এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পর্বে পর্বে কবিতা - তৃতীয় পর্ব

    pi
    অন্যান্য | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ | ৫৫৮৯৮ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sosen | 184.64.4.97 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৫ ১১:১২507630
  • আমি তাকে একবার দেখতে পেয়েছিলাম
    পা ছড়িয়ে বসে রয়েছে রাস্তা আর ঘাসের মাঝখানে
    দেখলাম
    হঠাৎ চলতে চলতে বসে পড়তে
    দেখলাম
    একদিকে বেঁকে থাকা ঘাড়
    শিরায় ডগডগ করছে প্রাণপণে বেঁচে থাকা
    আঙুলগুলো খুলে ছড়িয়ে দিয়ে
    হতাশ্বাস গলায় সে বললো
    কৈফিয়তের মতো

    এই একটু বসতে ইচ্ছে করেছিলো।

    তার পর তাকে আর দেখিনি।
    অথচ কাংড়া উপত্যকায় সন্ধ্যা নামে
    বিশ্রামের মতো
    হিমবর্ণা কুয়াশা জমকালো আরামে বেঞ্চিতে বসে
    বেড়াতে আসা ট্যুরিস্ট দেখে,
    লাল সোয়েটার তাদের গায়।
    উথলপাথল ছোট্ট শিশু কারোর গলা জড়িয়ে ঝুলে থাকে
    মুখে দুধের গন্ধ,
    বালিশে শান্তি।
    এসব দেখতে পাই
    কিন্তু তার বোধ হয় আর বসা হয়নি

    চাবুক নেচে উঠছে আকাশের গায়।
  • ফরিদা | ১০ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৯:১৭507631
  • ফেসবুক

    এত উৎসব আসে তোমাদের? এত কথা এতখানি অমেয় প্লবতা
    ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে নিয়ে উড়ে বেড়িয়েছে দেশ দেশান্তরে
    এত রাগ থাকে নাকি কারও? এতখানি ঘৃণা ভালোবাসা
    বারবার চলে গিয়ে ফিরে আসা গুটিশুটি শাবকের কাছে
    এতটা নিচুতে? এত জল, এত আলো এত বেশি অম্লতা ক্ষার
    এখানে গাছের পাতায় পাতায় নাকি চিঠি, কেক বিস্কুট উপহার?

    আমিও ঘুরেছি খুব অচেনা সড়কে, দেখেছি অচেনা পাখি
    অকারণে শিস দেয়, একলা বালক দেখি স্কুলপথে যেতে যেতে
    পাথরকে বল ভেবে লাথি মেরে ক্লাস টেনে পড়া ছেড়ে দেয়।
    অনেক অনেক ট্রেন ছেড়ে গেছে, অনেক বাসেরা, গাড়ি
    প্রচুর নদীরা হায় স্থুলকায়া সেই পরিযায়ী বিয়েবাড়ি
    আজ বহুদিন হল। তখন কাচেরা ছিল জানি কত না ভঙ্গুর
    দু-হাতের মাঝখান দিয়ে দেখা সেইসব লাল রোদ্দুর গুলি
    দু-কথায় সমুদ্দুর লিখে বাহবা প্রাসাদটিকে ভাবি ঘরবাড়ি।
  • ranjan roy | 24.99.98.24 | ১০ ডিসেম্বর ২০১৫ ১১:৩৯507632
  • প্রার্থনা করোঃ
    রোদ্দূরের রং যেন আরেকটু মোলায়েম হয়,
    আর রাত যেন আরও আস্তে আস্তে পা ফেলে।
    প্রার্থনা করোঃ
    যেন অন্ধ বেড়াল বাচ্চাটা
    শুঁকে শুঁকে ঠিকঠাক রাস্তাটা পেরোয়।

    প্রার্থনা করোঃ
    অংকস্যারের হাতের টিপ এইবার যেন ফস্কে যায়।
    আর টিউটোরিয়াল থেকে একা ফেরার সময় ওঁর নখ
    যেন চামড়ায় কেটে না বসে।
  • sosen | 184.64.4.97 | ১২ ডিসেম্বর ২০১৫ ২১:৩২507633
  • এখন আমি হাঁটু মুড়ে বসতে চাই।
    অনেক বাজারে আলো নিভে গেছে
    অনেকে দুফোঁটা জল মুছে নিয়ে চলে গেছে
    প্লবতার অন্য পাড়ে, সমারোহহীন
    আমারও ছিল না কোনো সমারোহ। এখন
    বালিকার পাশে গিয়ে বসে
    একখানি হাত ছুঁয়ে থাকতে ইচ্ছে করে চুপচাপ।
    অমেয় গরিমা নিয়ে যারা বেঁচে গেল এইদিন
    তাদের সবার থেকে দূরে, চুপ করে।
    এইটুকু। ডাক এসে গেছে খুব কাছে।
  • ranjan roy | 24.96.184.62 | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০১:০১507634
  • আতসবাজির দিন
    ============
    আমাকে দিয়েছে ফাঁকি আতসবাজির দিনগুলো।
    শুধুই আমাকে?
    তবে কেন সন্ধ্যেয় ঘরে ঘরে জ্বলে না পিদিম?
    থেমে গেছে চিড়বিড়ানি ধানীপটকা অথবা দোদুমা।
    হাউই বানায় না কোন মশলামাখা হাত,
    উড়ন তুবড়ি আর বসন তুবড়ির জ্বেল্লা ফিকে হয়ে গেছে।
    আজকাল লোকজন ভুলে গেছে জ্বালাতে মশাল।

    আজকে খোলা ছাদে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে ডাকিঃ
    -- ফিরে এসো, ফিরে এসো রংমশালের রাত।
    ফিরে এসো আকাশপ্রদীপ।
    ফিরে এসো তোমরা যারা ভুলে গেছ বারুদ বানাতে,
    আমাকে বিশ্বাস কর, শিখে নাও নতুন কৌশল।
  • শ্ব | 113.6.157.186 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ২১:০৬507635
  • থেই আতুন বিথা
    ~~~~~~~~~~

    তো সিথে মাহুন হেলা খাবিআর খাই
    মেহানি আয়ান গানী কলিহে থবির
    তেয়াতি পুলিন কিথে শবাহু কহুন
    মিয়াঝানি সমাহিনা সিয়াথা মারিন ।

    এতং বিলাওয়ালে কাতিন কাতিহা মীর্ঝাম । উস্তুম কামিনাহে ? এতা ইনতা এতা কাহিত বিলি বিলি কাতুন । মৈশম নাতিহা বিতানি ? থেই কোলমীন । কাউরু মোনাসিহা বাতান হালু থালিকারী ধাই । পিহেন ধে ধাই । দুহা দুহা মিসিকি হো গীথথম থুর । গীথ্থে এনিয়াথে । গীথ্থে কো বিনাহা দিরিথা দিসি কিতুন । হেই মা থে তুন, বিতাসা থুন, থেই না থেই না থেই না থেই না উতীঈইইই য়ারি । য়ারি য়ারি য়ারি খাইমিতান :

    হেঈ নে ! হীয়াথে ধেই হে

    পা না লা থে দি শীরয়ে দীহা তুন

    হেঔ ও ! বিনাহে ধেই হে

    বিতানা লা পী ধীরহে শীনা তুন !

    থেই কোলমীন কিথা । এতং পারি হিতান বিলি কাতুন, শেইতা কাতুন তাম দা রে তাম দা রে তাম দা রে তু । এতং বিলিবান । মৈহন দাহীতুন হি মাহী । দীহে দীহে শানিয়াথে দারাকতুন দীহে দীহে আহে । বাহা আহে । নীহে গীথ্থে এনিয়াথে । এনিহাতুন । সৈমন মাহী দারাকতুহে বাহে : বাহা মাহী মীহারিনা শিরো শিথো অনক বিহুল , ঝহরিনো আকখালে কীরি শাম দিরিথ বকুল ।

    থেই ।

    হা মাখতুন হা । থিআপ ।
  • Div0 | 132.179.71.97 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ০০:২৮507636
  • হয়তো তুমি আমাকে চিনবে না
    হয়তো তুমি আমাকে চিনেও চিনবে না
    তোমার কাছে তন্মুহূর্তে হয়তো বা কিছুই ছিল না
    ভয়ের বা অভয়ের
    স্পষ্টতঃ এক শূণ্যতা ছিল
    এবং আরও কিছু ছিল, যা অস্পষ্ট কিন্তু বর্ণনীয় -
    সেদিন হাঁটতে শুরু করি বিস্তর ব্যবধান
    ক্রমাগত আলোকবর্ত্তিকাহীন, তুমিসত্বাময়
    হাঁটতে হাঁটতে তুমিটুকু হেরে যায়
    নদীর ধারে পৌঁছোই - নদী শুকনো ছিল চর
    এবং নৈঃশব্দ, হয়ত বা মনোমধ্যে নদী-ভাবনা
    আরও শীতলতর তুমি
    গাছগুলি, পাতাগুলি আবছায়ায় নিশ্চল
    তুমি আরও হারাও, বারবার পরিস্ফুট হয়েও
    হারাতে থাকো নির্নিমেষ যেখানে নাম
    অথবা পরিচয়, সবটুকু মিথ্যা হয়
    যে কারণে তুমি উজ্জ্বল ছিলে
    কারও ব্যক্তিগত কারণে আজ তুমি মলিন হও
  • Div0 | 132.179.71.97 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ০০:৪১507637
  • মৃত্যু আর জীবনের মাঝখানটিতে
    ক্রমে ক্রমে ভেঙে আসে পথ।

    ত্রাসের, ছায়ার সেই দিকে যাবে ব'লে
    শরীর উপুড় ক'রে কতদিন পিছল করেছে সে আঙিনা
    আর হেঁটেছে শিঞ্জনহীন পায়ে। একা একা।

    পা দু'খানি চুপ, শুধু সুর বাজে বনে ও পথের আশেপাশে।
    এখানে দিবস মৃত। রাত্রিও সুদূর।

    কাঁটা বিঁধে থেমে আসে চলা,
    শুষে নেয় সব আলো মহানীল বসনগুলি।

    আরও অন্ধকার হলে,
    বিদ্যুতে ঝলসাবে দাঁত বাঁশির শোনিতে।
  • ফরিদা | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৭:১৮507638
  • দূরত্ব

    আর কিছু থাক না থাক তোমার আমার মাঝখানে একটা দূরত্ব আছে।
    একটাই, একমাত্র বহুদিন ধরে – তার এই কুয়োপাড়টাকে আমি চিনি
    সমবেত উৎসবমুখর দিনগুলি থেকে আস্তে আস্তে পালক খসে গেলে
    সীমিত দূরত্বে বালতি নামিয়ে দিতাম টানটান। দেখার চেষ্টা হতো
    বালতিটা জল ছুঁলে শব্দ আসছে যেই – বহুদূর থেকে বেশ বোঝা যেত।
    ডাক দিলে খবর আসতো আগে, জলও, তখন দূরত্ব কিন্তু মুখরও ছিল।

    এখনও দুরত্ব আছে, টানটান, আমার হাতের মুঠোয় বালতির দড়ি
    এঁটে বসে থাকে, এখনও জল আর দেখা যায় না, জলের শব্দ নেই
    হয়তো কানের দোষ, এতদিন পরে হাত কাঁপে, সাড় কমে গেছে
    জল ছুঁলে আর কোনো সঙ্কেত নেই আজকাল। হয়ত পুরনো জল
    নাড়াচড়া সাড়া দিতে প্রবল অনীহা, বালতির সামনে ন্যুনতম স্পৃহা
    সঙ্কুচিত হয়ে থাকে। এতদিনে, বয়স বেড়েছে বলে, সাবালক দূরত্ব
    শরীরে বেড়েছে, নিজস্ব বুদ্ধিতে চলাচল করে, সবকিছু বলে দেয় না
    তোমার আমার এই একটাই দূরত্ব - সে তার বাপ মায়ের খবর নেয় না।
  • Atoz | 161.141.84.176 | ২০ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৬:০০507640
  • তুল্লাম।
  • ফরিদা | ২০ ডিসেম্বর ২০১৫ ১০:১২507641
  • নার্সারি

    সবকিছু ফুল নয় জেনো, সাজানো ঝলমলে রঙে হেসে ওঠে
    কাছাকাছি এলে সুগন্ধে ডেকে নেবে দু-একটা কথা চেনাশোনা
    কিছু চারাগাছও আছে, রোগাসোগা কয়েকটা পাতা নিয়ে, কিছুদূরে
    বাটিতে বাটিতে আছে নাম লেখা ফুল ফল বীজ – ওরা দূরে যাবে
    কাগজের ঠোঙায় পকেটে পকেটে ঘুরে ঘুরে স্টেশন প্লাটফর্ম হয়ে
    অফিস টাইম লোকালে ধাক্কা খেতে খেতে, কামরা খালি হলে
    কয়েকটা স্টেশনের পরে হাওয়া আসে, অন্ধ ভিখিরিরা গান গায়
    রাত বেড়ে গেলে ক্রমে পকেটের বীজগুলি নতুন ঠিকানায় যায়।

    যা কিছু আজকের বলে জানো, যা আছে সাজানো রঙচঙে ছবিগুলো
    খবর কাগজে আজকের পরে হদিশ পাবে না কোনো লুকিয়ে থাকবে
    ওরা এককোণে বাসী হলে। দ্যাখো ঘন ঘন রোজ রোজ খুব জন্মায়
    নতুন ফুলেরা, তাদেরও প্রয়োজন আছে, ওদের দেখেই লোক আসে
    ভিড় হয়, কেনাকাটা হয় ঘুরে ঘুরে– আজকের ফুল। চারাগাছ বীজ
    তোমার কাছে ফিরতে চেয়ে কাগজের ঠোঙা চেপে চলে যায় দূরে।
  • ফরিদা | ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ ২০:৫৪507642
  • যত কথা বাড়ে

    যত কথা বাড়ে – ঘাস পাতা জন্মায় ফুলে ফুলে ফেঁপে ওঠে সমুদ্র
    জীবনের কাছাকাছি হলে গাছেরা বাড়তে থাকে ক্রমে আকাশের
    মুখোমুখি হয়। যত কথা বাড়ে - জনপদ, চলাচলে রাস্তাও ফুটে ওঠে
    চোখে মুখে শিরায় শিরায় গভীর গভীরতর দাগ অনায়াস হয় ধীরে।
    পৃথিবীর মতো মোহময় সেজে ওঠে পরিচিত মন্ত্র নাম নিজে থেকে
    শান্তিজল নেমে আসে চোখে মুখে ঠোঁটে আকন্ঠ তৃষ্ণায় যত কথা বাড়ে।

    এই সব ঘাস পাতা জঙ্গল চলাচল পথ যারা জনপদে পৌছেছে এতদিনে
    তারপর অন্য কোথাও যেতে চেয়ে নিজেরাই খুঁজে ফেরে হারান চিহ্নগুলি
    যারা একদিন বেরিয়েছিল তারা ফেরার খোঁজ করে – যারা বাড়ি বসে ছিল
    তারা বেরোনর তোরজোড় শুরু করে – তাই চলাচল শুরু হলে বাধা পড়ে
    সমস্ত নির্ভর করে কতটা ছড়িয়ে গেছে কথার বীজ গুলি হাওয়ায় হাওয়ায়
    ক্ষণজীবি মানুষের কাছে তার আকৃতি প্রকৃতি সমূহ কতটা গেঁথেছে মাটিতে –
    বেড়েছে কতটা আকারে, কতটা ভেসেছে ওরা, ডুবেছে কোন কথাগুলি নিঃসাড়ে
    সমুদ্র ফুলে ফুলে কেঁপে ওঠে, অনর্থ ঘুম ডেকে যায় ক্রমাগত – যত কথা বাড়ে।
  • শ্ব | 113.6.157.186 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৪:৪৪507643
  • কোল্ড ক্রীম#১
    --------------
    প্রচন্ড হলুদ হয়ে কমলার মত কোনো মিশে
    যাওয়া পাথরের দিনে,বিগত হনন কার্য্য
    শেষ হলে, সন্ধ্যের ঝিল্লিজালক
    বাক্যপ্রতিম তবু মুদ্রাদোষে অনর্থক আলো
    আমাকে দেখিয়ে দেয় যাবতীয় অপার হীনতা ।

    এভাবে হয়না কিছু আমি জানি, তুমি জানো,
    শব্দটি নবীন;

    এইমাত্র উঠেছে যে আল বেয়ে কালাচসুন্দরী
    দাঁতের আড়ালে দাঁত হোঁটে তার লিপস্টিক মাখা,
    তাকে কী উত্তর দেবে ,ওতঃপ্রোত নাগরবিলাস ?
    পরম প্রত্যাশী নয়, উষ্ণতা, অনাদায়ে ঘুম ।।

    কোল্ড ক্রীম#৭
    ---------------

    সকলেই কিছু হবে ফরসেপ ধারালো কাগজ
    ঘাপটি প্রেমের মত মেয়েদের শিশ্নশরীর
    সকলেই ঢেকে দেবে সব যাত্রা দুধবীর্য্যপাতে

    শুধু , শুধু শীত এলে ;

    ঘং শব্দে জমে যাওয়া মন্দারের বিল থেকে
    আলো, বাদাম ফুরিয়ে গেলে ভ্যাসেলীন নেবে
    আসবে আঁশে , অনিক্স পাখির ডানা জমে যাবে

    মিল মিল দুরে ,

    এমন শীতের দেশে আমি নয় ঠোঁটফাটা হব ।।

    কোল্ড ক্রীম#৩
    --------------

    আমাদের ফোনগুলি নিজেরাই কথা বলতে পারে
    আমাদের ডাকবাক্স স্বতপ্রনোদিত চিঠিয়াল, আমাদের
    দেয়ালেরা সেই কবে তিরস্কার শুনে

    এখনো নিজের মধ্যে নিজেদের প্রতিধ্বনিময় ।

    এভাবে সবাই খুব সাব্যস্তে বিলীন হয়ে গেলে, ভালো হত
    হয়না তা; আমি যতবার ভাবি ভেজা মাচিসের
    মাঝে নবলব্ধ হে বারুদ ক্লিটোরিক লাল;

    ততবার হাওয়া এসে, ওহো হাওয়া, শীতের বাতাস ।।

    কোল্ড ক্রীম#৫
    --------------

    কাফন লিখতে গেলে এখনো সরিয়ে রাখি
    স্মৃতির মেরুন, কতক্ষণের চেনা হাত ধরলি তুই

    সমস্ত পথ জুড়ে একটিই গাড়ি যায় আমাদের চেনা
    সমস্ত পথের গাড়ি রাথলেস পিষে দেয় আমাদের কথা
    সমস্ত কথার মাঝে সাদা ভেড়া আলখাল্লা ওহ কী যন্ত্রণা

    কাফন লিখিনা আর, চেয়ে দ্যাখ, এখনো লিখিনি ।।

    কোল্ড ক্রীম#১১
    --------------

    হাড়ের কফি কাপে ঠান্ডা হতে থাকে সিগারেট
    আর আমরা অনর্গল বকে যাই

    আর

    কিছু রেলগাড়ি পার্পল ছুটে যায় মাটির অন্দরে,
    পিছু পিছু ধেয়ে যায় ডিসকভারির লাল কালো

    আমরা তাকাই না তাও,কাওকে ডাকিনা, কেও
    আমাদেরও উঠতে বলেনা, থিমথিম হলুদ বাতাস

    ঘিরে আসে, নারকোলের মত কেও ভলান্টারি খুলি
    ধরে টেবিলে আছাড়, সবুজ ফ্লুইড, তবু উল্লাসবিহীন

    আমরা গড়াতে থাকি হলুদ আলোর দেশ শুখিয়ার মোড়
    ছ্যাতরাব্যাতড়া করে ভোর হয় হাড্ডিসার রেলিঙের গাছে ।।
  • sosen | 177.96.5.118 | ০৮ জানুয়ারি ২০১৬ ০৩:৩৯507644
  • এখন মাকে দেখতে ইচ্ছে করে
    ছেঁড়া সেই তোশকটা
    রোদ্দুরের নিভু নিভু গন্ধ
    ছেলেবেলার শীত। কেরোসিন তখনও স্বচ্ছ।
    এইসবই আমার কবিতা।
    এইসবই আমার পরিত্রাণ
    এখন শরীর ভেঙে আসে
    মা জানে না। মা একদিন মাটির মতো এই শরীর গড়েছিল
    ছুরিতে জল লাগিয়ে মসৃণ করেছিল ত্বক
    মাটির পোঁচে
    এখন মা জানতেও পারছে না
    ভাঙনের রেখা কোথায় শুরু।

    মায়ের পুতুল, বিক্রি হয়ে গেছে।
  • sosen | 184.64.4.97 | ১৭ জানুয়ারি ২০১৬ ২২:১৯507645
  • বাজারে বসার আগে ডেকেছিল মহানির্জনতা।
    আকাশের পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে সরু খালের মতো নদী
    বরফের নিচে জমে আছে একটা চেয়ার
    একটা পৃথিবী থমকে আছে।
    ওখানে পা ঝুলিয়ে বসার কথা ছিল, ঘড়ির কাঁটা খসে যাওয়ার আগে।
    আমার এখন আর শিশুদের গায়ের গন্ধ ভালো লাগে না
    হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়েও শুধু অভিযোগ মনে আসে
    অথচ পেরিয়ে যাচ্ছে টাগ অফ ওয়ারের দিনগুলি
    সাদা থাবা বসাচ্ছে চুলের ভিতর, খামচে ধরে
    রক্ত চাইছে, দাঁত নখ অস্ত্র মহীয়ান
    একটা ছোটো শরীর আর বেলুনের মতো ফুলতে থাকা খাতা
    প্রহরার করুণ বালুচর।
    নির্জনতা, কিন্তু সাউন্ড আইসোলেটেড হেডফোনের মধ্যে দিয়ে
    বাজার চেঁচিয়ে চলেছে কানের পর্দায়

    এখানে বিছানা নেই। বালির উপর চাপ চাপ রক্ত
    সন্ধের জ্যানিটর বাড়ি ফেরেনি।
  • sosen | 50.128.208.34 | ২৬ জানুয়ারি ২০১৬ ১০:৩৮507646
  • টুকরো টাকরা



    এসব খুনসুটির কথা শুনোনা, এসব পরজের মায়ায় মিশে থাকার মত ধুনোর মত গোলাপতেলের মত আকৃতিহীন, জলের ওপর লাঠির বাড়ির মতো অন্যায় কিন্তু নিষ্ফল, সেদিনের মতো , যখন তুমি আমাকে হাত ধরে হ্যাঁচকা টান মারতে মারতে হাঁটিয়ে নিয়ে আসছিলে সারা রাস্তা আর আমি ভাতের থালা ছুঁড়ে ফেলেছিলাম, যে ভাত বাগুইআটি থেকে বয়ে এনে দিতে দিতে বাদলকাকা একদিন মরে গেল হঠাৎই আর তোমার তিনশো টাকা বাকি রয়ে গেল আর যেমন মাধুকরী পড়তে পড়তে এয়ারপোর্টের সেই শ্যাওলা মাখা কোয়ার্টারের বাথরুমে আমি আনন্দে গলে গলে পড়ছিলাম মেঝেতে সাবানের ফেনার মতো কারণ বাথরুমের ভিতর ছায়া ছিল, সেই ছায়া, যা খুঁজতে খুঁজতে কেটে যাচ্ছে পঁয়ত্রিশ বছর আর গায়ে চাবুকের লাল লাল দাগ বয়েসের সাথে সাথে ফুটে উঠছে বয়েস হলে চামড়া পাতলা হয়, তোমারও হয়েছে, কাগজের মত আমারও একদিন হবে অমনি তখন দাগগুলো মিশতে মিশতে অবশেষে আমি একটা চাবুক হয়ে যাবো, খাড়া, তীক্ষ্ণ, তেলতেলে একটা নির্মম চাবুক ঠিক যেরকমটা তুমি কিনতে চেয়েছিলে টিনকালে
  • sosen | 184.64.4.97 | ২৭ জানুয়ারি ২০১৬ ০৭:৩২507647
  • টুকরো টাকরা


    ভুলিতে পারিলাম না বলে সেই যে চিঠিটা শেষ করেছিল ঘোমটা টানা সেই মহিলা, তার পর খাগড়ার কলমের নিব পরিষ্কার করে ন্যাকড়ায় মুছে লেখার পাতের ওপর রেখেছিল আর দুপুর তাকে টেনেছিল সেই গত শতকের পুকুরের ধারে ঝুলে পড়া ডালটায় একটা দড়ি বাঁধবার জন্য, কালো ২ ইচ্ছা পাকাইয়া পাকাইয়া আমাঢ় অন্তরে জলিয়া উঠিল আমি মেয়ে মানুশ ইহাকে কি বলে জানিতাম না কিন্তু আমাকে সায়ড়ের জল ডাকিতেছিল আমি কি করিয়াছি আমি তো কোনো পাপ করি নাই তবে কেন আমার আত্তঘাতি হইতে মন করে, কেহ জানিতে পারে না; ঘোমটা টানতে টানতে একপাঁজা বাসন হাতে নিয়ে কালো জলের কাছে গিয়ে বসেছিল সে আর লোকে ঐ পুকুরটাকে বউমারির পুকুর বলত তারপর থেকে আমি আঁচলে পাতর বাঁধিয়াছিলাম আপুনি দুঃখ করিবেন না, আপুনার মতো সুখী কেহ আমাকে করে নাই কিন্তু ঐ ডাক আমাকে পাগল করে আমি এ পাগল জিবন আপুনার সাথে বাঁধিয়া রাখিতে চাহি না আর-পায়ের দাগ ছিল জলের পাশে আর যখন ওরা ওকে শেষ অব্দি খুঁজে পেয়েছিল ওর ভিজে ওভারকোটের পকেট ছিঁড়ে যাচ্ছিল পাথরের আর লেখার ভারে।
  • i | 147.157.8.253 | ২৭ জানুয়ারি ২০১৬ ০৭:৪৬507648
  • Dearest,
    I feel certain I am going mad again. I feel we can’t go through another of those terrible times. And I shan’t recover this time. I begin to hear voices, and I can’t concentrate. So I am doing what seems the best thing to do. You have given me the greatest possible happiness....I can’t go on spoiling your life any longer.

    মারাত্মক ভালো হয়েছে..
  • i | 147.157.8.253 | ২৭ জানুয়ারি ২০১৬ ০৭:৪৮507649
  • ইংরিজি অংশটিতে উদ্ধৃতি চিহ্ন দিতে ভুলে গেছি।
  • Atoz | 161.141.84.176 | ২৭ জানুয়ারি ২০১৬ ০৭:৫৮507651
  • ভার্জিনিয়া আর হাইপেশিয়া এই দুজনের ছবি দেখে চমকে গেলাম!



  • sosen | 184.64.4.97 | ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ ০৯:১২507652
  • এমনকি ঋত্বিককেও নিয়ে গ্যালো মায়াবী মিডিয়া। ঘাতক পড়েনি ধরা, শুধু পেজ তিন জুড়ে মালাইকা আরবাজ নিজেদের ছিঁড়ে ছিঁড়ে ছিটিয়ে ফেলতে থাকলো চতুর্দিকে তার মধ্যেই স্টোভ ফেটে দাউ দাউ জ্বলছিলো এক মহিলা কাল কাগজ বেরোলে জানা যাবে ও কে। শুধু তোমার মুখে একটাও দাগ ছিল না আর, অসামান্য সেই রাজেশ্বরী মুখ, ঠোঁটের আহত অভিমান, মেরুন সোফার ওপর লুটিয়ে পড়া, অথচ ঠিক কি লুটিয়ে পড়ছে দেখা যায় না, কোমল হাতের আঙুল? দূর থেকে মনে হয় কোমলাঙ্গ, কাছে এলে দেখা যায় ফাটা দাগ, খরার কান্নার দীর্ঘ রেশ,বক্ষবন্ধনীর নিচে বেলুন ধরিয়া রাখে অতলান্ত সাগরের জল। তোরে আমি চিনেছিনু, রাজেশ্বর, সেই বিগত জন্মের থেকে ছায়া হয়ে পড়ে ছিনু তোঁহার দুয়ারপ্রান্তে, নিশিদিন পাহারা দিয়েছি ঐ ভ্গ্ননারিদেহ, তবু বাঁচাতে পারিনি। আমার বুড়ো বাবা টিভির সামনে দাঁড়িয়ে ফিসফিস করে বলছিল, কেউ চিনলনা মানুষটারে, মাইর‌্যা ফালাইল। যেন দৈববাণী, আমি কেঁপে যাই, সখা, তবে আমিই কি মেরেছিনু তোরে? রাত্রির অজানিত উন্মাদ প্রহরে কোনো, ছুরির ঝলস তুলে পরদিন ভোরে ভুলে গেছি? সেয়ানা নারীর মতো বইমেলা চলে গেছি বিকেলের বাসে--যৌনতা বিক্রির নামে মিশে গেছি ভিড়ে,স্লিভলেসে।
  • Kaju | 11.39.36.80 | ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ ১২:১৯507654
  • রামধনু / কৌশিক গুপ্ত
    -----------------------------------

    ঋতুস্নান সেরে ওঠা বিকেলের সিঁথিটান ইশারায় ডাকে
    খোলা ক্যানভাসে কেউ শিয়ালদা ক্যাথলিক চার্চের সামনে
    দাঁড়িয়ে রয়েছে, আজও পায়নি সে বাস? চোখ যে রামধনুতে
    তার অন্য প্রান্তে আমি কাঁচের ওপারে, ভিজে চুল গোছা করে
    আঁচড়ে লবণহ্রদ পেতে দেয় সেতু, কাঁটা ফিরতির দিকে
    ঘুরিয়ে হাতঘড়ির উঠে পড়ি আস্থা রেখে ছলনা হাসিতে
    অমনি সীমন্তরেখা খেয়ালের সাতরঙ প্রতিশ্রুতি ভুলে
    মেঘকে সওদা করে মাঝপথে ফেলে যায় ঝাপসা অশেষ
    আন্দাজে কিনারা খুঁজি ছিলার সন্ধানে, যেন সেদিনের মত
    তোমার আঙুল ধরে থাকার কম্পাঙ্কে আজও সে অনুরণন
    জিরো-তে ফেরাবে শুরু করা, বাকি রেখে শুধু যা কিছু ধ্রুবক
    রামধনু জেগে ওঠে পথের হাইলাইট, সারাটি যাত্রায়
    সিকুয়েল হয়ে এল যত বৃষ্টি এপিসোড, তার সাঁঝঘুড়ি
    অন্ধকার চিরে চিরে সুতোকে খেলিয়ে যায়, দিগন্তের বুকে
    বিঁধে যাওয়া হৃৎশব্দ ছিলার সারিন্দাটানে লেখে গুঁড়ো রঙ
    উড়ন্ত আঁচল থেকে ঝরা শিউলির গন্ধ ঘরে সারারাত।

    (ক্লেদজ কুসুম বইমেলা সংখ্যা ১৪২২)
  • Kaju | 11.39.36.80 | ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ ১২:১৯507653
  • সবাই বললেন বলেই দিচ্ছি কিন্তু, নইলে সোসেন্দির কবিতার পরে দেবার ধক আমার মোটেও ছিল না। ঃ)

    ওড়না / কৌশিক গুপ্ত
    -----------------------------------

    টার্গেট পিলার পোঁতা কৈফিয়ত লালদাগে ভরে যায় নথি
    প্রতি পয়েন্টের শেষে দাঁড়ি টেনে ফ্লুরোসেন্ট বাতি একে একে
    নিবিয়ে নেমেছি আরো কোমর সমান জলে, রাতরঙ জানে
    ফাঁকি মুছে নিতে ছেঁড়া কাঁথার আড়াল দৃশ্যে কোলাজ সেলাই
    পা ধরে টানতে থাকে ভূতচতুর্দশী কালো জল ঘেঁষা ধাপ
    সারা সন্ধ্যে জ্বলে আছে কলরবে আধো স্বর ডুবে যাওয়া আলো
    কাছে যার প্রতিরূপ রইল সুদূর হয়ে, বিছানায় প'ড়ে
    কোণাকুণি সঙ্গদোষে, ঘুমশরীরের প্রান্তে নম্র সেবা হয়ে
    ডুবসাঁতারের ঠিক আগে ধরে ফেলে হাত অসাড় বিশ্লেষে
    ভোরের নার্সের কাছে বেহাল ডিঙিটি বেয়ে ঘাসভেজা চোখ
    সঁপে দিয়ে যায় স্তব্ধ নির্বাপণে, জেগে দেখি মাথার পাশের
    টেবিলে গেলাস চাপা অবাধ্য উড়ছে চিঠি, প্রেসক্রিপশনে
    সাধ্যমত ছদ্মবেশ, দুষ্পাঠ্য অক্ষর ফেলে বেড়ার ওপারে
    চলে যাচ্ছে, শ্যাওলায় চিহ্নগুলি ঢেকে দেবে স্যাঁতসেতে গলি
    ওড়না-লিখনে শুধু কাছে যার প্রতিরূপ রইল সুদূর ।

    (ক্লেদজ কুসুম বইমেলা সংখ্যা ১৪২২)
  • Kaju | 11.39.36.80 | ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ ১২:২১507655
  • এইটা টাইপ করা ছিল না, এত বড় আর টাইপাতে পারলুম নি, তাই ছবি আপলোডিয়ে...পড়া যাবে নিশ্চয়ই।



    (ক্লেদজ কুসুম বইমেলা সংখ্যা ১৪২২)
  • san | 113.245.14.101 | ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ ১২:৫০507656
  • ভাল হয়েছে তো , কাজু। সংকোচ না করে এখানে কবিতা দিতে থাকো।
  • Tim | 108.228.61.183 | ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ ১২:৫৪507657
  • হুঁ ভালো হয়েছে, শেষেরটাই আমার সবথেকে ভালো লাগলো। গুজ্জব।

    আর অন্য কে লিখছে এসব না দেখে নির্ভয়ে লেখা দিও, যখন ইচ্ছে।
  • Arpan | 74.233.173.198 | ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ ১৩:১৯507658
  • কাজু, শেষের কবিতাটা খুব ভালো লাগল।
  • Div0 | 116.197.41.205 | ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ ১৪:১৫507659
  • তিন নং কবিতাটা সত্যিই খুব ভালো লাগলো। আর অত আগাপাশতলা না ভেবে এখানে রেগুলার কাজুর কবিতা পড়তে পেলে খুশি হবো।
  • ranjan roy | 24.99.101.143 | ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ ১৫:৩০507660
  • ডিভো কে ক।
  • de | 24.97.162.123 | ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ ১৮:৩৮507662
  • খুবই ভালো হইচে কাজু-
    বইমেলায় লেখা বেরোনোর জন্য অভিনন্দন!!

    লিখতে রহো!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন