এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • ভালো গান

    r
    গান | ০৪ মার্চ ২০০৬ | ৫৬২৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১৬ জুন ২০০৯ ১৮:০০498358
  • এদেশ তোমার আমার? সে তো এসএফআই-য়ের ক্যাসেট। সুমন ওতেই গেয়েছিলো - "কোনটা ভুলে কোনটা চিনবে'
  • Blank | 170.153.65.102 | ১৬ জুন ২০০৯ ১৮:০৩498359
  • হ্যা, তাই হবে হয়তো। ঐ খেজুর গাছের ছবি টা খালি মনে আছে, জল রঙে আঁকা।
  • Samik | 59.160.206.226 | ১৬ জুন ২০০৯ ১৯:৫২498360
  • হুঁ। এ দেশ তোমার আমার।
  • sayan | 115.108.25.26 | ১৬ জুন ২০০৯ ২০:০২498361
  • ".... আমরা হারবো না হারবো না
    তোমার মাটির একটি কণাও ছাড়বো না
    দেশে শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ....'
  • shyamal | 67.60.248.108 | ১৬ জুন ২০০৯ ২০:৪৩498362
  • গানটা যখন তৈরী হয়েছিল ১৯৬২ তে আর হেমন্ত গেয়েছিলেন, তখন শত্রু মানে একটাই দেশ ছিল, চীন। সদ্য ভারত-চীন যুদ্ধ শেষ হয়েছে। তবে সিপিএম যখন এই গান নিজের ক্যাসেটে ঢোকায় তারা কি চীনকে শত্রু মনে করে? শুনেছি, ১৯৬২র যুদ্ধের পর চীনের সমর্থকরাই পার্টি ভেঙে সিপিআই (এম) তৈরী করে।
  • nyara | 67.88.241.3 | ১৭ জুন ২০০৯ ০২:১০498363
  • ১৯৮৬ সাল বোধহয়। সবে রাগসঙ্গীতের মজা পেতে শুরু করেছি। কি করে যেন ডোভার লেনের টিকিট এসে গেল হাতে। সেই প্রথম অল নাইটার।

    শেষ রাতে উঠলেন আমজাদ আলী আর জাকির হুসেন। কি একটা যেন রাগ বাজাবেন। কিন্তু জমছে না। সরোদের তার নেবে যাচ্ছে বার বার। ঠিক করা হল। আবার নেবে গেল। আবার কানে মোচড়, আবার সুর মেলান, আবার শুরু। একটা ফ্রেজ বাজিয়েছেন কি বাজাননি - ফের তার নেবে গেল। অবস্থা বুঝে জাকির হুসেন শ্রোতা মনোরঞ্জন করতে আরম্ভ করলেন। এ চলেছিল প্রায় ঘন্টাখানেক। চোখ আর খুলে রাখা যাচ্ছে না। বার তিনেক কফি খাওয়া হয়ে গেছে। লুকিয়ে একটা-দুটো সিগারেটও। ভোর প্রায় চারটে-টারটে হবে। ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।

    ঘুম ভেঙে আধো তন্দ্রায় শুনলাম ভৈরবী বাজছে। কখন তার ঠিক হয়েছে, কখন ভৈরবী শুরু হয়েছে জানিনা। আলাপ হচ্ছিল, না কোন গৎ বাজাচ্ছিলেন - তাও মনে নেই। খালি মনে আছে বাইরে তাঁবুর একটা দিক লালচে উঙ্কÄল হয়েছে। সূর্য উঠছিল। ব্রাহ্মমুহূর্ত্য? পরিষ্কার জানলাম ভাতখন্ডের টাইম-থিওরি একদম নির্ভুল। ভৈরবী শোনার এরচেয়ে ভাল সময় আর হয়না।

    সেদিন আমজাদ যে দারুণ কিছু বাজিয়েছিলেন, বুজুর্গরা এমন কথা বলেননি। আমি পরে অনেক ভৈরবী শুনে মোহিত হয়েছি। কিন্তু সেদিনের বাজনায় যেরক কাৎ হয়েছিলাম, গান শুনে সেরকম কাৎ কমই হয়েছি। গানের শেষে বিবেকানন্দ পার্কের রেলিং ডিঙিয়ে এস-চোদ্দ ধরে বাড়ি আসতে আসতে তার রেশ ছিল। সন্ধ্যেবেলা ঘুম থেকে উঠেও মাথার ভেতর ভৈরবী বাজতে শুনেছি। এখনও সেতার কি সরোদে ভৈরবী শুনলে প্রায় পঁচিশ বছর আগের এক কিশোরের অভিজ্ঞতা জেগে ওঠে।
  • ranjan roy | 122.168.19.187 | ১৭ জুন ২০০৯ ১২:০১498364
  • শ্যামল,
    আমার কেমন মনে হচ্ছে যে হেমন্ত'র গানটা ১৯৭১এ বাংলাদেশ যুদ্ধের সময়ের।
    ১৯৬৩'র চীন-ভারত যুদ্ধের সময়ের সকালের দশমিনিটের ঐ গানগুলো ভালই মনে আছে।
    ২ নং--"" ওরেও শ্রমিক ভাই, এবার তোমার অস্ত্রটাতে শান দিয়ে নাও, শান দিয়ে নাও, শান দিয়ে না--আ--আ-ও।
    তোমার অই সবল পেশির ইস্পাতে আজ দেশেরই রক্ষাকবচ বানাও, তুমি রক্ষাকবচ বানাও।
    সঞ্চারীটা দেখুন-- ""তুমি মায়ের জোয়ান ছেলে,
    সবার আগে তোমার দাবী,
    লোহার বুকে আগুন জ্বেলে
    গড়বে তুমি জীয়নচাবী।

    ধনিকের ঐ কারখানাতে, খাটবে তুমি দিনেরাতে---''

    এরপর হাসি পেয়ে যেত, কি বাজে লিরিক! এতে কৃষকভাই ছিলনা।

    আর একটা দেখুন--
    "" আর একপাও নয় শত্রু, সময় দিলাম পিছু হটবার,
    অনেক রক্ত তুমি নিয়েছ, সবঋণ শোধ কর এইবার।
    ঋণ শোধ করো, ঋণশোধ করো,
    ঋণশোধ করো-ও-ও এইবার।''
    ভালও গানও ছিল।
    "" এই চল্লিশকোটি হদয়ে সাজাব দীপান্বিতার অর্ঘ্য।''
  • shyamal | 67.60.248.108 | ১৭ জুন ২০০৯ ১৭:০৪498365
  • মাগো ভাবনা কেন, ১৯৭১ এর অনেক আগের গান। আমার ঐ "ওরে ও শ্রমিক ভাই" এর কথাগুলো মনে নেই। ১৯৭১ এর গান , অন্তত: যেগুলো তখন প্রথম শুনলাম সেগুলো হল:
    ১) আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারী
    ২) বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ, বিশ্বকবির সোনার বাংলা, নজরুলের বাংলাদেশ, জীবনানন্দের রূপসী বাংলা, রূপের যে তার নেইকো শেষ
    ৩) আমরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি

    এগুলো প্রচারিত হত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে। লোকে বলত সেটার স্টুডিও কলকাতারই কোথাও। তাছাড়া আকাশবানীতে দেবদুলাল রোজ ইন্টারভিউ করছে কোন মেয়ে, বৌ বা বৃদ্ধাকে যাকে ""খানসেনারা" রেপ করেছে। রিফিউজি আসছে আর আসছে।
  • r | 198.96.180.245 | ১৭ জুন ২০০৯ ১৭:২৮498366
  • খুঁজে পেয়েছি। মা গো তোমার ভাবনা কেন, ১৯৭১ সালের গান। গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের কথা, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সুর।
  • ranjan roy | 122.168.232.122 | ১৭ জুন ২০০৯ ১৮:১৮498368
  • শ্যামল,
    আপনার দ্বিতীয় গানটার মুখড়া হল
    --শোন, একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের ধ্বনি
    ----- আকাশে বাতাসে ওঠে ফুটি। বাংলাদেশ! আমার বাংলা!
    আপনি যেখানটা কোট করেছেন সেখানটা সঞ্চারীর অংশ। এটাও গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের, সম্ভবত:।
    হ্যাঁ। ""স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র'' আসলে পার্কসার্কাসের সার্কাস অ্যাভিনিউতে ভূতপূর্ব পূর্বপাকিস্তানের হাই কমিশন অফিসচত্বর।
    এটা বলায় বাবা খুব রেগে গিয়েছিলেন। আজ মনে হয় এটাই প্র্যাকটিক্যাল।
  • shyamal | 67.60.248.108 | ১৭ জুন ২০০৯ ১৮:৩২498369
  • রঞ্জনদা , ঠিক। প্রথম লাইনটা মনে ছিলনা। দ্বিতীয় লাইনটা বোধ হয় "" আকাশে বাতাসে ওঠে রণি""।
    সে বছর সব কিছুই জয় বাংলা। কলকাতায় প্রচুর লোকের কনজাংকটিভাইটিস (পিংক আই) হল। সেই রোগের নাম হয়ে গেল জয় বাংলা।

    তবে r যে বলেছে মা গো ভাবনা কেন ১৯৭১ এর সেই নিয়ে এখনও সন্দেহ যায়নি। যদিও একটি সাইটে দেখলাম তাই বলেছে।
  • kallol | 220.226.209.2 | ১৭ জুন ২০০৯ ১৮:৪২498370
  • ওটা বোধ হয় ছিলো
    "শোনো একটি মুজিববের থেকে লক্ষ মুজিবরের কন্ঠে / ধ্বনির ধ্বনি প্রতিধ্বনি / আকাশে বাতাশে ওঠে রনি / বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ - অংশুমান রায়ের গাওয়া।
  • ranjan roy | 122.168.232.122 | ১৭ জুন ২০০৯ ১৮:৫৮498371
  • কল্লোল, একদম ঠিক।

    শ্যামল, আমি স্মৃতি থেকেই বল্লাম-- মাগো, তোমার ভাবনা নেই কোন, ১৯৭১ এর।
    কারণ, তখম এই গানটাই সবচেয়ে ভালো হয়েছিলো এবং জনপ্রিয় ছিলো। ১৯৬৫তে পাকিস্তান যুদ্ধের সময় কোন ভাল গান হয় নি। ১৯৬৩'র গান গুলোই ৬৫ অব্দি চলেছে।
    সেই সময়ের( চীনযুদ্ধের) হেমন্তের গান হল "" বুদ্ধ, গান্ধী, বিবেকানন্দ,বিশ্বকবির মহান দেশে; আজ শান্তির মহান পতাকা কেড়ে নিতে চায় শত্রু এসে। ঘুমায়ো না আর শিবাজি-প্রতাপ, ঝাঁসির রাণী জাগো এবার; উদ্দাম বেগে ছুটে চলো আজ----'' এইরকম কিছু।
  • kallol | 220.226.209.2 | ১৭ জুন ২০০৯ ১৯:১৩498372
  • ৬২-তে সুভাষ মুখুজ্যে মশাই একটা জম্পেশ কবিতা লিখেছিলেন -
    আমি ভীষণ ভালোবাসতাম / আমার মাকে / কখনো মুখফুটে বলিনি / টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে / কখনো কখনো কিনে আনতাম / কমলালেবু / শুয়ে শুয়ে মার চোখ / জলে ভরে উঠতো /
    আমার ভালোবাসার মাকে / কখনো আমি / মুখফুটে বলতে পারিনি /
    হে দেশ / হে আমার জননী / কেমন করে তোমাকে আমি বলি/
    যে মাটিতে ভর দিয়ে / আমি উঠে দাঁড়িয়েছি
    আমার দুহাতের / দশ আঙ্গুলে তারই স্মৃতি
    আমি যা কিছুই / স্পর্শ করি / সেখানেই হে জননী তুমি
    আমার হৃদয় বীণা / তোমারই হাতে বাজে / হে জননী তুমি

    অনেক পরে ৭৭-৭৮এ বিনয় চক্রবর্তি অসাধারন সুর করেছিলেন।
    হে দেশ / হে আমার জননী - এই লাইনটা থেকে থ্রি পার্ট হার্মনি করা হতো - গাইতে গাইতেও গায়ে কাঁটা দিতো।

    যদিও গাওয়ার আগে একবার নিয়ম করে সুভাষ মুখুজ্যে মশাইয়ের আদ্যশ্রাদ্ধ করা হতো - হাজার হলেও চীন বিরোধী কবিতা তো !
  • nyara | 67.88.241.3 | ১৭ জুন ২০০৯ ২৩:৩৫498373
  • একাত্তরে অনেক গান হয়েছিল। 'মা গো ভাবনা কেন' মনে আছে। 'শোনো একটি মুজিবরের দেশে' মনে আছে। সলিল চৌধুরী আই পি টি এ-র বেশ কিছু গান রিরেকর্ড করলেন মান্না দে-কে দিয়ে। 'আলোর পথযাত্রী': মান্না আর সবিতা। 'মানব না বন্ধনে' - মান্না দে। ইত্যদি।

    আর পূর্ব পাকিস্তানে তো গান হাতিয়ার হয়ে গেছিল। 'আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো' লেজেন্ড হয়ে গেছে। ওরা রবীন্দ্রসঙ্গীতকেও অসাধারণ ব্যবহার করেছিল এই কাজে। আমার কাছে ঐ সময়ের পূর্ব পাকিস্তানের বাংলা গানের একটা প্রাইভেট কম্পাইলেশন আছে। তাতে অনেক গানই রবীন্দ্রসঙ্গীত।
  • ranjan roy | 122.168.71.19 | ১৮ জুন ২০০৯ ০০:০৯498374
  • ন্যাড়াবাবুর ভৈরবীর কমপ্লিমেন্টারি:
    --------------------
    আমার বন্ধু সোদপুরের অঞ্জন বিশ্বাস ( সিপিএম পরিবার) বোটানি অনার্স করে চাকরি না পেয়ে ছত্তিশগড়ে এসে মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে।
    তখন ওর সহপাঠী বুধাদিত্য মুখার্জির( পরবর্তী কালে বিখ্যাত সেতারী পন্ডিত বুধাদিত্য) সঙ্গে সেতার শেখে।
    ও শুনিয়েছিল যে সত্তরের দশকে নকশালদের আক্রমণে পাড়াছাড়া হয়ে তারপর পাকাপাকি ভাবে রায়্‌পুরে চলে আসে।
    ভোরবেলায় পাড়াছাড়ার আগের দিন সারারাত জেগে ছাদে বসেছিল। চারপাশের গলিতে বোমা ও পাইপগানের আওয়াজ। সিপিএম ও নকশালদের অ্যাকশান স্কোয়াড সারারাত লড়ছে। একেকবার নকশালরা ঢুকে পড়ছে, আবার তাদের হঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভোরের আকাশে রং ধরতেই বোমের আওয়জ মিলিয়ে গেল।
    সারারাত আতংকে কাটিয়ে ওর মা-বোন দরকারি জিনিসপত্তর বাঁধাছাঁদা করতে লাগলো। সেতার-তবলা ফেলে যেতে হবে।
    তখন বন্ধুটি সেতার বেঁধে বিলায়েৎখানী ঘরানার গায়কী অঙ্গের বড় বড় মীড় লাগানো আলাপ করতে শুরু করলো। আধঘন্টা। তারপর বেরিয়ে পড়লো দরজায় তালা মেরে।
    ওর বক্তব্য-- ভৈরবীতে প্রায় বারোটা স্বরই লাগে, সবাই তাই বাজায়। আকাশে
    রঙের টোনের সঙ্গে হয়ত কোন সাযুজ্য আছে। কিন্তু তখন সারারাতের আতংকের পর আমার ভৈরবীতে যে পর্দা গুলো বিশেষ করে ওজন নিয়ে যেভাবে বাজলো----।
  • nyara | 67.88.241.3 | ২৩ জুন ২০০৯ ০৩:২৮498375
  • বাড়িতে ছেলেবেলা থেকে রেকর্ডে বেগম আখতারের বাংলা গজল শুনে আসছি। 'কোয়েলিয়া গান থামা' আর 'এ মৌসুমে' সুরের জন্যে সবথেকে প্রিয় ছিল। কথাটথা তো তেমন বুঝতাম না, পাত্তাও দিতাম না। সুরঋদ্ধ লক্ষ্ণৌ গায়কির ঝলমলে চাকচিক্যে ভরা সে গান। বেগম আখতারের জীবনের শেষ দিক তখন। সুরের প্রয়োগ কোন খামতি নেই, কিন্তু গলায় ক্লান্তির ছাপ আছে। পরে ঋতা গাঙ্গুলী কি শীলা ধার প্রমুখের লেখা পড়ে বেগম আখতারের যে ছবি মনের মধ্যে আঁকা হয়, এ গান শুনলে সেই ছবি যেন রি-ইনফোর্সড হয়। গর্বিতা রাজ্ঞী সুর নিয়ে খেলা করছেন। ঠিকরে পড়ছে গলা থেকে সুর আর নাকছাবি থেকে হীরের দ্যুতি।

    অনেক পরে শুনলাম আদতে যে বাংলা গান জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ বেঁধেছিলেন আখতারি বাঈয়ের "কোয়েলিয়া মত পুকার" ভিত্তি করে। বাণী কোনারের গাওয়া। সে গানে গজলের কোন ছায়া নেই। তানকর্তববর্জিত সাবেকি বাংলা গান। কিন্তু গানের অনুষঙ্গ পুরো ফুটে ওঠে বাণী কোনারের ঐ গানে। গানটার যে মেদুরতার আভাস বেগম আখতারের গানে পাওয়া যায় না, তার পরিপূর্ণভাবে বাণী কোনারের গানে জেগে আছে। যেন দুটো সম্পূর্ণ পৃথক গান।

    কোয়েলিয়া গান থামা এবার
    তোর ঐ কুহুতান ভাল লাগে না আর।

    আনবঁধু যার মন টানে,
    ফিরে যে না চায় ঘরপানে,
    তোর ঐ কুহুকুহু তানে
    তারে মনে পড়ে বারে বার।

    প্রিয় বুঝি তোর ওরে পাখি
    মোর মত তোরে দিল ফাঁকি!
    তাই কি রে তুই ডাকিডাকি
    প্রাণ কাঁদাস দু:খীনি রাধার?
  • pi | 128.231.22.89 | ২৪ জুন ২০০৯ ০৪:৩২498376
  • বানী কোনার কোথা পাই ?
  • r | 125.18.104.1 | ২৪ জুন ২০০৯ ১২:৫৭498377
  • আমার কাছে আছে। সময় পেলে তুলে দেব।
  • a x | 75.53.200.141 | ২৫ জুন ২০০৯ ০৭:৪০498380
  • ঐ ভৈরবী, ঐ দিন ঐ সময়ে, আমিও শুনেছিলাম :-)
  • pi | 72.83.196.134 | ২৫ জুন ২০০৯ ১৪:২০498381
  • বানী কোনার আর আখতারী বাঈ।
    আহা,একটি আমাদের বাংলা মিঠে পাতা,তো অন্যটি, জর্দা ঠাসা বানারসী মঘাই।

    থ্যাংকু, বানী কোনারের জন্য।
  • shyamal | 67.60.248.108 | ২৮ জুন ২০০৯ ২০:০৯498382
  • টিভিতে সৌগত রায়ের একটা ইন্টারভিউ দেখছিলাম। না মোটেই রাজনৈতিক নয়। ওনার কি কি গান ভাল লাগে সেই নিয়ে। এই অনুষ্ঠান সেলিব্রিটিদের পছন্দের গান নিয়ে।
    উনি আমার চেয়ে কিছু বড় হবেন। দেখলাম উনি আন অ্যাব্যাশেডলি পুরোনো গানের ভক্ত। হেমন্ত, মান্না, লতা, আশা ইত্যাদি। নির্ভয়ে বললেন, আজকাল অনেকে রহমানের প্রশংসা করে, কিন্তু আর ডির ধারে কাছে নয়।

    উনি একটা গানের কথা বললেন। বহুদিন পরে এটার উল্লেখ শুনলাম। অখিলবন্ধু ঘোষের " ঐ যে আকাশের গায়, দূরের বলাকা ভেসে যায়'। দারুন গান। দেখলাম esnips এ আছে।
  • Arpan | 122.252.231.12 | ২৮ জুন ২০০৯ ২০:১৩498383
  • ইন্দ্রনীলের কল্যাণে ঘরে ঘরে লোকে এই গান জানে। :-)
  • kallol | 220.226.209.2 | ২৯ জুন ২০০৯ ১৯:২৪498384
  • অনেককাল পর বেগম আখতারের বাংলা গানের কথায় খুব স্মৃতিমেদুর লাগছে।
    ১৯৭৪ সাল। বন্ধুর বাড়িতে সদ্য কেনা এইচ এম ভি ফিয়েস্তা। রেকর্ড কেনা হয়েছে
    কণিকার - তোমায় নতুন করে পাবো বলে, ওপিঠে - লক্ষী যখন আসবে ঘরে
    আনন্দশংকরের প্রথম ফিউশন রেকর্ড - আহা নামটি ভুলে গেছি
    আর বেগম আখতারের - জোছনা করেছে আড়ি, কোয়েলিয়া গান থামা এবার, চুপি চুপি চলে না গিয়ে, পিয়া ভোলো অভিমান
  • Tirthang | 140.247.29.224 | ০১ জুলাই ২০০৯ ০১:৩০498385
  • "ঐ যে আকাশের গায়ে দূরের বলাকা ভেসে যায়' সম্পর্কে একটা নিজস্ব মতামত দিয়ে যাই। অখিলবন্ধুর "ও-ও-ও-ও-ও-ই যে' শুনলে মনে হয় অনেক উঁচুতে ঝকঝকে নীল আকাশের বুক চিরে ডানায় পড়ন্ত সূর্যের রোদ মেখে বলাকার ঝাঁক অসীমের পানে উড়ে চলেছে; আর ইন্দ্রনীল সেনের "ও-ই-ই-ই-ই-ই-ই-ই যে' শুনলে মনে হয় হতচ্ছাড়া পায়রাগুলো উঠোন নোংরা করছে, ঢিল মেরে তাড়া শিগগির! আবারও, একান্তই ব্যক্তিগত অনুভূতি।
  • Samik | 115.241.83.169 | ০১ জুলাই ২০০৯ ১০:৩৪498386
  • ইন্দ্রনীলকে আমি গায়ক বলেই মনে করি না। বদ্‌খত গলা। তার ওপর ঐ

    আমলকি পিয়ালের ফন্দী / কিছু মৌমাছি এখনও যে বন্দী

    শুনে থেকে ওর ওপরে আমি হাড়-চটা।
  • Samik | 115.241.83.169 | ০১ জুলাই ২০০৯ ১০:৩৬498387
  • শ্যামলদা,

    অন্যভাবে বলতে গেলে, আরডিও রহমানের ধারেকাছে যান না। যে যার জায়গায় মহীয়ান। সলিল চৌ-ও আরডি নন, আরডিও রহমান নন, রহমানও সলিল চৌ নন।
  • shyamal | 67.60.248.108 | ০১ জুলাই ২০০৯ ১৭:০৩498388
  • শমিক, একটা প্রশ্ন। আজকাল কেন এইগানগুলোর মত গান হয়না?
    বিতে না বিতায়ে রয়না
    রয়না বিতি যায়
    আপকি নজরোঁনে সমঝা
    মনমোহনা বড়ি ঝুঠে
    চলতে চলতে ইউঁহি কোঈ
    মিঠে বোল বোলে বোলে পায়লিয়া
    মেরে নয়না শাওন ভাদোঁ
    পুছোনা ক্যয়সে ম্যায়নে

    সুরকাররা সুর দিতে পারেন না বা গায়করা গাইতে পারেন না এটা আমি বিশ্বাস করিনা। আজকের প্রজন্ম কি ভারতীয় রাগাশ্রয়ী স্লো গান পুরো রিজেক্ট করেছে?
    আমাদের কি শুধু জুজু আর ব্রক্ষ্মা জানেন এর মত চপল গান শুনে কাটাতে হবে?
  • Arijit | 61.95.144.123 | ০১ জুলাই ২০০৯ ১৭:০৮498390
  • ইন্দ্রনীল বহুত নীচু স্কেলে গায় - সম্ভবত: ওর গলা ওঠে না বেশি। হেমন্তর একটা হিন্দি গান ছিলো - "জনমসে বনজারা হুঁ বন্ধু' - তার বাংলাটা কি যেন - জীবনপুরের পথিক রে ভাই (?) - সেইটা যা গেয়েছিলো না, নীচু স্কেলে - শুনলে অক্কা পাবে। আমি সেই থেকে শুনি না। তিন চারটে সিডি লোকে গিফট করেছে, একখানাও খুলিনি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন