জন্যেই অমৃতলালের এমন রমরমা ব্যবসা!!!!!!
  • nk | 151.141.84.114 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০৫:২৯482749
  • এবারে তো সেই পুরানো জ্যোতিষে বিপ্লব এসে যাবে যেভাবে অ্যালকেমি হয়ে গেল কেমিস্ট্রি। এখন কম্পু কাজে লাগানো যায়, কম্পুটারে সিমুলেট করে করে দেখা যায়! ভাগ্যে কী আছে। টেম্পোরাল প্রোজেকশন। তাতে ম্যানেজারেরা আর কম্পুটার সায়েন্টিস্টরাও করে খাবেন। বাকীরা সব লুপ্ত ততদিনে।
    :-)
  • r2h | 67.96.80.214 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০৫:৩০482750
  • অসফলতার সঙ্গে পয়সাকড়ির প্রচুর যোগাযোগ আছে বলে আমিও মনে করি... মানে সাঙ্ঘাতিক রকম পছন্দের কিছু, বা তীব্র প্যাশন নিয়ে কিছু করলে হয়তো সেই অভাবটা অসফলতা বলে মনে হয় না, কিন্তু সেই তীব্র প্যাশন বা পাখির চোখই বা কটা লোকের থাকে। বা কটা লোক সেটাকে চিনতে পারে। তো, মিডিওকারের চাপ মশাই, মিডিওকারই বোঝে।
    ফ্যাফ্যাপনা তো আর গেয়ে বেড়াবার জিনিস নয়, তাই আর কথা বাড়িয়ে লাভ নাই, গান শুনি বরং।
  • aka | 24.42.203.194 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০৫:৩১482751
  • ও হ্যাঁ আর একটা কথা কেরিয়ারের শেষে কথাটা ইগনোর করবেন না।

    কারণ আপনার রিটায়ারমেন্ট ফাণ্ডও তার ওপরেই ডিপেন্ড করে। একটা হিসেব - একেবারে জাঁদরেল ইন্সিওরেন্স এজেন্তের মুখের কথা। আজকের হিসেবে কেউ যদি ৫৮ বছরে ১ মিলিয়ন ডলার রিটায়ারমেন্ট ফাণ্ডে নিয়ে রিটায়ার করে তাহেল তার ৭২ বছর বয়সে সমস্ত পয়সা ফতুর।

    নিজের যা ইচ্ছে তাই করব, তার বদলে আমার যা যা দরকার সব পেয়ে যাব এই রকম একটা সমাজ হলে খুব ভালো হত। আনফরচুনেটলি রিয়ালিটি তা নয়। প্রতিদিন পাওয়ার পয়েন্ট নিয়ে খেলা করতে বোগাস লাগে, তাই চুরি করে গুরু করি।
  • pi | 128.231.22.99 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০৫:৩২482752
  • অথচ এই সিস্টেম নিয়ে প্রশ্ন তুলবো না, ডিসেবল বাক্যান্সার রুগী হলে তার পিছনে একজনকে ব্যক্তিগত স্তরে এত খরচ কেন করতে হবে ।

    সে ঠিক আছে।

    প্রশ্ন তুলবো না, ৯০% এর রোজগার , উদয়াস্ত 'চেষ্টা' করেও কেন 75 k র ২০% ও হয় না ।
  • pi | 128.231.22.99 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০৫:৩৯482754
  • হুতো, গান ফান তো করা উচিত না। শুনেও কি সময় নষ্ট করা উচিত ?
    ইন ফ্যাক্ট প্যাশন ফ্যাশন যাই থাক, যে কাজে টাকা রোজগারের সম্ভাবনা নাই তা করা তো উচিতই নয়।
    যত করব , সাফল্যের সিঁড়িতে তত পিছিয়ে পড়ে থাকবো তো।
    ঐ সময় অন্যত্র দিলে টাকা রোজগারের সম্ভাবনা থাকে তো।

    ঐ ব্যালান্স, চাপ এসব শুনতে শুনতে একটা পড়াশুনার বাইরে অন্য একটা বিষয়ের চাপ আর নিজে করার আনন্দের মধ্যে সূক্ষ্ণ ব্যালান্সের দড়িটা নিয়ে লিখতে শুরু করেছিলাম। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাই। গান নিয়ে।
    এখন মনে হচ্ছে গানের মত একটা জিনিস যেটা বেসিক্যালি ফালতু , এক পয়সা রোজগারেও সাহায্য করেনি , তা নিয়ে যা সময় নষ্ট করা হয়েছে , তাই ঢের , কথা বলা মানে আরো সময় নষ্ট।
    সময়টা সফল হবার পিছনে ব্যয় করা উচিত।
  • aka | 24.42.203.194 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০৫:৩৯482753
  • কেন তুলবে না? নিশ্চয়ই তুলবে কিন্তু সেটা অন্য সিস্টেমের সাথে তুলনা না করেই। এখানে পয়সা খরচ করলে বাঁচবে ভারতে পয়সা খরচ করলেও বাঁচবে না।

    সে যাক পয়সা রোজগার নিয়ে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী যতবেশি টাকা রোজগার করা যায় মিডলক্লাস পরিবারের তাই উচিত নইলে কখন হাত কামড়াতে হবে সে বলা যায় না। শুধুমাত্র নিজের কামফর্ট পার্সু করছি বলে অসুস্থ সন্তানের চিকিৎসা করাতে পারলাম না এর নেগেটিভ এফেক্ট আমার কাছে অন্তত নিজের পছন্দ মতন কাজ বা পড়াশুনো না করার থেকে অনেক বেশি।
  • r2h | 67.96.80.214 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০৫:৪৪482755
  • ক্কী কান্ড। তা কেন। ধুর।
    না:, গানই শুনি। ভেবেচিন্তে লিখবো নাহয়।
  • aka | 24.42.203.194 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০৫:৪৫482756
  • সারাদিন পয়সার জন্য খেটে যাওয়াও কাউন্টার প্রোডাক্টিভ। গান শোনা, গুরু করা, শুক্কুরবারের রাম সবই দরকার তো। নইলে সোমবারের নীলিমা মঙ্গলেও পেয়ে বসবে।
  • r2h | 67.96.80.214 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০৫:৪৬482757
  • 'অসফলতা বলে মনে হয়না'টা বোধয় 'অসফলতা নয়' হবে। ঘেঁটে গেল তো।
  • r2h | 67.96.80.214 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০৫:৫৪482758
  • আমি যেটা বলতে চাইছি, যে অর্থকরীর বাইরে প্যাশনেটলি কিছু করছে, সে একটা আনন্দময় জীবন কাটাচ্ছে। তার কাছে পয়সা কড়িটা কোন ব্যাপার নয়।
    মানে আমি কি ভ্যান গঘকে অসফল বলবো?
    কিন্তু এমন লোকওতো আছে যে হয়তো শিল্প সঙ্গীত সাহিত্য ভালোবাসতো, কিন্তু অর্থনৈতিক অসফলতার কারনে সবই জলাঞ্জলি হলো। মানে, এমন হয় তো।
    যে অর্থনৈতিক ভাবে সফল, সেও সফল, যে নিজের প্যাশন নিয়ে আনন্দিত, সেও সফল, কিন্তু এদের মাঝখানে তো লোকজন থাকে। তারা কি করবে? আমি অর্থই মোক্ষ এরকম কিছু মোটেই বলছিনা। কিন্তু টাকাকড়িও অনেকের জন্যে, বা বেশীরভাগের জন্যেই একটা বড় ফ্যাক্টর। সেটা অবশ্যই অন্য কেউ ঠিক করে দেবে না, যে আমার পহা নেই বলে আমি হেরো। কিন্তু একটা সময় তার নিজেরই মনে হতে পারে। হয়ও।
    এইসব আরকি।
  • r2h | 67.96.80.214 | ০২ আগস্ট ২০১১ ০৫:৫৬482760
  • ভ্যান গঘ অবশ্য ঠিক আনন্দময় জীবন কাটাননি। তবে আমার চোখে সফল তো বটেই। ইনফ্যাক্ট আমার কাছে এই প্যাশন ব্যাপারটা খুব বড় মনে হয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন