এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • সুনীল গাঙ্গুলী - জনপ্রিয় বাংলা লেখক

    Abhyu
    বইপত্তর | ১৬ অক্টোবর ২০১১ | ১০৪৯০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dd | 132.167.9.142 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ২১:২৭494232
  • হেঃ। আমি একটু ঠক্কাস করে পি পাকামী করে নি।

    তার আগে কয়ে দি। হানু যে কইলো বাংলা গল্পো উপন্যাসের নায়ক যদি বামপন্থী হয় তবে তাকে সৎ একনিষ্ঠ কিন্তু পরবর্তীকালে ফ্রাস্টু শাপগ্রস্থ ও স্বপ্নহীন করে দেখাতেই হয়। নইলে সাহিত্য জমে না।

    ওঃ । এটা একেবারে লাখ কথার অ্যাক কথা। আমি আজকেই এক বিড়ম্বিত সান্ধ্য আড্ডায় এইটা আমারই নিজস্ব থিওরী বলে চালিয়ে দিয়ে সশ্রদ্ধ (কিন্তু টোট্যাল সাইলেন্ট) অ্যাপ্রিব্যাল পেলাম খান কতক নাতি আঁতেলের কাছ থেকে। ইয়েস। এটাই একদম পাক্কা ফরম্যাট।

    দাঁড়ান। এইটা আমার পি পা নয়। সেটা আসছে।
  • dd | 132.167.9.142 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ২১:২৮494233
  • অ্যাপ্রিব্যাল আবার কি। ওটা অ্যাপ্রুভাল পড়ুন।
  • dd | 132.167.9.142 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ২১:৪২494234
  • আঁকিয়ে অবন ঠাকুর নিয়ে একটি ঘ্যামা প্রবন্ধ লিখেছিলেন অতুল বসু। সে প্রায় বছ্র চল্লিশ আগে।
    উনি কয়েছিলেন হ্যাভেল সাহেব যখন ওরিয়েন্টাল আর্ট করে অবন ঠাকুরকে খুব তোল্লাই দিলেন তখন অবন ঠাকুর ইন্ডিয়ান আর্ট = হিন্দু আর্ট, ভেবে সেকুলার ভারতীয় শিল্পী মহলকে ধর্মের নামে ভাগ করে দিলেন। ভারতমাতা হলো গৈরিক বসনা চতুর্ভুজা এক দেবী। ইঃ।

    উদ্দিষ্ট সাজাহানের ছবিটি বৃদ্ধ সাজাহান ছেলের হাতে বন্দী। জাহানরা আসছেন বন্দী বাবার সেবা করতে। ফোর্টের অলিন্দ দিয়ে দেখা যাচ্ছে তাজমহলকে। ইটি ঠিক সাজাহানের ছবি" বল্লে ঠিক ঠাক ক্যাপশন হয় না।

    অবন ঠাকুর তাঁর আত্মকথায় কয়েছিলেন তাঁর নিজের কন্যার মৃত্যুর কথা। সেই সময়েই ঐ ছবিটি এঁকেছিলেন। এটাও জানিয়ে দিলেম।
  • lcm | 138.48.127.32 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ২২:৩৮494235
  • (বয়েস)

    আমার নাকি বয়েস বাড়েছে? হাসতে হাসতে এই কথাটা
    স্নানের আগে বাথরুমে যে কবার বললুম!
    এমন ঘোর একলা জায়গায় দুপাক নাচলেও
    ক্ষতি নেই তো -
    ব্যায়াম করে রোগা হবো, সরু ঘেরের প্যান্ট পরবো?
    হাসতে হাসতে দম ফেটে যায়, বিকেলবেলায়
    নীরার কাছে
    বলি, আমার বয়স বাড়ছে, শুনছো তো? ছাপা হয়েছে!
    সত্যি সত্যি বুকের লোম, জুলপি, দাড়ি কাঁচায় পাকা -
    এই যে চেয়ে দ্যাখো

    দেখে সবাই বলবে না ছেলেটা কই, ও তো লোকটা!
    এ সব খুব শক্ত ম্যাজিক, ছেলে কীভাবে লোক হয়ে যায়
    লোকেরা ফের বুড়ো হবেই এবং মরবে,
    আমিও মরবো
    আরও খানিকটা ভালোবেসে, আরও কয়েকটা পদ্য লিখে
    আমিও ঠিক মরে যাবো -
    কী, তাই না?

    ঘুরতে ঘুরতে কোথায় এলুম, এ জায়গাটা এত অচেনা
    আমার ছিল বিশাল রাজ্য, তার বাইরেও এত অসীম
    শরীরময় গান-বাজনা, পলক ফেলতেও মায়া জাগে
    এই ভ্রমণটা বেশ লাগলো, কম কিছু তো দেখা হলো না
    অন্ধকারও মধুর লাগে, নীরা, তোমার হাতটা দাও তো
    সুগন্ধ নিই।

    নীরা, শুধু তোমার কাছে এসেই বুঝি
    সময় আজও থেমে আছে।
  • Binary | 208.169.6.50 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ২৩:০২494236
  • কোথায় পড়ে ছিলাম বা কবিতার নাম কি মনে নেই, লাইনটা মনে রয়েই গেছে, "ম্‌ত সৈনিকের আত্মা, সঙ্গমরত যুগলের পাশে সুয়ে পুনর্জন্ম লাভের স্বপ্ন দেখে"

    কাল একটু গিনেসবার্গ উলটে দেখছিলাম। 'where we hug and kiss the United States under our bedsheets the United States that coughs all night and won't let us sleep

    আর,
    'নবীন কিশোর, তোমায় দিলেম ভুবনডাঙ্গার মেঘলা আকাশ, বোতামহীন ছেঁড়া সার্ট আর এক ফুসফুস হাসি' ... পুরোটা মনে নেই।
  • a x | 138.249.1.202 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ২৩:১১494237
  • নবীন কিশোর, তোমায় দিলাম ভুবনদাঙ্গার মেঘলা আকাশ, তোমাকে দিলাম বোতাম বিহীন ছেঁড়া শার্ট আর ফুসফুস ভরা হাসি।
  • Binary | 208.169.6.50 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ২৩:১৫494238
  • পুরোনো স্ম্‌তি খোঁচাতে গেলে এই হয়। ঃ))
  • ranjan roy | 24.96.73.217 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ২৩:২৮494239
  • আমার কাছে সুনীল ওনার "সেই সময়" ও "গরম ভাত" গল্পটি লেখার জন্যে বেঁচে থাকবেন। আর একটি বাজার-ধরা লেখা " কবি ও নর্তকী" কম বয়সে সুড়সুড়ি দেয়, ইচ্ছাপূরণের কথা বলে।ঃ)))
    তসলিমার "এই সময়"এ লেখা প্রবন্ধটি হাড়-পিত্তি জ্বলিয়ে দিয়েছে। সুনীলের নামে ব্যক্তিগত অভিযোগ করেছে বলে নয়, ও নিজেকে সৎ স্পষ্টবাদী অন্যদের ভন্ড বলেছে বলে।
  • সিদ্ধার্থ | 141.104.245.196 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ২৩:২৯494240
  • ওয়েল, কালবেলা একটি ঝাঁটু উপন্যাস। নক্সাল আন্দলোনকে বেশ ভাল রকম মিসরিপ্রেজেন্ট করেছিল। একটা উদাহরণ। এ আই সি সি সি আর গঠন হল কবে কেউ জানে না, এদিকে ভেংগেও গেল সাত তাড়াতাড়ি- তো, এসব ভুলভাল জিনিস ছিল। জনপ্রিয় হয়েছিল প্রবাবলি ব্যর্থ বিপ্লব+প্রেম এসবের জন্য। এমনকি আমিও কলেজে নতুন ছেলেপুলেদের সংগে রাজনীতি নিয়ে ভাটাতে গেলে (মানে বেসিকালি দলে টানতে গেলে আর কি) কালবেলা পড়াতাম। ওটা পড়ে ওই বয়েসে মেলো হয়নি এরকম খুব কম ছেলেকে দেখেছি।

    রিগার্ডিং সুনীল, নক্সাল আন্দোলন নিয়ে ডিরেক্ট কিছু লেখেননি। কয়েকটা ছোটগল্প আছে, যেমন `পলাতক ও অনুসরণকারী`, বা `প্রতিদ্বন্দীর` মত আড়াল করে দেখা উপন্যাস। তো, সেই আড়াল থেকে দেখাটাও আমার কাছে খুব দামী দেখা বলেই মনে হয়েছিল। কেন নক্সাল আন্দোঅন নিয়ে লেখেননি এসব দিয়ে একজন লেখককে বিচার করা যায়না। সুনীল যে মহত একটা কাজ করে গেছেন, সাহিত্যের মাধ্যমে আমাদের রেঁনেশার ইতিহাস, প্রশ্ন প্রতিপ্রশ্ন, উল্টে পাল্তে দেখা, সেটা আর কেউ করেননি। বলা হাড়ির মতন আমাদের অনেকের-ই উনিশ শতক নিয়ে কৌতুহলের শুরু `সেই সময়` পড়ে। আমাদের বাংগালী জীবনের এটা একটা মহত কাজ বলেই মনে করি।..শুধু এই দুখানা বইয়ের জন্য-ই সুনীলকে সারাজীবন মনে রাখা যায়। ঠিক এই জায়গাতেই সত্যেন সেনদের মেরে দিয়ে সুনীল বেরিয়ে যান। যদিও সত্যেন সেন ঘোষিত বামপন্থী হবার কারণে তাঁর দেখার চোখ স্বভাবত-ই আলাদা সুনীলের থেকে, কিন্তু সাহিত্যগুণে ধারে কাছে আসেন না (যদিও সত্যেন সেনকে কে বড় লেখক স্বীকার করতে কোনো দ্বিধা নেই)। মরাল ভ্যালুজ বাদ দিলে `অভিশপ্ত নগরী` আর `পাপের সন্তান` ছাড়া আর কোন উপন্যাস কালের বিচারে টিকবে সেটা একটা বড় প্রশ্ন। ইতিহাসের ভাগ/নিজের পলিটিকাল স্ট্যান্ড চ্যাম্পিয়ন করানোর দায় সাহিত্যকীর্তিকে ছাপিয়ে গেলে খুব ভাল লেখা হয়না মনে হয়। হাওয়ার্ড ফাস্ট তো সকলে হয়না! অবশ্য এ সব-ই ব্যক্তিগত মত। ..
  • সিদ্ধার্থ | 141.104.245.196 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ২৩:২৯494057
  • ওয়েল, কালবেলা একটি ঝাঁটু উপন্যাস। নক্সাল আন্দলোনকে বেশ ভাল রকম মিসরিপ্রেজেন্ট করেছিল। একটা উদাহরণ। এ আই সি সি সি আর গঠন হল কবে কেউ জানে না, এদিকে ভেংগেও গেল সাত তাড়াতাড়ি- তো, এসব ভুলভাল জিনিস ছিল। জনপ্রিয় হয়েছিল প্রবাবলি ব্যর্থ বিপ্লব+প্রেম এসবের জন্য। এমনকি আমিও কলেজে নতুন ছেলেপুলেদের সংগে রাজনীতি নিয়ে ভাটাতে গেলে (মানে বেসিকালি দলে টানতে গেলে আর কি) কালবেলা পড়াতাম। ওটা পড়ে ওই বয়েসে মেলো হয়নি এরকম খুব কম ছেলেকে দেখেছি।

    রিগার্ডিং সুনীল, নক্সাল আন্দোলন নিয়ে ডিরেক্ট কিছু লেখেননি। কয়েকটা ছোটগল্প আছে, যেমন `পলাতক ও অনুসরণকারী`, বা `প্রতিদ্বন্দীর` মত আড়াল করে দেখা উপন্যাস। তো, সেই আড়াল থেকে দেখাটাও আমার কাছে খুব দামী দেখা বলেই মনে হয়েছিল। কেন নক্সাল আন্দোঅন নিয়ে লেখেননি এসব দিয়ে একজন লেখককে বিচার করা যায়না। সুনীল যে মহত একটা কাজ করে গেছেন, সাহিত্যের মাধ্যমে আমাদের রেঁনেশার ইতিহাস, প্রশ্ন প্রতিপ্রশ্ন, উল্টে পাল্তে দেখা, সেটা আর কেউ করেননি। বলা হাড়ির মতন আমাদের অনেকের-ই উনিশ শতক নিয়ে কৌতুহলের শুরু `সেই সময়` পড়ে। আমাদের বাংগালী জীবনের এটা একটা মহত কাজ বলেই মনে করি।..শুধু এই দুখানা বইয়ের জন্য-ই সুনীলকে সারাজীবন মনে রাখা যায়। ঠিক এই জায়গাতেই সত্যেন সেনদের মেরে দিয়ে সুনীল বেরিয়ে যান। যদিও সত্যেন সেন ঘোষিত বামপন্থী হবার কারণে তাঁর দেখার চোখ স্বভাবত-ই আলাদা সুনীলের থেকে, কিন্তু সাহিত্যগুণে ধারে কাছে আসেন না (যদিও সত্যেন সেনকে কে বড় লেখক স্বীকার করতে কোনো দ্বিধা নেই)। মরাল ভ্যালুজ বাদ দিলে `অভিশপ্ত নগরী` আর `পাপের সন্তান` ছাড়া আর কোন উপন্যাস কালের বিচারে টিকবে সেটা একটা বড় প্রশ্ন। ইতিহাসের ভাগ/নিজের পলিটিকাল স্ট্যান্ড চ্যাম্পিয়ন করানোর দায় সাহিত্যকীর্তিকে ছাপিয়ে গেলে খুব ভাল লেখা হয়না মনে হয়। হাওয়ার্ড ফাস্ট তো সকলে হয়না! অবশ্য এ সব-ই ব্যক্তিগত মত। ..
  • সিদ্ধার্থ | 141.104.245.196 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ২৩:২৯494058
  • ওয়েল, কালবেলা একটি ঝাঁটু উপন্যাস। নক্সাল আন্দলোনকে বেশ ভাল রকম মিসরিপ্রেজেন্ট করেছিল। একটা উদাহরণ। এ আই সি সি সি আর গঠন হল কবে কেউ জানে না, এদিকে ভেংগেও গেল সাত তাড়াতাড়ি- তো, এসব ভুলভাল জিনিস ছিল। জনপ্রিয় হয়েছিল প্রবাবলি ব্যর্থ বিপ্লব+প্রেম এসবের জন্য। এমনকি আমিও কলেজে নতুন ছেলেপুলেদের সংগে রাজনীতি নিয়ে ভাটাতে গেলে (মানে বেসিকালি দলে টানতে গেলে আর কি) কালবেলা পড়াতাম। ওটা পড়ে ওই বয়েসে মেলো হয়নি এরকম খুব কম ছেলেকে দেখেছি।

    রিগার্ডিং সুনীল, নক্সাল আন্দোলন নিয়ে ডিরেক্ট কিছু লেখেননি। কয়েকটা ছোটগল্প আছে, যেমন `পলাতক ও অনুসরণকারী`, বা `প্রতিদ্বন্দীর` মত আড়াল করে দেখা উপন্যাস। তো, সেই আড়াল থেকে দেখাটাও আমার কাছে খুব দামী দেখা বলেই মনে হয়েছিল। কেন নক্সাল আন্দোঅন নিয়ে লেখেননি এসব দিয়ে একজন লেখককে বিচার করা যায়না। সুনীল যে মহত একটা কাজ করে গেছেন, সাহিত্যের মাধ্যমে আমাদের রেঁনেশার ইতিহাস, প্রশ্ন প্রতিপ্রশ্ন, উল্টে পাল্তে দেখা, সেটা আর কেউ করেননি। বলা হাড়ির মতন আমাদের অনেকের-ই উনিশ শতক নিয়ে কৌতুহলের শুরু `সেই সময়` পড়ে। আমাদের বাংগালী জীবনের এটা একটা মহত কাজ বলেই মনে করি।..শুধু এই দুখানা বইয়ের জন্য-ই সুনীলকে সারাজীবন মনে রাখা যায়। ঠিক এই জায়গাতেই সত্যেন সেনদের মেরে দিয়ে সুনীল বেরিয়ে যান। যদিও সত্যেন সেন ঘোষিত বামপন্থী হবার কারণে তাঁর দেখার চোখ স্বভাবত-ই আলাদা সুনীলের থেকে, কিন্তু সাহিত্যগুণে ধারে কাছে আসেন না (যদিও সত্যেন সেনকে কে বড় লেখক স্বীকার করতে কোনো দ্বিধা নেই)। মরাল ভ্যালুজ বাদ দিলে `অভিশপ্ত নগরী` আর `পাপের সন্তান` ছাড়া আর কোন উপন্যাস কালের বিচারে টিকবে সেটা একটা বড় প্রশ্ন। ইতিহাসের ভাগ/নিজের পলিটিকাল স্ট্যান্ড চ্যাম্পিয়ন করানোর দায় সাহিত্যকীর্তিকে ছাপিয়ে গেলে খুব ভাল লেখা হয়না মনে হয়। হাওয়ার্ড ফাস্ট তো সকলে হয়না! অবশ্য এ সব-ই ব্যক্তিগত মত। ..
  • ranjan roy | 24.96.73.217 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ২৩:৩১494059
  • সিদ্ধার্থকে ক। কালবেলা বেশ বাজার মেপে লেখা ফর্মূলা উপন্যাস।
  • সিদ্ধার্থ | 141.104.245.196 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ২৩:৪৮494060
  • আর অমিয়ভূষণের লেখাগুলোকে ঠিক ঐতিহাসিক বলে ধরি না।মানে, এত বড় মাপের লেখক, আর স্প্যান এত বিশাল, ঠিক বুঝি না কোন খাপে ভরা যায়। ..
  • j | 151.197.12.183 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ২৩:৫০494061
  • সবই তো মিটল

    কিন্তু শবদেহ নিয়ে শকুনরাণীর টানাহ্যাঁচড়াটাও কি সুনীলের প্রাপ্য ছিল ? রাজনীতির সুরে না জিগিয়ে ওনাকে কি কেউ সামান্য মাত্রাজ্ঞানের কথাও খেয়াল করিয়ে দিতে পারে না ?
  • ribhu | 85.102.68.58 | ২৭ অক্টোবর ২০১২ ০০:০৮494062
  • পূর্ব পশ্চিম নিয়ে একটাই কথা বলব, বইটা আমাকে ইতিহাসে আগ্রহী করেছিল। আমরা যারা সত্তর এর উত্তাল সময়ের অনেক পরে, প্রায় এক নিশ্চিন্তিপুরে জন্মেছি, তাদের অনেকের মতই আমার ও কোনো ধারণা ছিলনা নকশাল আন্দোলন খায় না মাথায় দেয়। পূর্ব পশ্চিম পড়ি ক্লাস এইটে, প্রায় পর্নো বইয়ের মত লুকিয়ে। আজ পুরোটা মনে নেই, কিন্তু এটুকু মনে আছে, দু তিনটে জিনিস খুব নাড়া দিয়েছিল। প্রথমত, কিছু অসাধারণ মেধাবী প্রায় যুবক কিসের টানে সুখী গৃহকোণ ছেড়ে, মায়ের আদর ছেড়ে, প্রেমিকার আহ্লাদ ছেড়ে পথে ঘাটে বেরিয়ে পড়েছিল সেটা ঠিক বুঝতে পারিনি, কিন্তু জিজ্ঞাসা টা রয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশ। আমি পারিবারিক ভাবে বাঙাল, কিন্তু বাংলাদেশ এর সম্বন্ধে বিন্দুমাত্র আগ্রহ ও তৈরি হতনা যদি না মুক্তি যুদ্ধের অমন অমায়িক বর্ণনা পেতাম। সুনীল আমার বাংলাদেশ প্রেমের দিশারী। সেই সাথে, আজ যে কিছুটা হলেও আমার ঠাকুরদা ঠাকুমার দেশের প্রতি টান টা বুঝতে পারি, তার জনে দায়ী প্রতাপ মজুমদার। আর অবশ্যই, অতীন আমাকে আশ্চর্য করেছিল ('আশ্চর্য' ছাড়া আর কোনো ভাবেই ইমোশন টা বোঝাতে পারছিনা)। আজ বুঝতে পারি, সেই বয়সে যখন সকলেরই হিরো হয় শাহরুখ খান কিংবা শচীন তেন্ডুলকর, আমার হিরো হয়ে ওঠেন অতীন মজুমদার, একটি আপাদমস্তক কনফিউসড বাঙালি যুবক, দোষে গুনে মিলিয়ে বড় কাছের মানুষ। বোধ আরেকটু বিকশিত হওয়ার পর সুনীলকে হয়ত স্থানে অস্থানে কটুকাটব্য করেছি, কিন্তু একথা অস্বীকার করার কোনো জায়গা নেই যে, আমার বড় হয়ে ওঠার পিছনে আমার বাবা মার সাথে সুনীল গাঙ্গুলীরও একটা বিরাট অবদান আছে। আমার পিতৃঋণ রয়ে গেল।
  • সিদ্ধার্থ | 141.104.245.196 | ২৭ অক্টোবর ২০১২ ০০:০৯494063
  • আরো কয়েকটা উদাহরণ দেওয়া যায়। বাংলায় বেশ কিছু ঐতিহাসিক উপন্যাস লেখা হয়েছে। যেমন ফজলুল হকের কৃষক প্রজা পার্টির সংগে কংগ্রেসের বিশ্বাসঘাতকতার সেই ইতিহাস, যা খুব ইম্পর্টান্ট দলিল, কিন্তু অস্বাভাবিকভাবে আমাদের সাহিত্যিকরা মেজরিটি নীরব, তা নিয়ে গৌরকিশোর ঘোষের `প্রেম নেই` একটা মহত প্রচেষ্টা। কিন্তু গৌরকিশোরকে ভুগিয়েছে ব্যক্তি বনাম সমাজ বিষয়ক নিজের দুর্বলতা। রাজনীতির টানাপোড়েনে হতাশ নায়ক স্ত্রী-র সংগে ক্রমাগত সেক্স করে মানসিক শান্তি খোঁজে এরকম বালখিল্য ব্যাপার স্যাপার এসেছে। কোনো মানে হয়? সময়কে নায়ক করবেন নাকি ব্যক্তিমানুষকে, এই দড়ি তানাটানিতে গৌরকিশোর ডুবেছেন, এমনকি `প্রতিবেশী` তেও। `নীলকন্ঠ পাখীর খোঁজে` অসামান্য উপন্যাস, কিন্তু তার মধ্যে সময়ের অবজেক্টিভ চোখ খুঁজতে যাওয়া ভুল। স্থানে স্থানে ব্যক্তি অতীন, দেশভাগের হাহাকারময় অতীন, মুসলিম লীগ বিদ্বেষপুষ্ট এবং তা থেকে খুব সাটল মুসলিম বিদ্বেষী অতীন উঁকি মারেন। লীগের পাণ্ডাদের হাতে বিধবা মালতীর ধর্ষণপ্রচেষ্টা এবং হিন্দু রঞ্জিতের তাকে বাঁচানো প্রায় এক রূপক হয়ে যায় যদিও বড় লেখক বলেই অতীন প্রবল প্রয়াসে সেই ব্যক্তিগত ইতিহাস থেকে বেরিয়ে আসতে চান ঈশম সেখের চরিত্র তৈরী করে। তো, এই গুড কপ ব্যাড কপ ব্যাপার স্যাপার আছে। নীলকণ্ঠকে অসামান্য উপন্যাস হিসেবেই দেখা ভাল। শ্যামল গংগোপাধ্যায় `আলো নেই` লিখছিলেন। শেষ করতে পারেননি। সেখানে আবার রিসার্চ এত বেশি হয়ে গেছে যে সাহিত্যর ভাগ কমে গেছে।

    সুনীল এই ধরণের টানাপোড়েন থেকে মুক্ত। তার একটা বড় কারণ বেছে নেওয়া সময়, আর অন্য কারণ নিজের স্ট্যান্ড। অব্জেকটিভলি দেখার চোখ কাকে বলে, ব্যক্তিগত ধ্যানধারণা বাদ দিয়ে, সেটা সেই সময় থেকে বোঝা যায়। গোটা উপন্যাস জুরে ডায়ালজি চলে। প্রত্যেক পক্ষ নিজের মতবাদ নিয়ে প্রবলভাবে উঠে দাঁড়ায়। সুনীল, ব্যক্তি সুনীল, প্রায় অলক্ষ্য থাকেন। প্রথম আলোতেও তাই। একমাত্র মহেন্দ্র সরকারের চরিত্র বাদে অন্য কোথাও লেখকের বাঁ হাতের বুড়ো আংগুলের ছাপ পাওয়া যায় না। এ খুব সহজ কাজ নয় এরকম রচনায়। প্রায় অসম্ভব একটা কাজ। বঙ্কিম পারেননি, রমেশ দত্ত ডুবে গেছেন। ইলিয়াসের ক্ষেত্রে এই প্রশ্ন ওঠেই না কারণ দানবীয় সাহিত্যিক ক্ষমতার সংগে যোগ হয়েছিল স্বচ্ছ সমাজ দৃষ্টি। সুনীল কিন্তু পেরেছেন। .
  • r2h | 208.175.62.19 | ২৭ অক্টোবর ২০১২ ০০:৫৯494064
  • ঋভুর পুরো পোস্টটাকেই ঠিক আমার নিজের কথা বলে মনে হলো- নতুন কিছুই বলার বাকী নেই।
  • ঊমেশ | 96.16.128.81 | ২৭ অক্টোবর ২০১২ ০১:৩০494065
  • ঋভু আর সিদ্ধার্থ এর শেষ পোস্ট টাকে বড়ো করে ক।
  • Lama | 127.194.238.122 | ২৭ অক্টোবর ২০১২ ০৩:৫৪494066
  • Ishan | 60.82.180.165 | ২৭ অক্টোবর ২০১২ ০৭:১৯494068
  • মজা হচ্ছে, নকশাল অংশটিই পূর্ব পশ্চিমের দুর্বলতম জায়গা। এমন করে পার্টি ফর্মেশন বোঝানো হয়েছে, সেটা একেবারে শিশুসুলভ। নকশাল আমলে আমি ছিলাম না। তবে আমার ধারণা ওরকম করে কিছু হয়না।

    তবে দুঃখের বিষয়, এই নিয়েও গম্ভীর মতামত দিতে পারছি না। কারণ বইটা কাছে নেই। :(
  • Ishan | 60.82.180.165 | ২৭ অক্টোবর ২০১২ ০৭:৩২494069
  • এই গপ্পোটা মনে পড়ল। সন্দীপনের যখন বিয়ে হয়, তখন সুনীল আইওয়ায়। বিয়ের খবর পেয়ে চিঠি লিখেছিলেন, রিনা কেমন আছ? দেখা হলে একটা চুমু দিও। বলা বাহুল্য, রিনা সন্দীপনের স্ত্রীর নাম। "তখনও চোখে দেখেনি কিন্তু" -- সন্দীপন লিখেছেন।

    একবার একটা অনুষ্ঠানে সুনীল আর সন্দীপনকে পাশাপাশি পেয়ে যাই। প্রশ্ন পর্ব এলে, আমি একটাই প্রশ্ন করেছিলাম। ওই চিঠিটির উল্লেখ করে জানতে চেয়েছিলাম, চুমু খেয়েছিলেন কিনা। সুনীল উত্তরও দিয়েছিলেন। কিন্তু মস্তিষ্ক খুঁড়েও, সেই উত্তরটা আর বার করতে পারছিনা।

    এর উত্তরটা আর জানা যাবেও না। কুশীলব দুজনের কেউই আর নেই। সেই অনুষ্ঠানের বাকি শ্রোতারা? একটা মুখও ছাই মনে পড়ছে না। একটাও না।
  • Ishan | 60.82.180.165 | ২৭ অক্টোবর ২০১২ ০৭:৪২494070
  • এই লিখতে গিয়ে দেখলাম, কতকিছু মনে পড়ছেনা। গদ্য আর পদ্য ক্রমশঃ কাচাকাছি চলে আসছে, এরকম একটা কথা সুনীল অনেক কাল আগে লিখেছিলেন। সঠিক বাক্যবন্ধটাই মুখস্থ ছিল। চিহ্নমাত্র নেই। পরে সুনীল বলেছিলেন, ধুর ওসব তো আলঙ্কারিক কথা। এমনকি সেটাও মনে নেই।

    একটা গপ্পো মনে পড়ছে। দুইজন প্রেমিক আর দুইজন প্রেমিকা। তারা ক্রিসক্রস হয়ে গেল। একটু প্রেম করেই ফিরে এল নিজ নিজ ডেরায়। তারপর গল্পের নায়ক খুব আফশোষ করে ভাবল, ইশ সবাই মিলে একসঙ্গে কেন থাকা যায়না। এই গল্পেরও নাম মনে পড়ছে না। বড়ই হেলাফেলা করেছি লোকটিকে পষ্টো বোঝা যাচ্ছে। :)
  • Ishan | 60.82.180.165 | ২৭ অক্টোবর ২০১২ ০৭:৪৬494071
  • আ, সব ভুলিনি। এইটা মনে আছে।

    চে তোমার মৃত্যু আমাকে অপরাধী করে দেয়।
    আমার ঠোঁট শুকনো হয়ে আসে।
    বুকের ভিতরটা ফাঁকা।

    নানা, ভুলেও ভাববেন না, আমি কবিতা মুখস্থ করি। আসলে আমার এক বন্ধু এইটাতে সুর দেবার প্রচেষ্টায় হাত দিয়েছিল। তার পর গেয়ে গেয়ে কান পচিয়ে দিয়েছিল। এই করে করে আস্ত বেণীমাধব মুখস্থ হয়ে গেল, তো তুচ্ছ চে।

    ফলে হতচ্ছেদ্দা যে করেছি, সেই বক্তব্য থেকে নড়ছি না। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৭ অক্টোবর ২০১২ ০৭:৫২494072
  • পাঁচজন সবুজ উর্দি পরা সৈনিক কবিকে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে বধ্যভূমির দিকে

    - কবির মৃত্যু (লোরকা স্মরণে) র প্রথম লাইন কি এটাই ছিল? স্মৃতি বড় প্রতারক :-(
  • riddhi | 107.77.242.138 | ২৭ অক্টোবর ২০১২ ০৮:০১494073
  • আরে জিও, এই কবিতাটা আমারো মনে আছে। একটা বিপ্লবী কবিতগুচ্ছের ক্যাসেট কিনেছিলাম, সেখানে ্ছিল। । ঐ 'বড্ড দেরী হয়ে গেল' 'বোলিভিয়ার জঙ্গলে নীল পান্তুলুন পরা.. 'আমারো কথা ছিল তোমার... ' আবছা আবছা মনে পড়ছে।
  • h | 127.194.232.235 | ২৭ অক্টোবর ২০১২ ০৯:০৮494074
  • একটা লেখক কে খাপে ভরে ঐতিহাসিক বিষয়ের ঔপন্যাসিক বলিনি। একটা লেখা বা কয়েকটা লেখাকে বলেছি, যেগুলো সেই লেখকেরা, প্রিজিউমেবলি নট আন্ডার গান পয়েন্ট, ইতিহাস থেকে বিষয় সংগ্রহ করে লিখেছেন, কখনো বড় স্প্যানে, যেটা হিস্টরিওগ্রাফি র সংগে জড়িত (যেমন শওকত আলি র প্রথম প্রত্যুষ বা বংকিমের লেখাগুলো বা ভূদেব মুখোপাধ্যায় এর লেখাটা ) কখনো ইতিহাসে উপেক্ষিত বিষয় নিয়ে লিখেছেন (ধরো সত্যেন সেন এর যে বইটার নাম করলো দমু, বা ধরো উৎপল দত্তের কল্লোল বা অংগার, উপন্যাস যদি নাও হয়, মার্কেজের লিফ স্টর্ম নভেলা) । এখন একটা দিক আছে, যেগুলো লিটেরাল অবসর যতই ছোটো হোক, বাই ইম্প্লিকেশন ,যেগুলো একটা যুগের হিস্টরিওগ্রাফি কে চিহ্নিত করে। যেমন ধরো কলোনিয়াল হিস্টরিওগ্রাফির যে পিরিয়ড স্ট্রাকচার, মহান আদি বৈদিক যুগ ও হিন্দু স্বর্ণযুগ , কালো মধ্যযুগ বা মুসলমান শাসন, প্লাস আধুনিক রেলগাড়ি ব্রিটিশ যুগ ইত্যাদি, এটার বড় এন্ডোর্সমেন্ট তুমি পাচ্ছো বংকিমে, সে লেখা যে লেখাই হোক না কেন, তিনি এনডোর্সমেন্ট যোগাড় করছেন মোক্ষম্যুলর দের কাছ থেকে। সেরকম, ধরো, শুধু গুলাগ নিয়ে লেখা সলঝেনেত্সিন এর একটা ডিটেল খন্ডচিত্র, কিন্তু ইম্প্লিকেশন হল, সোভিয়েত আমলের ব্রুটালিটি, যেটা ধরো প্রায় সোভিয়েত আমলের তিরিশ বছর, ১৯২০-২১ থেকে প্রায় ১৯৫০ অব্দি ইতিহাস নিয়ে লেখা ভাসিলি গ্রোসম্যানের লাইফ অ্যান্ড ফেট, সেটার মূল ইম্প্লিকেশন হল, হিউমানিজম এর খোঁজ, এবং না খুঁজে পেয়ে হতাশা, ঘেরা শহর গুলোতে, সোভিয়েত আর্মি ও সমাজে এবং জার্মান সৈন্যবাহিনীর মধ্যে, কিন্তু ইম্প্যাক্ট এর দিক দিয়ে এত গুরুত্ত্বপূর্ণ কারণ গ্রোসমান ডিসিডেন্ট হন নি, রেড আর্মির সাংবাদিক ছিলেন, ন্যুরেম্বার্গ ট্রায়ালে সাক্ষী দিয়েছেন সোভিয়েত পক্ষের হয়ে, ট্রেবলিংকা আবিষ্কার করেছেন, ভাষার স্টাইল, সোশালিস্ট রিয়েলিজম এর মত, কল্পনার ডানা কম, কিন্তু সেই কারণেই, এটা ইনসাইডার'স ক্রিটিক অফ দ্য সোভিয়েত স্টেট, যেটার আশির দশকে হিউজ ইম্প্যাক্ট। গ্রোসম্যান এই স্কেলে অন্য লেখা লেখেন নি। বুল্গাকভ এর আমি ই একটা ঐতিহাসিক বিষয়ে লেখা ছোটো গল্প অনুবাদ করেছি, কিন্তু বুল্গাকভ তো হিস্টরিকাল নভেল লেখা লোক নন, ওয়াল্টার স্কটের মত। অসম্ভব ট্যালেন্টেড ক্যাওড়া ঔপন্যাসিক এবং থিয়েটার ডিরেকটর।
    অতএব, কথাটা লেখক নিয়ে না, লেখা নিয়ে।
    সুনীল গংগোপাধ্যায়ের কবিতা নিয়ে যেমন আমার কোন বক্তব্য নেই, প্রথমত উনি বিরাট কবি, দ্বিতীয়তঃ আমার মনে কবিতা নিয়ে কাটা ছেঁএহা করা উচিত না, এতে কবিরা আর কবিতার পাঠক দের মধ্যে একটা প্রাইভেট কনভারসেশন আছে সেটা একটু নষ্ট হয়। আমার কবিতায় কোনো পড়া শুনো নেই, এটা আরেকটা কারণ। কবি দের কে আমার বহুত ছেড়ে দিতে ইচ্ছে করে, দে রিমেন রিপ্রেজেন্টেটিভ্স অফ অ রেয়ার আর্ট অ্যান্ড প্রবেবলি কনশিয়েন্স অফ দ্য সোসাইটি।
    আমি তো কবি সুনীল সম্পর্কে কিসুই বলিনি। হিস্টরিকাল নভেলে এর অ্যাটেম্প্টে, ও টুকরো ইতিহাসের প্রেক্ষিতে লেখা উপন্যাস নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে। তার এনডোর্সমেন্ট নিয়েও আছে।
  • h | 127.194.232.235 | ২৭ অক্টোবর ২০১২ ০৯:০৯494075
  • হাহাহাহা ইনকিলাব জিন্দাবাদ ... হাহাহাহা

    ইনকিলাব জিন্দাবাদ .... হাহাহাহা

    ঃ-)))))))))))))))))
  • h | 127.194.232.235 | ২৭ অক্টোবর ২০১২ ০৯:১৯494076
  • রাজদীপ, 26 Oct 2012 -- 11:50 PM এই কমেন্ট টা কেন করলো বুঝতে পারছি না। আমর কোন কমেন্টের পরিপ্রেক্ষিতে যদি হয়ে থাকে, তাহলে ক্ল্যারিফাই করলে ভালো হয়।
  • a x | 118.207.193.38 | ২৭ অক্টোবর ২০১২ ০৯:৩৭494077
  • দুজন খস্‌খসে সবুজ উর্দি পরা সিপাহী
    কবিকে নিয়ে গেল টানতে টানতে
    কবি প্রশ্ন করল আমার হাতে শিকল বেঁধেছ কেন?
    সিপাহী দুজন উত্তর দিলনা।
    সিপাহী দুজনেরই জিভ কাটা।

    ...
    খুঁটির সঙ্গে বাঁধা হল কবিকে
    তিনি দেখতে থাকলেন
    তার ডান হাতের আঙ্গুলগুলো
    কনিষ্ঠায় একটি তিল, অনামিকা অলংকারহীন
    মধ্যমায় ঈষৎ টনটনে ব্যাথা, তর্জনী সংকেতময়
    বৃদ্ধাঙ্গুলি বীভৎস বিকৃত।
    কবি সামান্য হাসলেন
    একজন সিপাহীকে বললেন
    আঙ্গুলে রক্ত জমে যাচ্ছে হে
    শিকল খুলে দাও!
    সহস্র জনতার চিৎকারে সিপাহীর কান
    সেই মুহূর্তে বধির হয়ে গেল

    ...
  • a x | 118.207.193.38 | ২৭ অক্টোবর ২০১২ ০৯:৪০494079
  • জনতার মধ্যে থেকে একজন বৈজ্ঞানিক বললেন এক কসাইকে,
    পৃথিবীতে মানুষ যত বাড়ছে, মুর্গি তত কমে যাচ্ছে
    পরাজিত এমএলএ বললেন একজন ব্যায়ামবীরকে ...
    কুঁচকিতে বড় আমবাত হচ্ছে হে আজকাল!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন