এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ভুত

    deepten
    অন্যান্য | ১৩ মার্চ ২০০৬ | ২৮৬৮৯ বার পঠিত | রেটিং ৩ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • M | 59.93.193.210 | ০৮ জানুয়ারি ২০১১ ২০:৩৩497615
  • হুম!!!!!! ব্রেশ , ব্রেশ(সৌজন্যে শিবাংশুদা)।
  • d | 14.96.174.90 | ০৮ জানুয়ারি ২০১১ ২১:২২497616
  • শশাঙ্কবাবুর থেকে ভাড়া কে নিয়ে যেত? তখন নিশ্চয় ব্যাঙ্ক ট্র্যানসফারের ব্যবস্থা ছিল না।
  • sda | 117.194.200.110 | ০৮ জানুয়ারি ২০১১ ২১:৪৮497617
  • এত প্রশ্ন করলে ভূতের গল্প জমে ? (:D
  • byaang | 122.172.204.138 | ০৮ জানুয়ারি ২০১১ ২২:১৭497618
  • ইসে, আমারও একটা কোচ্চেন ছিল। মানে বিভূতিবাবুর চরিত্রটি যা বুঝলাম, ভয়ানক গোঁড়া, সঙ্কীর্ণমনা ভূত তো! বামুন না হলে আংটায় ঝোলান না। তা ঐদিন যদি শশাঙ্কবাবু পৈতে পরতে ভুলে যেতেন, তাহলেও কি বিভূতিবাবু ওনাকে আংটায় ঝোলাতেন?
    আর আরো একটা ছোট্টমতন কোচ্চেন ছিল, মাইরি, এটাই লাস্ট কোচ্চেন। আংটাটার সাইজ কত ছিল, মানে লোড নেওয়ার ক্যাপাসিটিটা জিগাচ্ছিলাম। আমিও একটা কিনতাম কিনা।
  • byaang | 122.172.204.138 | ০৮ জানুয়ারি ২০১১ ২২:২৬497619
  • ও: সবচেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট কোচ্চেনটা করতেই ভুলে গেছিলাম। শশাঙ্কবাবু কি টিকিও রাখতেন? মানে "উর্দ্ধাঙ্গ খালি' হয়ে থাকলে আংটা থেকে কী ভাবে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল? টিকি থেকে থাকলে সেটা দিয়েই আংটায় বেঁধে দেওয়া যেত। তাই জানতে চাইলাম। চামড়াশুদ্ধু গেঁথে দেওয়া হয়েছিল নাকি? আর টিকি, চামড়া কোনোটাই না হয়ে থাকলে, বাকি রইল পৈতেটা। তো পৈতে হয়ে থাকলে, আবার পৈতেটার ইলাস্টিসিটি কত ছিল, সেটা হিসেব করতে হবে। আবার সেটা হিসেব করতে গেলে শশাঙ্কবাবুর ওজন কত ছিল, সেটা জানতে হবে।
    এটা ভূতের গপ্পো, নাকি ফিজিক্সের অঙ্ক?
  • Nina | 68.84.239.41 | ০৮ জানুয়ারি ২০১১ ২২:৩০497620
  • কুমু, দারুণ! আমার চারিপাশে ঠান্ডা হাওয়া বইছে, যতদূর চোখ যায় শুধু একটা সাদা পাতলা বরফের চাদরে ঢাকা সবকিছু। আকাশ আর মাটির এক রঙ--সাদা--বেশ অপার্থিব --এর মধ্যে তোমার গল্পটা বেশ ঘাড়ের কাছে একটা ঠান্ডা বাতাসের মতন---

    @বিতশোক, সেইজন্যই তো ঐ ৭০০ টাকা অঙ্কটাও গল্পের অংশ ---লোকটি বলেছিল সে তার যথাসর্বস্ব দিয়ে দিল , শুধু তার একমাত্র ছেলেকে বাঁচাবার জন্য! শুধু বলতে পারা যায় মেসো কেন বাকিটা ফেরত দেননি---সেটা মেসোকে জিজ্ঞেস করা হয়নি

    মনীশভাই ;-)) তমে সারু ছে।

  • byaang | 122.172.204.138 | ০৮ জানুয়ারি ২০১১ ২২:৪০497621
  • অ কুমু, রাগ কোরো না, আমার খালি কোশ্নো পাচ্ছে।
    আচ্ছ শশাঙ্কবাবুর পরে যেই ভাড়াটে এসেছিলেন, তিনিও তো বামুনই ছিলেন নাকি? নয়তো বিভূতিবাবু তো আর ওনাকে বাড়িভাড়া দিতেন না, তো উনি যদি সত্যিকারের বামুন হয়ে থাকেন, ওনার গলায় পৈতে থাকা সঙ্কেÄও উনি দড়ি খুঁজে বেড়াতেন কেন? উনি কি খুব বেঁটেও ছিলেন, আংটা অব্দি হাত পৌঁছত না? অন্যদের ঝুলিয়ে দিতে বলতেন কেন? উনি কি বাড়িভাড়া নেওয়ার সময়ে নিজেকে বামুন বলে ঢপ মেরেছিলেন, নয়তো বিভূতিবাবু নিজে ওনাকে ছুঁলেন না কেন? শুধু পাগল বানিয়েই বা ছেড়ে দিলেন কেন?
  • Lama | 117.194.225.151 | ০৮ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:০৭497622
  • এতই যদি প্রশ্ন পায় তাহলে ব্‌হ্‌হূতের গল্পের বদলে মেটিরিয়ামেডিকা কিংব ব্রহ্মবৈবর্তপুরান পড়গে যা।।।

    আমি যেদিন ভূত হব সেদিন তোর সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবি- প্ল্যনচেট করিস।
  • Nina | 68.84.239.41 | ০৮ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:১১497623
  • সব্বাইকে ধন্যযোগ আমার জানা ভূতেদের কথা শোনার জন্য।
    গতকাল কাব্লিদা একটা খুব সুন্দর কথা বল্লেন " আপনজনেরা ভূত হয়ে নয়, ইচ্ছে হয়ে ফিরে আসে" শুনে পর্য্যন্ত মাথার মধ্যে টুংটাং করে জলতরঙ্গের মতন কথাটা ঘুরছে।
    এবার যে ঘটনাটা বলব সেটাও আমার ছোটবেলাকার দেখা এক অদ্ভুত ঘটনা---

    পাটনায় আমাদের বাড়ীর পাশে ছিল ডাক্তারদাদুর বাড়ী। ডাক্তার দাদু এককালে বৃটিশ জেলের ডাক্তার ছিলেন আর সেই সময় আমার বাবা সেই জেলের বন্দী , সেইভাবে আলাপ----খুব ভালবাসতেন আমাদের। মাকে বৌমা ডাকতেন আর মা ওঁকে কাকাবাবু।
    ডাক্তারদাদুর একটিই ছেলে সতীশ, যাকে মাত্র ছমাসের রেখে ডা-দিদা মারা যান। উনি আর বিয়ে করেননি। ওঁর দূর সম্পর্কের পিসতুতো বোন ছোট্ট মেয়ে নিয়ে বিধবা হয়েছিলেন, অবস্থাও ভাল ছিলনা , তাই ডাক্তারদাদু পিসীমা ও তার মেয়ে মুনমুনকে নিজের কাছে নিয়ে এসেছিলেন। এই পিসীমার হাতেই সতীশমামা আর মিতলীমাসী একসঙ্গে বড় হয়েছে।
    মিতালীমাসীর বিয়েও হল পাড়ারই একটি ভাল পরিবারে । পিসীমা মেয়েকে কাছাকাছিই রাখতে পেরে খুব খুসী। মিতালীমাসি রোজ ই সময় পেলেই এ বাড়ী ঘুরে যেত। সতীশমামাও ততদিনে ডাক্তারি পড়তে ঢুকেছে পাটনা মেডিকেল কলেজে ।

    বিয়ের পর মিতালীমাসীর মেয়ে জন্মালো-মুনমুন। সুন্দর ফুটফুটে মুনমুন সব্বার আদরের ----মুনমুনও খুব হাসিখুশি বেবি, খুব হাসে, সব্বার কোলে যায় --বাড়ীতে খুব আনন্দ। সতীশমামাও হুটহাট করে হস্টেল থেকে চলে আসে মুনমুনের টানে। ক্রমশ মুনমুন বড় হচ্ছে, তার আধোআধো কথা ফুটছে--আর সে সবচেয়ে ভালবাসে সতীশমামাকে --তাকে দেখলে মেয়ে হেসে অস্থির, তার কোল থেকে কারুর কাছে যাবেনা--সে চলে গেলে আকুল হয়ে কাঁদবে--সবাই বলত দেখেছ কেমন মামা চিনেছে!
    প্রথম যখন মুনমুন ডাকল সতীশমামাকে--ওম্মা ডাকল তাঁদমামা --বিহারে তো বাচ্চদের খুব
    চন্দামামা দূর কে
    পুয়া পকাবে গুড় কে
    অপনে খায়ে থালি মে
    বৌয়া কে পেয়ালি মে
    পেয়ালি গয়া ফুট
    বৌয়া গয়া রুঠ!
    ছড়াটা বলা হয়---আর সবাই বল্ল মেয়ে কেমন ফক্কুড়ে দেখ , মামাকে চাঁদমামা বলছে!
    ডাক্তারদাদুর আর একটা শখ ছিল কুকুর পোষার--দুটো বিরাট অ্যালসেশিয়ান ছিল লুসি আর জিমি । বাঘের মতন , সারা দুনিয়া তাদের ভয় পেত কিন্তু মুনমুন একটু ভয় পেতনা, তাদের সঙ্গে খুব খেলা করত। আদর করে আবার তাদেরও সে নিজের দেয়া নামে ডাকতে লাগল--জিমিকে জাজা, আর লুসিকে লানি।
    বিকেলবেলা ডাক্তারদাদুর সঙ্গে সে এক পক্কড় গাড়ি করে ঘুরে আসত --রোজ বিকেলে সেজেগুজে সে রেডি এবার দাদুর সঙ্গে বেউবেউ যাবে গালি চলে-- পুরোনো ড্রাইভার শম্ভুজী কে বেশ অর্ডারের সুরে বলত " আঁবজী গালি নিকালো" হ্যা, শম্ভুজী বলতে পারতনা--তাই তাকেও নিজের দেয়া নামেই অর্ডার করত।
    মুনমুনের এই সব্বাইকে নাম দেয়া ব্যাপারটা --খুব এনজয় করত সকলে--কেমন যেন একটা অপেক্ষা থাকত দেখিতো এবার অমুককে কি নাম দেয় পাকাবুলিটা। আমার মাকে ডাকত বৌমা, দাদুর দেখাদেখি।
    দাদুকে খুব শাসন করত, যেমন ওকে ওর মা বকত--খেয়ে নাও, চান করবে চল--ও সেইসবগুলো দাদুর ওপর ফলাত---ডাক্তারদাদু স্নান-খাওয়া ভুলে রোগীদের নিয়ে ব্যস্ত থকতেন--আর মুনমুন বকত--খে নাও, তান কল-ইত্যাদি--শুধু ওঁকে কিছু বলে ডাকতনা--দাদুও না। দাদুর একতু দুক্কু ছিল মনে তাই----দাদুকে দেখিয়ে জিজ

  • Lama | 117.194.225.151 | ০৮ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:১৭497625
  • তারপর? এই সাসপেন্স সয্‌হ্‌য় করতে না পেরে আমিই মরে ভূত হয়ে যব জে!
  • Nina | 68.84.239.41 | ০৮ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:৩৩497626
  • দাদুকে দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলে---ওতা কে মুন? খুব সলজ্জ হেসে চুপ করে থাকত--ডাক্তার দাদুর নামের ইনিশিয়াল ছিল N C
    মিতালীমাসী খুব চেষ্টা করত শেখাতে--বল দা--দু উউউ--কিন্তু কাকস্য পরিবেদনা---মুন শুধু লজ্জা লজ্জা মুখ করে হাসে।
    একদিন ডাক্তারদাদু বল্লেন মুন্নিরানী আমাকে না ডাকলে আজ বিকেলে বেউ বেউ যাবনা---বল আমি কে?
    অনেকবার বলার পার ঐ ফক্কুড়ে মেয়ে ডাকল একগাল হেসে
    নিশি নিশি নিশি
    সবাই হেসে অস্থির দেখ কান্ড , দাদুকে ইয়ার্কি মারছে নামধরে ডাকছে, শোনে তো সবাই N C বলে। ডাক্তারদাদুর নাকি মুখটা কেমন শুকিয়ে গেছলো--(মা ছিল সেখানে মার কাছে আমি শুনেছি)

    কয়েকদিন বাদে ডাক্তারদাদু মার কাছে এসে এক অদ্ভুত কথা বল্লেন।
    বৌমা, আমার মনটা বড় অস্থির করছে, মুন্নিটার সেদিনকার ডাকটায়---
    মা: কাকাবাবু তাতে কি হয়েছে, বচ্চারা অমন বড়দের শুনে লথা বলে। আপনি চিন্তা করবেন না আর একতু বড় হলেই নিজেই দাদু ডাকবে
    ড: না বৌমা, তুমি তো তোমার কাকীমা কে দেখনি তাই অনেক কথা জাননা। ইন ফ্যাক্ট অনেকেই জানেনা।
    তোমাকে আজ যে কাথাগুলো বলব কাউকে বোলোনা, রণেন(আমার বাবা) কেও না। ও হাসবে ।
    মা: বলবনা, আপনি বলুন।
    ড: খোকাকে (সতীশ) একমাত্র তার মা , ঐ যে ছটা মাস সে পেয়েছিল তাকে আদর করে ডাকত " চাঁদ"
    কাকীমার ই ভীষণ কুকুর পোষার শখ ছিল, বুঝলে আর তখন যে দুটি কুকুর ছিল তাদের নাম কাকীমাই রেখেছিলেন রাজা, আর রানী
    কাকীমা বড্ড গাড়ীতে বিকেলে একটিবার বেড়াতে যেতে ভালবাসতেন , আর তখন আমাদের ড্রাইভার ছিল রামচন্দর, কাকীমা ডাকতেন রামজী।
  • Nina | 68.84.239.41 | ০৮ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:৫১497627
  • মা: কাকাবাবু কিছুটা বুঝতে পারছি আপনার কথা, কিন্তু একটু অমন কাকতালীয়বত হয়ও---মিলে যায় মনে হয় কি করে এমন হল!
    ড: বৌমা, আমিও এতদিন তাই বলে এসেছি নিজের মনের খটকাগুলো কে সরিয়েছি। কিন্তু সেদিন দেখলে মুন্নী আমায় কি বলে ডাকল?
    মা: ওটাই আপনাকে খুব ভাবিয়েছে--কিন্তু কাকাবাবু ও তো শোনে N C বুদ্ধিমতি মেয়ে আর বেশ ফক্কুড়েও আছে তাই দুষ্টুমি করেছে। আপনি অত ভাববেন না।
    ড: বৌমা, মেয়ের মতন তুমি আমার, বলতে একটু দ্বীধ হচ্ছে--কিন্তু বলেই ফেলি। এই আমার রোগীদের নিয়ে ব্যাস্ত যিঅবন তো সবসময়ই ছিল আর আমাদের দেশে এই হতদরিদ্র মানুষগুলি জন্য আমার বড় প্রাণ কাঁদে--ওদের চিকিৎসা আমি চিরদিনই আপিশের সময় পেরিয়ে গেলে করতম। বুঝলে, বৌমা, তোমার কাকীমা আমাকে ঠাট্টা করে ঋষিমশাই বলেই ডাকতেন আড়ালে ---তাই আমি আজ এত চমকে গেছি!
    কদিন ধরে অনেক বই পত্তরও পড়্‌লুম, দেখি বলে ঐ গয়ায় নাকি পিন্ডি দিতে হয় আত্মাত মুক্তির জন্য। এসবে জানই তো আমার কোনওদিনই বিশ্বাস নেই, আজও নেই --কিন্তু আজ আমি বড় দ্বিধায় পড়েছি --তাই তোমার কাছে পরামর্শের জন্য আসা। তুমি খুবই স্থির ও বুদ্ধিমতি মেয়ে ।
    মা:( হতভম্ব!)কাকাবাবু আমিও দন্দে পড়লাম---কি যে বলি!
    এরপর মাও কিছু বই পত্তর পড়ে ডাক্তারদাদুকে বলেছিলেন
    মুঅন্মুনের সামনে কোনওদিন এই কথা না বলতে। অন্য কাউঅকে এই কথা নিয়ে কোনও আলোচনা না করতে।
    মুনমুন যেমন যেমন বড় হবে সব ভুলে যাবে।
    আর গয়ার ব্যাপারটাও না কর্তে।
    ডাক্তারদাদু সব পরাম্‌র্‌শই মেনেছিলেন।
    আমি মুনমুনের সঙ্গেই পড়তাম। এসব কিছুই জানতামও না, কিছু বুঝিও নি---আমরা সবাই মুনমুনকে ফক্কড় বলেই ডাকতাম--সেও বিয়ে থা করে খুব হ্যাপি জীবন কাটাচ্ছে। সয়ীশমামা আজও তার প্রাণ----কি ভাবে যে সে আগলায় তাকে কি বলি।

    এই গল্পটা ২০০৯ যখন মার কাছে ছিলাম, মা তখন আমাকে বলেছিল। আমি মাকে বলতাম ' মা, তুমি খলি এবার যাব " বলচ তাহলে একটিবার এসে আমাকে দেখা দিও, কেমন আচ বলে জেও----মা হাসত আর বলত --হুঁ তাই করি আর তুমি ভয়ে ভির্মি খাও, আমাকে ভুত অপবাদ দিয়ে চেঁচিয়ে বাড়ী মাথায় কর! আমি কত বল্‌তাম না মা, আমার তো ভাই বোন কিচ্ছুনেই--বাবাও চলে গেছে, তুমিও চলে যাবে আমি বড্ড একলা হয়ে যাব---কিন্তু মা সেই নিজের কথাই রেখেছে--এক্কেবারে কোনও চিহ্ন রাখেনি--চলে গেছে তো চলেই গেছে ----
    তাই কাল কাব্লিদার কথাটা প্রানে বড় মধুর হয়ে বেজেছে ---মার কথা মনে করে একলা চোখের জল ফেলি আজ একটু তোমাদের সঙ্গে সেটা ভাগ করে নিলাম।
  • Nina | 68.84.239.41 | ০৮ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:৫৭497628
  • সরি! বড্ড ঝাপসা চোখে টাইপ করেছি তাই অজস্র ভুল বানান--তোমরা নিজগুনে ক্ষমা করে দিও
  • a x | 99.50.247.222 | ০৯ জানুয়ারি ২০১১ ০৬:৫২497629
  • নীনা, তোমার হাতটা ধরলাম। ভালো থেকো।
  • paakhi | 108.16.47.118 | ০৯ জানুয়ারি ২০১১ ১০:৫৭497630
  • নীনা আর কুমুর কাছে তুশ্চু, তবু আমারও এক ভূতুরে অভিঞ্‌গতা হয়েছে। এই টইতে সেটি গেঁথে রাখি।

    চাকরির প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট ছিল উত্তরবঙ্গের চালসায়, সেবক পেরিয়ে মালবাজার ছাড়িয়ে ডানকানের (এখন মালিকানা বদল হয়েছে) চালসা টি গার্ডেন।
    আভিঞ্‌গরা জানেন, সে পথ তীব্র সুন্দর, আর রাস্তার একধারে খাড়া পাহাড়, অন্যদিকে অতলশ্‌পর্শী খাদ।
    গিয়েই শুনেছি ভূতেরা ছড়িয়ে আছে চা বাগানের আনাচে কানাচে। এখানে হাতি পড়ে কখন সখন, সে সব হল ঘটনা।
    লোকে সে ঘটনা নিয়ে গল্প করে। কিন্তু ভূত এখানকার বাসিন্দা। তাদের নিয়ে কথা হয় নিচু গলায়, বিশেষ সম্মান দিয়ে। মানুষ আর অশরীরির অধিকারের মোটামুটি পরিষ্কার বিভাজন আছে, দুপক্ষই সেটা মেনে চলে।
    এ সব শুনে আমি খুব খুশি। বহুদিন ধরে চেষ্টা করছি ভুতের সাথে সাক্ষাতের, আর এ তো একেবারে যাকে বলে খনি।
    অফিস ম্যানেজার জিতুবাবু অবশ্য আমার এই কাঁচা বয়সের উৎসাহকে অত্যন্ত পটুহাতে সামলালেন। বেঁটেখাটো মানুষটির সব চুল সাদা, চোখে গোল ঘোলাটে চশমা, কথা বলেন সোজা দাঁড়িয়ে।
    সন্ধ্যের সময় বাইরে বেশি ঘোরাঘুরি করলে উনার রুষ্ট হন, জিতুবাবু বল্লেন। আর হ্যাঁ, বাইরের ঐ অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজারের বাংলো থেকে আপনার দূরে থাকাই ভাল।
    জিতুবাবুর বলা বাংলোর সুনাম আগেই শুনেছি। আমি যখন চালসা পৌঁছেছি সেখানে তখন তালাচাবি। লেবার ওয়েলফেয়ার অফিসার সুভাষ মন্ডল জানিয়েছিলেন, কিছু বছর আগে বাগানের ম্যানেজার থাকতেন ঐ বাংলোয়। প্রসঙ্গত, চা বাগানের ম্যানেজার-ই বাগানের সর্বময় কর্তা।
    সে সাহেবের শিশুকন্যা দুর্ঘটনায় মারা যায়। সাহেবের অপুর্ব সুন্দরী স্ত্রী শোকে পাথর হয়ে যান।অল্পদিনের মধ্যে তিনি আত্মঘাতী হন। ম্যানেজার আর সে বাগানে বেশিদিন থাকেন নি, পদত্যাগ করে শহরে চলে যান।
    চাল্‌সা বাগানের ম্যানেজারের তারপর থেকে পৃথক বাংলো হয়। আর ঐ অলুক্ষুণে বাংলো বরাদ্দ হয় নতুন আসা অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজারের জন্যে।
    সেই থেকে তিনটে অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার এসেছে বাগানে। তিন রাত্তিরের বেশী কেউ টিকতে পরে নি বাংলোয়।
    সুভাষ এর বেশি বললেন না। তার একহারা চেহারায় ভয়ের ছাপ স্পষ্ট। পরিষ্কার বুঝতে পারছি বলি বলি করেও কিছু একটা বলতে পারলেন না।

    আমার সৌভাগ্যের উদয় হল চালসায় মাসখানেক খাটাবার পর। ইতিমধ্যে অফিসে চাপ বেড়েছে। আগে বাড়ি ফিরতাম গৃহকর্তা ভিনয় ওয়ালিয়ার সাথে। এখন গাড়ি পরে এসে আমায় ফেরত নিয়ে যায়। হেঁটেই ফিরতে চেয়েছিলাম, সামান্য পথ। ভিনয় অত্যন্ত আপত্তি করেছে।
    ভিনয় সেকেন্ড ম্যানেজার, অর্থাৎ একজন সিনিয়ার অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার। তার অতিথি হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরলে চা বাগানে তার সামাজিক মর্য্যাদা চোট খাবে।

  • paakhi | 108.16.47.118 | ০৯ জানুয়ারি ২০১১ ১১:০৬497631
  • এতদিন বাগানে ছিল দুজন সিনিয়ার অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার। এবার এল সঞ্জীব চৌথালা - নতুন অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার। বরাদ্দ অনুসারে সে পেল ঐ ভুতুরে বাংলো।

    আমার সঙ্গে তার যখন আলাপ হল ইতিমধ্যে দিন সাতেক কেটে গেছে। চা বাগানের অফিসটির চারদিকে ঘর আর মাঝখানে গোলমতো দালান, সেইখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম। সে একটু মনমরা, জানত বাগানের একাকীত্বের কথা, এত ঘনিষ্ট ভাবে অনুভব করেনি কখনো। তাকে অল্প করে খোঁচালাম বাংলোয় কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না জানার জন্যে। মনে হল নিজের সমস্যাতেই সে জর্জরিত, অন্য সমস্যায় মাথা দেবার সময় নেই।

    খুব স্বাভাবিকভাবে সঞ্জীবের সাথে ঘনিষ্টতা বাড়ল। দুজনেই সমবয়েসী, সমাজ-সংসার ফেলে পেটের দায়ে পাহাড়ঘেরা জায়গায় একলাটি পড়ে আছি, এখানেও কোনো বন্ধন তৈরি হয় নি। চা বাগানের শ্রেনীবিভাজনের ব্যাপারটা আমার রপ্ত হয় নি, সঞ্জীবও দেখলাম প্রায়শই কুলী-কামিনদের সাথে আড্ডা মারে।
    সে জানালে তার বাংলোর বাইরে রাত্রে নানারকম শব্দ হয়। সে মাঝে মাঝে উঠে উঁকি দিয়েছে, কিছু দেখতে পায় নি। একদিন বললে, মাঝরাতে আওয়াজ শুনে বাইরে বেড়িয়েছিল,মনে হয়েছে কে যেন ছুটে পালাল।

    তাকে এবার বলেই ফেললাম এতদিন ধরে জমিয়ে রাখা কথাটা - একটা রাত বরং আমি তোমার সাথে কাটাই, দুজনে মিলে ঝামেলাটা খতিয়ে দেখা যাবে। সঞ্জীব তো খুশিই হল। তার সাথে সুভাষের ও আলাপ জমেছে। ঠিক হল সেও যোগ দেবে এই মচ্ছবে।

    শুক্রবার বিকেলে ওয়ালিয়াকে জানালাম, আজ রাত্তিরটা সঞ্জীবের বাংলোয় কাটাবো। কোনো উত্তর না দিয়ে সে গাড়ি থেকে নেমে যায়। আমিও মনের আনন্দে পৌঁছাই বাগানের প্রান্তে টিলার ওপরে সেই মায়াবী বাংলোয়। তখনো সুর্য অস্ত যায় নি।
    [এইখানে বলে রাখি গোধূলির আলোতে টিলা থেকে চরাচরকে অতিনৈসর্গিক মনে হয়েছিল। এখন নাকি ঐ টিলা ও তার আশপাশ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের টুরিষ্ট লজ, সেখানে বাংলা সিনেমার শুটিং হয়।]

    বাংলোয় থিতু হবার পরেই সঞ্জীব জানতে চাইলে, শিভাস না টিচার্স। আমি তখনো মদ্যপানে অভ্যস্ত নই, প্রচুর ডিমের ঝুরিভাজা পেয়েই অপরিসীম তৃপ্ত। তার সাথে এলো ছোটো ছোটো কাবাবের টুকরো, বাদামের মিক্সচার ভাজা। সুভাষ অভিঞ্‌গ লোক, সঞ্জীবের সাথে পানের সঙ্গত সে ই করতে থাকল।
    জানা গেল, সঞ্জীবেরা উত্তরভারতে বিশাল জমিদার পরিবার, সে পরিবারের ছোট ছেলে, পড়ালিখা করা একমাত্র আদমী। বন্দুক আর লাঠি চালানোতেও দঢ়, বহু বদমাশকে ঢিট করেছে। কেউ যদি এই বাংলোয় তার সাথে বাঁদরামো করতে আসে, সে তার প্রপিতামহের গুষ্টি উদ্ধার করে ছেড়ে দেবে।
    গপ্পে গপ্পে অশরীরিরাও এলেন। সঞ্জীব তার এলাকার এক মুসলমান জমিদারপত্নীর কথা বলল। তিনি প্রসবকালে যুবতীবয়সে মারা যান। নিজের কবরের উপরে তেনাকে বসে থাকতে সে তল্লাটের অনেকেই নাকি দেখেছে। এ ঘটনা ছোকরা শুনেছে তার মায়ের কাছে, উনার বাবাও প্রত্যক্ষদর্শী।

  • paakhi | 108.16.47.118 | ০৯ জানুয়ারি ২০১১ ১১:১৪497632
  • রাত বাড়তে থাকার সাথে সাথে আলোচনাও ক্রমে আদিরসাত্মক দিকে মোড় নিল। সঞ্জীব মধ্য কলকাতার পানওয়ালাদের থেকে কিভাবে নানা রসের ঠেকের সন্ধান জোগাড় করেছে, কিভাবে বহু পাঁকের মধ্যেও সে পদ্ম খুঁজে পেয়েছে, সে সবের রঙিন কাহিনি। সে ভারি আমুদে লোক, এত বাগাড়ম্ভর সঙ্কেÄও শুনতে মজাই লাগছিল।
    তাড়াতাড়ি ডিনার করার কোনো ইচ্ছাই আমার ছিল না, কিন্তু বাংলোর খানসামা রাতে থাকবে না। খাবার আগে সকলে বাইরে গিয়ে টহল দিলাম। সঞ্জীব আজকাল সারারাত বাইরে আলো জ্বালিয়ে রাখছে। সেই হলদে বাতির সীমানা পেরোলে কিন্তু চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার।
    ভরাপেটে সবারই একসময় চোখ বুঁজে গেছে। ঘুম ভাঙল বাইরের দরজায় প্রচন্ড শব্দে। ঘড়ি বলছে রাত দুটো। আমরা তিনজনে ঘরের সব আলো জ্বালিয়ে লাঠি-সোঁটা সহ সন্তর্পনে দরজা খুললাম। আর খুলেই মাথায় রক্ত চড়ে গেল।

    ভিনয় ওয়ালিয়া। অত রাতে নিজেই গাড়ি চালিয়ে এসেছে। সে পরিষ্কারভাবে জানাল এই মুহুর্তে তার সাথে ফিরে না গেলে পরদিন অনেক ঝামেলা হবার সম্ভাবনা।
    ফেরার পথে সারা রাস্তা চা বাগানের ডেকরামের শিক্ষা নিতে নিতে লজ্জা আর গ্লানিতে মাটিতে মিশে যেতে যেতেও একটা হালকা আনন্দ মনের আনাচে কানাচে ওড়াউড়ি করছিল। ভুত নিয়ে যা বলি, ভাবি আর বিশ্বাস করি তা পাল্টায় নি। তারা নেই।

    চালসায় আমার ভূতসন্ধিৎসার এখানেই ইতি, কেবল কাহিনিটার একটা লেজুড় রয়ে গেছে।

    পরদিন দেরিতে অফিস গিয়ে দেখি দালান মত জায়গাটায় ছোটখাট ভীড়। শনিবার ঐচ্ছিক অফিস, তও বেশ কিছু লোকজন চারপাশে। তাদেরকে ঠেলেঠুলে সরিয়েই স্তম্ভিত হয়ে যাবার পালা।

    সঞ্জীব বসে আছে হাত-পা ছড়িয়ে, পরনে গতরাত্রের রাতপোশাক। তার চুল উস্কোখুস্কো, চোখ লাল, মুখে পরিষ্কার ভয়ের ছাপ। সে বিষ্ফোরিত চোখে সামনে চেয়ে আছে, যেন সেখানে অসম্ভব কিছু রয়েছে।
    জানা গেল মাঝে মাঝে সে অসংলগ্ন কিছু কথা বলছে। সে সব জোড়াতালি দিলে ঘটনাটা এরকম দাঁড়ায়।
    রাতে আমি যাবার অল্প পড়েই সুভাষও বাড়ি চলে যায়। তারপর কোনো এক সময় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ও জলপিপাসায় কাতর হয়ে সঞ্জীব শয্যা ছেড়ে ওঠে। বসার জায়গা পেরিয়ে রান্নাঘর যেতে গিয়ে জ্বালিয়ে রাখা হালকা নীল আলোয় তার মনে হয় সোফায় কেউ রয়েছে। আরো সামনে গিয়ে হতবাক হয়ে দেখে অসম্ভব রূপসী এক মহিলা সেখানে বসে। রমনীমুর্তির মুখ মলিন, যেন বিষাদপ্রতিমা। সঞ্জীবের বিমুঢ় দৃষ্টির সামনেই রহস্যময়ী উঠে দাঁড়ায়, এগিয়ে আস্তে থাকে এবং ক্রমশ: মিলিয়ে যায়।
    রাতের অন্ধকার ও ঠান্ডার মধ্যেই ছুটতে ছুটতে সঞ্জীব চালসায় তার একমাত্র পরিচিত জায়গা বাগানের অফিসে চলে আসে। সকালে জিতুবাবু তাকে ঐ অবস্থায় আবিষ্কার করেন।
    লাঞ্চে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখি জায়গাটা ফাঁকা। জিতুবাবু বললেন, সে ছোকরা তো রিজাইন করে ওভাবেই দেশে চলে গেল মশাই। হাতে করে তিন লাইনের একটা লেটার লিখে দিছে। আর বলেছে, বাংলোয় তার যা পড়ে থাকল সব কুলীদের বিলিয়ে দিতে।

  • kumudini | 122.162.184.128 | ০৯ জানুয়ারি ২০১১ ১১:২৫497633
  • এত লোক লিখল,কারো জন্য এত পোশ্নো নেই!!যাগ্গে,চেষ্টা করি-
    ডি,ভাড়া নিয়ে যাওয়ার কাজটা করার জন্য কর্মচারী থাকত,বাড়ীওলারা নিজে কমই আসতেন।

    ব্যাঙ,এই ঘটনাটা সত্যি-ই আমার এক বন্ধু বলেছিল,তার কথানুযায়ী এটি সত্য ঘটনা।বোধহয় আমার লিখতে একটু ভুল হয়েছে-পৈতে দিয়ে আংটা থেকে ঝোলানো হয়নি,শক্ত দড়ি বা কিছু ব্যবহার করা হয়েছিল।গলায় পৈতে ছিল,ব্রাহ্মণরা যেভাবে পরেন।

    দ্বিতীয় ভাড়াটে হয়তো অন্য কিছু দেখেছিলেন।একজন সম্পুর্ণ উন্মাদের পক্ষে জোগাড়যন্তর করে আংটা থেকে ঝুলে পড়া সম্ভব হয়নি ।

    বীতশোক ও আর যাদের পোশ্নো আছে-

    চুপ করো অবিশ্বাসী(রা),কথা কোয়ো না!

  • kumudini | 122.162.184.128 | ০৯ জানুয়ারি ২০১১ ১১:৪৪497634
  • সরি,সম্পূর্ণ।
  • byaang | 122.172.0.214 | ০৯ জানুয়ারি ২০১১ ১১:৫০497636
  • যাই বল কুমু, তোমার বিভূতিবাবু হেব্বি ছোটোলোক ভূত, পৈতে না পরলে মানুষ বলে মনেই করেন না। শশাঙ্কবাবুর বৌ যখন ঐ বাথরুমে জলের বালতি রখতে যেতেন মানা থাকস সঙ্কেÄও, ওনাকে তো সব্বার আগে ঝুলিয়ে দেওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু ঐ! নারীজাতির পৈতেতেও অধিকার নেই, আংটাতেও নেই। (দীর্ঘশ্বাস)

    হঠাৎ একটা কথা মনে হল, ঐ বাথরুমে দঢ়াই বা পাওয়া গেল কোত্থেকে? এমন নয় তো যে শশাঙ্কবাবুর বৌই বিভূতিবাবুর সঙ্গে ষড় করে বালতি, দঢ়া দুইই রেখে তারপর বিয়ে খেতে গেছিলেন? নয়তো দ্বিতীয় ভাড়াটের বেলায় বিভূতিবাবু দঢ়া জোগাড় করতে পারলেন না কেন?
  • byaang | 122.172.0.214 | ০৯ জানুয়ারি ২০১১ ১১:৫১497637
  • * মানা থাকা
  • kd | 59.93.194.202 | ০৯ জানুয়ারি ২০১১ ১২:৪৪497638
  • দুস্‌! ভুত কি মানুষ যে হাতের কাছেই সব থাকতে হবে? ওদের নম্বা নম্বা হাত আছে না! ছাদের কাপড় শুকোনোর দড়ি তো ওদের হাতের কাছেই। :-)
  • I | 59.93.192.125 | ০৯ জানুয়ারি ২০১১ ১৩:৩৫497639
  • ব্যাঙের সঙ্গে কুনুদিনির হেব্বি ঝগড়া হোক। কাট্টি হয়ে যাক। সেই আনন্দে আমরা চাদ্দিন ভুতের জলসা বসাই। ফিতে কাটবেন কুনুদিনি'র বিভূতিবাবু।
  • kumudini | 122.162.184.128 | ০৯ জানুয়ারি ২০১১ ১৩:৫১497640
  • আইদাদা,কুনুদিনির সাথে ব্যাঙের ঝগড়া হইব না,গ্র্যান্টি।

    এত কষ্টে তিন প্যারা লিখলাম,ভাবলাম লোকে সামান্য হইলেও ভয় পাইব,কোথায় ক্ষি!সকলে মিইল্যা লেখাটার খিল্লি উড়াইয়া,কোশ্নো কইর‌্যা,পুরা ব্যাপারটা এক্কেরে হাল্কা কইরা ছাড়ল।
    ন্না,নীনার লেখাই পড়ি গিয়া,নিজে লেখার সংকল্প ছাড়ান দেই।
  • byaang | 122.172.0.214 | ০৯ জানুয়ারি ২০১১ ১৩:৫৬497641
  • রে পামর ডাক্তার! খালি কু কাটিস আর নারদমন্ত্র জপিস! কুমুকে বলে তোর পিছনে কিন্তু বিভূতিবাবুকে লেলিয়ে দেব! সাবধান!
  • Lama | 117.194.236.129 | ০৯ জানুয়ারি ২০১১ ১৩:৫৮497642
  • কুমুদি, ভয় পেয়েছি তো!!! যারা ভয় পায় নি, তাদের বকেও দিয়েছি
  • kumudini | 122.162.184.128 | ০৯ জানুয়ারি ২০১১ ১৪:০৪497643
  • যারা ভয় পায়নি,তারা কি আর আজ রাতে উটবে না?এগবার যেন উপরদিকে তাকায়।
  • kumudini | 122.162.184.128 | ০৯ জানুয়ারি ২০১১ ১৪:১৬497644
  • ভেবেছিলাম,খেয়ে দেয়ে আরেকটা লিখব।একন আর ভাবচি না।
  • byaang | 122.172.0.214 | ০৯ জানুয়ারি ২০১১ ১৪:৩২497645
  • আরে, আমি ভয় পাই নি কে বললো? হেব্বি ভয় পেয়েছি, বিশ্বাসও করেছি। এখন শুধু বিভূতিবাবু কোন পাড়ায় বাড়িভাড়া দেন, সেটা জানতে হবে। আর জানতে পারলেই বাক্সপ্যাঁটরা বেঁধে সোওওওজা ঢুকে যাব, ওনার বাড়িতে, সাথে গাঙ্গুলীর পো উইথ পুরনো পৈতে তো থাকবেই পাসপোর্ট হিসেবে। আর তারপর অঘ্‌ঘান পড়লেই একটা বাদ দিয়ে বাড়ির বাকি সব বালতি ভেঙ্গে দিয়ে, বিভূতিবাবুর ঐ বাথরুমে এক বালতি জল, আর একটা ইয়া মোটা দঢ়া রেখে, বিভীষণকে জোলাপের হেব্বি ডোজ খাইয়েই, নিজের ছেলেকে নিয়ে কোনো বিয়ের নেমন্তন্নো খেতে চলে যাবে। বাড়িতে থাকবে - বিভীষণ, এক বালতি জল, এক গাছা পৈতে, আর একটা দঢ়া।

    অ কুমু, কোন পাড়া গো?
  • byaang | 122.172.0.214 | ০৯ জানুয়ারি ২০১১ ১৪:৩৩497647
  • * চলে যাব।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন