এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • সুনীল গাঙ্গুলী - জনপ্রিয় বাংলা লেখক

    Abhyu
    বইপত্তর | ১৬ অক্টোবর ২০১১ | ১০৪৮৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Abhyu | 97.81.108.7 | ১৬ অক্টোবর ২০১১ ২০:২৭494055
  • একেবারেই জনপ্রিয় নন নাকি? একটা পোস্টও পড়ল না :(
  • ranjan roy | 14.97.18.52 | ১৬ অক্টোবর ২০১১ ২২:৩৭494153
  • আমার স্কুল ছাড়ার অল্প আগে ""রহস্য"" এবং ""রোমাঞ্চ'' নামে দুটি রহস্য গল্পের মাসিক পত্রিকা বেরোতে শুরু করল। ওদের আবার পূজো সংখ্যাও ছিল। তাতে ""ভানু গোয়েন্দার জহর অ্যাসিস্ট্যান্ট'' নামে প্রকাশিত একটি বড়গল্প পরে সিনেমা হয়।
    এক দশক পরে, সুনীল তখন বেশ নাম করেছেন,''রহস্য'' পত্রিকায় একটি গল্পে কেউ সুনীলের ওপর সম্ভবত: ব্যক্তিগত খার তুলে নিল।
    একটি চরিত্রের মুখ দিয়ে বলানো হল-- কি যেন কবিতার লাইনটা?"" ভ্রুপল্লবে দিলে ডাক, এতদিন ডাকনি আমায়''- ধ্যুস্‌ সুনীলের যত বাজে কবিতা, মানুষে পড়ে?
    আমার বেশ মজা লাগলো।
    ""আত্মপ্রকাশ'' অনেকের মত আমাকেও ওই বয়সে নাড়া দিয়েছিল। যেমন সমরেশের ""বিবর''। অন্য রকম লেখা। কয়েক বছর পরে সেক্স পত্রিকা
    "" সুন্দর জীবন'' এ সুনীলের ""নদীর পারে খেলা'' উপন্যাসে উৎসাহের সঙ্গে ""নদী'', পার ও ""খেলা'' খুঁজতে গিয়ে বেশ হতাশ হলাম।
  • Kulada Roy | 74.72.54.134 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ০৩:১৩494164
  • সুনীলের সেই সময় আমার ভাল লেগেছিল। কিনেওছিলাম। দেশ থেকে আসার সময় সঙ্গে আনা হয়নি।
    সুনীলের কবিতা পড়ি--১৯৮১ সালের দিকে। আমার এনামূলদা ওনার শ্রেষ্ঠ কবিতা বইটা ঢাকা থেকে কিনে এনেছিলেন। তখন তিনি দীর্ঘদিন জেল খেটে এসেছেন। বেশ মোটাসোটা হয়ে গেছেন। আমি থাকতাম রাস্তার পাশে একটি ঘরে।
    আমি যখন কলেজে যাই তখন কেউ একজন আমার গেলে এসে ঘুমায়। মা এরকম ধারণা করেছিল। বাবা বলেছিল, তুই একটু খোঁজ খবর নিতে পারিস। লোকটা আসে। ঘুমিয়ে চলে যায়। কিন্তু কখনো কিছু খায় না। খিদে পেলে কি করে?
    তারপর একদিন কলেজ ফাঁকি দিয়ে তাকে পেয়েছিলাম। তিনি ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই বলেছিলেন, ঘুম থেকে ওঠার পরে কথা বলব। তিনি এনামূলদা। বাড়ি ফকিরকান্দি। ইত্যাদি। এরপরে এনামূলদা আমাদের বাড়িতেই লাঞ্চ সারতেন।
    সেই এনামূলদা আমাদের কেউ কথা রাখেনি--কবিতাটা জনে জনে পড়ে শুনিয়েছেন। পড়ে শোনার মাঝপথেই তিনি হু হু করে কানতেন। আমরা এনামুলদার দু:খে কানতাম। আমাদের সকলের দু:খে মা সুনীলের বইটা চুলায় দিয়েছিল। পায়েস রান্না করেছিল। খেয়ে এনামূলদা বহুদিন পরে হেসেছিল।
    তবে সুনীলের ঐ বইটির অনেক কবিতাই এনামুলদার মুখস্ত ছিল। তিনি নিয়মিত বই ছাড়াই লোকজনদের কেউ কথা রাখেনি শোনাতেন। আমাদের শহরের পানওয়ালা, আইসক্রিমওয়ালা এমন কি একজন হুজুর শ্রেণীর লোকও এই কবিতা গড়গড়িয়ে বলতে পারতেন। এই কবিতাটি শোনার আগে আমাদের শহরের সবাই সবার কথা রাখত। এরপর কেউ আর কথা রাখতে পারেনি। এই দু:খে আমি শহরটি ছেড়ে চলে এসেছিলাম। এখন খবর পেয়েছি, এনামূলদাও পালিয়ে বেঁচেছেন। শুধু কবিতাটি আছে। কেউ কেউ পড়েন। আমার মা তার জন্য পায়েস রান্না করতে আগ্রহ বোধ করেন।
  • Kulada Roy | 74.72.54.134 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ০৪:২৫494175
  • উপরের মন্তব্যটি একটু বড় হয়ে গেল এখন।

    .....................................................................
    সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কেউ কথা রাখেনি খুব বিখ্যাত কবিতা। এই কবিতার মত জনপ্রিয় কবিতা বোধ হয় বাংলা ভাষায় আর দ্বিতীয়টি নেই। তিনি মারা যাওয়ার পরেও কবিতাটি অনেকে পড়বেন। এই কবিতাটির কারণেই সুনীল গাঙ্গুলী সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় হয়েছিলেন। আর আমি কবিতা লেখা ছেড়ে দিয়েছিলাম। ইতিহাস এরকম নির্মম। সে কাউকে ক্ষমা করে না।

    .....................................................................
    সুনীলের সেই সময় উপন্যাসটি আমার ভাল লেগেছিল। কিনেওছিলাম। দেশ থেকে আসার সময় সঙ্গে আনা হয়নি। তার একটি কবিতার বই আমি কিনেছিলাম বিদেশী কবিতার অনুবাদ। তিনি মার্কিন দেশের আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখক বৃত্তি নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে একটি বিদেশিনীর প্রেমে পড়েছিলেন। তার সঙ্গে কাটিয়ে কিছু বিদেশী কবিতা অনুবাদ করেছিলেন। বইটি এখনকার বিখ্যাত রম্যলেখক ব্যাচেল সিনেমার খালু আনিসুল হক আমার কাছ থেকে মেরে দিয়েছিলেন। সেটা ময়মনসিংহের ঘটনা। হোমো এরশাদ তখনো জীবিত। আনিসুল হক জানতেন বইটি চুরি করলে--তিনিও আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখক বৃত্তি পাবেন--সেখানে যেতে পারবেন। তিনি মার্কিন দেশের অই ছোট্ট গ্রামে গিয়েছিলেন। ফলে আমার বইটি ফেরত পাইনি। পেলে আমারও যাওয়ার সুযোগ ঘটতে পারত। আমার কপাল থেকে একটি বিদেশী প্রেমের আশঙ্কা মাটি হয়ে গেছে।

    .....................................................................
    সুনীলের কবিতা পড়ি ১৯৮১ সালের দিকে। আমার এনামূলদা ওনার শ্রেষ্ঠ কবিতা বইটা ঢাকা থেকে কিনে এনেছিলেন। তখন তিনি দীর্ঘদিন জেল খেটে এসেছেন। বেশ মোটাসোটা হয়ে গেছেন। সেকালে আমি থাকতাম রাস্তার পাশে একটি ঘরে একা একা। আমার ঘরে একটি ছিটকিনি ছিল। তালা থাকার দরকার ছিল না।

    আমি যখন কলেজে যাই তখন কেউ একজন আমার ঘরে এসে ঘুমায়। মা এরকম ধারণা করেছিল। ততদিনে আমার ঠাকুরদা কেটে পড়েছেন। আমার বিখ্যাত ঠাউম্মা ঠাকুরদার কথা না রেখেই একটু আগে গেছেন। বাবা কাজবাজে থাকার কারণে সময় পেত না। এই হেতু বাবা বলেছিল, তুই একটু খোঁজ খবর নিতে পারিস। লোকটা আসে। ঘুমিয়ে চলে যায়। কিন্তু কখনো কিছু খায় না। খিদে পেলে কি করে?

    তখন খিদে ব্যাপারটি কার্লস মার্কস আর সুকান্ত ভট্টাচার্য ছেলেটি আমাদের মাথায় গেঁথে দিতে শুরু করেছিলেন। খিদে পেলে মাথায় যন্ত্রণা হত। এই যন্ত্রণার জন্যর জন্য অই দাড়িঅলা লোক আর কিশোর ছেলেটিই দায়ী। এর আগে আমাদের সত্যি সত্যি কোনো খিদে বোধ ছিল না। দিব্যি না খেয়ে কাটিয়ে দিতে পারতাম। তাইরে নাইরে করা যেত।

    একদিন কলেজ ফাঁকি দিয়ে লোকটিকে পেয়েছিলাম। তিনি আমার খাটে ঘুমিয়েছিলেন। মাথার নিচে একটি বই। নানা কায়দায় চেষ্টা চরিত্তির করে বইটির নাম পড়তে পেরেছিলাম। বইটির নাম সুনীল গঙ্গোআপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা। সেখানে লেখা আছে--ভালবাসার পাশেই একটি অসুখ শুয়ে আছে। কি করে তাড়াই তাকে? কঠিন অবস্থা। তাড়ানো যাবে না। সঙ্গে থেকে যাবে। অসুখ ছড়াবে। মহাযন্ত্রণা। সেইকালে আঙ্গুলে অঙ্গুরি ছিল না। থাকলে নিশ্চয়ই মহাযন্ত্রণার হাত থেকে খালাস পেতে অঙ্গুরিটি ঠোঁটে ছোয়াতাম। বিষপান করতে হত। একটি দীর্ঘদিন ঘুম দেওয়া যেত। ভাগ্যিস অঙ্গুরি ছিল না।

    .....................................................................
    লোকটি আমাকে দেখতে পেয়েছিলেন কিনা সেটা ঠিক নিশ্চিত নই। তবে বুঝতে পেরেছিলেন। তার ঘুম দেখে মনে হল-- বহুদিন পরে একটু আরাম করে ঘুমোচ্ছেন। এই ঘুমটি তার দরকার। জেলখানায় মানুষ ঘুমোতে পারে না। সে কারণে কুচ পরোয়া নেহি। ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই বলেছিলেন, ঘুম থেকে ওঠার পরে কথা বলব।
    তিনি এনামূলদা। বাড়ি ফকিরকান্দি। ইত্যাদি। এরপরে এনামূলদা আমাদের বাড়িতেই লাঞ্চ সারতেন।

    সেই এনামূলদা কেউ কথা রাখেনি--কবিতাটা আমাদের ক্ষুদে শহরে জনে জনে পড়ে শুনিয়েছেন। শহরের মনে প্রাণে পেরেক মেরে গেঁথে দিয়েছেন। ঝরে পড়ার সুযোগ নেই। পড়ে শোনানোর মাঝপথেই তিনি হু হু করে কানতেন। আমরা এনামুলদার দু:খে কানতাম। আমাদের সকলের দু:খে একদিন আমাদের মা সুনীলের বইটা চুলায় দিয়েছিল। কবিতার আগুনে পায়েস রান্না করেছিল। খেয়ে এনামূলদা বহুদিন পরে হেসেছিলেন।

    চুলার আগুনে পুড়ে ছাই হলেও সুনীলের ঐ বইটির অনেক কবিতাই এনামুলদার মুখস্ত ছিল। তিনি নিয়মিত বই ছাড়াই লোকজনদের কেউ কথা রাখেনি শোনাতেন। আমাদের শহরের পানওয়ালা, আইসক্রিমওয়ালা এমন কি একজন হুজুর শ্রেণীর লোকও এই কবিতা গড়গড়িয়ে বলতে পারতেন। এই কবিতাটি শোনার আগে আমাদের শহরের সবাই সবার কথা রাখত। এরপর কেউ আর কথা রাখতে পারেনি। পুরো দোজখখানা হয়ে গিয়েছিল। এই দু:খে আমি শহরটি ছেড়ে চলে এসেছিলাম। এখন খবর পেয়েছি, এনামূলদাও পালিয়ে বেঁচেছেন। শুধু কবিতাটি আছে। এখনো কেউ কেউ পড়েন। আমার মা তার জন্য পায়েস রান্না করতে আগ্রহ বোধ করেন।

    .....................................................................
    একটি অভিশাপ : যারা এই লেখাটি পড়ছেন, যাদের এই কবিতাটি নিয়ে কিঞ্চিৎ অভিজ্ঞতা আছে--তারা যদি সেটা এখানে না লেখেন, তাহলে তাদের কথাওকেউ রাখবে না। ১০১% নিশ্চিত ভবিষ্যতবানী। মনে রাখবেন। হু।
  • Kulada Roy | 74.72.54.134 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ০৬:০৬494186
  • কেউ লিখছেন না দেখে আমি একই মন্তব্য টেনে টেনে বড় করে বারবার দিচ্ছি।

    স্মৃতি তুমি ব্যাদোনা : সুনীলের কেউ কথা রাখেনি
    --------------------------------
    .....................................................................
    সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কেউ কথা রাখেনি খুব বিখ্যাত কবিতা। এই কবিতার মত জনপ্রিয় কবিতা বোধ হয় বাংলা ভাষায় আর দ্বিতীয়টি নেই। তিনি মারা যাওয়ার পরেও কবিতাটি অনেকে পড়বেন। এই কবিতাটির কারণেই সুনীল গাঙ্গুলী সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় হয়েছিলেন। আর আমি কবিতা লেখা ছেড়ে দিয়েছিলাম। ইতিহাস এরকম নির্মম। সে কাউকে ক্ষমা করে না।

    ...............................................................................................................................................
    সুনীলের সেই সময় উপন্যাসটি আমার ভাল লেগেছিল। কিনেওছিলাম। দেশ থেকে আসার সময় সঙ্গে আনা হয়নি। তার একটি কবিতার বই আমি কিনেছিলাম বিদেশী কবিতার অনুবাদ। তিনি মার্কিন দেশের আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখক বৃত্তি নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে একটি বিদেশিনীর প্রেমে পড়েছিলেন। তার সঙ্গে কাটিয়ে কিছু বিদেশী কবিতা অনুবাদ করেছিলেন। বইটি এখনকার বিখ্যাত রম্যলেখক ব্যাচেলর সিনেমার খালু আনিসুল হক আমার কাছ থেকে মেরে দিয়েছিলেন। সেটা ময়মনসিংহের ঘটনা। হো মো এরশাদ তখনো জীবিত। আনিসুল হক জানতেন বইটি চুরি করলে--তিনিও আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখক বৃত্তি পাবেন--সেখানে যেতে পারবেন। তিনি মার্কিন দেশের অই ছোট্ট গ্রামে গিয়েছিলেন। ফলে আমার বইটি ফেরত পাইনি। পেলে আমারও যাওয়ার সুযোগ ঘটতে পারত। আমার কপাল থেকে একটি বিদেশী প্রেমের আশঙ্কা মাটি হয়ে গেছে।

    .....................................................................
    সুনীলের কবিতা পড়ি ১৯৮১ সালের দিকে। আমার এনামূলদা ওনার শ্রেষ্ঠ কবিতা বইটা ঢাকা থেকে কিনে এনেছিলেন। তখন তিনি দীর্ঘদিন জেল খেটে এসেছেন। বেশ মোটাসোটা হয়ে গেছেন। সেকালে আমি থাকতাম রাস্তার পাশে একটি ঘরে একা একা। আমার ঘরে একটি ছিটকিনি ছিল। তালা থাকার দরকার ছিল না।

    সেকালে আমাকে কষ্টেসৃষ্টে কলেজেও যেতে হয়েছিল। তার মধ্যে একটি রংঅইন ঘটনা ছিল-- আমি যখন কলেজে যাই তখন কেউ একজন আমার ঘরে এসে ঘুমায়। মা এরকম ধারণা করেছিল। ততদিনে আমার ঠাকুরদা কেটে পড়েছেন। আমার বিখ্যাত ঠাউম্মা ঠাকুরদার কথা না রেখেই একটু আগে গেছেন। বাবা কাজবাজে থাকার কারণে সময় পেত না। এই হেতু বাবা বলেছিল, তুই একটু খোঁজ খবর নিতে পারিস। লোকটা আসে। ঘুমিয়ে চলে যায়। কিন্তু কখনো কিছু খায় না। খিদে পেলে কি করে?

    তখন খিদে ব্যাপারটি কার্লস মার্কস আর সুকান্ত ভট্টাচার্য ছেলেটি আমাদের মাথায় ষড়যন্ত্র গেঁথে দিতে শুরু করেছিলেন। এ কারণে খিদে পেলে মাথায় যন্ত্রণা হত। এই যন্ত্রণার জন্য অই দাড়িঅলা লোক আর কিশোর ছেলেটিই দায়ী। এর আগে আমাদের সত্যি সত্যি কোনো খিদে ছিল না। দিব্যি না খেয়ে কাটিয়ে দিতে পারতাম। তাইরে নাইরে করা যেত।

    একদিন কলেজ ফাঁকি দিয়ে লোকটির নাগাল পেয়েছিলাম। তিনি আমার খাটে ঘুমিয়েছিলেন। মাথার নিচে একটি বই। নানা কায়দায় চেষ্টা চরিত্তির করে বইটির নাম পড়া গেল। বইটির নাম সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা। সেখানে লেখা আছে--ভালবাসার পাশেই একটি অসুখ শুয়ে আছে। কি করে তাড়াই তাকে? তাড়ানো যাবে না। চিরকাল সঙ্গে থেকে যাবে। অসুখ ছড়াবে। মহাযন্ত্রণা। সেইকালে আঙ্গুলে অঙ্গুরি ছিল না। থাকলে নিশ্চয়ই মহাযন্ত্রণার হাত থেকে খালাস পেতে অঙ্গুরিটি ঠোঁটে ছোঁয়াতাম। বিষপান করতে হত। একটি দীর্ঘদিন ঘুম দেওয়া যেত। ভাগ্যিস অঙ্গুরি ছিল না।

    .....................................................................
    লোকটি আমাকে দেখতে পেয়েছিলেন কিনা সেটা ঠিক নিশ্চিত নই। তবে বুঝতে পেরেছিলেন। তার ঘুম দেখে মনে হল-- বহুদিন পরে একটু আরাম করে ঘুমোচ্ছেন। এই ঘুমটি তার দরকার। জেলখানায় মানুষ ঘুমোতে পারে না। সে কারণে কুচ পরোয়া নেহি। ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই বলেছিলেন, ঘুম থেকে ওঠার পরে কথা বলব।
    তিনি এনামূলদা। বাড়ি ফকিরকান্দি। ইত্যাদি। এরপরে এনামূলদা আমাদের বাড়িতেই লাঞ্চ সারতেন।

    সেই এনামূলদা কেউ কথা রাখেনি--কবিতাটা আমাদের ক্ষুদে শহরে জনে জনে পড়ে শুনিয়েছেন। শহরের মনে প্রাণে পেরেক মেরে কবিতাটি গেঁথে দিয়েছেন। ঝরে পড়ার সুযোগ নেই। কিছু ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেওয়াল লিখনও করা হয়েছিল। মাঝে মাঝে রঙিন পোস্টার। প্রেমপত্রের পরের পত্র। হাহাকার ধ্বনি। পড়ে শোনানোর মাঝপথেই এনামূলদা হু হু করে কানতেন। আমরা এনামুলদার দু:খে কানতাম। এই দু:খ ছিল সত্যি সত্যি অসহনীয়। আমাদের সকলের দু:খে একদিন আমাদের মা সুনীলের বইটা চুলায় দিয়েছিল। কবিতার আগুনে পায়েস রান্না করেছিল। খেয়ে এনামূলদা বহুদিন পরে হেসেছিলেন।

    চুলার আগুনে পুড়ে ছাই হলেও সুনীলের ঐ বইটির অনেক কবিতাই এনামুলদার মুখস্ত ছিল। তিনি নিয়মিত বই ছাড়াই লোকজনদের কেউ কথা রাখেনি শোনাতেন। আমাদের শহরের পানওয়ালা, আইসক্রিমওয়ালা এমন কি একজন হুজুর শ্রেণীর লোকও এই কবিতা গড়গড়িয়ে বলতে পারতেন। দোয়াদরুদও পড়া হত বলে রটনা ছিল। আর পাড় কমিউস্টিদের জন্য এটা ছিল লাল ইস্তেহার। মাঝরাত্রিরে যেসব বিখ্যাত লোকজন পথ হারিয়ে ফেলত, তারা চিৎকার করে ষাঢ়ের চোখে লাল কাপড় বেঁধে দেওয়ার প্যারাটি মোড়ে মোড়ে হেঁকে যেত। শিশুদের ঘুমানোর জন্য মাসিপিসিদের দরকার হত না। আমাদের সমাজসেবক হাবিবুর রহমান হাবিল মিয়া ভেবেছিলেন, তিনি কবিতাটির একটি মর্মর শিলালিপি শহরের বিদায়-পথে স্থাপন করবেন। তার অকস্মাৎ কথাস্মৃতি দশাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে এই পরিকল্পনাটি শ্রুতিচিহ্‌ণ হিসাবে আছে। থাকবে আরও কিছুকাল।

    এই কবিতাটি শোনার আগে আমাদের শহরের সবাই সবার কথা রাখত। এরপর কেউ আর কথা রাখতে পারেনি। পুরো দোজখখানা হয়ে গিয়েছিল। এই দু:খে আমি শহরটি ছেড়ে চলে এসেছিলাম। এখন খবর পেয়েছি, এনামূলদাও পালিয়ে বেঁচেছেন। শুধু কবিতাটি আছে। আকাশে বাতাসে। জলে স্থলে। অন্তরীক্ষে। এখনো কবিতাটি কেউ কেউ পড়েন। আমার মা তার জন্য পায়েস রান্না করতে আগ্রহ বোধ করেন।

    .....................................................................
    অভিশাপ পর্ব : যারা এই লেখাটি পড়ছেন, যাদের এই কবিতাটি নিয়ে কিঞ্চিৎ অভিজ্ঞতা আছে--তারা যদি সেটা এখানে না লেখেন, তাহলে তাদের কথাও কেউ রাখবে না। ১০১% নিশ্চিত ভবিষ্‌য়্‌ৎবানী। মনে রাখবেন। হু।
  • ranjan roy | 14.99.145.51 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ০৬:২৭494197
  • অরিন্দম চক্রবর্তি ওপাড়ায় (বাংলালাইভে) গতবছর সুনীলের কবিতা নিয়ে বেশ কিছু ভাল লেখা লিখেছিলেন। ওনার অনেক কবিতা অরিন্দমের মুখস্থ।
    ও এখানে বারদুয়েক বুলবুলভাজা লিখেছিল। কবিতার ব্যাপারে চমৎকার বোধবুদ্ধি রাখে। জানিনা, এখানে এখন লিখবে কি না। চেষ্টা করছি।
    সুনীলের ""অন্য দেশের কবিতা'' যখন দেশে ধারাবাহিক বেরোচ্ছে, স্কুলে পড়ি, আমি মুগ্‌ধ পাঠক। বোঝা-না-বোঝায় মেশা এক অন্যরকম ভাললাগা। যেন একটা জানালা
    খুলে যাচ্ছে, ওপাশে একটা মাঠ দেখতে পাচ্ছি।
    একজন কবির অনুবাদে সুনীল ফুটনোটে লিখলেন--- এখানে মেয়েটির মুখের উপমায় পেয়ালার হাতলের মত শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।বাংলায় ঠিক চলে না। অনুষঙ্গে হাতল বলতে কোমল কিছুর ছবি মনে আসে না। তাই আমি চিত্রকল্পটি ভেঙে দিয়েছি, কিন্তু পেয়ালার হাতল লিখিনি।
    আমার মনে হল-কেন? পেয়ালার ডাঁটি? অনুষঙ্গে রজনীগন্ধার ডাঁটি?

    আমার ভাল লেগেছিল ""কবির মৃত্যু''। নীরা নিয়ে বিখ্যাত কবিতাগুলি ভাল লাগেনি।
  • Abhyu | 97.81.108.7 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ০৭:৩১494208
  • অরিন্দম চক্রবর্তী মানে দেহ-গেহ-বন্ধুত্বের লেখক?
  • abastab | 61.95.189.252 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ০৮:৩৩494219
  • কুলদাবাবুকি সুনীল রাগে বিস্তার করে দেখালেন?
  • Kulada Roy | 74.72.54.134 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ০৯:৪৫494230
  • একটু বিস্তারিত মুখব্যাদান করা হল আর কি।
  • ridhhiman | 143.111.80.29 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ১৩:৫২494056
  • এটি হল আমার জীবনের একটা চরম কবিতা(একজন ইউতুয়্‌ব ইউজারের একই মত কমেন্টের সেকেন্ড পাতায়) | সুখবর হল এটার কোন কঠিন মানে নেই | এটার একটাই মানে , যাকে বলে বতমালাইন সেটা হল - কেউ কথা রাখেনি, কেউ না,- নট আ সিঙ্গেল damn নট আ সিঙ্গেল dame| কিন্তু এই ইউটিউবের যুগে এরকম একটা চরম জিনিস নরম পন্থীরা বেহাত করেছে | আবৃত্তিটা শুনুন জাস্ট , আর কমেন্ট পড়ুন | অনেকই মত দিয়েছেন | চরম দু:খের কবিতা আর নেগেটিভ সেটা মেনেও , আসলে ব্যাপারটা চরম ই |
    http://www.youtube.com/watch?v=t_L2qgZ-2_8
    আমার দাদা টেন এ পরার সময় জেঠির কলেজে কালচারাল ফাংশানে এই একই কবিতা আবৃত্তি করে পুরো ফাটিয়ে দিয়েছিল | দাদা মানুষ হচ্ছে না বলে এই রিসেসানের অনেক আগেই বাপি -জ্যাথু নিউ ইঅয্‌র্‌ক থেকে পাততারি গুটিয়ে চলে এসেছিলেন | দাদা এমনিতেই কিশোর তাই কনি্‌ফউস্‌দ তার ওপর কৈশোরের রাগ | এই সবের ওপর এদিক ওদিকের ঝক্কি , কিন্তু একটা ভালো ব্যাপার অনেক সংস্কৃতি ওর ভেতরে মিশেছিল , আর ওর পিক আপ রেট ও হাই | ওদিকে দাদা দেখতে হেবি কালো আর পিসিদের জোর ধারণা যে এদ্দিন থাকলে কিছুটা হলেও ফর্সা তো হয়েই আসে লোকে, মূলত পলিউশন যেখানে নিল | দাদা ১৫ হয়েও বেশ লম্বা চ ও ড়া , তাই সামনে কিছু বলার সাহস ছিল না হাইলি | ওদিকে ইকুর ফিকুর চক্করে পরে দাদার অনুভূতি খুব প্রখর , তাই ওরা না বললেও বুঝত | আর আমাকেও মাঝে মাঝে দেয়ার প্রস করত, ওর নানা প্রখর অনুভব | আমাদের সাথে পড়ে অঙ্ক ভাল করবে বলে জেঠু একসাথে বসাত | সেখানেও পাগলা জগাই এর মত মাঝেই মাঝেই বই বন্ধ করে মলাটের অপর একটা তবলার চাটি মেরে বলত 'ফিল ইট' --তো সে, নিজের বুদ্ধিতে এই কবিতাটাই বেছে নিল |
  • ridhhiman | 143.111.80.29 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ১৩:৫৫494067
  • প্রথমেই সাইদ প্রফাইল করে সামনে পেছনে দুলতে দুলতে তর্জনী নাড়িয়ে 'কেউ কেউ কেউ ' |- কি চিত্‌কার , তাও আধা আমেরিকান একসেন্টে | শোলের শেষের দিকে বিরু যেমন 'গব্বর সিং' ডাক ছেড়েছিল, সেই ভাবেই জোরে হল কাঁপিয়ে 'না আ আ দের আ আ লী' | তারপর হাত সামনের দিকে মুঠো করে সাইদে রেখে, মাথা পেছনে ফেলে দিয়ে শুধু ঐ এডাম'স এপেল দেখা যাচ্ছে, আর ওটাই ভুতের মত কথা বলছে মনে হবে ,এমনভাবে চিল্লিয়ে 'আর কত বড় হ ও-ও -ব ' | বাপি-জেঠুর চোখে জল | অন্ধ হবার জায়গার আগেই | পুরোটাই এইভাবে, শুধু একটা পয়েন্টে ব্রেক নিয়ে পুরো অন্য রূপ -- গলাটা খুব মিহি করলো (না গলা ভাঙছে, ঠিক বোঝা গেল না, ঐ সময়ে সবার হয় ) খানিকটা দি নিরোর পারভার্ট টাইপ হাসি, কিন্তু প্রধানত পুরনো বাংলা সিনেমার মলিনা দেবীদের মত, মানে দাঁত ভেংচিয়ে খুব আসতে একটা খেলুড়ে খোচা দেয়ার বিচ্ছিরি সুরে 'সুবর্ণ কাঁকন পরা ফর্সা রমণীরা ক-ও ও ত রকম আমদে হে-হে -সেছে ' | এত বিবিধ প্রভাবের মধ্যে এই স্টাইল তা কোত্থেকে পিক আপ করলো জানি না | কিন্তু শুধু এই অংশটাই বিসদৃশ লেগেছিল মনে আছে, পুরো আবৃত্তি আর দাদার স্পিরিটের সাথে সামঞ্জস্যহীন |

    তবে নাদের আলীর ঐ চিল্লানতা এখনো কানে বাজে |

  • siki | 123.242.248.130 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ১৪:২৬494089
  • **অযোগ্য**
  • siki | 123.242.248.130 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ১৪:২৬494078
  • ঋদ্ধিমান,

    গুগল ট্রান্সলিটারেশন ছেড়ে অন্য কিছু দিয়ে একটু চেষ্টা করে দেখুন প্লিজ। আপনার বাংলা প্রায় পাঠ-অজোগ্য হয়ে যাচ্ছে।

    অভ্র কীবোর্ড ট্রাই করে দেখেছেন? কিংবা গুরুচন্ডালির বাংলাপ্লেন ভার্সন? কোনও অসুবিধে হলে আমি টেকনিকালি সাহায্য করতে পারি।
  • abastab | 61.95.189.252 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ১৪:৩৬494100
  • পাঠ এবং অযোগ্য সন্ধি না করে হাইফেন দেওয়া হল কেন? অবশ্য সন্ধি করলেও একটা অস্বস্তি থাকছে।

    আপনার বাংলা পাঠযোগ্য থাকছেনা বললে ভাল শোনায়।
  • ridhhiman | 143.111.80.29 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ১৪:৪১494111
  • মাঝে মাঝে বাংলা প্লেন আসে। মাঝে মাঝে শুধু ইউনিকোড। ইউনিকোডে গূগল দিয়ে লিখি। খুব টাইম খায়। এই কলেই লিখব পরে ।
  • ppn | 216.52.215.232 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ১৪:৪৪494122
  • ঋদ্ধিমান, যেটায় লিখতে চান (বাংলাপ্লেন বা ইউনিকোড) সেইটা একদম পেজের উপরে লিংক ক্লিক করে সিলেক্ট করে নিন।
  • ridhhiman | 143.111.80.29 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ১৪:৫০494133
  • ওকে ধন্যবাদ। এই দুটো ওপ্‌শান কি সব ব্রাউজার আর মেশিনেই পাওয়া যাবে?
  • Shibanshu | 59.90.221.5 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ১৬:৩৬494144
  • ইশকুলে পড়ার শেষ দিকে, বেশি গদ্য লেখার জন্য সুনীলের পদ্য জোলো হয়ে যাচ্ছে এরকম ধারণা থেকে একটা পদ্য লিখে ফেলে ছিলুম ( আসলে অনেকেই সেরকম ভাবতো আর এখনও ভাবে। সুনীলের মনে রাখার মতো কবিতাগুলির সিংহভাগ ১৯৭৫এর মধ্যে লেখা হয়ে গেছে) । সেটা কোনো একটা কাগজে ছাপাও হয়েছিলো। তার পর কলেজে থাকার সময় কোনো এক সভায় পদ্যটি সুনীলকে শোনানো হয়েছিলো। একটি স্টইক হাসি দেখেছিলুম মুখে। সেসব বছর পঁয়ত্রিশ আগের ব্যাপার। পদ্যটি আরেকবার,

    ও ঘোড়াটি অমনিই থাক

    সুনীল গাঙ্গুলি ভেবেছে সারা রাত
    পুজোর বাজার হবে উপন্যাসে মাত

    শরত ফুরোলো কোনবেলা
    দীর্ঘসূত্রী আকাশের খেলা
    সোঁদাগন্ধে নড়ে পানাজল
    পদ্মের গহনে চিতল?

    গেরুয়া জামার নিচে ইয়্যানকি সন্ন্যাসী
    অকৃপণ মার্কিন এমব্যাসি
    মুদ্রার পাহাড়ে এতোকাল
    শীর্ণহাতে ঢেলেছে জঞ্জাল

    বৃথা?

    সুনীল আবার কবিতার জন্য যুদ্ধ দাও
    নখাগ্রে বেদম সাতশো কবিতা শানাও

    ও ঘোড়াটা পড়ে গেছে, জানি
    তবুও বুলেট থাক
    একদিন সে ছিলো ইরানি

    মনে পড়ে?

    পুজোর বাজার হবে উপন্যাসে মাত
    সুনীল গাঙ্গুলি কী ভাবো সারা রাত....?
  • siki | 123.242.248.130 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ১৬:৪৭494152
  • ঋদ্ধিমান এখানে মেল করুন:

    guruchandali অ্যাট জিমেল। সাহায্য পেয়ে যাবেন।
  • ppn | 216.52.215.232 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ১৬:৫১494154
  • ঋদ্ধিমান, এইটা মেশিন বা ব্রাউজার স্পেসিফিক না। গুরুচন্ডালি সাইটের যেকোন পেজে ওইটা পার্মানেন্ট লিংক করে দেওয়া আছে।

    BanglaPlain Version | Unicode Version(beta) | Pdf Version
  • ridhhiman | 143.111.80.29 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ১৮:০২494155
  • প্পন বাবু সিকি বাবু খুব করে ধন্যবাদ । কম্পিঊটারের ন্যাক নেই বলে খুব ওবভিয়াস ব্যাপার গুবলেট করি। সত্যি বলতে কাম্পিঊটার সাবজেক্টে টাই আমি একদম উলঙ্গ ভিখারি । কিছুদিনের মধ্যে শ্বশুর আমাকে টক্কর দেবে । কিন্তু আমি ধরে ফেলেছি কেস টা , তবু একবার শিওর হবার জন্য মেল করলাম। আরো কিছু খুচরো প্রশ্ন ছিল, লিখেছি ।

  • riddhiman | 143.111.80.29 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ১৮:১৫494156
  • সুনীল গাঙ্গুলি জনপ্রিয় কি না, সেটা ইউটিউব বলে দিচ্ছে। আগের লিনকে যান, আবার দিচ্ছি


    ঐ আবৃত্তির পর একধারসে অনেকগুলো আবৃত্তি পাবেন, একি কবিতার কিন্তু বিভিন্ন মানুষের , যার মধ্যে কবি নিজেও আছেন। এইটা একটা


  • maximin | 59.93.217.128 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ১৮:৫৫494157
  • দাদার আবৃত্তির গল্প (বাপি জেঠু পিসির রেফারেন্স সমেত) সুন্দর পেশ করেছ। পড়তে ভালো লাগলো হে রিদ্ধিমান।
  • maximin | 59.93.217.128 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ১৯:১৫494158
  • কদিন ধরেই একটা কথা বলতে চাইছি। কোন পাতায় বলব বুঝতে পারিনি বলে বলা হচ্ছে না। গুরুচন্ডালি সাইট-টি কে খুব একটা ইউজার ফ্রেন্ডলি লাগছে না। সোশ্যাল নেট-ওয়ার্কিং সাইট হিসেবে ঠিকই আছে। কিন্তু পুরোনো পাতাগুলো বেশ disorganized অবস্থায় রাখা আছে। পুরোনো লেখা অর্ধেক পড়া হলে তারিখ দেখে রাখতে হচ্ছে বাকিটা যাতে খুঁজে পাই।
  • ranjan roy | 14.97.254.38 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ২৩:১০494159
  • অভ্যু,
    না-না, অরিন্দম মহা-আড্ডাবাজ-ইয়ার্কিমারা-কবিতাপাগল এক তরুণ। বাংলালাইভে ""মজলিশ'' পাতায় শাহরুখ খান।
    কখনো কোলকাতায় ওপাড়ার ভাটে আমাদের বড়মা ও সম্ভবত: সামরান এবং সংগীতের শার্ঙ্গদেব বাসুদা(দীপংকর বসু)র সাথে একত্রিত হয়েছে। আমার খুব পছন্দ।
    এখানে একবার তিন বাঁদরের গল্প বলে একটি প্রতীকী লেখা বুলবুলভাজায় লিখে ছিল। কখনো কখনো ফুট কাটে কিন্তু লেখে ওপাড়ায়।
  • s | 117.200.91.151 | ০৭ নভেম্বর ২০১১ ১৬:১৩494160
  • অরিন্দম, মানের মাহাত্ম্যে অরি দমনে বিশেষ পটু। স্বভাবত আঁতেল। কবিতাবোদ্ধা এবং যুক্তিবাদী হিসেবে দাবি করেন নিজেকে। উম্‌ না। দাবি করেন বল্লে ভুল হবে। উনি ভান করেন। আর ওনার সাঙ্গোপাঙ্গোরা মানে শার্ঙ্গদেবরা সে নিয়ে বাজার গরম করেন। নেটে আসছেন আর অরিন্দমকে চেনেন না? বল্লেই হবে? নিনাদিদিকে বলুন না। তিন পাতা রচনা লিখে দেবেন অরি+দমন কে নিয়ে।
  • s | 117.200.91.151 | ০৭ নভেম্বর ২০১১ ১৬:১৪494161
  • * উম্‌
    'মানের' না । নামের। নামের মাহাত্ম্যে ইত্যাদি ...
  • ranjan roy | 24.99.227.231 | ২৩ অক্টোবর ২০১২ ০৯:৫৩494162
  • মনখারাপের নবমী। শক্তি যাওয়ার সময় অতটা ফিল করিনি। সুনীল এমন করে হটাৎ চলে গেলেন! ক'মাস আগে সম্ভবতঃ অ্যাকাডেমিতে পিংকি-বুলি নাটক দেখতে গিয়ে, আর " ছোটো দুঃখ, ছোটো সুখ" এর প্রথম শো দেখতে গিয়ে চোখে পড়ল-- প্রথম সারির মাঝামাঝি চেয়ারে বসে আছেন বাদামী রঙের পাঞ্জাবী গায়ে। নাটক শেষে পরিচালক স্টেজে তোলার চেষ্টা করায় একটু হেসে এড়িয়ে গেলেন।
    সেই' মাঝরাতে কোলকাতা শাসন' করা দামাল এবং অভিমানী ছেলে কোথায় হারিয়ে গেছে। সময়ের সঙ্গে সবাই একটু একটু করে প্রাতিষ্ঠানিক হয়ে যায়। এটাই জীবন।
    আমাদের প্রথম যৌবন। কখনো গাল দিয়েছি, কখনো মাথা নেড়েছি। কিন্তু এড়িয়ে যাবার উপায় ছিল না। এমনকি নীললোহিতের লেখাগুলো বা সনাতন পাঠকের বুক রিভিউ।
    বুড়ো হয়ে গিয়েছি বুঝতে পারছি।
  • কল্লোল | 125.241.88.196 | ২৩ অক্টোবর ২০১২ ১২:৪৮494163
  • সপ্তমী থেকে নেটে বাংলা কাগজ নেই। তাই জানতাম না। টই পড়ে জানলাম।
    সুনীল আমাদের শত্রু ছিলেন। আমরা নকশালেরা খুবই বাঁকা চোখে দেখতাম। সিআইএ এজেন্টদের বাংলার সর্দার গোছের একটা ছবি ছিলো। চে'এ মৃত্যু নিয়ে একটা কবিতা আছে। সেটা ৭৩-৭৪এ শুনি বঙ্গসংষ্কৃতি সম্মেলনে। কোন এক ছোটপত্রিকার লোকজনের সাথে তক্কো হচ্ছিলো শিল্পের জন্য শিল্প না মানুষের জন্য শিল্প ঐ জাতীয় কিছু। তখন অমন একটা তক্কো খুব চলতো। তাতে সুনীলকে বা বলা ভালো ক্ত্তিবাসকে খুব খিস্তি করায় অপর পক্ষের কেউ কবিতাটি পড়ে শোনায়। তখন ভাট লেগেছিলো। পরে অবশ্য কখনো পড়ে দেখিনি আর।
    খড়্গপুরের নির্বাসনে লাইব্রেরী থেকে সুনীল-নীললোহিত খুব পড়েছি ও আর পাঁচটা আধখেঁচড়া রোমান্টিক কিশোরের মতো ফিদা হয়েছি। কিন্তু কেন জানি শত্রুতাটা যায়নি। নীলুর জন্য অনেক বালিশ রোদে দিতে হতো, তবু কিচাইনটা রয়েই গেছে। আবাপ-সিপিএম ঘনিষ্টতা সেটা বাড়িয়েছে।
    সুনীল নেই। শত্রুতা করার লোকটাও চলে গেলো।
  • mita | 106.255.105.27 | ২৩ অক্টোবর ২০১২ ১৫:২২494165
  • হঠাত করেই চলে গেলেন। একজন আপাদমস্তক ভদ্রলোক, নানা লোকের নানান আব্দার খুব সুন্দর ভাবে হ্যান্ডেল করতেন। শরীরের নানা উপসর্গ নিয়েও দিব্বি হইহই করে যাচ্ছিলেন, কিছু বললেই বলতেন আরে আমায় ডাক্তার বলেছে আমার নীললোহিতের হার্ট, কিস্সু হবে না। তবে ইদানিং চলা ফেরা করতে কষ্ট হত খুব।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন