এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • সুনীল গাঙ্গুলী - জনপ্রিয় বাংলা লেখক

    Abhyu
    বইপত্তর | ১৬ অক্টোবর ২০১১ | ১০৪৮৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • i | 147.157.8.253 | ২৯ অক্টোবর ২০১২ ০৯:৪৪494113
  • বোধ হয় মধুকর।
    পৌর্ণমাসী আগে লিখেছি। মধুকর আগে হবে তারপরে পৌর্ণমাসী-মানে ক্রোনোলজিকালি আর কি।
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৯ অক্টোবর ২০১২ ০৯:৪৭494115
  • 'সিম্পল এক্স্প্রেশন ইজ নট সো সিম্প্‌ল' - লাখ কথার এক কথা।
  • সিধু | 141.104.245.196 | ২৯ অক্টোবর ২০১২ ০৯:৪৭494114
  • ও কে, এটার নাম শুনেছিলাম। পড়া হয়নি কখনো। ..
  • aranya | 78.38.243.161 | ২৯ অক্টোবর ২০১২ ১০:২০494116
  • মধুকর-ই মনে হচ্ছে নামটা, পড়েছি এটা, খুবই ভাল লেগেছিল।
  • h | 213.132.214.155 | ২৯ অক্টোবর ২০১২ ১১:১৩494117
  • আকাঃ একবার না পড়ে যখন বোঝা যায় নি, আরেকবার না পড়লেও বোঝা যাবে না ঃ-)

    এল সি এমঃ ওভার লেখাপত্র আর ওভার এক্সপোজার আর ওভার প্রচার এর র দোষটা সুনীল বাবুর যদি নাও হয়, হলেও তাঁর পাবলিশার দের, পাঠক দের নয়। প্রচুর লিখলে প্রচুর কথা হবে। নতুন জিনিস চেখে না দেখার ওভার যে ইচ্ছে, তাকে ওভারকাম করার চেষ্টা ওভারহেল্মিং লাগতে পারে, তবে ওভার অল ভেবে দেখো, এত কথার পরেও লোকে শুধু পরিচিত বৃত্তেই ঘুরবে পড়ার সময়ে, অপরিচয়ের রিস্ক নেবে না। যদিও বাঙালি বড্ড কুঁয়োর ব্যাং ইত্যাদি বলা হবে। মেন স্ট্রীম সাহিত্য পাঠকেরা যে সকলে প্রশ্নহীনতার কুয়োয় ওভার অ্যাগের্সিভ ভাবে ঝাঁপ দিয়েছেন, সে কথা কেউ কেউ বলবে, কি আর করা যাবে, এটাও একটা ওভারড্রাইভ।

    সিধু ওকে। একেবারেই একমত নই। বিশেষত তোমার বিতর্কের টেকনিকটা এই শেষ দুটো পোস্টে একেবারেই ধরতে পারছি না।

    প্রথমতঃ ইতিহাস আশ্রিত নভেলের ক্ষেত্রে, নতুন ভিউ পয়েন্ট টাই মূল ব্যাপার, ঐ তর্কে না গেলে, গোটা টই টার ই কোন মানে থাকে না, অন্তত তোমার - আমার তর্ক টার।

    দ্বিতীয়ত অন্যতম শ্রেষ্ঠ হিসেবে পরিগণিত বাংলা উপন্যাস কে একটি কনটেম্পোরারি হিস্টরিকাল মার্ডার মিস্ট্রির সংগে তুলনা করা যাছে না নিজেই স্বীকার করছ,এও বলছোঅ অত বড় স্প্যানে ভাবা টা বেশি পাও নি, সেটা কি বাংলা সাহিত্য কে , কনটেম্পোরারি সেন্সে, ডিফেন্ড করা হল, অ্যান?

    তৃতীয়ত বাকি যে সব কম নামী লেখকের নাম দিয়েছ, তাঁদের কারোর প্রতি কি কোথাও কখনো অশ্রদ্ধা প্রকাশ করেছি? এঁদের অনেকেই প্রিয় লেখক, তোমার পোস্ট পড়ে লোকের তাঁদের সম্পর্কে আগ্রহ জাগছে তো?

    ইলিয়াস, অভিজিত সেন, মহাশ্বেতা দের ইতিহাস বোধ এর প্রশংসা করে, যাতে আমার আপত্তি নেই, কি করে সুনীলের ইতিহাস আশ্রিত উপন্যাস কে ডিফেন্ড করা যায় এটা বুঝলাম না। কিছু কি মিস করছি? তুমি কি শেষে দেশী বনাম বিদেশী উপন্যাসে র বিতর্কের দিকে এগোতে চাইছো? স্রেফ আমার ব্যবহৃত উদা ছাড়া কিন্তু তোমার পক্ষে কিসু নেই। ইকো কে উদা হিসেবে এনেছি, মার্ডার মিস্ট্রি, যেটা একটা পপুলার মডেল, সে মডেলে একটি ক্লাসিক লেখার জন্য। মেথড টা তো পপুলার, কিন্তু ভেতরের মালের পার্থক্য তো মনে হল মেনে নিছো।
    আমি তো বলিনি বাংলায় অসাধারণ লেখা হয় না। প্রচুর হয়, কিন্তু তোমার সুনীল বাবুর ইতিহাস আশ্রিত উপনাসের ডিফেন্স পড়ে সে সম্পর্কে লোকের আগ্রহ জাগছে তো? নাকি লোকে বিয়ার অ্যান চিপ্স এর ন্যায় পরিচিত তাকে পরিচিত সুনীল খুঁজবেন, অভিজিত সেন কাল্ট ক্লাসিক ই রয়ে যাবেন?
    এটাও বুঝলাম না, রাবলের লেখার বিরোধিতা আমি কোথায় করলাম। আর রাবলে যে ভাবে কনটেম্পোরারি কে প্যাঁক দিয়েছেন, সে প্যাঁক তো সুনীলে পেলাম না। আমি বুঝতে পারছি না, কি প্রসংগে ওনার উদা দিচ্ছো।

    অবশ্যই ঐতিহাসিকের কাছে যা চাইবো, ঔপন্যাসিকের কাছে তা চাই বো না, কিন্তু যাঁরা ইতিহাসের বদলে উপন্যাস ই পড়বেন ঠিক করেছেন, তাঁদের কে অশ্রদ্ধা করার রাইট টা সুনীল বাবুকে কে দিল?

    আমার মনে হচ্ছে তুমি আমার উপরে দুটো অভিযোগ আরোপণ করছো। একটা হলেও হতে পারত, বাম্পন্থী মডেল উপন্যাসের হলেও হতে পারত বিশুদ্ধ বাদী বামপন্থী পাঠকের আসনে আমাকে বসাছো? এই ট্রিটমেন্ট, এই বিতর্কে কি আমি ডিজার্ভ করি বস? অ্যান? ;-)

    ছোটো পত্রিকার লেখকেরা ইনভ্যারিয়েবলি বড় পত্রিকায় এসে ছড়াবেন এ কথা আমি বলি নি, আমি বললে এটা তুমি সনাতন বামপন্থার কথা বলতে বা অন্য কেউ বলতো? আমর সে সব কোন দাবী নেই, আমার কথা হল গেম থিয়োরীর মত, লেখক জা খুশী লিখুন, মার্কেটিং যা খুশি মার্কেটিং করুন, আম্মো আমর খুশি মতই পড়ব। গাল যখন খাবৈ , তাইলে বেছে পড়ব না কেন। কেন খুঁজে বেড়াবো না, আমার সময়ের কথাকার দের, বাংলায় এবং জত পারি দেশে ও ভাষায়।

    আরেকটা কথওঅ মনে রেখো গুরু, আমি কোন জনপ্রিয় বড় লেখক সম্পর্কে তাঁদের ক্ষমতা সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করিনি। কি পেতে পারতাম তাই নিয়ে ঘিসা পিট অভিযোগ অনুযোগ ও করিনি। শুধু বলেছি কোন লেখায় কি পাই নি।
    আমি তোমার শেষ দুটো পোস্টের Rেশনেল সত্যি ই বুঝিনি। ইতিহাস আশ্রিত নভেলের ক্ষেত্রে। কারণ সুনীল ও শীর্শেন্দু ছাড়া যান্দের নাম করেছো কারো সম্পর্কেই তো কিসুই বলিনি, যত পারি পড়ছি তো। বাংলা সাহিত্যের লম্বা জার্নি তে গত বিশ বছরের দেশ ইত্যাদি আমার কাছে ফুটানোট মাত্র, বাকি টা আমি খুঁজে পড়ছি, অসুবিধে নেই।
  • সিধু | 141.104.245.196 | ২৯ অক্টোবর ২০১২ ১১:২৬494118
  • যাহ শালা! আমি তো কোনো অভিযোগ-ই করিনি। ইন ফ্যাক্ট লাস্ট পোস্টে তোমার সাথে তক্ক-ও করিনি। তুমি গোটাতে বলেছিলে বলে নিজের যা মনে হয় সেরকম কয়েকটা কথা বলে গুটিয়ে নিয়েছি। যেমন ঢোঁড়াই এর সাথে ইলিয়াসকেও ভাল্লাগে ইত্যাদি।

    আর ওই লেখকদের নাম তর্কের সুত্রে নি-ই নি, ইন্দ্রাণীর একটা প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলাম।

    রিল্যাক্স! একো বা অন্যদের নিয়ে তোমার সাথে আমার মতের বিরোধ নেই। আর ওই লিটল ম্যাগ বনাম দেশ আনন্দ ব্যাপারটাও কথার কথা, কোনো তক্কাতক্কি নেই । একটা অবজার্ভেশন বলা যায়। ..
  • সিধু | 141.104.245.196 | ২৯ অক্টোবর ২০১২ ১১:৩১494119
  • বিতর্কের টেকনিক ধরতে পারছ না কারণ তুমি ক্ষার খেয়ে আছ ঃ) নাহলে দেখতে লাস্ট পোস্টে কোনো বিতর্ক-ই করিনি। যেটা নেই তার টেকনিক থাকবে কি করে! ঃ)

    রাবলের উদাহরণটা মজা করে টানা, যে কোথায় মার্কেজ একো যারা এই স্প্যানে ভাবছে এই ক্যাওড়ামি করছে আর কোথায় কন্টেম্পোরারি বাংলা লিটারেচার। ঃ)
  • h | 213.99.212.54 | ২৯ অক্টোবর ২০১২ ১২:০০494120
  • আরে আমি রিল্যাক্স্ড। কোন চাপ নেই। তবে সমুখে শান্তি পারাবার এলেও, সুনীল বাবুর ইতিহাস আশ্রিত উপন্যাস কে খুব উঁচু মানের ইতিহাস আশ্রিত উপন্যাস বলে মনে করতে পারছি না। আর বাকি তো বিশেষ কোন সমস্যা নেই।
  • সিধু | 141.104.245.196 | ২৯ অক্টোবর ২০১২ ১২:০৬494121
  • তার কারণ তোমার এক্সপেক্টেশন লেভেল সবার কাছে সমান । আমি, অন দ্য আদার হ্যান্ড, এক একজন লেখক পড়ার সময় এক এক রকম এক্সপেক্টেশন রাখি। সুনীল আর অভিজিত সেনের এক্সপেক্টেশন লেভেলটা আলাদা আমার কাছে।

    আর আমার কপালে কি বড় বড় করে `গাণ্ডু` লেখা আছে যে সুচিত্রা ভট্চাজ হর্ষ দত্ত শোভিত দেশ আনন্দের প্রোমোট করা কন্টেম্পোরারি বাংলা সাহিত্যকে ডিফেন্ড করতে যাব? ..
  • h | 213.99.212.54 | ২৯ অক্টোবর ২০১২ ১২:১৪494123
  • যাক এবার আশা করা যায়, সুনীল প্রেমীরা তোমারে তাড়া করবেন আমারে নয় ;-)
  • Tim | 188.91.253.11 | ২৯ অক্টোবর ২০১২ ১২:৪৩494124
  • ঃ-)))
  • সিধু | 141.104.245.196 | ২৯ অক্টোবর ২০১২ ১৬:১৭494125
  • ওই তো, আবার ভুল ইন্টারপ্রেট করলে ঃ)

    এর মানে কি এই যে সুনীল বাজারী আর অভিজিত সেন ভাল? তা না, আমার কাছে দুজনেই ভাল, দুজনে দুরকম ভাবে ইম্পর্টান্ট।

    শোলেও ভাল, গরম হাওয়াও ভাল, আন্দাজ আপনা আপনাও ভাল, ভুবন সোম-ও ভাল। জীবনের বহু রং থেকে শুধু একটামাত্র বেছে নেব কেন? ঝাল ঝোল চাটনি লাবড়া বিরিয়ানিতে জড়িয়ে মরিয়ে বাঁচব ঃ) ..
  • pi | 127.194.0.216 | ২৯ অক্টোবর ২০১২ ১৬:৪২494126
  • কিন্তু বাজার বা বাজারী ভাল নয় ? ঃ)
  • h | 213.132.214.155 | ২৯ অক্টোবর ২০১২ ১৮:৩৮494127
  • ফাইন।
  • Rit | 213.110.243.21 | ২৯ অক্টোবর ২০১২ ১৯:১৩494128
  • গোগ্রাসে পড়লাম সব। সব যে বুঝলাম না সেটা বুঝলাম। কত পড়াই না বাকি!
    সিধু দার শেষ পোস্ট প্রসঙ্গেঃ 'কিন্তু সবার চাইতে ভাল পাউরুটি আর ঝোলা গুড়।'
  • lcm | 138.48.127.32 | ২৯ অক্টোবর ২০১২ ২২:১৬494129
  • পরবাস-এ ১৯৯৮ এ বেরোনো ইন্টারভিউ, নিয়েছিল পারমিতা আর আর্যনীল। এটাই বোধহয় নেটে বেরোনো প্রথম বাংলা ইন্টারভিউ।
    http://www.parabaas.com/BAUSHONTO/NOFRAME/LEKHA5/bAkar.html
  • Ishan | 214.54.36.245 | ৩০ অক্টোবর ২০১২ ০২:২৩494130
  • আমি বাজে গপ্পুড়ে হয়ে যাচ্ছি। এইসব সিরিয়াস আলোচনা পড়ে আমার আরেকটা গপ্পো মনে এল। কঠিন সেমিনার। বিষয় ভুলে গেছি। সে যাত্রায় আমি সংগঠকদের একজন। বক্তাদের মধ্যে সাধন চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় আছেন। সন্দীপনকে নিয়ে একটু টেনশনে আছি। তিনি মঞ্চে দাবী করেছেন, এই সেমিনার মাঠের মধ্যে হলনা কেন। কত লোক বাইরে। চাট্টি বুড়ু-বুড়ো লোক শুনবে বলে কি কথা বলা? তারপর অবশ্য বললেন ভালই। পাখীর নীড়ের মতো চোখ, সে অতি বিশ্রী জিনিস, অমন চোখ যেন সত্যিই কোনো নারীর না হয়। ইত্যাদি।
    এরপর সাধন চট্টোপাধ্যায়। তিনি তো একটু মার্কসবাদ ঘেঁষা। নারী, যৌনতা, ইত্যাদি থেকে উৎপাদন সম্পর্ক, সমাজে নারীর স্থান, এইসবে চলে গেছেন। এরপর বোধহয় লেখায় নারী কিভাবে আসবে, সেই আখ্যানে যাবেন। সবাই মোটের উপর ঝিমোচ্ছে, এমন সময় শুরু হল খেলা। ভাষণ চলছে, সন্দীপন নিজের সামনের মাইক ধরে হঠাতঃ সাধন।
    সাধনঃ আমাকে বলছেন?
    -- তোমাকেই তো বলব, আবার কাকে?
    -- বলুন।
    -- এখানে তো ঘোড়া রচনা করতে বলা হয়েছে, তুমি খামোখা গোরু নিয়ে বলছ কেন?

    অতঃপর প্যান্ডিমোনিয়াম। বাকি কথা আই নাই বা লিখলাম। :)
  • aranya | 154.160.5.25 | ৩০ অক্টোবর ২০১২ ০৩:৩৪494131
  • বাজে গপ্পোগুলো-ই শুনতে ভাল লাগে। আজিজুল লিখেছিলেন, 'কারাগরে আঠারো বছর'-এ - হাল্কাচালে বলা কথা গুলো ই লোকে মনে রেখেছে, সিরিয়াস কথাবাত্তা সব বিস্মৃতির গর্ভে - এইরম কিছু একটা।
  • শঙ্খ | 118.35.9.186 | ৩০ অক্টোবর ২০১২ ০৪:৩৯494132
  • ঈশেনবাবুর পোস্টটা মোক্ষম বললে কম বলা হবে। পুরো ফুকোর পেন্ডুলাম কেস। ঃ-)) একো সাহেব এখনো বেঁচে আছেন, বলা যায়না, 'সুনীল'স পেন্ডুলাম' বলে একটি বই লিখে ফেললেন।
  • সিদ্ধার্থ | 141.104.245.196 | ৩০ অক্টোবর ২০১২ ০৬:৫০494134
  • ঃ) ঃ)
  • শিবাংশু | 127.197.251.171 | ০১ নভেম্বর ২০১২ ১৭:৫৪494135
  • মহারাজ, আমি তোমার বালক ভৃত্য ....

    ট্রেনটা তখন ছেড়েছে কোডারমা। রেলপথে এদিকে গেলে জানালার বাইরে চোখে পড়বে চারদিকে সবুজ পাহাড় ঘেরা ঘন অরণ্যানী। মাঝখানে সবুজতর পেয়ালার মতো শুয়ে থাকা অরণ্যভূমি আরপার করে ছুটে যায় উত্তরগামী সব এক্সপ্রেস, গোমো থেকে গয়া, পারসনাথ আর হাজারিবাগ রোড। এই আদিম অরণ্যভূমি আর তার আশপাশ, ডোভি, হান্টারগঞ্জ, ইটখোরি, চাতরা, শেরশাহের সড়ক-এ-আজমের দক্ষিণপ্রান্তে কুমারী অরণ্য ছড়িয়ে আছে সেই লাতেহার, রেণুকূট, মির্জাপুর পর্যন্ত চোখজুড়োনো তার তার শারদ সমারোহ। অথচ এখানেই আড়ালে আবডালে ঘুরে বেড়ায় পৃথিবীর হিংস্রতম প্রাণী, যার নাম মানুষ। কালাশনিকভের সঙ্গে কালাশনিকভ, কার্বাইনের সঙ্গে কার্বাইন, এলএমজির সঙ্গে এলএমজি, ট্রিগারের পিছনে শুধু মানুষের আঙুল। মানুষগুলি কেউ 'দেশপ্রেমী', কেউ বা 'দেশদ্রোহী'। কী আশ্চর্য, এখান থেকে মাত্র দশ ক্রোশ দূরেই আড়াই হাজার বছর আগে অশথ গাছের নীচে এক ঘরছাড়া রাজপুত্র বোধিলাভ করে হয়েছিলেন করুণার অবতার।

    বাতানুকূল রেলকামরার কালোকাঁচ ঢাকা জানালা দিয়ে গড়িয়ে আসছিলো শরতের উষ্ণরোদে সোনালি আলোর প্রস্রবন। বন্ধ কাঁচের ওপার থেকে সবুজ আরো গাঢ়তর মায়াবী আবেশ নিয়ে চোখে তার স্নেহস্পর্শ দিয়ে যাচ্ছিলো। ঠিক এরকম একটা সময়ে পকেটে শুনলুম ফোনের বার্তা।

    খুলে দেখি, অরিন্দম পাঠিয়েছে, ' সুনীল চলে গেলেন'।
    ' সে কী? কখন....'
    'কাল মাঝরাতে, এখুনি পারিজাত থেকে ফিরে এলুম।'

    ২.

    সুনীল আমার আত্মীয় বন্ধু কিছুই ছিলেন না। কিন্তু স্বজনবিয়োগের চঞ্চল শূন্যতা ঢেকে ফেললো বোধের চারপাশ। হ্যাঁ, এভাবেই কোনও কোনও 'অনাত্মীয়ে'র চলে যাওয়া শূন্য করে দেয় অনেক জমিয়ে তোলা সঞ্চয়। এমনটিই হয়েছিলো যেদিন চলে গিয়েছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, সুচিত্রা মিত্র, জর্জ বিশ্বাস, ভীমসেন জোশি, কিশোরকুমার। সারা জীবন ধরে আমাদের শেষ পারানির কড়ি জড়ো করার খেলা এই সব মানুষের থেকে ভিক্ষেসিক্ষে করে। আরও একজন চলে গেলেন।

    তিনি কি আমার প্রিয়তম কবি বা গদ্যকার? নাহ, তা নয়। তাঁর সঙ্গে কি নিজস্ব মানসিকতার খুব মিল পাই? হয়তো কিছুটা পাই, কিন্তু সেখানেও ফাঁক আছে। কোনও ব্যক্তিগত পরিচয় ছিলোনা, ছিলোনা কোনও সামাজিক নৈকট্য। দেখাসাক্ষাতও হয়েছে অতি অল্প কয়েকবার। আমাকে বিস্মিত করার মতো কোনও অদৃশ্য মোহনবাঁশি তাঁর হাতে কখনও দেখিনি। তবু একটা গহনসূত্রে জড়িয়ে ছিলো তাঁর ভালো থাকার সঙ্গে আমার ভালো লাগা। এই তো বছর তিনেক আগে যখন হায়দরাবাদে তাঁর সঙ্গে শেষ দেখা হলো সেদিনই তো গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা, ওষুধবিষুধ। বেশ চিন্তায় ফেলেছিলেন সবাইকে। আবার সন্ধেবেলার আড্ডায় দৃশ্যত একটু নিষ্প্রভ, কিন্তু মেজাজে একম অদ্বিতীয়ম সুনীল গাঙ্গুলি। কমলকুমারকে নিয়ে তাঁর 'অহেতুক' অবসেসন বিষয়ে যখন আমি দীর্ঘ পাকামি বিস্তার করলুম, তিনি মৃদু হেসে বললেন, ছেলেটা কমলকুমার খুব পড়েছে দেখছি।

    ৩.

    সুনীলকে প্রথম দেখি তখন বোধ হয় সদ্য কলেজে উঠেছি।
    শান্তনু দাসের গাঙ্গেয় (?) পত্রিকার সঙ্গে একযোগে কৌরব জামশেদপুরে কবিসভা করেছিলো। সেখানে গোটা কৃত্তিবাস হাজির। স্বাতীসহ সুনীল, বিজয়াসহ শরৎ, মীনাক্ষীসহ শক্তি, তারাপদ, অমিতাভ, কবিতা, প্রণব মুখো, আরও অনেকে। সভা পরিচালনা করছিলেন নীরেনদা। সেখানেই প্রথম দেখি সুনীলের ভাবলেশহীন মুখ, শাদা জুলফি। তখন আমরা পদ্য নিয়ে মজে থাকতুম। ততোদিনে 'সুনীল গাঙ্গুলির দিস্তে দিস্তে' গদ্য লেখা শুরু হয়ে গিয়েছিলো। তাই সুনীলের বিরুদ্ধে বেশ একটা জঙ্গি মোর্চাবন্দিও ছিলো আমাদের। সেই সভায় সুনীল খাতা দেখে কোনও একটা নতুন পদ্য পড়লেন। কিন্তু জনতার আতিশয্যে প্রথমে 'চে তোমার মৃত্যু' ও পরে 'কেউ কথা রাখেনি' বেশ নারাজ হয়ে পাঠও করলেন।
    সেই মঞ্চেই নীরেনদা যেন সুনীলকে উদ্দেশ্য করেই পড়েছিলেন তাঁর সদ্যোলেখা কবিতা,

    'কবি, তুমি গদ্যের সভায় যাবে?
    যাও,
    কিন্তু পা যেন টলেনা.....
    .... যেন লোকে বলে
    আসার ছিলোনা,
    তবু
    মহারাজ এসেছেন....'

    ৪.
    এই লেখা সুনীলের সৃষ্টি নিয়ে চর্চা করা নয়। যদি কখনও ইচ্ছে হয়, সময় পাই, তবে ভাববো। কারণ খুব অল্প কথায় তাঁর সম্বন্ধে উচিত মূল্যায়ণ করা যাবেনা। ভালো, বা ততো ভালো নয় মিলিয়েমিশিয়ে অতি দীর্ঘ তাঁর গদ্যপদ্য রচনাবলী। পক্ষে বা বিপক্ষে বলার মতো কথারও অন্ত নেই। এই মূহুর্তে সেসব কিছু ভাবছি না। তিনি যেন আমাদের প্রজন্মের পাঠকদের কাছে একটি দীর্ঘ ঋজু রেললাইন। আমাদের মেঠো রাস্তাগুলি তাঁর সঙ্গে কাটাকুটি করতে করতে কখনও দূরে চলে যায়, কখনও কাছে আসে, আবার কখনও ফুরিয়েও যায় মায়াবী লেভেল ক্রসিঙের অন্যপারে।

    ৫.

    'গুলুগুলু খান্ডাগুলু
    বুমচাক ডবাংডুলু
    ধিনতাক ধিনতাধিনা
    উসুখুসু সাকিনা কিনা,

    মহারাজ মনে পড়েনা?

    মহারাজ,
    মনে পড়েনা....?

    আমি তোমার বালক ভৃত্য.....
  • nina | 79.141.168.137 | ০২ নভেম্বর ২০১২ ০৪:১৭494136
  • টইটা শিবাজির এই সুনীল-আল্পনায় কি সুন্দর সাজল--বাহ!

    বস্তুবিশ্ব বহুরূপী গিরগিটির মতন রূপ বদলাচ্ছে বারবার
    আকাশে আকাশ নেই, সময়ের শুরু ও শেষ নেই, তুমি কেন
    জন্মেছিলে মানুষ?

    সামান্য এই প্রশ্নটির উত্তর পেলে না আজও-----
  • mon | 121.93.171.229 | ০২ নভেম্বর ২০১২ ১৮:০৪494137
  • এই toi টা তে এসে কত কি যে জানতে পারলাম! সত্যি ই খুব ভাল লাগছে বিভিন্ন আলোচনা .. সুনীল ও তার ইতিহাস আশ্রয় করে লেখা, তার কবিতা, তার নাগরিকতা সব কিছুই ভালো লাগলো। শুধু একটি কথা এই অধমের মনে হইছিল .. সুনীল মারা যাওয়ার খবর শোনা মাত্র মনে হয়েছিল ... যে কিছুদিন আগে হিমু চলে গেল, আর এবারে নীললোহিত। বাংলা সাহিত্যকে হুমায়ুন আর সুনীল অনেক কিছু দিয়েছেন, কিন্তু যাওয়ার সময় একেবারে গায়ে গায়ে ওই দুজনের যাওয়াটা কি কারুর চোখে প্রলনা?

    আমার পকেট না থাকা হলুদ পাঞ্জাবি পরে আর দিক্ষুন্যপুর যাওয়া হলনা ... এই কষ্টটা কি কম? আমি হয়ত ভুল ই বলছি, কিন্তু ভুল বলাটাও তো বলা!.. থাকলো না হয় অনেক ঠিক বলার পাসে একটু সময়ের জন্যে।
  • mon | 121.93.171.229 | ০২ নভেম্বর ২০১২ ১৮:০৫494138
  • দিক্শুন্যপুর
  • aranya | 78.38.243.161 | ০৩ নভেম্বর ২০১২ ০৭:৫০494139
  • মন, এটা ঠিক বলেছেন, হু আ আর সুনীল, দুই বড় লেখক চলে গেলেন অল্প দিনের ব্যবধানে।
    আজকালে তুষার কাঞ্জিলালের স্মৃতিচারণার লিঙ্ক -
    http://www.aajkaal.net/archive/cat.php?hidd_cat_id=6&show=25863761
  • শিবাংশু | 127.197.244.89 | ০৩ নভেম্বর ২০১২ ১২:২১494140
  • এখনও স্নানের আগে কেউ কেউ
    করে থাকে নদীকে প্রণাম....

    স্তব্ধতার নিজস্ব ভাষা থাকে।

    সরকারি দুদন্ড শোক পালন বা দুদন্ড মৌন থাকার পর একলা ঘরে একটা দীর্ঘশ্বাস। সময় হয়তো একই নেয়, কিন্তু অভিঘাত আলাদা।

    একটা মানুষ যতোক্ষণ শরীরের সীমায় বাঁধা থাকে ততোক্ষণ সে এক টুকরো সাড়ে তিন হাত জমি। শরীর থেকে মুক্ত হলে সে হয়ে যায় আকাশ-বাতাস-জল-মাটি-রোদের মতো নৈসর্গিক এক অস্তিত্ব। তখন তার সঙ্গে সব কিছু বিনিময় করা যায়। স্তব্ধ, মৌনতায়। কিন্তু সময় লাগে। শেষ শহর সংস্করণে ছাপা মৃত্যুসংবাদের সঙ্গে কপিরাইটারের আহাউহু কলরব, কয়েকঘন্টার বেশি আয়ু নয় তার। অতো নির্বিকার ঔদাসিন্যে সুনীলকে ধরা যাবেনা।

    'প্রিয়ত্ব' অর্জন কলমজীবীদের আকাঙ্খিত ব্যসন। 'প্রিয়' লেখকদের কিছু দূর পর্যন্ত দুর্বলতাও পাঠক প্রশ্রয়ের দৃষ্টিতে দেখেন। কিন্তু পাঠকের কৌতূহল জাগিয়ে রাখতে পারার জাদু খুব বেশি লেখকের থাকেনা। আমার প্রিয় কবি শঙ্খ ঘোষ, বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, বিনয় মজুমদার, আরো কেউ কেউ। কিন্তু যেকোনও জায়গায় সুনীলের লেখা পদ্য দুটো ছত্র দেখলেই সেটা না পড়ে আমি এগিয়ে যেতে পারিনা। হতে পারে, পড়ার পর মনে হলো যথেষ্ট উৎরায়নি। চমক আছে, পদার্থ নেই । কিন্তু রম্য ও পাঠযোগ্য। 'প্রিয়ত্ব' আর 'অনিবার্যতা' , সব সময় একমুখী নাও হতে পারে। যদি আখ্যানমূলক গদ্যে তুলনার প্রশ্ন আসে, সুনীলের একটা লেখা আর শীর্ষেন্দুর অন্য লেখার মধ্যে, মনে হবে শীর্ষেন্দু গদ্যের কারিগরি নিয়ে সচেতন ভেবেছেন, যত্নময় প্রয়োগকৌশল প্রকট হয়েছে ন্যারেটিভে। সুনীল সে তুলনায় অনেক ক্যাজুয়াল, স্বতস্ফূর্ত আর কেয়ার করিনা ভাবসম্পৃক্ত। যদিও দুজনেরই আসল লেখাগুলি এখন পুরা কালের ক্ল্যাসিকস, কিন্তু বাংলা পাঠকের মস্তিষ্কে পূর্ণরূপে প্রাসঙ্গিক। যদি কেউ বলে অমিয়ভূষণ, দেবেশ রায়, সন্দীপন বা কমলকুমারের গদ্যের সঙ্গে তুলনায় সুনীলের গদ্যকে কোথায় রাখা যায়, তবে বলি এঁদের রচনারীতির মধ্যে তুলনা করার কোনও সাধারণ স্বীকৃত মানদন্ড নেই। শঙ্খ ঘোষের গদ্যের সঙ্গে অম্লান দত্তের গদ্যের কি কোথাও 'তুলনা' চলে? বিনয় মজুমদারের পদ্যের সঙ্গে বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পদ্য? কিন্তু বহুপ্রজ সুনীলের অনেক রচনার 'কালজয়িতা'কে যদি অস্বীকারও করি, কিন্তু তার পাঠযোগ্যতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠবে না। এর কারণ তাঁর অনুপুঙ্খ চোখ আর বাংলাভাষার সূক্ষ্ম সাবলীল প্রয়োগ। তাঁর লেখার প্রশংসা করা যায়, নিন্দা করা যায়, অভিভূত হওয়া যায়, ঘৃণাও করা যায়, কিন্তু অবহেলা করা যায়না, নির্লিপ্ত থাকা যায়না। সুদীর্ঘকাল ধরে পাঠকের কাছে প্রাসঙ্গিক থাকার ম্যাজিক তাঁর জানা ছিলো।

    যে গ্রন্থগুলির জন্য সুনীলের এই আকাশছোঁয়া লোকপ্রিয়তা, অর্থাৎ সেই সময়, প্রথম আলো, পূর্ব-পশ্চিম অথবা একা এবং কয়েকজন ( উপন্যাস), সেইসব গবেষণাধর্মী ইতিহাসভিত্তিক আখ্যানের পথিকৃৎ হিসেবে বিমল মিত্রের নাম সুনীলের বহু আগে পাঠকের অভিরুচিতে স্থায়ী স্থান করে রেখেছে। মজার কথা এই দুজন লেখকই বহুনন্দিত, আবার বহুনিন্দিত। স্বয়ং তারাশঙ্করও বিমল মিত্রের জনপ্রিয়তায় অসূয়াগ্রস্ত হয়ে তাঁকে বলেছিলেন, ' আপনার আর কী? দুচারটে ইতিহাস বই খুলে এদিক ওদিক করে দিলেই তো হয়ে গেলো। আমাদের তো মানুষের গল্প লিখতে হয়, ভারি পরিশ্রম তার !!
    সুনীলের সমকালের লেখকবন্ধুদের মধ্যে তাঁকে অপবাদ দেননি এমন লোক বিরল।

    এধরনের বিপুল লোকপ্রিয়তা মানুষকে একা করে দেয়।

    সুনীলের বিশেষত্ব হচ্ছে তাঁর ক্যারিশ্মা। খুব কম বাংলা লেখকদের মধ্যে এই গুণটি দেখতে পাওয়া যায়। কিছুটা ছিলো সমরেশ বসুর মধ্যে , কিন্তু সুনীলের তুলনায় বেশ কম। কোন ফরিদপুরের হদ্দ পাড়াগাঁয়ের ছেলে, প্রান্তিক কোলকাতার ইশ্কুলে পড়া মফস্সলি বালক থেকে খালাসিটোলার চিণ্হিত উৎকেন্দ্রিক আর আইওয়ার ছাপ লাগা আন্তর্জাতিক রাগি যুবক, ষাট-সত্তরের দ্বিধান্বিত, রক্ষণশীল কিন্তু শিকলমুক্ত হতে চাওয়া মধ্যবিত্ত বাংলা পাঠকদের কাছে একটা আইকন হয়ে যেতে পারেন। বাঙালির ট্রেডমার্ক, অ্যাকাডেমিক দুস্তর মননচর্চাকে পরিহাসের আলোয় বিচার করার কৌশল তাঁর আয়ত্ব ছিলো। ২০১২ সালের ২৩শে অক্টোবর সুনীল শুধু একজন 'বাংলা লেখক' ছিলেন না, ছিলেন একটা সর্বভারতীয় ফেনোমেনন। শরৎচন্দ্রের পর বাংলা লেখকদের মধ্যে সর্বভারতীয় স্বীকৃতির যে মুকুট বিমল মিত্রের জন্য নির্দিষ্ট ছিলো, তার উত্তরাধিকার হস্তান্তরিত হয়ে যায় সুনীলের প্রতি।

    এযুগের বোধিজীবী বাঙালিদের মধ্যে এ বিষয়ে তাঁর প্রতিদ্বন্দী হতে পারেন সত্যজিৎ রায় ( অমর্ত্য সেনকে এর বাইরে রাখছি নানা কারণে)। সুনীলের অনন্যতা, তাঁর প্রথম বয়েস থেকে শেষ পর্যন্ত নিজের বুদ্ধিবৃত্তির প্রতি অগাধ আস্থাবান থাকার পুণ্যে। লাইন বদলেছেন, কিন্তু কখনো লাইনচ্যুত হননি। হাংরিদের উপর তিনি এভাবেই জিতে যান। জটিলতম বিষয়টিও সহজ করে বুঝতে চাইতেন এবং সবাইকে সেভাবেই বোঝাতেও চাইতেন। শিল্পসাহিত্য বোঝার জন্য নিতান্ত সাধারণস্তরের কান্ডজ্ঞান থাকাই যে যথেষ্ট, সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে সেটাই প্রচার করেছেন চিরকাল। প্রথম যখন রাজনীতি শিখতাম তখন প্রচার হতো সুনীল এদেশে সিআইএ-র গোপন এজেন্ট। সৎ ছেলেমেয়েদের নানা লোভ দেখিয়ে অবক্ষয়ের পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য জনসন-নিক্সন যে চক্রান্ত করছে, সুনীল সেই শৃঙ্খলারই অংশ। এই হাস্যকর অভিযোগ নিয়ে সেই সময়, অর্থাৎ শেষ সত্তরে, নিজের আপত্তি জানালে জঙ্গি বন্ধুর দল আমাকে যথেষ্ট হ্যাটা করতো।

    বহুমুখী আলোচনা হতে পারে তাঁকে নিয়ে। গৌড়ীয় পন্ডিতদের ঢঙে ছিন্নভিন্ন করা মস্তিষ্কের ব্যায়াম বা ইতর পাঠকদের মতো একটু রয়ে বসে ভালো না লাগাগুলিকে আমল না দিয়ে ভালো লাগাগুলিকে খুঁজে নেওয়ার সহজ বিচারচর্চা । ব্যক্তি আমি ইতর পাঠক হিসেবেই দেখতে চাইবো তাঁর বোধের জগতটিকে।

    একটা ব্যাপার তো ভুলতে পারিনা । বাল্যকালে যেসব কবির ক্র্যাফ্ট আমাকে পদ্যের সঙ্গে সহবাস করার জটিল জগতে টেনে এনেছিলো সুনীল তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য। কোথাও পৌঁছোতে পারিনি কখনও, কিন্তু কৃতজ্ঞ ভালোবাসাটুকু পুরোমাত্রায় রয়ে গেছে।

    তিনি আমার ভিতরে মূলতঃ একজন বাংলা কবি হয়েই বেঁচে থাকবেন।
  • ranjan roy | 24.97.156.235 | ০৩ নভেম্বর ২০১২ ১২:৪০494141
  • শিবাংশু,
    আমাদের জেনারেশনের ভালোলাগা- না লাগাকে কি অনায়াস সহজ নৈপুণ্যে ধরেছেন!
  • lcm | 34.4.162.218 | ০৩ নভেম্বর ২০১২ ১৩:১৭494142
  • নেটে আনন্দবাজার, এইসময়... ইত্যাদি মিলিয়ে এখনও অবধি সুনীলকে নিয়ে যতগুলো লেখা পড়লাম, তার মধ্যে শিবাংশুর এই লেখা, আর, আনন্দবাজারে শঙ্খ ঘোষের লেখা মনে থাকবে।
  • mon | 126.202.200.209 | ০৩ নভেম্বর ২০১২ ১৬:২৮494143
  • শিবাংশু বড় ভালো লিখেছেন।
  • aniket pathik | 69.93.206.208 | ০৪ নভেম্বর ২০১২ ১২:২৬494145
  • শুধু কবিতার জন্য নয় ঃ ১
    শ্রদ্ধা জানাবার একটা রীতি আছে, মানে স্থান-কাল আছে, বলা ভাল । এক জন গুণী মানুষের বিষয়ে কি ভাবি তাও কিন্ত যখন তখন লেখা যায় না । বেশীর ভাগ সময়ে সেই সময়টা আসে শেষ সময়েরর পরে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ক্ষেত্রেও তার থেকে আলাদা কিছু হল না । প্রথম আলো তে যেমন রবি, ভানু, রবিবাবু এবং রবীন্দ্রনাথ, আমাদের তেমনই নীলু, নীললোহিত, সুনীল ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় । আমাদের ছোট থেকে বেড়ে ওঠার পরতে পরতে ছোটদের ও বড়দের জন্য অসংখ্য গল্প, কবিতায় ছড়িয়ে আছেন লেখক, কবি ও মানুষ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় । কিন্ত নিজের জীবনে তার বিশেষ স্বীকৃতিটুকু দিয়ে ও্ঠার আগেই তিনি চলে গেলেন দিকশূন্যপুর।
    সুনীল মানে কাকাবাবু, সত্যি রাজপুত্র, সুনীল মানে সেই সময়, দিকশূন্যপুর, সুনীল মানে কেউ কথা না রাখার অভিমান মোটের ওপর হাতে পেলেই গোগ্রাসে গিলে ফেলা । কিন্ত এই সব কিছুর ওপরেও সুনীল মানে আমার কাছে অন্য একটা মাত্রা । কখনো একটা উত্তরণ । ঠিক আমার মনের কথাটা বলে দেওয়ায় লেখকের যে চালাকি বা মুন্সীয়ানা তা তো মাঝেমধ্যেই ঘটে কিন্ত খুব সাদামাটা ভাষায় ও ভঙ্গীতে যে একবারে অন্যরকম কিছু ভাবনার জায়গা তৈরী করে দেওয়া, যাতে চমকে উঠে ভাবি কই এভাবে তো আগে ভাবিনি ! আমার কাছে সেটা হলেন সুনীল। কিম্বা কিছু জায়গায় আরও গোলমালের ব্যাপার, মানে আমি যে ভেবেছিলাম সেটাও আমি জনতাম না, সুনীলের লাইনটা পড়ে বুঝলাম, আমারো ইহা ছিল যে মনে কেমনে বেটা পেরেছে তাহা বুঝিতে ! খুব সাধারণ রোজকার জীবনের ঘটনার মধ্যে থেকে উনি এমন একটা জায়গায় পৌছে দিতে পারেন, যা অনেকটা গভীরভাবে না ভাবলে সম্ভব নয়। সুনীল তাঁর নিজের এই ভাবনার জায়গাটা এমনভাবে গোপন করেন এবং অনেক সময়েই সম্পূর্ণ নাটকীয়তাবিহিন কিন্ত আবেগবর্জিতত নয় এমনভাবে বর্ণণা করেন যেন সেটা খুব সাধারণ কথা । তাই তাঁর লেখায় এমন একটা নিরপেক্ষ দৃষ্টি পাই কিন্ত কখনই যেটা জ্ঞান দেওয়ার মতো শোনায় না । বরং কোথাও কোথাও একটা হাল্কা রসিকতা বা দুষ্টিমির ছোঁয়াও থাকে । তাই শুধু গল্প-কবিতা-ইত্যাদি নয়, বিভিন্ন সময়ে ছোটবড় প্রবন্ধ-নিবন্ধ-রম্যরচনা-ভ্রমণকাহিনি যা লিখেছেন, তাও আমার কাছে সমানভাবে আকর্ষনীয়।
    এই রকম কোনো একটা লেখায় পড়েছিলাম আমরা আসলে ভূতকে ভয় পাই না ভয় পায় অন্ধকারকে ; দিনের বেলা একটা কঙ্কাল খটখটিয়ে এগিয়ে আসছে দেখলে আমরা ভয় পাব না, ভাববো নিশ্চই এর মধ্যে কারও একটা কারসাজি আছে, কিন্ত রাতের অন্ধকারে সেই কঙ্কালকে দেখে সাহসীও হয়ত একটু ঘাবড়ে যাবে । এই কথা পরে অনেক জায়গায় ব্যবহার করেছি, অনেক গল্পের আসরে উল্লেখ করেছি, কেউ শুনে অবাক হয়নি, চমকে ওঠেনি, কিন্ত আগে যখন জানতে চেয়েছি কেন ভয় পাই, কিসে ভয় পাই, তখন কেউ ঠিক এই উত্তরটা দেয়নি। (আমি নিজে অবশ্য এই কথার সঙ্গে পুরো একমত হইনি কারণ আমার ধারণা যে আরশোলায় ভয় পায়, সে দিনের বেলায়ও একইরকম ভয় পায় !)
    একদল অল্পবয়সী ছেলে একসঙ্গে কোথাও যাচ্ছে, বাস কিম্বা ট্রেনে, হৈ হৈ করছে, নিজেদের মধ্যে খুনসুটি করছে, আশেপাশের লোকজনদেরও ছেড়ে কথা বলছে না । অনেকেই তাদের ওপর বিরক্ত হয়ে ওঠেন, মনে মনে গালাগালি দিয়ে বলেন ‘আজকালকার ছেলেমেয়েরা চূড়ান্ত অসভ্য, বেয়াদব, আমাদের সময়ে এইরকম ছিল না।।।’। কিন্ত কেউ কি ভেবে দেখে যে এই ছেলেরা (বা ছেলেমেয়েরা) আলদা ভাবে সবাই শিক্ষিত, ভদ্র, বিনয়ী, সাহায্যপ্রবণ, সবই হতে পারে। কিন্ত একসঙ্গে থাকার সময়ে যৌবনের আনন্দে-উচ্ছলতায় এরা কিছুটা সময় একটু অন্যরকম আচরণ করছে, যা হয়তো খুব ক্ষতিকারক কিছুও নয় । সেই সময়ের জন্য এরা রাজা, এই সময়টুকু পেরিয়ে গেলে এরা আলাদা হয়ে যাবে, আর পাঁচজনের মধ্যে মিশে যাবে, সেই উচ্ছলতাটুকু ক্ষমা করে দিতে পারলে নিজেরই বিরক্তি কমে যাবে । এই ভাবনার জায়গাটা, নিজেকে একটু অন্য অবস্থানে বসিয়ে কোন ঘটনার বিচার করার তাগিদটা আমি সুনীলের কাছ থেকে পেয়েছি । তাই আমি বলি আমি সুনীলের কাছ থেকে ভাবতে শিখেছি ।
    এইরকম একটা নিবন্ধ বা রম্যরচনার কথা মনে পড়ছে যেখানে উনি বলছেন লোকে কোন ঘটনা বর্ণনা করতে গেলে কিছুতেই পুরোটা ঠিক বা সত্যি বলতে পারে না । বিনা কারণেই একটু বাড়িয়ে বা কমিয়ে বলে । যেমন কেউ যদি রাত বারটায় কোন অচেনা জায়গায় দু ঘন্টা আটকে থাকে, তার ব্যাগে দু হাজার টাকা থাকে তো অন্য কাউকে বলার সময়ে সে বলবে রাত প্রায় সাড়ে বারটা-একটায় একটা অচেনা জায়গায় প্রায় আড়াই-তিন ঘন্টা আটকে ছিলাম, সঙ্গে দু-তিন হাজার টাকা নিয়ে, সে কি বিপদ ! মজা হল, যার কাছে বলা হচ্ছে, তার কাছে কিন্ত ঐ সামান্য বাড়িয়ে বলার জন্য ঘটনার গুরুত্ব কিছু কম-বেশি হচ্ছে না, দু-হাজার টাকাও যা, আড়াই-তিন হাজার টাকাও তাই, বা দু-ঘন্টা শুনে যা ভয় পাচ্ছে, তিন ঘন্টা শুনেও তাই, কিন্ত বক্তা এই সামান্য অতিকথনটুকুর মোহ ছাড়তে পারেন না। এই অতিরঞ্জনকে সুনীল কিন্ত ‘মিথ্যে কথা’ বলে দেগে দেননি, খুব একটা নিন্দেজনক বা অপরাধজনক কিছু বলেও ঘোষণা করেন নি, কিন্ত ঠিক লক্ষ্য করেছেন এবং দেখিয়ে দিয়েছেন। কিন্ত এই লেখা পড়ার পর যে কোন লোক একটু মুচকি হেসে ভাববে সে কতটুকু বাড়িয়ে বলে, তেমন সচেতন মানুষ হলে হয়ত পরের বার থেকে অতিরঞ্জনের মাত্রা একটু কমাবে। এইখানে সুনীল উত্তরণের রাস্তা দেখান।
    মানুষ সুনীলের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগতভাবে বিশেষ পরিচয় বা ঘনিষ্ঠতা ছিল না । সেটা ভালো এই জন্য যে ব্যক্তি সুনীল সারাজীবন তাঁর যে জীবনদর্শনের কথা সোচ্চারে জানিয়েছেন, ধর্মহীনতা ও ধর্ম-উদাসীনতার যে ধারনাকে প্রতিষ্ঠা করেছেন, আমি তার থেকে ওঁর নিজের খুব বেশি চ্যুতি দেখিনি। নিজের জীবন সম্পর্কে সর্বত্র একই কথা বলতে শুনেছি। নিজে সোচ্চারে নিজেকে নাস্তিক বলেছেন, কিন্ত তাঁর অন্যন্য মতামতের মত নাস্তিকতাকেও এমন একটা স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে দেখেছেন যে তার প্রকাশে কোন উগ্রতা দেখিনি কোনদিন। যার থেকে মনে হয় উনি সম্ভবত ভেতর থেকে সংশোধনে বিশ্বাসী ছিলেন। ধর্মীয় বিশ্বাসকে না বদলাতে পারলে শুধু আচার ও সংস্কারকে আক্রমণ করে কিছু ভালো হয় না, স্বচ্ছ ভাবনা ওঁর ছিল। ধর্মীয় কু-সংস্কারের বিরুদ্ধে বলেছেন কিন্ত ধর্মভীরুকে আক্রমণ করেন নি কোনদিন বরং রসিকতা করে বলেছেন ধর্মোন্মাদকে উনি ভয় করেন। যে কোন বিষয়ে এই রসবোধ ও পরিমিতবোধ মানুষ সুনীলের কাছে আমার পরম প্রাপ্তি। নিজের চিন্তাভাবনাকে পরিশোধন করে নেওয়ার মতো একটা নির্ভরযোগ্য অবস্থান। এই জন্যই মানুষ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের চলে যাওয়া আমার কাছে শুধু একটা খবর নয়, একটা ক্ষতি।
    তাই বলে কি সুনীলের সব কথা সব সময়ে শেষকথা বলে মনে হয়েছে ! মোটেই না । সারাজীবন রবীন্দ্রনাথকে ‘কবি’ না বলে ‘লেখক’ বলেছেন বলে, রবীন্দ্রনাথের কবিতার বই বলতে গীতবিতান বা গীতাঞ্জলী বলেছেন বলে মনে মনে ‘হিংসুটে’ বলে গালাগাল দিয়েছি আবার সেই লোকই দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে নিজের ভাষায় নিজের একটা কবিতা বলতে গিয়ে এককথায় ‘যদিও সন্ধ্যা আসিছে মন্দ মন্থরে’ বলতে শুরু করেছিলেন (কেউ তো বুঝছে না কি বলছেন !) পড়ে মুচকি হেসে বলেছি ‘শয়তান লোক একটা!’ নিছক ভ্রমণ কাহিনি কিভাবে একটা চমৎকার গল্প বা উপন্যাস হয়ে ওঠে তা পড়ে মুগ্ধ হয়েছি কিন্ত লেখকের প্রতি পাঠকের মুগ্ধতা তো কোন নতুন কথা নয়, সুনীলের ভ্রমণ উপন্যাস যা পড়েছি তাতে শুধুমাত্র বর্ণনার বাইরে গিয়ে কিছুটা নিজস্ব জীবনদর্শনের মিশেলে একটা আলাদা মাত্রা পেয়েছে । নন্দীগ্রামে গুলি চালনার ঘটনায় তাঁর শীতল মনোভাব দেখে “বুদ্ধদেববাবু নিভৃতে কাঁদছেন” উক্তি পড়ে রাগ হয়েছে, আবার সুনীলই পেরেছেন ব্যক্তিগত অপছন্দের বাইরে গিয়ে বর্তমান শাসক দলের নেত্রীর ভাল দিকগুলো উল্লেখ করতে। বিরামহীনভাবে লড়ে গেছেন ইস্কুলে বাংলা ভাষাকে আবশ্যিক করার দাবীতে কিন্ত বাংলা মাধ্যমেই পড়তে হবে এমন কথা বলেন নি। বাংলা ভাষা নিয়ে চিন্তাভাবনাকে শুধু উদ্বেগ ও আবেগজড়িত ভাবনায় সীমাবদ্ধ না রেখে সরাসরি উপায় বাৎলেছেন। এইভাবে নিরন্তর নিজেকে ভাঙা-গড়ার মধ্যে দিয়ে সর্বদা সমকালীন হয়ে থাকার যে আশ্চর্য ক্ষমতা সুনীলের ছিল, তা কখনও তাঁকে বুড়ো হতে দেয়নি। কবি-শিল্পী-সাহিত্যিক বেঁচে থাকেন নিজের কাজের মধ্যে কিন্ত মানুষ হারিয়ে যায় । কবি ও লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় একই রকম থাকবেন কিন্ত নিজের স্বচ্ছ ভাবনার জন্য মানুষ সুনীল যে জায়গাটা জুড়ে ছিলেন সেটা শূন্য হয়ে গেল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন