এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • সুনীল গাঙ্গুলী - জনপ্রিয় বাংলা লেখক

    Abhyu
    বইপত্তর | ১৬ অক্টোবর ২০১১ | ১০৪৮৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • i | 147.157.8.253 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ০৫:৩৪494199
  • কাকাবাবু, সন্তুর আগের কথা। একটা ছোটো গল্প লিখেছিলেন সুনীল। জ্যান্ত খেলনা। সাঙ্ঘাতিক ভালো।
  • 3Q | 161.141.84.239 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ০৫:৩৫494200
  • ঠিক, পাতাপাহাড়ীর বনদেবতা নীললোহিতের গল্প, সেখানে মেঘনাদ বলে এক অফিসারও আছে। মনে হয় মেঘনাদ নামটা নীললোহিতের খুব পছন্দের ছিলো। ঃ-)
  • 3Q | 161.141.84.239 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ০৫:৩৮494201
  • জ্যান্ত খেলনা। যদ্দুর সম্ভব পড়িনি মনে হয়, না হলে একেবারেই ভুলে গেছি। গল্পটা কী নিয়ে?
  • i | 147.157.8.253 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ০৬:০১494202
  • ৭০ এর কোনো এক সময়ে বেরিয়েছিল আনন্দমেলাতে। ভালো লেখা কেটে কেটে বাঁধিয়ে রাখা হোতো একসঙ্গে। সেভাবেই পড়েছিলাম।
    একটা ছোটো ছেলে গাছের ডাল, পাথরের টুকরো, ভাঙা ব্যাডমিন্টনের র‌্যাকেট , এই সব নিয়ে খেলতো সব সময়। আত্মীয়পরিজন বা বইএর চরিত্রর নাম দিত সেই সব খেলনার, তাদের সঙ্গে গল্প করত। যেমন র‌্যাকেটের ছেঁড়া জালে পাকানো কাগজ আটকে গল্প জুড়্ত- বাবা সিগারেট খাবে?।।এরকম..
    তারপরে যেটা হোলো-গাছের ডাল -যাকে হয়তো ছেলেটি ছোটোমামা বলত -ভেঙে গেলে সত্যিকারের ছোটোমামারও হাত ভেঙে যায়.. আরও অনেক কিছু ঘটে এরকম। মা ভয় পান।
    তারপর মা বোধ হয় সব খেলনা ফেলে দিলেন আর ছেলেটিকে সেই সব খেলনা কিনে দিলেন যেখানে কল্পনার কোনো ঠাঁই নেই।
  • সিধু | 141.104.245.196 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ০৬:০৪494203
  • মহামতি সক্রেটিস
    মনীষার সমুদ্র অথৈ
    লেখেননি একটিও বই
    সুনীলের গ্রন্থসংখ্যা
    চারশো নব্বই
  • aranya | 78.38.243.161 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ০৬:০৫494204
  • বছর কুড়ি আগে রাটগার্স ক্যাম্পাসে একটা ছোট জমায়েত মত হয়েছিল, সুনীল আর স্বাতী ছিলেন, সুনীল কবিতা পড়লেন। আমরা ছাত্ররা স্বাতীর সংগঠন পথের পাঁচালীর জন্য কিছু টাকা তুলে দিয়েছিলাম।
    সুনীল-কে জিজ্ঞেস করলাম - ৭১-এ বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আপনারা কবি, সাহিত্যিকরা এত লিখলেন। অথচ নিজের রাজ্যে, নিজের দেশে নকশাল আন্দোলন নিয়ে তেমন কেউই লিখলেন না, একমাত্র মহাশ্বেতা দেবী ছাড়া। সুনীল কি উত্তর দিয়েছিলেন মনে নেই। রাত্তিরে আবার একজনের বাড়ীতে সুনীল সহ আড্ডা। সেখানে পৌঁছে দেখি, সুনীল মদ খাচ্ছেন আর বলছেন - ঐ ছেলেটি আমায় এমন করে বলল, নকশাল আন্দোলনের আদর্শ-কে আমি সবসময়েই সমর্থন করেছি, দ্বীপাঞ্জনের সাথে অনেক কথা হয়েছিল তখন এই মুভমেন্ট নিয়ে, পরে আমার লেখাতেও এসেছে, একটা সময়ে দাঁড়িয়ে সেই সময় নিয়ে তো লেখা যায় না, দূরত্ব লাগে ইঃ।
    একজন ছাত্রের সামান্য প্রশ্ন নিয়ে তারপরেও যে ভাবছিলেন, সেটা ভাল লেগেছিল।
  • aranya | 78.38.243.161 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ০৬:১১494205
  • ছোটাই মনে পড়িয়ে দিলেন। ব্যাডমিন্টন র‌্যাকেট-টা ছিল বাবা, র‌্যাকেটের জালের ফাঁকে সাদা চক গোঁজা ছিল - বাবা সিগারেট খাচ্ছেন।
    শেষ দৃশ্যে বাবা রেগে গিয়ে সব খেলনা আগুনে ছুঁড়ে দিচ্ছেন, মা বলছেন র‌্যাকেট-টা না দিতে। বাবা তাও ওটা আগুনে ছুঁড়তেই একটা শিখা লাফ দিয়ে বাবার পাঞ্জাবীতে লাগল। মা তাড়াতাড়ি র‌্যাকেট-টা আগুন থেকে টেনে বের করলেন।
  • 3Q | 161.141.84.239 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ০৬:১৯494206
  • জ্যান্ত খেলনা! এই গল্প তো পড়িনি।
    কিন্তু একবার এক শারদীয় পত্রিকায় একটা বিদেশি গল্পের কমিক্স ছিলো, "এ কি শুধু খেলা?" এই গল্পটা শুনে সেই গল্পের অনুষঙ্গ মনে এলো। সেখানে একটা বাচ্চা মেয়ে একা একা খেলতো পুতুল নিয়ে, ওর স্কুলের বন্ধুরা ওর সাথে মিশতো না, তারা সব কোথায় বেড়াতে গেলো ওকে নিলো না, মেয়েটা একা একা পুতুলগুলো নিয়ে খেলছে, একেকটা পুতুলকে একেকটা বন্ধুর নামে নাম দিয়েছে, কোনো পুতুলের মুখে চোখে আঘাত করছে---ওদিকে বেড়াতে যাওয়া বাচ্চাগুলোর নানা দুর্ঘটনা ঘটছে!
  • sch | 111.62.55.101 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ০৭:৩২494207
  • কেন সুনীল তো নকসাল আন্দোলন নিয়ে লিখেছেন - পূর্ব-পশ্চিম- অতীনের চরিত্রের মতো অতো বাস্তব চিত্রায়ণ খুব কম হয়েছে - পুর্ব পশ্চিম উপন্যাস হিসেবে খুবই মূল্যবান রাজনৈতিক দলিল
  • aranya | 78.38.243.161 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ০৮:১০494209
  • হ্যাঁ, পূর্ব-পশ্চিম - পরের দিকে লিখেছেন। আমি বোধহয় ঐ সময়কালের লেখালেখির কথা বলেছিলাম, ১৯৬৯-৭২/৭৩ - এই সময়টায় পঃ বঙ্গের লেখকরা কি লিখছিলেন। পঃ বঙ্গে থেকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা সেফ, নকশাল আন্দোলন নিয়ে তখন লেখালেখি হয়ত বিপজ্জনক ছিল, এইসব।
  • lcm | 34.4.162.218 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ১০:১১494210
  • বলরাম হাড়ি | 125.111.248.134 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ১০:৫০494211
  • সত্যি বলতে উনিশ শতক নিয়ে আমার নিরন্তর আগ্রহের অনেকটাই উস্‌কে দিয়েছিল "সেই সময়"। আর মহেন্দ্রনাথ দত্ত। মহেন্দ্রনাথ দত্তর কাছে সুনীলের ঋণও কম ছিল না। নিজেই বারবার স্বীকার করেছেন। উনিশ শতকে বাঙালীর ভাঙাগড়ার এত জীবন্ত ইতিকথা আর কোথাও পাই নি। অ্যাকাডেমিক লেখাতেও নয়। বরং উনিশ শতক নিয়ে বিকল্প কিছু লেখালেখি, যথা বদরুদ্দিন উমর- মনে হয়েছে খণ্ডচিত্র মাত্র। পাঠককে আরও পড়াশুনো করার জন্য উস্‌কে দেওয়ার ক্ষমতাও খুব একটা সামান্য ক্ষমতা নয়, আমার মতে।

    "প্রথম আলো"-তে সেই টানটা আর ধরে রাখতে পারেন নি। কিছুটা নিজের দোষ, অনেকটাই সময়ের দোষ। উনিশ শতকের প্রথমার্ধের বর্ণময়তা, সেই সময়ের দোলাচল দ্বিতীয়ার্ধে স্তিমিত। একই ক্যানভাসে রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ ও রামকৃষ্ণকে আঁটতে গেলে যে কোনো ক্যানভাসই আড়ে বহরে কুলিয়ে উঠতে পারবে না। সমস্যাটা মূলত সেখানেই। প্রথমে শুধু রবীন্দ্রনাথকে নিয়েই লিখতে চেয়েছিলেন। পরে আরও ছড়াতে গিয়ে খানিকটা ছড়িয়ে গেছে।
  • বলরাম হাড়ি | 125.111.248.134 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ১১:০৮494212
  • এই ছবিটা যিনি এঁকেছেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে? তাঁকে যোগাযোগের উপায় কেউ জানেন?
  • lcm | 34.4.162.218 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ১১:২৩494213
  • বলরাম,
    সৌমেন ভট্টাচার্য, ফেসবুকে আকা-র ফ্রেন্ড।
  • বলরাম হাড়ি | 125.111.248.134 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ১১:৪৮494214
  • থ্যাঙ্ক ইউ।
  • kumu | 132.160.159.184 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ১১:৫৭494215
  • পূর্ব পশ্চিম-অসাধারণ লেগেছিল,বিশেষতঃ অতীনের চরিত্রটি এত জীবন্ত।শেষ দৃশ্যটি ভোলা যায় না-যেখানে অতীন বাবার মৃত্যুসংবাদ পেয়েও দেশে ফিরতে পারছে না,নিরালম্বন উলঙ্গ যুবক বসে আছে জানলার কার্ণিশে।

    ডিডিদা একদম ঠিক লিখেছেন-
    এই হাত ছুঁয়েছে নীরার মুখ,এ হাত কি আর কোনো পাপ করতে পারে?
  • kumu | 132.160.159.184 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ১২:৫৩494216
  • হীরক দীপ্তি আর জীবন যে রকম--- নরম কপি আছে কারো কাছে?
  • sosen | 125.184.81.119 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ১৩:১০494217
  • এত ভালো লাগা লেখা আছে যে আমি লেখককে ভালো না লাগার অভিযোগে কিছুতেই অভিযুক্ত করতে পারিনা।
    সুনীল ব্যক্তিগত ও লেখা সংক্রান্ত দুভাবেই আমার ভালো লাগা মানুষ। ওঁর রাজনৈতিক ধারণা চিরকালই হয়ত ইষৎ অস্বচ্ছ, ব্যাপৃত কৌতুহল ও অস্থিরতার ছড়াছড়ি লেখায় ও জীবনে। নিজে যে পারফেক্ট তা কখনো দাবি করেননি, কিন্তু আলোড়ন তোলা সাহসী লেখাও লিখেছেন। আর নীললোহিতের সব লেখা ভালো তো নয়ই, কিন্তু ওই যে একটি কনসেপ্ট জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেল-রাগ হলেই আজ ও সবচেয়ে কাছের মানুষটিকে ঝেঁঝে উঠে বলি-চলে যাব, যেদিকে দুচোখ যায়!
    সে মিটি মিটি হেসে শুধোয়-কোথায় যাবি?
    আমি বলি-দিকশূন্যপুর!
    ওইটুকু, শুধু ওই হারিয়ে যাবার জায়গাটুকু দেওয়ার জন্যই সুনীল আমার রাজা।
  • কল্লোল | 125.242.146.231 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ১৫:৪৫494218
  • সুনীল আমাদের শত্রু ছিলেন। সে তো আগেই লিখেছি। হনুর সাথে একমত সুনীলের ঐতিহাসিক উপন্যাস বা পিরিয়ড পিস নিয়ে। তবে সে তো ইতিহাসকে একজন কিভাবে দেখছে তার ব্যাপার।
    নকশাল আন্দোলন নিয়ে সুনীলের লেখা নেই। কোন কোন লেখায় দু একটা চরিত্র এসেছে কালো রাস্তা সাদা বাড়ি, প্রতিদ্বন্দ্বী, পূর্ব পশ্চিম এই রকম। সুনীল সময়ের দূরত্বের কথা বলেছেন বটে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখতে কিন্তু সেই দূরত্ব লাগে নি। তখন নকশাল আন্দোলন নিয়ে লেখাটা ঝুঁকি ছিলো, সেটাই হয়তো কারন। কিন্তু পরেও লেখেন নি, কারন বোধহয় ঐ আন্দোলনের সাথে কোন একাত্মতাই কোনদিন বোধ করেন নি। সেটা বোধহয় স্বাভাবিকও।
  • sch | 132.160.114.140 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ১৬:৩৪494220
  • পূর্ব পশ্চিম নক্সাল আমল নিয়ে দেখা নয় কেন? অতীন শোধনবাদী নক্সাল তাই? কিন্তু এটাই তো ভীষণ বাস্তবচিত্র নক্সাল আন্দোলনের। অনিমেষ ব্যর্থ নকসাল এক প্রান্তে আর অতীন পালিয়ে যাওয়া নকসাল আরেক প্রান্তে - আমি তো মনে করি কালবেলা আর পূর্ব-পশ্চিম মিলিয়ে সমগ্র নক্সাল আমলের চিত্র
  • কল্লোল | 125.242.139.108 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ১৬:৫১494221
  • পূর্ব পশ্চিম কোন অর্থেই নকশাল আন্দোলন নিয়ে লেখা নয়। কালবেলা অবশ্যই। নকশাল দুই রকমের হয় ব্যর্থ, নয় পালিয়ে যাওয়া। এর বাইরে কিছু হয় না।
    নকশাল আমল নিয়ে লেখা আছে, নকশাল আন্দোলন নিয়ে নয়। সমর্থন বা বিরোধীতা কোনটাই নয়।
  • Manish | 127.218.7.6 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ১৭:৪৭494223
  • জীবনে তুমি যারে দাওনি মালা
    মরণে তারে কেনো দিতে এলে ফুল?
  • h | 213.99.212.54 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ১৯:৩৪494224
  • কল্লোল দা, মোটামুটি একমত, তবে বিস্তারীকরণ করি। না করলেও চলে, তবে করি, জুতো তো এম্নিতেই কম পড়ছে না। পড়বেও না।
    বামপন্থী শুধু তখনি জনপ্রিয় উপন্যাসের চরিত্র হবে, এবং সে উপন্যাস কে জনপ্রিয় করার পেছনে সফল বাঙালী প্রতিষ্ঠান সাহায্য করবেন, যখন সে/তারা হেরে গেছেন, মূলতঃ নিজের উপরে ও সংগঠনের উপরে বীতশ্রদ্ধ বা মৃত বা পলাতনে সিদ্ধ এবং যতটুকু বেঁচে ছিলেন, ততদিন মূলতঃ যৌবনভারে আত্ম-আবিষ্কারে মগ্ন। সংগথিত পলিটিক্স নিয়ে, গ্রান্টেড, প্যাম্ফ্লেট হয় সাহিত্য হয় না, তবে রাজনীতিত আলোচনা মানেই বিমুখতা, গোটাটাই আগে কত ছেল, তখন আমি কত বিপ্লবী ছিলাম এই সব আলোচনা বাদ দিয়েও যে ঐতিহাসিক রাজনৈতিক বিষয়ে উপন্যাস হয় এটা আমরা সকলেই জানি। কত উদা দেব।

    কবিতা টবিতা ইত্যাদি। কাহিনীর এই ফর্মাট, যে টা কিনা ধরুন সাগিনা মাহাতো হল এই ফর্মাটের বিজ্ঞাপণ। হতাশা জেনে রাখুন, আশার বা লড়াই এর থেকে বেশি সেক্সি, এবং শুধু তাই না, রাজনীতি র যে চ্যাংড়ামো নোংরামো তার থেকে মানুষের বিমুখতা এমনিতেই তৈরী, সেই বিতৃষ্ণা কে তীব্রতর করাই এই জাতীয় লেখালিখির কাজ। অবশ্যই এই লেখাগুলোর সংগে পৃথিবীর নানা ভাষার এবং আমাদের ভাষার প্রচুর লেখালিখির মিল পাবেন না। উদা ভূরি ভূরি। রচয়িতার রজনীতি কিনা জানিনা , প্রকাশকের রাজনীতি কিছুটা তো কাজ করবেই। কেউ বলতেই পারেন, পিকাডোর বা পেঙ্গুইন আপনাদের আমলেই রেড বুক বা মারকিউজ বা গাঁতিয়ে আচেবে, ফ্যানন, অলিভার ট্যাম্বো, দারউইশ ছাপত কেন, পেপার ব্যাকে ছাপত কেন, এবং এখন ইউনিভার্সিটি প্রেস ছাড়া পাওয়া যায় না কেন বা ম্যাক্স কিছু কালেক্টার'স ইম্প্রিন্ট। আমি রিসেন্টলি গ্রুন্ডরিশে কিনেছি, কি দাম মাইরি। যুক্তি ঐ, ইংরেজি ভাষার পাবলিশারেরা জানেন তাঁদের রাষ্ট্র শক্ত পোক্ত, লক্ষ ছেলে মেয়ে মলোটোভ ছুঁড়লেও, রাষ্ট্র চরিত্র বদলাবেনা, ওয়েলফেয়ার আর মিলিটারি আর লিবের্লালিজম তিন্টের ভিত্তি ই শক্ত। সেই কনফিডেন্স বোধায় এই দেশে এই ভাষায় নেই, বলা যায় না, কিসু হলেও হয়ে যেতে পারে ;-) আজকাল এই সাহিত্য রচনার এই সাবধনাতাকে ক্লান্ত হয়ে পাবলিশিং ওয়ার্ল্ডের ব্যজস্তুতি হিসেবে মেনে নিয়েচি ;-)

    তবে, হ্যাঁ , এই ভাবেই, ইতিহাস কে কিরকম ভাবে দেখবে, আর একটা বেশি পুরোনো না হলেও কয়েক দশক আগেকার সময়কে কেমন ভাবে দেখবেন, সেটা আলাদা থাকেনা।

    ইতিহাস নিয়ে ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও লিখেছেন, শওকত আলি ও লিখেছেন, বংকিম ও লিখেছেন কোনটা পাঠকের এন্ডোর্সমেন্ট পাবে সেটা পাঠকের উপরে পুরোটা কি আর নির্ভর করে, কেন কোন সিলেবাস কেন কোন প্র্কাশনা কেন কোন আফিসিয়াল আকাদেমির সমর্থন পাবেন কোন লেখক, সেটা খানিকটা মদাদর্শের রাজনেতির উপরে এও সকলেই বোঝেন তবে কেউ স্বীকার করেন না, নর্মালি, সুশীল আলোচনায়।

    আমি কিছু পড়ার বিরুদ্ধে নেই, সেই সময় কেন তার এক পাতা কেন তার এক প্যারা কেন এক লাইন ও আমার হাত দিয়ে বেরোবে না, আমার প্রিয় লেখকের হাত দিয়েও বেরোবে না, অন্য কিসু বেরোবে। তবে, পড়ার সময়ে একেবারে চোখ বুজে পড়ি কি করে। এতো চেন মলে চেনা শপিং না যে চোখ বুজলেও ঠিক চলে যাব চিপ্স এর তাকের সামনে, তার পরেই বিয়ার।
  • | 24.99.249.150 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ১৯:৪১494225
  • এখানে অপ্রাসঙ্গিক যদিও, তবু সত্যেন সেন।এর নামটা শওকত আলির সাথেই আসা উচিৎ বলে মনে করি।
  • | 24.99.249.150 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ১৯:৪৫494226
  • আর হ্যাঁ অমিয়ভূষণও
  • h | 213.99.212.54 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ১৯:৫৬494227
  • আসা উচিত, ভুলে গেছি। হ্যাঁ অমিয় ভূষণ, মধ্যযুগীয় বাংলার রিভারাইন নেভাল ট্রেড নিয়ে উপন্যাস লেখা যায়, সেটা উনি ছাড়া কেউ তো করেন নি। মধু সাধু খাঁ অনবদ্য সৃষ্টি।

    বলে নেওয়া ভালো, তবে টড ঝেড়ে লিখলেও, আমি বংকিমের তুলনায় অবন ঠাকুরের প্রতি বেশি ক্ষমাশীল, বেম্মো বলে না, জিনি রাজকাহিনী লিখেছেন, ভিত্তিহীন কাহিনীর উপরে ভিত্তি করে, যেখানে মুসলমান কেবলি বহিরাগত আক্রমণ কারী, সম্পদ, জমি, নারীর লুঠে আগ্রহী, পদ্মিনী যেখানে সতী হয়ে প্রায় দেবী, এবং সমর্থিত, সেই অবন ঠাকুর ই কিন্তু ছবি আঁকার সময়ে শাহ্জাহান এর ছবি আঁকছেন, সেই গোটা বিখ্যাত সিরিজ টা আঁকছেন, বা বক্তৃতা করার সময়ে ভারতীয় চিত্রবিধির মধ্যে মুগল বা কাংড়া মিনিয়েচার কে একটা জায়্গা দিচ্ছেন, হরিপুরা কংগ্রেসে নন্দলাল দের মত, শুধুই অজন্তায় ফিরে যান নি। খাজুরাহো র অন্য সমস্যা আছে, তার গ্লোরি অন্যত্র, সে অন্য প্রসংগ।
  • h | 213.132.214.156 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ২০:০৪494228
  • স্লিপ টি ফ্রয়েডিয়ান না, গ্লেনিয়ান বা মাল্য-এস্ক, মদাদর্শ না, কথা টা , নিঃসন্দেহে মতাদর্শ।
  • | 24.99.249.150 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ২০:০৮494229
  • খ্যাক খ্যাক।

    কিন্তু ভুলিও না কমরেড সত্যেন সেন সত্যেন সেন। বিদ্রোহী কৈবর্ত দিয়ে শুরু করহ
  • h | 213.132.214.156 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ২০:১৭494231
  • আরেকটা কথা, ন্যাশনাল বড় ন্যারেটিভ নিয়ে লিখবো, না টুকরো ইতিহাস নিয়ে লিখবো, যেটা এমনকি ইতিহাস রচয়িতাদের কাছেও তেমন গুরুত্ত্ব পায় নি, অন্তত হাই আকাদেমিয়ার বাইরে, সেটাও একটা চয়েস। তবে সেই চয়েসের ভার, যাঁরা মূলতঃ কনটেম্পোরারি কে বেছে নিয়েছেন তাঁদের বেশি সমস্যা নেই। এটা অনেক বড় সমস্যা ছিল, যাঁরা লিখতে শুরু করেছিলেন কলোনিয়াল আমলে। বিশ্বের অনেক দেশেই। ইতিহাস রচনায় যেমন সোর্স গুরুত্ত্বপূর্ণ শুনেছি, সাহিত্য রচনায় 'লোকেল' প্রায় ততটাই গুরুত্ত্বপূর্ণ যা বুঝি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন