এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • সুনীল গাঙ্গুলী - জনপ্রিয় বাংলা লেখক

    Abhyu
    বইপত্তর | ১৬ অক্টোবর ২০১১ | ১০৪৯২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কুলদা রায় | 34.90.91.2 | ২৩ অক্টোবর ২০১২ ১৮:৩৫494166
  • ১.
    সুনীল চলে গেলেন। তাঁর যাওয়ার মধ্যে দিয়ে পঞ্চ পাণ্ডবের তৃতীয় পাণ্ডবের পতন হল। আমারা যাতনা পাচ্ছি।
    তার বয়স হয়েছিল। গেল দু বছর ধরে তার বয়সটাও ফুটে উঠছিল তার চেহারায়। মনে হচ্ছিল তিনি বুড়ো হয়ে যাচ্ছেন। বুড়ো হয়ে গেলে মানুষকে চলে যেতে হয়।
    কিন্তু তাকে টের পাই তার সেই সময় পড়ে। বুঝতে পারি–তিনি চলে যাওয়ার লোক নন। সব সময় তাকে মনে করতে হবে সেই সময়ের মধ্যে দিয়ে। অন্তত আমি মনে করব।

    তিনি এর মধ্যে অনেকগুলো সুনীল হয়ে উঠেছিলেন। সেই ভয়ংকর সুন্দর সুনীল, সন্তুর কাকাবাবুর সুনীল, কৃত্তিবাসের সুনীল, হরিদাসপুরের ভবঘুরে সুনীল, তিন সমুদ্র সাতাশ নদী পেরোনো সুনীল, সনাতন পাঠক সুনীল, নীললোহিত সুনীল…. নীরার সুনীল।

    ২.
    আমার সুনীল কিন্তু সেই সময়ের সুনীল। পড়তে শুরু করেছিলাম দেশ পত্রিকায়। তারপর বইটি নীলক্ষেত থেকে কিনেছিলাম। দীর্ঘদিন আমার বালিশের পাশে থাকত। পরে আবিষ্কার করেছিলাম–তিনি, আমাদের সুনীল, সেই সময় লিখে সময়োত্তীর্ণ হয়ে গেলেন, সেটা প্রমথনাথ বিশীরই সম্প্রসারণ। প্রমথনাথ বিশী কেরী সাহেবের মুন্সী লিখে সুনীলকে সেই সময়, প্রথম আলোর পথ দেখিয়ে গিয়েছিলেন। সুনীল সে পথটিতে স্বচ্ছন্দভাবে নিজের পথ করে নিয়েছিলেন। এ ধরনের লেখা লিখতে হলে বুদ্ধের মতো বহু জন্মান্তর প্রয়োজন হয়। বহু প্রজন্মকে দেখতে হয়। ভবিষ্যৎ বুঝতে হয়। এ সবই সুনীলের ছিল।

    অদ্ভুতভাবে লক্ষ্য করি শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় , অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়, সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ এবং শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়–এই সমসাময়িক পাঁচ লেখক দেশভাগের পরের প্রজন্মের কথাকার। কথাসাহিত্যকে তারা পাঁচজনে পালটে দিয়েছেন। পাঁচজন পাঁচ রকম লেখক। কেউ কারো মতো নন। পাঁচ জনের লেখাই সাধারণ পাঠক পড়তে পারেন–পাঁচজনের লেখাই অসাধারণ পাঠকও পড়েন। তাদের কথার মধ্যে, শব্দের মধ্যে, বাক্যের মধ্যে, বিষয়ের মধ্যে অস্থি-মজ্জা-রক্তসহ প্রাণ প্রাণ হয়ে কথা কয়ে ওঠে। তারা নিজেরা তৈরি হয়েছেন। তৈরি করেছেন পাঠককে। কেউ ঠকেননি।

    আরেকটি মিল দেখতে পাই। পঞ্চ পাণ্ডবের চারজনই আমাদের বাংলাদেশের। শ্যামল বরিশালের, সুনীল মাদারীপুরের, অতীন নরসিংদীর এবং শীর্ষেন্দু ময়মনসিংহের। বাংলাদেশের মাটি, মানুষ, প্রকৃতি তাদের লেখার পটভূমি। এ কারণেই তারা উদার। সরল। সৎ। সকলের। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নিবিড় ছাত্র।
    ৩.
    আমার বিবেচনায় এই পঞ্চ পাণ্ডব বুদ্ধদেব বসু পরবর্তী প্রজন্ম। এরা যাদুর কাঠী নিয়ে জন্মেছিলেন। আবার সময়ের সাথে সাথে কাঠিটাকে ঘসে-মেজে তাগদ বাড়িয়েছিলেন।
    তাকে তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুনের সঙ্গে তুলিনা করেছি। সাহিত্যের সব শাখায়ই তার অনায়াসসাধ্য গমনাগমন ছিল।
    তবে শ্যামল এবং অতীন যেভাবে আপোসহীন ছিলেন তাদের লেখালেখিতে--মাঝে মাঝে সুনীল মধ্যপন্থা নিয়েছেন। সেটা হয়তো আমাদের অনেকের পছন্দ হয়নি। যে রকম করে শীর্ষেন্দুর ঈর্ষণীয় জাদুকরী ক্ষমতাকে জনপ্রিয় ধারার বাইরে নিতে চাননি--অপচয় করেছেন বলেই মনে হয়, শেষমেষ তাকে একজন লেখার ব্যাপারীই বলে ভ্রম হয়, সেখানে শ্যামল, অতীন ব্যাপারীত্বকে স্বজ্ঞানে প্রত্যাখ্যান করেছেন। নিজেদের পথ ছাড়া হাটেননি।
  • Abhyu | 107.81.86.213 | ২৩ অক্টোবর ২০১২ ২১:০৫494167
  • বছরখানেক আগে টইটা খুলেছিলাম দেখছি, তখন কে জানত ...?

    সেই সময়, প্রথম আলো ভালো লেগেছিল। কিন্তু প্রথম ভালো লেগেছিল ধারাবাহিক পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক। যখন আর একটু বড়ো হয়ে গেছি তখন আবার একটা ধারাবাহিক বের হল - উদাসী রাজকুমার।

    গাল তো কম দিই নি, কিন্তু চলে যাবার পরে ...
  • j | 151.197.12.183 | ২৩ অক্টোবর ২০১২ ২১:২৪494168
  • এই শুনলাম খবরটা

    খুব খারাপ লাগল
  • lcm | 138.48.127.32 | ২৩ অক্টোবর ২০১২ ২২:২৫494169
  • এক জায়গায় দিই ---

    সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় নেই।
    সেই ভয়ংকর সুন্দর সুনীল, সন্তুর কাকাবাবুর সুনীল, কৃত্তিবাসের সুনীল, হরিদাসপুরের ভবঘুরে সুনীল, তিন সমুদ্র সাতাশ নদী পেরোনো সুনীল, সনাতন পাঠক সুনীল, নীললোহিত সুনীল.... নীরার সুনীল।
    আমাদের ছোটোবেলার আকাশ জুড়ে ছিল দুই সুনীল - গাঙ্গুলী আর গাভাসকার। কিশোর বয়েসে পড়া প্রথম বড় গপ্পো - সত্যি রাজপুত্র - ঘোর লেগেছিল। কী লেখেননি ভদ্রলোক - কবিতা, গপ্পো, উপন্যাস....
    একবার ওর ম্যান্ডেভিলা গার্ডেন্সের ফ্ল্যাটে গেছিলাম। যে ছেলেটির সাথে গেছিলাম, সে ওকে দুম করে জিগ্গেস করল - আপনি আজকাল আর কর্পোরেশনে বসছেন না? (আমি বেশ বিব্রত, সুনীল একেবারেই নন)
    সুনীল একবার প্রশ্নকর্তাকে দেখলেন - কেন বলো তো ভাই।
    - ঐ যে আপনি তো শেরিফ না কি যেন
    - ওহো, না, আমি তো আর নই এখন।
    ব্যস। অন্য টুকটাক কথাবার্তা - ওর একটি ওয়েব সাইট বানিয়েছেন একজন, তার কথা বললেন। বাংলায় টাইপ করার সমস্যা নিয়ে টুকিটাকি কথা। পরবাস-এর কথা জিগ্গেস করলেন। আমার এক বন্ধুর আইআইটি-র ক্লাসমেট ছিল ওর ছেলে - ছেলের কথা বলতে বন্ধুর নাম জিগ্গেস করলেন, চোখ দুটি সামান্য চকচক করল যেন।
    এর পরে দেখলাম, স্যান হোসে-তে ২০০৯ এর বঙ্গ সম্মেলনে। বললেন, বেশীক্ষণ হাঁটাচলা করতে কষ্ট হয়। সুনীল মন দিয়ে হাঁটতে পারছেন না - এ যেন মেলানো যায় না। শেষের দিকে পা চলত না বলেই কি সুনীলের হাত তেমন চলত না!

    সুনীলের কলম যেন ছিল (পাস্ট টেন্স লিখতে হচ্ছে ভেবে কেমন লাগছে) এক জেনারেশনের কলম, সকলের কলমের নিব দিয়ে যত লেখা যেন যেন ঝরে পড়ত সুনীলের কলম দিয়ে -
    ।।।
    আমি গরীব ইস্কুল মাস্টারের ছেলে দাঁড়িয়ে আছি রাস্তায় হাঁ করে
    জলকাচা ধুতির ওপর পেঁজা শার্ট-পরে, পায়ে রবারের স্যান্ডেল
    আমার কোনো জ্যোতিদাদা ছিল না, পিয়ানো-অর্গান শুনিনি
    সাত জন্মে
    আমার বাবা কোনো দিন সিমলে পাহাড়ে যান নি আমাকে নিয়ে
    জন্মদিনে রূপোর চামচে পায়াসান্ন খাওয়া দূরে থাক, ফ্যানা ভাতে
    কোনোদিন ঘি জোটেনি
    তবু আমি কি কেউ না?
    ...
    (পুরোটা আছে, টাইপ করতে হবে)

    বালক সুনীল -

    নৌকোয় -

    অ্যালেন গিন্‌সবার্গ-এর সঙ্গে -
  • সৈকত | 126.203.214.249 | ২৩ অক্টোবর ২০১২ ২৩:৩২494170
  • জাস্ট একটা যুগ শেষ হয়ে গেল। বেশ কিছুদিনই শুরু হয়েছে। শক্তি-শ্যমল-সন্দীপন-প্রনবেন্দু। পড়ে রইলেন আর কে ? শরৎ, উৎপল। আমরা সাহিত্যিক নই, সাহিত্য (উইদিন কোটস ) করতে চাইছি না, শুধু পরখ করতে চাইছি, নিজেদেরই, যে, হ্যাঁ, লিখতে পারি কি পারি না, এরকম একটা রোখ নিয়ে এই গ্রুপটার, এই বন্ধু-বান্ধব আর হুল্লোরবাজদের যাবতীয় লেখালেখি। মাঝখান থেকে কী হল, না, বন্ধু-বান্ধব জোটালেই, সমমনস্ক হলেই লেখালেখি করা যায়, একে অপরকে সাহস যোগানো যায়, সাথে ঝগড়াও থাকে, একে অপরকে ঠোনা দেওয়াও থাকে, কিন্তু তারপর কিছু লেখাও থেকে যায়।। এক দশকে সঙ্ঘ ভেঙে গেলেও ক্যমরাদেরি-টা দীর্ঘদিন পরেও মিথ হয়ে থেকে যায়। লেখালেখিটা যখন অন্যরকম করব ভাবছি, সমালোচকরা (বাংলা ভাষার অন্তত) বিশেষ কিছু বোঝেন না, এরকম অনেকটা ভেবে নিতে পারছি যখন, তখন নিজের রোখটাই সম্বল। এই দলটা, এই লোকগুলো এই ব্যাপারগুলো চালিয়ে নিয়ে গেছিল। তারপর কে সভাকবি হল, কে প্রফেসর হল, কে পুনরাবৃত্তি করল, তাতে যে একেবারে যায় আসেনা, তা বলিনা, কিন্তু কোন লেখকেরই বা পুরো শরীরটা থাকে, কারওর মাথা থাকে, হাত থাকে কারওর, কারওর আঙুল, নখ-টখও শুধু থেকে যেতে পারে ! সুনীল গাংগুলীরও থেকে যাবে ঠিকই।
  • শ্রাবণী | 24.99.212.26 | ২৩ অক্টোবর ২০১২ ২৩:৩৭494171
  • এত ভালো লাগা যে এ সময় আর কী খারাপ লেগেছিল মনে পড়ছেনা, আশাকরি এভাবেই স্মৃতিটুকু থেকে যাবে, সুখস্মৃতি.........নীললোহিতের মত বেরিয়ে পড়তে চেয়েছি অনেকবার, ভিনদেশে অনেক জায়গা দেখে হঠাৎ মনে হয়েছে, আরে চিনি তো.....কীভাবে ভাবতে গিয়ে বুঝেছি আসলে বইয়ের পাতায় এরকমই কোথাও ঘুরেছি বা ঘুরব ভেবেছি, নীললোহিত বা কালকূট এদের সঙ্গে...........প্রেমে পড়িনি কোনদিন, ভবঘুরে লোকেদের প্রতি আমার হিংসে হয়, প্রেম হয়না........................
  • Lama | 127.194.228.25 | ২৪ অক্টোবর ২০১২ ০১:৩২494172
  • নীরবে সেলাম জানিয়ে যাই



    আর সঙ্গে সঙ্গে বলি, সময়োচিত প্রস্থান। ইদানীং আর সহ্য করতে পারছিলাম না দায়সারা কিছু লেখা। তবু তাঁর প্রতি ভালোবাসা একবিন্দু কমে নি, কমবে না। হয়তো আমার মত আরো অনেক পাঠককে ভালোবাসা ভেঙ্গে যাবার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিয়ে গেলেন।
  • nina | 78.34.167.250 | ২৪ অক্টোবর ২০১২ ০৪:০১494173
  • কেমন যেন চারিপাশ ফাঁকা লাগছে ----ভাল মন্দের উর্দ্ধে--সুনীল দিয়ে শুরু হয়েছে বাল্য-কৈশোর, যৌবন ও জীবনের বিকেলবেলার --কত কথা কত অনুভূতির ছবি চিনতে শেখা----

    এবারের পূজোসংখ্যায় দুটি কবিতার শেষের লাইন পড়ে--

    "দেশে--এক সন্তানের শেষের লাইনটি
    একটিমাত্র সন্তান
    স্বাতী এখন ভুল বুঝতে পারছে !

    "আনন্দবাজারে
    স্বাতী, তোমার সঙ্গে--

    স্বাতী ,মা তোমাকে এতো ভালবাসতেন বলে
    তোমাকে আরও বেশি ভালবাসতে ইচ্ছে করছে
    মনে হচ্ছে, যেন তোমার হাতটা একবার ধরলেই
    মা' কে আমার একটুখানি ছোঁয়া----

    কেমন যেন বুকের মধ্যে ধ্বক করে উঠেছিল--কেমন যেন বিদায়ের সুর বেজেছিল---
    শেষ দেখেছি বস্টনের বঙ্গসন্মেলনে--হুইল চেয়ারে দেখে বড্ড কষ্ট হয়েছিল----
    এমন হঠাৎ এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন ভাবিনি---

    এবারে নাকি দূর্গামার আগমন ও গমন খুব শুভ---
    তাই কি কিছু সেরা সন্তানদের সঙ্গে নিলেন এবার?! কি জানি!!
  • 3Q | 161.141.84.81 | ২৪ অক্টোবর ২০১২ ০৪:৩৬494174
  • মাঝে মাঝে সব ছেড়ে পালিয়ে যেতে ইচ্ছে করে, চেনাজানা এইসব পথগুলো পার হয়ে, চেনা ঘরগুলো সব পিছনে ফেলে, অনেক দূরে অনেক দূরে কোনো নীল অচেনায় ডুবে যেতে ইচ্ছে করে। স্নিগ্ধ সরোবরের অবগাহনের মতন এক আনন্দের কথা মনে আসে, দূরে মিলিয়ে যাওয়ায় আনন্দ কি সেরকম?
    সবুজ অরণ্যের ভিতরে আকাশ থেকে ঝরে পড়া জ্যোত্স্নার মতন চন্দ্রহার নামে এক নদীর কথা মনে আসে, সেই নদী পেরোলেই নাকি এক সবুজ টিলার উপরে ছড়িয়ে পড়ে আছে অপার্থিব পাথরেরা। সেই পাথরখন্ডগুলোর একটাকে ছুঁলেই আর দিকবন্ধন থাকে না, উড়ে যাওয়া যায় উত্তরদক্ষিণ পূর্বপশ্চিম ঈশান বায়ু অগ্নি নৈঋতের শিকল ছিঁড়ে, উড়ে যাওয়া যায় দিকশূন্যপুরে।

    সেইখানেই এবারে চলে গেছে নীল, নীললোহিত, চিরকালের মত। এমনিতে ও মাঝে মাঝে যেতো সেখানে, ফিরেও আসতো, কিন্তু এবারে আর ফিরবে না। তীরপূর্ণীর ধারে জ্যোৎস্নায় দুলছে আদিগন্ত কাশের বন, নীললোহিত আর ফিরে দেখবে না।

    তার দিকশূন্যপুরে বাজনা বাজছে, সেখানে জ্যোত্স্নায় সারারাত নাচগানের আসর, সেখানে তারায় তারায় অণির্বান দীপাবলি।

    বন্দনাদি গান গাইছে, রোহিলা মাঝে মাঝে গলা মেলাচ্ছে, সুরথ মাদল বাজাচ্ছে, জয়দীপ চুপ করে বসে আছে। রাজন বলছে, "কী হে নীলু, তুমি তো কেবল আসো আর পালাও, এবারে পালাবে কবে?"

    যাদুকর মেঘনাদ যে কিনা এখন নাম নিয়েছে অচিন্ত্যনীয়, সে বলছে, "নাহ, নীলু আর পালাবে না। এবারে একেবারেই এসে গেছে।"
  • vikram | 93.147.135.239 | ২৪ অক্টোবর ২০১২ ১৫:৪৭494176
  • মারা যাবার কদিন আগে (ত্রিশে মার্চ, ১৯৯৭) অ্যালেন গিন্সবার্গের লেখা একটি কবিতাঃ

    Things I'll Not Do

    Never go to Bulgaria, had a booklet & invitation
    Same Albania, invited last year, privately by Lottery scammers or
    recovering alcoholics,
    Or enlightened poets of the antique land of Hades Gates
    Nor visit Lhasa live in Hilton or Ngawang Gelek's househod & weary ascend Potala
    Nor even return to Kashi "oldest continuously habited city in the world"
    bathe in Ganges & sit again at Manikarnika ghat with Peter,
    visit Lord Jagannath again in Puri, never back to Birbhum take
    notes tales of Khaki Baba
    Or hear music festivals in Madras with Philip
    Or return to have Chai with older Sunil & the young coffeeshop poets,
    Tie my head on a block in the Chinatown opium den, pass by Moslem
    Hotel, its rooftop Tinsmith Street Choudui Chowh Nimtallah
    Burning ground nor smoke ganja on the Hooghly
    Nor the alleyways of Achmed's Fez, nevermore drink mint tea at Soco Chico, visit Paul B. in Tangiers
    Or see the Sphinx in Desert at Sunrise or sunset, morn & dusk in the
    desert
    Ancient collsapsed Beirut, sad bombed Babylon & Ur of old, Syria's
    grim mysteries all Araby and Saudi deserts, Yemen's sprightly
    folk,
    Old opium tribal Afghanistan, Tibet-Templed Beluchistan
    See Shanghai again, nor caves of Dunhuang
    Nor climb E.12th Street's stairway 3 flights again,
    Nor go to literary Argentina, accompany Glass to Sao Paolo & live a
    month in a flat Rio's beaches & favella boys, Bahia's great
    Carnival
    Nor more daydream of Bali, too far Adelaide' festival to get new song
    sticks
    Not see the new slums of Jakarta, mysterious Borneo forests & painted men & women
    No more Sunset Boulevard, Melrose Avenue, Oz on the Ocean Way
    Old cousin Danny Leegant, memories of Aunt Edith in Santa Monica
    No more sweet summers with lovers, teaching Blake at Naropa,
    Mind Writing Slogans, new modern American Poetics, Williams
    Kerouac Reznikoff Rakosi Corso Creely Orlovsky
    Anyn visits to B'nai Israel graves of Buba, Aunt Rose, Harry Meltzer and
    Aunt Clara, Father Louis
    Not myself except in an urn of ashes
  • MR | 183.74.228.249 | ২৫ অক্টোবর ২০১২ ০৪:০৯494177
  • সত্যিই দুই পূজা সংখ্যায় প্রথম দুটো কবিতা পড়ে একটু খটকা লেগেছিল।
  • lcm | 138.48.127.32 | ২৫ অক্টোবর ২০১২ ০৪:২৩494178
  • গিন্সবার্গের ভূত গিয়ে সুনীলের সাথে চা খাবে না লিখেচে...
  • kumu | 132.160.159.184 | ২৫ অক্টোবর ২০১২ ১০:৫৪494179
  • লামা লিখে দিয়েছে আমার কথা-
    কবিতার জন্য যিনি অমরত্ব তাচ্ছিল্য করেছিলেন তাঁকে নমষ্কার।
  • বলরাম হাড়ি | 125.111.248.6 | ২৫ অক্টোবর ২০১২ ১৯:০৮494180
  • স্রেফ "সেই সময়"-এর জন্য লোকটাকে আজীবন মনে রাখব। রিসার্চ করে উপন্যাস লেখার ট্র্যাডিশন আর বেঁচে থাকবে কি না জানি না।
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৫ অক্টোবর ২০১২ ২০:৫৭494181
  • প্রথম আলো, পূর্ব পশ্চিম, নিঃসঙ্গ সম্রাট (শিশির ভাদুড়ীর জীবন নিয়ে) - আরও কিছু (কম-বেশি) রিসার্চ বেসড লেখা।
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৫ অক্টোবর ২০১২ ২১:১৪494182
  • name: h mail: country:

    IP Address : 213.99.212.53 (*) Date:25 Oct 2012 -- 09:10 PM

    তবে প্রচলিত ধারণার বাইরে মানে , সত্যনিষ্ঠ ভাবে বাইরে, হুমায়ুন সম্পর্কে করা মেহবুব খানের ছবিতে, দেখানো হয়েছিল, হুমায়ুন প্রায় সোশালিস্ট একজন সম্রাট ;-) প্রোডাকশন কোম্পানির লোগো ছিল কাস্তে হাতুড়ি আর ইন্টারন্যাশনালের সুর। ১৯৪৫। ওরকম করলে নজ্জা করে ;-)

    --------------------------------------------------------------------------------

    name: h mail: country:

    IP Address : 213.99.212.53 (*) Date:25 Oct 2012 -- 09:05 PM

    মাইরি বৈজয়ন্ত, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের টই তে আমার লেখার কল টা খুলছে না। তোমার শেষ কমেন্ট টার প্রেক্ষিতে আমার একটা কথা বলার ছিল, বিদেশী উপন্যাসে, উল্টে, বেশি রিসার্চ টাই একটা সমস্যা। যদিও আমি এই স্কুলের ফ্যান। প্রচুর তথ্যভান্ডার ঘেঁটে লেখা উপন্যাসে অনেকেই ঠিক ঠাক সোল খুঁজে পান না। তবে ইতিহাস আর গল্প মেশানো টা কখন উতরোবে আর কেন উতরোবে এটা বলা বেশ কঠিন। কখনো লোকে গল্প বেশি ভালো বাসে, কখনো ইতিহাস বেশি ভালোবাসে।

    আমার নিজের ক্রাইটেরিয়া হল, ঐতিহাসিক বিষয়ে শুধু নভেল নয়, যে কোন কালচারাল প্রোডাকশন সম্পর্কে, একটা সময় সম্পর্কে মানুষের যে প্রচলিত ধারণা, যেটা কিনা অখাদ্য স্কুল-পাঠ্য বই থেকে শুরু করে টডের রাজস্থান জাতীয় বিশেষ ধরণের সিলেকটিভ চয়েস অফ মিথিলোজি, অমর চিত্র কথা সব ই হতে পারে, সেই অতি শক্তিশালী ধারণা, যেটা আকাডেমিক ইতিহাসের থেকে ঢের বেশি শক্তিশালী, কারণ আকাডেমিক ইতিহাসে তাও বিতর্ক আছে, অমর চিত্র কথায় তো কোন বিতর্ক নেই, স্কুল-পাঠ্য পুস্তকেও নেই,তো সেই প্রচলিত ধারণার বাইরে, কোন যদি ভিসন পাই, লেখার সময়ের পোলিটিকাল এক্সিজেন্সীর বাইরে তৈরি করা কোন ভিসন পাই, তাইলে ভাল্লাগে নইলে লাগে না। এটা, আমি সুনীল গংগোপাধ্যায়ের লেখায় বিশেষ পাইনি।
    আরেকটা কথাও মনে হয়েছে, তুমি যেটা প্রায় ই পার্সোনালি বলো, মনে আছে, আমাকে আর স্টৈক কে বলেছিলে, বোধ হয় দমুকেও এইখানে লিখেছিলে, ডালরিপ্ম্পল এর বই পড়ার পরে, যে আমাদের দেশে জেনেরাল হিস্টরির তথ্যপূর্ণ বই পপুলার বই খুব কম এম্নিতে। ফেয়ার কমেন্ট, একমত। কিন্তু সেই অভাব থাকার কারণেই হয়তো 'সেই সময়' বা প্রথম আলো' পপুলার হয়েছে, ইভেন ইফ উই ডিসকাউন্ট দ্য অ্যামেজিং পাবলিসিটি মেশিনারি অফ আবাপ। হিস্টরি অ্যাজ হিস্টরি (ওরাল ইন্ক্লুডেড) অ্যান্ড নট অ্যাজ কালচারাল ট্র্যাডিশন, এটা আমাদের দেশে কম হয়েছে। এটা সুনীল বাবুর সমস্যা না, ইতিহাস চর্চার সমস্যা, তবে সমাধান উনি যা বাতলেছেন, আমার পসন্দ হয় নি;-) সরি দুঃখের দিনে ছোটো মুখে বড় কথা বলছি। শ্রদ্ধা না হারিয়েই বলছি।

    ভদ্রলোক কবি হিসেবে হয়তো অনেক বড়, সত্যি ই বড়, আমার ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমি আবার কবিতায় তো স্লাইট চাপে।
  • | 24.96.114.255 | ২৫ অক্টোবর ২০১২ ২১:৪৩494183
  • হুঁ এই 'সেই সময়'টাই ওঁর সবকটা ঐতিহাসিক উপন্যাসের মধ্যে পিরিয়ড পিস মনে হয়। বাকীগুলো ততটা ইয়ে লাগেনি ........
  • dd | 132.167.15.168 | ২৫ অক্টোবর ২০১২ ২৩:৪১494184
  • না,ন্যা,নাঃ।
    এমত অবস্থায় মাউস না ধরে পারছি না। নো। মানে ইয়েস।

    দেখুন। আপনেরা যারা ছেলেমানুষ, তাদেরকে জিগাই। বাংলা এসেতে কারে বার বার কোট করেছেন? শুনি? সেই টেগোর বাবুকেই তো?
    জানেন? এবরে বাচ্ছারা সুনীলদাকে কোট করবে। করবেই। সেই "ভ্রু পল্লবে ডাক দিলে দ্যাখা হবে চন্দনের বনে" বা"কেউ কথা রাখে নি" বা আমার বাবা বলেছিলো, আমরাও একদিন....."

    জানেন, বুকের ভিতর তো সামান্য কথা, প্রস্টেট গ্ল্যান্ডে পর্যন্ত্য ভিৎ নড়ে যায়। সামান্য কথায় ছুঁয়ে যায় সুনীল। মেরুদন্ডের ফাউন্ডেশন কেঁপে যায়। হাইড্রোসিল টনটন করে।

    তেমনটি কেউ পারে নি। গোলাপকে স্রেফ গোলাপ বলে পদ্য লেখা সহজ নয়। কোদালকে স্পেড। উনি পেরেছিলেন।

    ইত্যকারে কবি সুনীলের মুল্যায়ন করলেম। উনি এপ্রুভ করতেন। আমি জানি।
  • dd | 132.167.15.168 | ২৫ অক্টোবর ২০১২ ২৩:৪৮494185
  • আরেকটা কথা,
    ঐ যে R2H লিখলেন ভাটের পাতায়। রাত এগারোটা নাগাদ। ১০০% খাঁটি।

    ওটাও আমার মনের কথা। আইএস ও সার্টিফায়েড।

    জানেন। দুঃখ পেলাম। আমিও। শক্তি চলে গেলো। আমার কাছে নিউস ছিলো মাত্র। কিন্তু চারুবাবু মারা যাবার কথা শুনে বুক কেনো, সারা শরীর শুন্য মনে হয়েছিলো।

    হঠাৎ একটা ,অমনি, অহৈতুকী ভ্যাকুয়াম, গ্রাস করিলো। দুঃখ পাবার তো চুক্তি ছিলো না। কিন্তু.....
  • ranjan roy | 24.99.67.92 | ২৫ অক্টোবর ২০১২ ২৩:৫৭494187
  • ডিডি,
    লাইকালাম। কিন্তু ঔপন্যাসিক সুনীল সম্বন্ধে বলরাম হাড়ি ও হনুর কথায় দম আছে।
  • 3Q | 161.141.84.239 | ২৫ অক্টোবর ২০১২ ২৩:৫৯494188
  • গোলাপকে শুধু গোলাপ কেন, গোপাল বলেও চালিয়ে দিতে পারতেন সুনীল, লেখার টান কমতো না, সেইদিক থেকে দেখলে খুবই শক্তিমান লেখক। তবে ফরমায়েশী লেখা যখন লিখতেন, ভালো হোতো না, উনি নিজেও মনে হয় জানতেন। খুব মুশকিল হয় লেখক হিসাবে নাম হয়ে গেলে আর বুড়ো বয়স অবধি বেঁচে থাকলে তখন এঁদের মনে হয় বাধ্য হয়ে ফরমায়েসী লেখা লিখতে হয়। প্রেমেন্দ্র মিত্র শিব্রাম চক্রবর্তী অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় আরো অনেকে--সবাইকেই এই ফ্যাসাদে পড়তে হয়েছিলো।
  • dd | 132.167.15.168 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ০০:০৮494189
  • @ রণজন।

    আরেঃ। তুমিও য্যামোন। দাঁড়াও পাঠকবর। আমি, নাঃ, অ্যাখন তো সম্ভব নয়, কাল সকালে বা দুকুরে যখন ঔপন্যাসিক সুনীলকে নিয়ে কয়েক ছত্র লিখে দেবো তো তোমার মুখটা দিস কাইন্ড অব স্মল হয়ে যাবে। টের পাবে। দমদমাদ্দম কাকে বলে। দোদমা,চৌদমা। ইঃ।

    এট্টু ওয়েট করো।
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ০০:২৭494190
  • এই স্মৃতিচারণটাও এখানে থাকা উচিত।

    name: r2h mail: country:

    IP Address : 208.175.62.19 (*) Date:25 Oct 2012 -- 10:58 PM

    আমি খুব সিরিয়াস পড়াশোনা কখনো করিনি। এই দুটো গল্প উপন্যাস রম্যরচনা কবিতা এইসব, তাও সহজবোধ্য আর সহজপাঠ্য না হলে টানতে পারিনা। তো সুনীল আমার প্রিয় লেখক। লেখক এবং এমনি একজন আর্বিট লোক হিসেবেও সুনীল বিষয়ে আমি বিশাল ইম্প্রেসড চিরকাল। শুধু সাহিত্য করে লোকজনের ওপর এরকম রেল নিয়ে এবং ছড়ি ঘুরিয়ে বাঁচা যায় সেটাও আমার চোখে বিস্ময়কর। যখন সুনীলের লেখাপত্র, কাকাবাবু কিংবা তিন নম্বর চোখ কিংবা নীল মানুষ, বা এমনকি সেই বয়সে নিষিদ্ধ পূর্ব পশ্চিম এইসব পড়তে শুরু করি তখন তো আর এসব জানতাম না, কিন্তু গুণদা তালুকদার বা ইঙ্গমার স্মেল্ট, আর একটু পাখোয়াজ হওয়ার পর পিকলু বাবলু অলি এরা সব বড়ই কাছের লোক ছিল। আর কিছু পাওয়ার ছিলনা ঠিকই। কিন্তু যেন ছোটবেলার চেনা লোক।
    আমার খুব সহজে শোকবোধ হয়না, এমনকী পরিচিত মানুষের মৃত্যুসংবাদে শোকের অভাব দেখে নিজের নিষ্ঠুরতায় বিচলিত হয়ে পড়ি। কিন্তু সুনীল যেন শোক দিলেন একটু। সাহিত্যের মূল্যায়ন বা নাট্যকাব্য না কাব্যনাট্য সেসব তো আমি বলতে পারিনা, সবই ব্যাক্তিগত ভাট। লেখক সাহিত্যিক এইসবের বাইরেও যেন বড়ই চেনা লোক। 'ছিলেন'টা লিখতে এখনো ইচ্ছে করলো না, আর কটা দিন যাক। শোকের আয়ু তো কমই।
  • 3Q | 161.141.84.239 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ০০:৩৬494191
  • ডিডি, এখনই পড়তে চাই আপনার মূল্যায়ণ। ঃ-)
  • nina | 78.34.167.250 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ০২:৩৭494192
  • হুতো, বড় সুন্দর করে বলেছিস--মনটা ছুঁয়ে গেল!
  • i | 147.157.8.253 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ০৪:১৮494193
  • সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের গদ্যর একটা মজা - সহজ শব্দ, বাক্য , বর্ণনা; লেখক যেন দেখছেন আর লিখে চলেছেন। দেখাটুকুই লিখছেন। তার বাইরে কিছু না। লেখকের প্রার্থিত নির্লিপ্ততা খুব সহজে এসেছে সুনীলের গদ্যে। হয়তো এই গদ্যরীতির জন্যই।
    তুমুল জনপ্রিয়তা স্বাভাবিক- এই সহজ নির্লিপ্ত লেখার। আবার ঠিক এই কারণেই পাঠকের এক অংশ কিছুটা মুখ ফিরিয়েই রইলেন।

    আর একটা কথা যেটা আমার ব্যক্তিগতভাবে বারে বারে মনে হয়েছে-গদ্য, কবিতা দুক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আমাদের বহু অনুভূতি, বোধ কেমন ভোঁতা হয়ে যায় তো প্রাত্যহিকতায়, অনেক স্মৃতির ডিটেইলসেও পলি জমে-সময়ের মূলতঃ। সুনীলের বহু লেখায় পাঠকের ঐ পলি সরে যায় । আমার তো হয়েছে বেশ কয়েকবার। অনেকদিন আগের একটা গল্প -নাম তো মনে পড়ছে না-একটি অল্পবয়সী মেয়ে বাড়ির আরও অনেকের সঙ্গে পাহাড়ে বেড়াতে গেছে-তার কিচ্ছু ভালো লাগছে না-কিচ্ছুই না-তো এক রাত্রে তার জল তেষ্টা পায়, ঘুম থেকে উঠে সে যখন জল খেতে যাবে তখন তার নাকে মুখে মাকড়সার জাল লেগে যায় সম্ভবতঃ সেটি সরাতে গিয়ে বোধ হয় তার জানলায় চোখ যায়- জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে পাহাড়-তার মনে হয় এ দৃশ্য তো শুধু তারই জন্য... এই ঘুম ভেঙে যাওয়া, জল খেতে ওঠা, মাকড়শার জাল-সবই যেন তাকে এই দৃশ্য দেখানোর জন্য ....
  • 3Q | 161.141.84.81 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ০৪:৩৫494194
  • ছোটাই, ওটা "রাতপাখি", গল্পটার নাম "রাতপাখি"।
    আমার মন খারাপ হলেই ঐ গল্পটা বার করে পড়ি, একটা অদ্ভুত মায়া আছে গল্পটায়। ঐ জ্যোৎস্না, ঐ অদ্ভুত সুন্দর জায়্গাটা, ঐ ট্রিটিউ ট্রিটিউ বলে ডেকে ওঠা রাতপাখিটা।

    সুনীলের আর একটা লেখা ওরকম মায়ায় জড়িয়ে টানে, "পাতাপাহাড়ীর বনদেবতা"। গাছপালা আর অরণ্যের মায়া সেখানে, কেমন একটা যেন গভীর রহস্যের আঁচল উড়ে উড়ে পড়ে মনের উপরে, প্রতিদিনের আহারনিদ্রাকর্মের জীবনে যা অসম্ভব বা যার জন্য সময় নেই মনে হয়, কিন্তু ঐ লেখার মধ্যে গিয়ে আর কিছুই অসম্ভব মনে হয় না, তখন সেই মায়াটুকু সেই ম্যাজিকটুকু সত্য মনে হয়।
  • 3Q | 161.141.84.81 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ০৪:৩৯494195
  • কিছুদিন আগে নতুন করে পড়ছিলাম "অমৃতের পুত্রকন্যা", এটাও সুনীলের আরেকটা সেই ধরনের লেখা, একটা মায়াময় ম্যাজিক ছড়িয়ে থাকে লেখাটার পরতে পরতে। নিত্যকার জীবনের সংঘর্ষে মলিন ক্লান্ত বিরক্ত মন যেন সেই লেখার মধ্যে গিয়ে একটা শান্তি পায়, তখন সেইখানের ম্যাজিক আর মায়াটুকু সত্য হয়ে যায়।
  • aranya | 78.38.243.161 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ০৫:২০494196
  • অমৃতের পুত্রকন্যা মনে আছে, বেশ ভাল লেগেছিল। পাতাপাহাড়ীর বনদেবতা কেন মনে পড়ছে না - এটা কি নীললোহিত?
  • i | 147.157.8.253 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ০৫:৩২494198
  • হ্যাঁ রাতপাখি-ই।
    যে অনুভূতি বা বোধের ওপর থেকে পলি সরে যাবার কথা বলছিলাম, সে সব যে খুব কিছু মহতী , অনন্য কিছু তা নয়-আমাদের কল্পনা, বোধ, ছোটো ছোটো চিন্তা যা দৈনন্দিনে কেমন জট পাকিয়ে থাকে-আলাদা করে বুঝতেও পারি না যে এরকম ভাবছি/ ভেবেছিলাম সেই সব কিছু সুনীলের বহু লেখায় খুব স্পষ্ট আর তীক্ষ্ণ হয়ে ওঠে নিজের কাছে।
    কিন্তু আবার ঐ পর্যন্তই। এর বেশি কিছু না।যা ভাবি নি অথচ ভাবা যেত/ ভাবা যায়-এই ব্যাপারটা সুনীলের লেখা পড়ে হয় নি। আর তারও ওপরে অর্থাৎ নিজস্ব নির্মাণের তীব্র ইচ্ছে -সেটিও কোনদিন জাগে নি সুনীলের লেখা পড়ে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন